জিহাদ ছেড়ে অন্য কাজে মশগুল হওয়া
-মাওলানা আসেম ওমর
বর্তমান যুগে কাফেরদের বিরুদ্ধে জিহাদের ঝাণ্ডাকে বুলন্দ করা ঠিক তেমনি ফরজ, যেমন নামাজ ফরজ। প্রত্যেককেই এই যুদ্ধে শরীক হতে হবে। চাই নিজে জিহাদে যাক অথবা মাল দিয়ে মুজাহিদদেরকে সহযোগিতা করুক অথবা মানুষকে তাদের সহযোগিতার জন্য প্রস্তুত করুক। যে ঘরে বসে থাকবে সে আল্লাহর নিকট কঠিন গুনাহগার হবে। এই ধরনের মানুষকে উম্মাহর আগামী প্রজন্মও ক্ষমা করবে না।
জিহাদ ছেড়ে অন্য কাজে মশগুল হওয়াঃ
-----------------------------------------
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেন, আমি রহমতে রাসূল,আমি তুমুল লড়াইয়ের নবী। নিশ্চয়ই আল্লাহ তায়ালা আমাকে জিহাদ দিয়ে পাঠিয়েছেন, ক্ষেত-খামার দিয়ে পাঠাননি। (আল হুকমুল জাদীরাতু বিন আযাআহ,ইবনে রজব হাম্বলী)
আর ইমাম বাগাভী রহঃ তাঁর মুজাম গ্রন্থে বর্ননা করেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেন, নিশ্চয়ই আল্লাহ তায়ালা আমাকে হেদায়াত ও দিনে হক দিয়ে পাঠিয়েছেন। আমাকে ক্ষেত-খামার দিয়েও পাঠাননি। আবার ব্যাবসায়ী কিংবা বাজারে আওয়াজদাতা হিসেবে পাঠাননি। আর আমার রিজিক রাখা হয়েছে আমার বর্শার ছায়াতলে।
ইবনে রজব হাম্বলী রহঃ বলেন, এজন্য আল্লাহ তায়ালা সেসব লোককে তিরস্কার করেছেন,যারা জিহাদ ছেড়ে দিয়েছে এবং দৌলত উপার্জনে লিপ্ত হয়ে গেছে। তাদের ব্যাপারে কোরআনে এই আয়াত নাজিল হয়েছে, “তোমরা নিজেদেরকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিয়ো না”। (সূরা বাকারা-১৯৫)
এই আয়াত তাদের ব্যাপারে নাজিল হয়েছে যারা প্রথমে জিহাদে ছিল এবং পরবর্তীতে যখন একটু সময় পেয়েছে তখন বলল, নিজেদের ক্ষেত-খামারেরও কিছু দেখভাল করে নেই। এ ব্যাপারে সতর্কতা এলো যে, জিহাদ ছেড়ে দেয়া তোমাদের ধ্বংসের কারন। (আল হুকমুল জাদীরাতু বিন আযাআহ,ইবনে রজব হাম্বলী)
হাদিস শরীফে বর্নিত হয়েছে, যখন তোমরা ‘ই’নাহ’ নামক (এক প্রকার সুদী ব্যাবসা) ব্যাবসায় লিপ্ত হবে,গাভীর লেজ ধরবে, জিহাদ ছেড়ে দিবে, তখন আল্লাহ তায়ালা তোমাদের উপর এমন এক লাঞ্ছনা চাপিয়ে দিবেন, যা তোমরা আল্লাহ তায়ালা ততদিন পর্যন্ত দুর করবেন না, যতদিন তোমরা তোমাদের দ্বীনে তথা জিহাদে ফিরে না আসবে। (আবু দাউদ,হাদিসটি সহীহ)
ফায়দাঃ-
-------
