Announcement

Collapse
No announcement yet.

কাফিরদের জান-মাল সংক্রান্ত জরুরী মাসায়েল নিয়ে কিছু জিজ্ঞাসা ???

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • কাফিরদের জান-মাল সংক্রান্ত জরুরী মাসায়েল নিয়ে কিছু জিজ্ঞাসা ???

    শাইখ আবু উমার আল মুহাজির রচিত ৩৩৫টি আধুনিক মাসয়ালা বইয়ের পরিশিষ্ট অধ্যায় হতেঃ

    মাসয়ালাঃ ২৯৩ পৃঃ ১৭৩
    ঈমান কিংবা আমান ছাড়া কাফেরদের জান-মাল মুললিমদের নিকট নিরাপদ নয়। অতএব, প্রত্যেক এমন কাফের যাকে মুললিমগণ জিম্মাচুক্তি, সন্ধি কিংবা সায়মিক নিরাপত্তা প্রদানের মাধ্যমে নিরাপত্তা দেয়নি, তার জান ও মাল মুসলিমদের জন্য হালাল। চাই সে মুসলিমদের বিরুদ্ধে স্বশরীরে কিংবা বুদ্ধিপরামর্শ দিয়ে যুদ্ধে শরীক হোক বা না হোক। সে কাফের, সে আল্লাহকে অস্বীকার করে, এতটুকু অপরাধই তার জান-মাল হালাল হওয়ার জন্য যথেষ্ট। এটা এমন এক ইজমায়ী মাসয়ালা যে সম্পর্কে কোনো মুজতাহিদ ও ফকীহ এর দ্বিমত নেই। কুরয়ান-সুন্নাহয় এ সম্পর্কে ভুরিভুরি দলিল রয়েছে। আমরা যেহেতু সংক্ষেপ করণ হেতু দলিলের আলোচনা থেকে বিরত থেকেছি, তাই এখানে দলিল উল্লেখ করা হলো না। তবে এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানার জন্য রেফারেন্স বর্ণিত কিতাবটি দেখার অনুরোধ করা গেল

    মাসয়ালাঃ ২৯৪ পৃঃ ১৭৩-১৭৪
    এমন হারবী কাফের যাকে মুসলিমগণ নিরাপত্তা দেয়নি, তাকে গুপ্তহত্যা করা বৈধ। সুযোগের অপেক্ষায় ওতপেতে থেকে তাকে হত্যা করা এবং তার অর্থকড়ি, সামানপত্র ছিনিয়ে নিয়ে যাওয়া হালাল
    ইমাম ইবনে কাসীর রহ. সুরা তাওবার ৫ নং আয়াতের ব্যাখ্যায় বলেন,
    তোমরা কাফেরদের হাতের কাছে পেয়ে যাওয়াতেই সন্তুষ্ট হয়ো না। বরং তাদের দিকে অগ্রসর হও। তাদেরকে তাদের দুর্গ ও কেল্লায় অবরোধ করে রাখ। তাদের চলা-ফেরার পথে ওতপেতে বসে থাক, যাতে করে তাদের জীবন সংকীর্ণ হয়ে যায়। এমনকি নিহত হওয়া কিংবা ইসলাম কবুল করার মধ্য থেকে যেকোনো একটি গ্রহণ করতে তারা বাধ্য হয়ে যায়। ( তাফসীরে ইবনে কাসীর, সুরা তাওবাহ আয়াতঃ৫)

    উল্লেখ্য, বাংলাদেশ যেহেতু দারুল হারব। তাই এদেশে অবস্থানরত কাফেরদেরকে হত্যা করা, তাদের ঘর-বাড়ি ধ্বংস করা, তাদের মালামাল লুণ্ঠন করা সবই হালাল। তবে কেউ যদি কোনো সহিহ জিহাদী কাফেলার সাথে সংযুক্ত থাকে, তাহলে তার জন্য আমীরের নির্দেশনা ছাড়া এ কাজে অগ্রসর হওয়া উচিত নয়। এমনিভাবে এ ধরনের কাজে অগ্রসর হওয়ার আগে মুসলিমদের উপকার-অপকার, কল্যাণ-অকল্যাণ উভয়দিক বিবেচনা করে অগ্রসর হওয়া উচিত।

