প্রথম আফগান যুদ্ধ শেষ হবার পর আলজেরিয়ার মুজাহিদিনরা ফিরে আসেন নিজ বাসভূমে। রাশিয়ানদের বিরুদ্ধে বিজয়ী মুজাহিদিনরা আলজেরিয়াতে ফিরে এসে সেকুলার আলজেরিয়ান সরকারের বিরুদ্ধে জিহাদের ঘোষণা দেয় Group De Islamique (GIA) বা সশস্ত্র ইসলামিক দলের ব্যনারে।
মুজাদ্দিদে জমান মুহসিনে উম্মাহ শায়খ উসামা বিন লাদিন (তাকাব্বালাহুল্লাহ), হাকিমুল উম্মাহ শায়খ আইমান আজ জাওয়াহিরি (হাফিজাহুল্লাহু) সহ সুদানে অবস্থানরত মুজাহিদিন ও Egyptian Islamic Jihad (EIJ) এর শায়খরা সরাসরি সমর্থন দিতে থাকেন GIA কে। কিন্তু সবই আল্লাহ তা’আলার ইচ্ছা ও তাকদিরেরই অংশ বলে আমরা মনে করি। দুঃখজনকভাবে, GIA অল্প সময়ের ব্যবধানে আলজেরিয়ার বিশাল অংশে শরিয়াহ কায়েম ও ইসলামি হুকুমাত ফিরিয়ে আনতে সমর্থ হওয়ার পর আলজেরিয়ার সাধারণ মুসলিমদের তাকফির করা শুরু করে। তারা ঘোষণা করে, আলজেরিয়াতে অবস্থিত যারাই তাদের সমর্থন করবে না তারাই কাফিরে পরিণত হবে। তারপরের ঘটনা সকলেরই জানা। অসংখ্য মুসলিম নির্মমভাবে নিহত হয় GIA’র হাতে।
১৯৯৮ সালের মে মাসে GIA’র বিভ্রান্তি সুস্পষ্ট হওয়ার পর GIA’র একজন শীর্ষ নেতা শায়খ হাসান হাত্তাব (রাহিমাহুল্লাহু) নিজেকে GIA থেকে মুক্ত ঘোষণা করেন। এবং দাওয়াহ ও জিহাদের সালাফি সংগঠন (GSPC) নামে একটি তানজিমের ব্যনারে আল্লাহ তা’আলা ও রাসুল (সা) এর তরিকা অনুযায়ী আলজেরিয়াতে দাওয়াহ ও জিহাদের কাজ শুরু করেন।
সাধারণ মুসলিম যারা জিহাদকে ভালোবাসেন তাদেরকে GIA’র বিভ্রান্তি ও গোমরাহির ব্যপারে সতর্ক করতে সচেষ্ট ছিলেন হাসান হাত্তাব (রহ) ও তাঁর অনুসারীরা। যার ফলে সঠিক মানহাজের দেখা পেয়ে দলে দলে GSPC’র পতাকাতলে জড় হতে থাকেন আলজেরিয়ার মুসলিমেরা।
বেশ লম্বা সময় পর, মুসলিমদের পরিবর্তে আক্রান্ত হতে থাকে মুরতাদ আলজেরিয়ান সরকার। আলজেরিয়ান সরকারের বিরুদ্ধেই যুদ্ধ করার লক্ষ্য নিয়ে কাজ শুরু করেছিলেন হাসান হাত্তাব (রহ)। কিন্তু দুইজন প্রাজ্ঞ কমান্ডার নাবিল শাহ্*রাউয়ী (রহ) ও আবু মুসআব আব্দুল ওয়াদুদ (হা) বুঝতে পেরেছিলেন কুফরের মাথা আমেরিকাকে পরাজিত না করে স্থানীয়ভাবে ইসলামী শাসন কায়েম করা সম্ভব নয়। ২০০৩ সালে এরই ধারাবাহিকতায় নেতৃত্বে আসেন নাবিল শাহ্*রাউয়ী (রহ)।
