Announcement

Collapse
No announcement yet.

9/11 কেনো আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ?

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • 9/11 কেনো আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ?

    ২০০১ সালের ১১-ই সেপ্টেম্বর, কোল্ড ওয়ারে জেতার পর আমেরিকা তখন ছিলো বিশ্বের একমাত্র পরাশক্তি। সারাবিশ্বে তখন একটাই সুপার পাওয়ার, আমেরিকা। কিন্তু কে জানত যে, তাদের এই ইউনিপোলার ক্ষমতার উপর কিছুক্ষণ পরেই একটা আঘাত হবে? যেই আঘাতে মিসমার হয়ে যাবে তাদের সব অহংকার, চূর্ণ হবে সব দম্ভ।

    হ্যাঁ, সেই দিনটা ছিলো আমেরিকার ধ্বংসের শুরু। সেইদিন থেকে তার অর্থনীতি ও সমরনীতির পতনকালের সূচনা ঘটে।

    কিন্তু, ৯/১১ এর সেই বরকময় দিনের পর বিশ্ব দুইভাগে ভাগ হয়ে যায়। এক ভাগের দাবি= "মুসলিমরা এটা করতেই পারে না, এই না খেয়ে মরতে থাকা জাতি আবার সুপার পাওয়ার এর উপর অ্যাটাক করবে! হুহ! ইম্পোসিবল"

    আরেক ভাগ এই অ্যাটাকের পর দেখতে পায় এক নবসূর্যোদয়। তারা বুঝতে পারে যে একজন রব আছেন, যিনি আমেরিকার থেকেও বেশি ক্ষমতার অধিকারী, যিনি কোনো জাতির অবস্থা যখন পরিবর্তন করতে চান তখন তার প্রেক্ষাপট তৈরি করে দেন।

    যাইহোক, সেই দিনের পর থেকেই টুইন টাওয়ারের সেই বরকতময় হামলা পরিণত হয় একটা কন্ট্রোভার্শাল ম্যাটারে। সেই হামলাটা আসলেই লাদেন (রাহিঃ) করেছিলেন নাকি ওটা ইনসাইড জব ছিলো, আজকে তা নিয়ে বিশ্লেষণে বসবো না। আজকে এটা বোঝার ট্রাই করি যে ইনসাইড জব হোক আর না-ই হোক, এই দিনটা তবুও কেনো আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

    তো দেখেন, আমাদের খেলাফত ব্যবস্থার পতনের মাধ্যমে নিউ ওয়ার্ল্ড অর্ডার প্রতিষ্ঠার রাস্তা কন্টকহীন হয়ে পরে। (নিউ ওয়ার্ল্ড অর্ডার সম্পর্কে জানতে পড়ুন, "ইতিহাসের আয়নায় বর্তমান বিশ্বব্যবস্থা, ওল্ড ওয়ার্ল্ড অর্ডার থেকে নিউ ওয়ার্ল্ড অর্ডার") খেলাফত পতনের পর সারাবিশ্বের মুসলিম উম্মাহ অভিভাবকহীন হয়ে পরে। তাদের অবস্থা ছিলো ক্ষুধার্ত হায়েনাদের সামনে পরে থাকা এক অসহায় শিশুর মতো। কিন্তু তখনও যে মুসলিমরা শুধু হাতের ওপর হাত রেখে বসে ছিলো, এমনটা নয়। বিভিন্ন জায়গায় মুসলিম সিংহশাবকেরা আগ্রাসী কুফফার বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ করছিলো। ইমাম শামিল, ওমর আল মুখতার, শহীদ তিতুমীর, হাজী শরীয়তুল্লাহ, সাইয়্যেদ আহমাদ শহীদ, দুদুমিয়া, বাদশামিয়া, আল খাত্তাবি আর বিন বাদিসের মতো সূর্য সন্তানেরা এই উম্মতের বিপদের সময়ের আশ্রয় হিসেবে উঠে দাড়ান এবং ফ্রান্স, স্পেন আর ব্রিটেইনের মতো ঔপনিবেশিক শক্তির বিরুদ্ধে এক হাতে কুরআন আর আরেক হাতে বন্দুক নিয়ে রুখে দাড়ান। কিন্তু বিভিন্ন দূর্বলতার কারণে তাদের জিহাদ পরিপূর্ণ সফলতার মুখ দেখে নি।