    মাসয়ালাঃ ৩২১ পৃঃ ১৮৬

    আগ্রাসী কাফের এবং মুরতাদ বাহিনীর অস্ত্র-শস্ত্রসহ যেকোনো সম্পদ যেমন বল প্রয়োগ করে, তাদেরকে পরাভুত করত ছিনিয়ে নেওয়া বৈধ ও হালাল, তেননিভাবে কাফের-মুরতাদদের অস্ত্র-শস্ত্রসহ যেকোনো সম্পদ তাদের না জানিয়ে গোপনে নেওয়াও জায়েয ও হালাল।
    ( হারবী কাফেরদের ব্যাংক এ্যাকাউন্ট হ্যাক করে অর্থকড়ি সরিয়ে নেওয়াও হালাল)


    রেফারেন্সসমুহঃ-
    ১. মাসাইলু মিন ফিকহিল জিহাদ – আবু আবদিল্লাহ আল-মুহাজির পৃ. ২৯-৪৭
    ২. বিস্তারিত দেখুন মাসাইলু মিন ফিকহিল জিহাদ – আবু আবদিল্লাহ আল-মুহাজির পৃ. ৬৫-৭৮
    ৩. মিম্বারুততাওহিদ ওয়াল জিহাদ প্রশ্ন নং-৮৬৮

    প্রথমেই কিছু বিষয় বলে নেয়া জরুরী মনে করছি। আমি একজন আওয়াম। আরবী ভাষা শেখার তাওফিক এখনো হয়নি। আল্লাহ তায়ালা তাওফিক দান করুন। তাই আমার পক্ষে সবভব নয় কোন আরবী কিতাব বা ফিকহের কিতাব নিজে নিজে পড়া। আর যে বিষয়ে প্রশ্ন করতে চাচ্ছি সেটা এই সময় কোন আলিমের কাছ থেকে জেনে নেয়া আমার জন্য অত্যন্ত কঠিন। তাই আমি আমার প্রশ্নের উত্তর এমনভাবে চাচ্ছি যাতে করে উত্তরের প্রতিটা দলিল এমনভাবে উপস্থাপন করা হয় যে একজন আওয়াম মানুষ হিসেবে খুব সহজেই এর বিশুদ্ধতা আমার কাছে ক্লিয়ার হয়ে যায় ও কোন সংশয় তৈরি না হয়।

    আমি আমার প্রশ্নগুলো শুরু করছিঃ-
    ১. প্রথমেই রেফারেন্সে উল্লেখিত কিতাবটি সম্পর্কে জানতে চাই। মাসাইলু মিন ফিকহিল জিহাদ কিতাবটি কোথায় পাব ? কিতাবটিতে কি সব দলিল স্পস্টভাবে বর্ণনা করা আছে ?
    আর মিম্বারুততাওহিদ ওয়াল জিহাদ এটা কি কোন কিতাব নাকি কোন ফোরাম ? যদি কিতাব হয় তবে কিতাবটি কোথায় পাব ? আর কোন ওয়েবসাইট হলে এর লিঙ্ক দিয়ে দিবেন ইনশাআল্লাহ।

    ২. উপরে উল্লেখিত মাসয়ালাগুলো থেকে এটাই মনে হচ্ছে যে, শুধুমাত্র কাফির বা মুরতাদ হলেই একজন মুসলিম তাকে হত্যা করতে পারে ও তার মাল তার জন্য হালাল হয়ে যায় । এখন প্রশ্ন হচ্ছেঃ-

