আবু কুদামা আমাদের বড় বড় সালফে সালেহীনদের মধ্যে একজন মুজাহিদ ছিলেন।তিনি জীবনটা কাটিয়েছেন জিহাদ করে করে।তিনি একটা ঘটনা লিখেছেন।তিনি অনেক জিহাদ করেছেন বিশেষ করে তিনি রোমকদের বিরুদ্ধে অনেক যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেছেন।
আবু কুদামা(রঃ)তিনি একবার মসজিদে নববিতে তাঁর আরব বন্ধুদের সাথে বসেছিলেন। তখন তাঁর বন্ধুরা তাকে বলল, আবু কুদামা তুমি আমাদেরকে জিহাদের ময়দানের এমন একটা ঘটনা শুনাও যে ঘটনাটি তোমাকে সবচেয়ে বেশি আশ্চর্যান্বিত করেছে।
তখন আবু কুদামা(রঃ)বললেন, আমরা একবার রোমকদের আক্রমন করার জন্য ফোরাত নদীর তীরে অবস্থিত দিকা নামক শহরের উপর দিয়ে যাচ্ছিলাম ।তখন তার মাঝ পথে আমি থেমে গেলাম এবং একটু অবস্থান করলাম।আমাকে একটা উট কিনতে হবে।
তখন একটা মহিলা আমার সাথে দেখা করল।সে বলল আমার স্বামী জিহাদে শহীদ হয়েছেন। আমার কয়েকটা ছেলে ছিল সকলে জিহাদে শহীদ হয়ে গেছে। আমার ভাইরা ছিল তারাও জিহাদের ময়দানে শহীদ হয়ে গেছে।এখন শুধু আমার একটা ছেলে আছে আর একটা মেয়ে আছে। তার ছেলেটার ১৫ বছর বয়স, সে কুরানের হাফীয, হাদিস সমন্ধে তার ভাল জ্ঞান,ভাল অশ্বারোহী,দেখতে খুব সুন্দর। আর একটা ছোট মেয়ে আছে। সে বলল, আমি আমার ছেলেটাকে জিহাদে পাঠাতাম কিন্ত সে একটা কাজে শহরের বাইরে গেছে। এখন পর্যন্ত আসেনি। এজন্য আপেক্ষা করছি। সে আসলে আপনার সাথে জিহাদে পাঠাতাম। এখন যে আমি আপনাকে কিছু দিব আমার ঘরে এমন কিছু নেই। এত বড় একটা জিহাদ হচ্ছে আর আমি এটা থেকে বঞ্চিত হব এটাতো আমি চাচ্ছিনা। তখন ঐ মহিলা ধুলোয় মাখা তার মাথার একটা চুল দিয়ে বলল, এটা নেন যেন মুজাহিদরা ঘোড়ার লাগাম হিসেবে অথবা অন্য কোন কাজে ব্যবহার করতে পারে। তো আবু কুদামা(রঃ) ঐ চুলটা নিলেন ঘোড়ার লাগাম হিসেবে ব্যবহার করার জন্য। চুলটা নেয়ার পর তিনি কিছুক্ষন অবস্থান করলেন, কিন্ত ছেলেটি আর আসেনি।
ছেলেটিকে দেখতে চেয়েছিলেন, দেখেননি। পরে উনারা রওনা হয়ে গেলেন। তারপর পথিমধ্যে অনেকদূর যাওয়ার পর দেখলেন পিছন থেকে একজন অশ্বারোহী ধুলা উড়িয়ে আসছে। কাছে আসার পর সে যুবক অশ্বারোহী আবু কুদামা(রঃ)কে চাচা বলে ডাকল এবং পরিচয় দিয়ে বলল,আমি ঐ মহিলার সন্তান যিনি আপনাকে জিহাদের জন্য চুল দান করেছিল। আমি আসছি আপনার সাথে জিহাদে অংশগ্রহন করতে। তখন আবু কুদামা(রঃ) দেখেন, ছেলেটা একেবারে ছোটো, তের-চৌদ্দ কি পনের বছর বয়স। তখনতো জিহাদ করা তার উপর আবশ্যিকও না। তাই তিনি বললেন, বাবা, তুমি এখন ফিরে যাও তোমার মায়ের কেউ নেই যে দেখাশুনা করবে। তুমি আপাতত এখন ফিরে যাও,পরে বড় হয়ে এসো। সে তখন বলল, না আমার মা আমাকে শেষ বিদায় জানিয়েছেন, আপনার সাথে দেখা করতে বলেছেন। আর আমি ভাল ঘোড় সওয়ার, ভাল তিরন্দাজী জানি। আপনি আমাকে নেন। যখন খুব কাকুতি মিনতি করল তখন তাকে সাথে নিলেন।