এর উদ্দেশ্য হলো, যখন তোমরা হারাম ব্যাবসায় লিপ্ত হবে, জিহাদ ছেড়ে ক্ষেত-খামারে ব্যাস্ত হয়ে যাবে, তখন জিহাদ ছাড়ার কারনে কাফেররা তোমাদের উপর বিজয়ী হয়ে যাবে এবং তোমাদের উপর লাঞ্ছনা চেপে বসবে। আর এই লাঞ্ছনা ততদিন পর্যন্ত শেষ হবে না যতদিন পর্যন্ত পুনরায় জিহাদে ফিরে না আসবে।
প্রত্যেক যুগেই এমনটি দেখা যায় যে, কাফেররা মুসলমানদের উপর নির্যাতন করছে। কিন্তু যখনই মুসলমানরা জিহাদের ঝাণ্ডা উঁচু করে, তখনই আল্লাহ তায়ালার মেহেরবানীতে কাফেরদের মধ্যে ভীতি সঞ্চার হয়। ফলে যে কাফেররা কাল পর্যন্ত পোকা-মাকরের মতো পিশে মারতো, নিজেদেরকে খোদা মনে করতো, জিহাদের বরকতে আল্লাহ তায়ালা তাদের অহংকারকে মাটিতে মিশয়ে দেন। অপদস্ত ও লাঞ্ছিত হয়ে নিজেদের শক্তির জানাযা উঠিয়ে নিয়ে যায়।
মাকহুল রহঃ বলেন, (উমর রাযিঃ এর যুগে)মুসলমান যখন শামে আসেন, তখন কিছু লোক তাদের সাথে ‘আল হাওলা’ চাষের ব্যাপারে আলোচনা করলো। সুতরাং তাঁরা তা চাষ করলো। এই সংবাদ যখন ওমর রাঃ এর নিকট পৌঁছলো, তখন তিনি একজন দূত পাঠালেন। দূত যখন শামে পৌঁছলো, তখন ফসল পেকে গিয়েছিল। সেই দূত এসে সব ফসলে আগুন লাগিয়ে দিলেন। ওমর রাঃ তাদের কাছে লিখে পাঠিয়েছিলেন, আল্লাহ তায়ালা এই উম্মতের রিযিক বর্শার হুক এবং তাঁর নিচের অংশে রেখেছেন। (আল হুকমুল জাদীরাতু বিন আযাআহ,ইবনে রজব হাম্বলী)
ইমাম বায়যাবী রহঃ নিজের সনদে বর্ননা করেন, ওমর রাঃ লিখে পাঠান- যে ক্ষেত-খামার করলো,গাভীর লেজের পিছনে ছুটলো,তা নিয়ে সে সন্তুষ্ট থাকলো এবং তাকেই পেহসা হিসেবে গ্রহন করলো, আমি তাঁর উপর কর ফিরিয়ে আনবো। (আল হুকমুল জাদীরাতু বিন আযাআহ,ইবনে রজব হাম্বলী)
কোন একজনকে জিজ্ঞেস করা হলো,আপনি আপনার সন্তানদের জন্যে চাষাবাদ করছেন না কেনো? তিনি উত্তরে বললেন, আল্লাহর কসম! আমরা কৃষাণ হয়ে দুনিয়াতে আসিনি। বরং আমরা এসেছি জিহাদের মাধ্যমে কাফের কৃষকদের হত্যা করে তাদের চাষাবাদ থেকে খাওয়ার জন্য।(আল হুকমুল জাদীরাতু বিন আযাআহ,ইবনে রজব হাম্বলী)
হাফেজ ইবনে রজব হাম্বলী রহঃ এসব হাদীস এবং বানী বর্ননা করার পর বলেন, মুমিনের পূর্ন আস্থা হলো, তাঁর সকল ব্যাস্ততাই হবে আল্লাহর আনুগত্য এবং জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহর জন্য। যে ব্যাক্তি আল্লাহর আনুগত্যে মশগুল হয়ে যাবে, তাঁর রিজিকের জিম্মাদারী আল্লাহ তায়ালা নিয়ে নেন। যেমন হাদীসে বর্নিত হয়েছে, যে ব্যাক্তি দুনিয়ার ফিকিরকে নিজের চিন্তা চেতনা বানিয়ে নেয়,আল্লাহ তায়ালা তাঁর সকল কাজ গড়বড় করে দিবেন এবং দারিদ্রকে তাঁর চোখের সামনে এনে দিবেন। আর দুনিয়াতো তাঁর ততটুকুই মিলবে, যতটুকু লিখা হয়েছে। আর যার নিয়ত আখেরাত হবে, তাঁর সবকিছুই সহজ করে দিবেন। আর অন্তরে ধনাঢ্যতা সৃষ্টি করে দিবেন। দুনিয়া নিজেই তাঁর নিকট চলে আসবে। (মুসনাদে আহমদ ও ইবনে মাজাহ)
