Announcement

Collapse
No announcement yet.

-- মু'মিন একই গর্তে দুইবার ধ্বংসিত হয়না--

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • -- মু'মিন একই গর্তে দুইবার ধ্বংসিত হয়না--

    এদেশে ইসলাম নিয়ে কটুক্তি(কটূক্তি) করা, আমাদের আত্মার স্পন্দন রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে গালি দেওয়া, কোরআন অবমাননা করা নতুন নয়। এর আগেও এসব ঘটনা ঘটেছে। ক্ষণে ক্ষণে এই প্রেতাত্মাগুলো জেগে উঠেছে।
    আবার ঠিক এই জাহান্নামের কিটগুলোর মুকাবিলায় তৌহিদী জনতা বিভিন্ন ভাবে প্রতিবাদ প্রতিরোধ করেছে। কখনো শান্তিপূর্ণ মিছিল করে, কখনো মানব-বন্ধন করে, কখনো ঘেরাও কর্মসূচি সহ দাবী দাওয়া উপস্থাপন এর মাধ্যমে। আবার কখনো নববী তরিকায়। কিন্তু বিগত এক দশকধরে বর্তমান ক্ষমতাশীনদের(ক্ষমতাসীনদের) আমলে এই পরিস্থিতি ভিন্ন দিকে মোড় নিয়েছে৷ সচেতন ব্যক্তি ছাড়া যা অধিকাংশই আমরা বুঝতে ব্যর্থ হয়েছি। পরিস্থিতির আবহ পরিবর্তন এর কারণে নানা মহল থেকে নানা প্রশ্ন এসেছে, এসবের কারণ কি? কারা করছে? কেন করছে? আমাদের করণীয় কি ইত্যাদি। আমরা এখানে ভাইদের খেদমতে অত্যান্ত(অত্যন্ত) সংক্ষেপে দুই চারটি পয়েন্ট নিয়ে কিছু আরজ করার চেস্টা(চেষ্টা) করব ইনশাআল্লাহ। ওমা তাওফীকি ইল্লা বিল্লাহ।

    🔰 কে বা কারা বারবার ইসলামকে আক্রমণ করছে?
    ইসলাম নিয়ে বারবার আক্রমণ করে মুসলিমদের আঘাত দুই শ্রেণীর পক্ষ থেকে হয়ে থাকেঃ
    ১- কোন ব্যক্তি কেন্দ্রীক(কেন্দ্রিক) আক্রমণ। চাই সে কোন মুসলমানের ঘরে জন্ম হোক, বা ভিন্ন ধর্মাবলম্বী হোক।
    ২- নির্দিষ্ট কোন দল/সংগঠন/কোন বাহিনী কতৃক(কর্তৃক) আক্রমণ।

    যদি এই শাতেমে রাসূল(রাসূলকে গালি-দাতা) বা ইসলাম অবমাননাকারী ব্যক্তি শুধু নিজ আক্রোশের কারণে এমন জগণ্য কাজ করে তাহলে সেটা শুধু ব্যক্তি পর্যায়ের থাকে এবং সাধারণত তা উদ্দেশ্যহীন থাকে। এতে লাভ ক্ষতির পাল্লাটাও সীমিত।
    আর যদি এই কাজটি কোন সংগঠন কারো দ্বারা করিয়ে থাকে তাহলে তার পূর্বাপর বিবেচনা করে আমাদের করণীয় ঠিক করতে হবে৷ কারণ এর লাভ-ক্ষতি, এর প্রভাব অনেক দূর পর্যন্ত যেতে পারে। বস্তুত বর্তমানে এই কাজটি নির্দিষ্ট গ্রুপ কতৃক(কর্তৃক) উদ্দেশ্যে প্রণোদিত ভাবেই বেশি হচ্ছে। আর তারা হল হলঃ
    - 'র' ও তাদের এজেন্ট।
    - এদেশীয় সংখ্যালুগু(সংখ্যালঘু) সংগঠন যেমন ইস্কন।
    - ক্ষমতাশীন(ক্ষমতাসীন) দল।
    - বিরোধী দল।

