শাতিমের ব্যাপারে ইসলামের শত্রুরা মূলত বাক-স্বাধীনতার কার্ড ব্যবহার করে। কথিত পরম স্বাধীনতার বিশদ খণ্ডন 'বিশ্বাসের স্বাধীনতা' নামক বইয়ে মাওলানা মামুনুর রশীদ ও মুফতি মুজাহিদুল ইসলাম যথেষ্ট আলোচনা করেছেন। বইয়ের যুক্তি তর্কের আলোকে অন্তত এই কথা বলা যায় যে, বাক-স্বাধীনতার উপর সীমারেখা আরোপ করা জরুরি এবং সীমা লঙ্ঘন শাস্তিযোগ্য।
এই আলোচনায় একটু ভিন্ন পথ অবলম্বন করা হবে। শুরুতে দেখার চেষ্টা করা হবে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে নিয়ে কটূক্তি করা খারাপ কাজ কিনা। এই প্রেক্ষিতে বস্তুবাদী দার্শনিকদের প্রস্তাবিত নীতিশাস্ত্রের আলোকে বিচার করার চেষ্টা করা হবে।
1। ফলবাদ ( consequentialism) এবং সুখবাদ
এই তত্ত্বের দাবি, কাজের ফলাফল সমাজের ক্ষতির কারণ হলে কাজটি খারাপ।
তত্ত্বটির প্রধান কিছু সমস্যা হল, এটা কিছুটা বৃত্তাকার যুক্তি। কারণ সমাজের জন্য খারাপ হলে কাজটা খারাপ; 'খারাপ'-কে সংজ্ঞায়িত করা যায় না।
1। কটূক্তির ফলে সমাজে অস্থিরতা বাড়ে; মিছিল, বিক্ষোভ, প্রতিবাদ দাঙ্গা কিংবা ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় রূপ নিতে পারে। এই ধরনের অস্থিরতা পাশের অন্যান্য মুসলিম ভূখণ্ডে ছড়িয়ে যায়। সভ্য দেশেই রাজনৈতিক কটূক্তি কেন্দ্র করে পুলিশকে সতর্ক অবস্থানে যেতে হয় [উদাহরণ- https://www.msn.com/en-gb/politics/g...ts/ar-AA1w7c81]
2। এধরনের কাজ সমাজে বিভক্তি স্পষ্ট করে জাগিয়ে দেয়। মুনাফিকরা অনুপ্রেরণা পায় এবং ফুলে-ফেপে উঠার চেষ্টা করে। সামাজিক শত্রুরা প্রশ্রয় পায়।
3। খলীফা তার দায়িত্ব পালনে সক্রিয় কিনা তা নিয়ে জনমনে সন্দেহ দানা বাধে, যা খারেজি চরমপন্থা উস্কে দেয়।
4। শাতিমের কাজ বাগী রাষ্ট্র কেন্দ্রের দুর্বলতার চিহ্ন হিসাবে বিবেচনা করে।
5। জনতা যিম্মীদের সংশ্লিষ্টতা ও মদদের ব্যাপরে সন্দেহ করতে শুরু করে। সামাজিক বিশ্বস্ততা খর্ব হয়।
6। জনগণের ধর্মীয় আত্ম-পরিচয় হুমকির মুখে পতিত হয়।
7। খলীফার সফট পাওয়ার ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
8। কাফের দেশগুলো শাতিমকে পুজি করে নানা ষড়যন্ত্রের জাল বুনতে পারে।
আজকের পরিস্থিতিতেও শাতিমের কারণে বিভিন্ন রাষ্ট্রের মধ্যে কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক নষ্ট হয়। ফলবাদী দৃষ্টিকোণ থেকে শাতিমের কাজকে ক্ষতিকর বলা ভুল নয়। কথিত সভ্য দেশেও কটূক্তি-তামাশা খারাপ বলেই বিবেচিত হয়।
https://www.apa.org/monitor/2024/01/trends-misinformation-trolls
এই আলোচনায় একটু ভিন্ন পথ অবলম্বন করা হবে। শুরুতে দেখার চেষ্টা করা হবে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে নিয়ে কটূক্তি করা খারাপ কাজ কিনা। এই প্রেক্ষিতে বস্তুবাদী দার্শনিকদের প্রস্তাবিত নীতিশাস্ত্রের আলোকে বিচার করার চেষ্টা করা হবে।
1। ফলবাদ ( consequentialism) এবং সুখবাদ
এই তত্ত্বের দাবি, কাজের ফলাফল সমাজের ক্ষতির কারণ হলে কাজটি খারাপ।
