Announcement

Collapse
No announcement yet.

তাগুত এবং আমরা

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • তাগুত এবং আমরা


    হে আমার জাতির লোকেরা আজ তোমাদেরই রাজত্ব চলছে, দেশে আজ তোমরাই বিজয়ী শক্তি। কিন্তু আল্লাহ্*র শাস্তি যদি এসেই পড়ে তাহলে তা থেকে কে আমাদের রক্ষা করবে? ফেরাউন বললো আমি তোমাদের কে শুধু তাই বলেছি আমি নিজে যা বুঝছি; আমি তোমাদের কে সত্যপথই দেখাচ্ছি


    আল মুমিন ২৯

    আমি মুসাকে পাঠিয়েছিলাম আমার নিরর্দশন আর স্পষ্ট প্রমান সহকারে। ফিরাউন আর তাঁর প্রধানদের কাছে কিন্তু তারা ফিরাউনের হুকুমই মেনে নিলো, আর ফিরাউনের হুকুম সত্য নির্ভর ছিলোনা। কিয়ামতের দিন সে তাঁর সম্প্রদায়ের আগে থাকবে আর তাদের জাহান্নামে নিয়ে যেতে নেতৃত্ব দিবে, কতই না নিকৃষ্ট এ জায়াগা যেখানে তারা যাবে।


    হুদ - ৯৬-৯৮

    ফিরাউন আলাহর সৃষ্টি জগতে সব চেয়ে বড় জালেম আর সবচেয়ে বড় তাগুত। তাগুতের জলন্ত উদাহরন হচ্ছে ফিরাউন যার কথা আল্লাহ্* পবিত্র কুরানে বহু বার উল্লেখ করেছেন। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে তাগুত কি? আমরা কাফির চিনি, মুরতাদ চিনি মুনাফিক চিনি, মুশরিক চিনি, ফাসেক চিনি, জালিম চিনি কিন্তু তাগুত কি? পবিত্র কুরানে কাফির, মুরতাদ, মুনাফিক, মুশরিক, ফাসিক, জালিম এবং তাগুত এই প্রত্যেকটি শব্দই এসেছে কিন্তু তারপরেও কেন আমরা এই শব্দ গুলোর প্রত্যেকটি শব্দের সাথে পরিচিত কিন্তু কেন তাগুত নামের এই শব্দ টির সাথে পরিচিত না? কেন আমাদের মা বাবা কিংবা আমাদের অধিকাংশ আলিম রা এই তাগুত শব্দটির সাথে আমাদের পরিচয় করিয়ে দেন না? ইনশাআল্লাহ্* কিছুক্ষন পরেই আমরা নিজেরাই এর উত্তর পেয়ে যাবো।

    বর্তমানে মুসলিম দের যে সকল বিষয়ে ধোকা দেয়া হয় আর প্রতারনাপুর্ন বক্তব্যের মাধ্যমে সত্য থেকে আড়াল করে অন্ধকারে রাখা হয় তাঁর মধ্যে তাগুত প্রথম সারির একটা বিষয়। কারন তাগুত কি এটা জদি মুসলিম জেনে যায় তাহলে তাগুতদের অবস্থান ধরে রাখা কঠিন হয়ে যাবে।

    আবার সেই আগের প্রশ্নে ফিরে যাই তাগুত কি? সবার আগে আমরা দেখবো আল্লাহ্* সুবহানাহু ওতায়ালা তাগুত সম্পর্কে তাঁর কালামে কি বলেছেনঃ

    আপনি কি তাদের কে দেখেন নি যারা দাবি করে যে, যা আপনার উপরে নাজিল হয়েছে আমরা সে বিষয়ের উপরে ঈমান এনেছি এবং আপনার পুর্বে যা অবতির্ন হয়েছে তার প্রতিও ঈমান এনেছি কিন্তু তারা বিবাদপুর্ন বিষয়ে তাগুতের কাছে বিচারপ্রার্থী হতে চায়, অথচ তাদের কে নির্দেশ করা হয়েছিলো যেন তারা তাগুতকে মান্য না করে। পক্ষান্তরে শয়তান তাদের কে প্রতারিত করে পথভ্রস্ট করতে চায়।


