জিহাদে বিজয় সংখ্যাধিক্যের উপর নির্ভর করে না।
একটা সময় ছিল যখন অনেক ভীতু, কাপুরুষ লোককে বলতে শোনা যেত, কোথায় সোভিয়েত ইউনিয়ন আর কোথায় আফগানিস্তানের গুটিকয়েক মোল্লা-মৌলভী, কোথায় সর্বাধুনিক সমরাস্ত্রে সজ্জিত ন্যাটোবাহিনী আর কোথায় আফগানিস্তানের পাহাড়ে লুকানো ভাঙ্গা বন্দুকের গুটিকয়েক মোল্লা!!! সোভিয়েত ইউনিয়ন বা ন্যাটো বাহিনীর কতশত লশকর, কতশত অস্ত্রশস্ত্র তাদের সাথে কি আর মোল্লারা পারবে!!!?? তাদের কথা যে বাতিল,অসারতা এবং কাপুরুষতাজনিত তা ইতিমধ্যে প্রমাণ হয়ে গিয়েছে। কারন(কারণ) আল্লাহ তায়ালার ওয়াদা রয়েছে সত্যনিষ্ঠ ছোট্ট দলের ব্যপারে।
এখনো অনেক ভীতু, কাপুরুষদের দেখা যায় তারা এসব বলে বেড়াচ্ছে!!
আশ্চর্য! আপনি যদি একজন শিক্ষিত ব্যক্তি হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই জেনে থাকবেন ইসলামের কোনো জামানায় মুজাহিদদের সংখ্যা বেশি ছিলো না।
আপনারা কারা যারা আমাদের মুজাহিদদেরকে সংখ্যাস্বল্পতার ভয় দেখান অথচ আমাদের আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে উৎসাহ দিচ্ছেন যে, জিহাদে বিজয় সংখ্যাধিক্যের উপর নির্ভর করে না। সুবহানাল্লাহ।
দেখুন, আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা পবিত্র কালামে মাজিদে বলেন,
فَلَمَّا فَصَلَ طَالُوۡتُ بِالۡجُنُوۡدِ ۙ قَالَ اِنَّ اللّٰہَ مُبۡتَلِیۡکُمۡ بِنَہَرٍ ۚ فَمَنۡ شَرِبَ مِنۡہُ فَلَیۡسَ مِنِّیۡ ۚ وَمَنۡ لَّمۡ یَطۡعَمۡہُ فَاِنَّہٗ مِنِّیۡۤ اِلَّا مَنِ اغۡتَرَفَ غُرۡفَۃًۢ بِیَدِہٖ ۚ فَشَرِبُوۡا مِنۡہُ اِلَّا قَلِیۡلًا مِّنۡہُمۡ ؕ فَلَمَّا جَاوَزَہٗ ہُوَ وَالَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا مَعَہٗ ۙ قَالُوۡا لَا طَاقَۃَ لَنَا الۡیَوۡمَ بِجَالُوۡتَ وَجُنُوۡدِہٖ ؕ قَالَ الَّذِیۡنَ یَظُنُّوۡنَ اَنَّہُمۡ مُّلٰقُوا اللّٰہِ ۙ کَمۡ مِّنۡ فِئَۃٍ قَلِیۡلَۃٍ غَلَبَتۡ فِئَۃً کَثِیۡرَۃًۢ بِاِذۡنِ اللّٰہِ ؕ وَاللّٰہُ مَعَ الصّٰبِرِیۡنَ
এরপর তালূত যখন সৈন্যবাহিনীসহ বের হল সে তখন বলল, ‘আল্লাহ্ এক নদী দিয়ে তোমাদের পরীক্ষা করবেন। যে কেউ এটা হতে পান করবে সে আমার দলভুক্ত নয়; আর যে কেউ এর স্বাদ গ্রহণ করবে না সে আমার দলভুক্ত; এ ছাড়া যে কেউ তার হাতে এক কোষ পানি গ্রহণ করবে সেও(আমার দলে থাকবে।) অতঃপর অল্প সংখ্যক ব্যতীত তারা এটা হতে পান করল।তারপর সে এবং তার সঙ্গী ঈমানদারগণ যখন এটা অতিক্রম করল তখন তারা বলল, ‘জালূত ও তার সৈন্যবাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার মত শক্তি আজ আমাদের নেই।’ কিন্তু যাদের নিশ্চিত বিশ্বাস ছিল আল্লাহর সঙ্গে তাদের সাক্ষাৎ ঘটবে তারা বলল, "আল্লাহর হুকুমে কত ক্ষুদ্র দল কত বৃহৎ দলকে পরাভূত করেছে! আল্লাহ্ ধৈর্যশীলদের সঙ্গে আছেন"।
(আল বাকারা - ২৪৯)
[সুতরাং আমরা যদি আল্লাহ তায়ালা উপর পূর্ণ বিশ্বাস রেখে, ধৈর্যর সাথে শত্রুর মুকাবিলা করতে পারি তাহলে বিজয় নিশ্চিত ইনশাআল্লাহ]
