বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আসসালাতু আসসালামু ওলা রাসুলিল্লাহ ওয়া আসহাবিহি আজমাঈন। আম্মাবাদ
আজকে আমি আমার ভাইদের সাথে যে বিষয় নিয়ে কথা বলতে চাই তা হল এই দেশে জিহাদের বাস্তবতা সম্পর্কে।
আমরা সবাই একটা বিষয় নিয়ে খুব কৌতুহল প্রকাশ করি তা হল এই দেশে জিহাদের প্যাটার্ন কেমন। আমরা হয়তো ভিডিও দেখে কিছুটা ধারনা নেই আর ভাবি হয়তো বাংলার জমিনের কাজের প্যাটার্ন আর আফগানের প্যাটার্ন এক। এখানেও হয়তো ভাইয়েরা বিভিন্ন অপারেশনে যাওয়ার আগে মা-বাবার হাতের দুয়া, নিজের স্ত্রীর মায়া ভরা মুখ দেখে তারপর যান। আর অপারেশন থেকে ফিরে সবাইকে নিয়ে আনন্দ করেন। তারপর রাতে ভালো খাবার খেয়ে আর গল্প করে হয়তো মুজাহিদিন ভাইয়েরা ঘুমিয়ে যান।
না ভাই, আপনি যদি এমন কোন ধারনা মনের মাঝে স্থান দেন তবে তা হবে ভুল। এবং এই ধারনা নিয়ে যদি জিহাদের পথে পা বাড়ান তবে আশায় গুড়ে বালি হবে। আব্দুল্লাহ আজ্জাম (রাহিঃ) বলেন যে ব্যক্তি জিহাদের একটি চিত্র দেখে জিহাদে আসবে সে আরেক চিত্র দেখে ময়দান থেকে চলে যাবে।
আপনি যদি সত্যিই এই দেশে জিহাদের জন্য কাজ করতে চান তবে আপনাকে এমনসব পরিস্থিতির মাঝ দিয়ে যেতে হবে যখন আপনি আপনার নিজের পরিবারের মুখ দেখা তো দুরের কথা তাদের সাথে ফোনেও কথা বলতে পারবেন না দিনের পর দিন। এই জমিনে কাজ করলে মাথায় থাকবে গ্রেফতারের সম্ভাবনা, আছে নির্বাসনের সম্ভাবনা আর আছে আপনাকে না পেয়ে আপনার পরিবারকে জুলুম করার সম্ভাবনা, আছে একাকীত্ব আর আবাস স্থলের অভাব। প্রিয় ভাই, এই দেশে জিহাদের বাস্তবতা এমনই যে একবার সেফ হাউজ হারানোর পর আপনার অবস্থা চোখে সর্ষে ফুল দেখার মত, যদি আপনি কোন মার্কড ভাই হন। অবশ্য আল্লাহর কাছে তখন নিজেকে অর্পণ করে দেওয়া ছাড়া কিছু করার থাকে না, সুবহান আল্লাহ তখনই পাওয়া যায় রহমানের ভালোবাসার নিদর্শন। প্রিয় ভাই আপনি যদি এই ভেবে থাকেন যে আপনি অনেক বড় ব্যাবসা করবেন বা ভালো জব করবেন, সুন্দরি আহলিয়া থাকবে, তারপর আহলিয়ার কাছ হতে বিদায় নিয়ে সকাল বেলায় অপারেশনে যাবেন তাহলে এই ধারনা ত্যাগ করুন।
সকল কিছুকে ত্যাগ করে যদি আল্লাহর পথে পা বাড়ান তবে আল্লাহর এমন সকল সাহায্য পাবেন যা সকল কষ্টকে নিমিষে মাটি করে দিবে, এনে দিবে চোখে আনন্দ আশ্রু, অন্তরকে করবে ধনী, আর নিজেকে মনে হবে আল্লাহর খুবই নিকটবর্তী এক দাস। যার দুয়া কবুল হয় যদিও যে গুনাহ করে।