মুজাহিদেরা সবাই রোযা ছিল। রোযাদার অবস্থায় তারা চলতে থাকলেন। বিকালবেলা খাবার রান্না করতে হবে। তাই তারা এক জায়গায় তাবু গাড়লেন। ছেলেটি জোর করে খাবার রান্না করতে চাইল। সে বলল আমি কম ক্লান্ত আছি, সবাই রোযা রেখে বেশ ক্লান্ত। তখন তাকে রান্নার দায়িত্ব দেয়া হল। মুজাহিদেরা ঘুমিয়ে পড়লেন। এক পর্যায়ে রান্না করতে করতে সেও ঘুমিয়ে পড়ল। তখন আবু কুদামা(রঃ) দেখলেন ছেলেটি ঘুমের মধ্যে দাঁত বের করে হাসছে। তিনি অন্যান্য মুজাহিদ সাথিদেরকে বিষয়টি দেখালেন। তখন হঠাৎ ছেলেটির ঘুম ভেঙ্গে গেল।
অতঃপর তাকে জিজ্ঞাসা করা হল তুমি ঘুমের মধ্যে এভাবে হাসছিলে কেন। তখন অনেক জোরাজুরির পর সে বলল, আমি দেখলাম বিশাল একটা প্রাসাদ যেটা স্বর্ণ ও রুপা দ্বারা তৈরি। দেখতে খুব সুন্দর একটি প্রাসাদ। প্রাসাদটি একটি পর্দা দ্বারা ঢাকা। সেই প্রাসাদ থেকে বের হয়ে আসছিল অনেকগুলো মেয়ে যারা দেখতে চাঁদের ন্যায় উজ্জ্বল। তারা আমাকে অব্যর্থনা জানাতে আসছিল। তাদের মধ্য থেকে একটি মেয়ে আমাকে বলল, হে মারজিয়ার স্বামী, মারজিয়া উপরে। আমি প্রাসাদের উপরে গিয়ে দেখলাম অনেক অনেক সুন্দর একটা মেয়ে যার উজ্জলতা সূর্যের মত। আমি তাকে ধরার জন্য তাড়াহুড়া করতে লাগলাম,তখন সে বলল, এখনও সময় হয়নি আগামীকাল দুপুরে তুমি আমার সাথে সাক্ষাত করবে। এরপর আপনি ডাক দিলে আমার ঘুম ভেঙ্গে গেল।
তারপরের দিন রোমকদের সাথে আমাদের তুমুল যুদ্ধ শুরু হল। এক পর্যায়ে মুসলিমেরা বিজয় লাভ করল।অনেক মুসলিম আহত হয়ে পড়ে পড়ে আছে।তাদের সাথীরা সবাই তাদেরকে তুলছে।আর আবু কুদামা(রঃ) মনে মনে ঐ ছেলেটাকে খুঁজছিলেন। কোথায় কোথায় চারদিকে দেখছিলেন। অনেক আহত পড়ে আছে কিন্ত ঐ ছেলেকে পাওয়া যাচ্ছেনা। হঠাৎ তিনি এক জায়গায় গিয়ে দেখলেন রক্তাক্ত অবস্থায় ছেলেটা পড়ে আছে। ওকে দেখে ওর কাছে গেলেন। তখন ও বলছিল যে, চাচা চাচা আমিতো শহীদ হয়ে যাচ্ছি, আমার এই এই রক্ত মাখা জামা এটা আপনি নিয়ে গিয়ে আমার মাকে দিবেন।