জান্নাতের একমাত্র পথ
হাফেজ মাও: আবু মাছরুর
হাদীস শরীফে এসেছে: হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর ইবনুল আস বলেন: আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন। আমার উম্মতের এক এমন সময় আসবে যে, তারা পদে পদে বনী ইসরাইলীদের (ইহুদী,খৃষ্টান) অনুসরণ করবে, এমনকি তাদের কেউ যদি তার মায়ের সাথে যিনা করে তবে আমার উম্মতের মধ্যে তা অনুসৃত হবে। বনী ইসরাইলীরা ৭২ দলে বিভক্ত হয়েছে আমার উম্মত ৭৩ দলে বিভক্ত হবে। একদল ব্যতিত সকলেই জাহান্নামী । সাহাবায়ে কেরাম জিজ্ঞাসা করলেন হে আল্লার রাসূল, সেই দলটা কোনটা? রাসূল স: বললেন আমি ও আমার সাহাবীরা যার (নীতি, বিশ্বাস,আদর্শের) উপর আছি। হাদীসটি ইমাম তীরমিজি তার কিতাবে বর্ণনা করেছেন । কেউ কেউ এমনভাবে বর্ণনা করেছেন যে, আজ আমি ও আমার সাহাবীরা যে অবস্থায় আছি সে অবস্থা অনুসরণকারী দল। হযরত ইবনে কাসীর এর ব্যাখ্যা বলেছেন যে, সেই দলটি হল যারা আল্লাহর কালাম ও রাসূলের জীবনাদর্শ দাত কামড়ে অনুসরন করে চলবে। এবং প্রথম সাড়ির সাহাবায়ে কেরাম যেভাবে জীবন চালিয়েছেন।
বন্ধুরা আমার! ইসলামী এই বিশুদ্ধ ও পরিচ্ছন্ন পথ থেকে আমরা কত দূরে অবস্থান করছি। আমরা আমাদের দ্বীন নিয়ে নানা মতপার্থক্য করে বিভিন্ন দলে উপদলে বিভক্ত হয়ে পড়েছি। আর নিজেদের বিষয় নিয়ে আমরা খুব সন্তুষ্ট। আমরা কি ভেবে দেখেছি যে, আমরা বিভিন্ন দেশ ও বিভিন্ন জাতি হিসেবে নিজেদের পরিচয় তুলে ধরছি অথচ আমাদের দেশ ও আমাদের জাতী একটাই ছিল। আমরা বিভিন্ন নিবার্চন, বিপ্লব, মার্কাকে মাথার মুকুট বানিয়ে বসে আছি আর আমরা প্রত্যেক দলই তাদের নিবার্চনে বেজায় খুশি।
প্রিয় বাংলাদেশের মুহাম্মদ স: এর অনুসারীরা! আজ রাসূল স:, আবুবকর র:, ওমর র: সাহাবায়ে কেরাম দুনিয়াতে থাকলে আরাকানে মুসলিম গনহত্যা, নিযার্তন দেখে বলতেন না যে, তারা তো অন্য দেশের মানুষ। তাদের ব্যপারে আমার কোন জিম্মাদারী নাই। তারা বসে বসে এ অপেক্ষা করতেন না যে আজ তাদের কে হত্যা করছে যখন আমাদের নিকট আসবে তখন আমরা জিহাদে নেমে পড়ব। সেই রাসূল ও আবু বকর –ওমর সাহাবায়ে কেরাম যারা একজন ওসমানের র: হত্যার মিথ্যা গুজব শুনে যুদ্ধের উপর দৃঢ় অংগিকার করেছিলেন
–نحن الذين بايعوا محمدا * علي الجهاد مابقينا ابدا
আমরা মুহাম্মদ স: এর হাতে এ ব্যাপারে অংগিকার করছি, জীবনের শেষ রক্তবিন্দু পর্যন্ত জিহাদ করব। সেই রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যিনি আরব সিমান্তে কিছু মুসলিমকে নিযাতনের কথা শুনে ততকালিন সুপার পাওয়ার রোম সম্রাজ্যের বিরুদ্দে তার প্রানপ্রিয় সাহাবাদের যুদ্ধের জন্য “মুতা” য় পাঠালেন স্বয়ং তিনি সহ সবাই নিজেদের সমস্ত জান মাল নিয়ে তাবুকের ময়দানে গেলেন।
