কে এই মুহাম্মদ (সাঃ)? কে? কি তাঁর পরিচয়? কি তাঁর সম্মান? কত টুকু তাঁর মর্যাদা?
হাশরের ময়দানে সমস্ত মানুষ ৫০ হাজার বছর দাঁড়িয়ে থাকবে, মানুষ অসহায় হয়ে আদম (আঃ) এর কাছে যাবে, আল্লাহ্*র কাছে সুপারিশ করার জন্য, আদম (আঃ) বলবেন, আমি নিজেই আজ নিজেকে নিয়ে অনেক দুশ্চিন্তায় আছি, আদম (আঃ) বলবেন তোমরা নুহ এর কাছে যাও, নুহ (আঃ) বলবেন, আমি নিজেই আজ নিজেকে নিয়ে অনেক দুশ্চিন্তায় আছি, তোমরা মুসার কাছে যাও, মুসা (আঃ) বলবেন, আমি নিজেই আজ নিজেকে নিয়ে অনেক দুশ্চিন্তায় আছি, তোমরা ইব্রাহিম (আঃ) এর কাছে যাও, ইবরাহিম (আঃ) বলবেন আমি নিজেই আজ নিজেকে নিয়ে অনেক দুশ্চিন্তায় আছি, তোমরা মুহাম্মাদ (সাঃ) এর কাছে যাও। মুহাম্মদ (সাঃ) এর মানুষ যাবে আর বলবে, ইয়া রাসুলাল্লাহ, আপনি আমাদের জন্য শাফায়াত করেন। আল্লাহ্*র রাসুল (সাঃ) হাদিসে বলেন, আমি সেদিন আল্লাহর সামনে যাবো এবং সাজদায় নত হবো,আল্লাহ্* আমাকে সেদিন এমন কিছু প্রশংসার কথা শিখিয়ে দিবেন যা ইতিপুর্বে আর কাউকে শেখানো হয়নি, আল্লাহ্* আমাকে বলবেন, হে মুহাম্মাদ, তুমি শাফায়াত করো, তোমার শাফায়াত কবুল করা হবে। আমি শাফায়াত করবো, আর আল্লাহ্* আমার শাফায়ত কবুল করবেন।
এই সেই মুহাম্মাদ (সাঃ) উহুদের যুদ্ধে নিজের হাত দিয়ে দাড়ি থেকে রক্ত মুছছেন আর কস্টে অভিশাপ তাঁর মুখে চলে আসছে তিনি সাথে সাথে নিজেকে সামলে বললেন, "ও আল্লাহ তুমি তাদের ক্ষমা করে দাও, তারা জানেনা তারা কি করছে"। আর এই রাসুল (সাঃ) কে যখন গালি দেয়া হয়, যখন তাঁর পবিত্র পরিবার কে অসম্মান করা হয়, নোংরা ছবি আকা হয় তখন উম্মত ঘুমিয়ে থাকে! তখন উম্মত যুক্তি দিয়ে এই ঘৃণিত কাজের পক্ষে যুক্তি খোঁজার চেস্টা করে! অনেকে এর সাথে একাত্মতা পোষণ করে, অনেকের তো চোখ কপালে উঠে যায় শুধু এই চিন্তা করতে করতে যে এর মধ্যে অপরাধের কি আছে!