    তারপর অনেক নাটক-তামাশার পর ব্রিটেনরা আমেরিকার সাথে তাদের তথাকথিত খেল-তামাশা মার্কা যুদ্ধে জড়িয়ে আমেরিকাকে স্বাধীন করে দেয়। এবং পূর্বের ঔপনিবেশিক আমলের সমাপ্তি ঘটে সূচনা হয় নব্য-উপনিবেশবাদের। পূর্বে ক্রুসেডাররা সরাসরি তাদের সৈন্য-সামন্ত পাঠিয়ে দেশ দখল করলেও এখন থেকে তারা বুদ্ধিবৃত্তিক আগ্রাসন চালিয়ে দেশ দখল করতে থাকে। আর যেসকল শাসক বুদ্ধিবৃত্তিক এই আগ্রাসনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায় তাদের উপর সরাসরি মিলিটারি ক্যু চালিয়ে ক্ষমতাচ্যুত করা হয় এবং পশ্চিমের অনুগত দাসকে ক্ষমতায় বসানো হয়। ফলে বাহ্যিক দিক থেকে স্বাধীন মনে হলেও মূলত বিশ্ব এখনো উপনিবেশের শিকার।(শয়তানের এক মাথা কেটে আরেক মাথা লাগানো আর কি। কারণ, সেই হোয়াইট আমেরিকানরা মূলত গ্রেট ব্রিটেইনেরই বংশধর। জর্জ ওয়াশিংটন নিজেই ইংরেজ সেনাবাহিনীর সদস্য ছিলো। ব্রিটেইন জানত যে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর তারা সুপার পাওয়ার থাকলে সারাবিশ্বের মানুষের গালি তাদেরই খেতে হবে। তারা বিশ্বে যে সভ্যতার সবক দেয় সেটার তীর তাদের দিকে ঘুরিয়ে দিয়েই তাদের থেকে হিন্দুস্তান হতে লুণ্ঠিত সম্পদের হিসাব চাওয়া হবে। তাই তারা কৌশলে ক্ষমতায় তাদেরই জাত ভাই আমেরিকাকে বসিয়ে দেয়। ফলে তারা বিশ্বের গালি হতে বেচে যায়। গণতন্ত্রও মূলত এভাবেই কাজ করে, এক ইবলিশ আকাম করে চলে যাওয়ার পর পরবর্তী ইবলিশের কাছে যখন আগের ইবলিশের কৃতকর্মের হিসাব চাওয়া হয় তখন সেই ইবলিশ বলে, "আমি তো এই বিষয়ে কিছুই জানি না"। হোয়াইট হাউজে ট্রাম্প-গং কর্তৃক জেলেনেস্কিকে হেনস্থা এই কথার এক বাস্তব প্রমাণ।)

    তো আমেরিকার স্বাধীনতার পর সে ইহুদিদের সাহায্যে অর্থনীতিতে বিপুল উন্নতি সাধন করে। রথসচাইল্ডের সম্পদ দিয়ে আমেরিকা ফুলে ফেপে ওঠে। সুলতান আব্দুল হামিদ সানী (রাহিঃ) এর ভাষায় বলতে গেলে, "ওরা(রথসচাইল্ড) ব্রিটেইনকে আমেরিকার কাছে বেচে দিয়েছে"। যেখানে ইউরোপের দেশগুলোর মরার মতো অবস্থা ছিলো, সেখানে আমেরিকাতে তখন স্বর্ণযুগ চলছিলো।

    তো এই ছিলো আমেরিকার সুপার পাওয়ার হওয়ার ইতিহাস।শয়তানের রাজধানী এভাবেই লন্ডন থেকে ওয়াশিংটনে পৌছেছিলো। কিন্তু তাওহিদের দুশমনদের মুখোশ পাল্টালেও তারা আগের মতোই মুসলিমদের প্রতি কট্টর-শত্রুই ছিলো। (এর সত্যতা আমরা প্রথম গাল্ফ ওয়ারের ইতিহাস পড়লেই জানতে পারবো।)

