বাংলাদেশি এক মুজাহিদের হিজরতের
বাস্তব গল্প
সব প্রস্তুতি সম্পুর্ণ করার জন্য আবু ফাতিমা
কিছু দিনের সময় চাইলো। তার হাতে এখন
অনেক কাজ। নিজস্ব ছোট্ট ব্যাবসাটাকে
গুছিয়ে নিতে হবে দ্রুত।
আবু ফাতিমার ১ম বউতো ২ সন্তান সহ তার
বাসাতেই থাকে তার মা বাবার সাথে।
কিন্তু ২য় বউ থাকে ভাড়া বাসায়।
বিয়ে হয়েছে মাত্র ৮ মাস!
তাকে কি বলে যাবে? কি সান্ত্বনা দিবে?
আর রাখবেই বা কোথায়?
এসব চিন্তায় পেরশান হয়ে ২য় স্ত্রীকে জানালো সব।
আলহামদুলিল্লাহ ২য় স্ত্রী খুব সহজেই তর
তার প্রিয়তমকে আল্লাহ তায়ালার উদ্দেশ্যে
কোরবানি করার জন্য রাজি হয়ে গেলো!
এদিকে প্রথম স্ত্রী যখন কিছুটা বুঝতে পারলো
যে আবু ফাতিমা হিজরত করতে পারে তখন সে
তাকে প্রস্তাব করালো যে সে তার সতিনকে মেনে নিচ্ছে
সেই সাথে আবু ফাতিমা যদি আরো ২ জনকেও বিয়ে করে
তাতেও তার কোন আপত্তি নেই।
তবুও যেন সে তাদের ছেড়ে হিজরতে না যায়!
শুরু হলো দুনিয়ার চাকচিক্য, লোভ, আর মায়া মমতার ধোকা!
যে দিন বাসা থেকে বের হয়ে যাবে আবু ফাতিমা,
কিভাবে যেন ১ম বউয়ের মনে জানা হয়ে গেল।
অথচ সে কোন কাপড়চোপড় বা ব্যাগ কিছুই নেয়নি,
সাথে নেয়ার জন্য।
এক পোষাকেই বের হওয়ার জন্য যখন রেডি হলো
ঠিক তখনি তার বউ দুপায়ে জড়িয়ে ধরে
সে কি কান্না শুরু করে দিলো!
আবু ফাতিমা অনেক কষ্টে নিজের কান্না আটকিয়ে রাখলো।
এই সময় তার মনে পড়ে গেলো আল্লাহ তায়ালার সেই বাণীঃ-
বল, ‘তোমাদের পিতা, তোমাদের সন্তান, তোমাদের স্ত্রী,
তোমাদের গোত্র, তোমাদের সে সম্পদ
যা তোমরা অর্জন করেছ, আর সে ব্যবসা
যার মন্দা হওয়ার আশঙ্কা তোমরা করছ
এবং সে বাসস্থান, যা তোমরা পছন্দ করছ,
যদি তোমাদের কাছে অধিক প্রিয় হয় আল্লাহ,
তাঁর রাসূল ও তাঁর পথে জিহাদ করার চেয়ে,
তবে তোমরা অপেক্ষা কর আল্লাহ তাঁর
নির্দেশ নিয়ে আসা পর্যন্ত’।
আর আল্লাহ ফাসিক সম্প্রদায়কে হিদায়াত করেন না।
বের হওয়ার সময় বলেছে এক আত্মিয়ের বাড়ি যাচ্ছে।
অথচ আবু ফাতিমা ঠিকই জানতো এটাই হয়তো
চীরবিদায়। প্রিয় ২ সন্তন বা মা বাবা কাউকেই
শেষ বারের মত দেখে নেয়নি। কাউকেই সে এখন
মায়ার বাধনে জড়াতে চায়না বিদায় বেলায়।
বাস্তব গল্প
সব প্রস্তুতি সম্পুর্ণ করার জন্য আবু ফাতিমা
কিছু দিনের সময় চাইলো। তার হাতে এখন
অনেক কাজ। নিজস্ব ছোট্ট ব্যাবসাটাকে
গুছিয়ে নিতে হবে দ্রুত।
আবু ফাতিমার ১ম বউতো ২ সন্তান সহ তার
বাসাতেই থাকে তার মা বাবার সাথে।
কিন্তু ২য় বউ থাকে ভাড়া বাসায়।
বিয়ে হয়েছে মাত্র ৮ মাস!
তাকে কি বলে যাবে? কি সান্ত্বনা দিবে?
আর রাখবেই বা কোথায়?
এসব চিন্তায় পেরশান হয়ে ২য় স্ত্রীকে জানালো সব।
আলহামদুলিল্লাহ ২য় স্ত্রী খুব সহজেই তর
তার প্রিয়তমকে আল্লাহ তায়ালার উদ্দেশ্যে
কোরবানি করার জন্য রাজি হয়ে গেলো!
এদিকে প্রথম স্ত্রী যখন কিছুটা বুঝতে পারলো
যে আবু ফাতিমা হিজরত করতে পারে তখন সে
তাকে প্রস্তাব করালো যে সে তার সতিনকে মেনে নিচ্ছে
সেই সাথে আবু ফাতিমা যদি আরো ২ জনকেও বিয়ে করে
তাতেও তার কোন আপত্তি নেই।
তবুও যেন সে তাদের ছেড়ে হিজরতে না যায়!
শুরু হলো দুনিয়ার চাকচিক্য, লোভ, আর মায়া মমতার ধোকা!
যে দিন বাসা থেকে বের হয়ে যাবে আবু ফাতিমা,
কিভাবে যেন ১ম বউয়ের মনে জানা হয়ে গেল।
অথচ সে কোন কাপড়চোপড় বা ব্যাগ কিছুই নেয়নি,
সাথে নেয়ার জন্য।
এক পোষাকেই বের হওয়ার জন্য যখন রেডি হলো
ঠিক তখনি তার বউ দুপায়ে জড়িয়ে ধরে
সে কি কান্না শুরু করে দিলো!
আবু ফাতিমা অনেক কষ্টে নিজের কান্না আটকিয়ে রাখলো।
এই সময় তার মনে পড়ে গেলো আল্লাহ তায়ালার সেই বাণীঃ-
বল, ‘তোমাদের পিতা, তোমাদের সন্তান, তোমাদের স্ত্রী,
তোমাদের গোত্র, তোমাদের সে সম্পদ
যা তোমরা অর্জন করেছ, আর সে ব্যবসা
যার মন্দা হওয়ার আশঙ্কা তোমরা করছ
এবং সে বাসস্থান, যা তোমরা পছন্দ করছ,
যদি তোমাদের কাছে অধিক প্রিয় হয় আল্লাহ,
তাঁর রাসূল ও তাঁর পথে জিহাদ করার চেয়ে,
তবে তোমরা অপেক্ষা কর আল্লাহ তাঁর
নির্দেশ নিয়ে আসা পর্যন্ত’।
আর আল্লাহ ফাসিক সম্প্রদায়কে হিদায়াত করেন না।
বের হওয়ার সময় বলেছে এক আত্মিয়ের বাড়ি যাচ্ছে।
অথচ আবু ফাতিমা ঠিকই জানতো এটাই হয়তো
চীরবিদায়। প্রিয় ২ সন্তন বা মা বাবা কাউকেই
শেষ বারের মত দেখে নেয়নি। কাউকেই সে এখন
মায়ার বাধনে জড়াতে চায়না বিদায় বেলায়।
Comment