    • কোন কাফিরের মাল তাকে না জানিয়ে নেয়া যাবে কী না ? ( যেমন তার ব্যাংক এ্যাকাউন্ট হ্যাক করে)
    • কোন একজন লোন উলফ ভাই যদি একাই কোন কাফির বা মুরতাদ পুরুষকে হত্যা করে তবে কী তার স্ত্রী-সন্তান দাস-দাসী হবে ?
    • যদি দাস-দাসী হয় তবে যদি তার বালেগ ছেলে থাকে তাকে কি হত্যা করা যাবে ?
    • মা-মেয়ে উভয়েই যদি দাসী হয় বা ওই কাফিরের একাধিক মেয়ে আছে তবে তাদের উভয়ের বা সকলের সাথে কী সঙ্গম করা যাবে ?
    • একজন দাসীর তার মালিকের কাছে কী কী হক রয়েছে আর একজন মালিকের তার দাসীর কাছে কী কী হক আছে ?
    • কোন কাফিরকে হত্যা করলে তার স্ত্রী-সন্তানদের সম্পদও কি হালাল হয়ে যায়?
    • কোন কাফিরকে হত্যা করার পুর্বে কি তাকে ইসলাম গ্রহণের দাওয়াত দেয়া আবশ্যক (যারা অলরেডি আমাদের সাথে যুদ্ধে লিপ্ত) ?
    • আর যদি একাধিক সদস্যের একটি লোন উলফ বাহিনী গঠিত হয় তবে তাদের মধ্যে কিভাবে দাস-দাসী বণ্টন করা হবে ?
    • এইভাবে লোন-উলফ হামলা পরিচালনা করা কি জিহাদ হিসেবে পরিগণিত হবে নাকি সাধারণ ইবাদত হিসেবে ?
    • এইভাবে অভিযান পরিচালনা করলে প্রাপ্ত মাল কী গনিমতের অংশ হবে নাকি পুরোটাই তার বা তার ছোট বাহিনীর হবে ?
    • পুরো জিহাদের মাসয়ালা বিষয়ক কোনো কিতাব বাংলায় পাওয়া যাবে কি ?


    যেহেতু জান-মালের প্রশ্ন তাই এমনভাবে আমার মুজাহিদ ভাই ও শ্রদ্ধেয় মুজাহিদ আলিমগণের কাছ থেকে উত্তর আশা করছি, যাতে করে প্রতিটা বিষয় দিবালোকের ন্যায় স্পষ্ট হয়ে যায় এবং আর কোন সংশয় না থাকে । আল্লাহ আমাদের জামায়াহ এর সাথে যুক্ত হয়ে জিহাদ করার তাওফিক দিন। আল্লাহ কাফিরদের দম্ভকে চূর্ণবিচূর্ণ করুন । আমার মুজাহিদ ভাইদের ও মাযলুম ভাই-বোনদের সবর করার তাওফিক দান করুন ও দ্বীনকে বিজয়ী করার তাওফিক দান করুন । আমিন ।
    Last edited by abdullah bin khandaker; 05-26-2021, 07:35 AM.

  • #2
    মাশাআল্লাহ, সময়োপযোগী প্রশ্ন করেছেন ভাই...জাযাকাল্লাহ
    আশা করি অভিজ্ঞ ভাইয়েরা সাড়া দিবেন। অপেক্ষা করুন..
    ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

    Comment


    • #3
      দারুল হারব ও দারুল ইসলামের ভিত্তি হল, সে দেশে প্রচলিত আইন এবং শাসকের ধর্ম। দারুল ইসলাম এমন ভূখণ্ডকে বলা হয়, যা ইসলামি আইন মোতাবেক পরিচালিত হয় এবং যার শাসক মুসলিম। পক্ষান্তরে দারুল হারব বলা হয় এমন ভূখণ্ডকে, যা মানবরচিত কুফরি আইনে পরিচালিত এবং যার শাসক কাফের বা মুরতাদ।

      সুতরাং বাংলাদেশ যে দারুল হারব, তাতে বিন্দুমাত্র সংশয়ের সুযোগ নেই। কারণ বাংলাদেশ শতভাগ মানবরচিত কুফরি আইনে পরিচালিত এবং বাংলাদেশের শাসকও মুরতাদ।



      দেখুন ইমাম জাসসাস রহ. কৃত শরহে মুখতাসারুত তাহাবী: ৭/২১৫-২১৮, মাবসুতে সারাখসী: ১০/১১৩-১১৪, বাদায়িউস সানায়ি: ৭/১৩০-১৩১



      উল্লেখ্য, অনেকে মনে করে দারুল হারব মানেই সেখানকার বাসিন্দারা ঢালাওভাবে কাফের। সেখানকার শাসকদের, শাসক দলের বা অমুসলিমদের যে কাউকে হত্যা করা যায়, যে কারো সম্পদ ছিনতাই করা যায় ইত্যাদি। এমন চিন্তা মারাত্মক বিভ্রান্তি। এসব বিধানে অবশ্যই ব্যক্তিতে ব্যক্তিতে পার্থক্য আছে। কার কী বিধান, কার সঙ্গে কী আচরণ বৈধ, তা না জেনে কোনো পদক্ষেপ নেয়া শরিয়ত সম্মত নয়। আর যে কোনো জিহাদি কার্যক্রম যে সমরবিশেষজ্ঞ ওমারা ও ওলামাদের নির্দেশনায় করতে হবে, তা তো বলাই বাহুল্য। অন্যথায় তা মুসলিমদের উপকার অপেক্ষা ক্ষতির কারণ হতে পারে, যা কোনো বিবেকবানই সমর্থন করবে না।

