এই উপমহাদেশে ইসলাম এসেছে দ্বীনের দাওয়াতের দ্বারা, দোয়া ও দাওয়ার দ্বারা। কিছুতেই তরবারীর দ্বারা নয়; রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে নয়। উপমহাদেশের সনাতন ধর্মাবলম্বীরা ইসলামের শান্তির বানী আর মধ্যপ্রাচ্যের দ্বীন প্রচারকদের আখলাক দেখে দলে দলে ইসলাম কবুল করেছিলেন। তরবারীর ব্যবহার শুধু তখনই করতে বাধ্য হয়েছেন, যখন তাদের ঘাড়ের উপর একটা যুদ্ধকে অন্যায়ভাবে চাপিয়ে দেয়া হয়েছিলো।
কলম দিয়ে আঘাতের জবাব চাপাতি দিয়ে করাটা শুধু গুরুতর অন্যায়ই নয়, চরমতম কাপুরুষতা ও দুর্বলতম ঈমানের লক্ষন। মানে হলো, আমি কলমের আঘাত সইতে পারি না, আমি ছোট অস্ত্রকে ঘায়েল করতে বড় অস্ত্রের সাহায্য নিয়ে নিজের কাপুরুষতা, হীনতা আর দুর্বলতাকেই প্রমান করে দিলাম, আমি কলম দিয়ে লেখা লেখকের উপর চাপাতি হেনে তার উপর জুলুম করলাম, যেই জুলুমকারীদের বিরুদ্ধে কোরআনে ভয়ংকরভাবে হুশিয়ারি দেয়া হয়েছে; আমি জুলুম করে কোরআনের সেই বানীকেও অবজ্ঞা করলাম।
১. আমি চাইলেই এই ব্যাপারটি এড়িয়ে যেতে পারতাম। কারন আমি নাস্তিক নই। বরং নিজের ধর্মবিশ্বাসকে ব্যাখা করতে নিজেকে প্র্যাকটিসিং মুসলিম হিসেবেই পরিচয় দিয়েছি সব সময়। নাস্তিকদের বিরুদ্ধাচারন করে বেশ কয়েকবার লিখেছি। আমার যে লেখালেখির অল্প বিস্তর ক্ষমতা রয়েছে, সেই ক্ষমতা প্রয়োগ করেই তাদের বিরুদ্ধে আমি যথাসম্ভব সোচ্চার থেকেছি। আমাকে ছুরি চাপাতি হাতে নিতে হয়নি।
আমি চাইলেই এই ব্যাপারটাকে এড়িয়ে যেতে পারতাম। কারন আমারও পরিবার আছে, আমাকেও জীবিকার তাগিদে সংগ্রাম করতে হয়। আমারও পরিবার পরিজন ও বন্ধু বান্ধবী রয়েছে, যারা এখনও ব্লগার হত্যার খবর পেলে সাথে সাথে আমার খোজঁ খবর নেন।
সুতরাং, আমি চাইলেই অনন্ত দাশের হত্যাকে এড়িয়ে যেয়ে ফেসবুকে ভূমিকম্প আর সালাহউদ্দিনকে নিয়ে মুখরোচক পোষ্ট দিতে পারতাম, প্রচুর লাইকও পেতাম, আমার ফলোয়ারও বাড়তো বৈ কমতো না।
আমি বিশ্বাস করি, একমাত্র কাপুরুষরাই পেছন থেকে আঘাত করে। একজন ব্যক্তিত্ববান মুসলমান কখনই নিজের ধর্মবিশ্বাসের কারনে কাউকে পেছন থেকে আঘাত করে খুন করার কথা কল্পনাও করতে পারেন না। আমার ধর্ম ইসলাম এতটাই শক্তিশালী যে, একে প্রতিষ্ঠা করার জন্য আমার ভোতাঁ লেখনি শক্তিই যথেষ্ঠ, তার জন্য ক্ষুরধার চাপাতি নিয়ে পেছন থেকে হামলে পড়ার কোনই কারন নাই। আর আমার আল্লাহ এতটা অসহিষ্ণু ও নির্দয় নন যে, তাকেঁ খুশী করতে একজন নিরস্ত্র মানুষের উপর পেছনে থেকে ঝাপিয়েঁ পড়তে হবে।