    🔰সম্ভাব্য যে সকল উদ্দেশ্যে তারা এই কাজটি করে থাকেঃ
    *- এদেশে র এর প্রধান কাজ হল অখন্ড(অখণ্ড) ভারত প্রতিষ্ঠার পথ সুগম করা। আর এদেশে সাম্প্রদায়িক পরিস্থিতি যত ঘোলাটে করা যাবে, ওদের জন্য এদেশে আক্রমণ, হিন্দুদের দেশ বিরোধী কাজে ব্যবহার ইত্যাদি অনেক বেশি সহজ হবে। দেশে প্রবেশের চুক্তি তো আগেই করা হয়ে গেছে।
    *- দেশকে সাম্প্রদায়িক দেশ হিসেবে প্রমাণ করা গেলে ভারতের বিশাল উপকার। কারণ এর কারণে দেশের অর্থনীতির উপর অনেক নেতিবাচক প্রভাব পড়ে৷
    *- ক্ষমতাশীন(ক্ষমতাসীন) দল মাঝে মাঝে নাটক সাজিয়ে কিছু তৌহিদী জনতাকে বিনা কারণে হত্যা করে, এতে তারা ভারতের আস্থাশীল হয় এবং আন্তর্জাতিকভাবে তাদের ক্ষমতা মজবুত হয়।
    *- বিরোধীদল কখনো কখনো আন্দোলন চাঙা করতে মুসলমানদের দুর্বলতাকে ব্যবহার করে।
    *- সংখ্যালুগু বিশেষত হিন্দুরা নিজেরাও নিজেদের ঘর বাড়ি আগুন লাগিয়ে, মুর্তি(মূর্তি)-মন্দির ভাঙচুর করে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিল করে। সরকার থেকে নিরাপত্তার নাম দিয়ে অস্ত্র সংরক্ষণের লাইসেন্স নেয়। সিস্টেম টা অনেকটা ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির মত করে ক্ষমতা দখলের পায়তারা।
    *- ইসকন এর মত সংখ্যালুগু সংগঠন গুলো নিজেদের সংগঠনকে মজবুত করতে, সংখ্যালুগুদের(সংখ্যালঘুদের)( সংগঠিত করতে ওদেরকে মুসলিম ভয় দেখানোর জন্য নিজেরা এই কাজ করে। কারণ তারা যদি নিজেদেরকে অনিরাপদ মনে করে, তাহলে এরা সংগঠিত হতে বাধ্য হবে৷

    🔰 আমাদের করণীয় কি?
    আমাদের করণীয় কি তা জানতে একটু পিছন থেকে ঘুরে আসি৷ অতিতে এই জাহান্নামী কিটদের বিরুদ্ধে আন্দোলন এর কারণে আমাদের অনেক ভাই নিহত হয়েছে, আহত হয়েছে অসংখ্য। মামলা হামলার শিকার হয়েছে অগণিত। বাড়ি ছাড়া হয়েছে কতজন তার হিসেব নেই। রংপুরের লাল মনির হাট থেকে ভোলা কিংবা বর্তমান ঘটনা পর্যন্ত এর দৃষ্টান্ত ভুরি ভুরি। কিন্তু আজ পর্যন্ত একটা অপরাধীরও শাস্তি হয়নি। আমাদের সকল আন্দোলন, মিটিং-মিছিল, মানব-বন্ধন, দাবী দাওয়া ব্যার্থ(ব্যর্থ) হয়েছে। এখানে ভুলটা আমাদের ই। যে আইন এই নাস্তিকদের নিরাপত্তা দেয়, আমরা সেই আইনের কাছে এদের বিরুদ্ধে বিচার চেয়েছি। যারা এদের আশ্রয় দেয়, যাদের ছত্র ছায়ায় এই কাজ হয়, তাদেরি কাছে দাবি পেশ করেছি। আমরা বারবার ধোঁকা খেয়েছি৷ একই গর্তে বারবার ধ্বংসিত হয়েছি। অথচ মুমিন একই গর্তে দুবার ধ্বংসিত হয়না। হায়! আমাদের যদি একটু বিবেক থাকত। সাবধান ওদের ফাঁদে পা দেওয়া থেকে।
    এতে যে ক্ষতিটা হয়েছে তা হল বারবার আমাদের অসহায়ত্ব ফুটে উঠেছে । প্রমাণিত হয়েছে আমরা ইসলামের সম্মান রক্ষায় ব্যর্থ। রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সম্মান অরক্ষিত হয়েগেছে। এ ছিল বিগত প্রতিবাদের একটা পদ্ধতির ফলাফল।
    আরেকটি পদ্ধতি ছিল নববী তরিকায় প্রতিরোধ। মুহাম্মাদ বিন মাসলামার মত ওদেরকে তাদের প্রাপ্য বুঝিয়ে দেওয়া। ২০১৩ পরবর্তী সময়ে এই মহৎ কাজটি ব্যপক(ব্যাপক) হয়েছে। আমরা দেখেছি তখন ঐ জাহান্নামের কিট দের কি অবস্থা হয়েছিল। সরকার নিজ খরচে ওদেরকে বিদেশ পাঠিয়ে নিরাপত্তা দিয়েছে। আসলে এটাই কার্যকর পদ্ধতি।