      আল্লাহ তাওফিক দিলে আমরা দারুল ইসলাম ও দারুল হারবের সংজ্ঞা ও পরিচয় নিয়ে বিস্তারিত ও প্রামাণ্য একটি ফতোয়া প্রকাশ করব ইনশাআল্লাহ। আপাতত সংক্ষেপে মূল পরিচয়টা বলে দেয়া হল।


      পোস্টটি কালেক্টকৃত।
      গোপনে আল্লাহর অবাধ্যতা থেকে বেঁচে থাকার মধ্যেই রয়েছে প্রকৃত সফলতা ৷

      Comment


      • #4
        প্রিয় ভাই! আপনার পরিপূর্ণ খেদমত করতে না পারলেও যেটুকু সম্ভব চেষ্টা করছি।

        ১. ফতওয়ায়ে আলমগীরী (বাংলা) ডাউনলোড করে জিহাদ, গনীমত, দাস দাসীর মাসায়েল অধ্যয়ন করতে পারেন। তবে মুফতী ছাড়া নিজে নিজে সিদ্ধান্ত নেয়া বৈধ হবে না।

        ২. যে সম্পর্কের দুইজন কে একত্রে বিবাহ করা যায় না, এমন দুজন/ একাধিক জন দাসী হলে কেবল একজনের সাথে সঙ্গম বৈধ। অন্য কারো সাথে সঙ্গম করতে চাইলে আগের জনকে (বিয়ে দিতে হবে অথবা) বিক্রি করতে হবে অথবা মুক্তি দিতে হবে। কিন্তু সঙ্গমকৃতা নারীর মা কখনো হালাল হবে না।

        ৩. নিজের দাসীকে বিবাহ করা যায় না, অন্যের কাছে বিয়ে দেয়া যায়। তখন আর সঙ্গম করা যাবে না বিবাহ বিচ্ছেদের পূর্বে। (অন্যের) মুশরিক দাসীকে বিয়ে করা যায়না।

        ৪. কাউকে হত্যা করলেই তার স্ত্রী সন্তান দাস দাসী হয় না। প্রত্যেকের হিসাব আলাদা। দাসত্বের জন্য বন্দী করে মালিকানায় সংরক্ষণ করা আবশ্যক। পিতা/ স্বামী যদিও জীবিত ও মুক্ত থাকে।

        ৫. গুরুত্বপূর্ণ দুই মাসআলা; মালিকানা সাব্যস্ত হওয়ার ক্ষেত্রে দার পরিবর্তনের একটি বিষয় আছে। আমার তাহকীক নেই এটা দারুল ইসলামের বাসিন্দাদের সাথে খাস কিনা? নইলে বাংলাদেশের কাউকে দাস বানাতে হলে ধরে অন্য দেশে নিতে হবে। এবং সম্পদ পাচার করতে হবে।
        এমনি ভাবে স্বামী স্ত্রী একত্রে দাস দাসী হলে অথবা স্ত্রী দাসী হলেও স্বামী একই দারে থাকলে সঙ্গম বৈধ হবে না; যতক্ষণ না দার পরিবর্তন হবে অথবা বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটবে। সুতরাং হূশিয়ার!

        ৬. হরবী (যুদ্ধ যোগ্য) কে এটাক করার আগে দাওয়াত না পৌঁছলে দাওয়াত দেয়া ওয়াজিব। আর আগে দাওয়াত পৌঁছে থাকলে ওয়াজিব নয়, উত্তম। অন্যদিকে মুহারিব (যুদ্ধরত) কে দাওয়াত দেয়া কখনোই ওয়াজিব নয়। তবে ক্ষেত্রবিশেষে উত্তম। বিস্তারিত ফিকহী কিতাবে দ্রষ্টব্য।

