সকল প্রশংসা আল্লাহর জন্য যিনি আমাকে অন্ধকার থেকে আলোতে নিয়ে এসেছেন। আজকে আমি আমার ভাইদের সাথে শেয়ার করতে চাই যে কিভাবে তাবলিগ থেকে জিহাদে আসলাম এবং সেই সময়কার অনুভূতিগুলো কেমন ছিল।
আলহামদুলিল্লাহ কয়েক বছর আগে নিজের জাহিলি জীবন নিয়ে খুবই হতাশ হয়ে পড়েছিলাম। একদিন ভাবলাম নাহ আর না, এবার ভালো হব। তো জাহেলি সময়ে হাল আমলের ছেলেদের ট্রেন্ড থাকে বিকালে বাঁধা কিছু দোকানে বসে চা খাওয়া, ধুঁয়া ছাড়া আর ফাহেসা গল্পে ডুবে থাকা। তো যখন বিকাল বেলায় ঐখানে আড্ডায় মজে থাকতাম তখন তাবলিগের এক ভাই এসে মাঝে মাঝে গল্প করতেন। যদিও আমি উনাকে অনেক আগে থেকেই চিনতাম তবুও উনার কাছ হতে পালিয়ে পালিয়ে থাকতাম। তো যাই হোক এইবার উনার সাথে এস্তেমায় গেলাম। তারপর ধরে বান্ধে চিল্লায় পাঠায় দিল।
আলহামদুলিল্লাহ এরপর চিল্লা থেকে এসে খারাপ সঙ্গ থেকে দূরে থাকা শুরু করলাম, আগের মত আর চায়ের দোকানেও যাওয়া হয় না। সময়ের ব্যবধানে আমিও বলতে লাগলাম আমরা আসমানের উপরের আর জমিনের নিচের কথা ছাড়া অন্য কথা বলি না, নির্যাতিত মুসলমানদের চেয়ে জালেম কাফেরদের প্রতি দরদ যেন বৃদ্ধিই পেতে থাকলো, জিহাদের কথা বলাতে একভাইয়ের সাথে ঘন্টার পর ঘন্টা বাহাস চলতে লাগলো, আরও যোগ হল জামাতকে তুলা ধুনা করা, আহলে হাদিসদের কচু কাটা করা ( আমি তাবলিগের আগে আহলে হাদিস মাজহাবের অনুসারি ছিলাম) । এইভাবেই দিন চলতে থাকলো, পড়তে থাকলাম সুফি বিভিন্ন হাই থট কিতাব।
এর মাঝেই ঘটে গেল এক অভাবনীয় ঘটনা। আমার দেশের বাড়ির এক বড় ভাই দেখি গাযওয়া ই হিন্দ নামক এক ফেসবুক পেজ তার ওয়ালে শেয়ার করলেন। তো সেই পেজের মার দাঙ্গা কভার পিক, প্রোফাইল পিক দেখেই আমার মাথা নষ্ট অবস্থা। ওরে বাপরে জঙ্গি !! পেজ হা হা হা । :d
তো যাই হোক আল্লাহর দয়া ছিল তাই ভাবলাম আচ্ছা বিরোধিতা না করে দেখি না পড়ে, তারা কি বলে। সত্য হলে গ্রহন করবো আর যেটা ভুল মনে হবে তা প্রত্যাখ্যান করবো। এইভাবে বিভিন্ন পোস্ট পড়তে লাগলাম, এছাড়া সালাহ উদ্দিনের ঘোড়া পেজে পেলাম, আরও পেলাম সিরাতুল মুস্তাকিম, আরও পেলাম হানিন ইলদারম ভাই, আবু মুয়াজ ভাই, দাউদ ইবরাহিম ভাই, সহ অনেক জিহাদের পক্ষে লেখক ভাই। আর শুনতে থাকলাম শায়খ জসীম উদ্দিন রহমানি (হাফিঃ), উস্তাদ আবু ইয়াহিয়া (হাফিঃ), শায়খন তামিম আল আদনানি (হাফিঃ), শায়খ আবু ইমরান (হাফিঃ) এর লেকচারগুলো ।
তো সময়ের ব্যবধানে মাগরিবের কথার পরে তাশকিলের সময় জিহাদের হাদিসগুলো এই কথিত তাবলিগে বলতে নিজের কাছেই আন ইজি লাগা শুরু করলো আলহামদুলিল্লাহ। আল্লাহর কসম তাবলিগের মত অপব্যাক্ষা, জানি না আর কোন ফেরকা করে কিনা!! এক তাবলিগি প্রিয় ভাইয়ের সাথে আলোচনা করলাম। তিনি বললেন আগে ৩ চিল্লা দেও সব ঠিক হয়ে যাবে। তার এই কথা এবং বর্তমান সময়ে উম্মাহর চাহিদা দুইটা মিলায় আমি তার কথাকে মনে মনে ডাস্টবিনে ছুড়ে ফেলে দেই। আর তাদের সাথে এক প্রকার মানসিক দুরুত্ত বৃদ্ধি পেতে থাকে। শুরু হয় আড় চোখে দেখা, একটু অন্য লাইনে কথা বলার কারণে বন্ধ হয়ে যায় আসরের পর এবং মাগরিবের পর কথা বলার সুযোগ। কেউ কেউ তো বলেই দিল তুমি মনে হয় জঙ্গি দলেই শেষ পর্যন্ত যোগ দিয়ে দিবে। সবচেয়ে হাস্যকর বিষয় হল এক ব্যক্তি এসে আমাকে খুব গর্বের সাথে বলা শুরু করলো তাকেও অনেক আগে জঙ্গিরা টার্গেট করেছিল কিন্তু সে ওদের কথার জালে পা দেয় নি!!!
