দুনিয়াতে আমরা কত রকম ব্যাবসাই তো দেখি, আজ আমরা ভিন্ন এক ব্যাবসা নিয়ে কথা বলবো ইনশাআল্লাহ্*। যে ব্যাবসা নিয়ে কথা বলা মানুষ প্রায় ছেড়েই দিয়েছে, যে ব্যাবসা আজ আমাদের অন্তর থেকে হারিয়ে যেতে বসেছে, অথচ এর মত লাভজনক ব্যাবসা আর দ্বিতীয় টি নেই।
আল্লাহ্* সুবহানাহু তায়ালা সুরা আস-সাফ ১০-১২ নাম্বার আয়াতে বলেন,
"হে মুমিনগণ, আমি কি তোমাদের এমন এক ব্যাবসার সন্ধান দিবো যা তোমাদের কঠিন এবং যন্ত্রণাদায়ক এক আযাব থেকে বাঁচিয়ে দিবে। তোমরা আল্লাহ্* এবং তাঁর রাসুলের প্রতি ঈমান আনবে, এবং তোমাদের মাল ও জান দিয়ে আল্লাহ্*র পথে জিহাদ করবে; এটাই তোমাদের জন্য উত্তম, যদি তোমরাবুঝতে। আল্লাহ্* তোমাদের গুনাহ সমূহ মাফ করে দিবেন, এবং তোমাদের প্রবেশ করাবেন এমন এক জান্নাতে যার তলদেশ দিয়ে ঝর্নাধারা প্রবাহিত থাকবে, তিনি তোমাদের কে আরো প্রবেশ করাবেন জান্নাতের স্থায়ী নিবাসস্থলের সুন্দর ঘরসমূহে; আর এটাই হচ্ছে সবচেয়ে বড় সাফল্য"
আল্লাহ্* সুবহানাহু তায়ালা সুরা বাকারার ২৬১ নাম্বার আয়াতে বলেন,
"যারা নিজেদের ধন সম্পদ আল্লাহ্*র পথে খরচ করে তাদের উদাহরন হচ্ছে একটি বীজের মত, যা থেকে উৎপন্ন হয় সাতটি শীষ, আবার প্রত্যেক শীষে (উৎপন্ন হলো) একশ শস্য দানা। আল্লাহ্* তায়ালা যাকে চান তাকে বহু গুন বৃদ্ধি করে দেন, বস্তুত আল্লাহ্* হচ্ছেন বিপুল দাতা ও মহাজ্ঞানী"
___ (সুরা বাকারাহ ২৬১)
এই আয়াতের তাফসীরে ইবনে কাসীর (রহঃ) বর্ণনা করেন, আল্লাহ্*র রাস্তায় ব্যায়কৃত প্রত্যেকটি আমলের আজর ৭০০ গুন বৃদ্ধি পাবে।
রাসুল (সাঃ) বলেন, যায়িদ ইবনে খালিদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত,
রাসুল (সাঃ) বলেন, যে আল্লাহ্*র রাস্তায় একজন মুজাহিদ কে প্রস্তুত করে দিলো সে যেন নিজেই যুদ্ধ করলো, যে একজন মুজাহিদের অনুপস্থিতিতে তাঁর পরিবারের দেখাশোনা করলো সেও জিহাদ করলো।
___ সাহিহ বুখারী
শাইখ আনওয়ার আল আওলাকি (রহঃ) এর বিখ্যাত জিহাদে অংশগ্রহনের ৪৪ উপায় এর মধ্যে কিছু হচ্ছেঃ
আজ আমি আপনাদের এমন এক ব্যাবসার কথা বলতে চাই যার তুলনায় আর কোন ব্যাবসা সামনে দাঁড়াতেও পারবেনা! এমন এক ব্যাবসা সারা পৃথিবীতে যার দ্বিতীয় কোন উদাহরন কেউ দিতে পারবেনা! এমন এক ব্যাবসা যার সমতুল্য আর কিছুই নাই! এই ব্যাবসার কথা কিন্তু আমি নিজে বলছিনা, এই ব্যাবসার কথা বলছেন, সমস্ত জাহানের মালিক, আসমান সমূহের মালিক, জমিন সমূহের