এরপর অনেকদিন কেটে গেল।
আমি মাদরাসায় ভর্তি হলাম।
সাধারণত ক্বওমী মাদরাসায় যারা পড়ে তাদের মধ্যে জিহাদি চেতনা কিছুটা হলেও জাগ্রত থাকে।
ক্রমান্বয়ে আমার বয়স বাড়তে লাগলো।
ক্লাশের ধাপও এগুতে থাকে।
নিজেদের মধ্যে আফগান জিহাদের কথা আলোচনা হত।
মুজাহিদদের কথা বলে সময় পাড় করতাম।
,
এরি ভিতরে একদিন একলোক এলো।
অনেক জিহাদি বয়ান দিলঃ এবং শেষে চরমোনাই পীরের ছাত্র আন্দোলনের দাওয়াত দিল।
সাত-পাঁচ না ভেবেই আমি তাতে যোগ দিলাম।
এবং এখলাসের সাথেই দীর্ঘ ৪ বছর কাজ করেছি।
আমাদের মাদরাসা শাখার সাধারণ সম্পাদক এবং ঢাকার এক উপজেলার প্রচার সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছি।
এর মাঝে অনেক ঘটনা ঘটেছে।
ছাত্র আন্দোলন এর কেন্দ্রীয় দায়িত্বশীলদের নিকট প্রায়ই জিহাদ নিয়ে প্রশ্ন করতাম।
তাদের উত্তরে সন্তুষ্ট হতে পারতাম।
যেন প্রতিটা উত্তরেই তারা কি এক লুকোচুরি খেলতো।
আমি তাদের বলতাম ভাই আমাদেরতো জিহাদের কথা বলে ছাত্র আন্দোলনের সদস্য করেছে।
তারা বলতো আমরা জিহাদের প্রস্তুতি নিচ্ছি।
তাদের এই উত্তরে সন্তুষ্ট থাকতে পারতাম না।
আমি একটু আগ বাড়িয়ে অনেক কিছু প্রশ্ন করতাম।
একদিন এক কেন্দ্রীয় দায়িত্বশীল বলেই ফেললো আমি নাকি শিবিরের মত আচরণ করছি।
আমি চুপ হয়ে যেতাম।
আমার এসব প্রশ্নের কারণে তারা আমাকে তেমন পছন্দ করতোনা, কিন্তু সংগঠনের জন্য আমার ত্যাগ নিষ্ঠা দেখে তাদের ক্রোধ হজম হয়ে যেত।
আমি এই ছাত্র আন্দোলনের জন্য অনেক সময়, অর্থ, মেধা খরচ করেছি।
একটা উপমা দিলে হয়ত বুঝবেনঃ
আমার হাতে গড়া এক সদস্য এখন ঢাকার গুরুত্বপূর্ণ এক দায়িত্বে আছে।
এবং সে কেন্দ্রীয় অনুষ্ঠানগুলোতে বক্তব্যও দেয়।
কিন্তু আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহ আমাকে সত্যের সন্ধান দিয়েছে।
আমি ছাত্র আন্দোলন করলেও প্রতিটা মূহুর্ত জিহাদ নিয়ে ভাবতাম।
কিভাবে একটি জিহাদি মানহাযের সন্ধান পাবো সেই নিয়ে সারাক্ষণ ফিকির করতাম।
আলহামদুলিল্লাহ আমি জিহাদকে ছোট বেলা থেকেই ভালবাসতাম।
ছোটবেলার আমার হিরু লাদেন তখনও আমার কাছে হিরু হিসেবেই ছিল।
শুধু নামটা পাল্টেছে ওসামাতে।
,
আল্লাহ আমার সামনে আস্তে আস্তে চরমোনাই পীরের মোনাফিকি প্রকাশ করে দিতে লাগলো।
অথচ আমি উনাকে ভালবাসতাম অত্যাধিক।
ছাত্র আন্দোলনের প্রতি আল্লাহ আমার বিতৃষ্ণা বাড়িয়ে দিতে লাগলো।
অথচ এই দলের জন্যই আমি কত অর্থ সময় ব্যায় করেছি।
হুজুরদের কত কথার বরখেলাপ করেছি।
মাদরাসার আইনের বরখেলাফ করেছি।
,
চলবে ইনশাআল্লাহ!
