Announcement

Collapse
No announcement yet.

ইয়া আখি ইয়া আখি ...।

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • ইয়া আখি ইয়া আখি ...।

    .
    আরাকানে মুশরিক বার্মিস সৈন্যরা আমাদের পবিত্র বোনদের ধরে ধরে ধর্ষণ করছে গত ২৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে, আর সেই বোনগুলোর অকর্মা ভাই এখন এসেছে ফেসবুকে পোস্ট লিখতে। জানিনা আল্লাহর কাছে কিভাবে মুখ দেখাবো। শুধু কী আরাকানে? না!! কাশ্মীরে আমাদের পর্দানশীল বোনদের সম্মান নিয়ে ছিনিমিনি খেলেছে ভারতীয় মুশরিক বাহিনী, তাদের ভাইদের অস্ত্র রাখার অভিযোগে হত্যা করা হয়, গরু খাওয়ার অভিযোগে দিন-দুপুরে মুশরিকরা ফাঁশিতে ঝুলিয়ে দেয়, কারো কিছু বলার নেই! দূরে থেকে এইরকম কিছু ভার্চুয়াল পোস্ট ব্যাতীত কিছুই করছি না আমরা।

    .

    দূর দেশের কথা কি বলবো আমরা? এইতো সেদিন উত্তরবঙ্গে আমাদের এক বোনের সাথে ভারতীয় মুশিরিক বাহিনী এমনই আচরণ করেছে যে ওই বোন লজ্জায় আত্মহত্যা করেছে! কি করেছে কোন পত্রিকায় আসে নি, কিন্তু আত্মহত্যা থেকেই আঁচ পাওয়া যায় কতটা নিকৃষ্ট ছিল তা। তাও আবার তথাকথিত স্বাধীন দেশে এসে?? কই গেল স্বাধীনতার ধ্বজধারীরা? ভারতীয় মুশরিকরা এদেশে এসে এদেশের মুসলিম নারীদের লাঞ্ছিত করে যায়, আর তোমরা একটা রা-ও কর না? কোথায় গেল তোমাদের স্বাধীনতা আর সার্বভৌমত্ব? নাকি দাদাদের জন্য সবকিছু হালাল? আরে ফেলানীকে কাঁটা তারের বেড়ায় ঝুলানোর সাথে সাথেই তো মুশরিকরা এদেশের মুসলিমদের স্বাধীনতকেও কাঁটাতারে ঝুলিয়ে দিয়েছিল, অথচ কাঁটাতারে ঝুলানোর আগে ফেলানীর সথে কি করা হয়েছিল, তা কোন বাপের ব্যাটাই জিজ্ঞেস করে নি।

    .

    ফাতিমা-আফিয়া আমরা তোমাদের মার্কিন পশুদের হাত থেকে বাঁচাতে পারি নি, আমরা আমাদের কাশ্মীর-আরাকানের বোনদের বাঁচানোর জন্য কিছুই করছি না। আরে আমরা তো এদেশের বোনদের জন্যই কিছু করি না। আল্লাহ কি আমদের মাফ করবেন? আল্লাহ তো আমাদের অনেককে পুরুষ হিসেবে সৃষ্টি করেছেন, আমাদের পেশীতে দিয়েছেন বল, আমরা পরকালে কি জবাব দিব? উম্মাহর মেয়েরা মনে হয় এর আগে এইরকম লাঞ্ছনার মধ্য দিয়ে আর কখনোই যায় নি। উম্মাহর ছেলেরা বোধহয় এখনকার মত এতবেশি নির্লজ্জ আর কখনোই হয় নি। পোস্টা লিখতে গিয়ে চোখে পানি এসে গেল। এটা কি শুধুই আবেগের পানি, নাকি এখানে আল্লাহর ভয়ও আছে? তাদের রক্ষা করা কি আমাদের দায়িত্ব না? আমরা কি শুধুই শুধুই পৃথিবীতে এসেছি। তাদের জন্য সমান্য কিছু করার ইখতিয়ারও কী আমাদের নেই?

    .

    এই পোষ্টটা লেখার উদ্দেশ্য হচ্ছে বাংলাদেশী এক মডেলের আত্নহত্যার ঘটনার খবরটি দেখে। কৌতুহল বসত সেই মুসলিম নামের মডেলটির প্রোফাইলে গিয়ে তার কনফেশন দেখতে পাই। সে সেখানে এক মুশরিক ছেলেকে তার আত্মহত্যার জন্য দায়ী করে যায়, এবং তথাকথিত লুইচ্চা ফটোগ্রাফার মুশরিকটা আমাদের এই বোনকে কিভাবে ধোঁকা দিয়ে তার সম্মানকে ভোগ করত, সেটাও জানা যায়। এর চেয়ে আর দুঃখজনক আর কি হতে পারে? ওখানে আমাদের বোনদের জোর করে ধর্ষণ করছে মুশরিকরা আর এখানে আমাদের বোনেরা নিজেদের সম্মান বিলিয়ে দিচ্ছে মুশিরকদের কাছে, লা~ হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ। উম্মাহর পুরুষেরা হলিউড আর বলিউডের ব্যাভিচারিনীদের কোমর দোলানো দেখতে ব্যস্ত, আর উম্মাহর মেয়েরা যেন এই প্রতিযোগিতায় নেমেছে যে কে কত বেশি নির্লজ্জ হতে পারে!! এর পেছনে দায়ি হচ্ছে শয়তান এবং তার মুশরিক চ্যালা-চামুন্ডারা। তেমন কিছুই করতে পারছি না দেখে জ্বলে-পুড়ে অন্তরটা ছাই হয়ে যায়। অঝোর ধারায় যেন অশ্রু নামে। আমার রব্ব কী তার এই পাপী বান্দার আকুতি শুনছেন না? নিশ্চয়ই শুনছেন, তিনি হচ্ছেন সর্বশ্রোতা সর্বদ্রষ্টা, আর তিনি কারো সাথে অন্যায় করেন না।


    .

