Announcement

Collapse
No announcement yet.

গুপ্তচর বধ ১

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • গুপ্তচর বধ ১

    এই সিরিজের মূল আলোচ্য বিষয় counter intelligence. মানে গুপ্তচর সনাক্তকরণ ও নিরসন। সিরিজটি বেশ কিছু বই অবলম্বনে সমাপ্ত হবে ইনশাআল্লাহ। নির্দিষ্ট বই না থাকায় আলোচনার ধারাবাহিকতা থাকবে না হয়তো। তবে প্রথম যে বইয়ের সারাংশ নিয়ে কাজ করা হবে তা হল কিথ মেল্টন ও রবার্ট ওয়ালেসের the official CIA manual of trickery and deception . এই বইয়ে মূলত গুপ্তহত্যা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে । সেই হিসাবে এটা গুপ্তচর বধ ও গুপ্ত হত্যা উভয় টপিকের অন্তর্গত । উল্লেখ্য, কোনভাবে তানজিমে কাউকে গুপ্তচর হিসাবে চিহ্নিত করা গেলেই তাকে হত্যা করা এই বইয়ের পরামর্শ না। বরং নিশ্চিত হবার পর মাসউল ভাইকে অবগত করা জরুরি। কিছু ক্ষেত্রে পুলিশকে ভুল তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করার জন্য গুপ্তচর দরকার হয়। তাই হত্যা করাই একমাত্র সমাধান না। তাছাড়া হঠাৎ ইনফরমার উধাও হয়ে গেলে তাগুত বাহিনী জিনিসটা personal feelings এ নিয়ে হন্যে হয়ে যেতে পারে। স্বাভাবিকভাবেই একজন পুলিশ খুন হলে, অন্য সহকর্মীরা প্রতিশোধ নিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়ে যাবে। তাই মাসউলের সাথে মাশওয়ারা ছাড়া কাজ করা যাবে না।
    হাত সাফাইয়ের বাস্তবতা
    হাত সাফাই বা ধোকা দেয়ার কোন সুনির্দিষ্ট পদ্ধতি নেই। কর্তার উপস্থিত বুদ্ধি ও দক্ষতা ছাড়া লক্ষ্য অর্জন হয় না। একই কাজ করার একাধিক উপায় থাকে। আর এটাই লক্ষ্য অর্জনে সুবিধা দেয়। কারণ টার্গেট ব্যক্তি নিশ্চিত থাকে না যে, কি উপায়ে তাকে ফাদে ফেলা হবে। এই বইয়ে আমরা কিছু সহজ ও অতি প্রচলিত কৌশল উল্লেখ করব যেন কর্তা হুবহু বা অন্য সংস্করণে তা ব্যবহার করতে পারেন।
    ট্যাবলেট মেশানো
    কাউকে অজ্ঞান বা হত্যা করতে কোন পানীয়ে ট্যাবলেট মেশাতে হতে পারে। একটি সহজ কৌশল হল, দিয়াশলাইয়ের বক্সে একটা ছোট ট্যাবলেট রাখা। কাউকে সিগারেট ধরিয়ে দিতে গেলে এক হাতে সিগারেট ধরাতে হবে, অন্য হাত কৌশলে কাপ বা গ্লাসের উপর এনে ম্যাচের বক্স কাত করে ট্যাবলেট ফেলে দিতে হবে। কাজটা করা একটু কঠিন যেহেতু দুই দিকে একই সাথে মনোযোগ দিতে হয়। আবার কাজটা করতে ম্যাচের বক্সে কিছু ডিজাইন পরিবর্তন করতে হতে পারে । মোটা কাগজ ও আঠা দিয়ে তা সহজে করা যায়। কিভাবে এই কাজটা করবেন তা কর্তার নিজস্ব বুদ্ধির উপর ছেড়ে দিচ্ছি।
    টার্গেট এখানে সিগারেটের আগুনের দিকে নজর দিবে। পাশাপাশি যেহেতু মাত্র বক্স থেকে একটি কাঠি বের করে আগুন ধরানো হয়েছে সেহেতু একই বক্সে ট্যাবলেট থাকার কথা সে কল্পনাও করবে না । কর্তার অন্য হাত কাপ বা গ্লাস বরাবর আছে কিনা তা খেয়াল করবে না। আবার খুব উপর থেকে ফেললে পানিতে পড়ার টুপ করে শব্দ হতে পারে। একইসাথে কর্তার চেহারা অভিব্যক্তি স্বাভাবিক রাখতে হবে। এজন্য আয়নায় কয়েকবার অনুশীলন করে নিতে হবে। পুরো প্রক্রিয়াটি আগেই কয়েকবার অনুশীলন করে হাত পাকা করতে হবে।
    এই কৌশল অধূমপায়ী ও স্বচ্ছ পানীয়ের ক্ষেত্রে কার্যকর না-ও হতে পারে।
    অন্যান্য কিছু কৌশলের মধ্যে রয়েছে- কাগজ, কার্ড, টাকা বা পয়সার পিছনের সাইডে আঠা দিয়ে আলতো করে ট্যাবলেট লাগিয়ে রাখা যেন একটু খোটা দিলেই সেটা খুলে তরল পানীয়ে পতিত হয়।