কিছু দিন আগেই মসজিদে ছিলাম তাবলিগের কিছু আপকামিং তাবলিগিদের একজন ( আসলে ইরজায় আক্রান্তদের মাঝে একজন) আজ হয়ে গেলাম পণ্ডিত! মুরুব্বিদের কথা মত না চলনে ওয়ালা একজন। তিন দিনে যাওয়া বাদ হয়ে গেল। আসলে তখন এত অপব্যাক্ষা দেখে অন্তর থেকে তাদের প্রতি বিন্দু মাত্র শ্রদ্ধাবধ কাজ করতো না। আর এর ফলে প্রকাশ্যে ফতোয়া আসা শুরু হয়ে গেল “দেখছ পোলাডা মুরুব্বিদের কথা না শুইন্না পথ ভ্রষ্ট হইয়া গেছে গা”...
যাই হোক তারপর আল্লাহ আমার দুয়া কবুল করলেন আর জিহাদের বিধানের এই অপব্যাক্ষাকারী গোমরাহদের চেয়ে অনেক উত্তম সঙ্গি দিয়েছেন, আলহামদুলিল্লাহ। ।
তো আমি আমার সকল ভাইদের কাছে বলতে চাই যারা ফেসবুকে বিভিন্ন জিহাদি পেজ চালান, আপনারা ভাববেন না আপনাদের কাজের কোন ইফেক্ট নেই... আপনাদের কাজের এক অন্য রকম ইফেক্ট আছে আলহামদুলিল্লাহ। খাস করে আমি চিরদিনের জন্য কৃতজ্ঞ থাকবো সালাহউদ্দিনের ঘোড়া পেজের এবং গাযওয়া ই হিন্দ পেজের ভাইদের কাছে। আল্লাহ আপনাদের কবুল করুন। তবে আপনাদের প্রতি কিছুটা অভিযোগও আছে। তা হল আমি প্রথম যখন এই সব জানতে ছিলাম তখন আপনাদেরকে ইনবক্সে জিজ্ঞাস করেছিলাম যে মুজাহিদিনরা অস্ত্র কই থেকে পায় তখন কিন্তু আপনারা আমাকে একটু রাফ ভাবেই উত্তর দিছিলেন, যেটায় মনটা খুবই খারাপ হয়ে গেছিল। তাই ভাই আপনাদের প্রতি অনুরধ থাকলো কেউ যদি কোন প্রশ্ন করে যা আপাত দৃষ্টিতে খুবই সাধারন মনে হয় তবূও নরম ভাষায় উত্তর দিয়েন ইংশা আল্লাহ।
যাই হোক ভাই আপনারা বেশি বেশি জিহাদের সংশয় নিরসনমূলক পোস্ট এবং লেকচার শেয়ার কইরেন ইংশা আল্লাহ।
@জঙ্গির সাথে কথোপকথন: এই পেজের কোন ভাই যদি এই লিখা পড়েন তাহলে চাইলে আপনারা এই লিখা আপনাদের পেজে শেয়ার করতে পারেন। তাহলে হয়তোবা তাবলিগ ঘেঁষা ভাইয়েরা কিছুটা উৎসাহ পাবে।
সকল প্রশংসা একমাত্র আল্লাহর জন্য। আল্লাহ যাকে সৎপথ দেখান তাকে কেউ পথভ্রষ্ট করতে পারে না। আর আল্লাহ যাকে পথভ্রষ্ট করে দেন তাকে কেউ সৎ পথ দেখাতে পারে না।
আলহামদুলিল্লাহ কয়েক বছর আগে নিজের জাহিলি জীবন নিয়ে খুবই হতাশ হয়ে পড়েছিলাম। একদিন ভাবলাম নাহ আর না, এবার ভালো হব। তো জাহেলি সময়ে হাল আমলের ছেলেদের ট্রেন্ড থাকে বিকালে বাঁধা কিছু দোকানে বসে চা খাওয়া, ধুঁয়া ছাড়া আর ফাহেসা গল্পে ডুবে থাকা। তো যখন বিকাল বেলায় ঐখানে আড্ডায় মজে থাকতাম তখন তাবলিগের এক ভাই এসে মাঝে মাঝে গল্প করতেন। যদিও আমি উনাকে অনেক আগে থেকেই চিনতাম তবুও উনার কাছ হতে পালিয়ে পালিয়ে থাকতাম। তো যাই হোক এইবার উনার সাথে এস্তেমায় গেলাম। তারপর ধরে বান্ধে চিল্লায় পাঠায় দিল।