প্রিয় বাংলাদেশের ওলামায়ে কেরাম! আপনাদের মাদরাসা যদি ইসলাম ও রাসুলের সুন্নতের অনুসরণে বাধা হয়ে দাড়ায় তবে বাদ দিন এ শিক্ষা! যে শিক্ষা জাতীর কোন উপকারে আসে না সে শিক্ষা দিয়ে দরকার। আপনাদের শিক্ষা যে টার্গেটে ফরজ করা হয়েছে সে টার্গেট আপনারা ফেল করেছেন। কোরআন শরীফে এসেছে –
وَمَا كَانَ الْمُؤْمِنُونَ لِيَنْفِرُوا كَافَّةً فَلَوْلا نَفَرَ مِنْ كُلِّ فِرْقَةٍ مِنْهُمْ طَائِفَةٌ لِيَتَفَقَّهُوا فِي الدِّينِ وَلِيُنْذِرُوا قَوْمَهُمْ إِذَا رَجَعُوا إِلَيْهِمْ لَعَلَّهُمْ يَحْذَرُونَ।
এখানে জাতীকে সতর্ক করার জন্য আপনাদের কে নির্ধারণ করা হয়েছে। আপনারা কি জাতীকে এ নিচের শাস্তির আয়াতগুলো সম্পর্কে সতর্ক করেছেন।
(1) وَمَا لَكُمْ لا تُقَاتِلُونَ فِي سَبِيلِ اللَّهِ وَالْمُسْتَضْعَفِينَ مِنَ الرِّجَالِ وَالنِّسَاءِ وَالْوِلْدَانِ الَّذِينَ يَقُولُونَ رَبَّنَا أَخْرِجْنَا مِنْ هَذِهِ الْقَرْيَةِ الظَّالِمِ أَهْلُهَا وَاجْعَل لَنَا مِنْ لَدُنْكَ وَلِيًّا وَاجْعَل لَنَا مِنْ لَدُنْكَ نَصِيرًا
(2)إِلا تَنْفِرُوا يُعَذِّبْكُمْ عَذَابًا أَلِيمًا وَيَسْتَبْدِلْ قَوْمًا غَيْرَكُمْ وَلا تَضُرُّوهُ شَيْئًا وَاللَّهُ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ
(3) وَأَنْفِقُوا فِي سَبِيلِ اللَّهِ وَلا تُلْقُوا بِأَيْدِيكُمْ إِلَى التَّهْلُكَةِ وَأَحْسِنُوا إِنَّ اللَّهَ يُحِبُّ الْمُحْسِنِينَ
অথচ এই আয়াতসমূহে আল্লাহ শাস্তির হুমকি দিয়েছেন। আপনারা কি হয়ে গেছেন যে, কিতাবুল্লাহ ও রাসুলের সুন্নতের উপর ঐক্যবদ্ধ হতে পারেন না। আপনারা কি ওমর (রাঃ) ওসমান (রাঃ) আলী (রাঃ) মযাদা ও সম্মানের দিক থেকে বেশী বড় হয়ে গেছেন। তারা কি হযরত উসামা ইবনে যায়েদের রাঃ নেতৃত্বে যুদ্ধ করে নাই।? কি আপনাদের এই শিক্ষা আপনার এ অহংবোধ কে বাড়িয়ে দিয়েছে আপনারা ঐক্যবদ্ধ হতে পারছেন না? যে কারনে আজ আরাকানের ও ভুটানের ভাইদের সাহায্যে আমরা ব্যর্থ হচ্ছি। আল্লাহর কাছে এ ব্যপারে আপনাদের জবাব দেবার আছে?
কেন আপনারা ঐক্যবদ্ধ্ হচ্ছেন না? আপনারা আল্লাহ কে বলবেন, অমুক আমার ঝান্ডা তলে আসেনি তাই আমরা ঐক্যবদ্ধ হতে পারিনি। আমি তাদের ডেকেছি। আপনাদের তো রাসুল জান্নাতের সার্টিফিকেট দেয়নি যেমন হাসান রাঃ সম্পর্কে রাসুল সাঃ সেই সার্টিফিকেট দিয়েছেন। তিনিতো হযরত মুআবিয়ার রাঃ নিকট খেলাফত হস্তান্তর করেছেন। আপনাদের কারণে আজ উম্মত শতধাবিভক্ত। আরাকান ও ভুটানের ভাইদের জন্য কোন উপকারে যদি আপনারা না আসেন তবে মাদরাসার ভন্ডামী বন্ধ করুন কারণ রাসুলের শিক্ষা আপনাদের মাদরাসার শিক্ষার থেকে উত্তম ছিল তিনি মসজিদে নববী ছেড়ে বের হয়েছিলেন।
বাকি অংশ নিচে ........
