আল-ø
ঘটনাটা যখন শুনলাম তখন চোখে পানি এসে গেলো। যতবার ঘটনাটি মনে হয় ততবার চোখ আর্দ্র হয়ে যায়।
মনে মনে বললাম, যে, জিহাদ যদি শরীয়াহ অনুযায়ী পরিচালিত হয় তাহলে শুধু আফগান-সিরিয়ায় কেনো, বাংলাদেশেও আমরা আল্লাহর সাহায্য পাবো। তখন আমরা হয়তো বলবো, 'বাংলাদেশে আমি আল্লাহকে দেখেছি'!
বাংলাদেশি এক মুজাহিদ আলেমের কাহিনী। কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার অলৌকিক কাহিনী, যেটাকে আমি ওই মুজাহিদের কারামাত মনে করি।
ঘটনাটি প্রথমে আমার দুলাভাইয়ের কাছ থেকে শুনি, পরে গত বুধবার তাঁর এক আত্মীয়ের কাছ থেকে শুনি।
সম্ভবত ২০১১ সালের দিকে, তিনি একটি কাজের স্বার্থে বাড়ীতে বাহিরে গিয়েছিলেন। এমন সময় তাঁর খোঁজ পরিবার সদস্যরা পাই নি। তিনি নিখোঁজ! একপর্যায়ে প্রায় ২০ দিন পর তারা জানতে পারলো যে, তাঁকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। একটি জিহাদি সংগঠনের সাথে সম্পৃক্ততার অভিযোগে। তাঁকে গ্রেফতারের পর ১৯দিন দাঁড়িয়ে রাখে, নামাজ আদায় করতে দেয় নি 'দারুল আমানে'র পুলিশেরা, ঘুম-বসা সব বন্ধ করে দেয়। শুধু সামান্য খাবার, তাও আবার দাঁড়িয়ে খেতে হত।
এদিকে খবর পাওয়ার পর পরিবারের সদস্যরা তাঁকে মুক্ত করার প্রচেষ্টা শুরু করেন। জামিন লাভের জন্যে আওয়ামীপন্থী এক জাঁদরেল উকিল ধরা হয়। উকিলের দাবি, 'জামিন লাভ করে দিব, তবে আমাকে ৫লক্ষ টাকা দিতে হবে'। এমনিতেই তাঁর পরিবারের অবস্থা মোটেও ভালো হয়, এদিকে তিনি কারাগারের যাওয়ার পর অবস্থা আরো ভয়াবহ হলো। তাই তারা এত টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলো। সুতরাং উকিলও আর মামলা পরিচালনা করতে রাজী হয় নি।
তাই মাওলানা সাহেবও বের হতে পারেন নি। কারাগার থেকে। এভাবে চলে গেলো চার বছর।
এদিকে ওই উকিল গেলো হজ্ব আদায় করতে। মক্কা শরীফে তাওয়াফ ইত্যাদি শেষ করে সে গেলো মদীনা শরীফে। মসজিদে নববীতেই সে অবস্থান করছিল, এমতাবস্থায় এক অদৃশ্য আওয়াজ তার কানে আসলো,
আওয়াজটি হলো-
'মাওলানা ......... সাহেবের মামলার দায়িত্বতো তোমার হাতে, তুমি কেনো তাঁকে জামিন লাভ করে দিচ্ছো না!'
মাত্র এইটুকু বাক্য, উকিলের মনোভাব পাল্টে দিল। দেশে আসার পর সে বিনা টাকায় নিরলসভাবে ওই মাওলানার মামলা পরিচালনা শুরু করলো, তার বন্ধুমহল অবাক, তারা যখন তাকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞেস করে তখন সে জবাব দেয় যে, 'তোমরা তা বুঝবে না'!
এভাবে তার প্রচেষ্টায় মাওলানা সাহেব জামিনে মুক্ত হলেন আলহামদুলিল্লাহ। মুক্ত হবার পর ওই উকিল মাওলানা সাহেবকে একদিন নিজ বাসায় দাওয়াত করে, দাওয়াত খাওয়ার পর সে তাঁকে আরো পাঁর হাজার হাদিয়াও দেয়।
আল্লাহ সত্যি বলেছেন, 'তোমরা যদি আল্লাহকে সাহায্য করো, আল্লাহ তোমাদেরকে সাহায্য করবেন, এবং তোমাদের পায়ে অবিচলতা দান করবেন।'
যদি মাওলানা সাহেবের পরিচয় তুলে ধরি তাহলে অনেকে চিনে ফেলবেন। যা আমার নিরাপত্তার জন্যে যথেষ্ট হুমকি হতে পারে।
বিঃ দ্রঃ বাংলাদেশি মুজাহিদ ভাইদের কিছু কারামাতের খবর বিশ্বস্তসুত্রে পেয়েছি আলহামদুলিল্লাহ।
আল্লাহ যদি আমাকে নিরাপদে সুস্থ রাখেন ইনশাআল্লাহ ক্রমান্বয়ে সবটি পোষ্ট করা হবে।
ঘটনাটা যখন শুনলাম তখন চোখে পানি এসে গেলো। যতবার ঘটনাটি মনে হয় ততবার চোখ আর্দ্র হয়ে যায়।
মনে মনে বললাম, যে, জিহাদ যদি শরীয়াহ অনুযায়ী পরিচালিত হয় তাহলে শুধু আফগান-সিরিয়ায় কেনো, বাংলাদেশেও আমরা আল্লাহর সাহায্য পাবো। তখন আমরা হয়তো বলবো, 'বাংলাদেশে আমি আল্লাহকে দেখেছি'!