    আন -নিসা ৬০

    আল্লাহ্* বলেন,

    বল আমি কি নির্দিষ্ট করে সেই সব লোকের নাম বলবো যাদের পরিনতি আল্লাহর নিকট ফাসেক লোকদের পরিনতি অপেক্ষাও খারাপ হবে? তারা সেই লোক যাদের উপর আল্লাহ্* অভিশাপ বর্ষণ করেছেন, যাদের উপর অসন্তোষ নাজিল হয়েছে, যাদের মধ্যে কিছু লোক কে বানর ও শুকর বানিয়ে দেয়া হয়েছে, যারা তাগুতের বন্দেগী করেছে, তাদের অবস্থা অধিকতর খারাপ এবং সরল সত্য পথ হতে সবচেয়ে বিচ্যুত।


    মায়িদাহ -৬০

    আল্লাহ্* বলেন,

    যারা ঈমান আনে আল্লাহ্* তাদের সাহায্য কারী ও সহায়। তিনি তাদের অন্ধকার থেকে আলোর মধ্যে নিয়ে আসেন। আর যারা কুফুরীর পথ অবলম্বন করে তাদের সাহায্যকারী ও সহায় হচ্ছে তাগুত। সে তাদেরকে আলো থেকে অন্ধকারের দিকে টেনে নিয়ে যায়। এরা আগুনের অধিবাসী, সেখানে এরা চিরকাল থাকবে।


    বাকারাহ - ২৫৭

    আল্লাহ্* বলেন,

    যারা ঈমানদার তারা তো যুদ্ধ করে আল্লাহ্*র পথে আর যারা কাফের তারা লড়াই করে তাগুতের পক্ষে।


    নিসা ৭৬

    উপরের ৪ টা আয়াতের দিকে লক্ষ্য করি প্রথম আয়াতে উল্লেখিত তাগুতের সাথে আছে "মান্য করা", ২য় আয়াতে তাগুতের সাথে আছে "বন্দেগী করেছে", অর্থাৎ মান্য করার পরবর্তী ধাপ। আর ৩য় আয়াতে হচ্ছে "তাগুত কুফরির সাহায্যকারী"। যে কেউ তাগুতের কথা মত চলবে এবং কুফরি করবে, তাগুত তার সাহায্যকারী, আর ৪ নাম্বার আয়াতে তাগুত আর কুফুরির মধ্যে অবিচ্ছেদ্য সম্পর্কের কথা আল্লাহ্* বললেন কারন একজন আরেকজনের হয়ে লড়াই করে! perfect combination, made for each other.

    এবার একটু সহজ ভাবে দেখা যাক তাগুত কি?

    তাগুত আরবী শব্দ তুগইয়ান থেকে উতসরিত। যার অর্থ সীমালঙ্ঘন করা। এমন প্রত্যেক ব্যাক্তিই তাগুত যে আল্লাহ্* দ্রোহী হয়েছে এবং সীমালঙ্ঘন করেছে, আর আমাদের রব হিসাবে আল্লাহ্* তায়ালার যে বৈশিষ্ট্য রয়েছে তার যে কোন একটিকে সে তার নিজের কাজ বা বৈশিষ্ট্য হিসাবে দাবী করেছে, এবং এভাবে নিজেকে আল্লাহ্*র সমকক্ষ বানিয়ে নিয়েছে। খুব ভালো একটা উদাহরন, সৃষ্টির সমস্ত প্রানী কে খাওয়ানোর দায়িত্ব আল্লাহ্*র, এখন কেউ যদি মনে করে সে দেশের ১৬ কোটি মানুষ খাওয়াতে পারে বা খাওয়ায় তাহলে সে তাগুত। কেউ যদি বলে উমুক ছাড়া দেশে উন্নতি সম্ভব নয় তাহলে সে তাগুত। সুতরাং আল্লাহ্*র কোন কাজ কে নিজে করতে পারার দাবি করা যেমন কেউ যদি বলে আমি সৃষ্টি করি, আমি রিজিক দান করি, আমি বিধান রচনা করি, তাহলে সেইই তাগুত। ইমাম মালিক রহঃ বলেছেন এমন প্রত্যেকটি জিনিষই তাগুত আল্লাহ্* ব্যাতিত যার ইবাদত করা হয়।
    সুতরাং সহজ বাংলা ভাষায়, যারা আল্লাহ্*র আইন মানেনা তারা কাফের আর আল্লাহ্*র আইন না মানার জন্য অন্য কে বাধ্য করে তারা তাগুত, যারা আল্লাহ্*র আইন কে সরিয়ে অন্য কোন আইন/সংবিধান নিয়ে আসে তারা তাগুত, যারা এই সংবিধান কে রক্ষা করে তারা তাগুত, সাধারন মানুষ কাফের হতে পারে কিন্তু তাগুত হতে পারেনা, কিন্তু যারা ক্ষমতায় থাকে তারা কাফের এবং তাগুত দুই হতে পারে।

