Announcement

Collapse
No announcement yet.

পাঠচক্র- ১২ || জিহাদে অংশগ্রহণ এবং সহায়তার ৩৯টি উপায় ।। মুহাম্মাদ বিন আহমাদ আস-সালিম (‘ইসা আল-‘আশীন) || ১১তম পর্ব

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • পাঠচক্র- ১২ || জিহাদে অংশগ্রহণ এবং সহায়তার ৩৯টি উপায় ।। মুহাম্মাদ বিন আহমাদ আস-সালিম (‘ইসা আল-‘আশীন) || ১১তম পর্ব

    আততিবইয়ান পাবলিকেসন্স পরিবেশিত
    জিহাদেঅংশগ্রহণ এবংসহায়তার৩৯টিউপায়।।
    মুহাম্মাদ বিন আহমাদ আস-সালিম (‘ইসা আল-‘আশীন) হাফিযাহুল্লাহ
    এর থেকে || ১তম পর্ব


    ==================================================
    =====

    ২৭. সাঁতার কাটতে এবং ঘোড়ায় চড়তে শেখাঃ

    উমর বিন আল-খাত্তাব রা. শামের লোকদের কাছে লিখেছিলেন, “তোমাদের সন্তানদের সাঁতার কাটতে এবং ঘোড়ায় চড়তে শেখাও।” সাঁতার কাটতে এবং ঘোড়ায় চড়তে শিখা মুজাহিদদের জন্য দীর্ঘ মেয়াদে সুফল বয়ে আনবে কারণ সাঁতার হচ্ছে শারীরিক শক্তি অর্জনের সবচেয়ে ভালো উপায়গুলোর একটি এবং ঘোড়ায় চড়ার প্রয়োজনীয়তা কোন সময়েই এবং কোন স্থানেই শেষ হয়ে যাবে না; বিশেষ করে জিহাদ এবং যুদ্ধের ময়দানে। এটা বুখারীতে উল্লেখিত রসূল এর হাদীস দ্বারা নিশ্চিত করা হয়েছে, “পুনরুত্থান দিবস পর্যন্ত ঘোড়ার ঝুঁটিতে কল্যাণ রয়েছে।” সুতরাং ঘোড়া সর্বদা জিহাদে ব্যবহৃত হয়েছে এবং হবে, সেটা আফগানিস্তান, চেচনিয়া বা ইরাক যেখানেই হোক না কেন। সুতরাং যে জিহাদে অংশ নিতে চায় এবং সে তা করতে সক্ষম, তার উপর দায়িত্ব হলো সাঁতার কাটতে এবং ঘোড়ায় চড়তে শেখা কারণ এইগুলো সেই সব জিনিস যা তাকে জিহাদে সাহায্য করবে।


    ২৮. প্রাথমিক চিকিৎসার জ্ঞান অর্জন করাঃ

    জিহাদে অংশ গ্রহণ এবং জিহাদ ও মুজাহিদীনদের সাহায্য করার আরেকটি উপায় হলো প্রাথমিক চিকিৎসার জ্ঞান অর্জন করা যা মুজাহিদীনদের জন্য খুবই প্রয়োজন যেমনঃ ভাঙ্গা হাড়ের চিকিৎসা করা, ক্ষত নিরাময় করা, বিষ বের করে ফেলা, পেশী ও শিরা থেকে রক্ত পড়া বন্ধ করা। মুজাহিদীনদের এ সকল দক্ষতা আয়ত্ব করা দরকার। সুতরাং এগুলো খুবই উপকারী জ্ঞান যা জিহাদের ময়দানে অত্যন্ত প্রয়োজন এবং এটা সহজ ও নিরাপদে শেখা যায়।