আলহামদুলিল্লাহ এরপর চিল্লা থেকে এসে খারাপ সঙ্গ থেকে দূরে থাকা শুরু করলাম, আগের মত আর চায়ের দোকানেও যাওয়া হয় না। সময়ের ব্যবধানে আমিও বলতে লাগলাম আমরা আসমানের উপরের আর জমিনের নিচের কথা ছাড়া অন্য কথা বলি না, নির্যাতিত মুসলমানদের চেয়ে জালেম কাফেরদের প্রতি দরদ যেন বৃদ্ধিই পেতে থাকলো, জিহাদের কথা বলাতে একভাইয়ের সাথে ঘন্টার পর ঘন্টা বাহাস চলতে লাগলো, আরও যোগ হল জামাতকে তুলা ধুনা করা, আহলে হাদিসদের কচু কাটা করা ( আমি তাবলিগের আগে আহলে হাদিস মাজহাবের অনুসারি ছিলাম) । এইভাবেই দিন চলতে থাকলো, পড়তে থাকলাম সুফি বিভিন্ন হাই থট কিতাব।
এর মাঝেই ঘটে গেল এক অভাবনীয় ঘটনা। আমার দেশের বাড়ির এক বড় ভাই দেখি গাযওয়া ই হিন্দ নামক এক ফেসবুক পেজ তার ওয়ালে শেয়ার করলেন। তো সেই পেজের মার দাঙ্গা কভার পিক, প্রোফাইল পিক দেখেই আমার মাথা নষ্ট অবস্থা। ওরে বাপরে জঙ্গি !! পেজ হা হা হা । :d
তো যাই হোক আল্লাহর দয়া ছিল তাই ভাবলাম আচ্ছা বিরোধিতা না করে দেখি না পড়ে, তারা কি বলে। সত্য হলে গ্রহন করবো আর যেটা ভুল মনে হবে তা প্রত্যাখ্যান করবো। এইভাবে বিভিন্ন পোস্ট পড়তে লাগলাম, এছাড়া সালাহ উদ্দিনের ঘোড়া পেজে পেলাম, আরও পেলাম সিরাতুল মুস্তাকিম, আরও পেলাম হানিন ইলদারম ভাই, আবু মুয়াজ ভাই, দাউদ ইবরাহিম ভাই, সহ অনেক জিহাদের পক্ষে লেখক ভাই। আর শুনতে থাকলাম শায়খ জসীম উদ্দিন রহমানি (হাফিঃ), উস্তাদ আবু ইয়াহিয়া (হাফিঃ), শায়খন তামিম আল আদনানি (হাফিঃ), শায়খ আবু ইমরান (হাফিঃ) এর লেকচারগুলো ।
তো সময়ের ব্যবধানে মাগরিবের কথার পরে তাশকিলের সময় জিহাদের হাদিসগুলো এই কথিত তাবলিগে বলতে নিজের কাছেই আন ইজি লাগা শুরু করলো আলহামদুলিল্লাহ। আল্লাহর কসম তাবলিগের মত অপব্যাক্ষা, জানি না আর কোন ফেরকা করে কিনা!! এক তাবলিগি প্রিয় ভাইয়ের সাথে আলোচনা করলাম। তিনি বললেন আগে ৩ চিল্লা দেও সব ঠিক হয়ে যাবে। তার এই কথা এবং বর্তমান সময়ে উম্মাহর চাহিদা দুইটা মিলায় আমি তার কথাকে মনে মনে ডাস্টবিনে ছুড়ে ফেলে দেই। আর তাদের সাথে এক প্রকার মানসিক দুরুত্ত বৃদ্ধি পেতে থাকে। শুরু হয় আড় চোখে দেখা, একটু অন্য লাইনে কথা বলার কারণে বন্ধ হয়ে যায় আসরের পর এবং মাগরিবের পর কথা বলার সুযোগ। কেউ কেউ তো বলেই দিল তুমি মনে হয় জঙ্গি দলেই শেষ পর্যন্ত যোগ দিয়ে দিবে। সবচেয়ে হাস্যকর বিষয় হল এক ব্যক্তি এসে আমাকে খুব গর্বের সাথে বলা শুরু করলো তাকেও অনেক আগে জঙ্গিরা টার্গেট করেছিল কিন্তু সে ওদের কথার জালে পা দেয় নি!!!