    যারা আল্লাহ্*র আইন অমান্য করে তারা নিঃসন্দেহে কুফুরি করে কিন্তু যারা আল্লাহ্*র আইন কে বাদ দিয়ে অন্য কোন মনগড়া সংবিধান বানায় আর সবাইকে তা মানতে বাধ্য করে আর কেউ না মানলে তার পোষা বাহিনী দিয়ে তাদের উপরে অত্যাচার চালায় তারাই তাগুত।


    আল্লাহ্ সুবহানাহু ওতায়ালা সুরা ইউসুফ এর ৪০ নাম্বার আয়াতে বলছেনঃ
    আল্লাহ্* ছাড়া কারো বিধান দেয়ার ক্ষমতা নাই।


    তিনি তার রাজ্য শাসনে কাউকে শরীক করেন না।

    কাহফ - ২৬

    এইতো গেলো তাগুতের পরিচিতি। এবার দেখা যাক আমরা কি তাহলে তাগুত এবং তার বন্দেগী করার যে পাপ তার মধ্যে ডুবে আছি কিনা? উলামায়ে ছু শ্রেনীর আলিম গণ প্রত্যেক জুমায় আমাদের সামনে তাগুত নিয়ে কথা না বলে প্রমান করতে চাইছেন যে আমরা তাগুতের বন্দেগীর পাপ আর শাস্তি থেকে নিরাপদ হয়ে গেছি, আসলেই তা সত্য কিনা? একটু আগে যে চারটি আয়াত নিয়ে আমরা কথা বলছিলাম তাগুতের পরিচিতি জানার জন্য নিসা ৬০, মায়িদাহ ৬০, বাকারাহ ২৫৭, নিসা ৭৬ সেই আয়াত চারটি দিয়েই আমরা দেখি, যে কিভাবে আমরা তাগুতের বন্দেগী করছি, কিভাবে নিজেদের বিচার ফায়সালার জন্য তাগুতের বিচার প্রার্থী হচ্ছি, কিভাবে তাগুত কুফুরীর সাহায্য কারী, আর কিভাবে আমরা তাগুতের পক্ষে লড়াই করি।

    আল্লাহ্* সুবহানাহু ওতায়ালা সুদ হারাম করেছেন, আর তাগুত সুদ হালাল করেছে। দেদারসে সুদী ব্যাঙ্কের লাইসেন্স দিচ্ছে। আর আমরা সেই সুদের ভিতরে ডুবে আছি, সুদে মজা পাচ্ছি এটাই তাগুতের বন্দেগী। অনেকে সোজা জিনিষ কে বাকা করতে পছন্দ করেন। না, এটা তো বন্দেগী না। আমরা তাহলে বাকা ভাবেই দেখার চেস্টা করি। অনেকেই বলতে শুনেছেন, হালাল কামাই করা একটা ইবাদত, পরিবারের সাথে সময় কাটানোও একটা ইবাদত। হালাল কামাই করা যদি আল্লাহ্*র ইবাদত হয় তাহলে হারাম সুদী কামাই করা তাগুতের ইবাদত। Simple math. আল্লাহ্* জিহাদ ফরজ করেছেন, আর আমার জিহাদ কে ঘৃণা করা শুরু করেছি, জিহাদের বিরুদ্ধে তাগুতের হাত শক্ত করে ধরেছি, মুজাহিদিন দের বিরুদ্ধে তাগুত কে সাহায্য করছি, আর এভাবেই আমরা তাগুতের ইবাদত করছি। আল্লাহ্* আপনাকে যেটা করতে বললেন আপনি সেটা করলেন না, আর তাগুত আপনাকে যেটা করতে বললো আপনি সেটা করলেন, তাহলে আপনি কার ইবাদত করলেন? আল্লাহ্* কি বলেন নি কাফেররা লড়াই করে তাগুতের পক্ষে। Its a simple question, Whose side you are in? আপনি আপনার সাইডে কাকে দেখতে পাচ্ছেন আল্লাহ কে? নাকি তাগুত কে? কে আপনাকে উৎসাহিত করছে তাগুত নাকি আল্লাহ্*র কালাম? ইতি মধ্যে যদি আপনি তাগুত কে দেখে থাকেন তাহলে কষ্ট করে আর পক্ষ নির্ধারন করার দরকার নাই। কারন আপনার পক্ষ নির্ধারন হয়েই গেছে। আপনি কি সত্যি এটা বিশ্বাস করেন যে আপনি তাগুত কে সাহায্য করবেন আবার নিজেকে আল্লহর পক্ষেও দাবি করবেন?

