الحمد الله رب العالمين و الصلاة و السلام محمد و علي آله و صحبه اجمعين و بعد،
আমলের মধ্যে সর্বোত্তম আমল হচ্ছে জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহ। এবং মানুষের মধ্যে সর্বোত্তম ব্যক্তি হচ্ছে মুজাহিদ ফি সাবিলিল্লাহ।
.
আল্লাহ্ ﷻ বলেন,
لَّا يَسْتَوِى ٱلْقَـٰعِدُونَ مِنَ ٱلْمُؤْمِنِينَ غَيْرُ أُو۟لِى ٱلضَّرَرِ وَٱلْمُجَـٰهِدُونَ فِى سَبِيلِ ٱللَّهِ بِأَمْوَٰلِهِمْ وَأَنفُسِهِمْ ۚ فَضَّلَ ٱللَّهُ ٱلْمُجَـٰهِدِينَ بِأَمْوَٰلِهِمْ وَأَنفُسِهِمْ عَلَى ٱلْقَـٰعِدِينَ دَرَجَةً ۚ وَكُلًّا وَعَدَ ٱللَّهُ ٱلْحُسْنَىٰ ۚ وَفَضَّلَ ٱللَّهُ ٱلْمُجَـٰهِدِينَ عَلَى ٱلْقَـٰعِدِينَ أَجْرًا عَظِيمًا
دَرَجَـٰتٍ مِّنْهُ وَمَغْفِرَةً وَرَحْمَةً ۚ وَكَانَ ٱللَّهُ غَفُورًا رَّحِيمًا
" মুমিনদের মধ্যে যারা অক্ষম নয় অথচ ঘরে বসে থাকে ও যারা আল্লাহর পথে স্বীয় ধন-প্রাণ দ্বারা জিহাদ করে তারা সমান নয় । যারা স্বীয় ধন-প্রাণ দ্বারা জিহাদ করে আল্লাহ তাদেরকে, যারা ঘরে বসে থাকে তাদের উপর মর্যাদা দিয়েছেন ; তাদের প্রত্যেকের জন্য আল্লাহ জান্নাতের ওয়াদা করেছেন। যারা ঘরে বসে থাকে তাদের উপর যারা জিহাদ করে তাদেরকে আল্লাহ মহা-পুরস্কারের ক্ষেত্রে শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছেন। এসব তাঁর কাছ থেকে মর্যাদা, ক্ষমা ও দয়া; আর আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু ।" [১]
.
আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত যে রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন,
" إِنَّ فِي الْجَنَّةِ مِائَةَ دَرَجَةٍ أَعَدَّهَا اللهُ لِلْمُجَاهِدِينَ فِي سَبِيلِهِ كُلُّ دَرَجَتَيْنِ مَا بَيْنَهُمَا كَمَا بَيْنَ السَّمَاءِ وَالأَرْضِ "
" রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ অবশ্যই, জান্নাতে একশ’টি (মর্যাদার) স্তর রয়েছে। এগুলো আল্লাহ্ তাঁর রাস্তায় জিহাদ-কারীদের জন্য প্রস্তুত করে রেখেছেন। প্রতি দু’টি স্তরের মাঝে আসমান ও যমীনের দূরত্ব বিদ্যমান।"[২]
.
আবূ সাঈদ খুদরী (রা.) হতে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ ﷺ বললেন,
" يَا أَبَا سَعِيدٍ مَنْ رَضِيَ بِاللَّهِ رَبًّا وَبِالإِسْلاَمِ دِينًا وَبِمُحَمَّدٍ نَبِيًّا وَجَبَتْ لَهُ الْجَنَّةُ " . فَعَجِبَ لَهَا أَبُو سَعِيدٍ فَقَالَ أَعِدْهَا عَلَىَّ يَا رَسُولَ اللَّهِ فَفَعَلَ ثُمَّ قَالَ " وَأُخْرَى يُرْفَعُ بِهَا الْعَبْدُ مِائَةَ دَرَجَةٍ فِي الْجَنَّةِ مَا بَيْنَ كُلِّ دَرَجَتَيْنِ كَمَا بَيْنَ السَّمَاءِ وَالأَرْضِ " . قَالَ وَمَا هِيَ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ " الْجِهَادُ فِي سَبِيلِ اللَّهِ الْجِهَادُ فِي سَبِيلِ اللَّهِ "
" হে আবূ সাঈদ! যে ব্যক্তি আল্লাহকে রব (প্রতিপালক) রূপে, ইসলামকে দ্বীনরূপে এবং মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে নবীরূপে গ্রহণ করে সন্তুষ্ট, তার জন্যে জান্নাত অবধারিত হয়ে গেল। আবূ সাঈদ (রাযিঃ) তাতে অবাক হয়ে গেলেন এবং বললেন, হে আল্লাহর রসূল! আমার জন্যে কথাটি আবার বলুন। তিনি তাই করলেন, তারপর বললেন, আর একটি আমল এমন রয়েছে, যার দ্বারা বান্দা জান্নাতে এমন একশটি মর্যাদার স্তর লাভ করবে যার দুটো স্তরের মধ্যে ব্যবধান হবে আসমান ও যমীনের ব্যবধান তুল্য। তখন তিনি বললেন, ঐ আমলটি কী, হে আল্লাহর রসূল? তিনি বললেন, আল্লাহর পথে জিহাদ আল্লাহর পথে জিহাদ!" [৩]
.