আর বলবেন যে, আপনার ছেলে তার কৃত ওয়াদা পূর্ণ করেছে,সে লড়াই করতে করতে বিজয় এনেছে সে পিছু হটেনি যাতে করে আমার মা সান্তনা পান। আর আমার একটা ছোটো বোন আছে বাড়ীতে, ওকে রেখে আসছি যে আমার তো বাবাও নেই, ভাইও নেই, মামারাও ছিল না। এই বোন আমাকে খুব আদর করত, সে ভাইয়া ভাইয়া বলত, আমাকে কখনও বাইরে আসতে দিত না। আপনি যখন যাবেন আমার ঐ বোনটাকে একটু সান্তনা দিয়েন। এবং আমার মাকে সান্তনা দিয়েন যে, আমি শহীদ হয়ে গেছি। তারপর বলছে, চাচা ঐ যে বলছি মারজিয়া না, মারজিয়া আমার মাথার সামনে দাঁড়িয়ে আছে। এটা বলে যুবক ছেলেটি শহীদ হয়ে গেল।
পরবর্তীতে আবু কুদামা(রঃ) যখন জিহাদ থেকে ফিরে আসছিলেন তখন ঐ ছেলেটির মাকে খবর দেয়ার জন্য তাদের শহরের উপর দিয়ে যাওয়ার সময় তাদের বাড়ীতে গেলেন। বাড়ীতে গিয়ে দেখেন তার ছোটো বোনটি গেইটে দাঁড়িয়ে আছে। তিনি মেয়েটিকে বললেন তোমার মাকে ডাক। ছেলেটির মা এসে বলল আপনি কি আমাকে সান্তনা দেয়ার জন্য আসছেন, না সুসংবাদ দেয়ার জন্য আসছেন।তখন আবু কুদামা(রঃ) বললেন,কি করলে তুমি সান্তনা পাবে আর কি করলে তুমি সুসংবাদ পাবে।তখন বলল,যদি আপনি বলেন যে,আমার ছেলে সুসাস্থ্য ভালভাবে ফিরে এসেছে তাহলে আপনি আমাকে সান্তনা দিন । আর যদি আপনি বলেন,আমার ছেলে শহীদ হয়েছে তাহলে আপনি আমাকে সুসংবাদ দিন। না, আলহামদুলিল্লাহ! আপনার ছেলে শাহাদাত বরন করেছে আল্লাহর রাস্তায়, সে পিছু হটেনি। তখন ঐ মহিলা বলল, সমস্ত প্রশংসা ঐ স্বত্বার যিনি আমার এই ছেলেকে পরকালে আমার জন্য পুঁজি বানালেন।
আবু কুদামা(রঃ)তিনি একবার মসজিদে নববিতে তাঁর আরব বন্ধুদের সাথে বসেছিলেন। তখন তাঁর বন্ধুরা তাকে বলল, আবু কুদামা তুমি আমাদেরকে জিহাদের ময়দানের এমন একটা ঘটনা শুনাও যে ঘটনাটি তোমাকে সবচেয়ে বেশি আশ্চর্যান্বিত করেছে।
তখন আবু কুদামা(রঃ)বললেন, আমরা একবার রোমকদের আক্রমন করার জন্য ফোরাত নদীর তীরে অবস্থিত দিকা নামক শহরের উপর দিয়ে যাচ্ছিলাম ।তখন তার মাঝ পথে আমি থেমে গেলাম এবং একটু অবস্থান করলাম।আমাকে একটা উট কিনতে হবে।
তখন একটা মহিলা আমার সাথে দেখা করল।সে বলল আমার স্বামী জিহাদে শহীদ হয়েছেন। আমার কয়েকটা ছেলে ছিল সকলে জিহাদে শহীদ হয়ে গেছে। আমার ভাইরা ছিল তারাও জিহাদের ময়দানে শহীদ হয়ে গেছে।এখন শুধু আমার একটা ছেলে আছে আর একটা মেয়ে আছে। তার ছেলেটার ১৫ বছর বয়স, সে কুরানের হাফীয, হাদিস সমন্ধে তার ভাল জ্ঞান,ভাল অশ্বারোহী,দেখতে খুব সুন্দর। আর একটা ছোট মেয়ে আছে। সে বলল, আমি আমার ছেলেটাকে জিহাদে পাঠাতাম কিন্ত সে একটা কাজে শহরের বাইরে গেছে। এখন পর্যন্ত আসেনি। এজন্য আপেক্ষা করছি। সে আসলে আপনার সাথে