সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ্*র জন্য, এবং শুধুই আল্লাহ্*র জন্য।
অতঃপর, হে উম্মতের যুবক ভাইয়ের জেগে উঠুন। আর কত! সময় অনেক পার হয়েই গেলো, রক্ত অনেক ঝরলো, সম্ভ্রম হারালো অনেক মা বোন, আর কত!
দাগ গুলো পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে! ঈমান এবং কুফর আলাদা হয়েই যাচ্ছে! পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে দুইটি দল, হিজব আর রাহমান, হিজব আশ শাইতান।
যুদ্ধের দামামা তো বেজেছে অনেক আগেই, আর যুদ্ধের ঘোড়া গুলো ময়দানে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে কিন্তু ঘোড়সওয়ার কই? রক্ত কি ঠান্ডা হয়ে গেলো? রক্ত কি তবে ঠান্ডাই হয়ে গেল? আবারো বলি, রক্ত কি তবে ঠান্ডা হয়েই গেলো? তাহলে রাসুল (সাঃ) এর পবিত্র রক্তের সাথে, হামযা (রাঃ) এর পবিত্র শাহাদাতের সাথে আর লক্ষ লক্ষ শুহাদাদের পবিত্র রক্তের সাথে গাদ্দারী করাকেই বেছে নিলাম! সাবধান, শহীদের রক্তের সাথে যেন গাদ্দারী না হয়ে যায়! সিনা ফুলিয়ে উঠে দাড়াও, জামার আস্তিন গুটাও, হাতের তালু চিরে তরবারির ধার দেখে নাও, লাল ব্যান্ডানা কপালে বেধে নাও, আর আবু দুজানার মত উঠে দাড়াও! সামনে বাড়ো, আঘাত হানো, দুবার আঘাত হানার সময় কই! মরন আঘাত হানো, একবার.. এক জনের জন্য শুধুই একবার.. স্রেফ দুই টুকরা করে ফেলো... স্রেফ দুই টুকরা, তার সন্তান যেন তার লাশ নিতে ভয় পায়! স্রেফ দুই টুকরা ফেলো .. তার স্ত্রী যেন তার লাশের দিকে তাকাতে ভয় পায়! স্রেফ দুই টুকরা করে ফেলো .. তার সাথের কুকুর গুলো যেন লাশের দিকে তাকাতে ভয় পায়!
তারা মরতে ভয় পায়! তারা লোহা দিকে ঢাকে চামড়ার দেহ, তারা কচ্ছপের মত খোলের মধ্যে মাথা লুকিয়ে রাখে... আজ যদি যুদ্ধ না হতো তবে তাদের করুনা করা যেত... কিন্তু আজ করুনার সময় না। লোহা নাজিল করেছেন কে? লোহার মধ্যে প্রচুর শক্তি লুকিয়ে রেখেছেন কে? সেই লোহা দিয়ে আঘাত হানো তাদের বর্মের উপর, তাদের জোড়ায় আঘাত হানো, কেটে ফেলো, ছিঁড়ে ফেলো, ছিন্ন ভিন্ন করে ফেলো .. দ্বিধা করোনা। কারন তারা আল্লাহ্*র বিরুদ্ধেই যুদ্ধ ঘোষণা করে ফেলেছে। তুমি তাদের হত্যা করবেনা, বরং আল্লাহই তাদের কে হত্যা করবেন। আল্লাহ্* তোমাদের হাত দিয়েই তাদের কে শাস্তি দিবেন। সুতরাং আঘাত হানো তাদের বর্মের উপর.. তাদের কলিজা যেন এফোঁড় ওফোঁড় হয়ে যায়, তাদের নাড়ীভুঁড়ি যেন রাস্তায় গড়াগড়ি খায় আর তাদের হাত পা যেন ঝড়ে ভেঙ্গে যাওয়া গাছের ডালের মত পড়ে থাকে! আর জাহান্নামে রয়েছে তাদের জন্য আরো কঠিন শাস্তি!
তোমার সামনে শাহাদাতের পেয়ালা, কেউ না কেউ তো তা পান করবেই! তুমি কি পেছনে পড়ে থাকবে! তোমার সামনে হুর আল আইনের হাত ছানি, কেউ না কেউ তো তার সান্নিধ্য পাবেই! তুমি কি পেছনে পড়ে থাকবে! তোমার সামনে তোমার রবের সন্তুষ্টি, কেউ না কেউ তো তা অর্জন করবেই, তুমি কি পেছনে পড়ে থাকবে! .. তুমি হবে বড় হতভাগা যদি এসব তোমার হাতছাড়া হয়ে যায়!
