আত–তিবইয়ান পাবলিকেসন্স পরিবেশিত
“জিহাদে অংশ গ্রহণ এবং সহায়তার ৩৯টি উপায়”।।
মুহাম্মাদ বিন আহমাদ আস-সালিম (‘ইসা আল-‘আশীন) হাফিযাহুল্লাহ
এর থেকে || ১৩তম পর্ব
==================================================
=====
“জিহাদে অংশ গ্রহণ এবং সহায়তার ৩৯টি উপায়”।।
মুহাম্মাদ বিন আহমাদ আস-সালিম (‘ইসা আল-‘আশীন) হাফিযাহুল্লাহ
এর থেকে || ১৩তম পর্ব
==================================================
=====
৩৮. শত্রুদের পণ্যসামগ্রী বর্জন করাঃ
এই বিষয়ে শাইখ হামুদ বিন ‘উক্বলা’ আশ-শুআ’ঈব (আল্লাহ্ তাঁর প্রতি দয়া করুন)- এর ফাতাওয়াটি উপস্থাপন করা আমাদের জন্য যথেষ্ট যেখানে তিনি বলেছেনঃ “সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য যিনি সমস্ত বিশ্বের প্রতিপালক এবং শান্তি ও রহমত বর্ষিত হোক সর্বশ্রেষ্ঠ নবী ও রসূল মুহাম্মদ ﷺ এবং তাঁর পরিবারবর্গ ও সাহাবাদের উপর।”
আল্লাহ ﷻ বলেছেনঃ
مُّحَمَّدٌ رَّسُولُ اللَّهِ ۚ وَالَّذِينَ مَعَهُۥٓ أَشِدَّآءُ عَلَى الْكُفَّارِ …
“মুহাম্মাদ আল্লাহর রসূল; তার সহচরগণ কাফিরদের প্রতি কঠোর….”
মহিমান্বিত আল্লাহ বিশ্বাসীদের বর্ণনা দিয়ে বলেছেনঃ
أَعِزَّةٍ عَلَى الْكٰفِرِينَ يُجٰهِدُونَ فِى سَبِيلِ اللَّهِ وَلَا يَخَافُونَ لَوْمَةَ لَآئِمٍ
…
…
“…তারা কাফিরদের প্রতি কঠোর হবে; তারা আল্লাহর পথে জিহাদ করবে এবং কোন নিন্দুকের নিন্দার ভয় করবে না…”
কাফিরদের সাথে যুদ্ধের প্রসঙ্গে আল্লাহ বলেছেনঃ
فَإِذَا انسَلَخَ الْأَشْهُرُ الْحُرُمُ فَاقْتُلُوا الْمُشْرِكِينَ حَيْثُ وَجَدتُّمُوهُمْ وَخُذُوهُمْ وَاحْصُرُوهُمْ وَاقْعُدُوا لَهُمْ كُلَّ مَرْصَدٍ
…
…
“…মুশরিকদের হত্যা কর যেখানে তাদের পাবে, তাদের বন্দী কর এবং অবরোধ কর এবং প্রত্যেক ঘাঁটিতে তাদের জন্য ওঁৎ পেতে থাকবে …।”
তিনি আরও বলেছেনঃ
وَلَا يَطَـُٔونَ مَوْطِئًا يَغِيظُ الْكُفَّارَ وَلَا يَنَالُونَ مِنْ عَدُوٍّ نَّيْلًا إِلَّا كُتِبَ لَهُم بِهِۦ عَمَلٌ صٰلِحٌ ۚ إِنَّ اللَّهَ لَا يُضِيعُ أَجْرَ الْمُحْسِنِينَ
…
…
“…এবংকাফিরদের ক্রোধ উদ্রেক করে এমন পদক্ষেপ গ্রহণ করা এবং শত্রুদের নিকট হতেকিছু প্রাপ্ত হওয়া উহাদের সৎকর্মরূপে গণ্য হয়। নিশ্চয়ই আল্লাহসৎকর্মপরায়ণদের শ্রমফল নষ্ট করেন না…।”
