সকল প্রশংসা শুধু মাত্র মহান রাব্বুল আলামিনের দরবারে যিনি আমাদের কে দ্বীনের সহীহ বুঝ দান করছেন৷
আমি একথার সাক্ষ্য দিতেছি যে আল্লাহ ছাড়া আর কোনো সত্য ইলাহ নেই। আল্লাহ ছাড়া আর কারো হুকুম/বিধান/আইন মানা বৈধ নয় এবং আমি আরো সাক্ষ্য দিতেছি মুহাম্মদ (স) আল্লাহর প্রেরিত বান্দা ও রাসুল।
গত পর্বে আলোচনা করেছিলাম শাহাদাতের কিছু অগোছালো কথা দিয়ে। আমার কথা গুলো কিছুটা অগোছালো হতে পারে। কারণ আমি ছোট মানুষ। এলেমের দিক দিয়েও খুবই দুর্বল। এই জন্য প্রথমেই পাঠক ভাইদের কাছে মাফ চেয়ে নিচ্ছি। আল্লাহর ওয়াস্তে আপনাদের এই ছোট ভাইকে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
ভুল ত্রুটি হলে ভুল ধরিয়ে দিবেন। ইনশাআল্লাহ নিজেকে শুদ্ধ করে নিব।
আসুন এখন ফিরে যাই মূল আলোচনায়।
সুবহানাল্লাহ!! আল্লাহর তায়ালার কত রহমত যে তিনি আমাদেরকে জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহর মতোন(মতো) এত মহান কাজের বুঝ দান করেছেন । আল্লাহর কাছে দোয়া করি এই পথে যেন আজীবন অটুট রাখেন এবং শাহাদের সুধা পান করার তৌফিক দান করেন। আমিন।
সুবহানাল্লাহ!! চলুন একটা কথা চিন্তা করা যাক,,
দেখুন ভাইজান জীবনে অনেক মানুষের জানাজার নামাজ আমরা পড়েছি কিন্তু আমরা কয়জন ই বা আছি যারা শহীদি ভাইয়ের জানাজা পড়েছি।
#জীবনে দেখতেও পারি নাই শহীদি ভাইয়ের রক্তাক্ত দেহ মোবারক।
#দেখতে পারি নাই শহীদি ভাইয়ের মুখের হাসি।
#ঘ্রান নিতে পারি নাই শহীদি ভাইয়ের থেকে নির্গত হওয়া মেশকে আম্বরের ঘ্রান।
#দেখতে পারি নাই তার নূরানি চেহারা মোবারক।
আহ হৃদয়টা বার বার কেদে(কেঁদে) যায় জান্নাতের সবুজ পাখিদের দেখার জন্য।
দেখতে মনে চায় অমর হয়ে থাকা ভাইদের যাদেরকে আল্লাহ মৃত বলতে নিষেধ করেছেন।
সুবহানাল্লাহ!! শহীদি ভাইদেরকে কোনো গোসল দেওয়া হয় না তাদের শরীর থেকে কাপড় খোলা হয় না রক্তমাখা কাপড়েই তাদের দাফন দেওয়া হয়।
কিন্তু যদিও বাজ্যিক(বাহ্যিক) দৃষ্টিতে আমরা দেখি কত কষ্টের মৃত্যু কিন্তু বাস্তবে কোনো কষ্ট ই তাদের হয় না। সুবহানাল্লাহ।
আর আমরা দেখতে পাই একজন বুযুর্গ ব্যাক্তি(ব্যক্তি) মারা গেলে আমরা ভাবি তার বুঝি কষ্ট হয় নাই কিন্তু বাস্তবে এই বুযুর্গ ব্যাক্তি অবশ্যই মৃত্যু নামক কষ্টের স্বাদ আস্বাদন করেছে।
কেননা হাদিসে বর্ণিত আছে একমাত্র শহীদ ব্যাতিত(ব্যতীত) জান্নাত থেকে আর কেউ দুনিয়াতে আসতে চাইবে না মৃত্যুর এত কষ্ট।
এখন আসুন একটু জিজ্ঞেস করি নিজেকে আসলে আমি কি চাই?
★আমি কি চাই মৃত্যু নামক কষ্ট টাকে ভোগ করতে নাকি অমর হয়ে থাকতে?