হাফেজ মাও: আবু মাছরুর
হাদীস শরীফে এসেছে: হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর ইবনুল আস বলেন: আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন। আমার উম্মতের এক এমন সময় আসবে যে, তারা পদে পদে বনী ইসরাইলীদের (ইহুদী,খৃষ্টান) অনুসরণ করবে, এমনকি তাদের কেউ যদি তার মায়ের সাথে যিনা করে তবে আমার উম্মতের মধ্যে তা অনুসৃত হবে। বনী ইসরাইলীরা ৭২ দলে বিভক্ত হয়েছে আমার উম্মত ৭৩ দলে বিভক্ত হবে। একদল ব্যতিত সকলেই জাহান্নামী । সাহাবায়ে কেরাম জিজ্ঞাসা করলেন হে আল্লার রাসূল, সেই দলটা কোনটা? রাসূল স: বললেন আমি ও আমার সাহাবীরা যার (নীতি, বিশ্বাস,আদর্শের) উপর আছি। হাদীসটি ইমাম তীরমিজি তার কিতাবে বর্ণনা করেছেন । কেউ কেউ এমনভাবে বর্ণনা করেছেন যে, আজ আমি ও আমার সাহাবীরা যে অবস্থায় আছি সে অবস্থা অনুসরণকারী দল। হযরত ইবনে কাসীর এর ব্যাখ্যা বলেছেন যে, সেই দলটি হল যারা আল্লাহর কালাম ও রাসূলের জীবনাদর্শ দাত কামড়ে অনুসরন করে চলবে। এবং প্রথম সাড়ির সাহাবায়ে কেরাম যেভাবে জীবন চালিয়েছেন।
বন্ধুরা আমার! ইসলামী এই বিশুদ্ধ ও পরিচ্ছন্ন পথ থেকে আমরা কত দূরে অবস্থান করছি। আমরা আমাদের দ্বীন নিয়ে নানা মতপার্থক্য করে বিভিন্ন দলে উপদলে বিভক্ত হয়ে পড়েছি। আর নিজেদের বিষয় নিয়ে আমরা খুব সন্তুষ্ট। আমরা কি ভেবে দেখেছি যে, আমরা বিভিন্ন দেশ ও বিভিন্ন জাতি হিসেবে নিজেদের পরিচয় তুলে ধরছি অথচ আমাদের দেশ ও আমাদের জাতী একটাই ছিল। আমরা বিভিন্ন নিবার্চন, বিপ্লব, মার্কাকে মাথার মুকুট বানিয়ে বসে আছি আর আমরা প্রত্যেক দলই তাদের নিবার্চনে বেজায় খুশি।
প্রিয় বাংলাদেশের মুহাম্মদ স: এর অনুসারীরা! আজ রাসূল স:, আবুবকর র:, ওমর র: সাহাবায়ে কেরাম দুনিয়াতে থাকলে আরাকানে মুসলিম গনহত্যা, নিযার্তন দেখে বলতেন না যে, তারা তো অন্য দেশের মানুষ। তাদের ব্যপারে আমার কোন জিম্মাদারী নাই। তারা বসে বসে এ অপেক্ষা করতেন না যে আজ তাদের কে হত্যা করছে যখন আমাদের নিকট আসবে তখন আমরা জিহাদে নেমে পড়ব। সেই রাসূল ও আবু বকর –ওমর সাহাবায়ে কেরাম যারা একজন ওসমানের র: হত্যার মিথ্যা গুজব শুনে যুদ্ধের উপর দৃঢ় অংগিকার করেছিলেন
–نحن الذين بايعوا محمدا * علي الجهاد مابقينا ابدا
আমরা মুহাম্মদ স: এর হাতে এ ব্যাপারে অংগিকার করছি, জীবনের শেষ রক্তবিন্দু পর্যন্ত জিহাদ করব। সেই রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যিনি আরব সিমান্তে কিছু মুসলিমকে নিযাতনের কথা শুনে ততকালিন সুপার পাওয়ার রোম সম্রাজ্যের বিরুদ্দে তার প্রানপ্রিয় সাহাবাদের যুদ্ধের জন্য “মুতা” য় পাঠালেন স্বয়ং তিনি সহ সবাই নিজেদের সমস্ত জান মাল নিয়ে তাবুকের ময়দানে গেলেন।