তোমার বাহাদুরি কোথায়? কোথায় গেলো তোমার গরম রক্তের ছলকানি! তুমি ঐ আল্লাহ্*র দুশমনদের দম্ভ ভরা কথা শুনতে পাওনা, তুমি কি তাহলে আল্লাহ্*র দুশমনের চ্যালেঞ্জ কে ভয় পেয়ে গেলে! আল্লাহ্* হবেন তোমার সহায়! কদম উঠাও .. হয় মারো নয় তো মরো, এমনটাই আল্লাহ্* বলেছেন ..
আর বাকি সময় টুকুতে প্রস্তুতি নাও, চিন্তা করো, কিভাবে তাকে হত্যা করবে, টুকরা করে ফেলবে, ছিন্ন ভিন্ন করে ফেলবে.. তোমার চোখে তোমার শত্রু যেন আগুন ছাড়া অন্য কিছু না দেখে।
অতঃপর, ওহে আল্লাহ্*র দুশমনেরা..
শুনে নাও, আমরা প্রস্তত হচ্ছি, দেখা খুব শীঘ্রই ইনশাআল্লাহ্*। শেষ ইচ্ছা গুলো পূরণ করে নাও, সন্তানের দিকে শেষ বার তাকিয়ে নাও, নিজের বিছানায় শেষ বার ঘুমিয়ে নাও! আল্লাহ্*র ইচ্ছায় খুব শীঘ্রই দেখা হবে ইনশাআল্লাহ্*! তোমাদের বাহাদুরি তোমাদের পুলকিত করে, তোমাদের শক্তি তোমাদের সাহস যোগায়, তবে তোমাদের প্রতি একটা কথা, তোমরাই প্রথম না। তোমাদের আগেও তোমাদের চেয়ে অনেক বড় জালেম আল্লাহ্*র বিরুদ্ধে যুদ্ধে নেমেছিলো, আর আল্লাহ্* তাদের সমূলে ধ্বংস করেছেন। নিশ্চয়ই সমস্ত প্রশংসা শুধুই আল্লাহ্*র! কেন তোমরা কি ফিরাউনের ইতিহাস ভুলে গেলে! তোমরা মনে হয় বদর ভুলে গেছো, উহুদ ভুলে গেছো, খন্দক ভুলে গেছো, হুনায়েন ভুলে গেছো, তাবুক ভুলে গেছো, ইয়ারমুক ভুলে গেছো, কাদেসিয়া ভুলে গেছো, আফগানিস্তান ভুলে গেছো, ইরাক ভুলে গেছো! আমরা ভুলের জন্য কোন ক্ষমা দেখাইনা। কারন তোমাদের এই ভুল অহঙ্কারের ভুল! আল্লাহ্*র কসম তোমাদের এই ভুল তোমরা বুঝে যাবে যখন তোমাদের মাথা কে আল্লাহ্*র সৈন্যরা শরীর থেকে আলদা করে ফেলবে, সুতরাং অপেক্ষা করো ..
আমরা বুঝে পাইনা, তোমরা কিভাবে যুদ্ধ করবে যেখানে তোমাদের মাথা থেকে পা পর্যন্ত সবটুকুই নিরাপত্তার এর নামে ঢেকে রাখো! তোমাদের এত নিরাপত্তা কেন লাগে জানো! কারন তোমাদের মরতে বড় ভয়! আর তোমাদের মরতে এত ভয় কেন জানো? কারন তোমরা আল্লাহ্*র বিরুধে যুদ্ধে নেমে গেছো! তোমাদের মধ্যে তো এখনো এমন কিছু অবশিষ্ট আছে যারা, ঘাস খায়না, গোয়াল ঘরেও থাকেনা, তারা চিন্তা করে দেখেনা কেন? কেন আল্লাহ্*র সৈন্যরা কোন নিরাপত্তা ছাড়াই সামনে চলে আসে আর কেন আমরা কোন রকমে শুধু চোখ টা বের করে রাখি! এত নিরাপত্তার যদি দরকার হবে তবে যুদ্ধে এসেছো কেন?