প্রিয় ভাই এবং বোনেরা, কিন্তু এরপরেও আল্লাহ্*র পছন্দের কিছু যুবক ঠিকই দাঁড়িয়ে গেছে! আল্লাহ, তাঁর দ্বীন আর তাঁর রাসুল (সাঃ) এর অসম্মানের বিরুদ্ধে নিজের জান কে কুরবানী করে দেয়ার জন্য প্রস্তুত হয়ে গেছেন! পৃথিবীর আনাচে কানাচে উম্মতের এক অংশ জেগে উঠছে। দুনিয়ার ধন দৌলত, মান সম্মান, পরিবার পরিজন, সুন্দরী স্ত্রী, আরাম আয়েশের জিন্দেগী, ক্যারিয়ার, সব কিছুকে তুচ্ছ করে জিহাদের ময়দানে ঝাপিয়ে পড়ছে জান্নাতুল ফিরদাউসে নিজেদের হিস্যা বুঝে নিতে আর আল্লাহ্*র দ্বীনের বিজয়ের জন্য! আর আল্লাহ্* তাদের জন্য বিজয় কে সহজ করে দিচ্ছেন সুবহানাল্লাহ! কেন আপনি কি দেখতে পাচ্ছেন না, আফগানিস্থান থেকে রাশিয়ানরা লেজ তুলে পালিয়েছে, এখন অ্যামেরিকা আর তার দোসর ন্যাটো লেজ গুটিয়ে পালাচ্ছে, ইরাক থেকে জান নিয়ে পালাতে পারলেও যেন বাঁচে! কই আজ কেন অ্যামেরিকা তর্জন গর্জন করেনা। কেন আজ অ্যামেরিকা বলেনা, পৃথিবীর যে প্রান্তেই আল্লাহ্*র পবিত্র মুজাহিদ আর তাদের ভাষায় সন্ত্রাসী থাকুক না কেন অ্যামেরিকা তাকে ছাড় দিবেনা। কেন অ্যামেরিকা আজ বলে, অ্যামেরিকা তার নিজের ভুমি ছাড়া অন্য কোন দেশে আপাতত সৈনিক পাঠাবেনা!
আমার ভাই বোনেরা এই হচ্ছে আল্লাহ্*র প্রতিজ্ঞার শুরু মাত্র! আল্লাহ্* কি বলেন নি আর সবশেষে আল্লাহ্* বিজয় মুত্তাকীন দের কেই দিবেন। আল্লাহ্* নিজেই তার দ্বীন কে বিজয় দিবেন, আর আল্লাহ্* সুবহানাহু ওতায়ালা অসীম অনুগ্রহে এই সব মুজাহিদিন ভাইরা তাঁদের নাম দ্বীনের বিজয়ের সাথে লিখে নিচ্ছেন! আর নিশ্চয়ই আল্লাহ্* ইনাদের মধ্য থেকে পবিত্র শহীদগণ কে বেছে নিচ্ছেন! আর নিশ্চয়ই এর মধ্য দিয়ে উম্মতের ভাই এবং বোনেরা বিশেষ করে উম্মতের যুবক ভাই এবং বোনেরা জান্নাতের টিকেট কেটে জান্নাত আল ফিরদাউসে পাড়ি জমাচ্ছেন ইনশাআল্লাহ্*! নিশ্চয়ই আল্লাহ্* প্রতিদান প্রদানে সর্বউত্তম! আর নিশ্চয়ই আল্লাহ্* তাঁর বান্দাদের কর্মফল নস্ট করেন না!
এক সময়ে উম্মত ঘুমিয়ে ছিলো, আজো কিছু ঘুমিয়ে আছে এবং কালও তাদের মধ্য থেকে কিছু ঘুমিয়েই থাকবে! কিন্তু ভেবে দেখেছেন কি এর মধ্য থেকে ঠিকই কিছু আল্লাহ্*র বান্দা, আল্লাহর সৈনিক ঘুম থেকে জেগে উঠেছে, নিজেদের ভুল বুঝতে পেরেছে, আল্লাহর কাছে ক্ষমা চেয়েছে আর আল্লাহ্*র নুসরাহ চেয়েছে আর নিজেদের সব কিছু নিয়ে আল্লাহ্*র রাস্তায় ঝাপিয়ে পড়েছে। আল্লাহ সুবহানাহু ওতায়ালা বলেন,
"মুমিনদের মধ্যে কতক লোক আল্লাহ্*র সাথে তাদের কৃত অঙ্গীকার সত্যে পরিণত করেছে। তাদের কতক উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে শাহাদাত বরন করেছে, আর কতক অপেক্ষায় আছে। তারা তাদের সঙ্কল্প কখনো তিল পরিমান পরিবর্তন করেনি"
(সুরা আহযাব ২৩)