.
বরং স্বয়ং আল্লাহ্ ﷻ ইনকার করে বলেন প্রয়োজনের সময় জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহর মত পছন্দনীয় আমল আর দুটো নেই। আল্লাহ্ ﷻ বলেন,
" أَجَعَلْتُمْ سِقَايَةَ ٱلْحَآجِّ وَعِمَارَةَ ٱلْمَسْجِدِ ٱلْحَرَامِ كَمَنْ ءَامَنَ بِٱللَّهِ وَٱلْيَوْمِ ٱلْـَٔاخِرِ وَجَـٰهَدَ فِى سَبِيلِ ٱللَّهِ ۚ لَا يَسْتَوُۥنَ عِندَ ٱللَّهِ ۗ وَٱللَّهُ لَا يَهْدِى ٱلْقَوْمَ ٱلظَّـٰلِمِينَ
ٱلَّذِينَ ءَامَنُوا۟ وَهَاجَرُوا۟ وَجَـٰهَدُوا۟ فِى سَبِيلِ ٱللَّهِ بِأَمْوَٰلِهِمْ وَأَنفُسِهِمْ أَعْظَمُ دَرَجَةً عِندَ ٱللَّهِ ۚ وَأُو۟لَـٰٓئِكَ هُمُ ٱلْفَآئِزُونَ
يُبَشِّرُهُمْ رَبُّهُم بِرَحْمَةٍ مِّنْهُ وَرِضْوَٰنٍ وَجَنَّـٰتٍ لَّهُمْ فِيهَا نَعِيمٌ مُّقِيمٌ "
"তোমরা কি হাজীদের পানি পান করানোকে এবং মাসজিদুল হারামের রক্ষণাবেক্ষণ করাকে তাদের সমান সাব্যস্ত করে রেখেছ যারা আল্লাহ ও কিয়ামত দিবসের প্রতি ঈমান আনে ও আল্লাহর পথে জিহাদ করে? তারা আল্লাহর সমীপে সমান নয়; যারা সীমা লঙ্ঘনকারী তাদেরকে আল্লাহ সুপথ প্রদর্শন করেননা।
যারা ঈমান এনেছে ও হিজরত করেছে, আর নিজেদের ধন ও প্রাণ দ্বারা আল্লাহর পথে জিহাদ করেছে তারা মর্যাদায় আল্লাহর কাছে অতি বড়, আর তারাই হচ্ছে পূর্ণ সফলকাম ।
তাদের রাব্ব তাদেরকে নিজের পক্ষ থেকে সুসংবাদ দিচ্ছেন রহমতের ও অতি সন্তুষ্টির, আর এমন জান্নাতের যার মধ্যে তাদের জন্য চিরস্থায়ী নি’আমাত থাকবে। " [৪]
এই আয়াতগুলো অবতরণের প্রেক্ষাপট বর্ণিত হয়েছে সহীহ মুসলিমের একটি হাদিসে,
" قَالَ النُّعْمَانُ بْنُ بَشِيرٍ، قَالَ كُنْتُ عِنْدَ مِنْبَرِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ رَجُلٌ مَا أُبَالِي أَنْ لاَ أَعْمَلَ عَمَلاً بَعْدَ الإِسْلاَمِ إِلاَّ أَنْ أُسْقِيَ الْحَاجَّ . وَقَالَ آخَرُ مَا أُبَالِي أَنْ لاَ أَعْمَلَ عَمَلاً بَعْدَ الإِسْلاَمِ إِلاَّ أَنْ أَعْمُرَ الْمَسْجِدَ الْحَرَامَ . وَقَالَ آخَرُ الْجِهَادُ فِي سَبِيلِ اللَّهِ أَفْضَلُ مِمَّا قُلْتُمْ . فَزَجَرَهُمْ عُمَرُ وَقَالَ لاَ تَرْفَعُوا أَصْوَاتَكُمْ عِنْدَ مِنْبَرِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَهُوَ يَوْمُ الْجُمُعَةِ وَلَكِنْ إِذَا صَلَّيْتُ الْجُمُعَةَ دَخَلْتُ فَاسْتَفْتَيْتُهُ فِيمَا اخْتَلَفْتُمْ فِيهِ . فَأَنْزَلَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ ( أَجَعَلْتُمْ سِقَايَةَ الْحَاجِّ وَعِمَارَةَ الْمَسْجِدِ الْحَرَامِ كَمَنْ آمَنَ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الآخِرِ) الآيَةَ إِلَى آخِرِهَا . "