এসব হাদীসের উদ্দেশ্য হলো মুজাহিদদের জন্যে জিহাদ ছেড়ে ক্ষেত-খামার এবং ব্যাবসা বানিজ্যে মশগুল হওয়া উচিত নয়। কারন, এতে জিহাদ কমজোর হয়ে যাবে। বকি থাকে রিজিকের প্রশ্ন। আল্লাহ তায়ালা এই জিহাদের মাধ্যমেই মুজাহিদদের পবিত্র ও হালাল রিজিকের ব্যাবস্থা করবেন। তেমনিভাবে সাধারণ মুসলমানদেরও ক্ষেত-খামার এবিং ব্যাবসা-বানিজ্যে মশগুল হয়ে জিহাদ থেকে দুরে থাকা উচিত নয়। কারন জিহাদ ছেড়ে দিলে সকল মুসলমানদের ক্ষতি হবে। যেমনটি বর্তমানের অবস্থা। মুসলমানদের সকল আসবাবপত্রের উপর ইহুদী এবং হিন্দুদের দখলদারিত্ব। সকল মুসলিম রাষ্টে জনগনকে সুদী লেনদেনে ডুবিয়ে রেখেছে। মুসলমান দুনিয়ার পিছনে ছুটছে। কিন্তু দুনিয়া হাতে আসছে না। আগত প্রতিটি দিনব্যাবসা-বানিজ্য এবং চাষাবাদের নতুন নতুন পয়গাম নিয়ে আসছে। এই ধারাবাহিকতা ততদিন পর্যন্ত চলবে যতদিন পর্যন্ত নিজেদের অধিকার আদায়ের জন্য আমেরিকা এবং বিশ্ব সংস্থাগুলোর সাথে জিহাদ না করবে। তাঁরা নিজেদের কথা শক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে মানতে বাধ্য করে।
সুতরাং আমাদেরকেও জিহাদের শক্তি প্রয়োগের মধ্যমে নিজেদের দ্বীন, আসবাবপত্র এবং ইজ্জতের প্রতিরক্ষা করতে হবে। আমরা জিহাদ করলে হিন্দু এবং ইহুদীদের সোনা-দানা এবং হীরা-জহরতে সজ্জিত মহলগুলো আমাদের কদমে ঢেলে দিবে। তারপর আর কোন রুই কাতলা আমাদের আসবাবপত্রগুলো লুটে পালাতে পারবে না। কোন জর্জ সোরিসও হবে না, যে নিজের পয়সা বের করে নিয়ে যাবে এবং দু’দিনের মধ্যে মুসলিম দেশগুলর অবস্থা ওলট-পালট করে দিবে।
আপনি সে অবস্থার কথা চিন্তা করুন; যখন বিশ্ব ব্যাংকার ‘রক ফেলার্জ’,‘রুথ শিলার্ড’ও জি পি মরগানের মতো ইহুদীদের সমস্ত সম্পদ মুজাহিদদের মালে গণীমত হবে। গোটা পৃথিবীর সোনা-দানা; যেগুলো এই সুদখোররা নিজেদের দখলে রেখেছে, সেগুলো সাধারণ মুসলমানদের মধ্যে বিতরণ করা হবে। পক্ষান্তরে জিহাদ ছেড়ে দিলে এমনি হতে থাকবে যে, সর্বোত্তম উম্মতের বাচ্চাদের মুখ থেকে লোকমা কেড়ে নিয়ে সুদখোরদের সুদ আদায় করতে থাকবে এবং সুদ আদায় করতে করতেই দুনিয়া থেকে বিদায় নিবে। ব্যাবসায়ী তাঁর মেহনতের উপার্জন তাদেরকে দেয়, কৃষক রক্ত ঘাম ঝরায় কিন্তু নিজের বাচ্চাদের পেটও ভরাতে পারে না।