বাংলাদেশি এক মুজাহিদ আলেমের কাহিনী। কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার অলৌকিক কাহিনী, যেটাকে আমি ওই মুজাহিদের কারামাত মনে করি।
ঘটনাটি প্রথমে আমার দুলাভাইয়ের কাছ থেকে শুনি, পরে গত বুধবার তাঁর এক আত্মীয়ের কাছ থেকে শুনি।
সম্ভবত ২০১১ সালের দিকে, তিনি একটি কাজের স্বার্থে বাড়ীতে বাহিরে গিয়েছিলেন। এমন সময় তাঁর খোঁজ পরিবার সদস্যরা পাই নি। তিনি নিখোঁজ! একপর্যায়ে প্রায় ২০ দিন পর তারা জানতে পারলো যে, তাঁকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। একটি জিহাদি সংগঠনের সাথে সম্পৃক্ততার অভিযোগে। তাঁকে গ্রেফতারের পর ১৯দিন দাঁড়িয়ে রাখে, নামাজ আদায় করতে দেয় নি 'দারুল আমানে'র পুলিশেরা, ঘুম-বসা সব বন্ধ করে দেয়। শুধু সামান্য খাবার, তাও আবার দাঁড়িয়ে খেতে হত।
এদিকে খবর পাওয়ার পর পরিবারের সদস্যরা তাঁকে মুক্ত করার প্রচেষ্টা শুরু করেন। জামিন লাভের জন্যে আওয়ামীপন্থী এক জাঁদরেল উকিল ধরা হয়। উকিলের দাবি, 'জামিন লাভ করে দিব, তবে আমাকে ৫লক্ষ টাকা দিতে হবে'। এমনিতেই তাঁর পরিবারের অবস্থা মোটেও ভালো হয়, এদিকে তিনি কারাগারের যাওয়ার পর অবস্থা আরো ভয়াবহ হলো। তাই তারা এত টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলো। সুতরাং উকিলও আর মামলা পরিচালনা করতে রাজী হয় নি।
তাই মাওলানা সাহেবও বের হতে পারেন নি। কারাগার থেকে। এভাবে চলে গেলো চার বছর।
এদিকে ওই উকিল গেলো হজ্ব আদায় করতে। মক্কা শরীফে তাওয়াফ ইত্যাদি শেষ করে সে গেলো মদীনা শরীফে। মসজিদে নববীতেই সে অবস্থান করছিল, এমতাবস্থায় এক অদৃশ্য আওয়াজ তার কানে আসলো,
আওয়াজটি হলো-
'মাওলানা ......... সাহেবের মামলার দায়িত্বতো তোমার হাতে, তুমি কেনো তাঁকে জামিন লাভ করে দিচ্ছো না!'
মাত্র এইটুকু বাক্য, উকিলের মনোভাব পাল্টে দিল। দেশে আসার পর সে বিনা টাকায় নিরলসভাবে ওই মাওলানার মামলা পরিচালনা শুরু করলো, তার বন্ধুমহল অবাক, তারা যখন তাকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞেস করে তখন সে জবাব দেয় যে, 'তোমরা তা বুঝবে না'!
এভাবে তার প্রচেষ্টায় মাওলানা সাহেব জামিনে মুক্ত হলেন আলহামদুলিল্লাহ। মুক্ত হবার পর ওই উকিল মাওলানা সাহেবকে একদিন নিজ বাসায় দাওয়াত করে, দাওয়াত খাওয়ার পর সে তাঁকে আরো পাঁর হাজার হাদিয়াও দেয়।
আল্লাহ সত্যি বলেছেন, 'তোমরা যদি আল্লাহকে সাহায্য করো, আল্লাহ তোমাদেরকে সাহায্য করবেন, এবং তোমাদের পায়ে অবিচলতা দান করবেন।'
যদি মাওলানা সাহেবের পরিচয় তুলে ধরি তাহলে অনেকে চিনে ফেলবেন। যা আমার নিরাপত্তার জন্যে যথেষ্ট হুমকি হতে পারে।
বিঃ দ্রঃ বাংলাদেশি মুজাহিদ ভাইদের কিছু কারামাতের খবর বিশ্বস্তসুত্রে পেয়েছি আলহামদুলিল্লাহ।
আল্লাহ যদি আমাকে নিরাপদে সুস্থ রাখেন ইনশাআল্লাহ ক্রমান্বয়ে সবটি পোষ্ট করা হবে।
Comment