হে আমার ভাইয়েরা,
সুতরাং আল্লাহ্*র শত্রুদের বিরুদ্ধে নিজেকে ধার দিন, প্রস্তুত করুন সেই মুহূর্তটির জন্য। হে আমার ভাইয়েরা, আমাদের জন্য সুসংবাদ! আজ আমাদের শত্রুরা, মদ, মেয়ে আমোদ ফুর্তি নিয়ে মেতে উঠেছে! আজ আমাদের শত্রুদের রক্তে মদের পরিমানই বেশি, আজ আমাদের শত্রুরা বেশ্যাদের কাছে নিজেদের সঁপে দিয়েছে, বেশ্যা রা পর্যন্ত বলে, আমি তাকে যেমন ইচ্ছা তেমন নাচাতে পারি!
হে আমার ভাইয়েরা,
আপনাদের আরো সুসংবাদ দেই.. আজ তাদের ট্রেনিং গ্রাউন্ডে বেশ্যারা ঘুরে বেড়ায়, গান গায়, নাচে.. আজ তারা প্রখর রোদের মধ্যে দাঁড়িয়ে থাকা কিংবা কঠিন ঠান্ডার মধ্যে জেগে থাকার চেয়ে বেশ্যার শাড়ির আচলকেই বেশি পছন্দ করে! আর এটা যুদ্ধ জন্মের ইতিহাস থেকে সত্য, যখন তোমার শত্রু মদ আর মেয়ে নিয়ে ব্যাস্ত হয়ে পড়বে তখন তার অস্ত্রের ধার কমে যাবে, আর তার হাত অস্ত্র ধরে রাখতে পারবেনা কারন সে হাত বড় জোর মদের গ্লাস কিংবা রেশমী রুমাল ধরে রাখতে পারে।
সুতরাং এখনই কি সময় নয়!
হে আল্লাহ্* আপনি আমাদের কে মাফ করে দেন, কারন আপনি একমাত্র মাফ করে দেয়ার মালিক! হে আল্লাহ্* আপনি আমাদের অন্তর গুলো কে ঈমান দ্বারা মজবুত করে দেন। হে আল্লাহ্* আপনি আমাদের কে পবিত্র করে দেন। হে আল্লাহ্* আপনি আমাদের কদম গুলো কে মজবুত করে দেন, হে আল্লাহ্* আপনি আমাদের বাহু গুলো শক্তিশালী করে দেন, হে আল্লাহ্* আপনি আমাদের চোখে শত্রুর বিরুদ্ধে আগুন জ্বালিয়ে দেন, হে আল্লাহ্* আপনার শত্রুদের বিরুদ্ধে আপনি আমাদের এতটা কঠোর বানিয়ে দেন যা দেখে তাদের অন্তরে ভীতি তৈরি হয়! হে আল্লাহ্* আপনার শত্রুদের বিরুদ্ধে আপনি আমাদের রক্ত কে কবুল করেন, আমাদের হাত পা গুলোকে কবুল করেন, আমাদের এফোঁড় ওফোঁড় কলিজাকে কবুল করেন, ঝাঁঝরা হয়ে যাওয়া শরীর কে কবুল করেন। হে আল্লাহ্* আপনি আমাদের প্রতি ফোটা রক্ত আপনার শত্রুদের বিরুদ্ধে কবুল করে নেন। হে আল্লাহ্* আপনার কাছে সাহায্য চাই এই ব্যাপারে যে, আপনার শত্রুরা আমাদের কাছে থেকে কোন নমনীয়তা না দেখতে পায়। হে আল্লাহ্*, পরিশেষে আপনি আমাদের কে সাহায্য করেন, আমাদের কে মাফ করেন আমাদের কে পরিশুদ্ধ করেন আর আমাদের কে আপনার সন্তুষ্টির জন্য কবুল করেন। হে আল্লাহ্* আমরা আপনার গুনাহগার দাস, আর আপনি আমাদের অসীম দয়ালু মালিক। আমরা আপনার প্রতি ঈমান আনলাম, ঈমান আনলাম আপনার রাসুলের প্রতি, আমরা আপনার কাছেই নিজেদের কে সমর্পন করলাম! নিশ্চয়ই আপনিই সর্ব উত্তম কর্মবিধায়ক, আর আপনার কাছেই আমাদের প্রত্যাবর্তন।
অতঃপর, হে উম্মতের যুবক ভাইয়ের জেগে উঠুন। আর কত! সময় অনেক পার হয়েই গেলো, রক্ত অনেক ঝরলো, সম্ভ্রম হারালো অনেক মা বোন, আর কত!