-মাওলানা আসেম ওমর
বর্তমান যুগে কাফেরদের বিরুদ্ধে জিহাদের ঝাণ্ডাকে বুলন্দ করা ঠিক তেমনি ফরজ, যেমন নামাজ ফরজ। প্রত্যেককেই এই যুদ্ধে শরীক হতে হবে। চাই নিজে জিহাদে যাক অথবা মাল দিয়ে মুজাহিদদেরকে সহযোগিতা করুক অথবা মানুষকে তাদের সহযোগিতার জন্য প্রস্তুত করুক। যে ঘরে বসে থাকবে সে আল্লাহর নিকট কঠিন গুনাহগার হবে। এই ধরনের মানুষকে উম্মাহর আগামী প্রজন্মও ক্ষমা করবে না।
জিহাদ ছেড়ে অন্য কাজে মশগুল হওয়াঃ
-----------------------------------------
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেন, আমি রহমতে রাসূল,আমি তুমুল লড়াইয়ের নবী। নিশ্চয়ই আল্লাহ তায়ালা আমাকে জিহাদ দিয়ে পাঠিয়েছেন, ক্ষেত-খামার দিয়ে পাঠাননি। (আল হুকমুল জাদীরাতু বিন আযাআহ,ইবনে রজব হাম্বলী)
আর ইমাম বাগাভী রহঃ তাঁর মুজাম গ্রন্থে বর্ননা করেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেন, নিশ্চয়ই আল্লাহ তায়ালা আমাকে হেদায়াত ও দিনে হক দিয়ে পাঠিয়েছেন। আমাকে ক্ষেত-খামার দিয়েও পাঠাননি। আবার ব্যাবসায়ী কিংবা বাজারে আওয়াজদাতা হিসেবে পাঠাননি। আর আমার রিজিক রাখা হয়েছে আমার বর্শার ছায়াতলে।
ইবনে রজব হাম্বলী রহঃ বলেন, এজন্য আল্লাহ তায়ালা সেসব লোককে তিরস্কার করেছেন,যারা জিহাদ ছেড়ে দিয়েছে এবং দৌলত উপার্জনে লিপ্ত হয়ে গেছে। তাদের ব্যাপারে কোরআনে এই আয়াত নাজিল হয়েছে, “তোমরা নিজেদেরকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিয়ো না”। (সূরা বাকারা-১৯৫)
এই আয়াত তাদের ব্যাপারে নাজিল হয়েছে যারা প্রথমে জিহাদে ছিল এবং পরবর্তীতে যখন একটু সময় পেয়েছে তখন বলল, নিজেদের ক্ষেত-খামারেরও কিছু দেখভাল করে নেই। এ ব্যাপারে সতর্কতা এলো যে, জিহাদ ছেড়ে দেয়া তোমাদের ধ্বংসের কারন। (আল হুকমুল জাদীরাতু বিন আযাআহ,ইবনে রজব হাম্বলী)
হাদিস শরীফে বর্নিত হয়েছে, যখন তোমরা ‘ই’নাহ’ নামক (এক প্রকার সুদী ব্যাবসা) ব্যাবসায় লিপ্ত হবে,গাভীর লেজ ধরবে, জিহাদ ছেড়ে দিবে, তখন আল্লাহ তায়ালা তোমাদের উপর এমন এক লাঞ্ছনা চাপিয়ে দিবেন, যা তোমরা আল্লাহ তায়ালা ততদিন পর্যন্ত দুর করবেন না, যতদিন তোমরা তোমাদের দ্বীনে তথা জিহাদে ফিরে না আসবে। (আবু দাউদ,হাদিসটি সহীহ)
ফায়দাঃ-
-------
এর উদ্দেশ্য হলো, যখন তোমরা হারাম ব্যাবসায় লিপ্ত হবে, জিহাদ ছেড়ে ক্ষেত-খামারে ব্যাস্ত হয়ে যাবে, তখন জিহাদ ছাড়ার কারনে কাফেররা তোমাদের উপর বিজয়ী হয়ে যাবে এবং তোমাদের উপর লাঞ্ছনা চেপে বসবে। আর এই লাঞ্ছনা ততদিন পর্যন্ত শেষ হবে না যতদিন পর্যন্ত পুনরায় জিহাদে ফিরে না আসবে।