    তাহলে আমাদের করণীয় হলঃ
    অস্থায়ীঃ মুহাম্মাদ বিন মাসলামার মত কার্যকরী অপারেশন করা।
    স্থায়ীঃ কুফরের আশ্রয় দানকারী রাষ্ট্র ব্যবস্থা পরিবর্তন করে শরীয়াহ প্রতিষ্ঠা করা, তার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করা।

    🔰কেন নববী পন্থা সঠিকঃ
    উপরে আমরা আলোচনা করেছি কে বা কারা কি উদ্দেশ্য এই কাজটি করে। যদি মিটিং -মিছিল, আন্দোলন, ভাঙচুর করা হয়, তাহলে ওরা তাদের উদ্দেশ্য শতভাগ সফল। লাভ পুরোপুরি তাদের ই। আমাদের শুধু শুধু জানমালের অনর্থক ক্ষতি।

    আর যদি কোন চেতনাদারী একজন ব্যক্তি মুহাম্মাদ বিন মাসলামার মত দাড়িয়ে যায়, ওদেরকে তাদের যথাযথ প্রাপ্য বুঝিয়ে দেয় , তাহলে যে যেই উদ্দ্যেশ্যেই(উদ্দেশ্যেই) করুক, যে উদ্দেশ্যেই সাম্প্রদায়িক উস্কানি দিক, তা সম্পূর্ণ ব্যার্থ(ব্যর্থ) হবে। কারণঃ
    -অপরাধী শাস্তি ফেলে কেউ তার পক্ষ নিয়ে সাম্প্রদায়িক অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে পারবে না।
    -সামনে এমন কাজ করার আগে শতবার ভাবতে বাধ্য হবে।
    - ক্ষমতাসীন বা বিরোধীদলের কোন ফায়দা হবে না।
    - মানুষ বুঝবে সংখ্যালুগু(সংখ্যালঘু) অনিরাপদ নয়, বরং অপরাধীই অনিরাপদ। ফলে 'র' বা তাদের এজেন্টদের উদ্দেশ্য ব্যহত হবে।

    🔰আছে কি কোন নওজোয়ান?
    একটা ইসলাম অবমাননাকারীর জন্য জীবন উৎসর্গকারী একজন মর্দে মুমিন যথেষ্ট। যে ফাঁসির দড়িতে ঝুলতে প্রস্তুত। যে শাহাদাতের তীব্র আকাঙ্খা(আকাঙ্ক্ষা) রাখে। আছে কি কোন নওজোয়ান? আছে কি কোন শাহাদাত পিয়াসি? বুঝিয়ে দাও ওদেরকে তাদের পাওনা।

  • #2
    প্রতিটি পদক্ষেপ নিপুণভাবে নিতে হবে। সবদিকের ফলাফল যাচাই করে সামনে আগাতে হবে।

    Comment


    • #3
      মাশাআল্লাহ, খুব সুন্দর আলোচনা করেছেন ভাই। জাযাকাল্লাহু খাইরান।
      নিয়মিত এই ধরনের পোস্ট দিয়ে আমাদেরকে উপকৃত করবেন আশা করি।
      ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

      Comment


      • #4
        মাশাল্লাহ! ভাই চমৎকার লিখেছেন।আল্লাহ ভাইয়ের কলমকে আরো মজবুত করে দিন এবং উম্মাহকে উপকৃত করুন।
        এসো জিহাদের পথে! এসো তাওহীদের ছায়াতলে!

        Comment

        Working...
        X