স্বয়ং নবীর জীবনী থেকে প্রমান দেই। তায়েফের ঘটনা আমরা ছোটবেলা থেকেই বইতে পড়ে এসেছি। দ্বীন প্রচার করার কারনে আমাদের প্রাণপ্রিয় নবী (সাঃ) এর শরীর থেকে রক্ত পড়ে জুতা ভিজে গেছে, সারা শরীর ক্ষত বিক্ষত, এতটাই যে তিনি বার বার মূর্ছা যাচ্ছিলেন। এই কারনে আল্লাহ তাআলা তৎক্ষনাৎ জীব্রাইল (আঃ) তারঁ কাছে পাঠালেন। উদ্দেশ্য, তায়েফবাসীকে এই ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরনের অপরাধে একটা দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়া। তায়েফের দুই পাশে দুইটা অতিকায় পাহাড় ছিলো। ফেরেশতা তাকেঁ বল্লেন, আপনি যদি বলেন এই দুইটা পাহাড়কে একসাথে মিলিয়ে দেই, তাহলে এর মাঝখানে যা কিছু আছে তার সবকিছু চূর্ণ-বিচূণ হয়ে যাবে।
নবী বল্লেন, ”আমি তা চাই না। কারন এরা হয়তো ইসলাম কবুল করছে না, হয়তো এদের পরের প্রজন্ম ইসলাম কবুল করবে। এরা মারা গেলে তো সে সুযোগটাও আর থাকছে না।” (কম-বেশী অর্থ) নবী (সাঃ) রক্তাক্ত আর ক্ষত বিক্ষত দেহ নিয়ে তায়েফ থেকে ফিরে এলেন।
ইতিহাস স্বাক্ষী, নবীজির ভবিষৎদ্বানী অক্ষরে অক্ষরে ফলে গিয়েছিলো। তায়েফবাসী এক সময় দলে দলে ইসলাম কবুল করেছিলো। কিন্তু তিনি যদি সেদিন তায়েফবাসীদের উপর প্রতিশোধ নিতেন তাহলে কি হতো? আমরা তার উম্মত হয়ে কেন এই পরিমান নিদারুন অসহিষ্ণু, বর্বর আর ব্যক্তিত্বহীন কাপুরুষ হয়ে গেলাম?
আমি জানি, এই উপমহাদেশে দ্বীনে ইসলাম এসেছে দ্বীনের দাওয়াতের দ্বারা, দোয়া ও দাওয়ার দ্বারা। কিছুতেই তরবারীর দ্বারা নয়; রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে নয়। উপমহাদেশের সনাতন ধর্মাবলম্বীরা ইসলামের শান্তির বানী আর মধ্যপ্রাচ্যের দ্বীন প্রচারকদের আখলাক দেখে দলে দলে ইসলাম কবুল করেছিলেন। তরবারীর ব্যবহার শুধু তখনই করতে বাধ্য হয়েছেন, যখন তাদের ঘাড়েঁর উপর একটা যুদ্ধকে অন্যায়ভাবে চাপিয়ে দেয়া হয়েছিলো।
আমি বিশ্বাস করি, কলম দিয়ে আঘাত করার জবাব চাপাতি দিয়ে করাটা শুধু গুরুতর অন্যায়ই নয়, চরমতম কাপুরুষতা ও দুর্বলতম ঈমানের লক্ষন। মানে হলো, আমি কলমের আঘাত সইতে পারি না, আমি ছোট অস্ত্রকে ঘায়েল করতে বড় অস্ত্রের সাহায্য নিয়ে নিজের কাপুরুষতা, হীনতা আর দুর্বলতাকেই প্রমান করে দিলাম, আমি কলম দিয়ে লেখা লেখকের উপর চাপাতি হেনে তার উপর জুলুম করলাম, যেই জুলুমকারীদের বিরুদ্ধে কোরআনে ভয়ংকরভাবে হুশিয়ারি দেয়া হয়েছে, আমি জুলুম করে কোরআনের সেই বানীকেও অবজ্ঞা করলাম।
২. গতবার অভিজিত রায়ের হত্যার ধরন আর মোটিভ নিয়ে লিখেছিলাম। এবার নজর দেই হত্যার টাইম লাইনের দিকে।
ব্লগার রাজীবকে জবাই করে হত্যা করা হয় শাহবাগ আন্দোলন চলাকালীন সময়ে, সময়টা যতদূর মনে পড়ে ২০১৩ এর ফেব্রুয়ারীর ২য় বা ৩য় সপ্তাহে। সাথে সাথেই প্রতিবাদে ফেটে পড়ে ইতিমধ্যেই রাজপথে আন্দোলন করতে থাকা পুরো শাহবাগ চত্বর।