" নু'মান ইবনু বাশীর (রা) হতে বর্ণিত । তিনি বলেন, একদা আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর মিম্বারের নিকটেই ছিলাম। তখন এক ব্যক্তি বলে উঠলো- ইসলাম গ্রহণের পর যদি আমি আর কোন সৎ কাজই না করি তাতে আমার কোন পরওয়া নেই; তবে আমি হাজীদেরকে পানি পান করাব। অপর একজন বলে উঠলো, মুসলিম হওয়ার পর যদি আমি আর কোন সৎ কাজই না করি তাতে আমার কোন পরোয়া নেই, তবে আমি মাসজিদুল হারামের মেরামত প্রভৃতি করে যাব। অপর একজন বলে উঠলো, আল্লাহর পথে লড়াই তোমরা যা যা বলেছে তার চাইতে উত্তম।
তখন উমর (রা.) তাদেরকে ধমক দিয়ে বলে উঠলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ-এর মিম্বারের নিকটে তোমরা চিৎকার করো না। সেটা ছিল জুমুআর দিন। বরং যখন জুমুআর সালাত হয়ে যাবে, তখন আমি তার নিকটে গিয়ে তোমরা যে ব্যাপারে বিতর্ক করছে তা জিজ্ঞেস করে নেবো, তখন আল্লাহ তা'আলা (সে প্রেক্ষিতে) নাযিল করলেনঃ “যারা হাজীদের পানি সরবরাহ করে এবং মসজিদুল হারামের রক্ষণাবেক্ষণ করে তোমরা কি তাদেরকে ওদের সমান করো, যারা আল্লাহ ও পরকালে ঈমান আনে ..." (সূরা আত-তওবা ৯ঃ ১৯) " [৫]
.
.
বুখারীর (রহঃ) এক বর্ণনায় আছে, একজন লোক বলল, ‘হে আল্লাহর রসূল! আমাকে এমন একটি আমল বাতলে দিন, যা জিহাদের সমতুল্য হবে।’ তিনি বললেন, ‘‘আমি এ ধরনের আমল তো পাচ্ছি না।’’ তারপর তিনি বললেন, ‘‘তুমি কি এরূপ করতে পারবে যে, মুজাহিদ যখন বের হয়ে যাবে, তখন থেকে তুমি মসজিদে ঢুকে অক্লান্ত ভাবে নামাযে নিমগ্ন হবে এবং অবিরাম সিয়াম রাখবে।’’ সে বলল, ‘ও কাজ কে করতে পারবে?’
" نَّ رَجُلاً قَالَ : يَا رَسُولَ اللهِ دُلَّنِي عَلَى عَمَلٍ يَعْدِلُ الجِهَادَ ؟ قَالَ لاَ أَجِدُهُ ثُمَّ قَالَ هَلْ تَسْتَطِيعُ إِذَا خَرَجَ المُجَاهِدُ أَنْ تَدْخُلَ مَسْجِدَكَ فَتَقُوْمَ وَلاَ تَفْتُرَ وَتَصُومَ وَلاَ تُفْطِرَ ؟ فَقَالَ : وَمَنْ يَسْتَطِيعُ ذَلِكَ ؟ " [৬]
.
.
আবূ হুরাইরা (রা.) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ ﷺ-কে জিজ্ঞাসা করা হল, ‘হে আল্লাহর রসূল! আল্লাহর পথে জিহাদ করার সমতুল্য আমল কী? তিনি বললেন, ‘‘তোমরা তা পারবে না।’’ তারা তাঁকে দু’-তিনবার ঐ একই কথা জিজ্ঞাসা করতে থাকল, আর তিনি প্রত্যেক বারে বললেন, ‘‘তোমরা তার ক্ষমতা রাখ না।’’ তারপর বললেন, ‘‘আল্লাহর পথে জিহাদ-কারীর দৃষ্টান্ত ঠিক সেই সিয়াম পালনকারী ও আল্লাহর আয়াত পাঠ ক’রে নামায আদায়কারীর মত, যে সিয়াম রাখতে ও নামায পড়তে আদৌ ক্লান্তিবোধ করে না। (এরূপ ততক্ষণ পর্যন্ত গণ্য হয়) যতক্ষণ না মুজাহিদ জিহাদ থেকে ফিরে আসে।’’
" قِيلَ : يَا رَسُولَ اللهِ مَا يَعْدِلُ الجِهَادَ فِي سَبِيلِ اللهِ ؟ قَالَلاَ تَسْتَطِيعُونَهُفَأَعَادُوا عَلَيْهِ مَرَّتَيْنِ أَوْ ثَلاَثاً كُلُّ ذَلِكَ يَقُولُلاَ تَسْتَطِيعُونَهُ ثُمَّ قَالَمَثَلُ المُجَاهِدِ فِي سَبيلِ اللهِ كَمَثلِ الصَّائِمِ القَائِمِ القَانِتِ بِآيَاتِ اللهِ لاَ يَفْتُرُ مِنْ صِيَامٍ وَلاَ صَلاَةٍ حَتَّى يَرْجِعَ المُجَاهِدُ فِي سَبِيلِ اللهِ " [৭]
.