নিশ্চয়ই, যুদ্ধ ও জিহাদের ব্যবহারের জন্য প্রত্যেক সময় ও যুগের নিজস্ব অস্ত্র রয়েছে যা শত্রুদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হয় এবং মুসলিমরা শত্রুদের পরাজিত করতে ও তাদের দূর্বল করে দিতেসব সময়ই এই সব অস্ত্র ব্যবহার করেছে। যা আশ-শাওকানী (আল্লাহ্ তাঁর প্রতি রহম করুন) বলেছেন, “আল্লাহ আমাদেরকে কুফ্ফারদের হত্যা করার নির্দেশ দিয়েছেন এবং কিভাবে তা করতে হবে সেটি নির্দিষ্ট করেননি এবং তিনি এ কথাও বলেননি যে আমাদেরকে হিসাবের সম্মুখীন হতে হবে যদি এই এই পদ্ধতি ছাড়া অন্য কোন পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়।”
এবং মহিমান্বিত আল্লাহ্ যা সর্বজনীনভাবে বলেছেন এটি তার সাথে সঙ্গতিপূর্ণ, “মুশরিকদের হত্যা কর যেখানে তাদের পাবে, তাদের বন্দী কর এবং অবরোধ কর এবং প্রত্যেক ঘাঁটিতে তাদের জন্য ওঁৎ পেতে থাকবে।” এবং যে পদ্ধতিগুলো জিহাদে রসূলুলাহ্ ﷺ শত্রুদের দূর্বল করার উদ্দেশ্যে ব্যবহার করেছেন, সেগুলোর মধ্যে রয়েছে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা, যা বর্তমানে economic boycott হিসেবে পরিচিত। এবং রসূলুলাহ্ ﷺ যে এ পদ্ধতি ব্যবহার করেছেন তার কিছু উদাহরণ নিচে দেয়া হলোঃ
১. জিহাদের প্রথম তৎপরতা এবং প্রথম যে অভিযান রসূলুলাহ্ ﷺ-এর মাধ্যমে পরিচালিত হয়েছিল এবং প্রথম যুদ্ধ যার নেতৃত্ব তিনি দিয়েছিলেন, পরিচালিত হয়েছিল কুরাইশদের সিরিয়া (উত্তরে) এবং ইয়ামেনের (দক্ষিণে) বাণিজ্য পথকে হুমকির সম্মুখীন করা এবং যার উদ্দেশ্য ছিল মক্কার অর্থনীতিতে তীব্র আঘাত হানার মাধ্যমে মক্কার অর্থনৈতিক অবস্থাকে দূর্বল করে দেয়া।
২. বনু আন-নাজিরের ইয়াহুদিদেরকে অবরোধের ঘটনা এবং তা সহীহ্ মুসলিমে বর্ণিত হয়েছে। যখন তারা চুক্তি ভঙ্গ করে, রসূলুলাহ্ ﷺ তাদের অবরোধ করেন এবং তাদের খেজুর গাছগুলো কেটে ফেলেন এবং পুড়িয়ে দেন। সুতরাং, তারা তাঁকে বলে পাঠায় যে তারা সে ভূমি ছেড়ে চলে যাবে। সুতরাং, তিনি ﷺ অর্থনৈতিক যুদ্ধের মাধ্যমে তাদেরকে পরাজিত করেছিলেন। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে মহা মহিমান্বিত আল্লাহ্ নিম্নের আয়াতটি নাযিল করেনঃ
مَا قَطَعْتُم مِّن لِّينَةٍ أَوْ تَرَكْتُمُوهَا قَآئِمَةً عَلٰىٓ أُصُولِهَا فَبِإِذْنِ اللَّهِ وَلِيُخْزِىَ الْفٰسِقِينَ
“তোমরা যে খেজুর বৃক্ষগুলি কর্তন করেছ এবং যেগুলি কান্ডের উপর স্থির রেখে দিয়েছে, তাহা তো আল্লাহরই অনুমতিক্রমে; এবং এই জন্য যে, আল্লাহ পাপাচারীদের লাঞ্ছিত করবেন।”
সুতরাং তাদেরকে অবরোধ করা ও তাদের ফসল ধ্বংস করে দেয়া, যা ছিল তাদের অর্থনীতির চালিকা শক্তি, তাদের উপর চাপ সৃষ্টি করা এবং তাদেরকে পরাজিত করা ও মদীনা থেকে তাদের বের করে দেওয়ার সবচেয়ে উত্তম মাধ্যম।