আর এটাই আমরা সত্যি দেখছি। কিছু শাহাদাতের অমিয় সুধা পান করে ধন্য হয়ে গেছেন আর কিছু এখনো নিজেদের সঙ্কল্পে অবিচল থেকে শাহাদাতের অপেক্ষায় আছেন! কখনো কি ভেবে দেখেছি, আল্লাহ্*র কুরআন তাদের সম্পর্কে কথা বলছেন আর তাদের কাজের সাক্ষ্য দিচ্ছেন, যারা গা ঝাড়া দিয়ে উঠেছেন, আল্লাহ্*র সাথে ওয়াদা করেছেন আর সেই ওয়াদার উপর অবিচল রয়েছেন।
সবাই সবার হিস্যা বুঝে নিচ্ছেন। কিন্তু আমরা কি করছি? আমরা কি জেগে আছি নাকি এখনো ঘুমিয়ে আছি? জান্নাত আল ফিরদাউসের টিকেট বিক্রি হচ্ছে! বাতাসে জান্নাতের টিকেট উড়ছে, কিছু মানুষ সেই জান্নাতের পিছনে নিজেদের জান ও মাল বাজি রেখেছে। আল্লাহ্*র সেই ব্যাবসা যা আমরা প্রথমে বলেছিলাম, তা গ্রহন করেছে!
ভাই এবং বোনেরা আমার, মাল দিয়ে যদি না জিহাদ না করতে পারি তবে জান দিয়ে কিভাবে জিহাদ সম্ভব? আর মাল হচ্ছে জিহাদের রক্ত! মাল ছাড়া জিহাদ হবে কি করে! উম্মতের ভাইরা নিজেদের জান নিয়ে প্রস্তুত, আমরা কি তাদের জন্য আমাদের কিছু মাল নিয়ে তাদের প্রস্তুতির আঞ্জাম দিতে পারিনা? আর এটা কার জন্য করবো? আল্লাহ কি আমাদের ধন সম্পদের মুখাপেক্ষী? অবশ্যই নয়, বরং আমরাই তাঁর বিশাল জান্নাত যার প্রশস্ততা হচ্ছে এই দুনিয়া এবং আসমানের সমান। আল্লাহ্* আমাদের অনুগ্রহ চাননা, বরং আমরাই তাঁর অনুগ্রহের ভিখারী! আবু দারদাহ (রাঃ) তাঁর পুরা বাগান এবং বাগানবাড়ির বিনিময়ে জান্নাতের একটা গাছ কিনেছিলেন, আর এখানে তো পুরা জান্নাতের কথা বলা হচ্ছে!
আমার ভাই এবং বোনেরা, আমরা আল্লাহ্*র কাছে ইস্তেগফার করি, আর আল্লাহ্*র কাছে সাহায্য চাই, আল্লাহর কাছে দুই হাত তুলে ফরিয়াদ করি আর বলি, ও আল্লাহ্* "আপনি সত্য, আপনার কালাম আল কুরআন সত্য, আপনার ওয়াদা সত্য, জান্নাত সত্য, আর জাহান্নাম সত্য! আমার জন্ম সত্য আর আমার মৃত্যুও সত্য! ও আল্লাহ্* আমি ভয় করি জাহান্নাম কে আর আমি আশা করি আপনার জান্নাতের। ও আল্লাহ্* আপনার কালামের মাধ্যমে জানতে পেরেছি, আপনি আমার জান ও মালের বিনিময়ে জান্নাতের ওয়াদা দিচ্ছেন! ও আল্লাহ্* আপনি আমাকে আপনার সাথে এই পবিত্র ব্যাবসা করার তাউফিক দেন আর আমার এই ব্যাবসা কে কবুল করেন। ও আল্লাহ্*, আমি আমার এই ধন সম্পদ কিছুই চাইনা, এগুলোর বদলায় আপনি আমাকে জান্নাতে একটা ঘর বানিয়ে দিন, ও আল্লাহ্* আমাকে এমন জান্নাত দান করেন যেই জান্নাত থেকে আমি আপনাকে দেখতে পাবো, আপনি আমার প্রতি হাসবেন আর আপনি আমার প্রতি সন্তুষ্ট হবেন।
রাসুল (সাঃ) বলেন, দুনিয়াতে এমন কিছু আল্লাহ্*র বান্দা আছেন, আল্লাহ্* যাদের প্রতি হাসেন। আর আল্লাহ্* যার প্রত হাসেন তাঁর জন্য জাহান্নাম হারাম হয়ে যায়। ও আল্লাহ আপনি আমাকে কবুল করেন, আমার জান কে আর আমার মাল কে, আপনার দ্বীনের জন্য, আপনার সন্তুষ্টির জন্য! ও আল্লাহ্* নিশ্চয়ই আপনি আপনার বান্দার ডাকে সাড়া দেন আর নিশ্চয়ই আপনি দুয়া কবুল করেন!