    আল্লাহ শিরক কে সবচেয়ে জঘন্য পাপ বলেছেন আর তাগুত উমুকের সমাধির সামনে, উমুক স্মৃতি সৌধের সামনে, কিংবা শিখা অনির্বান এর সামনে দাঁড়িয়ে আছে আর আমিও সেখানে দাঁড়িয়ে থেকে স্যালুট দিয়ে সম্মান দেখাচ্ছি, তাহলে আমি তাগুতের বন্দেগী করছি নাতো কি করছি? আর এটা যদি শিরক না হয় তবে শিরক কোনটা? জুমুয়ার নামজের তাগুত কোন সফরে আছে আপনি তার নিরাপত্তার মত অনেক জরুরী কাজে ব্যাস্ত আছেন এবং জমুয়ার সালাতের সময় আপনার হয়না, আপনি তাগুতের বন্দেগী করছেন। আল্লাহ্* বলেন যারা ঈমানদার তারা লড়াই করে আল্লাহ্*র পথে আর যারা কাফের তারা লড়াই করে তাগুতের পক্ষে। যারা তাগুতের পক্ষে ইউনিফর্ম পরে লড়াই করছেন তারা তাগুতের বন্দেগী করছেন। আল্লাহ্* স্পষ্ট করে বলে দিচ্ছেন "আল্লাহ্* ব্যাতিত বিধান দেয়ার কেউ নাই" আল্লাহ্* বলছেন "যারা আল্লাহ্*র বিধান অনুযায়ী বিচার করে না তারাই কাফের" এরপরেও যারা আল্লাহ্*র বিধান কে বাদ দিয়ে মানুষের তৈরি বিধান তৈরি করেন আর সেটা জনগনের উপরে চাপিয়ে দেন আর সেই বিধানের রক্ষাকারী সেজে বসেন আর সেই তাগুতদের রক্ষাকারী হয়ে বসেন যারা এইসব মানব রচিত সংবিধান তৈরি করে তারাই তাগুতের বন্দেগী করছেন। এটাই হচ্ছে তাগুতের সবচেয়ে বড় বন্দেগী। অনেকে বলেন, আরে মানব রচিত বিধান আবার কি? আমি গনতন্ত্রের কথা বলছি আর বস্তা পচা ঐ সংবিধানের কথা বলছি। আমরা আসলে নিজেদের সাথে কত প্রতারনা করি তার একটা ছোট্ট উদাহরন দেখি। সমস্ত সৃষ্টি জগত কার হুকুমে চলে? আল্লাহ্*র হুকুমে। আর এই দেশ কার হুকুমে চলে? উমুকের হুকুমে? আল্লাহ্* পুরা সৃষ্টি জগত কে চালাতে পারেন কিন্তু এই দেশ টা উনি চালাতে পারবেন না আউজুবিল্লাহ! ১৫ দিন বৃষ্টি না হলে বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়ে আল্লাহ্*র কাছেই বৃষ্টি চায় অথচ এই দেশ চালানোর জন্য আল্লাহ্*র সৃষ্ট নগন্য কিছু দাসদের এক জায়গায় বসে নতুন সংবিধান বানানোর প্রয়োজন পড়লো। আউজুবিল্লাহ আল্লাহ্* কি দেশ চালানোর সংবিধান প্রণয়নে অক্ষম? অথচ আল্লাহ্* বলছেন, আল্লাহ্*র চেয়ে উত্তম বিধান দাতা আর কে হতে পারে?

    এবার দেখা যাক কিভাবে আমরা তাগুতের কাছে বিচার প্রার্থী হই? এটা নিয়ে বলার কিছু আছে কি? সমস্ত বিচার ব্যাবস্থাই তো তাগুতের। নতুন বলার কোন প্রয়োজন আছে কি?