মালিক, জান্নাত সমূহের মালিক, জাহান্নাম সমূহের মালিক, আরশের অধিপতি মহান আল্লাহ্* রাব্বুল আলামিন। আর মহান আল্লাহ্*র এই লাভজনক ব্যাবসা সম্পর্কে জানার আগে আল্লাহ্* সম্পর্কে আমাদের কিছু জানা প্রয়োজন। যেমন দুনিয়াবি কোন ব্যাবসার আগে আমরা এর আগে পিছের মানুষ গুলো সম্পর্কে জানতে চাই! যার সামর্থ্য যত বেশি, যার টাকা পয়সা যত বেশি, যার যত ইন্ডাস্ট্রি আছে, যার কোটি কোটি টাকা আছে, যার কাছে দেশের পুলিশ র্যাতব জিম্মি, যার টাকার খেলায় মন্ত্রী এমপি পুতুল নাচ নাচে এমন কেউ যদি আমাদের কোন ব্যাবসার প্রস্তাব দেয় সবাই তার এই প্রস্তাব লুফে নিবে। কারন সবাই জানে এই লোকের কাছে ক্ষমতা আছে, টাকা আছে, লবিং আছে, সবকিছুই আছে। সুতরাং এমন কোন বোকা আছে যে এমন লোকের ব্যাবসার প্রস্তাব ফিরিয়ে দিবে, কারন এমন লোকের সাথে ব্যাবসায় কোন লস নাই! সুতরাং এমন ব্যাবসার প্রস্তাব এক কথায় অসাধারন! এবার দেখি আমরা এখানে যে ব্যাবসার কথা বলছি সেই ব্যাবসা কার পক্ষ থেকে আসছে। তাকে আমরা কত টুকু চিনি!
আল্লাহ্* তিনি, যিনি ব্যাতিত আর কোন ইলাহ নাই, তিনি চিরঞ্জীব, চির স্থায়ী। আল্লাহ্* সমস্ত সৃষ্টি জগতের মালিক, আসমান সমূহের মালিক, জমিন সমূহের মালিক, জান্নাত সমূহের মালিক, জাহান্নাম সমূহের মালিক। তিনি মালিক জিবরীল (আঃ)। তিনি মালিক ইস্রাফীল আঃ, মিকাইল (আঃ) এর, আজরাইল (আঃ) এর। তিনি মালিক আরশ বহন কারী ফেরেশতাদের আর তিনিই মালিক সমস্ত আরশের। তিনি মালিক বিলিওন বিলিওন ফেরেশতাদের, তিনি মালিক সমস্ত সৃষ্টি জগতের। তিনি কখনো ঘুমাননা, কখনো ক্লান্ত হননা। তিনি কারো মুখাপেক্ষী নন। তাঁর ইশারা ব্যাতিত কোন কিছু হয়না, আর তাঁর জ্ঞানের বাইরে কেউ কোন কিছু লুকাতে পারেনা। তিনি খাওয়ান সাগরের সমস্ত প্রানী কে, আকাশের সমস্ত পাখিকে আর জমিনের সমস্ত প্রানীকে আবার তিনি জানেন সমুদ্রের তীরে ঠিক কতগুলো বালুকনা আছে! মায়ের গর্ভে তিনি নাপাক বীর্য কে রক্তপিন্ড বানিয়ে দেন, রক্ত পিন্ড কে সুনির্দিষ্ট আকৃতি দেন, তার ভিতরে হাড় তৈরি করেন আর সেই হাড়ের উপরে গোশতের আবরন দিয়ে সুন্দর মানুষ তৈরি করেন, তিনি কাউকে করেন ছেলে আবার কাউকে করেন মেয়ে। তিনি জীবন দেন, আবার তিনি মরন দেন। তিনি জীবিত থেকে মৃত বের করান আবার মৃত থেকে জীবিত বের করান। তার সমকক্ষ কেই নাই, তাকে চ্যালেঞ্জ করার মত কেউ নাই, তিনি সূর্য কে পূর্ব থেকে উঠান কারো সামর্থ্য নাই সেটাকে পশ্চিম