    কিন্তু, ১১-ই সেপ্টেম্বর ২০০১ এর পর পরিস্থিতি পালটে যায়। এই অ্যাটাকের পূর্বে অনেকেই আমেরিকাসহ পশ্চিমা বিশ্বকে মুসলিমদের বন্ধু মনে করতো, কারণ আমেরিকা আমাদেরকে আফগানে সাহায্য করেছে সোভিয়েতের পতন ঘটানোর জন্য আর ব্রিটেইন আমাদের বসনিয়ায় সাহায্য করেছে সার্বিয়ান খ্রিষ্টানদের বিরুদ্ধে। কিন্তু সেদিনের অ্যাটাকের পর আমেরিকার আসল রূপ (ইসলামবিদ্বেষী রূপ) প্রকাশ করে দিয়ে বুশ ঘোষণা দিলেন, "This is crusade, This is counter terrorism"
    অর্থ= "এটা ক্রুসেড, এটা সন্ত্রাসদমণ অভিযান"
    সে আরও বললো, "Either you are with us (america) or you are with the terrorists."
    অর্থ= "হয় আপনি আমাদের (আমেরিকা) সাথে আর নাহয় আপনি জঙ্গিদের সাথে"

    সেইদিনের অ্যাটাক এবং বুশের এই ঘোষণার পর বিশ্ব একমেরু থেকে দ্বিমেরুতে পরিণত হলো। এক দিকে কুফফার ক্রুসেডার জোট, আর আরেক দিকে হকপন্থি তাওহীদবাদী মুজাহিদদের কাফেলা।

    এই অ্যাটাকের পূর্বে যে মুজাহিদরা কোথাও ক্রুসেডের বিরুদ্ধে লড়ছিলেন না এমনটা নয়। কিন্তু বুশের এই ঘোষণার পর মুজাহিদিন এবং ক্রুসেডারদের কাতার আলাদা হয়ে যায় এবং আগে ক্রুসেডার ও মুজাহিদদের বিভিন্ন নামে ডাকা হলেও এই ঘোষণার পর তাদের একটামাত্র পরিচয়ই অবশিষ্ট থেকে যায়, হয় আপনি আমেরিকা, আর নয় আপনি জঙ্গি। উদাহরণস্বরূপ, রাশিয়ার বিরুদ্ধে চেচেন মুজাহিদদের প্রতিরোধ। নাইন এলেভেন অ্যাটাকের পূর্বে এই যুদ্ধে মুজাহিদদের নির্দিষ্ট কোনো ট্যাগ না দিয়ে বরং প্রতিরোধ যোদ্ধা হিসেবেই চিহ্নিত করা হতো। কিন্তু নাইন এলেভেন অ্যাটাকের পর তাদেরও টেরোরিস্ট বলা শুরু করলো রাশিয়া। মূলত এই একটা অ্যাটাক সারাবিশ্বকে পোলারাইজড করে দেয় তাওহীদ এবং কুফরের মধ্যে। শুরু হয় একবিংশ শতাব্দীর জিহাদ এবং ক্রুসেডার শয়তানদের পতনকাল। এই অ্যাটাকের পর হাজারো ব্যর্থ মানহাজের পর উম্মাহ সন্ধান পায় একটা হক মানহাজের। যেই মানহাজের উপর হেটেই আজ কাবুলে শরীয়াহ কায়েম হয়েছে। এই মানহাজ হলো নববী মানহাজ, সাহবাদের মানহাজ।

    এই অ্যাটাক মূলত কাফিরদের কুফর এবং মুনাফিকদের নিফাককে উন্মোচিত করে দেয় এবং মুমিনদের অন্তরকে শীতল করে। এই অ্যাটাক ওসামা (রাহিঃ) করেছিলেন কিনা তা নিয়ে আর কথা বলবো না, এই বিষয়ে আল্লাহই ভালো জানেন। কিন্তু সত্য হলো এই অ্যাটাকটা হলো একবিংশ শতাব্দীর মুসলিম এবং কুফফারদের মধ্যকার এক distinguishing line (পার্থক্যকারী রেখা)। এই দিন এবং অ্যাটাকটা হলো একটা সিম্বল। সেই দিন ছিলো আমাদের নবজাগরণ, সেই দিন ছিলো হক-বাতিলের পার্থক্যকারী দিন, সেই দিনটায় আমরা নিজের প্রকৃত বন্ধু এবং আসল শত্রুদের চিনতে পেরেছি। এজন্য সেইদিনের হামলায় আপনি বিশ্বাস করেন বা না করেন, আপনাকে এই কথাটা মানতেই হবে যে সেই দিনটা আমদের একবিংশ শতাব্দীর মুসলিমদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্ববহ এবং তাৎপর্যপূর্ণ দিন।