২০০৪ এর ১৮ই জুনে মুরতাদ আলজেরিয়ান সিকিউরিটি বাহিনীর সাথে বন্দুকযুদ্ধে শহিদ হোন নাবিল শাহরাউয়ী (রহ) ও তাঁর ডেপুটি। নেতৃত্বে চলে আসেন শায়খ আবু মুসআব আব্দুল ওয়াদুদ (হাফিজাহুল্লাহ)।
নেতৃত্ব পাওয়ার পরপরই অত্যন্ত দ্রুততার সাথে শায়খ আবু মুসআব (হাফি) বিচক্ষণতার পরিচয় দেন। আন্তর্জাতিক জিহাদি উমারাদের সাথে যোগাযোগ ও ঘনিষ্ঠতা স্থাপনে কালক্ষেপন করেননি তিনি।
শায়খ আবু মুসআব আজ জারকাউয়ী (রহ)’র সাথে মিলে এক অসাধারণ কৌশল অবলম্বন করেন ফাজিলাতুশ শায়খ আবু মুসআব আব্দুল ওয়াদুদ (হাফি)। আমেরিকান ক্রুসেডার ও রাফেজিদের নির্মম অত্যাচারের শিকার ইরাকের মুসলিম ভাই-বোনদের সাহায্যের উদ্দেশ্য আলজেরিয়ার চেয়ে ইরাকের ময়দানকে জিহাদের জন্য প্রাধান্য দেন শায়খ আব্দুল ওয়াদুদ (হাফি)।
ট্রেনিং সেন্টার স্থাপন ও আলজেরিয়া থেকে ইরাকে মুজাহিদিন পাঠানোর জন্য একত্রে কাজ করেন শায়খ আব্দুল ওয়াদুদ (হাফি) ও শায়খ আবু মুসআব আজ জারকাউয়ি (রহ)। পরবর্তীতে উম্মাহ’র পবিত্র রক্ত সংরক্ষণে গৃহীত এই কৌশল আল্লাহ’র রহমতে শতভাগ সফল হিসেবে প্রমাণিত হয়। প্রমাণিত হয়, এই উম্মাহ এক, জাতীয়তাবাদী সীমানার অনেক ঊর্ধ্বে অবস্থান এই উম্মাহ’র।
২০০৫ সালে ইরাকে আমেরিকানদের কবর রচিত হওয়ার পর, মার্কিন কর্তৃপক্ষ রিপোর্ট পেশ করে, গড়ে ইরাকে সংঘটিত প্রতি চারজন ইশতিশহাদি হামলাকারীর অন্তত একজন ছিল আলজেরিয়ান !!
মুজাদ্দিদে জমান মুহসিনে উম্মাহ শায়খ উসামা বিন লাদিন (তাকাব্বালাহুল্লাহ), হাকিমুল উম্মাহ শায়খ আইমান আজ জাওয়াহিরি (হাফিজাহুল্লাহু) সহ সুদানে অবস্থানরত মুজাহিদিন ও Egyptian Islamic Jihad (EIJ) এর শায়খরা সরাসরি সমর্থন দিতে থাকেন GIA কে। কিন্তু সবই আল্লাহ তা’আলার ইচ্ছা ও তাকদিরেরই অংশ বলে আমরা মনে করি। দুঃখজনকভাবে, GIA অল্প সময়ের ব্যবধানে আলজেরিয়ার বিশাল অংশে শরিয়াহ কায়েম ও ইসলামি হুকুমাত ফিরিয়ে আনতে সমর্থ হওয়ার পর আলজেরিয়ার সাধারণ মুসলিমদের তাকফির করা শুরু করে। তারা ঘোষণা করে, আলজেরিয়াতে অবস্থিত যারাই তাদের সমর্থন করবে না তারাই কাফিরে পরিণত হবে। তারপরের ঘটনা সকলেরই জানা। অসংখ্য মুসলিম নির্মমভাবে নিহত হয় GIA’র হাতে।
১৯৯৮ সালের মে মাসে GIA’র বিভ্রান্তি সুস্পষ্ট হওয়ার পর GIA’র একজন শীর্ষ নেতা শায়খ হাসান হাত্তাব (রাহিমাহুল্লাহু) নিজেকে GIA থেকে মুক্ত ঘোষণা করেন। এবং দাওয়াহ ও জিহাদের সালাফি সংগঠন (GSPC) নামে একটি তানজিমের ব্যনারে আল্লাহ তা’আলা ও রাসুল (সা) এর তরিকা অনুযায়ী আলজেরিয়াতে দাওয়াহ ও জিহাদের কাজ শুরু করেন।