তিরমিযীতে মুয়ায (রা.) থেকে একটা লম্বা হাদীছ বর্ণিত হয়েছে, যেখানে রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন,
"رَأْسُ الْأَمْرِ الْإِسْلَامُ، وَعَمُودُهُ الصَّلَاةُ، وَذُرْوَةُ سَنَامِهِ الْجِهَادُ"
" কর্মের মূল হচ্ছে ইসলাম, তার স্তম্ভ হচ্ছে নামায এবং তার সর্বোচ্চ চূড়া হচ্ছে জিহাদ। " [৮]
.
ইমাম ইবনু রজব (রহঃ) বলেন, " 'ذروة سنامه' কথা দিয়ে শ্রেষ্ঠত্বতা এবং সর্বোচ্চতা বোঝানো হয়েছে, আর এটা হলো এই কথার দলীল যে ফরয আমলগুলোর পর সর্বশ্রেষ্ঠ আমল (জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহ) যেমনটি বলেছেন ইমাম আহমাদ সহ অনেক উলামারা। "[৯]
.
জিহাদ ও মুজাহিদ সম্পর্কিত আয়াত ও হাদীছ বর্ণনা করার পর ইমাম ইবনু রজব (রহঃ) এই কথাটি বলেন।
.
মুজাহিদরা হলো উম্মতের মধ্যে শ্রেষ্ঠ কেননা, তাদের আমলটি হলো সর্বশ্রেষ্ঠ এবং অধিক সাওয়াবের। তাদের দ্বারাই উম্মাহর ইযযা, মান-সম্মান বৃদ্ধি পায় এবং আমাদের জমিন থাকে সুরক্ষিত । তাদের মাধ্যমেই আমাদের পথ হয় নিরাপদ এবং জমিনে ছড়িয়ে পড়ে আমান। তাদের মাধ্যমেই উম্মাহ বহির শত্রু থেকে থাকে নিরাপদ, তাদের মাধ্যমেই ইলম ও দাওয়াতের পথ হয় প্রশস্ত ও বিস্তৃত। তাদের মাধ্যমেই জমিনে বান্দাদের মধ্যে আল্লাহর কর্তৃত্বের প্রমাণ কায়েম হয়।
.
.
শাইখুল ইসলাম ইবনু তাইমিয়া (রহঃ) বলেন,
"আর জিহাদের ক্ষেত্রে, এর গুরুত্ব ও ফযিলত কুরআন ও সুন্নায় সবচেয়ে বেশি বার বর্ণিত হয়েছে। তাই মানুষের জন্য সর্বোত্তম আমল জিহাদ। উলামা কিরামের মতৈক্য রয়েছে যে, হাজ্জ ও উমরা থেকে জিহাদ উত্তম আমল। নফল সালাত ও সাওম থেকেও উত্তম। যেমনটি এসেছে কুরআন ও সুন্নায়। আল্লাহর রাসুল ﷺ তো বলেই গেছেন, "কর্মের মূল হচ্ছে ইসলাম, তার স্তম্ভ হচ্ছে নামায এবং তার সর্বোচ্চ চূড়া হচ্ছে জিহাদ।"
[১০]
.
শাইখ সুলাইমান আল-আলওয়ান (হা.)-এর ‘معالم في الجهاد‘ থেকে নেওয়া।
_____________________
১/ ( আন- নিসা, ৯৫-৯৬)
২/ (সাহীহ বুখারী, كتاب التوحيد, بَاب {وَكَانَ عَرْشُهُ عَلَى الْمَاءِ} { وَهُوَ رَبُّ الْعَرْشِ الْعَظِيمِ} , ২৭৯০ )
৩/( সাহীহ মুসলিম, كتاب اللإمان , ১৮৮৪)
৪/ ( আত-তাওবা, ১৯-২১)
৫/( সাহীহ মুসলিম, كتاب اللإمان , ১৮৭৯)
৬/ ( সাহীহ বুখারী, كتاب الجهاد و السير, ২৭৮৫)
৭/( সাহীহ মুসলিম, ৪৯৭৭)
৮/ (সুনানু তিরমিযী, ২৬১৬, হাসান-সাহীহ)
৯/ (جامع العلوم والحكم / ٢٤٧ )
১০/ (السياسة الشرعية / ١٠٩ )
আমলের মধ্যে সর্বোত্তম আমল হচ্ছে জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহ। এবং মানুষের মধ্যে সর্বোত্তম ব্যক্তি হচ্ছে মুজাহিদ ফি সাবিলিল্লাহ।
.