    কথা যখন হচ্ছেই তখন একটু "টেররিস্ট" ট্যাগটা নিয়েও কথা বলি। তো, সর্বপ্রথম এই ট্যাগটা ব্যবহার করা হয়েছিলো ইউরোপে। যারা রাজতন্ত্রের বিরোধীতা করতো এবং সেক্যুলারিজম ও গণতন্ত্রে বিশ্বাসী ছিলো, তাদেরকে এই ট্যাগ দেয়া হতো। তারপর এই ট্যাগ পেয়ে যায় সমাজতান্ত্রিকরা। আর আজকে আমরা দেখতে পারছি যে এই ট্যাগ দেয়া হচ্ছে, মাগরিবি ফালসাফার (পশ্চিমা নাপাক মতবাদসমূহ) বিরুদ্ধে লড়াইরত মুজাহিদদেরকে। তার মানে বোঝা গেলো যে, এই "টেররিস্ট", " সন্ত্রাসী", "জঙ্গি" ইত্যাদি ওয়ার্ডগুলো কোনো গালি নয়, বরং এগুলো একটি ঐতিহাসিক এবং ফিলোসফিকাল ট্যাগ। যারা মূলত প্রতিষ্ঠিত সিস্টেমের বিরুদ্ধে লড়ে, তারাই এই ট্যাগ পায়। তাই যখন কোন নিরীহ দাড়ি-টুপিওয়ালাকে জঙ্গি বলে আয়নাঘরে নেয়া হয় তখন অবাক হবেন না, কারণ বিশ্ব এখন Dipolar। আপনার ছোটখাটো যেকোনো বৈশিষ্ট্য ইসলাম এবং মুসলিমদের সাথে মিললেই আপনি জঙ্গি।

    মনে রাখবেন, "Either you are with the America(crusaders) or you are with the terrorists(mujahideens)."

  • #2
    বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম।

    আধুনিক আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে "This is a crusade" এবং "This is counter-terrorism"—এই দুটি বাক্য যেন একটি অন্তঃসারশূন্য নাটকের দুইটি দৃশ্য, যার পর্দার পেছনে কাজ করছে এক ঐতিহাসিক দ্বন্দ্ব: ইসলাম ও পাশ্চাত্য সভ্যতার মৌলিক দৃষ্টিভঙ্গির সংঘর্ষ। পশ্চিম যখন বলে ‘ক্রুসেড’, তারা আসলে তাদের সভ্যতার আত্মপরিচয়কে প্রকাশ করে; যখন বলে ‘সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধ’, তারা তখন নিজেকে আত্মরক্ষার ছদ্মবেশে আগ্রাসী শক্তিতে রূপান্তর করে।

    এই দুটি ভাষ্য—ক্রুসেড ও সন্ত্রাসবিরোধিতা—আদতে একই আধিপত্যবাদী চেতনার দুইটি কৌশলমাত্র। একদিকে তারা চায় বিশ্বব্যাপী মুসলিম উম্মাহকে বিভক্ত করে রাখতে, যেন মুসলমানরা কোনো একক রাজনৈতিক সত্তা হিসেবে বিশ্বমঞ্চে ফিরে না আসে; অন্যদিকে তারা চায় একটি মনস্তাত্ত্বিক পরাজয়—মুসলমান যেন নিজ ধর্ম, ইতিহাস ও পরিচয় নিয়ে সংকুচিত থাকে, যেন সে আত্মবিশ্বাসে হীন হয়ে পড়ে।

    পশ্চিমা বুদ্ধিবৃত্তিক পরিসরে 'terrorism' কথাটি এক প্রকার অস্ত্র—একটি শব্দ-হাতিয়ার—যার মাধ্যমে তারা নিজেদের রাজনৈতিক লক্ষ্য হাসিল করে। "সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ" নামক শ্লোগানটি আসলে এক প্রকার ‘civilizing mission’-এর নতুন রূপ, যা উপনিবেশবাদের ভাষা ধার করে, কিন্তু গণতন্ত্রের মুখোশ পরে। আজকের এই তথাকথিত 'counter-terrorism' অভিযান আসলে একটি দার্শনিক, রাজনৈতিক এবং ভূরাজনৈতিক তলস্তরের ওপর গড়ে উঠা যুদ্ধ—যেখানে লক্ষ্য হলো একটিই: ইসলামকে রাজনীতি থেকে নির্বাসিত করা, যেন দ্বীন শুধু ব্যক্তিগত ইবাদতের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে।