★আমি কি চাই মৃত্যুর পর আমার দেহ থেকে জামা খোলা হোক নাকি জামা যুক্ত অবস্থায় দাফন দেওয়া হোক?
★আমি কি চাই শরীরে কোনো চিহ্ন ব্যাতিত(ব্যতীত) রবের সাথে মিলিত হতে নাকি আল্লাহর দ্বীনের জন্য রক্ত মাখা গায়ে দেখা করতে?
★আমি কি চাই কবরে শুয়ে থেকে জান্নাতের হাওয়া খেতে নাকি জান্নাতের সবুজ পাখি হয়ে রবের রিযিকপ্রাপ্ত হতে?
★আমি কি চাই? হাশরের ময়দানে সাধারণ মুসলিমের কাতারে দাড়াতে(দাঁড়াতে) নাকি আল্লাহর নবীর সাড়ে বায়ান্ন হাজারের উপরে অধিক শহিদী সাহাবিদের সাথে দাড়াতে(দাঁড়াতে)?
সুবহানাল্লাহ আমরা সবাই চাই শাহাদাতের অমৃত সুধা পান করতে। আল্লাহ কবুল করুক।
প্রিয় ভাই যখন কোনো বুযুর্গ ব্যাক্তি(ব্যক্তি) মারা যাবে তাকে কিন্তু গোসল দেওয়া হবে, দেহ থেকে কাপড় খোলা হবে,হাজার হাজার লক্ষ লক্ষ মানুষ তার জানাজা পড়বে।
আর যখন কোনো ভাই শহিদ হবে তাকে গোসল দেওয়া হবে না তার দেহ থেকে কাপড়া খোলা হবে না লক্ষ লক্ষ মানুষ তার জানাজায় হবে না। সুবহানাল্লাহ।
কেননা শহিদ হওয়া ভাই তো মৃত না সে তো রবের নিকট অমর।
সুবহানাল্লাহ শহিদী ভাইয়ের দেহ কেউ দেখবে না।
রক্তমাখা কাপড় নিয়ে রবের সামনে দাঁড়াবে আর বুযুর্গ ব্যাক্তি(ব্যক্তি) দাঁড়াবে ছলেহীন বান্দাদের সারিতে আর শহিদী ব্যাক্তি(ব্যক্তি) দাড়াবে শহীদগনের(গণের) কাতারে।
যাদের মর্যাদা হচ্ছে প্রথম নবী পরে সিদ্দিক পরে শহীদ পরে ছলেহীন।
সুতরাং শহিদ ভাইয়ের মর্যাদা অপরিসীম।
আমি সাধারণ মৃত্যুকে অবহেলা করতেছি না। [নিচে একটা নোট আছে]
আল্লাহ মাফ করেন।
আমরা সবাই চাই সকলে মিলে মিশে যেন জান্নাতে থাকি ইনশাআল্লাহ।
আল্লাহ আমাদেরকে জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহর রাস্তায় অটুট রাখুক এবং শাহাদের সুধা পান করার তৌফিক দান করুক।। আমিন।
সকলের কাছে দোয়া পার্থী আল্লাহ যেন আমাকে সহ সকল ভাইকে জিহাদের রণাঙ্গনে যুক্ত হবার তোফিক দান করে আমিন। ইয়া রব্বাল আলামিন।
নোটঃ [খালিদ বিন ওয়ালিদ (রা) কিন্তু শহিদ না। আরো অনেক সাহাবী শহিদ না। কিন্তু প্রত্যেকে জিহাদ করেছে। বরং আল্লাহ রাসুল (স)(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) দুইজন সাহাবির কথা উল্লেখ করেন। যার মধ্যে একজন শহীদ অপর জন শহিদ না। কিন্তু শহিদ ব্যাক্তির(ব্যক্তির) চেয়ে ঐ সাহাবির মর্যাদা বেশি হবে। কারণ দুই সাহাবি ই জিহাদের রণাঙ্গনের ছিলেন এর মধ্যে একজন শহিদ হন আর অপর জন বেচে(বেঁচে) যান। যিনি শহিদ ব্যাক্তির(ব্যক্তির) থেকে নামাজ রোজা এবং আরো ইবাদত করার সুযোগ বেশি পান যার ফলে শহিদী হওয়া সাহাবির চেয়ে এই সাহাবির মর্যাদা/র*্যাংক টা বেশি হবে ]