বাস্তবতায় আসুন। আমি নিজে কিছু ভাইকে দেখেছি অন লাইনে+ অফ লাইনে যারা এই ধারনা করেন যে তাদের সব কিছুই থাকবে+ উনারা সেই সকল কিছু নিয়ে জিহাদের ময়দানে নামবেন। আশ্চর্য এটা কখনোই সম্ভব না। আপনি যদি আপনার কথায় আসলেই সত্যবাদী হয়ে থাকেন তবে আপনাকে মোটা কাপড় পড়তে হবে, নিজের পরিবার,সন্তান,বাবা মা, আত্মীয় স্বজনকে অবশ্যই কোন না কোন সময় ত্যাগ করতেই হবে।
কিছু ভাই আজ তাগুতের কারাগারে এই কারনে যে তারা পরিবারের মায়া ত্যাগ করতে পারে নি। হায় আজ কোন পরিস্থিতে তারা আছেন আল্লাহ ভালো জানেন!! আর কেউ কেউ তো কাজই ছেড়ে বসে আছেন কারন তাদের দ্বারা পরিবারের মায়া ছাড়া সম্ভব না। আর আমি আজ এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছি যে আমার সেই সকল ভাই জিহাদের ময়দানে শরীক হয়েছিল ঠিকই কিন্তু বাস্তবতা না বুঝেই। যখন আল্লাহ তাদের ঈমানের দাবীর পরিক্ষা নিলেন তখন তারা তাদের অন্তরের কাছে পরাজিত হয়ে গেলন। আল্লাহর কাছে পানাহ চাই।
প্রিয় ভাই জিহাদের ফ্যন্টাসি থেকে বের হয়ে আসুন। তৃপ্তির ঢেকুর তুলবেন না অনলাইনে বসে বড় বড় লিখা লেখে তবে হ্যাঁ কিছু ভাই আছেন যাদের কথা আলাদা তাদের আসলেই কিছু ওজর আছে। কিন্তু বেশির ভাগই আমরা যেন মনে করছি অনলাইনে দাওয়ার কাজ করলেই হল, ব্যস আর কিছু করা লাগবে না!!
নিজেকে নিজেই প্রশ্ন করুন আসলেই কি আপনি এই পরিমান মাজুর, যার কারনে জিহাদে শরীক হতে পারছেন না??
আল্লাহ আমাদের সকলের আমল কবুল করুন এবং জিহাদের পথে অবিচল থাকার তৌফিক দিন।
আসসালাতু আসসালামু ওলা রাসুলিল্লাহ ওয়া আসহাবিহি আজমাঈন। আম্মাবাদ
আজকে আমি আমার ভাইদের সাথে যে বিষয় নিয়ে কথা বলতে চাই তা হল এই দেশে জিহাদের বাস্তবতা সম্পর্কে।
আমরা সবাই একটা বিষয় নিয়ে খুব কৌতুহল প্রকাশ করি তা হল এই দেশে জিহাদের প্যাটার্ন কেমন। আমরা হয়তো ভিডিও দেখে কিছুটা ধারনা নেই আর ভাবি হয়তো বাংলার জমিনের কাজের প্যাটার্ন আর আফগানের প্যাটার্ন এক। এখানেও হয়তো ভাইয়েরা বিভিন্ন অপারেশনে যাওয়ার আগে মা-বাবার হাতের দুয়া, নিজের স্ত্রীর মায়া ভরা মুখ দেখে তারপর যান। আর অপারেশন থেকে ফিরে সবাইকে নিয়ে আনন্দ করেন। তারপর রাতে ভালো খাবার খেয়ে আর গল্প করে হয়তো মুজাহিদিন ভাইয়েরা ঘুমিয়ে যান।
না ভাই, আপনি যদি এমন কোন ধারনা মনের মাঝে স্থান দেন তবে তা হবে ভুল। এবং এই ধারনা নিয়ে যদি জিহাদের পথে পা বাড়ান তবে আশায় গুড়ে বালি হবে। আব্দুল্লাহ আজ্জাম (রাহিঃ) বলেন যে ব্যক্তি জিহাদের একটি চিত্র দেখে জিহাদে আসবে সে আরেক চিত্র দেখে ময়দান থেকে চলে যাবে।