আল্লাহ তায়ালা এই যুদ্ধে বিজয় দিলেন অল্প সংখ্যক মুজাহিদদের।
وَلَمَّا بَرَزُوۡا لِجَالُوۡتَ وَجُنُوۡدِہٖ قَالُوۡا رَبَّنَاۤ اَفۡرِغۡ عَلَیۡنَا صَبۡرًا وَّثَبِّتۡ اَقۡدَامَنَا وَانۡصُرۡنَا عَلَی الۡقَوۡمِ الۡکٰفِرِیۡنَ ؕ
তারা যখন যুদ্ধার্থে জালূত ও তার সৈন্যবাহিনীর সম্মুখীন হল তখন তারা বলল, ‘হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদেরকে ধৈর্য দান কর, আমাদের পা অবিচলিত রাখ আর কাফির সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে আমাদেরকে সাহায্য দান কর।’
(আল বাকারা - ২৫০)
فَہَزَمُوۡہُمۡ بِاِذۡنِ اللّٰہِ ۟ۙ وَقَتَلَ دَاوٗدُ جَالُوۡتَ وَاٰتٰىہُ اللّٰہُ الۡمُلۡکَ وَالۡحِکۡمَۃَ وَعَلَّمَہٗ مِمَّا یَشَآءُ ؕ وَلَوۡلَا دَفۡعُ اللّٰہِ النَّاسَ بَعۡضَہُمۡ بِبَعۡضٍ ۙ لَّفَسَدَتِ الۡاَرۡضُ وَلٰکِنَّ اللّٰہَ ذُوۡ فَضۡلٍ عَلَی الۡعٰلَمِیۡنَ
সুতরাং তারা আল্লাহর হুকুমে তাদের পরাভূত করল ; দাউদ জালূতকে হত্যা করল, আল্লাহ্ তাকে রাজত্ব ও হিকমত দান করলেন আর যা তিনি ইচ্ছা করলেন তা তাকে শিক্ষা দিলেন। আল্লাহ্ যদি মানব জাতির এক দলকে অন্য দল দিয়ে প্রতিহত না করতেন তবে পৃথিবী বিপর্যস্ত হয়ে যেত। কিন্তু আল্লাহ্ জগতসমূহের প্রতি অনুগ্রহশীল। (আল বাকারা - ২৫১)
আরো দেখুন, আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কালামে মাজিদে বলেন,
یٰۤاَیُّہَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡۤا اِذَا لَقِیۡتُمۡ فِئَۃً فَاثۡبُتُوۡا وَاذۡکُرُوا اللّٰہَ کَثِیۡرًا لَّعَلَّکُمۡ تُفۡلِحُوۡنَ ۚ
হে মু’মিনগণ! তোমরা যখন কোন দলের সম্মুখীন হবে তখন অবিচল থাকবে আর আল্লাহ্কে অধিক স্মরণ করবে, যাতে তোমরা সফলকাম হও।
(আল আনফাল - ৪৫)
(মুজাহিদ ভাইয়েরা যদি কম সংখ্যকও হয় তারা দুইটি কাজ করলে বিজয় তাদেরই পদচুম্বন করবে ইনশাআল্লাহ , ১) শত্রুর বিরুদ্ধে অবিচল থাকতে হবে। ২) আল্লাহ তায়ালাকে অধিক স্মরণ করতে হবে।)
আরো দেখুন,
وَاَطِیۡعُوا اللّٰہَ وَرَسُوۡلَہٗ وَلَا تَنَازَعُوۡا فَتَفۡشَلُوۡا وَتَذۡہَبَ رِیۡحُکُمۡ وَاصۡبِرُوۡا ؕ اِنَّ اللّٰہَ مَعَ الصّٰبِرِیۡنَ ۚ
তোমরা আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূলের আনুগত্য করবে ও নিজেদের মধ্যে বিবাদ করবে না; করলে তোমরা সাহস হারাবে আর তোমাদের শক্তি বিলুপ্ত হবে। তোমরা ধৈর্য ধারণ কর; নিশ্চয়ই আল্লাহ্ ধৈর্যশীলদের সঙ্গে আছেন।
(আল আনফাল - ৪৬)
وَلَا تَکُوۡنُوۡا کَالَّذِیۡنَ خَرَجُوۡا مِنۡ دِیَارِہِمۡ بَطَرًا وَّرِئَآءَ النَّاسِ وَیَصُدُّوۡنَ عَنۡ سَبِیۡلِ اللّٰہِ ؕ وَاللّٰہُ بِمَا یَعۡمَلُوۡنَ مُحِیۡطٌ
তোমরা তাদের ন্যায় হয়ো না যারা দম্ভভরে ও লোক দেখানোর জন্যে নিজ গৃহ হতে বের হয়েছিল আর লোকদেরকে আল্লাহর পথ হতে বাঁধা দিচ্ছিল। তারা যা করে আল্লাহ্ তা পরিবেষ্টন করে আছেন।
(আল আনফাল - ৪৭)