আমি একথার সাক্ষ্য দিতেছি যে আল্লাহ ছাড়া আর কোনো সত্য ইলাহ নেই। আল্লাহ ছাড়া আর কারো হুকুম/বিধান/আইন মানা বৈধ নয় এবং আমি আরো সাক্ষ্য দিতেছি মুহাম্মদ (স) আল্লাহর প্রেরিত বান্দা ও রাসুল।
গত পর্বে আলোচনা করেছিলাম শাহাদাতের কিছু অগোছালো কথা দিয়ে। আমার কথা গুলো কিছুটা অগোছালো হতে পারে। কারণ আমি ছোট মানুষ। এলেমের দিক দিয়েও খুবই দুর্বল। এই জন্য প্রথমেই পাঠক ভাইদের কাছে মাফ চেয়ে নিচ্ছি। আল্লাহর ওয়াস্তে আপনাদের এই ছোট ভাইকে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
ভুল ত্রুটি হলে ভুল ধরিয়ে দিবেন। ইনশাআল্লাহ নিজেকে শুদ্ধ করে নিব।
আসুন এখন ফিরে যাই মূল আলোচনায়।
সুবহানাল্লাহ!! আল্লাহর তায়ালার কত রহমত যে তিনি আমাদেরকে জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহর মতোন(মতো) এত মহান কাজের বুঝ দান করেছেন । আল্লাহর কাছে দোয়া করি এই পথে যেন আজীবন অটুট রাখেন এবং শাহাদের সুধা পান করার তৌফিক দান করেন। আমিন।
সুবহানাল্লাহ!! চলুন একটা কথা চিন্তা করা যাক,,
দেখুন ভাইজান জীবনে অনেক মানুষের জানাজার নামাজ আমরা পড়েছি কিন্তু আমরা কয়জন ই বা আছি যারা শহীদি ভাইয়ের জানাজা পড়েছি।
#জীবনে দেখতেও পারি নাই শহীদি ভাইয়ের রক্তাক্ত দেহ মোবারক।
#দেখতে পারি নাই শহীদি ভাইয়ের মুখের হাসি।
#ঘ্রান নিতে পারি নাই শহীদি ভাইয়ের থেকে নির্গত হওয়া মেশকে আম্বরের ঘ্রান।
#দেখতে পারি নাই তার নূরানি চেহারা মোবারক।
আহ হৃদয়টা বার বার কেদে(কেঁদে) যায় জান্নাতের সবুজ পাখিদের দেখার জন্য।
দেখতে মনে চায় অমর হয়ে থাকা ভাইদের যাদেরকে আল্লাহ মৃত বলতে নিষেধ করেছেন।
সুবহানাল্লাহ!! শহীদি ভাইদেরকে কোনো গোসল দেওয়া হয় না তাদের শরীর থেকে কাপড় খোলা হয় না রক্তমাখা কাপড়েই তাদের দাফন দেওয়া হয়।
কিন্তু যদিও বাজ্যিক(বাহ্যিক) দৃষ্টিতে আমরা দেখি কত কষ্টের মৃত্যু কিন্তু বাস্তবে কোনো কষ্ট ই তাদের হয় না। সুবহানাল্লাহ।
আর আমরা দেখতে পাই একজন বুযুর্গ ব্যাক্তি(ব্যক্তি) মারা গেলে আমরা ভাবি তার বুঝি কষ্ট হয় নাই কিন্তু বাস্তবে এই বুযুর্গ ব্যাক্তি অবশ্যই মৃত্যু নামক কষ্টের স্বাদ আস্বাদন করেছে।
কেননা হাদিসে বর্ণিত আছে একমাত্র শহীদ ব্যাতিত(ব্যতীত) জান্নাত থেকে আর কেউ দুনিয়াতে আসতে চাইবে না মৃত্যুর এত কষ্ট।
এখন আসুন একটু জিজ্ঞেস করি নিজেকে আসলে আমি কি চাই?
★আমি কি চাই মৃত্যু নামক কষ্ট টাকে ভোগ করতে নাকি অমর হয়ে থাকতে?
★আমি কি চাই মৃত্যুর পর আমার দেহ থেকে জামা খোলা হোক নাকি জামা যুক্ত অবস্থায় দাফন দেওয়া হোক?
