আত–তিবইয়ান পাবলিকেসন্স পরিবেশিত
“জিহাদেঅংশগ্রহণ এবংসহায়তার৩৯টিউপায়”।।
মুহাম্মাদ বিন আহমাদ আস-সালিম (‘ইসা আল-‘আশীন) হাফিযাহুল্লাহ
এর থেকে || ৮ম পর্ব
==================================================
=====
১৯. তাঁদের জন্য দু’আ করাঃ
মুজাহিদীনদের সাহায্য করা, তাতে অংশগ্রহণ করা ও সেবা করার পদ্ধতি সমূহের মধ্যে আরেকটি হল গোপনে আল্লাহর নিকট প্রার্থণা করা যেন আল্লাহ্ তাঁদেরকে শত্রুদের উপর বিজয়ী করেন এবং যেন তিঁনি (আল্লাহ) তাঁদেরকে দৃঢ়পদ রাখেন এবং যেন তিনি তাঁদের শত্রুদের ধ্বংস করে দেন, এবং পাশাপাশি প্রার্থণা করা যেন কারাবন্দীরা মুক্তি পায় এবং তাঁদের সুস্বাস্থের জন্য ও আঘাত (যখম) থেকে আরোগ্যতা লাভের জন্য, তাঁদের ক্ষমা ও শহীদ হিসেবে গণ্য হওয়ার জন্য, তাঁদের নেতৃত্বের সংরক্ষণ ও রক্ষার জন্য, তাঁদের সন্তানদের নিরাপত্তা ও বেড়ে উঠার জন্য, এবং তারা যেন সত্যের উপর অবিচল থাকতে পারে।
প্রার্থণাকারী যেন ঐ সময় গুলোকেই প্রার্থণার জন্য বেছে নেয় যখন দু’আ কবুল করা হয় এবং এখানে আমরা মুজাহিদীনদের জন্য দোয়ার ব্যাপারে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তুলে ধরব (ইনশাআল্লাহ):
- তাঁদের জন্য বিনীত হৃদয়ে দু’আ করা এবং তাঁদের জন্য শুধু মুখে মুখে দু’আ না করা (দু’আ করার জন্য খালিছ নিয়্যতে দু’আ করা), কারণ আল্লাহ এমন বান্দার দু’আ গ্রহন করেন না যে তাঁর ব্যাপারে (মুখলেছ) মনোযোগী নয়। তুমি এমন সময় দু’আ করবে সে সময়টি দু’আ কবুলের সময় এবং এ ব্যাপারে অন্যদের স্মরণ করিয়ে দিবে। এটা করার কিছু পদ্ধতির মধ্যে একটি হল অন্যদের লিখিত বার্তা (এসএমএস) পাঠানো এবং নিজের পরিবার পরিজনদেরকে এ ব্যাপারে স্মরণ করে দেয়া। ঐ ব্যক্তি যে সব কিছুর জন্য দু’আ করে যা সে উপযুক্ত বলে মনে করে এবং সে যেন সমসাময়িক ঘটনার প্রেক্ষিতে দু’আ করে যাতে করে সে গতানুগতিক একই দো’আ বারবার না করে এবং কবুল না হলে যেন বিরক্ত না হয়ে যায় এবং এখানে আমাদেরকে অবশ্যই গুরুত্ব দিতে হবে যে দু’আ তখনই করা উচিত যখন দু’আকারী তার দু’আ কবুলের ব্যাপারে নিশ্চিত এবং সে যেন ধৈর্য্য হারা না হয়ে যায় এবং যেন না বলে ফেলে “আমি দু’আ করেছিলাম, এবং তা কবুল করা হয় নি।”
২০. সঙ্কটকালীন দু’আ (কুনুত আন-নাওয়াযিল):