    যখন জর্জ বুশ বলেছিলেন, "This crusade, this war on terrorism...", তখন তিনি আসলে নিজের অচেতন মন থেকে সত্য উচ্চারণ করেছিলেন। সেটা ছিল slip of the tongue নয়, বরং truth of the ideology। তাদের দৃষ্টিতে ইসলাম কেবল একটি ধর্ম নয়—এটি একটি রাজনৈতিক আদর্শ, একটি চ্যালেঞ্জ, একটি বিকল্প সভ্যতা। এবং এই বিকল্পের সম্ভাবনাই তাদের ভয়।

    তারা বুঝে গেছে—মুসলমানদের মধ্যে যদি আবার সেই রাজনৈতিক ঐক্যবদ্ধতা ফিরে আসে, যদি আবার খিলাফতের আদর্শ মাথা তোলে, তাহলে তাদের তৈরি করা বিশ্বব্যবস্থার ভিত্তি কেঁপে উঠবে। তাই তাদের এই ক্রুসেড শুধু ট্যাঙ্ক দিয়ে নয়, চিন্তা দিয়ে—মিডিয়া, বিশ্ববিদ্যালয়, গবেষণা, NGO, ফাউন্ডেশন, ফেমিনিজম, লিবারেলিজম—সবকিছু দিয়ে তারা এক ‘intellectual occupation’ চালাচ্ছে।

    আমরা যদি এই বাস্তবতাকে বোঝার চেষ্টা না করি, তবে আমরা শুধু ইতিহাসের শিকার হব, ইতিহাসের নির্মাতা হতে পারব না। আমাদের এখন প্রয়োজন একটি নবজাগরণ, যেখানে মুসলমান আবার জ্ঞান, আদর্শ ও নেতৃত্বে বিশ্বকে পথ দেখাবে—যেখানে ‘crusade’ শব্দটি আর ভয় নয়, বরং ইতিহাসের একটি পঠিত অধ্যায় হবে; আর ‘counter-terrorism’ নামক ছদ্মযুদ্ধের মুখোশ খুলে যাবে বুদ্ধিবৃত্তিক প্রতিরোধের আলোয়।

    আল্লাহর ওয়াদা অটুট—
    هو الذي أرسل رسوله بالهدى ودين الحق ليظهره على الدين كله ولو كره المشركون

    আমরা হয়ত দুর্বল, কিন্তু ইতিহাস কখনো দুর্বলদের দিয়ে শুরু হয় না—কিন্তু যারা বুঝে, যারা জাগে, তারাই ইতিহাস লেখে।
    فَاَعۡرِضۡ عَنۡهُمۡ وَ انۡتَظِرۡ اِنَّهُمۡ مُّنۡتَظِرُوۡنَ

    Comment


    • #3
      জাযাকাল্লাহ খাইরান ভাই, আল্লাহ তাআলা আপনার ইলমে ও হায়াতে বারাকাহ দান করুন, আমীন

      এমন লিখা ধারাবাহিকভাবে লিখে যাওয়ার তাওফিক আল্লাহ্‌ তাআলা আপনাকে দান করুন, আমীন
      বছর ফুরিয়ে যাবে এতো রিসোর্স আছে https://gazwah.net সাইটে

      Comment


      • #4
        আল্লাহ তায়ালা ভাইদের কলম ও কালিতে বারাকাত দান করুন।

        Comment


        • #5
          Originally posted by Mahmud Ansary View Post
          আল্লাহ তায়ালা ভাইদের কলম ও কালিতে বারাকাত দান করুন।
          আল্লাহুম্মা আমীন
          ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

          Comment


          • #6
            মাশাআল্লাহ, কেমন আছেন ভাই?

