Announcement

Collapse
No announcement yet.

তালিবান মুজাহিদ- সকল সংশয়ের এক সমাধান

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • তালিবান মুজাহিদ- সকল সংশয়ের এক সমাধান

    তালিবান মুজাহিদ- সকল সংশয়ের এক সমাধান

    মূলনীতিঃ একটি রাষ্ট্রের সমরনীতি আর একটি গেরীলা বাহিনীর সমরনীতি এক নয়।


    চলমান সময়ে সবচেয়ে আলোচিত বিষয় হলো- তালেবান মুজাহিদদের বিজয়,
    চায়ের দোকানে,লোকমুখে,টকশোর আলোচনায়,পত্রিকার পাতায় এবং মিডিয়ার বড় বড় শিরোনাম সর্বত্র এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দ্রু হলো, আফগানের তালিবান।
    তাই স্বাভবিকভাবেই তালিবানদের কে নিয়ে নানা পক্ষ-বিপক্ষ দল বিরাজ করছে আমাদের সমাজে, একদল তো হলো নাস্তিক-মুরতাদ যারা নানা ধরনের খোঁড়া যুক্তি দিয়ে শরীয়া কায়েম বা তালিবানদের শাসনের বিরুদ্ধাচারণ করছে।
    তবে দীনদার উম্মাহ দরদিদের মাঝে আরেকটি শ্রেণী হয়েছে, এ শ্রেণীর ভাইয়েরা জিহাদ-তালেবান মুজাহিদদের কে সমর্থন করেন কিন্তুু চলমান সময়ে তালিবানদের বিভিন্ন কুফফার দেশে সফর, গোলটেবিল বৈঠক এবং তাদের বিভিন্ন সিয়াসি বক্তব্য তাদের বোধগম্য হয়না, ফলে এ থেকে তাদের মনে সংশয়ের দানা বেঁধেছে.

    তাই সংশয়ের দানাকে অংকুরেই নিঃশেষ করে দিতে আজকের দু কলম লিখার অবতারণা।

    প্রথমে আমাদের একটি কথা খুব ভালো করে বুঝতে হবে-
    "একটি গেরীলা বাহিনীর সমরণীতি আর একটি রাষ্ট্রের সমরনীতি কখনো এক নয়; এক হতে পারে না"
    সাম্রাজ্যেবাদের গোরস্তানখ্যাত আফগানিস্তানে তালিবান মুজাহিদরা দীর্ঘ কয়েকযুগ ধরে গেরীলা লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন পরাশক্তির বিরুদ্ধে। আমরা সে ইতিহাসের দিকে যাচ্ছি না,কারণ এটা আমাদের আজকের আলোচ্য বিষয় নয়।
    এ দীর্ঘ লড়াইয়ের পর তালিবান মুজাহিদরা এখন একটি রাষ্ট্রের ভীত স্থাপন করতে যাচ্ছেন, তার সূত্র ধরেই বিভিন্ন দেশে উনারা সফর, বৈঠক করছেন এতে শরীয়ার সাথে সাংঘর্ষিক কিছু নেই, এতে বারাআতের প্রাচীরও গুঁড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে না।
    উপরের মূলনীতির আলোকে বহু উদাহরণ সীরাত,ইতিহাস ও সমরনীতির বইয়ে ভরপুর রয়েছে।
    আমি রাসূল সাঃ এর সীরাত থেকে একটি উদাহরণ পেশ করছি, যাতে দেখা যাবে একটি রাষ্ট্রের সমরনীতির এক ধরণ আর একটি গেরীলা বাহিনীর সমরনীতির এক ধরণ।

    রাসূল সাঃ যখন মক্কা থেকে মদীনা হিজরত করেন তার কিছুকাল পর থেকেই তিনি মদিনার পাশ দিয়ে অতিক্রমকারী মক্কার বড় ছোট সকল বানিজ্যিক কাফেলাগুলোতে হামলা করেন এবং সেখান হতে প্রাপ্ত সম্পদগুলোকে গনীমত হিসাবে গ্রহণ করেন এতে করে আল্লাহর নুসরতে মুসলিমদের অর্থনৈতিক চাকা দ্রুত ঘুরতে থাকে।
    কিন্তুু পরক্ষণেই যখন ৮ম হিজরিতে সংঘটিত হয় মদীনা রাষ্ট্রের সাথে মক্কা রাষ্ট্রের ঐতিহাসিক হুদায়বিয়ার সন্ধি, সন্ধির ধারা মুতাবেক রাসূল সাঃ মক্কার বানিজ্যিক কাফেলাগুলোর উপর এ্যাটাক বন্ধ করে দেন, অথচ কিছুদিন আগেও ক্রমাগত উপুর্যপুরি হামলা করে তাদের মনে সবসময় ত্রাস সৃষ্টি করে রেখেছিলেন তিনি।

    এটি হল একটি রাষ্ট্রের সমরনীতি

    এরই বিপরীতে আবু বাছীর রাদিঃ একটি গেরীলা বাহিনী নিয়ে মক্কা টু মদিনা হাইওয়ে রোডের মাঝে ওঁত পেতে থাকেন কুফফারদের বাণিজ্যিক কাফেলার জন্য,এবং দৈনন্দিন তাদের উপর হামলার তীব্রতা বাড়াতে থাকেন, তাদের বানিজ্যিক সম্পদগুলোকে গনিমত বানিয়ে ভোগ করতে থাকেন।
    রাসূল সাঃ এটা জানতে পেরে নিরব ছিলেন,তার মানে তাঁর এই কাজটি মুসলিমদের বৃহত্তর স্বার্থের অনুকূলে শরীয়াসম্মত একটি কাজ ছিল,সেজন্য তাঁর শাহাদাতের পর রাসূল সাঃ তাঁর জন্য দোয়াও করেন।