وَاِذۡ زَیَّنَ لَہُمُ الشَّیۡطٰنُ اَعۡمَالَہُم وَقَالَ لَا غَالِبَ لَکُمُ الۡیَوۡمَ مِنَ النَّاسِ وَاِنِّیۡ جَارٌ لَّکُمۡ ۚ فَلَمَّا تَرَآءَتِ الۡفِئَتٰنِ نَکَصَ عَلٰی عَقِبَیۡہِ وَقَالَ اِنِّیۡ بَرِیۡٓءٌ مِّنۡکُمۡ اِنِّیۡۤ اَرٰی مَا لَا تَرَوۡنَ اِنِّیۡۤ اَخَافُ اللّٰہَ ؕ وَاللّٰہُ شَدِیۡدُ الۡعِقَابِ
স্মরণ কর, শয়তান যখন তাদের কার্যাবলী তাদের দৃষ্টিতে শোভন করেছিল আর বলেছিল, ‘আজ মানুষের মধ্যে কেউই তোমাদের ওপর বিজয়ী হবে না, আমি তোমাদের পাশেই থাকব;’ তারপর দুই দল যখন পরস্পরের সম্মুখীন হল তখন সে পিছনে সরে পড়ল ও বলল, ‘তোমাদের সঙ্গে আমার কোন সম্পর্ক থাকল না, তোমরা যা দেখতে পাও না আমি তো তা দেখি, নিশ্চয়ই আমি আল্লাহ্কে ভয় করি,’ আর আল্লাহ্ শাস্তিদানে কঠোর।
(আল আনফাল - ৪৮)
وَلَا یَحۡسَبَنَّ الَّذِیۡنَ کَفَرُوۡا سَبَقُوۡا ؕ اِنَّہُمۡ لَا یُعۡجِزُوۡنَ
কাফিররা যেন কখনও মনে না করে যে, তারা পরিত্রাণ পেয়েছে ; নিশ্চয়ই তারা মু’মিনগণকে হতবল করতে পারবে না।
(আল আনফাল - ৫৯)
وَاَعِدُّوۡا لَہُمۡ مَّا اسۡتَطَعۡتُمۡ مِّنۡ قُوَّۃٍ وَّمِنۡ رِّبَاطِ الۡخَیۡلِ تُرۡہِبُوۡنَ بِہٖ عَدُوَّ اللّٰہِ وَعَدُوَّکُمۡ وَاٰخَرِیۡنَ مِنۡ دُوۡنِہِمۡ ۚ لَا تَعۡلَمُوۡنَہُمۡ ۚ اَللّٰہُ یَعۡلَمُہُمۡ ؕ وَمَا تُنۡفِقُوۡا مِنۡ شَیۡءٍ فِیۡ سَبِیۡلِ اللّٰہِ یُوَفَّ اِلَیۡکُمۡ وَاَنۡتُمۡ لَا تُظۡلَمُوۡنَ
তোমরা তাদের মুকাবিলার জন্যে যথাসাধ্য শক্তি ও অশ্ব বাহিনী প্রস্তুত রাখবে। এর মাধ্যমে তোমরা সন্ত্রস্ত করবে আল্লাহর শত্রুকে, তোমাদের শত্রুকে এবং এতদ্ব্যতীত অন্যদেরকে যাদেরকে তোমরা জান না, আল্লাহ্ তাদেরকে জানেন। আল্লাহর পথে তোমরা যা কিছু ব্যায় করবে তার পূর্ণ প্রতিদান তোমাদেরকে দেওয়া হবে আর তোমাদের প্রতি জুলুম করা হবে না।
(আল আনফাল - ৬০)
یٰۤاَیُّہَا النَّبِیُّ حَرِّضِ الۡمُؤۡمِنِیۡنَ عَلَی الۡقِتَالِ ؕ اِنۡ یَّکُنۡ مِّنۡکُمۡ عِشۡرُوۡنَ صٰبِرُوۡنَ یَغۡلِبُوۡا مِائَتَیۡنِ ۚ وَاِنۡ یَّکُنۡ مِّنۡکُمۡ مِّائَۃٌ یَّغۡلِبُوۡۤا اَلۡفًا مِّنَ الَّذِیۡنَ کَفَرُوۡا بِاَنَّہُمۡ قَوۡمٌ لَّا یَفۡقَہُوۡنَ
হে নবী ! মু’মিনদেরকে যুদ্ধের জন্যে উদ্বুদ্ধ কর; তোমাদের মধ্যে কুড়িজন ধৈর্যশীল থাকলে তারা দুই শত জনের ওপর বিজয়ী হবে এবং তোমাদের মধ্যে এক শত জন থাকলে এক সহস্র কাফিরের ওপর বিজয়ী হবে। কারণ তারা এমন এক সম্প্রদায়, যার বোধশক্তি নেই।
(আল আনফাল - ৬৫)
اَلۡـٰٔنَ خَفَّفَ اللّٰہُ عَنۡکُمۡ وَعَلِمَ اَنَّ فِیۡکُمۡ ضَعۡفًا ؕ فَاِنۡ یَّکُنۡ مِّنۡکُمۡ مِّائَۃٌ صَابِرَۃٌ یَّغۡلِبُوۡا مِائَتَیۡنِ ۚ وَاِنۡ یَّکُنۡ مِّنۡکُمۡ اَلۡفٌ یَّغۡلِبُوۡۤا اَلۡفَیۡنِ بِاِذۡنِ اللّٰہِ ؕ وَاللّٰہُ مَعَ الصّٰبِرِیۡنَ
আল্লাহ্ এখন তোমাদের ভার লাঘব করলেন। তিনি অবগত আছেন যে, তোমাদের মধ্যে দুর্বলতা আছে; সুতরাং তোমাদের মধ্যে একশত জন ধৈর্যশীল থাকলে তারা দুইশত জনের ওপর বিজয়ী হবে। আর তোমাদের মধ্যে এক সহস্র থাকলে আল্লাহর অনুমতিক্রমে তারা দুই সহস্রের ওপর বিজয়ী হবে। আল্লাহ্ ধৈর্যশীলদের সঙ্গে আছেন।