৩. মক্কা বিজয়ের পর আত-তাইফ অবরোধ করার ঘটনা এবং এ ঘটনাটি উল্লেখিত আছে সহীহ্ আল বুখারীর জিহাদ অধ্যায়ে এবং সহীহ্ মুসলিমের জিহাদ অধ্যায় এবং ইবনে আল ক্বাইয়্যিম (আল্লাহ্ তাঁর প্রতি রহম করুন) এ ঘটনাটি বিশদভাবে বর্ণনা করেছেন ‘যাদ-আল-মা’দ-এ, এবং ইবন সা’দ তাঁর ‘তাবাকাত’ (২/১৫৮)-এ বর্ণনা করেছেন, যেখানে তিনি বলেছেন, “…সুতরাং আল্লাহর রসূল ﷺ তাইফের ফসল কেঁটে ফেলতে ও পুড়িয়ে দিতে নির্দেশ দেন। সুতরাং মুসলিমরা সেগুলো কেঁটে ফেলার জন্য অগ্রসর হয়।” ইবন আল-ক্বাইয়্যিম (আল্লাহ্ তাঁর প্রতি রহম করুন) এই ঘটনার উপকারিতা সম্পর্কে উল্লেখ করেছেন, “এটা কাফিরদের ফসল কেঁটে ফেলার দলিল যদি তা তাদের দূর্বল ও ক্ষতিগ্রস্থ করবে।”
৪. আরো রয়েছে সাহাবী সুমামা বিন আসাল আল-হানাফি রা.-এর অর্থনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার ঘটনা এবং এ ঘটনাটি বর্ণিত হয়েছে ইতিহাস ও জীবনীর বিষয়ক গ্রন্থগুলোতে; ইবনে ইসহাক্ব (আল্লাহ্ তাঁর প্রতি রহম করুন) তাঁর ‘সীরাত’-এ, ইবনে আল-ক্বাইয়্যিম (আল্লাহ্ তাঁর প্রতি রহম করুন) তাঁর ‘যাদ আল-মা’দ’-এ, ইমাম বুখারী (আল্লাহ্ তাঁর প্রতি রহম করুন) ‘সামরিক অভিযান’ অধ্যায়ে, এবং ইমাম মুসলিম (আল্লাহ্ তাঁর প্রতি রহম করুন) ‘জিহাদ’ অধ্যায়ে ঘটনাটি বর্ণনা করেছেন। তাঁর ঘটনাটি মক্কা বিজয়ের পূর্বে সংঘটিত হয়, যখন তিনি ইসলাম গ্রহণ করেন এবং উ’মরা পালনের জন্য মক্কার দিকে অগ্রসর হন। উ’মরাহ্ পালনের পর তিনি কুরাইশদের সাথে অর্থনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার কথা ঘোষণা দেন এই বলে যে, “আল্লাহর শপথ! কখনই না! যে পর্যন্তনা রসূলুলাহ্ ﷺ আমাকে অনুমতি দিবেন আমি আল-ইয়ামামাহ থেকে তোমাদেরকে গমের একটি দানাও দেবনা।” অতঃপর তিনি আল-ইয়ামামাতে যান এবং সেখানকার জনগণকে কোন কিছু মক্কায় নিয়ে যাওয়া থেকে বিরত রাখেন যেন তা কুরাইশদের কাছে পৌছতে না পারে। রসূলুলাহ্ ﷺ এই অর্থনৈতিক অবরোধকে অনুমোদন করেছিলেন এবং এটা ছিল সাহাবা রাদিআল্লাহু আনহুম-গণের মহৎ গুণাবলীর একটি।
এ সকল ঘটনা এবং এই ঘটনাগুলোর সাদৃশ অন্য ঘটনাগুলো মূলত সকল যুগের ও স্থানের কাফিরদের সাথে রসূলুলাহ্ ﷺ এর যুদ্ধ করার মূলনীতিগুলোর একটি। এবং বর্তমানে এটার (শত্রুদের পণ্যসামগ্রী বর্জন করা) দ্বারা জিহাদ করার বিষয়টি মুসলিম উম্মাহর হাতে ন্যস্ত। আল্লাহ্ ﷻ বলেছেনঃ
فَاتَّقُوا اللَّهَ مَا اسْتَطَعْتُمْ
“তোমরা আল্লাহকে যথাসাধ্য ভয় কর…”