আল্লাহ্ ﷻ বলেন,
لَّا يَسْتَوِى ٱلْقَـٰعِدُونَ مِنَ ٱلْمُؤْمِنِينَ غَيْرُ أُو۟لِى ٱلضَّرَرِ وَٱلْمُجَـٰهِدُونَ فِى سَبِيلِ ٱللَّهِ بِأَمْوَٰلِهِمْ وَأَنفُسِهِمْ ۚ فَضَّلَ ٱللَّهُ ٱلْمُجَـٰهِدِينَ بِأَمْوَٰلِهِمْ وَأَنفُسِهِمْ عَلَى ٱلْقَـٰعِدِينَ دَرَجَةً ۚ وَكُلًّا وَعَدَ ٱللَّهُ ٱلْحُسْنَىٰ ۚ وَفَضَّلَ ٱللَّهُ ٱلْمُجَـٰهِدِينَ عَلَى ٱلْقَـٰعِدِينَ أَجْرًا عَظِيمًا
دَرَجَـٰتٍ مِّنْهُ وَمَغْفِرَةً وَرَحْمَةً ۚ وَكَانَ ٱللَّهُ غَفُورًا رَّحِيمًا
" মুমিনদের মধ্যে যারা অক্ষম নয় অথচ ঘরে বসে থাকে ও যারা আল্লাহর পথে স্বীয় ধন-প্রাণ দ্বারা জিহাদ করে তারা সমান নয় । যারা স্বীয় ধন-প্রাণ দ্বারা জিহাদ করে আল্লাহ তাদেরকে, যারা ঘরে বসে থাকে তাদের উপর মর্যাদা দিয়েছেন ; তাদের প্রত্যেকের জন্য আল্লাহ জান্নাতের ওয়াদা করেছেন। যারা ঘরে বসে থাকে তাদের উপর যারা জিহাদ করে তাদেরকে আল্লাহ মহা-পুরস্কারের ক্ষেত্রে শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছেন। এসব তাঁর কাছ থেকে মর্যাদা, ক্ষমা ও দয়া; আর আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু ।" [১]
.
আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত যে রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন,
" إِنَّ فِي الْجَنَّةِ مِائَةَ دَرَجَةٍ أَعَدَّهَا اللهُ لِلْمُجَاهِدِينَ فِي سَبِيلِهِ كُلُّ دَرَجَتَيْنِ مَا بَيْنَهُمَا كَمَا بَيْنَ السَّمَاءِ وَالأَرْضِ "
" রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ অবশ্যই, জান্নাতে একশ’টি (মর্যাদার) স্তর রয়েছে। এগুলো আল্লাহ্ তাঁর রাস্তায় জিহাদ-কারীদের জন্য প্রস্তুত করে রেখেছেন। প্রতি দু’টি স্তরের মাঝে আসমান ও যমীনের দূরত্ব বিদ্যমান।"[২]
.
আবূ সাঈদ খুদরী (রা.) হতে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ ﷺ বললেন,
" يَا أَبَا سَعِيدٍ مَنْ رَضِيَ بِاللَّهِ رَبًّا وَبِالإِسْلاَمِ دِينًا وَبِمُحَمَّدٍ نَبِيًّا وَجَبَتْ لَهُ الْجَنَّةُ " . فَعَجِبَ لَهَا أَبُو سَعِيدٍ فَقَالَ أَعِدْهَا عَلَىَّ يَا رَسُولَ اللَّهِ فَفَعَلَ ثُمَّ قَالَ " وَأُخْرَى يُرْفَعُ بِهَا الْعَبْدُ مِائَةَ دَرَجَةٍ فِي الْجَنَّةِ مَا بَيْنَ كُلِّ دَرَجَتَيْنِ كَمَا بَيْنَ السَّمَاءِ وَالأَرْضِ " . قَالَ وَمَا هِيَ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ " الْجِهَادُ فِي سَبِيلِ اللَّهِ الْجِهَادُ فِي سَبِيلِ اللَّهِ "
" হে আবূ সাঈদ! যে ব্যক্তি আল্লাহকে রব (প্রতিপালক) রূপে, ইসলামকে দ্বীনরূপে এবং মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে নবীরূপে গ্রহণ করে সন্তুষ্ট, তার জন্যে জান্নাত অবধারিত হয়ে গেল। আবূ সাঈদ (রাযিঃ) তাতে অবাক হয়ে গেলেন এবং বললেন, হে আল্লাহর রসূল! আমার জন্যে কথাটি আবার বলুন। তিনি তাই করলেন, তারপর বললেন, আর একটি আমল এমন রয়েছে, যার দ্বারা বান্দা জান্নাতে এমন একশটি মর্যাদার স্তর লাভ করবে যার দুটো স্তরের মধ্যে ব্যবধান হবে আসমান ও যমীনের ব্যবধান তুল্য। তখন তিনি বললেন, ঐ আমলটি কী, হে আল্লাহর রসূল? তিনি বললেন, আল্লাহর পথে জিহাদ আল্লাহর পথে জিহাদ!" [৩]
.