আর যদি আমরা সত্য ইরাদা করেই থাকি তবে নিশ্চয়ই আল্লাহও আমাদের সাথে সত্য থাকবেন। এ ব্যাপারে কোন সন্দেহ নাই। আল্লাহ্* সুবহানাহু ওতায়ালা, হাদীসে কুদসি তে বলেন, "আমি আমার বান্দার কাছে তেমন, যেমন সে আমার সম্পর্কে ধারনা পোষণ করে"। রাসুল (সাঃ) বলেন, তুমি যদি আল্লাহর সাথে সত্য থাকো তবে আল্লাহ্* ও তোমার সাথে সত্য থাকবেন।
আগে যা বলা হয়েছিলো উম্মতের কিছু যুবক, আপনাদের মধ্যে থেকেই, আপনাদেরই সন্তান, আপনাদেরই ছোট ভাই, নিজেদের জীবন কে আল্লাহ্*র রাহে সঁপে দিয়েছেন। তারা নিজেদের জীবন বিক্রি করে দিতে প্রস্তুত। দ্বীনের খেদমতে তারা দাঁড়িয়ে গেছেন। আমরা কি তাদের আঞ্জাম দিতে প্রস্তুত আছি? এই ভূমিতে আল্লাহ্*র দ্বীন কায়েম করার কাজে আমরা কি আঞ্জাম দিতে প্রস্তুত আছি? ভাই এবং বোনেরা আমার, একটু স্মরন করেন, আপনার মা বাবা কিংবা উনাদের মা-বাবা, তারা একদিন দুনিয়ায় বেঁচে ছিলেন, উনাদের ও কি সম্পদ ছিলোনা? কিন্তু আজ তাঁরা কোথায় আর তাদের সম্পদ কোথায়? তাদের সম্পদের কিছু বা অধিকাংশই কি আপনি ভোগ করছেন না? চিন্তা করে দেখেন, এই সম্পদ আজ তাদের কি উপকারে আসছে? তাঁরা তো সম্পদ ছেড়ে যেতে চাননি, কিন্তু তাদের সম্পদই তাদের কে জমিনের নিচে পুতে রেখে এসেছে। এই সম্পদই তাদের কবর খুঁড়েছে, কাফনের কাপড় কিনেছে, আর আর মাটির নিচে দাফন করে দিয়েছে। এই খরচ কি তাদের সম্পদ থেকেই ব্যায় করা হয়নি? তাদের নিজেদের হাতে কামাই করা সম্পদ কি তাদের দাফন দিয়ে দেয়নি? আজ যা আপনার সম্পদ, এই সম্পদকে আপনি ছাড়তে চাইবেন না এটাই সত্য, কিন্তু সময় হলে এই সম্পদই আপনাকে ছেড়ে দিবে এবং আপনাকে মাটির নিচে দাফন করে ফেলবে। ভেবে দেখেছেন কি! আবার এই সম্পদ দিয়েই আপনি এই দুনিয়ায় বসে, জান্নাতে জায়গা কিনতে পারেন, প্রাসাদ কিনতে পারেন, বাগান কিনতে পারেন, এবং তা কখনই আপনাকে ছেড়ে যাবেনা। বরং আপনার মৃত্যুর সাথে সাথে আপনার কবর থেকে জানালা খুলে দেয়া হবে আর দুনিয়াতে বসে আপনি জান্নাতে যেই জায়গা কিনেছেন, যে প্রাসাদ কিনেছেন তা দেখানো হবে, আর আপনার মন প্রশান্তিতে ভরে উঠবে, আপনার কবরে জান্নাতের প্রাসাদ থেকে জান্নাতী সুগন্ধি আর ঠান্ডা বাতাস বইতে থাকবে! আর এর জন্য আমি, আপনি কতটুকু করতে প্রস্তুত?