সাধারণ মুসলিম যারা জিহাদকে ভালোবাসেন তাদেরকে GIA’র বিভ্রান্তি ও গোমরাহির ব্যপারে সতর্ক করতে সচেষ্ট ছিলেন হাসান হাত্তাব (রহ) ও তাঁর অনুসারীরা। যার ফলে সঠিক মানহাজের দেখা পেয়ে দলে দলে GSPC’র পতাকাতলে জড় হতে থাকেন আলজেরিয়ার মুসলিমেরা।
বেশ লম্বা সময় পর, মুসলিমদের পরিবর্তে আক্রান্ত হতে থাকে মুরতাদ আলজেরিয়ান সরকার। আলজেরিয়ান সরকারের বিরুদ্ধেই যুদ্ধ করার লক্ষ্য নিয়ে কাজ শুরু করেছিলেন হাসান হাত্তাব (রহ)। কিন্তু দুইজন প্রাজ্ঞ কমান্ডার নাবিল শাহ্*রাউয়ী (রহ) ও আবু মুসআব আব্দুল ওয়াদুদ (হা) বুঝতে পেরেছিলেন কুফরের মাথা আমেরিকাকে পরাজিত না করে স্থানীয়ভাবে ইসলামী শাসন কায়েম করা সম্ভব নয়। ২০০৩ সালে এরই ধারাবাহিকতায় নেতৃত্বে আসেন নাবিল শাহ্*রাউয়ী (রহ)।
২০০৪ এর ১৮ই জুনে মুরতাদ আলজেরিয়ান সিকিউরিটি বাহিনীর সাথে বন্দুকযুদ্ধে শহিদ হোন নাবিল শাহরাউয়ী (রহ) ও তাঁর ডেপুটি। নেতৃত্বে চলে আসেন শায়খ আবু মুসআব আব্দুল ওয়াদুদ (হাফিজাহুল্লাহ)।
নেতৃত্ব পাওয়ার পরপরই অত্যন্ত দ্রুততার সাথে শায়খ আবু মুসআব (হাফি) বিচক্ষণতার পরিচয় দেন। আন্তর্জাতিক জিহাদি উমারাদের সাথে যোগাযোগ ও ঘনিষ্ঠতা স্থাপনে কালক্ষেপন করেননি তিনি।
শায়খ আবু মুসআব আজ জারকাউয়ী (রহ)’র সাথে মিলে এক অসাধারণ কৌশল অবলম্বন করেন ফাজিলাতুশ শায়খ আবু মুসআব আব্দুল ওয়াদুদ (হাফি)। আমেরিকান ক্রুসেডার ও রাফেজিদের নির্মম অত্যাচারের শিকার ইরাকের মুসলিম ভাই-বোনদের সাহায্যের উদ্দেশ্য আলজেরিয়ার চেয়ে ইরাকের ময়দানকে জিহাদের জন্য প্রাধান্য দেন শায়খ আব্দুল ওয়াদুদ (হাফি)।
ট্রেনিং সেন্টার স্থাপন ও আলজেরিয়া থেকে ইরাকে মুজাহিদিন পাঠানোর জন্য একত্রে কাজ করেন শায়খ আব্দুল ওয়াদুদ (হাফি) ও শায়খ আবু মুসআব আজ জারকাউয়ি (রহ)। পরবর্তীতে উম্মাহ’র পবিত্র রক্ত সংরক্ষণে গৃহীত এই কৌশল আল্লাহ’র রহমতে শতভাগ সফল হিসেবে প্রমাণিত হয়। প্রমাণিত হয়, এই উম্মাহ এক, জাতীয়তাবাদী সীমানার অনেক ঊর্ধ্বে অবস্থান এই উম্মাহ’র।
২০০৫ সালে ইরাকে আমেরিকানদের কবর রচিত হওয়ার পর, মার্কিন কর্তৃপক্ষ রিপোর্ট পেশ করে, গড়ে ইরাকে সংঘটিত প্রতি চারজন ইশতিশহাদি হামলাকারীর অন্তত একজন ছিল আলজেরিয়ান !!
Comment