        ৭. সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, হরবী আর মুহারিবের পার্থক্য আছে। এখানে রাষ্ট্রপক্ষ মুহারিব, সাধারণ কাফিররা হরবী। যারা মুসলিমদের সাথে সামাজিক নিরাপত্তার কারণে মুআহিদ হওয়ার সম্ভাবনা আছে। কারণ আহদ সর্বদা লিখিত হয় না ইঙ্গিতেও হয়। (আবার মুহারিবের লিখিত আহদও সর্বদা ধর্তব্য না) এছাড়া আল কায়েদা ভারত উপমহাদেশের আচরণ বিধিতে সাধারণ কাফিরদের টার্গেট করতে নিষেধ করা হয়েছে। আপনি হতে পারেন লোন উলফ, কিন্তু আপনার কাজ যেন বৈশ্বিক জিহাদের ক্ষতি না করে।


        এবার নিচের লেখাগুলো বুঝার চেষ্টা করুন।

        মুখতাসার আসাসুল জিহাদ

        পর্ব-৫
        ৫:১; ধ্বংস হওয়ার ক্ষেত্রে কাফিররা চার স্তরের। ১) যাদের পুরো ধ্বংস করা ওয়াজিব। হত্যা করে ও সম্পদকে গনীমাহ বানিয়ে। উল্লেখ্য, (দারুল ইসলামের বাসিন্দাদের জন্য) গনীমাতের মালিকানা অর্জিত হয়- ক) আগের দারুল কুফর থেকে বের করলে, যেখানে ছিল। যদিও বের করার পূর্বে উপকৃত হওয়া বৈধ হয়। অথবা খ) দারুল ইসলামে তা উপস্থিত হওয়ার দ্বারা। ২) আংশিক ধ্বংস ওয়াজিব। হত্যার বদলে দাসত্ব চাপিয়ে কর্তৃত্বকে ধ্বংস করে। তখন ব্যক্তি গনীমাতের হুকুমে। আর ব্যক্তি নিহত কিংবা দাস হলে তার সম্পদও গনীমাহ হয়ে যাবে। যদি (আবশ্যক না হওয়ায়) হত্যা না করা হয় দাসও না বানানো হয়, জিযইয়া যোগ্য হলে কর্তৃত্ব হ্রাসের জন্য জিযইয়া ধার্য করা হবে। এর জন্য দারুল ইসলাম শর্ত। অথবা মুসলিম বন্দিদের বিনিময়ে মুক্তি দেয়া হবে। ফিদইয়া বা মুক্তিপণ নিয়ে বা না নিয়ে দারুল ইসলাম থেকে ছেড়ে দেয়া বৈধ নয়। তবে রাষ্ট্রের অবর্তমানে বা দুর্বলতায় বৈধ। যেমন- হারবীদের দেশে কোনো অভিযানে বন্দি। বর্তমানে আমাদের দুর্বল দারগুলোতে। ৩) পূর্ণ ধ্বংস বৈধ। ৪) আংশিক ধ্বংস বৈধ।