তত্ত্বটির প্রধান কিছু সমস্যা হল, এটা কিছুটা বৃত্তাকার যুক্তি। কারণ সমাজের জন্য খারাপ হলে কাজটা খারাপ; 'খারাপ'-কে সংজ্ঞায়িত করা যায় না।
- তাছাড়া কর্ম সংঘটিত হবার আগে তা ভাল-মন্দ মূল্যায়ন করা যায় না।
- অনেক ক্ষেত্রে কর্মের বহুমুখী প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ এবং ইতিবাচক-নেতিবাচক উভয় প্রভাব থাকে, যা এত জটিল জালের মত ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে যে, মোটের উপর কাজটি ভাল নাকি মন্দ নির্ণয় করা যায় না।
- সুখ ব্যক্তি নিরপেক্ষ নয়, আপেক্ষিক ব্যাপার।
- আত্মীয়তার বন্ধনের কোন মূল্য থাকে না। কারণ, আগন্তুক এবং আত্মীয়ের হকের তুলনায় সুখ প্রাধান্য পায়।
- সংখ্যালঘুর সুখ উপেক্ষিত হয়।
- মানুষের কাছে সকল সুখ সমান মূল্য রাখে না।
- বাস্তবতার উপরে সুখকে প্রাধান্য দেয়।
- দীর্ঘমেয়াদী ফলাফল নিয়ে মানুষের কোন জ্ঞান নেই। আপাতত কিছু ভাল মনে হতেই পারে।
An injury is much sooner forgotten than an insult.”
Philip Stanhope
Philip Stanhope
2। এধরনের কাজ সমাজে বিভক্তি স্পষ্ট করে জাগিয়ে দেয়। মুনাফিকরা অনুপ্রেরণা পায় এবং ফুলে-ফেপে উঠার চেষ্টা করে। সামাজিক শত্রুরা প্রশ্রয় পায়।
3। খলীফা তার দায়িত্ব পালনে সক্রিয় কিনা তা নিয়ে জনমনে সন্দেহ দানা বাধে, যা খারেজি চরমপন্থা উস্কে দেয়।
4। শাতিমের কাজ বাগী রাষ্ট্র কেন্দ্রের দুর্বলতার চিহ্ন হিসাবে বিবেচনা করে।
5। জনতা যিম্মীদের সংশ্লিষ্টতা ও মদদের ব্যাপরে সন্দেহ করতে শুরু করে। সামাজিক বিশ্বস্ততা খর্ব হয়।
6। জনগণের ধর্মীয় আত্ম-পরিচয় হুমকির মুখে পতিত হয়।
7। খলীফার সফট পাওয়ার ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
8। কাফের দেশগুলো শাতিমকে পুজি করে নানা ষড়যন্ত্রের জাল বুনতে পারে।
আজকের পরিস্থিতিতেও শাতিমের কারণে বিভিন্ন রাষ্ট্রের মধ্যে কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক নষ্ট হয়। ফলবাদী দৃষ্টিকোণ থেকে শাতিমের কাজকে ক্ষতিকর বলা ভুল নয়। কথিত সভ্য দেশেও কটূক্তি-তামাশা খারাপ বলেই বিবেচিত হয়।
Be sure to taste your words before you spit them out.” - Auliq Ice
"These internet trolls are cowards who are poisoning our national life. No-one would permit such venom in person, so there should be no place for it on social media." - Chris Grayling
“Social media made you all way too comfortable with disrespecting people and not getting punched in the face for it.” - mike tyson
"These internet trolls are cowards who are poisoning our national life. No-one would permit such venom in person, so there should be no place for it on social media." - Chris Grayling
“Social media made you all way too comfortable with disrespecting people and not getting punched in the face for it.” - mike tyson
Comment