            সুসংবাদ হলো আমেরিকা আগের টুইন টাওয়ারের ঠিক সেইম জায়গায় আরেকটা ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার নির্মান করেছে ।​
            নিউ ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার।
            চাইলে এটাতে এটাক করা যায়।

            আবার ওয়াশিংটনের পোটোম্যাক নদীর তীরে অবস্থিত আছে ক্যাপিটল ভবন যা আমেরিকার ফেরাউনীত্বের চিহ্ন। মুসলিম বিশ্বের বিরুদ্ধে যুদ্ধের ডিসিশন এখান থেকেই ইউএস কংগ্রেস দিয়েছিলো।



            ভার্জিনিয়াতে অবস্থিত সিআইএ হেডকোয়ার্টারেও এটাক করা যায়

            Last edited by Rakibul Hassan; 6 days ago.

            Comment


            • #7
              Originally posted by Omayer Binyameen View Post
              মাশাআল্লাহ, কেমন আছেন ভাই?

              সুসংবাদ হলো আমেরিকা আগের টুইন টাওয়ারের ঠিক সেইম জায়গায় আরেকটা ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার নির্মান করেছে ।​
              নিউ ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার।
              চাইলে এটাতে এটাক করা যায়।

              আবার ওয়াশিংটনের পোটোম্যাক নদীর তীরে অবস্থিত আছে ক্যাপিটল ভবন যা আমেরিকার ফেরাউনীত্বের চিহ্ন। মুসলিম বিশ্বের বিরুদ্ধে যুদ্ধের ডিসিশন এখান থেকেই ইউএস কংগ্রেস দিয়েছিলো।



              ভার্জিনিয়াতে অবস্থিত সিআইএ হেডকোয়ার্টারেও এটাক করা যায়

              আস সালামু আলাইকুম ভাই। আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। আশা করি আপনিও আল্লাহর রহমতে সালামতে আছেন, ইনশাআল্লাহ।

              তবে আমার মতে যদি এসব জায়গায় এটাক না করে সুইস ব্যাংকে এটাক করা হয় তাহলে কুফফারদের বেশি ক্ষতি করা যাবে। কারণ দুনিয়ার সব বড়-বড় তাগুতের হোয়াইট-ব্ল্যাক মানির বড় একটা অংশ এখানে থাকে (এবং ট্রান্সফারও হয় এখান থেকেই)। তাই যদি আমরা সুইস ব্যাংক ডাউন করতে পারি, অথবা যদি দখলে নিতে পারি তাহলে সারা বিশ্বের কুফফাররা আমাদের সামনে হাটু গেড়ে বসবে ইনশাআল্লাহ।
              Last edited by Rakibul Hassan; 6 days ago.

              Comment


              • #8
                Originally posted by ফারিজ আল সাদিক View Post

                আস সালামু আলাইকুম ভাইয়া।
                ওয়ালাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহ। জ্বি প্রিয় ভাই ভালো আছি।

                Originally posted by ফারিজ আল সাদিক View Post
                তবে আমার মতে যদি এসব জায়গায় এটাক না করে সুইস ব্যাংকে এটাক করা হয় তাহলে কুফফারদের বেশি ক্ষতি করা যাবে।
                আপনার কথা ঠিক আছে। তবে স্ট্র্যাটেজিক দিক থেকে এই জায়গাগুলো আর সুইস ব্যাংকের তুলনা হলো, "যদি আমেরিকাকেন্দ্রিক বিশ্বব্যবস্থা একটি ইমারত হয়, তাহলে সুইস ব্যাংক হবে অনেকগুলোর মধ্যে একটি পাওয়ার সাপ্লাই রুম আর এই জায়গাগুলো হবে বিল্ডিংয়ের একদম ফাউন্ডেশনাল পিলার যা মাটির অনেক গভীরে বিস্তৃত।"

                স্ট্র্যাটেজিক বিচারে সুইস ব্যাংকের থেকে এই জায়গাগুলোর প্রায়োরিটি লক্ষগুণে বেশী।

                তবে এই জায়গাগুলো হেভিলি ডিফেন্ডেড এন্ড সিকিউরড। কারণ নাইন ইলেভেনের পর থেকে আমেরিকা তার হোমল্যান্ড সিকিউরিটির পিছনে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার স্পেন্ড করছে। শুধু ২০২৪ সালে অর্থবছরে ৮৯ বিলিয়ন ডলার খরচ করেছে।​

                আমাদের সামর্থ্যের মধ্যে হাতের নাগালে যা পাওয়া যায় তাতেই আঘাত হানলেই লাভ।
                Last edited by Rakibul Hassan; 6 days ago.

                Comment

                Working...
                X