দাগ গুলো পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে! ঈমান এবং কুফর আলাদা হয়েই যাচ্ছে! পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে দুইটি দল, হিজব আর রাহমান, হিজব আশ শাইতান।
যুদ্ধের দামামা তো বেজেছে অনেক আগেই, আর যুদ্ধের ঘোড়া গুলো ময়দানে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে কিন্তু ঘোড়সওয়ার কই? রক্ত কি ঠান্ডা হয়ে গেলো? রক্ত কি তবে ঠান্ডাই হয়ে গেল? আবারো বলি, রক্ত কি তবে ঠান্ডা হয়েই গেলো? তাহলে রাসুল (সাঃ) এর পবিত্র রক্তের সাথে, হামযা (রাঃ) এর পবিত্র শাহাদাতের সাথে আর লক্ষ লক্ষ শুহাদাদের পবিত্র রক্তের সাথে গাদ্দারী করাকেই বেছে নিলাম! সাবধান, শহীদের রক্তের সাথে যেন গাদ্দারী না হয়ে যায়! সিনা ফুলিয়ে উঠে দাড়াও, জামার আস্তিন গুটাও, হাতের তালু চিরে তরবারির ধার দেখে নাও, লাল ব্যান্ডানা কপালে বেধে নাও, আর আবু দুজানার মত উঠে দাড়াও! সামনে বাড়ো, আঘাত হানো, দুবার আঘাত হানার সময় কই! মরন আঘাত হানো, একবার.. এক জনের জন্য শুধুই একবার.. স্রেফ দুই টুকরা করে ফেলো... স্রেফ দুই টুকরা, তার সন্তান যেন তার লাশ নিতে ভয় পায়! স্রেফ দুই টুকরা ফেলো .. তার স্ত্রী যেন তার লাশের দিকে তাকাতে ভয় পায়! স্রেফ দুই টুকরা করে ফেলো .. তার সাথের কুকুর গুলো যেন লাশের দিকে তাকাতে ভয় পায়!
তারা মরতে ভয় পায়! তারা লোহা দিকে ঢাকে চামড়ার দেহ, তারা কচ্ছপের মত খোলের মধ্যে মাথা লুকিয়ে রাখে... আজ যদি যুদ্ধ না হতো তবে তাদের করুনা করা যেত... কিন্তু আজ করুনার সময় না। লোহা নাজিল করেছেন কে? লোহার মধ্যে প্রচুর শক্তি লুকিয়ে রেখেছেন কে? সেই লোহা দিয়ে আঘাত হানো তাদের বর্মের উপর, তাদের জোড়ায় আঘাত হানো, কেটে ফেলো, ছিঁড়ে ফেলো, ছিন্ন ভিন্ন করে ফেলো .. দ্বিধা করোনা। কারন তারা আল্লাহ্*র বিরুদ্ধেই যুদ্ধ ঘোষণা করে ফেলেছে। তুমি তাদের হত্যা করবেনা, বরং আল্লাহই তাদের কে হত্যা করবেন। আল্লাহ্* তোমাদের হাত দিয়েই তাদের কে শাস্তি দিবেন। সুতরাং আঘাত হানো তাদের বর্মের উপর.. তাদের কলিজা যেন এফোঁড় ওফোঁড় হয়ে যায়, তাদের নাড়ীভুঁড়ি যেন রাস্তায় গড়াগড়ি খায় আর তাদের হাত পা যেন ঝড়ে ভেঙ্গে যাওয়া গাছের ডালের মত পড়ে থাকে! আর জাহান্নামে রয়েছে তাদের জন্য আরো কঠিন শাস্তি!
তোমার সামনে শাহাদাতের পেয়ালা, কেউ না কেউ তো তা পান করবেই! তুমি কি পেছনে পড়ে থাকবে! তোমার সামনে হুর আল আইনের হাত ছানি, কেউ না কেউ তো তার সান্নিধ্য পাবেই! তুমি কি পেছনে পড়ে থাকবে! তোমার সামনে তোমার রবের সন্তুষ্টি, কেউ না কেউ তো তা অর্জন করবেই, তুমি কি পেছনে পড়ে থাকবে! .. তুমি হবে বড় হতভাগা যদি এসব তোমার হাতছাড়া হয়ে যায়!
