Announcement

Collapse
No announcement yet.

ধ্বংসের মুখে কুফফারদের অর্থনীতির চাকা

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • ধ্বংসের মুখে কুফফারদের অর্থনীতির চাকা



    ধ্বংসের মুখে কুফফারদের অর্থনীতির চাকা

    আফগানিস্তানে আল্লাহভীরু তালেবান মুজাহিদদের কাছে সম্মিলিত কুফফার জোটের শোচনীয়ভাবে পরাজয়ের পর কিছুটা হলেও সম্মিলিত কুফফার জোট অর্থনৈতিকভাবে ধাক্কা খেয়েছে। সবচেয়ে বড় ব্যাপার হল এতদিন আমেরিকা ও তার মিত্র জোটের যে অপরাজেয় তকমা ছিল আফগানিস্তানে আল্লাহভীরু তালেবান মুজাহিদদের কাছে শোচনীয়ভাবে পরাজয়ের মাধ্যমে সেই তকমা ধুলোর সাথে মিশে গেছে। আফগানিস্তানে বিশ্ব সন্ত্রাসী আমেরিকার শোচনীয়ভাবে পরাজয়ের মাধ্যমে কিছুটা হলেও বিশ্ববাসী সন্ত্রাসী আমেরিকা ও তার মিত্র জোটের আসল চেহারা দেখতে পেয়েছে। এতদিন যেই আমেরিকা ও তার ইউরোপিয় মিত্ররা মুসলিম দেশগুলোর উপর ভয়াবহ সামরিক আগ্রাসন ও অর্থনৈতিক শোষণ করে আসছিল, আফগানিস্তানে পরাজয়ের মাধ্যমে কিছুটা হলেও তারা সেই পথে ধাক্কা খেয়েছে।

    দিনদিন তাদের নোংরা চেহারা বিশ্ববাসীর সামনে আরও পরিষ্কার হচ্ছে। যতই দিন গড়াচ্ছে ততই তাদের সামনের পথগুলো যেন আরও সংকীর্ণ হয়ে আসছে। আফগানিস্তানের মত ইরাক, সিরিয়াতেও সন্ত্রাসী আমেরিকা ও তার মিত্রদের জন্য সবধরনের পথ সংকীর্ণ হয়ে আসছে। মধ্যপ্রাচ্যসহ সারা পৃথিবীতে সন্ত্রাসী আমেরিকা ও তার মিত্রদের জন্য তাদের অর্থনীতির চাকা সচল রাখার পথগুলো আস্তে আস্তে সংকীর্ণ হয়ে আসছে। কিছুকাল আগেও তারা যেভাবে মুসলিম দেশগুলোতে অবাধে ব্যবসা-বাণিজ্য পরিচালনা করার সুযোগ পেত সেই সুযোগ এখন আর নেই। এটা মোটামুটি স্পষ্ট যে আল কায়েদা ও আল কায়েদা সংশ্লিষ্ট জিহাদি তানজিমগুলোর উত্থানে সম্মিলিত কুফফার জোটের অর্থনৈতিক প্রবাহে ভাঁটা পড়েছে। আফ্রিকাতে আল কায়েদা শাখা আল-শাবাবের উত্থানে পূর্ব আফ্রিকার বিশাল অঞ্চলের উপর সন্ত্রাসী আমেরিকা ও জাতিসংঘ সম্মিলিত কুফফার জোট অনেকটা নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছে। পূর্ব আফ্রিকাতে তাদের অবস্থা যে আরও খারাপ হবে তা মোটামুটি স্পষ্ট। নিশ্চিতভাবেই পূর্ব আফ্রিকাতে তাদের অবস্থার অবনতি হওয়ার সাথে সাথে তাদের অর্থনৈতিক অবস্থারও অবনতি ঘটবে এটাই স্বাভাবিক। একই কথা পশ্চিম আফ্রিকার ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। কারণ পশ্চিম আফ্রিকার বিশাল অঞ্চল জুড়ে জামায়াত নুসরাত আল-ইসলাম ওয়াল মুসলিমিন (জেএনআইএম)তাদের নিজেদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেছে। এসব অঞ্চলে ফ্রান্সসহ পশ্চিমা ক্রুসেডর জোট যে চরমভাবে মার খাচ্ছে তা সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহগুলো থেকেই বোঝা যায়। পরিস্থিতি দেখে মনে হচ্ছে পশ্চিম আফ্রিকাতে সন্ত্রাসী ফ্রান্সসহ তার অনুগত মিত্ররা খুব বেশি দিন টিকতে পারবে না। ফলে আফ্রিকার এই দারিদ্রকবলিত দেশগুলো থেকে সন্ত্রাসী ফ্রান্সের যে রাজস্ব আসতো তা খুব অচিরেই বন্ধ হয়ে যাবে। এতে করে খুব সহজেই আন্দাজ করা যে অচিরেই সন্ত্রাসী ফ্রান্সের অর্থনীতিতে বড়ধরনের ধাক্কা লাগতে চলেছে। খুব অচিরেই জাজিরাতুল আরবেও পশ্চিমা সন্ত্রাসী জোটের অবস্থা খুব খারাপ হবে। ইয়েমেনে তো তারা আল কায়েদার হাতে চরমভাবে মার খেয়েছে এবং ভবিষ্যতেও মার খেতে থাকবে। দক্ষিণ এশিয়াতেও তাদের অবস্থা অনুরূপ। দক্ষিণ এশিয়াতে গাজওয়াতুল হিন্দের দামামা বাজছে। এখানে যদি পুরোদমে মুসলিমদের সাথে তাদের যুদ্ধ বেধে যায় তো সম্মিলিত কুফফার জোটের জন্য এটি হবে সবচেয়ে বড় ধাক্কা। নিঃসন্দেহে দক্ষিণ এশিয়াতে মুসলিমদের সাথে তাদের (হিন্দুত্ব-বাদী মালাউন ও পশ্চিমা ক্রুসেডর জোট) যুদ্ধ বেধে যাওয়া মানে তাদের সামরিক ও অর্থনীতির জন্য বড় ধরনের অশনি সংকেত। এখানে যুদ্ধ বেধে গেলে পশ্চিমা সম্মিলিত কুফফার জোট একটি বড় অর্থনৈতিক বাজার হারাবে। ফলশ্রুতিতে তাদের অর্থনীতির চাকাও দুর্বল হয়ে পড়বে। বর্তমান বৈশ্বিক পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করলে দেখা যায় পশ্চিমা সম্মিলিত কুফফার জোটের সামরিক ও অর্থনৈতিক অবস্থা ধাপে ধাপে খারাপের দিকে যাচ্ছে এবং ভবিষতেও এই অবস্থা অব্যহত থাকবে।