(আল আনফাল - ৬৬)
(এই দুই আয়াতে আল্লাহ তায়ালা আরো স্পষ্ট করে দিলেন যে, তোমরা মুজাহিদরা সংখ্যায় অল্পই থাকবে, তবুও তোমরাই বিজয় অর্জন করবে, শর্ত হলো ধৈর্যের সাথে শত্রুর বিরুদ্ধে মুকাবিলা করে যেতে হবে)
لَقَدۡ نَصَرَکُمُ اللّٰہُ فِیۡ مَوَاطِنَ کَثِیۡرَۃٍ ۙ
وَّیَوۡمَ حُنَیۡنٍ ۙ اِذۡ اَعۡجَبَتۡکُمۡ کَثۡرَتُکُمۡ فَلَمۡ تُغۡنِ عَنۡکُمۡ شَیۡئًا وَّضَاقَتۡ عَلَیۡکُمُ الۡاَرۡضُ بِمَا رَحُبَتۡ ثُمَّ وَلَّیۡتُمۡ مُّدۡبِرِیۡنَ ۚ
আল্লাহ্ তোমাদেরকে তো সাহায্য করেছেন বহু ক্ষেত্রে এবং হুনায়নের যুদ্ধের দিনে যখন তোমাদেরকে উৎফুল্ল করেছিল তোমাদের সংখ্যাধিক্য; কিন্তু এটা তোমাদের কোন কাজে আসেনি এবং বিস্তৃত হওয়া সত্ত্বেও পৃথিবী তোমাদের জন্যে সংকুচিত হয়ে এসেছিল, পরে তোমরা পৃষ্ঠপ্রদর্শন করে পলায়ন করেছিলে। (আত তাওবাহ্ - ২৫)
ثُمَّ اَنۡزَلَ اللّٰہُ سَکِیۡنَتَہٗ عَلٰی رَسُوۡلِہٖ وَعَلَی الۡمُؤۡمِنِیۡنَ وَاَنۡزَلَ جُنُوۡدًا لَّمۡ تَرَوۡہَا وَعَذَّبَ الَّذِیۡنَ کَفَرُوۡا ؕ وَذٰلِکَ جَزَآءُ الۡکٰفِرِیۡنَ
অতঃপর আল্লাহ্ তাঁর নিকট হতে তাঁর রাসূল ও মু’মিনদের ওপর প্রশান্তি বর্ষণ করেন এবং এমন এক সৈন্যবাহিনী অবতীর্ণ করেন যা তোমরা দেখতে পাওনি আর তিনি কাফিরদেরকে শাস্তি প্রদান করেন; এটাই কাফিরদের কর্মফল।
(আত তাওবাহ্ - ২৬)
আয়াতে যেসমস্ত কাজ করলে বিজয়ের নিশ্চয়তা দেয়া হয়েছেঃ-
(১) আল্লাহ ও তার রাসূল (সাঃ) এর আনুগত্য।
(২)নিজেদের মাঝে মতানৈক্য না করা।
(৩)ধৈর্য ধারণ করা।
(৪) দম্ভ, অহংকার না করা।
(৫) লোক দেখানোর জন্য কিছু না করা।
(৬)আল্লাহর উপর তাওয়াক্কুল করা।
(৭)নিজেদেরকে শক্তিশালীরূপে উপস্থাপন করা।
(৮)নিজেদের সমস্ত প্রস্তুতি সেরে নেয়া যার দ্বারা শত্রুকে ভীতসন্ত্রস্ত করা যায়।
(৯) যুদ্ধে অর্থিক(আর্থিক) সহায়তা করা।
(১০)সংখ্যাধিক্যের কারনে(কারণে) কোনোরূপ উৎফুল্ল হওয়া যাবে না।
(১১) শত্রুর বিরুদ্ধে অবিচল থাকতে হবে।
যদি আমরা এ কাজগুলো করতে পারি ইনশাআল্লাহ আমরা সংখ্যায় কম হলেও আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে বিজয়ী করবেন।
আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে প্রকৃত মুজাহিদ হিসেবে কবুল করুন, আমিন ।
একটা সময় ছিল যখন অনেক ভীতু, কাপুরুষ লোককে বলতে শোনা যেত, কোথায় সোভিয়েত ইউনিয়ন আর কোথায় আফগানিস্তানের গুটিকয়েক মোল্লা-মৌলভী, কোথায় সর্বাধুনিক সমরাস্ত্রে সজ্জিত ন্যাটোবাহিনী আর কোথায় আফগানিস্তানের পাহাড়ে লুকানো ভাঙ্গা বন্দুকের গুটিকয়েক মোল্লা!!! সোভিয়েত ইউনিয়ন বা ন্যাটো বাহিনীর কতশত লশকর, কতশত অস্ত্রশস্ত্র তাদের সাথে কি আর মোল্লারা পারবে!!!?? তাদের কথা যে বাতিল,অসারতা এবং কাপুরুষতাজনিত তা ইতিমধ্যে প্রমাণ হয়ে গিয়েছে। কারন(কারণ) আল্লাহ তায়ালার ওয়াদা রয়েছে সত্যনিষ্ঠ ছোট্ট দলের ব্যপারে।
এখনো অনেক ভীতু, কাপুরুষদের দেখা যায় তারা এসব বলে বেড়াচ্ছে!!