    ২৯. জিহাদের ফিকহ সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করাঃ


    জিহাদ ও মুজাহিদীনদের সাহায্য করার আরেকটি উপায় হলো জিহাদের ফিকহ সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করা এবং জিহাদের বিধি-বিধান সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করা এবং তা সম্মুখ যুদ্ধে অবস্থানরত মুজাহিদীনদের উপকারে আসবে। যেহেতু তাদের উপস্থিতি, যারা তাদের দ্বীনের বিষয়গুলো শিক্ষা দিবে, সম্মুখ যুদ্ধে অবস্থানরতদের জন্য খুবই প্রয়োজন। অনুরূপভাবে এই ব্যক্তিরা বক্তব্যের মাধ্যমে জিহাদ এবং মুজাহিদীনদেরকে মুনাফিকদের আক্রমণ থেকে রক্ষা করার মাধ্যমে উপকারে আসবে এবং যে জেনে কাজ করে সে ঐ ব্যক্তির মত নয়, যে জ্ঞান ছাড়া কাজ করে।

    এক্ষেত্রে শাইখ ইউসুফ আল-উয়াইরী (আল্লাহ তাঁর প্রতি রহম করুন)-এর উদাহরণ দেয়া যেতে পারে, তিনি তার জ্ঞান দ্বারা জিহাদের সাহায্য করেছিলেন এবং মুজাহিদীনের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। ‍সুতরাং সত্যিকার অর্থে তিনি ছিলেন একটি বিধ্বংসী শক্তি যা সে সকল লোকের শিংগুলো ভেঙ্গে ফেলত, যারা জিহাদের বিপক্ষে কথা বলত; তা তারা ভালো উদ্দেশ্যেই করুক বা খারাপ উদ্দেশ্যেই করুক।

    জিহাদের ফিকহ সম্পর্কে জ্ঞান অর্জনের মধ্যে এটাও অন্তর্ভূক্ত যে, এমন কিছু পড়া যা জিহাদ সম্পর্কে এবং এর পদ্ধতি সম্পর্কে কারো জ্ঞানকে বৃদ্ধি করবে এবং এটাকে ঘিরে থাকা সন্দেহ দূর করবে। এটা অর্জন করা যেতে পারে আলেমদের বই পড়ে। যেমন- আব্দুল্লাহ আয্যাম, ইউসূফ আল-উয়াইরী, আবূ মুহাম্মাদ আল-মাকদিসী, আবু কাতাদাহ আল-ফিলিস্তিনি, আব্দুল কাদির ইবন আব্দিল আজিজ, সুলাইমান আল-উলওয়ান, আলি আর-খুদাইর, নাসির আল-ফাহদ, আব্দুল আজিজ আল-জাররু ও আবু জানদাল আল-আযদি প্রমুখ।



    ৩০. মুজাহিদীনদের আশ্রয় দেয়া এবং তাদের সম্মান করাঃ

    আল্লাহ্ বলেছেনঃ

    إِنَّ الَّذِينَ آمَنُوا وَهَاجَرُوا وَجَاهَدُوا بِأَمْوَالِهِمْ وَأَنفُسِهِمْ فِي سَبِيلِ اللَّهِ وَالَّذِينَ آوَوا وَّنَصَرُوا أُولَٰئِكَ بَعْضُهُمْ أَوْلِيَاءُ بَعْضٍ


    এতে কোন সন্দেহ নেই যে, যারা ঈমান এনেছে, দেশ ত্যাগ করেছে, স্বীয় জান ও মাল দ্বারা আল্লাহর রাহে জেহাদ করেছে এবং যারা তাদেরকে আশ্রয় ও সাহায্য সহায়তা দিয়েছে, তারা একে অপরের সহায়ক।..”

    মুজাহিদীনরা সর্বদা ক্ষতি ও দুর্ভোগের ঝুঁকির মধ্যে থাকেন। এমনকি শক্ররা এবং তাদের সহযোগী দোসররা তাঁদেরকে দেশ থেকে বের করে দেয়া এবং তাঁদেরকে পালিয়ে থাকতে বাধ্য করে। সেই কারণেই তাদের সাহায্য করা, তাদের আশ্রয় দেয়া এবং তাদের আরাম-আয়েশ ও নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা অত্যন্ত জরুরী; তাদের সম্মান করা এবং কোন প্রকার বিরক্তি ছাড়াই অতিথি হিসাবে তাদের অধিকারগুলো পূরণ করা ঠি যেরূপ চেচেনরা করেছিল আরব মুজাহিদীন ও অন্যদের সাথে, যারা তাদেরকে সাহায্য করতে গিয়েছিলতারা তাদের আবাসস্থলকে মুজাহিদীনদের বিশ্রাম কেন্দ্রে পরিণত করেছিল যদিও তারা জানত যে যদি রাশিয়ান শত্রুরা তা জানতে পারতো তবে তারা ঘর বাড়ীগুলোকে ধ্বংস করে দিবে এবং এর বাসিন্দা পুরুষ ও নারীদের হত্যা করে ফেলবে।


