একাকি এবাদতের চেয়ে জিহাদ হাজার গুণ শ্রেষ্ট:
পূর্বের পর্বে বর্ণিত হাদীসে অসম্ভব আমলের সাথে জিহাদকে তুলনা করা হয়েছে। আবার একটি হাদীসে উক্ত অসম্ভব আমল করার মাধ্যমেও জিহাদের দশ ভাগের এক ভাগও না পাওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। তাহলে বুঝতেই পারছেন, আমরা স্বাভাবিক যে এবাদত করি, জিহাদ তার তুলনায় কতগুণ উত্তম হতে পারে। রাসূলের যবানিতেই সেই ‘গুণ’ শুনুন।
আবু হুরায়রা রাদি. বর্ণনা করেন,
“জনৈক সাহাবী এমন এক পাহাড়ী উপত্যকা দিয়ে যাচ্ছিলেন, যেখানে সুস্বাদু পানির ঝর্ণা ছিল। ঝর্ণাটির স্বাদ তাকে মুগ্ধ করে। তাই তিনি (মনে মনে) বললেন, যদি আমি জনবিচ্ছন্ন হয়ে এই উপত্যকায় বসবাস করতাম! কিন্তু রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে অনুমতি নেওয়া ছাড়া আমি তা কখনও করবো না। এরপর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে এর আলোচনা করলে তিনি বলেন, ‘এমন করো না। আল্লাহর রাস্তায় সামান্য সময় অবস্থান করা ঘরে বসে সত্তর বছর নামায পড়ার চেয়ে উত্তম। তোমরা কি পছন্দ করো না যে, আল্লাহ তোমাদেরকে মাফ করে দিবেন এবং জান্নাতে প্রবেশ করাবেন! আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করো। যে উঠনীর দুইবার দুধ দোহনের মধ্যবর্তী সময় পরিমাণ সময় জিহাদ করবে, তার জন্য জান্নাত ওয়াজিব হয়ে যাবে।”[1]
[1] জামে তিরমিযী: ১৬৫০, মুসনাদে আহমদ: ১০৭৮৬, মুসতাদরাকে হাকিম: ২/৭৮, সুনানে বায়হাকী: ১৮/৫২৬। ইমাম তিরমিযী রহ. হাদীসটি হাসান বলেছেন।
পূর্বের পর্বে বর্ণিত হাদীসে অসম্ভব আমলের সাথে জিহাদকে তুলনা করা হয়েছে। আবার একটি হাদীসে উক্ত অসম্ভব আমল করার মাধ্যমেও জিহাদের দশ ভাগের এক ভাগও না পাওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। তাহলে বুঝতেই পারছেন, আমরা স্বাভাবিক যে এবাদত করি, জিহাদ তার তুলনায় কতগুণ উত্তম হতে পারে। রাসূলের যবানিতেই সেই ‘গুণ’ শুনুন।
আবু হুরায়রা রাদি. বর্ণনা করেন,
مَرَّ رَجُلٌ مِنْ أَصْحَابِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِشِعْبٍ فِيهِ عُيَيْنَةٌ مِنْ مَاءٍ عَذْبَةٌ فَأَعْجَبَتْهُ لِطِيبِهَا، فَقَالَ: لَوِ اعْتَزَلْتُ النَّاسَ، فَأَقَمْتُ فِي هَذَا الشِّعْبِ، وَلَنْ أَفْعَلَ حَتَّى أَسْتَأْذِنَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَذَكَرَ ذَلِكَ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ: «لَا تَفْعَلْ، فَإِنَّ مُقَامَ أَحَدِكُمْ فِي سَبِيلِ اللَّهِ أَفْضَلُ مِنْ صَلَاتِهِ فِي بَيْتِهِ سَبْعِينَ عَامًا، أَلَا تُحِبُّونَ أَنْ يَغْفِرَ اللَّهُ لَكُمْ وَيُدْخِلَكُمُ الجَنَّةَ، اغْزُو فِي سَبِيلِ اللَّهِ، مَنْ قَاتَلَ فِي سَبِيلِ اللَّهِ فَوَاقَ نَاقَةٍ وَجَبَتْ لَهُ الجَنَّةُ»
“জনৈক সাহাবী এমন এক পাহাড়ী উপত্যকা দিয়ে যাচ্ছিলেন, যেখানে সুস্বাদু পানির ঝর্ণা ছিল। ঝর্ণাটির স্বাদ তাকে মুগ্ধ করে। তাই তিনি (মনে মনে) বললেন, যদি আমি জনবিচ্ছন্ন হয়ে এই উপত্যকায় বসবাস করতাম! কিন্তু রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে অনুমতি নেওয়া ছাড়া আমি তা কখনও করবো না। এরপর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে এর আলোচনা করলে তিনি বলেন, ‘এমন করো না। আল্লাহর রাস্তায় সামান্য সময় অবস্থান করা ঘরে বসে সত্তর বছর নামায পড়ার চেয়ে উত্তম। তোমরা কি পছন্দ করো না যে, আল্লাহ তোমাদেরকে মাফ করে দিবেন এবং জান্নাতে প্রবেশ করাবেন! আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করো। যে উঠনীর দুইবার দুধ দোহনের মধ্যবর্তী সময় পরিমাণ সময় জিহাদ করবে, তার জন্য জান্নাত ওয়াজিব হয়ে যাবে।”[1]
[1] জামে তিরমিযী: ১৬৫০, মুসনাদে আহমদ: ১০৭৮৬, মুসতাদরাকে হাকিম: ২/৭৮, সুনানে বায়হাকী: ১৮/৫২৬। ইমাম তিরমিযী রহ. হাদীসটি হাসান বলেছেন।