.
বরং স্বয়ং আল্লাহ্ ﷻ ইনকার করে বলেন প্রয়োজনের সময় জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহর মত পছন্দনীয় আমল আর দুটো নেই। আল্লাহ্ ﷻ বলেন,
" أَجَعَلْتُمْ سِقَايَةَ ٱلْحَآجِّ وَعِمَارَةَ ٱلْمَسْجِدِ ٱلْحَرَامِ كَمَنْ ءَامَنَ بِٱللَّهِ وَٱلْيَوْمِ ٱلْـَٔاخِرِ وَجَـٰهَدَ فِى سَبِيلِ ٱللَّهِ ۚ لَا يَسْتَوُۥنَ عِندَ ٱللَّهِ ۗ وَٱللَّهُ لَا يَهْدِى ٱلْقَوْمَ ٱلظَّـٰلِمِينَ
ٱلَّذِينَ ءَامَنُوا۟ وَهَاجَرُوا۟ وَجَـٰهَدُوا۟ فِى سَبِيلِ ٱللَّهِ بِأَمْوَٰلِهِمْ وَأَنفُسِهِمْ أَعْظَمُ دَرَجَةً عِندَ ٱللَّهِ ۚ وَأُو۟لَـٰٓئِكَ هُمُ ٱلْفَآئِزُونَ
يُبَشِّرُهُمْ رَبُّهُم بِرَحْمَةٍ مِّنْهُ وَرِضْوَٰنٍ وَجَنَّـٰتٍ لَّهُمْ فِيهَا نَعِيمٌ مُّقِيمٌ "
"তোমরা কি হাজীদের পানি পান করানোকে এবং মাসজিদুল হারামের রক্ষণাবেক্ষণ করাকে তাদের সমান সাব্যস্ত করে রেখেছ যারা আল্লাহ ও কিয়ামত দিবসের প্রতি ঈমান আনে ও আল্লাহর পথে জিহাদ করে? তারা আল্লাহর সমীপে সমান নয়; যারা সীমা লঙ্ঘনকারী তাদেরকে আল্লাহ সুপথ প্রদর্শন করেননা।
যারা ঈমান এনেছে ও হিজরত করেছে, আর নিজেদের ধন ও প্রাণ দ্বারা আল্লাহর পথে জিহাদ করেছে তারা মর্যাদায় আল্লাহর কাছে অতি বড়, আর তারাই হচ্ছে পূর্ণ সফলকাম ।
তাদের রাব্ব তাদেরকে নিজের পক্ষ থেকে সুসংবাদ দিচ্ছেন রহমতের ও অতি সন্তুষ্টির, আর এমন জান্নাতের যার মধ্যে তাদের জন্য চিরস্থায়ী নি’আমাত থাকবে। " [৪]
এই আয়াতগুলো অবতরণের প্রেক্ষাপট বর্ণিত হয়েছে সহীহ মুসলিমের একটি হাদিসে,
" قَالَ النُّعْمَانُ بْنُ بَشِيرٍ، قَالَ كُنْتُ عِنْدَ مِنْبَرِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ رَجُلٌ مَا أُبَالِي أَنْ لاَ أَعْمَلَ عَمَلاً بَعْدَ الإِسْلاَمِ إِلاَّ أَنْ أُسْقِيَ الْحَاجَّ . وَقَالَ آخَرُ مَا أُبَالِي أَنْ لاَ أَعْمَلَ عَمَلاً بَعْدَ الإِسْلاَمِ إِلاَّ أَنْ أَعْمُرَ الْمَسْجِدَ الْحَرَامَ . وَقَالَ آخَرُ الْجِهَادُ فِي سَبِيلِ اللَّهِ أَفْضَلُ مِمَّا قُلْتُمْ . فَزَجَرَهُمْ عُمَرُ وَقَالَ لاَ تَرْفَعُوا أَصْوَاتَكُمْ عِنْدَ مِنْبَرِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَهُوَ يَوْمُ الْجُمُعَةِ وَلَكِنْ إِذَا صَلَّيْتُ الْجُمُعَةَ دَخَلْتُ فَاسْتَفْتَيْتُهُ فِيمَا اخْتَلَفْتُمْ فِيهِ . فَأَنْزَلَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ ( أَجَعَلْتُمْ سِقَايَةَ الْحَاجِّ وَعِمَارَةَ الْمَسْجِدِ الْحَرَامِ كَمَنْ آمَنَ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الآخِرِ) الآيَةَ إِلَى آخِرِهَا . "