    এই একই ধরনের কাজ আফগানরাও করেছিল যখন কাবুল আমেরিকানদের দখলে চলে যায় তখন তারা মুজাহিদীনদের সম্মান করার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিলেন এবং ঐ অঞ্চলে আমেরিকানদের উপস্থিতি ও কর্তৃত্ব এবং নর্দান অ্যালাইয়েন্সের, যারা আমেরিকানদের সাহায্য করছিল, নিষ্ঠুরতা সত্বেও তারা আফগানিস্তান থেকে মুজাহিদীনদের বের হতে সাহায্য করেছিলেন। এছাড়া অনেক আফগানী মুজাহিদীনদের অধিকারগুলো পূরণ করেছিল তাদেরকে আশ্রয় দিয়ে এবং শত্রুদের থেকে তাদেরকে গোপন রাখার মাধ্যমে যদিও এ জন্য তাদেরকে অনেক চড়া মূল্য দিতে হয়েছিল। এই নীতিগুলোই আমাদেরকে নিজেদের মাঝে স্থাপন করতে হবে এবং এর জন্য চড়া মূল্য পরিশোধের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে, পাশাপাশি মনের মাঝে দয়াময় আল্লাহর থেকে মহা পুরস্কারের আশা রাখতে হবে, যেমন বলা হয়ঃ
    উৎসাহ আসে জাতির শক্তি অনুযায়ীই
    এবং মর্যাদাও আসে জাতির শক্তির উপর নির্ভর করেই।”



    ৩১. কাফিরদের প্রতি শত্রুতা পোষণ করা এবং তাদের ঘৃণা করাঃ

    এই বিষয়টি যদিও ঐ বিশ্বাসের সাথে যুক্ত যা ঈমানদারদের হৃদয়ের গভীরে প্রোথিত, কেউ যদি তা (হৃদয়ে) লালন করেন এবং তা বৃদ্ধি করেন তা হবে মুজাহিদীনদের সাহায্য করার একটি উপায়। ঐ ব্যক্তি যে নিজেকে কাফিরদের শত্রুতে পরিণত করেছে অবশ্যই সে মুজাহিদীন তথা আল্লাহর দলের একজন যারা কাফিরদের কষ্ট ও বেদনার স্বাদ দেয়।


    ৩২. বন্দীদের মুক্ত করার চেষ্টা বৃদ্ধি করাঃ

    মুসলিম বন্দিদের ব্যাপারে এটা এমন একটি দায়বদ্ধতা ও দ্বীনি দায়িত্ব যা অবশ্যই পালন করতে হয়। ইসলাম হুকুম দিয়েছে কাফিরদের হাত হতে বন্দীদের মুক্ত করার জন্য। সুতরাং যদি কোন মুসলিম কাফিরদের হাতে বন্দী হয় তখন মুসলিমদের উপর এটা ফরজ হয়ে যায় সম্ভাব্য সকল উপায় ও চেষ্টার মাধ্যমে তাদের মুক্ত করা। এমনকি যুদ্ধ করে হলেও। যদি তাদের সাথে যুদ্ধ করার ক্ষমতা না থাকে, তাদেরকে অবশ্যই মুক্তিপণ দিয়ে হলেও মুক্ত করতে হবে। যেহেতু রসূল বলেছেন, “বন্দীদের মুক্ত কর, ক্ষুধার্তকে খাদ্য দাও, এবং অসুস্থদের দেখতে যাও।”