    হ্যাঁ, এটি হল একটি গেরীলা বাহিনীর সমরণীতি

    খেয়াল করুন- একদিকে রাসূল সাঃ এর সন্ধিচুক্তি; এটি অবশ্যই বৈধ, অপরদিকে আবু বাছীর রাদিঃ এর গেরীলা এ্যাটাক,
    একদিকে একটি রাষ্ট্রের কৌশলি সিয়াসাত
    অপরদিকে একটি গেরীলা বাহিনীর কৌশলি এ্যাটাক
    উভয়টিই ইসলামের জন্য উপকারী সাব্যস্ত হয়েছে এবং উভয়টিই শরীয়তে অনুমোদিত।
    এভাবে আমরা প্রতিটি কাজ নিয়ে যদি একটু ভাবি তাহলেই ইনশাআল্লাহ আমাদের মনে আর সংশয় সৃষ্টি হবে না, মনে রাখবেন যারা শরীয়ার জন্য নিজেদের সারা জীবন কুরবান করছেন, নিজের পরিবার,সম্পদ সব কুরবান করছেন দীনের প্রতি তারা আপনার আমার থেকে বেশীই দরদি হবেন, তাই কারো উপর হুকুম আরোপ ক্ষেত্রে শরীয়ার গৃহীত মূলনীতি অনুসরণ করা চাই - যেকোনো ব্যাক্তি বা গোষ্ঠীর উপর হুকুম লাগানোর ক্ষেত্রে তাদের পূর্বাপর ও বর্তমান অবস্থা জানতে হবে, বিচার-বিশ্লেষণ করতে হবে।
    এই জন্য তালিবান মুজাহিদদের ইস্যুতে আমরা উপরের মূলনীতিটি মনে রাখব ইনশাআল্লাহ তাহলে আমাদের মনের অনেক সংশয় আপনাতেই উবে যাবে-
    "একটি রাষ্ট্রের সমরনীতি আর একটি গেরীলা বাহিনীর সমরনীতি কখনো এক নয়"
    জিহাদই হলো মুমিন ও মুনাফিকের মাঝে
    পার্থক্যকারী একটি ইবাদাহ

  • #2
    আমি বলি কি, আমরা যারা কুফরি শাসনব্যবস্থার অধীনে ভাইদের কাজের ভুল ধরছি আমাদের নিজেদের ঈমানের অবস্থা কী???? উনারা তো একটি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য দিন-রাত কাজ করে যাচ্ছেন। ইউএসকে ন্যাটোকে উনারা যেভাবে মার দিয়েছেন ইতিহাস স্বাক্ষী এই মারের কথা ইউএস ভুলবে না। আমরা দূর থেকে ভাইদের জন্য দুয়া ও আর্থিক সাহায্যের বাড়িয়ে দেওয়া সময়ের অপরিহার্য দাবী, তাছাড়া এটি আমাদের উপর কর্তব্য। আল্লাহ আপনি মুজাহিদ ভাইদের কাজগুলো কবুল করুন আমীন। মুজাহিদ ভাইয়েরা, শহিদ হলে আমাদের মন ভেঙ্গে যায়! বিজয় হলে আমরা খুশি হই। আফগানের জনগণ যেভাবে মুজাহিদ ভাইদের বরণ করে নিচ্ছেন এটি ইতিহাসে বিরল।
    اللهم انی اسلک الهدی والتفی والعفافی والغناء

    Comment


    • #3
      জাযাকাল্লাহ, উপকারী একটা পোষ্ট

      Comment


      • #4
        আমি আমার তালেবান মুজাহিদ ভাইদের প্রতি এমনই ধারনা পোষন করি যতই শুনি তারা হকের উপর রয়েছে ততই হৃদয়টা প্রশান্তিতে ভরে যায়।
        পৃথিবীর রঙ্গে রঙ্গিন না হয়ে পৃথিবীকে আখেরাতের রঙ্গে রাঙ্গাই।

        Comment


        • #5
          "একটি রাষ্ট্রের সমরনীতি আর একটি গেরীলা বাহিনীর সমরনীতি কখনো এক নয়"
          অনেক জরুরী আলোচনা পেশ করেছেন প্রিয় ভাই। এরকম আরো লেখা পেশ করে উম্মাহকে উপকৃত করবেন। ইনশাআল্লাহ
          আল্লাহ ভাইয়ের ইলমে ও আমলে বারাকাহ দান করুন। আমিন
          গোপনে আল্লাহর অবাধ্যতা থেকে বেঁচে থাকার মধ্যেই রয়েছে প্রকৃত সফলতা ৷

          Comment


          • #6
            মাশাআল্লাহ, সুন্দর কথা বলেছেন ভাই, জাযাকাল্লাহ
            ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

            Comment


            • #7
              আলহামদুলিল্লাহ অতি গুরুত্বপুর্ণ আলোচনা মুহতারাম ভাই।

              Comment

              Working...
              X