আল্লাহ্* আপনাকে আর আমাকে আর আমাদের কে দেয়ার জন্য প্রস্তুত, শুধু দেখার বিষয় কে কতটুকু নিতে চায়! আবারো বলছি, দেখার বিষয় কে কত টুকু নিতে চায়! নিজেদের সঞ্চিত মালের থলের মুখ খুলে দিন, আপনার ঘরের দরজা মুজাহিদিন দের জন্য উন্মুক্ত করে দিন... আপনার খানার সাথে মুজাহিদিন দের শরীক করে নিন, একজন করে মুজাহিদকে পরিবারের সদস্য বানিয়ে নিন, কারন শহীদের প্রথম ফোঁটা রক্ত মাটিতে পড়ার আগেই তিন জান্নাতে তাঁর জায়গা দেখে নেন। আর এই শহিদ কে যদি আপনি আজ আপনার ঘরে জায়গা দেন, আপনার খানা থেকে তার খানার ব্যাবস্থা করে দেন, আপনার ছাদের নিচে তাঁর থাকার জায়গায় করে দেন, আর যদি তাকে আপনার পরিবারের হিস্যা বানিয়ে নেন, তাহলে জান্নাতে প্রবেশের আগে এই শহীদ আপনাকে খুঁজতে থাকবে ইনশাআল্লাহ্*! আজ যখন মাল দিয়ে দ্বীনের পথে জিহাদ করার সুযোগ আপনার ছিলো কিন্তু যে কোন কারনে আপনি সেই সুযোগ নিলেন না, নিশ্চিত থাকেন আল্লাহ্*র বান্দাদের অন্য কেউ সেই সুযোগ গ্রহন করবে এবং জান্নাতে নিজের হিস্যা বানিয়ে নিবে। মনে রাখবেন আজ যেই মুজাহিদ কে আপনি আশ্রয় দিলেন না জীবনের ভয় করে, আগামি কালই আপনার সেই জীবন বিছানায় শুয়ে থাকতে থাকতে চলে যেতে পারে কিন্তু সেই মুজাহিদ কে অন্য কেউ তাঁর ঘরে আশ্রয় দিবেন এবং জান্নাতে তাঁর হিস্যা বুঝে নিবেন। এই অমুল্য সুযোগ হাতছাড়া করা কি চরম বোকামি নয়!
আপনি কাকে ভয় পাচ্ছেন? আল্লাহ্*র দ্বীন কে? আপনি এই ভয় পাচ্ছেন যে, এই জমিনের বুকে আল্লাহর দ্বীন কায়েম হয়ে যাবে? আল্লাহ রাব্বুল আলামিন দ্বীন কায়েম হবে এটাই কি আপনার ভয়? অথচ আপনি মুখে বলেন আমি আল্লাহ্* কে ভালোবাসি, আল্লাহ্*র দ্বীন কে ভালোবাসি। আল্লাহ্* ওয়াদা করছেন তিনিই তাঁর দ্বীন কে বিজয়ী করবেন অথচ তারপরেও আপনি তাগুত আর তার শক্তি কে ভয় পাচ্ছেন! আল্লাহ্* ওয়াদা করেছেন যে তিনি মুত্তাকীদের বিজয় দিবেন অথচ আপনি দ্বীনের মুজাহিদ কে ভয় পাচ্ছেন? আবারো চিন্তা করে দেখি, আমরা কি ভয় পাচ্ছি? আল্লাহ্*? আল্লাহ্*র দ্বীন? আল্লাহ্*র দ্বীন কায়েম করার পথে নিজের জীবন বিক্রি করে দেয়া মুজাহিদদিন গণ? তাহলে তো আজ আমরা আমাদের রাসুল (সাঃ) কেও ঘরে জায়গা দিতে ভয় পাবো? কিংবা আবু বকর (রাঃ) কে যিনি ছিলেন ধর্ম ত্যাগী মুরতাদদের বিরুদ্ধে সবচেয়ে কঠোর, কিংবা উমার (রাঃ) কে যিনি পারস্যে এবং রোমে জিহাদের ঝান্ডা উড়িয়েছিলেন, কিংবা সেই হামযা (রাঃ) কে দ্বীনের জন্য যাকে ছিন্ন ভিন্ন করে দেয়া হয়েছিলো, আর যাকে আল্লাহ্* সুবহানাহু ওতায়ালা আল্লাহ্*র সিংহ বলেছেন!