এ বিষয়ের গুরুত্বের কারণে এবং এটি মুহাম্মাদ ﷺ এর সুন্নাহ্ হওয়ার জন্য এবং যারা এই সুন্নাহকে মুছে দিতে চায় তাদের কারণে আমি কুনুতের বিষয়টি স্বতন্ত্র ভাবে উপস্থাপন করছি। অন্যথায় এটা ‘মুজাহিদীনদের জন্য দু’আ করা’ উপরোক্ত অনুচ্ছেদের সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত। বর্তমানে, কেউ কেউ এই সুন্নাহ্কে নিম্ন বর্ণিত দুই উপায়ে ত্যাগ করতে চায়ঃ
প্রথমতঃ তারা বলে এই কাজে শাসকদের অনুমতি প্রয়োজন এবং এর ফলে কুনুতে অংশগ্রহন করা একটি সন্দেহপূর্ণ বিষয়ে পরিনত করা হয়েছে যদি না তাতে কোন রাজনৈতিক স্বার্থ জড়িত থাকে, যেমন রাশিয়ান শক্রদের বিরুদ্ধে দু’আ করা এবং আমেরিকানদের বিরুদ্ধে না করা।
বর্তমানের এই শাসকরা কারা যাদের অনুমতির আশা আমরা করব এবং অপেক্ষায় থাকব? এমন একজন যে কিনা ক্রুসেডারদের জন্য সাহায্য ও সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়? নাকি এমন ব্যক্তি যে রাশিয়ার রাষ্ট্রপতিকে নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার জন্য অভিনন্দন জানায় যখন সে কি না ছিল গ্রজনীর মুসলিমদেরকে নৃশংসভাবে নির্বিচারে হত্যা করার মধ্যমণি? শাইখ হামুদ বিন উক্বলা (আল্লাহ তাঁকে ক্ষমা করুন) বলেছেন, “বর্তমানে, আমরা নেতাদের লালসা ও তাদের আকাঙ্খার মধ্যকার পার্থক্য সম্পর্কে অবহিত, সুতরাং কুনুত আন-নাওয়াযিলের সাথে তাদের সম্পর্ক স্থাপন করার মাধ্যমে মুসলিমদের বিষয়গুলো রাজনীতি ও শাসকদের অনুগত করে দেয়া হয়েছে। এবং আপনি বর্তমান বাস্তবতায় মুসলিমদের দুর্দশায় এই সব শাসকদের অনেকেরই বিশ্বাসঘাতকতা ও অপারগতা দেখতে পাবেন; বরং তারা সেই সকল মানুষের সাথে যুদ্ধে লিপ্ত যারা জিহাদ ও মুজাহিদীনের কাজে সহায়তা করে। সুতরাং কিভাবে আমরা তাদের কাছ থেকে কুনুতের ব্যাপারে তাদের অনুমতির প্রাপ্তির আশা করব যদি না তা তাদের স্বার্থ ও ইচ্ছা অনুযায়ী না হয়?” উল্লেখ্য যে এই শর্ত গ্রহনযোগ্য নয় কারণ এটার সমর্থনে কোন দলিল-প্রমান নেই, যে রূপ শাইখ হামুদ বিন উক্বলা (আল্লাহ্ তাঁর প্রতি রহম করুন) তার ফাতাওয়ায় বর্ণনা করেছেন।