এরপর একটা লম্বা গ্যাপ।
তার ঠিক দুই বছর পর, হ্যাঁ ঠিক দুই বছর পর ২০১৫ এর ফেব্রুয়ারিতে প্রায় একই কায়দায় চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে খুন করা হয় ব্লগার অভিজিৎ রায়কে।
কিন্তু এরপর আর বিরাম নেই। নিয়মিত বিরতিতে হত্যাযজ্ঞ চল্ল। অভিজিত রায়ের হত্যার ৩ মাসের ভেতর ২ জনকে ঠিক একই কায়দায় খুন। যেন থাবা বাবার পরে যে লম্বা বিরতি দেয়া হয়েছিলো সেটাকে পুষিকে দেয়া।
এর কারনটা সহজেই অনুমেয়। কারন সজীব ওয়াজেদ জয় ইতিমধ্যেই স্পষ্ট করে আন্তজার্তিক মিডিয়ার কাছে জানিয়ে দিয়েছেন এই ব্যাপারে সরকারের অবস্থান। তাই এর বিচার চাওয়া আর অরণ্যে রোদন একই কথা।
আমি শুধু মহান আল্লাহর কাছে এই দোয়া করি যে, যে ধর্ম বিদায় হজ্জের দিন তিনি মুসলমানদের জন্য পরিপূর্ণ করে মনোনীত করেছিলেন, যে ধর্মের জন্য তারঁ ২ লাখ ২৪ হাজার পয়গম্বরকে নিদারুন আত্নত্যাগ করতে হয়েছিলো, আজ সেই ধর্মের নামেই যারা একের পর এক নির্বিচারে মানুষ খুন করে যাচ্ছে, খোদা দুনিয়া এবং আখিরাতে উভয় জাগাতেই তুমি তাদের বিচার করো।
আমি এই ব্যাপারে শুধু আল্লাহর উপর ভরসা করি। আর ‘আল্লাহর উপর যে ভরসা করে, তার জন্য আল্লাহই যথেষ্ঠ।’ (সূরা ত্বলাক - ৩)
Abu Huraira (Radiallh anhu) reported: He entered to see Uthman (Radiallh anhu) when he was under siege in his house and he said, “I came to give you my support, O leader of the believers!” Uthman said:
يَا أَبَا هُرَيْرَةَ أَيَسُرُّكَ أَنْ تَقْتُلَ النَّاسَ جَمِيعًا وَإِيَّايَ مَعَهُمْ
O Abu Huraira, would it please you to kill all people, including me?
Abu Huraira said - No.
Uthman said:
وَاللَّهِ لَئِنْ قَتَلْتَ رَجُلا وَاحِدًا لَكَأَنَّمَا قَتَلْتَ النَّاسَ جَمِيعًا
By Allah, if you have killed one man, it is as if you have killed all the people.
Source: Sunan Sa’id ibn Mansur 2776, Grade: Sahih
কলম দিয়ে আঘাতের জবাব চাপাতি দিয়ে করাটা শুধু গুরুতর অন্যায়ই নয়, চরমতম কাপুরুষতা ও দুর্বলতম ঈমানের লক্ষন। মানে হলো, আমি কলমের আঘাত সইতে পারি না, আমি ছোট অস্ত্রকে ঘায়েল করতে বড় অস্ত্রের সাহায্য নিয়ে নিজের কাপুরুষতা, হীনতা আর দুর্বলতাকেই প্রমান করে দিলাম, আমি কলম দিয়ে লেখা লেখকের উপর চাপাতি হেনে তার উপর জুলুম করলাম, যেই জুলুমকারীদের বিরুদ্ধে কোরআনে ভয়ংকরভাবে হুশিয়ারি দেয়া হয়েছে; আমি জুলুম করে কোরআনের সেই বানীকেও অবজ্ঞা করলাম।