আশ্চর্য! আপনি যদি একজন শিক্ষিত ব্যক্তি হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই জেনে থাকবেন ইসলামের কোনো জামানায় মুজাহিদদের সংখ্যা বেশি ছিলো না।
আপনারা কারা যারা আমাদের মুজাহিদদেরকে সংখ্যাস্বল্পতার ভয় দেখান অথচ আমাদের আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে উৎসাহ দিচ্ছেন যে, জিহাদে বিজয় সংখ্যাধিক্যের উপর নির্ভর করে না। সুবহানাল্লাহ।
দেখুন, আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা পবিত্র কালামে মাজিদে বলেন,
فَلَمَّا فَصَلَ طَالُوۡتُ بِالۡجُنُوۡدِ ۙ قَالَ اِنَّ اللّٰہَ مُبۡتَلِیۡکُمۡ بِنَہَرٍ ۚ فَمَنۡ شَرِبَ مِنۡہُ فَلَیۡسَ مِنِّیۡ ۚ وَمَنۡ لَّمۡ یَطۡعَمۡہُ فَاِنَّہٗ مِنِّیۡۤ اِلَّا مَنِ اغۡتَرَفَ غُرۡفَۃًۢ بِیَدِہٖ ۚ فَشَرِبُوۡا مِنۡہُ اِلَّا قَلِیۡلًا مِّنۡہُمۡ ؕ فَلَمَّا جَاوَزَہٗ ہُوَ وَالَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا مَعَہٗ ۙ قَالُوۡا لَا طَاقَۃَ لَنَا الۡیَوۡمَ بِجَالُوۡتَ وَجُنُوۡدِہٖ ؕ قَالَ الَّذِیۡنَ یَظُنُّوۡنَ اَنَّہُمۡ مُّلٰقُوا اللّٰہِ ۙ کَمۡ مِّنۡ فِئَۃٍ قَلِیۡلَۃٍ غَلَبَتۡ فِئَۃً کَثِیۡرَۃًۢ بِاِذۡنِ اللّٰہِ ؕ وَاللّٰہُ مَعَ الصّٰبِرِیۡنَ
এরপর তালূত যখন সৈন্যবাহিনীসহ বের হল সে তখন বলল, ‘আল্লাহ্ এক নদী দিয়ে তোমাদের পরীক্ষা করবেন। যে কেউ এটা হতে পান করবে সে আমার দলভুক্ত নয়; আর যে কেউ এর স্বাদ গ্রহণ করবে না সে আমার দলভুক্ত; এ ছাড়া যে কেউ তার হাতে এক কোষ পানি গ্রহণ করবে সেও(আমার দলে থাকবে।) অতঃপর অল্প সংখ্যক ব্যতীত তারা এটা হতে পান করল।তারপর সে এবং তার সঙ্গী ঈমানদারগণ যখন এটা অতিক্রম করল তখন তারা বলল, ‘জালূত ও তার সৈন্যবাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার মত শক্তি আজ আমাদের নেই।’ কিন্তু যাদের নিশ্চিত বিশ্বাস ছিল আল্লাহর সঙ্গে তাদের সাক্ষাৎ ঘটবে তারা বলল, "আল্লাহর হুকুমে কত ক্ষুদ্র দল কত বৃহৎ দলকে পরাভূত করেছে! আল্লাহ্ ধৈর্যশীলদের সঙ্গে আছেন"।
(আল বাকারা - ২৪৯)
[সুতরাং আমরা যদি আল্লাহ তায়ালা উপর পূর্ণ বিশ্বাস রেখে, ধৈর্যর সাথে শত্রুর মুকাবিলা করতে পারি তাহলে বিজয় নিশ্চিত ইনশাআল্লাহ]
আল্লাহ তায়ালা এই যুদ্ধে বিজয় দিলেন অল্প সংখ্যক মুজাহিদদের।
وَلَمَّا بَرَزُوۡا لِجَالُوۡتَ وَجُنُوۡدِہٖ قَالُوۡا رَبَّنَاۤ اَفۡرِغۡ عَلَیۡنَا صَبۡرًا وَّثَبِّتۡ اَقۡدَامَنَا وَانۡصُرۡنَا عَلَی الۡقَوۡمِ الۡکٰفِرِیۡنَ ؕ