প্রত্যেক যুগেই এমনটি দেখা যায় যে, কাফেররা মুসলমানদের উপর নির্যাতন করছে। কিন্তু যখনই মুসলমানরা জিহাদের ঝাণ্ডা উঁচু করে, তখনই আল্লাহ তায়ালার মেহেরবানীতে কাফেরদের মধ্যে ভীতি সঞ্চার হয়। ফলে যে কাফেররা কাল পর্যন্ত পোকা-মাকরের মতো পিশে মারতো, নিজেদেরকে খোদা মনে করতো, জিহাদের বরকতে আল্লাহ তায়ালা তাদের অহংকারকে মাটিতে মিশয়ে দেন। অপদস্ত ও লাঞ্ছিত হয়ে নিজেদের শক্তির জানাযা উঠিয়ে নিয়ে যায়।
মাকহুল রহঃ বলেন, (উমর রাযিঃ এর যুগে)মুসলমান যখন শামে আসেন, তখন কিছু লোক তাদের সাথে ‘আল হাওলা’ চাষের ব্যাপারে আলোচনা করলো। সুতরাং তাঁরা তা চাষ করলো। এই সংবাদ যখন ওমর রাঃ এর নিকট পৌঁছলো, তখন তিনি একজন দূত পাঠালেন। দূত যখন শামে পৌঁছলো, তখন ফসল পেকে গিয়েছিল। সেই দূত এসে সব ফসলে আগুন লাগিয়ে দিলেন। ওমর রাঃ তাদের কাছে লিখে পাঠিয়েছিলেন, আল্লাহ তায়ালা এই উম্মতের রিযিক বর্শার হুক এবং তাঁর নিচের অংশে রেখেছেন। (আল হুকমুল জাদীরাতু বিন আযাআহ,ইবনে রজব হাম্বলী)
ইমাম বায়যাবী রহঃ নিজের সনদে বর্ননা করেন, ওমর রাঃ লিখে পাঠান- যে ক্ষেত-খামার করলো,গাভীর লেজের পিছনে ছুটলো,তা নিয়ে সে সন্তুষ্ট থাকলো এবং তাকেই পেহসা হিসেবে গ্রহন করলো, আমি তাঁর উপর কর ফিরিয়ে আনবো। (আল হুকমুল জাদীরাতু বিন আযাআহ,ইবনে রজব হাম্বলী)
কোন একজনকে জিজ্ঞেস করা হলো,আপনি আপনার সন্তানদের জন্যে চাষাবাদ করছেন না কেনো? তিনি উত্তরে বললেন, আল্লাহর কসম! আমরা কৃষাণ হয়ে দুনিয়াতে আসিনি। বরং আমরা এসেছি জিহাদের মাধ্যমে কাফের কৃষকদের হত্যা করে তাদের চাষাবাদ থেকে খাওয়ার জন্য।(আল হুকমুল জাদীরাতু বিন আযাআহ,ইবনে রজব হাম্বলী)
হাফেজ ইবনে রজব হাম্বলী রহঃ এসব হাদীস এবং বানী বর্ননা করার পর বলেন, মুমিনের পূর্ন আস্থা হলো, তাঁর সকল ব্যাস্ততাই হবে আল্লাহর আনুগত্য এবং জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহর জন্য। যে ব্যাক্তি আল্লাহর আনুগত্যে মশগুল হয়ে যাবে, তাঁর রিজিকের জিম্মাদারী আল্লাহ তায়ালা নিয়ে নেন। যেমন হাদীসে বর্নিত হয়েছে, যে ব্যাক্তি দুনিয়ার ফিকিরকে নিজের চিন্তা চেতনা বানিয়ে নেয়,আল্লাহ তায়ালা তাঁর সকল কাজ গড়বড় করে দিবেন এবং দারিদ্রকে তাঁর চোখের সামনে এনে দিবেন। আর দুনিয়াতো তাঁর ততটুকুই মিলবে, যতটুকু লিখা হয়েছে। আর যার নিয়ত আখেরাত হবে, তাঁর সবকিছুই সহজ করে দিবেন। আর অন্তরে ধনাঢ্যতা সৃষ্টি করে দিবেন। দুনিয়া নিজেই তাঁর নিকট চলে আসবে। (মুসনাদে আহমদ ও ইবনে মাজাহ)