প্রিয় বাংলাদেশের ওলামায়ে কেরাম! আপনাদের মাদরাসা যদি ইসলাম ও রাসুলের সুন্নতের অনুসরণে বাধা হয়ে দাড়ায় তবে বাদ দিন এ শিক্ষা! যে শিক্ষা জাতীর কোন উপকারে আসে না সে শিক্ষা দিয়ে দরকার। আপনাদের শিক্ষা যে টার্গেটে ফরজ করা হয়েছে সে টার্গেট আপনারা ফেল করেছেন। কোরআন শরীফে এসেছে –
وَمَا كَانَ الْمُؤْمِنُونَ لِيَنْفِرُوا كَافَّةً فَلَوْلا نَفَرَ مِنْ كُلِّ فِرْقَةٍ مِنْهُمْ طَائِفَةٌ لِيَتَفَقَّهُوا فِي الدِّينِ وَلِيُنْذِرُوا قَوْمَهُمْ إِذَا رَجَعُوا إِلَيْهِمْ لَعَلَّهُمْ يَحْذَرُونَ।
এখানে জাতীকে সতর্ক করার জন্য আপনাদের কে নির্ধারণ করা হয়েছে। আপনারা কি জাতীকে এ নিচের শাস্তির আয়াতগুলো সম্পর্কে সতর্ক করেছেন।
(1) وَمَا لَكُمْ لا تُقَاتِلُونَ فِي سَبِيلِ اللَّهِ وَالْمُسْتَضْعَفِينَ مِنَ الرِّجَالِ وَالنِّسَاءِ وَالْوِلْدَانِ الَّذِينَ يَقُولُونَ رَبَّنَا أَخْرِجْنَا مِنْ هَذِهِ الْقَرْيَةِ الظَّالِمِ أَهْلُهَا وَاجْعَل لَنَا مِنْ لَدُنْكَ وَلِيًّا وَاجْعَل لَنَا مِنْ لَدُنْكَ نَصِيرًا
(2)إِلا تَنْفِرُوا يُعَذِّبْكُمْ عَذَابًا أَلِيمًا وَيَسْتَبْدِلْ قَوْمًا غَيْرَكُمْ وَلا تَضُرُّوهُ شَيْئًا وَاللَّهُ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ
(3) وَأَنْفِقُوا فِي سَبِيلِ اللَّهِ وَلا تُلْقُوا بِأَيْدِيكُمْ إِلَى التَّهْلُكَةِ وَأَحْسِنُوا إِنَّ اللَّهَ يُحِبُّ الْمُحْسِنِينَ
অথচ এই আয়াতসমূহে আল্লাহ শাস্তির হুমকি দিয়েছেন। আপনারা কি হয়ে গেছেন যে, কিতাবুল্লাহ ও রাসুলের সুন্নতের উপর ঐক্যবদ্ধ হতে পারেন না। আপনারা কি ওমর (রাঃ) ওসমান (রাঃ) আলী (রাঃ) মযাদা ও সম্মানের দিক থেকে বেশী বড় হয়ে গেছেন। তারা কি হযরত উসামা ইবনে যায়েদের রাঃ নেতৃত্বে যুদ্ধ করে নাই।? কি আপনাদের এই শিক্ষা আপনার এ অহংবোধ কে বাড়িয়ে দিয়েছে আপনারা ঐক্যবদ্ধ হতে পারছেন না? যে কারনে আজ আরাকানের ও ভুটানের ভাইদের সাহায্যে আমরা ব্যর্থ হচ্ছি। আল্লাহর কাছে এ ব্যপারে আপনাদের জবাব দেবার আছে?
কেন আপনারা ঐক্যবদ্ধ্ হচ্ছেন না? আপনারা আল্লাহ কে বলবেন, অমুক আমার ঝান্ডা তলে আসেনি তাই আমরা ঐক্যবদ্ধ হতে পারিনি। আমি তাদের ডেকেছি। আপনাদের তো রাসুল জান্নাতের সার্টিফিকেট দেয়নি যেমন হাসান রাঃ সম্পর্কে রাসুল সাঃ সেই সার্টিফিকেট দিয়েছেন। তিনিতো হযরত মুআবিয়ার রাঃ নিকট খেলাফত হস্তান্তর করেছেন। আপনাদের কারণে আজ উম্মত শতধাবিভক্ত। আরাকান ও ভুটানের ভাইদের জন্য কোন উপকারে যদি আপনারা না আসেন তবে মাদরাসার ভন্ডামী বন্ধ করুন কারণ রাসুলের শিক্ষা আপনাদের মাদরাসার শিক্ষার থেকে উত্তম ছিল তিনি মসজিদে নববী ছেড়ে বের হয়েছিলেন।
বাকি অংশ নিচে ........
Comment