জিহাদে পাঠাতাম। এখন যে আমি আপনাকে কিছু দিব আমার ঘরে এমন কিছু নেই। এত বড় একটা জিহাদ হচ্ছে আর আমি এটা থেকে বঞ্চিত হব এটাতো আমি চাচ্ছিনা। তখন ঐ মহিলা ধুলোয় মাখা তার মাথার একটা চুল দিয়ে বলল, এটা নেন যেন মুজাহিদরা ঘোড়ার লাগাম হিসেবে অথবা অন্য কোন কাজে ব্যবহার করতে পারে। তো আবু কুদামা(রঃ) ঐ চুলটা নিলেন ঘোড়ার লাগাম হিসেবে ব্যবহার করার জন্য। চুলটা নেয়ার পর তিনি কিছুক্ষন অবস্থান করলেন, কিন্ত ছেলেটি আর আসেনি।
ছেলেটিকে দেখতে চেয়েছিলেন, দেখেননি। পরে উনারা রওনা হয়ে গেলেন। তারপর পথিমধ্যে অনেকদূর যাওয়ার পর দেখলেন পিছন থেকে একজন অশ্বারোহী ধুলা উড়িয়ে আসছে। কাছে আসার পর সে যুবক অশ্বারোহী আবু কুদামা(রঃ)কে চাচা বলে ডাকল এবং পরিচয় দিয়ে বলল,আমি ঐ মহিলার সন্তান যিনি আপনাকে জিহাদের জন্য চুল দান করেছিল। আমি আসছি আপনার সাথে জিহাদে অংশগ্রহন করতে। তখন আবু কুদামা(রঃ) দেখেন, ছেলেটা একেবারে ছোটো, তের-চৌদ্দ কি পনের বছর বয়স। তখনতো জিহাদ করা তার উপর আবশ্যিকও না। তাই তিনি বললেন, বাবা, তুমি এখন ফিরে যাও তোমার মায়ের কেউ নেই যে দেখাশুনা করবে। তুমি আপাতত এখন ফিরে যাও,পরে বড় হয়ে এসো। সে তখন বলল, না আমার মা আমাকে শেষ বিদায় জানিয়েছেন, আপনার সাথে দেখা করতে বলেছেন। আর আমি ভাল ঘোড় সওয়ার, ভাল তিরন্দাজী জানি। আপনি আমাকে নেন। যখন খুব কাকুতি মিনতি করল তখন তাকে সাথে নিলেন।
মুজাহিদেরা সবাই রোযা ছিল। রোযাদার অবস্থায় তারা চলতে থাকলেন। বিকালবেলা খাবার রান্না করতে হবে। তাই তারা এক জায়গায় তাবু গাড়লেন। ছেলেটি জোর করে খাবার রান্না করতে চাইল। সে বলল আমি কম ক্লান্ত আছি, সবাই রোযা রেখে বেশ ক্লান্ত। তখন তাকে রান্নার দায়িত্ব দেয়া হল। মুজাহিদেরা ঘুমিয়ে পড়লেন। এক পর্যায়ে রান্না করতে করতে সেও ঘুমিয়ে পড়ল। তখন আবু কুদামা(রঃ) দেখলেন ছেলেটি ঘুমের মধ্যে দাঁত বের করে হাসছে। তিনি অন্যান্য মুজাহিদ সাথিদেরকে বিষয়টি দেখালেন। তখন হঠাৎ ছেলেটির ঘুম ভেঙ্গে গেল।
অতঃপর তাকে জিজ্ঞাসা করা হল তুমি ঘুমের মধ্যে এভাবে হাসছিলে কেন। তখন অনেক জোরাজুরির পর সে বলল, আমি দেখলাম বিশাল একটা প্রাসাদ যেটা স্বর্ণ ও রুপা দ্বারা তৈরি। দেখতে খুব সুন্দর একটি প্রাসাদ। প্রাসাদটি একটি পর্দা দ্বারা ঢাকা। সেই প্রাসাদ থেকে বের হয়ে আসছিল অনেকগুলো মেয়ে যারা দেখতে চাঁদের ন্যায় উজ্জ্বল। তারা আমাকে অব্যর্থনা জানাতে আসছিল। তাদের মধ্য থেকে একটি মেয়ে আমাকে বলল, হে মারজিয়ার স্বামী, মারজিয়া উপরে। আমি প্রাসাদের উপরে গিয়ে দেখলাম অনেক অনেক সুন্দর একটা মেয়ে যার উজ্জলতা সূর্যের মত। আমি তাকে ধরার জন্য তাড়াহুড়া করতে লাগলাম,তখন সে বলল, এখনও সময় হয়নি আগামীকাল দুপুরে তুমি আমার সাথে সাক্ষাত করবে। এরপর আপনি ডাক দিলে আমার ঘুম ভেঙ্গে গেল।