    আল কায়েদা ও আল কায়েদা সংশ্লিষ্ট জিহাদি তানজিমগুলো ও মুসলিমদের আল্লাহর পথে ত্যাগ ও কোরবানি যে সফল হচ্ছে তা বর্তমান ঘটনাপ্রবাহগুলো থেকেই বোঝা যায়।

  • #2
    মাশা-আল্লাহ,, ভাইজান গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট। এক সময় আমেরিকার নাম শোনলেই বিভিন্ন রাষ্ট্র ভয়ে কেপে ওঠত। আলহামদুলিল্লাহ, মুজাহিদ ভাইদের জিহাদের ফলে এখন বিশ্বের কোন রাষ্ট্রই আর আমেরিকাকে ভয় করে না। এমনকি বাংলাদেশও থ্রেড করতে পারে। জিহাদের ফলাফল সারা বিশ্ব এখন ভোগ করছে। তাছাড়া অনেক কুফরি রাষ্ট্রও খুশি আমেরিকাকে মার দেওয়াতে। এতে করে বিশ্বে একক দাদাগিরীর দিন শেষ হয়ে গেছে।
    আল্লাহ আমাদের ঈমানী হালতে মৃত্যু দান করুন,আমিন।
    আল্লাহ আমাদের শহিদী মৃত্যু দান করুন,আমিন।

    Comment


    • #3
      আমিতো আমেরিকাকে ভেজা বিড়াল মনে করি।

      Comment


      • #4
        কুফফারদের অর্থনীতির চাকা অচল করে দিয়ে তাদেরকে ধীরে ধীরে ধ্বংসের দিকে টেলে দিতে হবে। এটাই ছিল বৈশ্বিক জিহাদের মাশায়েখদের পলিসি।
        ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

        Comment


        • #5
          Forbes ম্যাগাজিনের একটা আর্টিকেল কিছু দিনে আগে পড়েছিলাম। যদিও তাদের নিজেদের মিডিয়া তারপরও আর্টিকেলটা তথ্যবহুল ছিল।


          মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কি ইতিমধ্যেই মন্দার মধ্যে রয়েছে?
          https://www.google.com/amp/s/www.for...08/amp/?espv=1

          Comment

          Working...
          X