" নু'মান ইবনু বাশীর (রা) হতে বর্ণিত । তিনি বলেন, একদা আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর মিম্বারের নিকটেই ছিলাম। তখন এক ব্যক্তি বলে উঠলো- ইসলাম গ্রহণের পর যদি আমি আর কোন সৎ কাজই না করি তাতে আমার কোন পরওয়া নেই; তবে আমি হাজীদেরকে পানি পান করাব। অপর একজন বলে উঠলো, মুসলিম হওয়ার পর যদি আমি আর কোন সৎ কাজই না করি তাতে আমার কোন পরোয়া নেই, তবে আমি মাসজিদুল হারামের মেরামত প্রভৃতি করে যাব। অপর একজন বলে উঠলো, আল্লাহর পথে লড়াই তোমরা যা যা বলেছে তার চাইতে উত্তম।
তখন উমর (রা.) তাদেরকে ধমক দিয়ে বলে উঠলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ-এর মিম্বারের নিকটে তোমরা চিৎকার করো না। সেটা ছিল জুমুআর দিন। বরং যখন জুমুআর সালাত হয়ে যাবে, তখন আমি তার নিকটে গিয়ে তোমরা যে ব্যাপারে বিতর্ক করছে তা জিজ্ঞেস করে নেবো, তখন আল্লাহ তা'আলা (সে প্রেক্ষিতে) নাযিল করলেনঃ “যারা হাজীদের পানি সরবরাহ করে এবং মসজিদুল হারামের রক্ষণাবেক্ষণ করে তোমরা কি তাদেরকে ওদের সমান করো, যারা আল্লাহ ও পরকালে ঈমান আনে ..." (সূরা আত-তওবা ৯ঃ ১৯) " [৫]
.
.
বুখারীর (রহঃ) এক বর্ণনায় আছে, একজন লোক বলল, ‘হে আল্লাহর রসূল! আমাকে এমন একটি আমল বাতলে দিন, যা জিহাদের সমতুল্য হবে।’ তিনি বললেন, ‘‘আমি এ ধরনের আমল তো পাচ্ছি না।’’ তারপর তিনি বললেন, ‘‘তুমি কি এরূপ করতে পারবে যে, মুজাহিদ যখন বের হয়ে যাবে, তখন থেকে তুমি মসজিদে ঢুকে অক্লান্ত ভাবে নামাযে নিমগ্ন হবে এবং অবিরাম সিয়াম রাখবে।’’ সে বলল, ‘ও কাজ কে করতে পারবে?’
" نَّ رَجُلاً قَالَ : يَا رَسُولَ اللهِ دُلَّنِي عَلَى عَمَلٍ يَعْدِلُ الجِهَادَ ؟ قَالَ لاَ أَجِدُهُ ثُمَّ قَالَ هَلْ تَسْتَطِيعُ إِذَا خَرَجَ المُجَاهِدُ أَنْ تَدْخُلَ مَسْجِدَكَ فَتَقُوْمَ وَلاَ تَفْتُرَ وَتَصُومَ وَلاَ تُفْطِرَ ؟ فَقَالَ : وَمَنْ يَسْتَطِيعُ ذَلِكَ ؟ " [৬]
.
.
আবূ হুরাইরা (রা.) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ ﷺ-কে জিজ্ঞাসা করা হল, ‘হে আল্লাহর রসূল! আল্লাহর পথে জিহাদ করার সমতুল্য আমল কী? তিনি বললেন, ‘‘তোমরা তা পারবে না।’’ তারা তাঁকে দু’-তিনবার ঐ একই কথা জিজ্ঞাসা করতে থাকল, আর তিনি প্রত্যেক বারে বললেন, ‘‘তোমরা তার ক্ষমতা রাখ না।’’ তারপর বললেন, ‘‘আল্লাহর পথে জিহাদ-কারীর দৃষ্টান্ত ঠিক সেই সিয়াম পালনকারী ও আল্লাহর আয়াত পাঠ ক’রে নামায আদায়কারীর মত, যে সিয়াম রাখতে ও নামায পড়তে আদৌ ক্লান্তিবোধ করে না। (এরূপ ততক্ষণ পর্যন্ত গণ্য হয়) যতক্ষণ না মুজাহিদ জিহাদ থেকে ফিরে আসে।’’
" قِيلَ : يَا رَسُولَ اللهِ مَا يَعْدِلُ الجِهَادَ فِي سَبِيلِ اللهِ ؟ قَالَلاَ تَسْتَطِيعُونَهُفَأَعَادُوا عَلَيْهِ مَرَّتَيْنِ أَوْ ثَلاَثاً كُلُّ ذَلِكَ يَقُولُلاَ تَسْتَطِيعُونَهُ ثُمَّ قَالَمَثَلُ المُجَاهِدِ فِي سَبيلِ اللهِ كَمَثلِ الصَّائِمِ القَائِمِ القَانِتِ بِآيَاتِ اللهِ لاَ يَفْتُرُ مِنْ صِيَامٍ وَلاَ صَلاَةٍ حَتَّى يَرْجِعَ المُجَاهِدُ فِي سَبِيلِ اللهِ " [৭]
.