থেকে উঠানোর আবার তিনি যদি সূর্যকে পশ্চিম থেকে উঠাতে চান কারো সাধ্য নাই সেটাকে পূর্ব থেকে উঠানোর! তিনি যদি কাউকে সম্মান দিতে চান কেউ তাকে অপমান করতে পারেনা আর তিনি যদি কাউকে অপমান করতে চান কেউ তার কোন উপকার করতে পারেনা। তিনিই আল্লাহ্*, ইব্রাহীম (আঃ) রব্ব, মুসার (আঃ) এর রব্ব, ঈসা আঃ এর রব্ব, মুহাম্মদ সাঃ এর রব্ব। সৃষ্টির সমস্ত কিছু তাঁর প্রশংসা করে আর তাঁর তাসবিহ পড়তে থাকে। আল্লাহ্*র কাছে থেকেই আমরা এসেছি আর তাঁর কাছেই আমাদের প্রত্যাবর্তন।
সুবহানাল্লাহি ওয়াবি হামদিহি সুবহানাল্লহিল আজিম
আসলে আজ তো আমরা আল্লাহর পরিচয়ই ভুলে গেছি তাই আল্লাহ্*র দেয়া ব্যাবসার প্রস্তাব আমাদের মনে কোন দাগ কাটেনা। এর চেয়ে আশ্চর্যের বিষয় আর কি হতে পারে যে, আল্লাহ্*র পক্ষ থেকে সরাসরি ব্যাবসাও আজ আমাদের কাছে গুরুত্বহীন হয়ে যায়।
আল্লাহ্* সুবহানাহু তায়ালা আমাদের এক ব্যাবসার প্রস্তাব দিচ্ছেন। অনেক টা এমন যে, আমি আল্লাহ্*, কেউ আছো কি যে আমার সাথে ব্যাবসা করতে রাজি আছ! যেমন আল্লাহ্* কুরানে অন্য এক জায়গায় বলছেন, "কে এমন হবে যে আল্লাহ্* কে উত্তম ঋণ দিবে.." আল্লাহ্* নিজে আমাদের কে এক ব্যাবসার সন্ধান দিচ্ছেন। সেই ব্যাবসার প্রথম লাভ, কঠিন এক আজাব থেকে বাঁচিয়ে দিবে। ব্যাবসা বুঝতে হলে ব্যাবসার লাভক্ষতি গুলোও খুব ভালো ভাবে বুঝে আসা দরকার। না হলে ব্যাবসা মনে ধরেনা...
চলবে ইনশাআল্লাহ্* ..
আল্লাহ্* সুবহানাহু তায়ালা সুরা আস-সাফ ১০-১২ নাম্বার আয়াতে বলেন,
"হে মুমিনগণ, আমি কি তোমাদের এমন এক ব্যাবসার সন্ধান দিবো যা তোমাদের কঠিন এবং যন্ত্রণাদায়ক এক আযাব থেকে বাঁচিয়ে দিবে। তোমরা আল্লাহ্* এবং তাঁর রাসুলের প্রতি ঈমান আনবে, এবং তোমাদের মাল ও জান দিয়ে আল্লাহ্*র পথে জিহাদ করবে; এটাই তোমাদের জন্য উত্তম, যদি তোমরাবুঝতে। আল্লাহ্* তোমাদের গুনাহ সমূহ মাফ করে দিবেন, এবং তোমাদের প্রবেশ করাবেন এমন এক জান্নাতে যার তলদেশ দিয়ে ঝর্নাধারা প্রবাহিত থাকবে, তিনি তোমাদের কে আরো প্রবেশ করাবেন জান্নাতের স্থায়ী নিবাসস্থলের সুন্দর ঘরসমূহে; আর এটাই হচ্ছে সবচেয়ে বড় সাফল্য"
আল্লাহ্* সুবহানাহু তায়ালা সুরা বাকারার ২৬১ নাম্বার আয়াতে বলেন,
"যারা নিজেদের ধন সম্পদ আল্লাহ্*র পথে খরচ করে তাদের উদাহরন হচ্ছে একটি বীজের মত, যা থেকে উৎপন্ন হয় সাতটি শীষ, আবার প্রত্যেক শীষে (উৎপন্ন হলো) একশ শস্য দানা। আল্লাহ্* তায়ালা যাকে চান তাকে বহু গুন বৃদ্ধি করে দেন, বস্তুত আল্লাহ্* হচ্ছেন বিপুল দাতা ও মহাজ্ঞানী"