★আমি কি চাই শরীরে কোনো চিহ্ন ব্যাতিত(ব্যতীত) রবের সাথে মিলিত হতে নাকি আল্লাহর দ্বীনের জন্য রক্ত মাখা গায়ে দেখা করতে?
★আমি কি চাই কবরে শুয়ে থেকে জান্নাতের হাওয়া খেতে নাকি জান্নাতের সবুজ পাখি হয়ে রবের রিযিকপ্রাপ্ত হতে?
★আমি কি চাই? হাশরের ময়দানে সাধারণ মুসলিমের কাতারে দাড়াতে(দাঁড়াতে) নাকি আল্লাহর নবীর সাড়ে বায়ান্ন হাজারের উপরে অধিক শহিদী সাহাবিদের সাথে দাড়াতে(দাঁড়াতে)?
সুবহানাল্লাহ আমরা সবাই চাই শাহাদাতের অমৃত সুধা পান করতে। আল্লাহ কবুল করুক।
প্রিয় ভাই যখন কোনো বুযুর্গ ব্যাক্তি(ব্যক্তি) মারা যাবে তাকে কিন্তু গোসল দেওয়া হবে, দেহ থেকে কাপড় খোলা হবে,হাজার হাজার লক্ষ লক্ষ মানুষ তার জানাজা পড়বে।
আর যখন কোনো ভাই শহিদ হবে তাকে গোসল দেওয়া হবে না তার দেহ থেকে কাপড়া খোলা হবে না লক্ষ লক্ষ মানুষ তার জানাজায় হবে না। সুবহানাল্লাহ।
কেননা শহিদ হওয়া ভাই তো মৃত না সে তো রবের নিকট অমর।
সুবহানাল্লাহ শহিদী ভাইয়ের দেহ কেউ দেখবে না।
রক্তমাখা কাপড় নিয়ে রবের সামনে দাঁড়াবে আর বুযুর্গ ব্যাক্তি(ব্যক্তি) দাঁড়াবে ছলেহীন বান্দাদের সারিতে আর শহিদী ব্যাক্তি(ব্যক্তি) দাড়াবে শহীদগনের(গণের) কাতারে।
যাদের মর্যাদা হচ্ছে প্রথম নবী পরে সিদ্দিক পরে শহীদ পরে ছলেহীন।
সুতরাং শহিদ ভাইয়ের মর্যাদা অপরিসীম।
আমি সাধারণ মৃত্যুকে অবহেলা করতেছি না। [নিচে একটা নোট আছে]
আল্লাহ মাফ করেন।
আমরা সবাই চাই সকলে মিলে মিশে যেন জান্নাতে থাকি ইনশাআল্লাহ।
আল্লাহ আমাদেরকে জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহর রাস্তায় অটুট রাখুক এবং শাহাদের সুধা পান করার তৌফিক দান করুক।। আমিন।
সকলের কাছে দোয়া পার্থী আল্লাহ যেন আমাকে সহ সকল ভাইকে জিহাদের রণাঙ্গনে যুক্ত হবার তোফিক দান করে আমিন। ইয়া রব্বাল আলামিন।
নোটঃ [খালিদ বিন ওয়ালিদ (রা) কিন্তু শহিদ না। আরো অনেক সাহাবী শহিদ না। কিন্তু প্রত্যেকে জিহাদ করেছে। বরং আল্লাহ রাসুল (স)(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) দুইজন সাহাবির কথা উল্লেখ করেন। যার মধ্যে একজন শহীদ অপর জন শহিদ না। কিন্তু শহিদ ব্যাক্তির(ব্যক্তির) চেয়ে ঐ সাহাবির মর্যাদা বেশি হবে। কারণ দুই সাহাবি ই জিহাদের রণাঙ্গনের ছিলেন এর মধ্যে একজন শহিদ হন আর অপর জন বেচে(বেঁচে) যান। যিনি শহিদ ব্যাক্তির(ব্যক্তির) থেকে নামাজ রোজা এবং আরো ইবাদত করার সুযোগ বেশি পান যার ফলে শহিদী হওয়া সাহাবির চেয়ে এই সাহাবির মর্যাদা/র*্যাংক টা বেশি হবে ]
Comment