তিরমিযীতে মুয়ায (রা.) থেকে একটা লম্বা হাদীছ বর্ণিত হয়েছে, যেখানে রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন,
"رَأْسُ الْأَمْرِ الْإِسْلَامُ، وَعَمُودُهُ الصَّلَاةُ، وَذُرْوَةُ سَنَامِهِ الْجِهَادُ"
" কর্মের মূল হচ্ছে ইসলাম, তার স্তম্ভ হচ্ছে নামায এবং তার সর্বোচ্চ চূড়া হচ্ছে জিহাদ। " [৮]
.
ইমাম ইবনু রজব (রহঃ) বলেন, " 'ذروة سنامه' কথা দিয়ে শ্রেষ্ঠত্বতা এবং সর্বোচ্চতা বোঝানো হয়েছে, আর এটা হলো এই কথার দলীল যে ফরয আমলগুলোর পর সর্বশ্রেষ্ঠ আমল (জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহ) যেমনটি বলেছেন ইমাম আহমাদ সহ অনেক উলামারা। "[৯]
.
জিহাদ ও মুজাহিদ সম্পর্কিত আয়াত ও হাদীছ বর্ণনা করার পর ইমাম ইবনু রজব (রহঃ) এই কথাটি বলেন।
.
মুজাহিদরা হলো উম্মতের মধ্যে শ্রেষ্ঠ কেননা, তাদের আমলটি হলো সর্বশ্রেষ্ঠ এবং অধিক সাওয়াবের। তাদের দ্বারাই উম্মাহর ইযযা, মান-সম্মান বৃদ্ধি পায় এবং আমাদের জমিন থাকে সুরক্ষিত । তাদের মাধ্যমেই আমাদের পথ হয় নিরাপদ এবং জমিনে ছড়িয়ে পড়ে আমান। তাদের মাধ্যমেই উম্মাহ বহির শত্রু থেকে থাকে নিরাপদ, তাদের মাধ্যমেই ইলম ও দাওয়াতের পথ হয় প্রশস্ত ও বিস্তৃত। তাদের মাধ্যমেই জমিনে বান্দাদের মধ্যে আল্লাহর কর্তৃত্বের প্রমাণ কায়েম হয়।
.
.
শাইখুল ইসলাম ইবনু তাইমিয়া (রহঃ) বলেন,
"আর জিহাদের ক্ষেত্রে, এর গুরুত্ব ও ফযিলত কুরআন ও সুন্নায় সবচেয়ে বেশি বার বর্ণিত হয়েছে। তাই মানুষের জন্য সর্বোত্তম আমল জিহাদ। উলামা কিরামের মতৈক্য রয়েছে যে, হাজ্জ ও উমরা থেকে জিহাদ উত্তম আমল। নফল সালাত ও সাওম থেকেও উত্তম। যেমনটি এসেছে কুরআন ও সুন্নায়। আল্লাহর রাসুল ﷺ তো বলেই গেছেন, "কর্মের মূল হচ্ছে ইসলাম, তার স্তম্ভ হচ্ছে নামায এবং তার সর্বোচ্চ চূড়া হচ্ছে জিহাদ।"
[১০]
.
শাইখ সুলাইমান আল-আলওয়ান (হা.)-এর ‘معالم في الجهاد‘ থেকে নেওয়া।
_____________________
১/ ( আন- নিসা, ৯৫-৯৬)
২/ (সাহীহ বুখারী, كتاب التوحيد, بَاب {وَكَانَ عَرْشُهُ عَلَى الْمَاءِ} { وَهُوَ رَبُّ الْعَرْشِ الْعَظِيمِ} , ২৭৯০ )
৩/( সাহীহ মুসলিম, كتاب اللإمان , ১৮৮৪)
৪/ ( আত-তাওবা, ১৯-২১)
৫/( সাহীহ মুসলিম, كتاب اللإمان , ১৮৭৯)
৬/ ( সাহীহ বুখারী, كتاب الجهاد و السير, ২৭৮৫)
৭/( সাহীহ মুসলিম, ৪৯৭৭)
৮/ (সুনানু তিরমিযী, ২৬১৬, হাসান-সাহীহ)
৯/ (جامع العلوم والحكم / ٢٤٧ )
১০/ (السياسة الشرعية / ١٠٩ )
Comment