        ৫:২; কাফিরদের ধ্বংস সংক্রান্ত স্তর সমূহ। ১ম) ওয়াজিবুল ক্বতল ওয়াল ইসতিগনাম। অর্থাৎ জান ও মাল নেয়া আবশ্যক। ক) ও খ) মুহারিবুল ঈমান ওয়াল মুহারিবাহ। অর্থাৎ মু'মান আলাইহ বা যে সবের উপর ঈমান আনতে হয় সে সবের কোনোটির বিরুদ্ধে লড়াইকারী পুরুষ ও নারী। যেমন- খোদায়ী বা নবুউওয়াতের মিথ্যা দাবিদার। শাতিমে ইসলাম। গ) মুহারিবুল ইসলাম। অর্থাৎ মুরতাদ্দ পুরুষ। ২য়) ওয়াজিবুল ইসতিগনাম। অর্থাৎ স্বাধীনতা ও মাল নেয়া আবশ্যক। ক) মুহারিবাতুল ইসলাম। অর্থাৎ মুরতাদ্দাহ নারী। একে আমৃত্যু বন্দি রাখাও ওয়াজিব। খ) জিযইয়া অযোগ্য হারবিয়্যাহ নারী। হানাফীদের নিকট আহলে কিতাব ও মাজুসী বাদে আরব নারী। শাফিঈদের নিকট আহলে কিতাব ও মাজুসী বাদে সব নারী। একে দাসী বানানো আবশ্যক। গ) জিযইয়া অযোগ্য হারবী পুরুষ। তাকে হত্যা করা বৈধ তৃতীয় স্তরে শরীক থাকায়। নয়তো সে খ এর মত। ৩য়) মুবাহুল ক্বতল ওয়াল ইসতিগনাম। অর্থাৎ জান ও মাল নেয়া বৈধ। সুতরাং দায়িত্বশীল ব্যক্তি সম্ভাব্য সূরতগুলো থেকে যে কোনোটি বেছে নিবে। যেমন- হত্যা করা, দাস দাসী বানানো, মাল নিয়ে বা না নিয়ে জিযইয়া ধার্য, বন্দি বিনিময়। ক) মুহারিবাতুল মুসলিমীন। অর্থাৎ যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী নারী। খ) (জিযইয়া যোগ্য) হারবী পুরুষ। যোদ্ধা হোক বা না হোক। উল্লেখ্য, হারবী বা যুদ্ধ যোগ্য ব্যক্তি যার যিম্মাহ বা আমান বা আহদ নেই। ৪র্থ) মুবাহুল ইসতিগনাম। এটি হত্যা ছাড়া বাকি বিষয়ে তৃতীয় স্তরের মত। ক) হারবিয়্যাহ নারী। খ) যুদ্ধ মুক্ত ও যুদ্ধ অযোগ্য হারবী পুরুষ। যেমন- অতিবৃদ্ধ, অন্ধ, পঙ্গু ইত্যাদি। এরা অবশ্য ব্যক্তিগত জিযইয়া থেকে মুক্ত।

        ৫:৩; কাফিরদের বাচ্চারা বড়দের হুকুমে হত্যা বাদে। তাদের হত্যা অযোগ্য অংশ তথা চতুর্থ স্তর ও বাচ্চারা যদি বন্দি করার সময় বা যুদ্ধক্ষেত্রে থাকায় আহত বা নিহত হয় ক্ষতি নেই। তবে ইচ্ছাকৃত আঘাত নিষিদ্ধ। আর তাদের মধ্যে যারা একাধিক স্তরে পড়বে, হুকুমের বেলায় কঠিনটি প্রয়োগ হবে। যেমন- যোদ্ধা আরব নারী: মুবাহুল ক্বতল, ওয়াজিবুল ইসতিগনাম।

        পর্ব-৬
        ৬:১; নিরাপত্তা পাওয়ার ক্ষেত্রে কাফিররা তিন স্তরের। মুআহিদ, মুসতামিন ও যিম্মী। নিরাপত্তার জন্য বড় শর্ত হলো মুহারবাতুল ঈমান, ইসলাম ও মুসলিমীন তিনো প্রকার লড়াই থেকে মুক্ত থাকা। ১ম) মুআহিদ নারী পুরুষ। যারা কৃত শর্তানুযায়ী নিরাপদ। এরা মূলত চুক্তিবদ্ধ হারবী। তারা আবার ক) আলী বা উচ্চস্তরের। যদি মুসলিম তাদের আমান নেয় বা তাদের অধীনে বাস করে। যেমন- হাবশায়। খ) মুসতাওয়ী বা বরাবর। যেমন- হুদাইবিয়ার চুক্তির পর মদীনা ও মক্কা। অথবা একই রাষ্ট্রে সম সুবিধাভোগী মুসলিম ও কাফির। গ) সাফিল বা নিম্নস্তরের। যদি আমাদের সুবিধার্থে চুক্তি হয়।

        ৬:২; মুআহিদদের মাল তাদের শর্তানুযায়ী বৈধ। যেমন- সুদের লেনদেন। কারন, দারুল হারবে হারবীর সাথে মুসলিমের সুদের লেনদেন (ইমাম আবূ হানীফা ও মুহাম্মাদ র. এর নিকট) বৈধ। আর হারবী ও মুআহিদের ফারক হল হারবীর মাল যেকোনো উপায়ে নেয়া যায়। মুআহিদের বেলায় তার অনুমতি শর্ত। সুতরাং যেসমস্ত মালে হারবী ও মুআহিদ ছাড়া কারো মালিকানা নেই, তাতেই এই হুকুম। যা তাদের বেসরকারী ও সরকারী সব ব্যাংককে শামিল করে। কারন, রাষ্ট্রীয় সম্পদের মিলকে রক্ববাহ বা সত্ত্বাগত মালিকানা কারো না থাকলেও মিলকে তাসাররুফ বা ব্যবহারিক মালিকানা সরকারের থাকে। তাই দারুল কুফরের রাষ্ট্রীয় সম্পদের মালিক কাফিররাই।