___ (সুরা বাকারাহ ২৬১)
এই আয়াতের তাফসীরে ইবনে কাসীর (রহঃ) বর্ণনা করেন, আল্লাহ্*র রাস্তায় ব্যায়কৃত প্রত্যেকটি আমলের আজর ৭০০ গুন বৃদ্ধি পাবে।
রাসুল (সাঃ) বলেন, যায়িদ ইবনে খালিদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত,
রাসুল (সাঃ) বলেন, যে আল্লাহ্*র রাস্তায় একজন মুজাহিদ কে প্রস্তুত করে দিলো সে যেন নিজেই যুদ্ধ করলো, যে একজন মুজাহিদের অনুপস্থিতিতে তাঁর পরিবারের দেখাশোনা করলো সেও জিহাদ করলো।
___ সাহিহ বুখারী
শাইখ আনওয়ার আল আওলাকি (রহঃ) এর বিখ্যাত জিহাদে অংশগ্রহনের ৪৪ উপায় এর মধ্যে কিছু হচ্ছেঃ
- নিজের সম্পদ দিয়ে জিহাদ
- মুজাহিদিনদের জন্য অর্থ সংগ্রহ
- মুজাহিদিনদের আর্থিক সাহায্য করা
- মুজাহিদিনদের পরিবারের দেখাশোনা করা
- শহীদ পরিবারের দেখাশোনা করা
- যুদ্ধ বন্দী পরিবারের দেখাশোনা করা
আজ আমি আপনাদের এমন এক ব্যাবসার কথা বলতে চাই যার তুলনায় আর কোন ব্যাবসা সামনে দাঁড়াতেও পারবেনা! এমন এক ব্যাবসা সারা পৃথিবীতে যার দ্বিতীয় কোন উদাহরন কেউ দিতে পারবেনা! এমন এক ব্যাবসা যার সমতুল্য আর কিছুই নাই! এই ব্যাবসার কথা কিন্তু আমি নিজে বলছিনা, এই ব্যাবসার কথা বলছেন, সমস্ত জাহানের মালিক, আসমান সমূহের মালিক, জমিন সমূহের মালিক, জান্নাত সমূহের মালিক, জাহান্নাম সমূহের মালিক, আরশের অধিপতি মহান আল্লাহ্* রাব্বুল আলামিন। আর মহান আল্লাহ্*র এই লাভজনক ব্যাবসা সম্পর্কে জানার আগে আল্লাহ্* সম্পর্কে আমাদের কিছু জানা প্রয়োজন। যেমন দুনিয়াবি কোন ব্যাবসার আগে আমরা এর আগে পিছের মানুষ গুলো সম্পর্কে জানতে চাই! যার সামর্থ্য যত বেশি, যার টাকা পয়সা যত বেশি, যার যত ইন্ডাস্ট্রি আছে, যার কোটি কোটি টাকা আছে, যার কাছে দেশের পুলিশ র্যাতব জিম্মি, যার টাকার খেলায় মন্ত্রী এমপি পুতুল নাচ নাচে এমন কেউ যদি আমাদের কোন ব্যাবসার প্রস্তাব দেয় সবাই তার এই প্রস্তাব লুফে নিবে। কারন সবাই জানে এই লোকের কাছে ক্ষমতা আছে, টাকা আছে, লবিং আছে, সবকিছুই আছে। সুতরাং এমন কোন বোকা আছে যে এমন লোকের ব্যাবসার প্রস্তাব ফিরিয়ে দিবে, কারন এমন লোকের সাথে ব্যাবসায় কোন লস নাই! সুতরাং এমন ব্যাবসার প্রস্তাব এক কথায় অসাধারন! এবার দেখি আমরা এখানে যে ব্যাবসার কথা বলছি সেই ব্যাবসা কার পক্ষ থেকে আসছে। তাকে আমরা কত টুকু চিনি!