    আর সব শেষে তাগুত সাহায্য কারী হয় কুফুরী পথ অবলম্বন কারীদের। মদের লাইসেন্স দেয়া হচ্ছে, বেশ্যার লাইসেন্স দেয়া হচ্ছে বিদেশ থেকে বিনোদনের নামে বেশ্যাদের উড়িয়ে নিয়ে আসা হচ্ছে সুদের অনুমতি দিয়ে ব্যাঙ্গের ছাতার মত ব্যাঙ্ক চালু করা হচ্ছে, আর এদের সবার সাহায্য কারীই হচ্ছে তাগুত। আর আমার কিংবা আপনার উপরে যদি তাগুত বিন্দু মাত্র খুশি হয়ে থাকে আমার এবং আপনার চিন্তিত হবার যথেষ্ট কারন আছে। আর তাগুত যদি আপনাকে পদক দেয়, সম্মাননা দেয়, প্রমোশন দেয়, বাড়ি দেয়, গাড়ি দেয়.. তাহলে এ ব্যাপারে খুব বেশি কিছু বলার নাই। কারন আল্লাহ্* কুরআনে জটিল ভাষায় কিছু বলেনি। সহজ ভাষায় আল্লাহ্* বলছেন, তাগুত হচ্ছে কুফুরীর সাহায্য কারী ।

    সুতরাং তাগুত যে আমাদের কে সব দিক থেকে দাস বানিয়ে রেখেছে আমরা যে তার গোলামি করছি এ ব্যাপারে কোন সন্দেহ নাই। তাহলে প্রশ্ন হচ্ছে আমাদের করনীয় কি?

    আল্লাহ্* সুবহানা ওতায়ালা এর উত্তর সুন্দর করে দিয়ে দিচ্ছেনঃ

    দ্বীনের ব্যাপারে কোন জবরদস্তি নাই। প্রকৃত শুদ্ধ এবং নির্ভুল কথাকে ভুল চিন্তা ধারা থেকে ছাটাই করে পৃথক করে রাখা হয়েছে। এখন যে কেউ তাগুত কে অস্বীকার করে আল্লাহর প্রতি ঈমান আনলো, সে এমন এক শক্ত রজ্জু ধারন করলো যা কখনই ছিঁড়ে যাবার নয় এবং আল্লাহ্* সব কিছু শ্রবন করেন এবং জানেন।

    বাকারাহ ২৫৬

    আর এই আয়াতের ব্যাখ্যায় প্রসিদ্ধ তাফসীরকারক গন সবাই যে বিষয়ে একমত তা হচ্ছে আমি আল্লাহ্* কে বিশ্বাস করি এই কথা বলার আগে তাগুত বা কুফুরীর প্রতি অবিশ্বাস এবং অস্বীকার করতে হবে। লা ইলাহা নাই কোন ইলাহ বা তাগুত ইল্লাল্লাহ আল্লাহ্* ছাড়া। আগেই তাগুত কে অস্বীকার।মুহাম্মাদ আলী আর রিফায়ী খুব সহজ ভাষায় এই আয়াতের তাফসীরে ব্যাখ্যা করেন। যদি কেউ বলেন, লা ইলাহা ইল্লা-ল্লাহ এবং তিনি তখনো তাগুত কে প্রত্যাখ্যান করেন নি তাহলে তিনি আল্লাহ্* সুবহা নাহু ওতায়ালার উপরোক্ত আয়াতের বিরুদ্ধে চলে যাচ্ছেন। কারন সেখানে তাগুত কে আগে অস্বীকার করার কথা বলা আছে। এই আয়াতে আল্লাহ্* মাসাকা শব্দের পরিবর্তে আসতামসাকা শব্দ ব্যাবহার করেছেন। আরবিতে মাসাকা অর্থ এক হাত দিয়ে কিছু ধরা কিন্তু এই আয়াতে আসতামসাকা ব্যাবহার করা হয়েছে যার অর্থ হচ্ছে উভয় হাত দিয়ে শক্ত করে ধরা। এটাকে আরো সহজ করে যদি আমরা বলি যে, আপনি আপনার ডান হাতে কোন কিছু ধরে আছেন তাহলে এর অর্থ দাঁড়ায় যে আপনার বাম হাত খালি এবং আপনি আপনার বাম হাতে অন্য কিছু ধরতে পারেন। এই ভাবে যদি আমরা বলি যে কেউ এক হাতে লা ইলাহা ইল্লা ল্লাহ ধরে আছে এবং আরেক হাতে তাগুত কে ধরে আছে তাহলে তার বিশ্বাস বা ঈমান ঠিক নাই এবং তিনি ইসলামের গণ্ডির বাইরে। এজন্য আল্লাহ্* সুবহানাহু ওতায়ালা উপরের আয়াতে আসতামসাকা শব্দ ব্যাবহার করে আমাদের কাছে এটা সুস্পষ্ট করে দিয়েছেন যে, আমাদের কে লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ আমাদের উভয় হাত দিয়েই ধরতে হবে এবং সেটা তখনই সম্ভব যখন শুরতেই তাগুত কে অস্বীকার করে নেয়া হবে।

