Announcement

Collapse
No announcement yet.

কেনো আনসার আল-ইসলামের এসব অপারেশন অধিক হিকমাহ ও প্রজ্ঞাপূর্ণ

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • কেনো আনসার আল-ইসলামের এসব অপারেশন অধিক হিকমাহ ও প্রজ্ঞাপূর্ণ

    কেনো আনসার আল-ইসলামের এসব অপারেশন অধিক হিকমাহ ও প্রজ্ঞাপূর্ণ

    কিছু মানুষ আছে যারা শাতিমে রাসুলদের উপর পরিচালিত এ সব হামলা সম্পর্কে মন্তব্য করেন যে, এগুলো হিকমা বিরোধী! তাদের ভাষায়-
    ' কখনই হিকমার এই অর্থ করা হয়নি যে নবীজীর (সা.) সীরাতের কোনও একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনাকে স্থান কাল পাত্রের হিসেব না করেই প্রমাণ হিসেবে বর্তমান সময়ে প্রয়োগ করে দেয়া হবে'।

    এবার আসুন, আমরা যুক্তি-উক্তি ও বাস্তবতার আলোকে দেখি যে, এগুলো বিচ্ছিন্ন ঘটনা? না, অধিক হিকমাহ সম্মত।

    হিকমার সংজ্ঞা উনারা ত্রয়োদশ শতাব্দির একজন শ্রেষ্ঠ 'আলেম, ইমাম ইবনে তাইমিয়ার রাহ.র ছাত্র, ইমাম ইবনে কায়্যিম রাহ. থেকে এভাবে বর্ণনা করেন যে, 'হিকমাহ হচ্ছে সঠিক সময়ে সঠিক কাজটি সঠিক পদ্ধতিতে করা।'

    আমরা উনাদের সংজ্ঞায়িত হিকমার আলোকেই পূর্ণ বিষয় তুলে ধরবো ইনশাআল্লাহ।

    ইসলামবিদ্বেষী কুলাঙ্গারদের আস্ফালন এদেশে নতুন নয়। সেই বাংলাদেশের জন্মের পরপরই শেখ মুজিবের আমল থেকেই। এর সূচনা হয়েছিল কুলাঙ্গার দাউদ হায়দারের মাধ্যমে। পরে তাওহীদী জনতার বিক্ষোভকে সামাল দিতে না পেরে মুজিব সরকার তাকে কলকাতায় পাঠিয়ে দেয়, সেখানে সে অন্নদাশংকরের ঘরে আশ্রয় নেয়।
    কিন্তু এ নাস্তিকের পরিণতি দেখে এ সব কুলাঙ্গারদের দরোজায় মৃদু বাতাস বইলেও তাদের আস্ফালন থেমে যায় নি।
    জন্ম হয়, আরেক নাস্তিক কুলাঙ্গার তসলিমার। সেও ভারত পালালেও থেমে যায় নি তাদের আগ্রাসন। বরং ওরা ভারত গিয়েও স্বাধীনভাবে ইসলামের বিরুদ্ধে কলম অব্যাহত রাখে। তাদের কলমের খোঁচায় এদেশে নাস্তিকতার চর্চা ব্যাপক হারে বাড়তে থাকে। জাহানারা ইমাম, সুফিয়া কামাল, আরজ আলী মাতুব্বর, হুমায়ুন আজাদ, শামসুর রাহমানসহ সব কুলাঙ্গার গড ফাদারদের ছত্র ছায়ায় চলতে থাকে এ দেশে ইসলামবিরোধী আগ্রাসন।
    অবশেষে সে আগ্রাসন পূর্ণতা লাভ করে শাহবাগে। নাস্তিক-ছুপা নাস্তিক, যিন্দীক সবই সেখানে জড়ো হয়।

    কিন্তু যেই মাত্র আল্লাহর কিছু প্রিয় বান্দা থাবাবাবাকে হত্যার মাধ্যমে মুহাম্মদ বিন মাসলামা রাজিয়াল্লাহু আনহুর অনুসারী হয়ে একটি সুন্নাহের বাস্তবায়ন করেন। তখুনি খোলস পরে যায় এসব শাহবাগিদের। একটি সুন্নাহের বাস্তবায়ন তাদের পতনের দুয়ার খুলে দেয়। উত্থান হয় হেফাজতের, চলে লংমার্চ আর অবরোধ!