১. আমি চাইলেই এই ব্যাপারটি এড়িয়ে যেতে পারতাম। কারন আমি নাস্তিক নই। বরং নিজের ধর্মবিশ্বাসকে ব্যাখা করতে নিজেকে প্র্যাকটিসিং মুসলিম হিসেবেই পরিচয় দিয়েছি সব সময়। নাস্তিকদের বিরুদ্ধাচারন করে বেশ কয়েকবার লিখেছি। আমার যে লেখালেখির অল্প বিস্তর ক্ষমতা রয়েছে, সেই ক্ষমতা প্রয়োগ করেই তাদের বিরুদ্ধে আমি যথাসম্ভব সোচ্চার থেকেছি। আমাকে ছুরি চাপাতি হাতে নিতে হয়নি।
আমি চাইলেই এই ব্যাপারটাকে এড়িয়ে যেতে পারতাম। কারন আমারও পরিবার আছে, আমাকেও জীবিকার তাগিদে সংগ্রাম করতে হয়। আমারও পরিবার পরিজন ও বন্ধু বান্ধবী রয়েছে, যারা এখনও ব্লগার হত্যার খবর পেলে সাথে সাথে আমার খোজঁ খবর নেন।
সুতরাং, আমি চাইলেই অনন্ত দাশের হত্যাকে এড়িয়ে যেয়ে ফেসবুকে ভূমিকম্প আর সালাহউদ্দিনকে নিয়ে মুখরোচক পোষ্ট দিতে পারতাম, প্রচুর লাইকও পেতাম, আমার ফলোয়ারও বাড়তো বৈ কমতো না।
আমি বিশ্বাস করি, একমাত্র কাপুরুষরাই পেছন থেকে আঘাত করে। একজন ব্যক্তিত্ববান মুসলমান কখনই নিজের ধর্মবিশ্বাসের কারনে কাউকে পেছন থেকে আঘাত করে খুন করার কথা কল্পনাও করতে পারেন না। আমার ধর্ম ইসলাম এতটাই শক্তিশালী যে, একে প্রতিষ্ঠা করার জন্য আমার ভোতাঁ লেখনি শক্তিই যথেষ্ঠ, তার জন্য ক্ষুরধার চাপাতি নিয়ে পেছন থেকে হামলে পড়ার কোনই কারন নাই। আর আমার আল্লাহ এতটা অসহিষ্ণু ও নির্দয় নন যে, তাকেঁ খুশী করতে একজন নিরস্ত্র মানুষের উপর পেছনে থেকে ঝাপিয়েঁ পড়তে হবে।
স্বয়ং নবীর জীবনী থেকে প্রমান দেই। তায়েফের ঘটনা আমরা ছোটবেলা থেকেই বইতে পড়ে এসেছি। দ্বীন প্রচার করার কারনে আমাদের প্রাণপ্রিয় নবী (সাঃ) এর শরীর থেকে রক্ত পড়ে জুতা ভিজে গেছে, সারা শরীর ক্ষত বিক্ষত, এতটাই যে তিনি বার বার মূর্ছা যাচ্ছিলেন। এই কারনে আল্লাহ তাআলা তৎক্ষনাৎ জীব্রাইল (আঃ) তারঁ কাছে পাঠালেন। উদ্দেশ্য, তায়েফবাসীকে এই ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরনের অপরাধে একটা দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়া। তায়েফের দুই পাশে দুইটা অতিকায় পাহাড় ছিলো। ফেরেশতা তাকেঁ বল্লেন, আপনি যদি বলেন এই দুইটা পাহাড়কে একসাথে মিলিয়ে দেই, তাহলে এর মাঝখানে যা কিছু আছে তার সবকিছু চূর্ণ-বিচূণ হয়ে যাবে।
নবী বল্লেন, ”আমি তা চাই না। কারন এরা হয়তো ইসলাম কবুল করছে না, হয়তো এদের পরের প্রজন্ম ইসলাম কবুল করবে। এরা মারা গেলে তো সে সুযোগটাও আর থাকছে না।” (কম-বেশী অর্থ) নবী (সাঃ) রক্তাক্ত আর ক্ষত বিক্ষত দেহ নিয়ে তায়েফ থেকে ফিরে এলেন।
ইতিহাস স্বাক্ষী, নবীজির ভবিষৎদ্বানী অক্ষরে অক্ষরে ফলে গিয়েছিলো। তায়েফবাসী এক সময় দলে দলে ইসলাম কবুল করেছিলো। কিন্তু তিনি যদি সেদিন তায়েফবাসীদের উপর প্রতিশোধ নিতেন তাহলে কি হতো? আমরা তার উম্মত হয়ে কেন এই পরিমান নিদারুন অসহিষ্ণু, বর্বর আর ব্যক্তিত্বহীন কাপুরুষ হয়ে গেলাম?