আল্লাহ্* তিনি, যিনি ব্যাতিত আর কোন ইলাহ নাই, তিনি চিরঞ্জীব, চির স্থায়ী। আল্লাহ্* সমস্ত সৃষ্টি জগতের মালিক, আসমান সমূহের মালিক, জমিন সমূহের মালিক, জান্নাত সমূহের মালিক, জাহান্নাম সমূহের মালিক। তিনি মালিক জিবরীল (আঃ)। তিনি মালিক ইস্রাফীল আঃ, মিকাইল (আঃ) এর, আজরাইল (আঃ) এর। তিনি মালিক আরশ বহন কারী ফেরেশতাদের আর তিনিই মালিক সমস্ত আরশের। তিনি মালিক বিলিওন বিলিওন ফেরেশতাদের, তিনি মালিক সমস্ত সৃষ্টি জগতের। তিনি কখনো ঘুমাননা, কখনো ক্লান্ত হননা। তিনি কারো মুখাপেক্ষী নন। তাঁর ইশারা ব্যাতিত কোন কিছু হয়না, আর তাঁর জ্ঞানের বাইরে কেউ কোন কিছু লুকাতে পারেনা। তিনি খাওয়ান সাগরের সমস্ত প্রানী কে, আকাশের সমস্ত পাখিকে আর জমিনের সমস্ত প্রানীকে আবার তিনি জানেন সমুদ্রের তীরে ঠিক কতগুলো বালুকনা আছে! মায়ের গর্ভে তিনি নাপাক বীর্য কে রক্তপিন্ড বানিয়ে দেন, রক্ত পিন্ড কে সুনির্দিষ্ট আকৃতি দেন, তার ভিতরে হাড় তৈরি করেন আর সেই হাড়ের উপরে গোশতের আবরন দিয়ে সুন্দর মানুষ তৈরি করেন, তিনি কাউকে করেন ছেলে আবার কাউকে করেন মেয়ে। তিনি জীবন দেন, আবার তিনি মরন দেন। তিনি জীবিত থেকে মৃত বের করান আবার মৃত থেকে জীবিত বের করান। তার সমকক্ষ কেই নাই, তাকে চ্যালেঞ্জ করার মত কেউ নাই, তিনি সূর্য কে পূর্ব থেকে উঠান কারো সামর্থ্য নাই সেটাকে পশ্চিম থেকে উঠানোর আবার তিনি যদি সূর্যকে পশ্চিম থেকে উঠাতে চান কারো সাধ্য নাই সেটাকে পূর্ব থেকে উঠানোর! তিনি যদি কাউকে সম্মান দিতে চান কেউ তাকে অপমান করতে পারেনা আর তিনি যদি কাউকে অপমান করতে চান কেউ তার কোন উপকার করতে পারেনা। তিনিই আল্লাহ্*, ইব্রাহীম (আঃ) রব্ব, মুসার (আঃ) এর রব্ব, ঈসা আঃ এর রব্ব, মুহাম্মদ সাঃ এর রব্ব। সৃষ্টির সমস্ত কিছু তাঁর প্রশংসা করে আর তাঁর তাসবিহ পড়তে থাকে। আল্লাহ্*র কাছে থেকেই আমরা এসেছি আর তাঁর কাছেই আমাদের প্রত্যাবর্তন।
সুবহানাল্লাহি ওয়াবি হামদিহি সুবহানাল্লহিল আজিম
আসলে আজ তো আমরা আল্লাহর পরিচয়ই ভুলে গেছি তাই আল্লাহ্*র দেয়া ব্যাবসার প্রস্তাব আমাদের মনে কোন দাগ কাটেনা। এর চেয়ে আশ্চর্যের বিষয় আর কি হতে পারে যে, আল্লাহ্*র পক্ষ থেকে সরাসরি ব্যাবসাও আজ আমাদের কাছে গুরুত্বহীন হয়ে যায়।
আল্লাহ্* সুবহানাহু তায়ালা আমাদের এক ব্যাবসার প্রস্তাব দিচ্ছেন। অনেক টা এমন যে, আমি আল্লাহ্*, কেউ আছো কি যে আমার সাথে ব্যাবসা করতে রাজি আছ! যেমন আল্লাহ্* কুরানে অন্য এক জায়গায় বলছেন, "কে এমন হবে যে আল্লাহ্* কে উত্তম ঋণ দিবে.." আল্লাহ্* নিজে আমাদের কে এক ব্যাবসার সন্ধান দিচ্ছেন। সেই ব্যাবসার প্রথম লাভ, কঠিন এক আজাব থেকে বাঁচিয়ে দিবে। ব্যাবসা বুঝতে হলে ব্যাবসার লাভক্ষতি গুলোও খুব ভালো ভাবে বুঝে আসা দরকার। না হলে ব্যাবসা মনে ধরেনা...
চলবে ইনশাআল্লাহ্* ..
Comment