    আল্লাহ্* সুবহানাহু ওতায়ালা আমাদের জন্য সহজ করুন। আমীন।

    আপনাদের ভাই,
    আব্দুল্লাহ
    মিডিয়া জিহাদের অর্ধেক কিংবা তারও বেশি

  • #2
    জাযাকাল্লাহ আনেক সুন্দর হয়েছে, ভাই আপনি চালিয়ে যান!!!!!!!!!!!!
    দ্বীনকে আপন করে ভালোবেসেছে যারা,
    জীবনের বিনিময়ে জান্নাত কিনেছে তারা।

    Comment


    • #3
      মাশা‘আল্লাহ! জাযাকাল্লাহ! হায়য়্যাকাল্লাহ! বারাকাল্লাহ!
      ভাই আব্দুল্লাহ আল্লাহ তা’য়ালা আপনাকে উত্তম প্রতিদান দান করুক

      আমীন.....

      Comment


      • #4
        মাশাআল্লাহ।
        তাগুতের বিরুদ্ধে উত্তম ভাবে দাওয়াত পৌঁছে দিন ভাই। আমরা সকলে শেয়ার করতে পারি ইনশাআল্লাহ।

        Comment


        • #5
          জাযাকাল্লাহ ভাই । অনেক ভালো হয়েছে ।

          Comment


          • #6
            يٰۤاَيُّهَا النَّبِيُّ جَاهِدِ الْكُفَّارَ وَالْمُنٰفِقِيْنَ وَاغْلُظْ عَلَيْهِمْ ؕ وَمَاْوٰىهُمْ جَهَنَّمُ ؕ وَبِئْسَ الْمَصِيْرُ

            হে নবী, কাফেরদের সাথে যুদ্ধ করুন এবং মুনাফেকদের সাথে তাদের সাথে কঠোরতা অবলম্বন করুন। তাদের ঠিকানা হল দোযখ এবং তাহল নিকৃষ্ট ঠিকানা।
            فَقَاتِلُوْۤا اَوْلِيَآءَ الشَّيْطٰنِ

            Comment


            • #7
              আল্লাহ আপনার ইলম ও লিখনিতে বরকত দান করুন!! এমন লেখার অপেক্ষায় থাকলাম প্রিয় ভাই!!!
              ভুল-ত্রুটি জানানোর অনুরোধ রইল!!!

              Comment


              • #8
                আমাদের আর আবু জাহেলের ঈমানের মধ্যে পার্থ্যক্য কী? আবু জাহেল ও তার সঙ্গীরা আল্লাহকে স্বীকার করত। যেমন আল্লাহ তা’আলা বলেন - ‘যদি আপনি তাদেরকে জিজ্ঞেস করেন, কে নভোমন্ডল ও ভূ-মন্ডল সৃষ্টি করেছে, চন্দ্র ও সূর্যকে কর্মে নিয়োজিত করেছে ? তবে তারা অবশ্যই বলবে, আল্লাহ। তাহলে তারা কোথায় ঘুরে বেড়াচ্ছে?’ -সুরা আনকাবুত: ১৬। কিন্ত তারা তাগুতকে আস্বীকার করত না। তাহলে বর্তমানে আমাদের আবস্থা কী?
                এসো জিহাদ শিখি

                Comment


                • #9
                  আলহামদুলিল্লাহ, অনেক সুন্দর হয়েছে।
                  চালিয়ে যান ভাই...ইনশা আল্লাহ
                  ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

                  Comment

                  Working...
                  X