    কিন্তু এত জনস্রোতের পরও নাস্তিকরা তাদের অতৎপরতা বন্ধ করে নি। আগে তারা তাদের গড ফাদারদের ছত্রছায়ায় আগ্রাসন চালাত, এবার তারা সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় দুর্গন্ধ ছড়াতে থাকে।
    মাঝেমধ্যে সরকার তাদেরকে জেলখানা নামক মেহমানখানায় তাদেরকে জামাই আদর করে।
    তবুও তাদের বিরুদ্ধে উল্লেখ করার মতো কোনো অবস্থান নেয় নি।

    কিন্তু দীর্ঘ বিরতির পর যখন আবার তাদের বিরুদ্ধে সুন্নাহের বাস্তবায়ন শুরু হয়, তখন তাদের কলম খসে পড়ে, দেশ ছেড়ে পালাতে থাকে, তাদের মধ্যে শুরু হয় কাইজ্যা, সরকারের সাথে দূরত্ব শুরু হয়, সরকারও তাদেরকে নিরাপত্তা দিতে অস্বীকৃতি জানায়। এখন তারা প্রায় এক ঘরে হয়ে গেছে। অনেক ছুপা নাস্তিক তখন মুসলিম সাজতে শুরু করে। জাফর ইকবালের মতো যিন্দীক প্রথমে হাউ-মাউ-কাউ করলেও পরে নিজেকে এবং নিজের পরিবারকে ধার্মিক হিসেবে চিত্রায়িত করতে থাকে। পরোক্ষভাবে নাস্তিকতার নিন্দা করে, এতে নাস্তিকদের গালিও খায়। শেষপর্যন্ত নাস্তিকরাও তাকে গড ফাদারের আসন থেকে সরিয়ে দেয়।
    শেখ মুজিবের আমল থেকে যখন দীর্ঘ দিন পর্যন্ত আন্দোলন-বিক্ষোভ করে যাদের অগ্রযাত্রা কোনোভাবে থামানো যাচ্ছিল না তখন সুন্নাহের অনুসরণই তাদের পতন ডেকে আনে না।

    সারা দেশের প্রতিটি মুমিন এদের হত্যাকে সমর্থন করে, এমনকি অনেক পুলিশ-র*্যাব ও সরকারী কর্তকর্তাও মনে মনে কেউ প্রকাশ্যে প্রশান্তি লাভ করে।
    দীর্ঘদিন পর্যন্ত অনেক রক্ত-ঘাম ঝরিয়ে যাদেরকে থামানো যাচ্ছিল না, তাদেরকে সুন্নাহের অনুসরণের মাধ্যমে ঠেকানো কি হিকমাহ সম্মত নয়?

    যদি হিকমাহের সংজ্ঞার প্রথম অংশ হয়, 'সঠিক সময়ে'!
    তাহলে জেনে রাখুন, এই কুলাঙ্গারদের হত্যা করার এখুনি সঠিক সময়। যার প্রমাণ আজকের জনসমর্থন, স্বয়ং বিবিসি বাংলা সমকামী যুগলদের হত্যার পর বিপোর্ট করেছে,
    'বিবিসি বাংলার ফেসবুক পাতায় অনেক বাংলা ভাষাভাষীই এ নিয়ে মন্তব্য করেছেন, যাদের একটা বড় অংশই জুলহাজ মান্নানের হত্যাকাণ্ডকে সমর্থন করছেন'!
    জনসমর্থনের জন্যে কি এটা উপযুক্ত প্রমাণ নয়?