        ৬:৩; মুআহিদদের আহদ বাতিল করতে চাইলে সমতার ভিত্তিতে জানিয়ে দিতে হবে। আহদ সর্বদা লিখিত হয় না। মৌখিক বা ইঙ্গিতেও হতে পারে। কোনো মুসলিম যদি দারুল কুফরে প্রবেশ করে- ক) আমান নেয়া ব্যতীত, খ) আমান পাওয়া ব্যতীত কিংবা গ) ভিন্ন দারুল কুফরের পরিচয়ে; তবে কোনো আহদ বা আমান সাব্যস্ত হবে না। বর্তমান (অধিকাংশ) ভিসা আমানের জন্য যথেষ্ট নয়।

        ৬:৪; ২য়) মুসতামিন নারী পুরুষ। এরা ঐ সকল হারবী যারা কোনো প্রয়োজনে নির্ধারিত সময়ের জন্য আমান নিয়ে দারুল ইসলামে প্রবেশ করে। এরা অনেক বিষয়েই মুআহিদদের মত। (কারন, আমান হলো সাময়িক। আর আহদ হলো আপেক্ষিক।) যেমন- যিম্মী থেকে মিরাস না পাওয়া। কিছু বিষয় ছাড়া। যেমন- সুদের বৈধতা। কারন তা দারুল কুফরের সাথে খাস।

        ৬:৫; কাফিরদের সপ্তম স্তর: যিম্মী নারী পুরুষ। যারা কর্তৃত্ব হ্রাসের ভিত্তিতে শর্ত সাপেক্ষে দারুল ইসলামের দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিক। যেমন- ক) জিযইয়া ইত্যাদি আদায়। খ) মুসলিমদের খাস বিষয় যেমন- রাষ্ট্রীয় নেতৃত্ব, প্রকাশ্যে ইবাদাহ, মুসলিম দাস দাসীর মালিকানা ইত্যাদি থেকে মুক্ত থাকা। সুতরাং তাদের কোনো দাস বা দাসী মুসলিম হয়ে গেলে তারা তাকে বিক্রি করতে বাধ্য। গ) তাদের খাস বিষয় আমাদের অনুমতির ভিত্তিতে। যেমন- মদপান ইত্যাদি।

        মুখতাসার আসাসুল জিহাদ (সকল পর্ব)।
        সংক্ষেপে জিহাদ সংক্রান্ত নীতিমালা (বাংলা)।

        Comment


        • #5
          আল্লাহ তা‘আলা উত্তরদাতা ভাইদের ইলম বৃদ্ধি করে দিন। আমীন
          ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

          Comment


          • #6
            ফোরামের সিনিয়র মেম্বার ভাইদের কাছে আমার অনুরোধ থাকবে , যদি এই থ্রেডটিতে মেনশন করার সুযোগ থাকে তবে এমনভাবে মেনশন করুন যাতে শ্রদ্ধেয় উলামা বা যিনি পুরোপুরি উত্তর দিতে পারবেন তাদের নজরে আসে।

            আমার প্রশ্নের যথাযথ উত্তর আশা করি ফোরামের সকলের উপকারে আসবে ।
            Last edited by abdullah bin khandaker; 05-26-2021, 07:34 AM.

            Comment


            • #7
              Originally posted by abdullah bin khandaker View Post
              ফোরামের সিনিয়র মেম্বার ভাইদের কাছে আমার অনুরোধ থাকবে , যদি এই থ্রেডটিতে মেনশন করার সুযোগ থাকে তবে এমনভাবে মেনশন করুন যাতে শ্রদ্ধেয় উলামা বা যিনি পুরোপুরি উত্তর দিতে পারবেন তাদের নজরে আসে।

              আমার প্রশ্নের যথাযথ উত্তম(উত্তর) আশা করি ফোরামের সকলের উপকারে আসবে ।
              সহমত ভাই আপনার সাথে...
              ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

              Comment

              Working...
              X