    সহীহ্ বুখারীতে বর্নিত আছে যে, আবু যুহাইফা রা. বলেছেনঃ “‘আমি আলী রা.-কে জিজ্ঞেস করলাম, তোমার কাছে আল্লাহর কিতাব ছাড়া অন্য কোন অহী আছে কি?’ তিনি উত্তর দিলেনঃ ‘আল্লাহর কসম, একজন কুরআন অনুসরনকারীকে আল্লাহ্ যে বুঝ দেন এবং এই পৃষ্ঠাগুলোতে যা লেখা আছে তার বাহিরে আমি কিছু জানি না।’ তখন আমি তাকে জিজ্ঞেস করলাম, ‘এই পৃষ্ঠাগুলোতে কি লেখা আছে?’ তিনি উত্তর দিলেন, ‘বন্দীদের মুক্ত কর, এবং একজন কাফেরের জন্যে মুসলিমকে হত্যা কর না।’”

    ইবনে আব্বাস রা. বর্ণনা করেন, উমর রা. বলেছেন, ‘কাফিরদের হাতে আটক প্রত্যেকে বন্দীর মুক্তিপনের অর্থ মুসলিমদের কোষাগার (বাইতুল মাল) থেকে দেয়া হবে।’


    ইবনে আবি শাইবা আরও বর্ণনা করেন যে, উমর রা. বলেছেন, ‘একজন বন্দী মুসলিমকে মুক্ত করা সমগ্র আরব উপদ্বীপ হতে আমার কাছে বেশী প্রিয়।’

    অতীতের অনেক মুসলিম শাসক যেমন ইসলামিক স্পেনের আমীর আল-হাকাম বিন হিশাম বন্দীদের মুক্ত করার এবং কাফিরদের হাতকে গুড়িয়ে দেয়ার ব্যপারে বিস্ময়কর বীরত্ব দেখিয়েছেনযখন তিনি শুনছিলেন যে এক মুসলিমাকে বন্দী করা হয়েছে এবং সে মহিলা ব্যক্তিগত ভাবে তাকে উদ্দেশ্যে করে রক্ষার আহবান করেছে, তিনি তাঁর সেনাবাহিনী জড় করলেন, তাদের প্রস্তুত করলেন এবং ইউরোপিয়ানদের ভূমিতে ছুটে গেলেন ১৯৬ হিজরীতে তাদের হত্যা করেন, দখল করেন অনেক দূর্গ এবং ভয়াবহ ধ্বংস-যজ্ঞ চালিয়েছেন সে মহিলাকে উদ্ধারের জন্যে। তিনি তাদের অনেক পুরুষদের হত্যা করেন এবং মহিলাদের বন্দী করেন, বিশাল গণীমত সংগ্রহ করেন; তারপর অগ্রসর হতে থাকলেন ঐ অঞ্চলের দিকে যেখানে ঐ মহিলাকে বন্দী রাখা হয়েছিল যতক্ষণ পর্যন্ত না তাকে মুক্ত করা হয়। অতঃপর তিনি করডোভায় বিজয়ী বেশে ফিরে এসেছিলেন।


    যখন আল-মনসুর বিন আবি আমির উত্তর স্পেনের এক যুদ্ধ হতে ফিরলেন, তখন করডোভার ফটকে তার সাথে এক মুসলিম মহিলা দেখা করলেন এবং বললেনঃ ‘আমার ছেলে খ্রিষ্টানদের দ্বারা বন্দী রয়েছে! তুমি তাকে মুক্ত কর!’ তখন আল-মনসুর করডোভায় প্রবেশ করলেন না, বরং তিনি সেনাবাহিনী নিয়ে সেই স্থানে ফিরে গেলেন যে স্থান থেকে তিনি মাত্র ফিরে ছিলেন এবং বন্দীটিকে মুক্ত করতে ছুটলেন। সত্যনিষ্ঠ মুসলিমদের ইতিহাস এরূপ মহৎ ঘটনায় পরিপূর্ণ। নিশ্চয়ই এটা হচ্ছে সত্যবাদিতা, ন্যয়নিষ্ঠতা এবং একনিষ্ঠতা। এরা হলেন সেইসব শাসকেরা যারা তাদের জনগণের জন্যে কাজ করেন যদিও এতে তাদের ক্ষমতাও চলে যায়, জাতির কষ্ট তাদেরকে কষ্ট দিতো, জাতির বেদনায় তারা ব্যথিত হতেন। সুতরাং এই জন্যেই কর্মীদের কাজ করা উচিত এবং প্রতিযোগীদের প্রতিযোগীতা করা উচিত। বন্দীদের মুক্ত করার বিষয়টি একটি মতোবিরোধহীন বিষয় এবং এর প্রমাণসমূহ সর্বজন স্বীকৃত ও ব্যাপক এবং আলেমগণ এ ব্যাপারে একমত এবং মুসলিমদের এই ব্যাপারে ইজমা রয়েছে।