আমি মাদরাসায় ভর্তি হলাম।
সাধারণত ক্বওমী মাদরাসায় যারা পড়ে তাদের মধ্যে জিহাদি চেতনা কিছুটা হলেও জাগ্রত থাকে।
ক্রমান্বয়ে আমার বয়স বাড়তে লাগলো।
ক্লাশের ধাপও এগুতে থাকে।
নিজেদের মধ্যে আফগান জিহাদের কথা আলোচনা হত।
মুজাহিদদের কথা বলে সময় পাড় করতাম।
,
এরি ভিতরে একদিন একলোক এলো।
অনেক জিহাদি বয়ান দিলঃ এবং শেষে চরমোনাই পীরের ছাত্র আন্দোলনের দাওয়াত দিল।
সাত-পাঁচ না ভেবেই আমি তাতে যোগ দিলাম।
এবং এখলাসের সাথেই দীর্ঘ ৪ বছর কাজ করেছি।
আমাদের মাদরাসা শাখার সাধারণ সম্পাদক এবং ঢাকার এক উপজেলার প্রচার সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছি।
এর মাঝে অনেক ঘটনা ঘটেছে।
ছাত্র আন্দোলন এর কেন্দ্রীয় দায়িত্বশীলদের নিকট প্রায়ই জিহাদ নিয়ে প্রশ্ন করতাম।
তাদের উত্তরে সন্তুষ্ট হতে পারতাম।
যেন প্রতিটা উত্তরেই তারা কি এক লুকোচুরি খেলতো।
আমি তাদের বলতাম ভাই আমাদেরতো জিহাদের কথা বলে ছাত্র আন্দোলনের সদস্য করেছে।
তারা বলতো আমরা জিহাদের প্রস্তুতি নিচ্ছি।
তাদের এই উত্তরে সন্তুষ্ট থাকতে পারতাম না।
আমি একটু আগ বাড়িয়ে অনেক কিছু প্রশ্ন করতাম।
একদিন এক কেন্দ্রীয় দায়িত্বশীল বলেই ফেললো আমি নাকি শিবিরের মত আচরণ করছি।
আমি চুপ হয়ে যেতাম।
আমার এসব প্রশ্নের কারণে তারা আমাকে তেমন পছন্দ করতোনা, কিন্তু সংগঠনের জন্য আমার ত্যাগ নিষ্ঠা দেখে তাদের ক্রোধ হজম হয়ে যেত।
আমি এই ছাত্র আন্দোলনের জন্য অনেক সময়, অর্থ, মেধা খরচ করেছি।
একটা উপমা দিলে হয়ত বুঝবেনঃ
আমার হাতে গড়া এক সদস্য এখন ঢাকার গুরুত্বপূর্ণ এক দায়িত্বে আছে।
এবং সে কেন্দ্রীয় অনুষ্ঠানগুলোতে বক্তব্যও দেয়।
কিন্তু আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহ আমাকে সত্যের সন্ধান দিয়েছে।
আমি ছাত্র আন্দোলন করলেও প্রতিটা মূহুর্ত জিহাদ নিয়ে ভাবতাম।
কিভাবে একটি জিহাদি মানহাযের সন্ধান পাবো সেই নিয়ে সারাক্ষণ ফিকির করতাম।
আলহামদুলিল্লাহ আমি জিহাদকে ছোট বেলা থেকেই ভালবাসতাম।
ছোটবেলার আমার হিরু লাদেন তখনও আমার কাছে হিরু হিসেবেই ছিল।
শুধু নামটা পাল্টেছে ওসামাতে।
,
আল্লাহ আমার সামনে আস্তে আস্তে চরমোনাই পীরের মোনাফিকি প্রকাশ করে দিতে লাগলো।
অথচ আমি উনাকে ভালবাসতাম অত্যাধিক।
ছাত্র আন্দোলনের প্রতি আল্লাহ আমার বিতৃষ্ণা বাড়িয়ে দিতে লাগলো।
অথচ এই দলের জন্যই আমি কত অর্থ সময় ব্যায় করেছি।
হুজুরদের কত কথার বরখেলাপ করেছি।
মাদরাসার আইনের বরখেলাফ করেছি।
,
চলবে ইনশাআল্লাহ!
Comment