তারা যখন যুদ্ধার্থে জালূত ও তার সৈন্যবাহিনীর সম্মুখীন হল তখন তারা বলল, ‘হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদেরকে ধৈর্য দান কর, আমাদের পা অবিচলিত রাখ আর কাফির সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে আমাদেরকে সাহায্য দান কর।’
(আল বাকারা - ২৫০)
فَہَزَمُوۡہُمۡ بِاِذۡنِ اللّٰہِ ۟ۙ وَقَتَلَ دَاوٗدُ جَالُوۡتَ وَاٰتٰىہُ اللّٰہُ الۡمُلۡکَ وَالۡحِکۡمَۃَ وَعَلَّمَہٗ مِمَّا یَشَآءُ ؕ وَلَوۡلَا دَفۡعُ اللّٰہِ النَّاسَ بَعۡضَہُمۡ بِبَعۡضٍ ۙ لَّفَسَدَتِ الۡاَرۡضُ وَلٰکِنَّ اللّٰہَ ذُوۡ فَضۡلٍ عَلَی الۡعٰلَمِیۡنَ
সুতরাং তারা আল্লাহর হুকুমে তাদের পরাভূত করল ; দাউদ জালূতকে হত্যা করল, আল্লাহ্ তাকে রাজত্ব ও হিকমত দান করলেন আর যা তিনি ইচ্ছা করলেন তা তাকে শিক্ষা দিলেন। আল্লাহ্ যদি মানব জাতির এক দলকে অন্য দল দিয়ে প্রতিহত না করতেন তবে পৃথিবী বিপর্যস্ত হয়ে যেত। কিন্তু আল্লাহ্ জগতসমূহের প্রতি অনুগ্রহশীল। (আল বাকারা - ২৫১)
আরো দেখুন, আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কালামে মাজিদে বলেন,
یٰۤاَیُّہَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡۤا اِذَا لَقِیۡتُمۡ فِئَۃً فَاثۡبُتُوۡا وَاذۡکُرُوا اللّٰہَ کَثِیۡرًا لَّعَلَّکُمۡ تُفۡلِحُوۡنَ ۚ
হে মু’মিনগণ! তোমরা যখন কোন দলের সম্মুখীন হবে তখন অবিচল থাকবে আর আল্লাহ্কে অধিক স্মরণ করবে, যাতে তোমরা সফলকাম হও।
(আল আনফাল - ৪৫)
(মুজাহিদ ভাইয়েরা যদি কম সংখ্যকও হয় তারা দুইটি কাজ করলে বিজয় তাদেরই পদচুম্বন করবে ইনশাআল্লাহ , ১) শত্রুর বিরুদ্ধে অবিচল থাকতে হবে। ২) আল্লাহ তায়ালাকে অধিক স্মরণ করতে হবে।)
আরো দেখুন,
وَاَطِیۡعُوا اللّٰہَ وَرَسُوۡلَہٗ وَلَا تَنَازَعُوۡا فَتَفۡشَلُوۡا وَتَذۡہَبَ رِیۡحُکُمۡ وَاصۡبِرُوۡا ؕ اِنَّ اللّٰہَ مَعَ الصّٰبِرِیۡنَ ۚ
তোমরা আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূলের আনুগত্য করবে ও নিজেদের মধ্যে বিবাদ করবে না; করলে তোমরা সাহস হারাবে আর তোমাদের শক্তি বিলুপ্ত হবে। তোমরা ধৈর্য ধারণ কর; নিশ্চয়ই আল্লাহ্ ধৈর্যশীলদের সঙ্গে আছেন।
(আল আনফাল - ৪৬)
وَلَا تَکُوۡنُوۡا کَالَّذِیۡنَ خَرَجُوۡا مِنۡ دِیَارِہِمۡ بَطَرًا وَّرِئَآءَ النَّاسِ وَیَصُدُّوۡنَ عَنۡ سَبِیۡلِ اللّٰہِ ؕ وَاللّٰہُ بِمَا یَعۡمَلُوۡنَ مُحِیۡطٌ
তোমরা তাদের ন্যায় হয়ো না যারা দম্ভভরে ও লোক দেখানোর জন্যে নিজ গৃহ হতে বের হয়েছিল আর লোকদেরকে আল্লাহর পথ হতে বাঁধা দিচ্ছিল। তারা যা করে আল্লাহ্ তা পরিবেষ্টন করে আছেন।
(আল আনফাল - ৪৭)