    [সুলাইমান আল-উলওয়ানের ‘আমেরিকা ও বন্দী’ গ্রন্থ থেকে উদ্ধৃত]



    ৩৩. বন্দীদের সংবাদ প্রচার করা এবং তাদের বিষয়ে সচেতন থাকাঃ

    মুসলিমরা কাফিরদের হাতে বন্দী হলে তাদের কথা খুব কমই স্মরণ করা হয় এবং যে সব ভাইয়েরা তাদের ব্যাপারে উদ্বিগ্ন ও তাদের মুক্তির ব্যাপারে চেষ্টা করেন, তারা তাদের পাশে কাউকে পান না যারা বন্দীদের ব্যাপারে একই রকম উদ্বিগ্ন। কত মুজাহিদীন রয়েছেন আরব ও অনারব অত্যাচারীদের কারাগারে বন্দী যাদের জন্যে কাঁদার কেউ নেই অথবা তাদের খোঁজ নেয়ার কেউ নেই। সুতরাং জিহাদ ও মুজাহিদীনদেরকে সাহায্য করার উল্লেখযোগ্য উপায়গুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে বন্দী মুজাহিদীনদের ব্যাপারে যে কোন সংবাদ প্রচারের চেষ্টা করা এবং তাদের ব্যাপারে সচেতনতা সৃষ্টির চেষ্টা করা যতক্ষণ পর্যন্ত না তারা মুক্ত হন। এটাই হচ্ছে নূন্যতম যা আমরা মুসলিম বন্দীদের ব্যাপারে করতে পারি।


    ৩৪. ইলেক্ট্রনিক জিহাদঃ

    এই পরিভাষার উদ্ভব হয়েছে তাদের জন্যে যারা জিহাদে অংশ নিতে চান ইন্টারনেটের মাধ্যমে এবং এটা এমন একটি মাধ্যম যার মাধ্যমে অনেক উপকার পাওয়া যায়; যেমন সংবাদ সংগ্রহ ও প্রচারের কাজে, মুজাহিদীনদের সমর্থন ও তাদের পক্ষ অবলম্বন করার মাধ্যমে এবং তাদের মতাদর্শ ও আহবান জন-সাধারণের মাঝে ছড়িয়ে দেয়ার মাধ্যমে। এই প্রচেষ্টা দু’টি প্রধান ভাগে বিভক্তঃ (ফোরামের মাধ্যমে) আলোচনা সভা ও হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে।

    (ফোরামের মাধ্যমে) আলোচনা সভার ক্ষেত্রে, কিছু ভাইয়ের একত্রিত হয়ে প্রত্যেকের সুপরিচিত ফোরামগুলোতে তালিকাভুক্ত (রেজিস্টার) হওয়া উচিত এবং নিম্নে উল্লেখিত প্রকারের সংবাদগুলো পোস্ট (প্রচার) করা উচিতঃ
    • আমাদের সময়ের জিহাদের শ্রেষ্ঠত্ব বর্নণা করে এ ব্যাপারে উদ্বুব্ধ করা।
    • মুজাহিদীনদের পক্ষে লেখা এবং তাদের সম্মানকে রক্ষা করা তাদের থেকে যারা তাদের সম্পর্কে মিথ্যা বলে।
    • জন-সাধারণের মাঝে জিহাদ সম্পর্কে সচেতনতা গড়ে তোলা।
    • জিহাদের উপর গবেষণামূলক লেখা ও জ্ঞান সমৃদ্ধ প্রবন্ধগুলো প্রচার করা।
    • পথভ্রষ্ট ও আধুনিকতাবাদীদের মধ্যে যারা জিহাদের বিপক্ষে তাদের বিরোধিতা করা এবং তাদের ভুলগুলো জনসম্মুখে প্রকাশ করা।