… এবং এটা জিহাদের একটি উপকারী পন্থা যাতে সকলেই অংশগ্রহণ করতে পারে, কারণ অন্যরা কাফিরদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা পরিত্যাগ করেছে। এ কারণে, আমরা আমাদের মুসলিম ভাইদেরকে উৎসাহিত করছি আমেরিকানদের, ব্রিটিশদের ও ইহুদীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য, এবং অর্থনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার এই অস্ত্রকে ব্যবহার করার জন্য যা তাদের অর্থনীতিকে দূর্বল করে দিবে। এবং যদি মুসলিম জনসাধারণের পক্ষে তাদের বিরুদ্ধে সশস্ত্র জিহাদে অংশগ্রহণের ক্ষমতা বা সামর্থ্য না থাকে, তবে কমপক্ষে যা তারা করতে পারে তা হল অর্থনৈতিকভাবে তাদেরকে বর্জন করা এবং পাশাপাশি তাদের কোম্পানীগুলো ও তাদের প্রতি আসক্তিকে বা তাদের স্বার্থ সম্পর্কিত বিষয়গুলো বর্জন করা। রসূলুলাহ্ ﷺ বলেছেন, “কাফিরদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ কর তোমাদের সম্পদ, হাত এবং জিহ্বা দ্বারা।”
অনুরূপভাবে, আমি আমার মুসলিম ভাইদের ধৈর্য্য ধরার জন্য উৎসাহিত করছি এবং এই জিহাদ চালিয়ে যাওয়ার জন্য আহবান জানাই, যেরূপ মহামহিমান্বিত আল্লাহ ﷻ বলেছেন,
يٰٓأَيُّهَا الَّذِينَ ءَامَنُوا اصْبِرُوا وَصَابِرُوا وَرَابِطُوا وَاتَّقُوا اللَّهَ لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُونَ
“হে ঈমানদারগণ! তোমরা ধৈর্য্য ধারণ কর, ধৈর্য্যে প্রতিযোগিতা কর এবং সদা যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাক …।”
এবং বিরক্ত বা অলস হয়ে যেওনা না কারণ ধৈয্যের সাথেই বিজয়ের আগমন ঘটে, এবং তাদের উচিত দৃঢ়তার সাথে, বলিষ্ঠ ও সমন্বিত ভাবে আমেরিকানদের, বৃটিশদের ও ইহুদীদের কোম্পানীগুলো ও তাদের স্বার্থ সম্পর্কিত বিষয়গুলো বর্জন করার জন্য সর্ব শক্তি ব্যয় করা।
মহামহিমান্বিত আল্লাহ্ ﷻ বলেছেনঃ
وَتَعَاوَنُوا عَلَى الْبِرِّ وَالتَّقْوٰى
“…সৎকর্ম ও তাক্ওয়ায় তোমরা পরস্পর সাহায্য করবে…।”
আলহামদুলিল্লাহ্! আমেরিকান, বৃটিশ ও ইহুদীদের অর্থনীতিতে গণ বর্জনের প্রভাব সম্পর্কে পূর্বে আমরা সংক্ষিপ্ত ভাবে আলোকপাত করেছি। আমেরিকান ও বৃটেন পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলে জিহাদের বিরুদ্ধে সংঘটিত যুদ্ধের পৃষ্ঠ-পোষক এবং তারা ফিলিস্তিনে ইস্রায়েলীদের সাহায্যকারী এবং তারা আফগানিস্তানে তালিবানদের ইসলামিক রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিকভাবে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে, এবং তারা চেচনিয়ার বিরুদ্ধে রাশিয়ানদের সাহায্যকারী এবং ফিলিপাইন, ইন্দোনেশিয়া, কাশ্মির ও অন্যান্য দেশে আমাদের মুজাহিদীন ভাইদের বিরুদ্ধে ক্রুসেডারদের সাহায্যকারী। জিহাদ ও মুসলিমদের দূর্বল করার চেষ্টার পেছনে তারাই কাজ করছে এবং তারাই ইরাকের মুসলিমদের বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে, একইভাবে তারা প্রতিদিন বিগত দশ বছর ধরে নির্মমভাবে তাদের উপর অনবরত ভারী গোলাবর্ষন করে যাচ্ছে সেই দেশের শাসকদের অগ্রাহ্য করে।