দ্বিতীয়তঃ অনেকে বলেন, “যদি আমরা প্রতিটি বিপদের জন্য কুনুতে নাওয়াযিল আদায় করি তবে আমরা কখনই একটি বিপদের জন্য কুনুত পাঠ করা বন্ধ করব না যতক্ষণ পর্যন্ত না যে অন্য একটি বিপদ তার স্থান নিয়ে নেয় এবং এটা বিরতিহীন ভাবে চলতে পারে!” এবং এ সকল মানুষদের এই উত্তর দেওয়া যেতে পারে এই ভাবে যে, এটা আমাদের জন্য বৈধ যে আমরা প্রতিটি বিপদে কুনুতে নাওয়াযিল আদায় করব, তা আসতে থাকুক অথবা বন্ধ হোক কারণ এটা রসূলুল্লাহ ﷺ এর সুন্নাহ্।
শাইখ উল ইসলাম ইবন তাইমিয়্যাহ (আল্লাহ্ তাঁর প্রতি রহম করুন) বলেছেন, “… কুনুত হল প্রয়োজনের সময়ে পালনীয় একটি সুন্নাহ্, নিয়মিত কোন সুন্নাহ্ নয়। কারণ এটা প্রমাণিত যে তিনি ﷺ তা (কুনুত পাঠ করা) বন্ধ করে দিতেন যখন এটার প্রয়োজনীয়তা আর থাকত না এবং তা আবার শুরু করতেন যখন প্রয়োজন দেখা দিত।”
এখানে আমরা আপনার কাছে শাইখ হুমুদের কুনুত আন নাওয়াযীল সংক্রান্ত গবেষণামূলক প্রবন্ধের একটি অংশ পেশ করছি: “ইবন আল ক্বাইঈম (আল্লাহ্ তাঁর প্রতি রহম করুন) সলাতের গ্রন্থে লিখেছেন, আবু ছাওর, আবু আব্দিল্লাহ আহমাদ বিন হামবাল (আল্লাহ্ তাঁর প্রতি রহম করুন) কে জিজ্ঞেস করলেন,‘ফরজ সলাতে কুনুত পাঠ করার ব্যাপারে আপনার মতামত কি?’ সুতরাং আবু আব্দিল্লাহ বলেন, ‘নিশ্চয়ই শুধুমাত্র বিপদের সময়ে কুনুত পাঠ করা উচিত।’ সুতরাং আবু ছাওর তাকে বললেন, ‘আমরা যে বিপদের মধ্যে আছি তার চেয়ে বড় বিপদ আর কি হতে পারে?’ সুতরাং আহমাদ বিন হাম্বল (আল্লাহ্ তাঁর প্রতি রহম করুন) তাকে বলেন, ‘যদি ব্যাপারটা তাই হয়ে থাকে তাহলে কুনুত পাঠ কর।’”
আমরা বলি, বর্তমানের মুসলিমরা কত প্রকার বিপদেই না আক্রান্ত? তাহলে কিভাবে কুনুতের ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা থাকতে পারে যেখানে আল্লাহ্ বলেছেন যে বিশ্বাসীরা হল একে অপরের বন্ধু? আমরা জানি যে কুনুতের বিশেষ উদ্দেশ্য রয়েছে যা শুধুমাত্র সাধারনভাবে সিজদায় বা খুতবার পাঠ করা নয় কারণ এটার উদ্দেশ্যগুলোর একটি হলো মুসলিমদের নৈতিকভাবে সহযোগিতা করা এবং তাদের ব্যাপারে সচেতন থাকা, তাদের প্রতি সমবেদনা দেখানো, তাদের সাহায্য করা এবং এটার মাধ্যমে মুজাহিদীনদের শক্তি সঞ্চার হবে এবং তা দেখা ও অনুভব করা যাবে। আমরা অনেক মুজাহিদীনদেরকে বলতে শুনেছি যে, প্রকাশ্য কুনুত পাঠ করা হলে তারা মুসলিম ভাইদের দু’আর কারণে খুশি হন। তারা এটা করার জন্য আমাদেরকে প্রায়শ অনুরোধ করে। ইবন হাযার (আল্লাহ্ তাঁর প্রতি রহম করুন) বলেছেনঃ “আমার কাছে এটা প্রতীয়মান যে, সিজদার পরিবর্তে কুনুতে নাওয়াযিল দাড়িয়ে পাঠ করার মধ্যে যে বিচক্ষণতা রয়েছে তা হলো যাতে করে অনুসারীরা ইমামের সাথে দু’আয় অংশ নিতে পারে এবং আমিন বলতে পারে। এই কারণে সবাই মিলে এটা প্রকাশ্যেই পাঠ করতে হবে।