তারপরের দিন রোমকদের সাথে আমাদের তুমুল যুদ্ধ শুরু হল। এক পর্যায়ে মুসলিমেরা বিজয় লাভ করল।অনেক মুসলিম আহত হয়ে পড়ে পড়ে আছে।তাদের সাথীরা সবাই তাদেরকে তুলছে।আর আবু কুদামা(রঃ) মনে মনে ঐ ছেলেটাকে খুঁজছিলেন। কোথায় কোথায় চারদিকে দেখছিলেন। অনেক আহত পড়ে আছে কিন্ত ঐ ছেলেকে পাওয়া যাচ্ছেনা। হঠাৎ তিনি এক জায়গায় গিয়ে দেখলেন রক্তাক্ত অবস্থায় ছেলেটা পড়ে আছে। ওকে দেখে ওর কাছে গেলেন। তখন ও বলছিল যে, চাচা চাচা আমিতো শহীদ হয়ে যাচ্ছি, আমার এই এই রক্ত মাখা জামা এটা আপনি নিয়ে গিয়ে আমার মাকে দিবেন।আর বলবেন যে, আপনার ছেলে তার কৃত ওয়াদা পূর্ণ করেছে,সে লড়াই করতে করতে বিজয় এনেছে সে পিছু হটেনি যাতে করে আমার মা সান্তনা পান। আর আমার একটা ছোটো বোন আছে বাড়ীতে, ওকে রেখে আসছি যে আমার তো বাবাও নেই, ভাইও নেই, মামারাও ছিল না। এই বোন আমাকে খুব আদর করত, সে ভাইয়া ভাইয়া বলত, আমাকে কখনও বাইরে আসতে দিত না। আপনি যখন যাবেন আমার ঐ বোনটাকে একটু সান্তনা দিয়েন। এবং আমার মাকে সান্তনা দিয়েন যে, আমি শহীদ হয়ে গেছি। তারপর বলছে, চাচা ঐ যে বলছি মারজিয়া না, মারজিয়া আমার মাথার সামনে দাঁড়িয়ে আছে। এটা বলে যুবক ছেলেটি শহীদ হয়ে গেল।
পরবর্তীতে আবু কুদামা(রঃ) যখন জিহাদ থেকে ফিরে আসছিলেন তখন ঐ ছেলেটির মাকে খবর দেয়ার জন্য তাদের শহরের উপর দিয়ে যাওয়ার সময় তাদের বাড়ীতে গেলেন। বাড়ীতে গিয়ে দেখেন তার ছোটো বোনটি গেইটে দাঁড়িয়ে আছে। তিনি মেয়েটিকে বললেন তোমার মাকে ডাক। ছেলেটির মা এসে বলল আপনি কি আমাকে সান্তনা দেয়ার জন্য আসছেন, না সুসংবাদ দেয়ার জন্য আসছেন।তখন আবু কুদামা(রঃ) বললেন,কি করলে তুমি সান্তনা পাবে আর কি করলে তুমি সুসংবাদ পাবে।তখন বলল,যদি আপনি বলেন যে,আমার ছেলে সুসাস্থ্য ভালভাবে ফিরে এসেছে তাহলে আপনি আমাকে সান্তনা দিন । আর যদি আপনি বলেন,আমার ছেলে শহীদ হয়েছে তাহলে আপনি আমাকে সুসংবাদ দিন। না, আলহামদুলিল্লাহ! আপনার ছেলে শাহাদাত বরন করেছে আল্লাহর রাস্তায়, সে পিছু হটেনি। তখন ঐ মহিলা বলল, সমস্ত প্রশংসা ঐ স্বত্বার যিনি আমার এই ছেলেকে পরকালে আমার জন্য পুঁজি বানালেন।
Comment