    যদি হিকমাহের সংজ্ঞার অন্য অংশ হয়, 'সঠিক কাজ'! তাহলে জেনে রাখুন, যে, এদেরকে হত্যা করাই হচ্ছে সঠিক কাজ। কারাগারে নিয়ে জামাই আদর নয়, মুখভরে গালি দেওয়া নয়, বিদেশ পাঠিয়ে দেওয়া নয়, বরং তাদেরকে হত্যা করা, শরীয়াহ এটাই বলে। বিষয়টা বুঝতে আবার পড়ুন, ইমাম ইবনে তাইমিয়া রাহ.'র অনবদ্য গ্রন্থ 'আস-সারিমুল মাসলুল আল শাতিমির রাসুল' (রাসুলুল্লাহের অবমাননাকারীদের জন্যে উন্মুক্ত তরবারী)!

    যদি হিকমাহের সংজ্ঞার শেষ অংশ হয়, 'সঠিক পদ্ধতি'!
    তাহলে জেনে রাখুন, ওদেরকে গুপ্তহত্যা করাই হচ্ছে সঠিক পদ্ধতি। হাতে নিন বুখারী শরীফ, খুলুন কিতাবুল মাগাযী, তাহলে দেখবেন কীভাবে কুলাঙ্গার আবু রাফে' ও কা'ব বিন আশরাফকে হত্যা করা হয়েছে। তাহলে জেনে নিবেন, সঠিক পদ্ধতি।

    তাই আবারো দ্ব্যর্থ ভাষায় বলি, আনসার আল-ইসলামের মুজাহিদ ভাইদের দ্বারা পরিচালিত এসব অপারেশন অধিক হিকমাহ ও প্রজ্ঞাপূর্ণ'!

    সুতরাং আমাদেরকে হিকমাহ শিখাতে এসো না, আমাদের কাছে এসো হিকমাহ শিখতে এসো!!
    বুঝলে রে বাছা!

  • #2
    জাযাকাল্লাহ! মুতমাইন ভাই! মডারেটদের বিরুদ্ধে আপনার কলমকে আল্লাহ আরো ধারালো করে দিক!




    আমীন....

    Comment


    • #3
      মাশাআল্লাহ, অনেক হেকমত পূর্ণ লেখা, আল্লাহ কবুল করুক।

      Comment


      • #4
        jajakallah

        Comment


        • #5
          মাসাআল্লাহ্।
          জাযাকাল্লাহ আঁখি চমৎকার পোস্ট।
          আল্লাহপাক ভাইকে আরও বেশি বেশি ইলমি খিদমাহ্ করার তৌফিক দান করুন আমিন

          Comment


          • #6
            জাযাকাল্লাহ। খুব সুন্দর উপস্থাপনা।

            Comment


            • #7
              allah tala apnar likhonike aro sanito koruk jeno akti sobder daray taguter mosnod kepe uthe

              Comment


              • #8
                মাসাআল্লাহ্।
                জাযাকাল্লাহ আঁখি
                অনেক হেকমত পূর্ণ লেখা, আল্লাহ কবুল করুক।
                আল্লাহপাক ভাইকে আরও বেশি বেশি ইলমি খিদমাহ্ করার তৌফিক দান করুন আমিন

                Comment


                • #9
                  [ইমাম ইবনে তাইমিয়া রাহ.'র অনবদ্য গ্রন্থ 'আস-সারিমুল মাসলুল আল শাতিমির রাসুল' (রাসুলুল্লাহের অবমাননাকারীদের জন্যে উন্মুক্ত তরবারী)!]
                  فَقَاتِلُوْۤا اَوْلِيَآءَ الشَّيْطٰنِ

                  Comment


                  • #10
                    জাযাকাল্লাহ, ভাইয়েরা আবারও এরা কটুক্তি করা শুরু করেছে

                    Comment

                    Working...
                    X