এসব হাদীসের উদ্দেশ্য হলো মুজাহিদদের জন্যে জিহাদ ছেড়ে ক্ষেত-খামার এবং ব্যাবসা বানিজ্যে মশগুল হওয়া উচিত নয়। কারন, এতে জিহাদ কমজোর হয়ে যাবে। বকি থাকে রিজিকের প্রশ্ন। আল্লাহ তায়ালা এই জিহাদের মাধ্যমেই মুজাহিদদের পবিত্র ও হালাল রিজিকের ব্যাবস্থা করবেন। তেমনিভাবে সাধারণ মুসলমানদেরও ক্ষেত-খামার এবিং ব্যাবসা-বানিজ্যে মশগুল হয়ে জিহাদ থেকে দুরে থাকা উচিত নয়। কারন জিহাদ ছেড়ে দিলে সকল মুসলমানদের ক্ষতি হবে। যেমনটি বর্তমানের অবস্থা। মুসলমানদের সকল আসবাবপত্রের উপর ইহুদী এবং হিন্দুদের দখলদারিত্ব। সকল মুসলিম রাষ্টে জনগনকে সুদী লেনদেনে ডুবিয়ে রেখেছে। মুসলমান দুনিয়ার পিছনে ছুটছে। কিন্তু দুনিয়া হাতে আসছে না। আগত প্রতিটি দিনব্যাবসা-বানিজ্য এবং চাষাবাদের নতুন নতুন পয়গাম নিয়ে আসছে। এই ধারাবাহিকতা ততদিন পর্যন্ত চলবে যতদিন পর্যন্ত নিজেদের অধিকার আদায়ের জন্য আমেরিকা এবং বিশ্ব সংস্থাগুলোর সাথে জিহাদ না করবে। তাঁরা নিজেদের কথা শক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে মানতে বাধ্য করে।
সুতরাং আমাদেরকেও জিহাদের শক্তি প্রয়োগের মধ্যমে নিজেদের দ্বীন, আসবাবপত্র এবং ইজ্জতের প্রতিরক্ষা করতে হবে। আমরা জিহাদ করলে হিন্দু এবং ইহুদীদের সোনা-দানা এবং হীরা-জহরতে সজ্জিত মহলগুলো আমাদের কদমে ঢেলে দিবে। তারপর আর কোন রুই কাতলা আমাদের আসবাবপত্রগুলো লুটে পালাতে পারবে না। কোন জর্জ সোরিসও হবে না, যে নিজের পয়সা বের করে নিয়ে যাবে এবং দু’দিনের মধ্যে মুসলিম দেশগুলর অবস্থা ওলট-পালট করে দিবে।
আপনি সে অবস্থার কথা চিন্তা করুন; যখন বিশ্ব ব্যাংকার ‘রক ফেলার্জ’,‘রুথ শিলার্ড’ও জি পি মরগানের মতো ইহুদীদের সমস্ত সম্পদ মুজাহিদদের মালে গণীমত হবে। গোটা পৃথিবীর সোনা-দানা; যেগুলো এই সুদখোররা নিজেদের দখলে রেখেছে, সেগুলো সাধারণ মুসলমানদের মধ্যে বিতরণ করা হবে। পক্ষান্তরে জিহাদ ছেড়ে দিলে এমনি হতে থাকবে যে, সর্বোত্তম উম্মতের বাচ্চাদের মুখ থেকে লোকমা কেড়ে নিয়ে সুদখোরদের সুদ আদায় করতে থাকবে এবং সুদ আদায় করতে করতেই দুনিয়া থেকে বিদায় নিবে। ব্যাবসায়ী তাঁর মেহনতের উপার্জন তাদেরকে দেয়, কৃষক রক্ত ঘাম ঝরায় কিন্তু নিজের বাচ্চাদের পেটও ভরাতে পারে না।
Comment