এবং তারা মহিমান্বিত আল্লাহর বাণীর বাস্তবায়ন করেছে এবং যথার্থতা প্রমাণ করেছেঃ
وَلَن تَرْضٰى عَنكَ الْيَهُودُ وَلَا النَّصٰرٰى حَتّٰى تَتَّبِعَ مِلَّتَهُمْ
…
“ইহুদীরা এবং নাসারা কখনও আপনার উপর সন্তুষ্ট হবে না, যতক্ষণ না আপনি তাদের দ্বীনের অনুসরণ করেন …।”
হে আল্লাহ্! আমেরিকানদের, বৃটিশদের, ইহুদীদের, তাদের সাহায্যকারী ও গোলামদের বিতাড়িত করুন। হে আল্লাহ্! আপনার ক্রোধ তাদের উপর বর্ষন করুন এবং তাদেরকে দুঃখ দুর্দশাপূর্ণ বছর দিন যেমন দিয়েছিলেন ইউসূফ (আঃ)-এর জাতির উপর। হে আল্লাহ শান্তি ও রহমত বর্ষণ করুন আপনার রসূল মুহাম্মাদ ﷺ, তাঁর পরিবারবর্গ ও সাহাবাগণের উপর। আমীন।
বিখ্যাত শাইখ হামুদ বিন ‘উক্বলা আশ-শুআইবী কর্তৃক নির্দেশিত,
১১/২৮/১৪২১,
৩৯. যারা যুদ্ধ করে (মুসলিমদের বিরুদ্ধে) (হারবিইয়্যিন), তাদের থেকে কর্মী নিযুক্ত কর নাঃ
এটা অর্থনৈতিক সম্পর্ক ছেদের সাথে সম্পর্কিত, এবং এর মধ্যে অন্তর্ভূক্ত হল সে সকল দেশের অধিবাসীদেরকে কর্মচারী হিসেবে নিযুক্ত না করা যে দেশগুলো ইসলামের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নিয়োজিত রয়েছে। উদাহরণ স্বরূপ, আপনি কোন হিন্দুকে কাজে নিয়োগ দিবেন না কারণ হিন্দুরা কাশ্মীরে আমাদের ভাইদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে এবং আপনি ফিলিপাইনী কোন খ্রিষ্টানকে কাজে নিয়োগ করবেন না কারণ তারা দক্ষিণ ফিলিপাইনে আমাদের ভাইদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে প্রভৃতি। সাধারণভাবে বলতে গেলে আমরা বলি যে, এই কাফির পাপীদের আমাদের কোনই প্রয়োজন নেই। একজন ব্যক্তি শুধুমাত্র যারা মুসলিম তাদেরকেই কাজে নিয়োগ দিতে পারে, কারণ সেটাই যথেষ্ট এবং উত্তম, যাতে করে যে অর্থ সে এ সকল কর্মচারীদের প্রদান করছে তা যেন মুসলিমদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার ক্ষেত্রে ব্যবহৃত না হতে পারে। এটি একটি সুস্পষ্ট বিষয়, যা আল্লাহ্ ﷻ বলেছেনঃ
وَلَعَبْدٌ مُّؤْمِنٌ خَيْرٌ مِّن مُّشْرِكٍ وَلَوْ أَعْجَبَكُمْ
“…এবং মুশরিক পুরুষ তোমাদেরকে মুগ্ধ করলেও মু’মিন ক্রীতদাস তা অপেক্ষা উত্তম।…”
আরও পড়ুন
Comment