    মোল্লা উমার নামে একজন লোক ছিলেন। তিনি বসে থাকেন নি। আফগান গুন্ডারা যখন কিছু নারীকে কিডনাপ করে নিয়ে গিয়েছিল, তিনি বসে ছিলেন না। মাদ্রাসার প্রায় ৪০ জন ছাত্র-শিক্ষক নিয়ে যা কিছু ছিল তাই নিয়ে ঝাপিয়ে পড়েছিলেন মুসলিম নারীদের সম্মান রক্ষায়। এবং আল্লাহ তাকে সফলও করেছিলেন। তিনি সেখানেই থেমে যান নি, করেছিলেন বিপ্লব, প্রতিষ্ঠা করেছিলেন পৃথিবীর বুকে সে সময়কার একমাত্র ইসলামী ইমারাত। শুধু বোনদেরই নয়, নিজের মুসলিম ভাইকে রক্ষা করার জন্য ইতিহাসের পাতায় এক অনন্য নযির স্থাপন করেছিলেন তিনি। আপনি বলবেন তুই জঙ্গী, তুই সন্ত্রাসী, তা যা খুশি বলুন। কারণ এই সিলসিলা শুরু হয়েছিল সাহাবাদের থেকে। এক ইহুদী যখন কৌশলে এক মুসলিম নারীর কাপড় ছিড়ে ফেলে, সাথে সাথে সেখানে থাকা এক মুসলিম যুবক সেই কুলাঙ্গারকে হত্যা করে। ইহুদীরা সেই মুসলিম যুবককে হত্যা করে যুদ্ধ ঘোষণা করে। নবীজী (সা) সেই ইহুদী গোত্রকে অবরোধ করে পরাজিত করে এবং মদীনা ছাড়া করেন। আমরা কী সেই জাতি নই?? তারা তাদের দায়িত্ব পালন করেছেন, আমরা কী করছি? কি জবাব দিব আল্লাহর কাছে? মযলুম ভাই-বোনদের অশ্রু কী আমাদের জান্নাতের পথে বাধা হয়ে দাড়াবে না?

    সংগৃহীত ঃ The base in the land of bengal

  • #2
    মহান আল্লাহ্* আমাদের ক্ষমা করুন। আমীন।
    রবের প্রতি বিশ্বাস যত শক্তিশালী হবে, অন্তরে শয়তানের মিত্রদের ভয় তত কমে যাবে।

    Comment


    • #3
      মোল্লা উমার নামে একজন লোক ছিলেন। তিনি বসে থাকেন নি। আফগান গুন্ডারা যখন কিছু নারীকে কিডনাপ করে নিয়ে গিয়েছিল, তিনি বসে ছিলেন না। মাদ্রাসার প্রায় ৪০ জন ছাত্র-শিক্ষক নিয়ে যা কিছু ছিল তাই নিয়ে ঝাপিয়ে পড়েছিলেন মুসলিম নারীদের সম্মান রক্ষায়। এবং আল্লাহ তাকে সফলও করেছিলেন।

      আন নিসা ৪:৭৫

      وَمَا لَكُمْ لَا تُقَاتِلُوْنَ فِيْ سَبِيْلِ اللّٰهِ وَالْمُسْتَضْعَفِيْنَ مِنَ الرِّجَالِ وَالنِّسَآءِ وَالْوِلْدَانِ الَّذِيْنَ يَقُوْلُوْنَ رَبَّنَاۤ اَخْرِجْنَا مِنْ هٰذِهِ الْقَرْيَةِ الظَّالِمِ اَهْلُهَا ۚ وَاجْعَلْ لَّنَا مِنْ لَّدُنْكَ وَلِيًّا ۚۙ وَّاجْعَلْ لَّنَا مِنْ لَّدُنْكَ نَصِيْرًا ؕ

      Bengali - Muhiuddin Khan

      আর তোমাদের কি হল যে, তেমারা আল্লাহর রাহে লড়াই করছ না দুর্বল সেই পুরুষ, নারী ও শিশুদের পক্ষে, যারা বলে, হে আমাদের পালনকর্তা! আমাদিগকে এই জনপদ থেকে নিষ্কৃতি দান কর; এখানকার অধিবাসীরা যে, অত্যাচারী! আর তোমার পক্ষ থেকে আমাদের জন্য পক্ষালম্বনকারী নির্ধারণ করে দাও এবং তোমার পক্ষ থেকে আমাদের জন্য সাহায্যকারী নির্ধারণ করে দাও।
      فَقَاتِلُوْۤا اَوْلِيَآءَ الشَّيْطٰنِ

      Comment

      Working...
      X