وَاِذۡ زَیَّنَ لَہُمُ الشَّیۡطٰنُ اَعۡمَالَہُم وَقَالَ لَا غَالِبَ لَکُمُ الۡیَوۡمَ مِنَ النَّاسِ وَاِنِّیۡ جَارٌ لَّکُمۡ ۚ فَلَمَّا تَرَآءَتِ الۡفِئَتٰنِ نَکَصَ عَلٰی عَقِبَیۡہِ وَقَالَ اِنِّیۡ بَرِیۡٓءٌ مِّنۡکُمۡ اِنِّیۡۤ اَرٰی مَا لَا تَرَوۡنَ اِنِّیۡۤ اَخَافُ اللّٰہَ ؕ وَاللّٰہُ شَدِیۡدُ الۡعِقَابِ
স্মরণ কর, শয়তান যখন তাদের কার্যাবলী তাদের দৃষ্টিতে শোভন করেছিল আর বলেছিল, ‘আজ মানুষের মধ্যে কেউই তোমাদের ওপর বিজয়ী হবে না, আমি তোমাদের পাশেই থাকব;’ তারপর দুই দল যখন পরস্পরের সম্মুখীন হল তখন সে পিছনে সরে পড়ল ও বলল, ‘তোমাদের সঙ্গে আমার কোন সম্পর্ক থাকল না, তোমরা যা দেখতে পাও না আমি তো তা দেখি, নিশ্চয়ই আমি আল্লাহ্কে ভয় করি,’ আর আল্লাহ্ শাস্তিদানে কঠোর।
(আল আনফাল - ৪৮)
وَلَا یَحۡسَبَنَّ الَّذِیۡنَ کَفَرُوۡا سَبَقُوۡا ؕ اِنَّہُمۡ لَا یُعۡجِزُوۡنَ
কাফিররা যেন কখনও মনে না করে যে, তারা পরিত্রাণ পেয়েছে ; নিশ্চয়ই তারা মু’মিনগণকে হতবল করতে পারবে না।
(আল আনফাল - ৫৯)
وَاَعِدُّوۡا لَہُمۡ مَّا اسۡتَطَعۡتُمۡ مِّنۡ قُوَّۃٍ وَّمِنۡ رِّبَاطِ الۡخَیۡلِ تُرۡہِبُوۡنَ بِہٖ عَدُوَّ اللّٰہِ وَعَدُوَّکُمۡ وَاٰخَرِیۡنَ مِنۡ دُوۡنِہِمۡ ۚ لَا تَعۡلَمُوۡنَہُمۡ ۚ اَللّٰہُ یَعۡلَمُہُمۡ ؕ وَمَا تُنۡفِقُوۡا مِنۡ شَیۡءٍ فِیۡ سَبِیۡلِ اللّٰہِ یُوَفَّ اِلَیۡکُمۡ وَاَنۡتُمۡ لَا تُظۡلَمُوۡنَ
তোমরা তাদের মুকাবিলার জন্যে যথাসাধ্য শক্তি ও অশ্ব বাহিনী প্রস্তুত রাখবে। এর মাধ্যমে তোমরা সন্ত্রস্ত করবে আল্লাহর শত্রুকে, তোমাদের শত্রুকে এবং এতদ্ব্যতীত অন্যদেরকে যাদেরকে তোমরা জান না, আল্লাহ্ তাদেরকে জানেন। আল্লাহর পথে তোমরা যা কিছু ব্যায় করবে তার পূর্ণ প্রতিদান তোমাদেরকে দেওয়া হবে আর তোমাদের প্রতি জুলুম করা হবে না।
(আল আনফাল - ৬০)
یٰۤاَیُّہَا النَّبِیُّ حَرِّضِ الۡمُؤۡمِنِیۡنَ عَلَی الۡقِتَالِ ؕ اِنۡ یَّکُنۡ مِّنۡکُمۡ عِشۡرُوۡنَ صٰبِرُوۡنَ یَغۡلِبُوۡا مِائَتَیۡنِ ۚ وَاِنۡ یَّکُنۡ مِّنۡکُمۡ مِّائَۃٌ یَّغۡلِبُوۡۤا اَلۡفًا مِّنَ الَّذِیۡنَ کَفَرُوۡا بِاَنَّہُمۡ قَوۡمٌ لَّا یَفۡقَہُوۡنَ
হে নবী ! মু’মিনদেরকে যুদ্ধের জন্যে উদ্বুদ্ধ কর; তোমাদের মধ্যে কুড়িজন ধৈর্যশীল থাকলে তারা দুই শত জনের ওপর বিজয়ী হবে এবং তোমাদের মধ্যে এক শত জন থাকলে এক সহস্র কাফিরের ওপর বিজয়ী হবে। কারণ তারা এমন এক সম্প্রদায়, যার বোধশক্তি নেই।
(আল আনফাল - ৬৫)
اَلۡـٰٔنَ خَفَّفَ اللّٰہُ عَنۡکُمۡ وَعَلِمَ اَنَّ فِیۡکُمۡ ضَعۡفًا ؕ فَاِنۡ یَّکُنۡ مِّنۡکُمۡ مِّائَۃٌ صَابِرَۃٌ یَّغۡلِبُوۡا مِائَتَیۡنِ ۚ وَاِنۡ یَّکُنۡ مِّنۡکُمۡ اَلۡفٌ یَّغۡلِبُوۡۤا اَلۡفَیۡنِ بِاِذۡنِ اللّٰہِ ؕ وَاللّٰہُ مَعَ الصّٰبِرِیۡنَ