তোমার বাহাদুরি কোথায়? কোথায় গেলো তোমার গরম রক্তের ছলকানি! তুমি ঐ আল্লাহ্*র দুশমনদের দম্ভ ভরা কথা শুনতে পাওনা, তুমি কি তাহলে আল্লাহ্*র দুশমনের চ্যালেঞ্জ কে ভয় পেয়ে গেলে! আল্লাহ্* হবেন তোমার সহায়! কদম উঠাও .. হয় মারো নয় তো মরো, এমনটাই আল্লাহ্* বলেছেন ..
আর বাকি সময় টুকুতে প্রস্তুতি নাও, চিন্তা করো, কিভাবে তাকে হত্যা করবে, টুকরা করে ফেলবে, ছিন্ন ভিন্ন করে ফেলবে.. তোমার চোখে তোমার শত্রু যেন আগুন ছাড়া অন্য কিছু না দেখে।
অতঃপর, ওহে আল্লাহ্*র দুশমনেরা..
শুনে নাও, আমরা প্রস্তত হচ্ছি, দেখা খুব শীঘ্রই ইনশাআল্লাহ্*। শেষ ইচ্ছা গুলো পূরণ করে নাও, সন্তানের দিকে শেষ বার তাকিয়ে নাও, নিজের বিছানায় শেষ বার ঘুমিয়ে নাও! আল্লাহ্*র ইচ্ছায় খুব শীঘ্রই দেখা হবে ইনশাআল্লাহ্*! তোমাদের বাহাদুরি তোমাদের পুলকিত করে, তোমাদের শক্তি তোমাদের সাহস যোগায়, তবে তোমাদের প্রতি একটা কথা, তোমরাই প্রথম না। তোমাদের আগেও তোমাদের চেয়ে অনেক বড় জালেম আল্লাহ্*র বিরুদ্ধে যুদ্ধে নেমেছিলো, আর আল্লাহ্* তাদের সমূলে ধ্বংস করেছেন। নিশ্চয়ই সমস্ত প্রশংসা শুধুই আল্লাহ্*র! কেন তোমরা কি ফিরাউনের ইতিহাস ভুলে গেলে! তোমরা মনে হয় বদর ভুলে গেছো, উহুদ ভুলে গেছো, খন্দক ভুলে গেছো, হুনায়েন ভুলে গেছো, তাবুক ভুলে গেছো, ইয়ারমুক ভুলে গেছো, কাদেসিয়া ভুলে গেছো, আফগানিস্তান ভুলে গেছো, ইরাক ভুলে গেছো! আমরা ভুলের জন্য কোন ক্ষমা দেখাইনা। কারন তোমাদের এই ভুল অহঙ্কারের ভুল! আল্লাহ্*র কসম তোমাদের এই ভুল তোমরা বুঝে যাবে যখন তোমাদের মাথা কে আল্লাহ্*র সৈন্যরা শরীর থেকে আলদা করে ফেলবে, সুতরাং অপেক্ষা করো ..
আমরা বুঝে পাইনা, তোমরা কিভাবে যুদ্ধ করবে যেখানে তোমাদের মাথা থেকে পা পর্যন্ত সবটুকুই নিরাপত্তার এর নামে ঢেকে রাখো! তোমাদের এত নিরাপত্তা কেন লাগে জানো! কারন তোমাদের মরতে বড় ভয়! আর তোমাদের মরতে এত ভয় কেন জানো? কারন তোমরা আল্লাহ্*র বিরুধে যুদ্ধে নেমে গেছো! তোমাদের মধ্যে তো এখনো এমন কিছু অবশিষ্ট আছে যারা, ঘাস খায়না, গোয়াল ঘরেও থাকেনা, তারা চিন্তা করে দেখেনা কেন? কেন আল্লাহ্*র সৈন্যরা কোন নিরাপত্তা ছাড়াই সামনে চলে আসে আর কেন আমরা কোন রকমে শুধু চোখ টা বের করে রাখি! এত নিরাপত্তার যদি দরকার হবে তবে যুদ্ধে এসেছো কেন?