এবং কুনুত হল শত্রুর বিরুদ্ধে এক প্রকারের বিজয়। এটা সহীহ্ সূত্রে আলী ইবন তালিব রা. হতে বর্নিত আছে যে, যখন তিনি যুদ্ধের সময় কুনুত পাঠ করতেন তখন তিনি বলতেন, ‘নিশ্চয়ই, আমাদেরকে শত্রুদের বিরুদ্ধে সাহায্য করা হয়েছে।” জ্ঞানী লোকদের মধ্যে উনারা হচ্ছেন তারা যারা কুনুত আন নাওয়াযিলের বাধ্যবাধকতার উপর কথা বলেছেন এবং বলেছেন যে, এটা হচ্ছে ইমামদের কাজ যেরূপ আল ইসতিযকারে (৬/২০২) ইবন আবদিল বারী ইয়াহিয়াহ বিন সাঈদ থেকে বর্ণনা করেছেন যে, তিনি প্রায়ই বলতেন, ‘যখন সেনা বাহিনীরা শত্রুদের ভূমিতে যুদ্ধ করে তখন দু’আ করা (কুনুত পাঠ করা) ফরজ এবং এটা ছিল ইমামদের কাজ।’
২১. জিহাদের সংবাদ সংগ্রহ করা এবং তা প্রচার করাঃ
এতে কোন সন্দেহ নেই যে, মুজাহিদীনদের খোঁজ-খবর রাখার মধ্যে পুরস্কার রয়েছে যদি তা জিহাদের প্রতি সচেতনতা ও ভালবাসা থেকে হয়ে থাকে; যেখানে সে তাদের সুখে সুখী হয় এবং তাদের দুঃখে দুঃখী হয়। যে ব্যক্তি এটা যথেষ্ট মনে করে যে যদি (মুজাহিদীনদের) খবরটি ভাল হয়, তবে সে মুজাহিদীনদের সাথে আছে এবং যদি খবরটি খারাপ হয় তবে সে সেখানে সরাসরি জড়িত না থাকাকে আল্লাহর নিয়ামাত হিসেবে গণ্য করে তাহলে সেই ব্যক্তি হল তার মত যে রূপ শাইখ আবু উমার মুহাম্মাদ আস সাঈফ (আল্লাহ্ তাঁর প্রতি রহম করুন) বলেছেন, ‘নিশ্চয়ই জিহাদে সহযোগিতা না করা এবং অংশগ্রহন করা থেকে বিরত থাকা এবং দূর থেকে বিভিন্ন মাধ্যমে (অডিও, ভিডিও, লিখিত) মুজাহিদীনদের সংবাদ সংগ্রহ করাকেই যারা যথেষ্ট মনে করেন, তাহলে তা হবে মুনাফিকের চরিত্র যে রূপ আল্লাহ তাআলা বলেছেনঃ
يَحْسَبُونَ الْأَحْزَابَ لَمْ يَذْهَبُوا ۖ وَإِن يَأْتِ الْأَحْزَابُ يَوَدُّوا لَوْ أَنَّهُم بَادُونَ فِى الْأَعْرَابِ يَسْـَٔلُونَ عَنْ أَنۢبَآئِكُمْ ۖ وَلَوْ كَانُوا فِيكُم مَّا قٰتَلُوٓا إِلَّا قَلِيلًا
“…যদি সম্মিলিত বাহিনী আবার এসে পড়ে, তখন তারা কামনা করবে যে, ভাল হতো যদি তারা যাযাবর মরুবাসীদের সহিত থাকিয়া তোমাদের সংবাদ নিতো। তারা তোমাদের সঙ্গে অবস্থান করলে তারা যুদ্ধ অল্পই করত।”