আমি জানি, এই উপমহাদেশে দ্বীনে ইসলাম এসেছে দ্বীনের দাওয়াতের দ্বারা, দোয়া ও দাওয়ার দ্বারা। কিছুতেই তরবারীর দ্বারা নয়; রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে নয়। উপমহাদেশের সনাতন ধর্মাবলম্বীরা ইসলামের শান্তির বানী আর মধ্যপ্রাচ্যের দ্বীন প্রচারকদের আখলাক দেখে দলে দলে ইসলাম কবুল করেছিলেন। তরবারীর ব্যবহার শুধু তখনই করতে বাধ্য হয়েছেন, যখন তাদের ঘাড়েঁর উপর একটা যুদ্ধকে অন্যায়ভাবে চাপিয়ে দেয়া হয়েছিলো।
আমি বিশ্বাস করি, কলম দিয়ে আঘাত করার জবাব চাপাতি দিয়ে করাটা শুধু গুরুতর অন্যায়ই নয়, চরমতম কাপুরুষতা ও দুর্বলতম ঈমানের লক্ষন। মানে হলো, আমি কলমের আঘাত সইতে পারি না, আমি ছোট অস্ত্রকে ঘায়েল করতে বড় অস্ত্রের সাহায্য নিয়ে নিজের কাপুরুষতা, হীনতা আর দুর্বলতাকেই প্রমান করে দিলাম, আমি কলম দিয়ে লেখা লেখকের উপর চাপাতি হেনে তার উপর জুলুম করলাম, যেই জুলুমকারীদের বিরুদ্ধে কোরআনে ভয়ংকরভাবে হুশিয়ারি দেয়া হয়েছে, আমি জুলুম করে কোরআনের সেই বানীকেও অবজ্ঞা করলাম।
২. গতবার অভিজিত রায়ের হত্যার ধরন আর মোটিভ নিয়ে লিখেছিলাম। এবার নজর দেই হত্যার টাইম লাইনের দিকে।
ব্লগার রাজীবকে জবাই করে হত্যা করা হয় শাহবাগ আন্দোলন চলাকালীন সময়ে, সময়টা যতদূর মনে পড়ে ২০১৩ এর ফেব্রুয়ারীর ২য় বা ৩য় সপ্তাহে। সাথে সাথেই প্রতিবাদে ফেটে পড়ে ইতিমধ্যেই রাজপথে আন্দোলন করতে থাকা পুরো শাহবাগ চত্বর।
এরপর একটা লম্বা গ্যাপ।
তার ঠিক দুই বছর পর, হ্যাঁ ঠিক দুই বছর পর ২০১৫ এর ফেব্রুয়ারিতে প্রায় একই কায়দায় চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে খুন করা হয় ব্লগার অভিজিৎ রায়কে।
কিন্তু এরপর আর বিরাম নেই। নিয়মিত বিরতিতে হত্যাযজ্ঞ চল্ল। অভিজিত রায়ের হত্যার ৩ মাসের ভেতর ২ জনকে ঠিক একই কায়দায় খুন। যেন থাবা বাবার পরে যে লম্বা বিরতি দেয়া হয়েছিলো সেটাকে পুষিকে দেয়া।
এর কারনটা সহজেই অনুমেয়। কারন সজীব ওয়াজেদ জয় ইতিমধ্যেই স্পষ্ট করে আন্তজার্তিক মিডিয়ার কাছে জানিয়ে দিয়েছেন এই ব্যাপারে সরকারের অবস্থান। তাই এর বিচার চাওয়া আর অরণ্যে রোদন একই কথা।
আমি শুধু মহান আল্লাহর কাছে এই দোয়া করি যে, যে ধর্ম বিদায় হজ্জের দিন তিনি মুসলমানদের জন্য পরিপূর্ণ করে মনোনীত করেছিলেন, যে ধর্মের জন্য তারঁ ২ লাখ ২৪ হাজার পয়গম্বরকে নিদারুন আত্নত্যাগ করতে হয়েছিলো, আজ সেই ধর্মের নামেই যারা একের পর এক নির্বিচারে মানুষ খুন করে যাচ্ছে, খোদা দুনিয়া এবং আখিরাতে উভয় জাগাতেই তুমি তাদের বিচার করো।
আমি এই ব্যাপারে শুধু আল্লাহর উপর ভরসা করি। আর ‘আল্লাহর উপর যে ভরসা করে, তার জন্য আল্লাহই যথেষ্ঠ।’ (সূরা ত্বলাক - ৩)
Abu Huraira (Radiallh anhu) reported: He entered to see Uthman (Radiallh anhu) when he was under siege in his house and he said, “I came to give you my support, O leader of the believers!” Uthman said:
يَا أَبَا هُرَيْرَةَ أَيَسُرُّكَ أَنْ تَقْتُلَ النَّاسَ جَمِيعًا وَإِيَّايَ مَعَهُمْ
O Abu Huraira, would it please you to kill all people, including me?
Abu Huraira said - No.
Uthman said:
وَاللَّهِ لَئِنْ قَتَلْتَ رَجُلا وَاحِدًا لَكَأَنَّمَا قَتَلْتَ النَّاسَ جَمِيعًا
By Allah, if you have killed one man, it is as if you have killed all the people.
Source: Sunan Sa’id ibn Mansur 2776, Grade: Sahih
Comment