হে আমার ভাইয়েরা,
সুতরাং আল্লাহ্*র শত্রুদের বিরুদ্ধে নিজেকে ধার দিন, প্রস্তুত করুন সেই মুহূর্তটির জন্য। হে আমার ভাইয়েরা, আমাদের জন্য সুসংবাদ! আজ আমাদের শত্রুরা, মদ, মেয়ে আমোদ ফুর্তি নিয়ে মেতে উঠেছে! আজ আমাদের শত্রুদের রক্তে মদের পরিমানই বেশি, আজ আমাদের শত্রুরা বেশ্যাদের কাছে নিজেদের সঁপে দিয়েছে, বেশ্যা রা পর্যন্ত বলে, আমি তাকে যেমন ইচ্ছা তেমন নাচাতে পারি!
হে আমার ভাইয়েরা,
আপনাদের আরো সুসংবাদ দেই.. আজ তাদের ট্রেনিং গ্রাউন্ডে বেশ্যারা ঘুরে বেড়ায়, গান গায়, নাচে.. আজ তারা প্রখর রোদের মধ্যে দাঁড়িয়ে থাকা কিংবা কঠিন ঠান্ডার মধ্যে জেগে থাকার চেয়ে বেশ্যার শাড়ির আচলকেই বেশি পছন্দ করে! আর এটা যুদ্ধ জন্মের ইতিহাস থেকে সত্য, যখন তোমার শত্রু মদ আর মেয়ে নিয়ে ব্যাস্ত হয়ে পড়বে তখন তার অস্ত্রের ধার কমে যাবে, আর তার হাত অস্ত্র ধরে রাখতে পারবেনা কারন সে হাত বড় জোর মদের গ্লাস কিংবা রেশমী রুমাল ধরে রাখতে পারে।
সুতরাং এখনই কি সময় নয়!
হে আল্লাহ্* আপনি আমাদের কে মাফ করে দেন, কারন আপনি একমাত্র মাফ করে দেয়ার মালিক! হে আল্লাহ্* আপনি আমাদের অন্তর গুলো কে ঈমান দ্বারা মজবুত করে দেন। হে আল্লাহ্* আপনি আমাদের কে পবিত্র করে দেন। হে আল্লাহ্* আপনি আমাদের কদম গুলো কে মজবুত করে দেন, হে আল্লাহ্* আপনি আমাদের বাহু গুলো শক্তিশালী করে দেন, হে আল্লাহ্* আপনি আমাদের চোখে শত্রুর বিরুদ্ধে আগুন জ্বালিয়ে দেন, হে আল্লাহ্* আপনার শত্রুদের বিরুদ্ধে আপনি আমাদের এতটা কঠোর বানিয়ে দেন যা দেখে তাদের অন্তরে ভীতি তৈরি হয়! হে আল্লাহ্* আপনার শত্রুদের বিরুদ্ধে আপনি আমাদের রক্ত কে কবুল করেন, আমাদের হাত পা গুলোকে কবুল করেন, আমাদের এফোঁড় ওফোঁড় কলিজাকে কবুল করেন, ঝাঁঝরা হয়ে যাওয়া শরীর কে কবুল করেন। হে আল্লাহ্* আপনি আমাদের প্রতি ফোটা রক্ত আপনার শত্রুদের বিরুদ্ধে কবুল করে নেন। হে আল্লাহ্* আপনার কাছে সাহায্য চাই এই ব্যাপারে যে, আপনার শত্রুরা আমাদের কাছে থেকে কোন নমনীয়তা না দেখতে পায়। হে আল্লাহ্*, পরিশেষে আপনি আমাদের কে সাহায্য করেন, আমাদের কে মাফ করেন আমাদের কে পরিশুদ্ধ করেন আর আমাদের কে আপনার সন্তুষ্টির জন্য কবুল করেন। হে আল্লাহ্* আমরা আপনার গুনাহগার দাস, আর আপনি আমাদের অসীম দয়ালু মালিক। আমরা আপনার প্রতি ঈমান আনলাম, ঈমান আনলাম আপনার রাসুলের প্রতি, আমরা আপনার কাছেই নিজেদের কে সমর্পন করলাম! নিশ্চয়ই আপনিই সর্ব উত্তম কর্মবিধায়ক, আর আপনার কাছেই আমাদের প্রত্যাবর্তন।
Comment