অর্থাৎ, মাদিনার মুসলিমদেরকে আক্রমণকারী কাফির সৈন্যদলের মুখোমুখি হওয়ার বদলে মুনাফিকরা যুদ্ধ ক্ষেত্র থেকে দূরে অবস্থান করার এবং বেদুইনদের সাথে অবস্থান করে দূর থেকে মুজাহিদীনদের সংবাদ নেয়ার ইচ্ছা পোষন করতো। সুতরাং এই উম্মাহর ক্রুসেডারদের বিরুদ্ধে প্রস্তুতির জন্য অন্য কোন উপায় খোলা নেই এটা ব্যতীত যে সে যথার্থভাবে তার দ্বীনে প্রত্যাবর্তন করবে এবং সেই লেনদেন সম্পূর্ণ করবে যা আল্লাহ তাঁর ঈমানদার বান্দাদের সাথে করেছেন যে রূপ আল্লাহ বলেছেনঃ
إِنَّ اللَّهَ اشْتَرٰى مِنَ الْمُؤْمِنِينَ أَنفُسَهُمْ وَأَمْوٰلَهُم بِأَنَّ لَهُمُ الْجَنَّةَ ۚ يُقٰتِلُونَ فِى سَبِيلِ اللَّهِ فَيَقْتُلُونَ وَيُقْتَلُونَ ۖ وَعْدًا عَلَيْهِ حَقًّا فِى التَّوْرٰىةِ وَالْإِنجِيلِ وَالْقُرْءَانِ ۚ وَمَنْ أَوْفٰى بِعَهْدِهِۦ مِنَ اللَّهِ ۚ فَاسْتَبْشِرُوا بِبَيْعِكُمُ الَّذِى بَايَعْتُم بِهِۦ ۚ وَذٰلِكَ هُوَ الْفَوْزُ الْعَظِيمُ
“নিশ্চয়ই আল্লাহ মু’মিনদের নিকট হতে তাদের জান ও মাল ক্রয় করে নিয়েছেন, তাদের জন্য জান্নাত আছে এটার বিনিময়ে। তারা আল্লাহর পথে কিতাল করে, নিধন করে ও নিহত হয়। তাওরাত, ইনজীল ও কুরআনে এই সম্পর্কে তাদের দৃঢ় প্রতিশ্রুতি রয়েছে। নিজ প্রতিজ্ঞা পালনে আল্লাহ্ অপেক্ষা শ্রেষ্ঠতর কে আছে? তোমরা যে বানিজ্য করেছো সেই বানিজ্যের জন্য আনন্দিত হও এবং উহাই তোমহাসাফল্য।”
এ জন্য, মুজাহিদীনদের সংবাদ ও বার্তাগুলো মুসলিমদের মাঝে প্রচার করার খুবই প্রয়োজন কারণ এর মাঝে অনেক উপকার রয়েছে যেমনঃ
- (মুসলিমদের) উম্মাহর মাঝে এই অনুভূতির পুনঃজাগরণ করা যে আমরা এক অভিন্ন শরীর, যদি এর (এই শরীরের) কোন অংশ ব্যাথা পায়, তবে অন্য অংশ তা অনুভব করে এবং সাহায্য করে।
- উম্মাহর উপর থেকে সংবাদ মাধ্যমের অবরুদ্ধ অবস্থার অবসান ঘটানো যেখানে শত্রুরা অধিকাংশ প্রচার মাধ্যম নিয়ন্ত্রণ করে এবং তারা যা চায় তা ছাড়া অন্য কোন কিছু প্রচার করে না। সুতরাং মুজাহিদীনদের খবর সম্প্রচার সাধারণ মানুষের মাঝে তাদের জন্য প্রচার মাধ্যমের ভিত্তি তৈরী করবে। ফলে উম্মাহ্ সচেতন হবে এবং অনুধাবন করবে যে গৌরব ও সম্মানের পথ হল জিহাদ এবং শাহাদাহরপথ।
আরও পড়ুন
Comment