    ভাইদের উচিত প্রত্যেক দিন প্রতিটি আলোচনা সভায় এই ধরনের সংবাদগুলোকে ছড়িয়ে দেয়া এবং অন্য ভাইদের উচিত এই সংবাদগুলোর প্রতি সাড়া দেয়া যাতে করে সংবাদগুলো আলোচনা সভার প্রধান বিষয়বস্তু হয়ে দাঁড়ায়।

    হ্যাকিং পদ্ধতির যথাযথোপযুক্ত পরিভাষাটি হচ্ছে ‘ইলেক্ট্রনিক জিহাদ’। কারণ, শব্দটি দ্বারা শক্তি প্রয়োগ, আঘাত করা এবং আক্রমণ করা বুঝায়।

    সুতরাং আল্লাহ যাকে এই বিষয়ের জ্ঞান দান করেছেন, তার এই জ্ঞান ব্যবহার করে জিহাদে অংশগ্রহন করার ব্যাপারে কৃপণ হওয়া উচিত নয়। তার উচিত আমেরিকান, ইয়াহুদী, আধুনিকতাবাদী, স্যেকুলার ওয়েবসাইটগুলো এবং যে সমস্ত সাইট জিহাদ ও মুজাহিদীনদের বিরোধিতা করে তাদের ধ্বংসে আত্মনিয়োগ করা।

    যাদের এই ধরনের কলা-কৌশলের জ্ঞান নেই, তাদের উচিত একনিষ্ঠতা ও এখলাসের সাথে এই জ্ঞান অর্জন করা। কারণ, এটা শক্রকে আক্রমণ করার একটি মাধ্যম। ইন্টারনেটের মাধ্যমে হলেও আসুন আমারা জিহাদে অংশগ্রহন করি


    আরও পড়ুন
    ১০ম পর্ব ------------------------------------------------------------------------------------------------ ১২তম পর্ব
    Last edited by tahsin muhammad; 02-04-2024, 08:36 PM.

  • #2
    মুসলিম বন্দিদের ব্যাপারে এটা এমন একটি দায়বদ্ধতা ও দ্বীনি দায়িত্ব যা অবশ্যই পালন করতে হয়। ইসলাম হুকুম দিয়েছে কাফিরদের হাত হতে বন্দীদের মুক্ত করার জন্য। সুতরাং যদি কোন মুসলিম কাফিরদের হাতে বন্দী হয় তখন মুসলিমদের উপর এটা ফরজ হয়ে যায় সম্ভাব্য সকল উপায় ও চেষ্টার মাধ্যমে তাদের মুক্ত করা। এমনকি যুদ্ধ করে হলেও। যদি তাদের সাথে যুদ্ধ করার ক্ষমতা না থাকে, তাদেরকে অবশ্যই মুক্তিপণ দিয়ে হলেও মুক্ত করতে হবে। যেহেতু রসূল বলেছেন, “বন্দীদের মুক্ত কর, ক্ষুধার্তকে খাদ্য দাও, এবং অসুস্থদের দেখতে যাও।”
    আমাদের সামর্থ্যানুযায়ী বন্দী মুক্তির কাজে এগিয়ে আসা দরকার

    Comment


    • #3
      পাঠচত্রু সিরিজটি অনেক উপকারী মনে হয়েছে আমার কাছে। আল্লাহ সংশ্লিষ্ট সকলকে জাযায়ে খাইর দান করুন। আমীন
      ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

      Comment

      Working...
      X