কিছু দিন আগেই মসজিদে ছিলাম তাবলিগের কিছু আপকামিং তাবলিগিদের একজন ( আসলে ইরজায় আক্রান্তদের মাঝে একজন) আজ হয়ে গেলাম পণ্ডিত! মুরুব্বিদের কথা মত না চলনে ওয়ালা একজন। তিন দিনে যাওয়া বাদ হয়ে গেল। আসলে তখন এত অপব্যাক্ষা দেখে অন্তর থেকে তাদের প্রতি বিন্দু মাত্র শ্রদ্ধাবধ কাজ করতো না। আর এর ফলে প্রকাশ্যে ফতোয়া আসা শুরু হয়ে গেল “দেখছ পোলাডা মুরুব্বিদের কথা না শুইন্না পথ ভ্রষ্ট হইয়া গেছে গা”...
যাই হোক তারপর আল্লাহ আমার দুয়া কবুল করলেন আর জিহাদের বিধানের এই অপব্যাক্ষাকারী গোমরাহদের চেয়ে অনেক উত্তম সঙ্গি দিয়েছেন, আলহামদুলিল্লাহ। ।
তো আমি আমার সকল ভাইদের কাছে বলতে চাই যারা ফেসবুকে বিভিন্ন জিহাদি পেজ চালান, আপনারা ভাববেন না আপনাদের কাজের কোন ইফেক্ট নেই... আপনাদের কাজের এক অন্য রকম ইফেক্ট আছে আলহামদুলিল্লাহ। খাস করে আমি চিরদিনের জন্য কৃতজ্ঞ থাকবো সালাহউদ্দিনের ঘোড়া পেজের এবং গাযওয়া ই হিন্দ পেজের ভাইদের কাছে। আল্লাহ আপনাদের কবুল করুন। তবে আপনাদের প্রতি কিছুটা অভিযোগও আছে। তা হল আমি প্রথম যখন এই সব জানতে ছিলাম তখন আপনাদেরকে ইনবক্সে জিজ্ঞাস করেছিলাম যে মুজাহিদিনরা অস্ত্র কই থেকে পায় তখন কিন্তু আপনারা আমাকে একটু রাফ ভাবেই উত্তর দিছিলেন, যেটায় মনটা খুবই খারাপ হয়ে গেছিল। তাই ভাই আপনাদের প্রতি অনুরধ থাকলো কেউ যদি কোন প্রশ্ন করে যা আপাত দৃষ্টিতে খুবই সাধারন মনে হয় তবূও নরম ভাষায় উত্তর দিয়েন ইংশা আল্লাহ।
যাই হোক ভাই আপনারা বেশি বেশি জিহাদের সংশয় নিরসনমূলক পোস্ট এবং লেকচার শেয়ার কইরেন ইংশা আল্লাহ।
@জঙ্গির সাথে কথোপকথন: এই পেজের কোন ভাই যদি এই লিখা পড়েন তাহলে চাইলে আপনারা এই লিখা আপনাদের পেজে শেয়ার করতে পারেন। তাহলে হয়তোবা তাবলিগ ঘেঁষা ভাইয়েরা কিছুটা উৎসাহ পাবে।
সকল প্রশংসা একমাত্র আল্লাহর জন্য। আল্লাহ যাকে সৎপথ দেখান তাকে কেউ পথভ্রষ্ট করতে পারে না। আর আল্লাহ যাকে পথভ্রষ্ট করে দেন তাকে কেউ সৎ পথ দেখাতে পারে না।
Comment