আসলে যেই সময়ে আমরা ঘুমিয়ে ছিলাম, ব্যাস্ত ছিলাম দুনিয়ার রং তামাশা নিয়ে সেই ফাকে কুফফার রা আমাদের মেরুদন্ড কে গুড়িয়ে দিয়েছে, আর ভিতরের গিরাহ কে, সম্মান কে বিলীন করে দিয়েছে। আজ আমরা নিজেই নিজেকে খুঁজে পাইনা। আমি জানিই না আমি মুসলিম উম্মাহর অংশ! পবিত্র কাবার সম্মানের চেয়ে আমার সম্মান আল্লাহর কাছে বেশি। তবে এটাই শেষ নয়। বরং আশার কথা হচ্ছে এটা শুরু, ইসলামী খিলাফাতের শুরু এখান থেকেই। চারিদিকে তাকিয়ে দেখেন, কালো পতাকা গুলো কি মানচিত্রে স্পস্ট ভাবে ফুটে উঠছেনা? দিনে দিনে কুফফার দের পরাজয় কি আরো সুস্পষ্ট হচ্ছেনা? সব সময়ে দুটি দল ছিলো, এবং থাকবে দাজ্জাল শেষ হবার আগ পর্যন্ত। হিযব আশ শাইতান আর হিযব আর রাহমান। হিযব আশ শাইতান তার ক্যাম্প গুছিয়ে প্রস্তুত তার পতন ঠেকানোর ব্যার্থ চেষ্টার জন্য এদিকে হিযব আর রহমান ও প্রস্তুত।
হিজব আর রাহমানের তাঁবু গুলো ধীরে ধীরে ভোরের আলোয় পরিষ্কার দেখা যাচ্ছে, ঐ তো মাশরিক থেকে আর মাগরিব থেকে এই বাহিনী এগিয়ে আসছে, ভোরের প্রথম আলোয় তাঁদের শিরস্ত্রাণ গুলো আভা ছড়াচ্ছে, ঘোড়াগুলোর শ্বাস প্রশ্বাস আরো ঘন হচ্ছে, ঘোড়ার ক্ষুর গুলো মাটিতে শক্ত কদমে আছড়ে পড়ছে আর পিছনে ধুলার মেঘ তৈরি করছে! প্রত্যেক ঘোড়া তার পাশের ঘোড়ার সাথে প্রতিযোগিতায় লিপ্ত, আর ঘোড়সোওয়ার রা? তারাও ধেয়ে আসছে তুফান বেগে, জান্নাতের সুগন্ধ আর আল্লাহ্*র দেখা পাবার নেশা তাদের পাগল করে তুলেছে!
জান্নাতের এই কাফেলা যেন আমাদের হাত ছাড়া না হয়ে যায়!
হে আল্লাহ্* আমি আপনার দয়ার ভিখারী, আপনি সবার আগে আমাকে আর সবাইকে কবুল করে নেন শাহাদাতের জন্য। অধম ভাই এর জন্য অনেক দুয়া করবেন ইনশাআল্লাহ্*।
সমাপ্ত, আলহামদুলিল্লাহ্*
Comment