    যেমনঃ একটি ভিজিটিং কার্ড কাপ বা গ্লাসের উপর এনে টার্গেটকে দেয়া যেন কোন স্বাভাবিক কার্ড বিনিময় হচ্ছে। প্রয়োজনে কিছু প্রাসঙ্গিক প্রশ্ন বা কথা বলে তার মনোযোগ অন্যদিকে সরিয়ে দেয়া যায়। আর এই ফাকে ট্যাবলেট কাপে ফেলতে হবে। মিশনের আগে বাড়িতে এই কৌশল অনুশীলন করা জরুরি ।
    কিংবা কোন কাগজে লেখা ঠিকানায় কিভাবে যেতে হবে তা জিজ্ঞাসা করার ফাকে কাজ সম্পাদন করা ।
    আরেকটি উপায় হল, হাতের তালুর দিকে অনামিকা ও কনিষ্ঠা আঙুলদ্বয়ের ফাকে ট্যাবলেট গুজে রাখা। আপনার চামড়ার স্বাভাবিক আর্দ্রতা ও মাংসের ভাজে সেটি সহজে গুজে থাকার কথা। তারপর কিছু লেনদেনের অভিনয়ে ট্যাবলেট ফেলা। আবার মোবাইলে কিছু দেখানোর অভিনয় করে কাজ সেরে ফেলা।
    পয়সা ব্যবহারের জন্য অনেকগুলো কয়েন একত্রে বের করা। কয়েকটা দিয়ে চায়ের দোকানের মূল্য পরিশোধ করা । সেই সাথে অন্যান্য পয়সার ব্যাপারে কোন মন্তব্য করা- এটা নতুন, এটা পুরাতন, এর ডিজাইন সুন্দর ইত্যাদি। এগুলোর মধ্যেই একটা কয়েনের নিচের পাশে আঠা দিয়ে ট্যাবলেট লাগানো থাকে। সেটা উপুড় অবস্থায় থাকায় দর্শকের দৃষ্টিগোচর হয় না। বিভিন্ন পয়সা প্রদর্শনীর এক ফাকে আসল চিহ্নিত পয়সাটি পানীয়ের উপর ঘুরিয়ে আনা এবং সেই ফাকে ট্যাবলেট কাপে ফেলা। এই কৌশলটি একটু মুশকিল হতে পারে, যেহেতু দর্শকের মনোযোগ অন্যদিকে নিতে সারাক্ষণ কিছু করতে হয়। যদি বিভিন্ন বিদেশী মুদ্রার সংগ্রহ থাকে তাহলে কাজটা একটু সহজ হয়।
    বলাবাহুল্য পরিবেশ পরিস্থিতি অনুযায়ী আপনাকে কৌশল বাছাই করতে হবে। স্থান কাল পাত্র ভেদে কৌশলের ধাপ পরিবর্তন হবে। কারণ জনাকীর্ণ স্থানে টার্গেটের চোখ ফাকি দেয়া গেলেও সকলের চোখ ফাকি দেয়া সম্ভব না।
    পাউডার ব্যবহার
    কখনো পাউডার আকারের কিছু ব্যবহার করতে হলে কোন পাত্র প্রয়োজন হয়। পাত্রটি অবশ্যই দৈনন্দিন কাজে ব্যবহারের কিছু হতে হবে। পাত্রটি নতুন ঝকঝকে হলে হবে না। কারণ নতুন ঝকঝকে জিনিসের দিকে সহজে নজর যায়। আবার বিষয়টা সন্দেহের উদ্রেকও করতে পারে।
    ছোট পাত্র-
    সামান্য পরিমাণ বহনের প্রয়োজন হলে কোন পেন্সিল ব্যবহার করা যেতে পারে। সাধারণত পেন্সিলের উপরে একটি রবার ধাতব খাপে বসানো থাকে যা একটু মোচড় দিলে খুলে আসে বা ছিড়ে উঠে আসে। ছিড়ে গেলে খুচিয়ে বের করে আনতে হবে। তারপর সেই ধাতব খাপ প্রয়োজনীয় পাউডার দিয়ে ভর্তি করে উপরে আবার রবার বসিয়ে দিতে হবে। এতে রবার অস্বাভাবিক রকমের উচু হয়ে গেলে কেটে ঘষা মাজা করে পুরাতন বানাতে হবে।
    বড় পাত্র -
    পরিমাণে কিছুটা বেশি বহন করার প্রয়োজন হলে ধাতব খাপ সরিয়ে পেন্সিলের কাঠে ড্রিল করে ছিদ্র করতে হবে। এই কাজটি করতে হলে বিশেষ যন্ত্রপাতি প্রয়োজন। মিশন সম্পাদনের আগেই প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে ছিদ্র করার কাজ সম্পন্ন করতে হবে। তারপর ছিদ্রের উপর ধাতব আর সহ বসিয়ে দিতে হবে। রবার এখানে পাত্রের ছিপি হিসাবে কাজ করবে​।

    (প্রকাশিতব্য পিডিএফে ছবি সহ প্রক্রিয়া উপস্থাপন করা হবে ইনশাআল্লাহ।)

  • #2
    জাযাকাল্লাহ খাইরান, আল্লাহ্‌ তাআলা আপনাকে ধারাবাহিকতা বজায় রাখার তাওফিক দিন, আমীন
    বছর ফুরিয়ে যাবে এতো রিসোর্স আছে https://gazwah.net সাইটে

    Comment

    Working...
    X