আপনি যদি সত্যিই এই দেশে জিহাদের জন্য কাজ করতে চান তবে আপনাকে এমনসব পরিস্থিতির মাঝ দিয়ে যেতে হবে যখন আপনি আপনার নিজের পরিবারের মুখ দেখা তো দুরের কথা তাদের সাথে ফোনেও কথা বলতে পারবেন না দিনের পর দিন। এই জমিনে কাজ করলে মাথায় থাকবে গ্রেফতারের সম্ভাবনা, আছে নির্বাসনের সম্ভাবনা আর আছে আপনাকে না পেয়ে আপনার পরিবারকে জুলুম করার সম্ভাবনা, আছে একাকীত্ব আর আবাস স্থলের অভাব। প্রিয় ভাই, এই দেশে জিহাদের বাস্তবতা এমনই যে একবার সেফ হাউজ হারানোর পর আপনার অবস্থা চোখে সর্ষে ফুল দেখার মত, যদি আপনি কোন মার্কড ভাই হন। অবশ্য আল্লাহর কাছে তখন নিজেকে অর্পণ করে দেওয়া ছাড়া কিছু করার থাকে না, সুবহান আল্লাহ তখনই পাওয়া যায় রহমানের ভালোবাসার নিদর্শন। প্রিয় ভাই আপনি যদি এই ভেবে থাকেন যে আপনি অনেক বড় ব্যাবসা করবেন বা ভালো জব করবেন, সুন্দরি আহলিয়া থাকবে, তারপর আহলিয়ার কাছ হতে বিদায় নিয়ে সকাল বেলায় অপারেশনে যাবেন তাহলে এই ধারনা ত্যাগ করুন।
সকল কিছুকে ত্যাগ করে যদি আল্লাহর পথে পা বাড়ান তবে আল্লাহর এমন সকল সাহায্য পাবেন যা সকল কষ্টকে নিমিষে মাটি করে দিবে, এনে দিবে চোখে আনন্দ আশ্রু, অন্তরকে করবে ধনী, আর নিজেকে মনে হবে আল্লাহর খুবই নিকটবর্তী এক দাস। যার দুয়া কবুল হয় যদিও যে গুনাহ করে।
বাস্তবতায় আসুন। আমি নিজে কিছু ভাইকে দেখেছি অন লাইনে+ অফ লাইনে যারা এই ধারনা করেন যে তাদের সব কিছুই থাকবে+ উনারা সেই সকল কিছু নিয়ে জিহাদের ময়দানে নামবেন। আশ্চর্য এটা কখনোই সম্ভব না। আপনি যদি আপনার কথায় আসলেই সত্যবাদী হয়ে থাকেন তবে আপনাকে মোটা কাপড় পড়তে হবে, নিজের পরিবার,সন্তান,বাবা মা, আত্মীয় স্বজনকে অবশ্যই কোন না কোন সময় ত্যাগ করতেই হবে।
কিছু ভাই আজ তাগুতের কারাগারে এই কারনে যে তারা পরিবারের মায়া ত্যাগ করতে পারে নি। হায় আজ কোন পরিস্থিতে তারা আছেন আল্লাহ ভালো জানেন!! আর কেউ কেউ তো কাজই ছেড়ে বসে আছেন কারন তাদের দ্বারা পরিবারের মায়া ছাড়া সম্ভব না। আর আমি আজ এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছি যে আমার সেই সকল ভাই জিহাদের ময়দানে শরীক হয়েছিল ঠিকই কিন্তু বাস্তবতা না বুঝেই। যখন আল্লাহ তাদের ঈমানের দাবীর পরিক্ষা নিলেন তখন তারা তাদের অন্তরের কাছে পরাজিত হয়ে গেলন। আল্লাহর কাছে পানাহ চাই।
প্রিয় ভাই জিহাদের ফ্যন্টাসি থেকে বের হয়ে আসুন। তৃপ্তির ঢেকুর তুলবেন না অনলাইনে বসে বড় বড় লিখা লেখে তবে হ্যাঁ কিছু ভাই আছেন যাদের কথা আলাদা তাদের আসলেই কিছু ওজর আছে। কিন্তু বেশির ভাগই আমরা যেন মনে করছি অনলাইনে দাওয়ার কাজ করলেই হল, ব্যস আর কিছু করা লাগবে না!!
নিজেকে নিজেই প্রশ্ন করুন আসলেই কি আপনি এই পরিমান মাজুর, যার কারনে জিহাদে শরীক হতে পারছেন না??
আল্লাহ আমাদের সকলের আমল কবুল করুন এবং জিহাদের পথে অবিচল থাকার তৌফিক দিন।
Comment