আল্লাহ্ এখন তোমাদের ভার লাঘব করলেন। তিনি অবগত আছেন যে, তোমাদের মধ্যে দুর্বলতা আছে; সুতরাং তোমাদের মধ্যে একশত জন ধৈর্যশীল থাকলে তারা দুইশত জনের ওপর বিজয়ী হবে। আর তোমাদের মধ্যে এক সহস্র থাকলে আল্লাহর অনুমতিক্রমে তারা দুই সহস্রের ওপর বিজয়ী হবে। আল্লাহ্ ধৈর্যশীলদের সঙ্গে আছেন।
(আল আনফাল - ৬৬)
(এই দুই আয়াতে আল্লাহ তায়ালা আরো স্পষ্ট করে দিলেন যে, তোমরা মুজাহিদরা সংখ্যায় অল্পই থাকবে, তবুও তোমরাই বিজয় অর্জন করবে, শর্ত হলো ধৈর্যের সাথে শত্রুর বিরুদ্ধে মুকাবিলা করে যেতে হবে)
لَقَدۡ نَصَرَکُمُ اللّٰہُ فِیۡ مَوَاطِنَ کَثِیۡرَۃٍ ۙ
وَّیَوۡمَ حُنَیۡنٍ ۙ اِذۡ اَعۡجَبَتۡکُمۡ کَثۡرَتُکُمۡ فَلَمۡ تُغۡنِ عَنۡکُمۡ شَیۡئًا وَّضَاقَتۡ عَلَیۡکُمُ الۡاَرۡضُ بِمَا رَحُبَتۡ ثُمَّ وَلَّیۡتُمۡ مُّدۡبِرِیۡنَ ۚ
আল্লাহ্ তোমাদেরকে তো সাহায্য করেছেন বহু ক্ষেত্রে এবং হুনায়নের যুদ্ধের দিনে যখন তোমাদেরকে উৎফুল্ল করেছিল তোমাদের সংখ্যাধিক্য; কিন্তু এটা তোমাদের কোন কাজে আসেনি এবং বিস্তৃত হওয়া সত্ত্বেও পৃথিবী তোমাদের জন্যে সংকুচিত হয়ে এসেছিল, পরে তোমরা পৃষ্ঠপ্রদর্শন করে পলায়ন করেছিলে। (আত তাওবাহ্ - ২৫)
ثُمَّ اَنۡزَلَ اللّٰہُ سَکِیۡنَتَہٗ عَلٰی رَسُوۡلِہٖ وَعَلَی الۡمُؤۡمِنِیۡنَ وَاَنۡزَلَ جُنُوۡدًا لَّمۡ تَرَوۡہَا وَعَذَّبَ الَّذِیۡنَ کَفَرُوۡا ؕ وَذٰلِکَ جَزَآءُ الۡکٰفِرِیۡنَ
অতঃপর আল্লাহ্ তাঁর নিকট হতে তাঁর রাসূল ও মু’মিনদের ওপর প্রশান্তি বর্ষণ করেন এবং এমন এক সৈন্যবাহিনী অবতীর্ণ করেন যা তোমরা দেখতে পাওনি আর তিনি কাফিরদেরকে শাস্তি প্রদান করেন; এটাই কাফিরদের কর্মফল।
(আত তাওবাহ্ - ২৬)
আয়াতে যেসমস্ত কাজ করলে বিজয়ের নিশ্চয়তা দেয়া হয়েছেঃ-
(১) আল্লাহ ও তার রাসূল (সাঃ) এর আনুগত্য।
(২)নিজেদের মাঝে মতানৈক্য না করা।
(৩)ধৈর্য ধারণ করা।
(৪) দম্ভ, অহংকার না করা।
(৫) লোক দেখানোর জন্য কিছু না করা।
(৬)আল্লাহর উপর তাওয়াক্কুল করা।
(৭)নিজেদেরকে শক্তিশালীরূপে উপস্থাপন করা।
(৮)নিজেদের সমস্ত প্রস্তুতি সেরে নেয়া যার দ্বারা শত্রুকে ভীতসন্ত্রস্ত করা যায়।
(৯) যুদ্ধে অর্থিক(আর্থিক) সহায়তা করা।
(১০)সংখ্যাধিক্যের কারনে(কারণে) কোনোরূপ উৎফুল্ল হওয়া যাবে না।
(১১) শত্রুর বিরুদ্ধে অবিচল থাকতে হবে।
যদি আমরা এ কাজগুলো করতে পারি ইনশাআল্লাহ আমরা সংখ্যায় কম হলেও আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে বিজয়ী করবেন।
আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে প্রকৃত মুজাহিদ হিসেবে কবুল করুন, আমিন ।
Comment