(আমি এই লেখাটিতেই চাচ্ছি চরমোনাইর বিষয়টা অতি সংক্ষেপে শেষ করার জন্য।
,
আর না হয় লেখাটা পথেই অনেক বড় হয়ে যাবে।)
,
তো আল্লাহ তায়ালার অশেষ মেহেরবানিতে চরমোনাইর মোনাফিকির আসল রূপ আমার কাছে উম্মোচিত হতে লাগলো।
,
লিখনিতে একবার চরমোনাইর পীরের একটা সাক্ষাতকার ছাপা হয়ে ছিলঃ যেখানে তাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল আপনারা শেষ কোন পদ্ধতিতে ইসলামী হুকুমত কায়েম করতে চান?
তিনি সেখানে পরিস্কার উত্তর দিয়েছে আমরা প্রচলিত গনতন্ত্রের মাধ্যমেই ইসলামী হুকুমতের স্বপ্ন দেখি।
এটা পড়ে আমার মাথায় যেন বায পড়লো অথচ এই উনার মুখ থেকে কত গনতন্ত্র বিরুধীদের বয়ান শুনছি।
আমাদের সংগঠনের কেন্দ্রীয় ভাইরাও অহর্নিশ গনতন্ত্রের বিরুদ্ধে বয়ান করে।
আমি এই বিষয় নিয়ে কেন্দ্রীয় দায়িত্বশীলদের বলেছি ভাই হুজুরের এই কথাতো আমাদের লক্ষ ও পথচলা বইয়ের সম্পূর্ণ বীপরিত!
তারা এই বিষয় নিয়ে আমার সাথে কথা বলতে রাজি হয়নি।
শুধু কয়েকজন বলেছে তুমি এখন আমিরের ভুলও ধরছো??
এই নিয়ে তাদের সাথে অনেক তর্ক বিতর্ক হয়েছে।
শেষে আমাকে তারা মিডিয়ার একটা গোঁজামিল দিয়ে বুঝ দেওয়ার চেষ্টা করেছে।
,
এই বিষয়ের অনেকদিন পর ছাত্র আন্দোলনের এক সমাবেশে তালেবানদের এক হামলাকে সন্ত্রাসী হামলা বলে আখ্যায়িত করে।
সেই কথা নিয়ে ওদের বললে বলে আপনি তালেবান করেন নাকি ছাত্র আন্দোলন করেন?
আমি বলেছিলাম আমি ছাত্র আন্দোলন করলেও তালেবানদেরই বেশি ভালবাসি।
এই নিয়েও তাদের সাথে আমার অনেক মনঃক্ষুণ্ণ হয়।
এরকম আরো অনেক বিষয় নিয়ে ছাত্র আন্দোলনের প্রতি আমি অনেকটা আগ্রহ হারিয়ে ফেলি।
মন সব সময় অস্থির থাকতো কখন আমার কাঙ্খিত বস্তুর সন্ধান মিলবে।
আমি ছাত্র আন্দোলনের সব দায়িত্ব ছেড়ে দিলাম।
কারণ স্বরূপ স্পষ্ট উল্লেখ করেছিলাম আমি ছাত্র আন্দোলন কে হক্বের উপর পাইনি।
,
সেই সাথে আমি মাদরাসাও পরিবর্তন করলাম।
,
আমি আগে থেকেই নেট চালাতাম।
ফেসবুকে ছাত্র আন্দোলন নিয়া লেখতাম।
সেই সুবাদে কিভাবে যেন dawahilallah.woardpress এর সন্ধান পাই।
সেখান থেকে আমি বিভিন্ন বই এবং বয়ান নামিয়ে শুনতাম।
গনতন্ত্র, দাজ্জাল, তাওবা, তাকফির, বিশেষত আমাদের আমীর আসেম ওমর হাফিঃ এর সব বই ই বাংলাবাজার থেকে কিনে নিয়ে নিজ থেকেই পড়তাম।
তখনও আমার কিছুটা ছাত্র আন্দোলনের সাথে যোগাযোগ ছিল।
সেই সুবাদে একটি ঘরোয়া প্রোগ্রামের দাওয়াত পাই।
যেখানে প্রধান অতিথি ছিল ফয়জুল করিম সাব।
সেখানে তিনি জিহাদ এবং মুজাহিদদের নিয়ে অনেক
ব্যাঙ্গাত্বক বক্তব্য দেয়।
আহমক নির্বোদ বলে গালি দেয়।
ত্বাগুতের হাতে বন্দী মুজাহিদ আলেমদের নিয়ে উপহাস করে।
এবং গনতন্ত্র বইয়ের প্রতি ইঙ্গিত করে বলে একটা বই লেখে যাকে জাতী চেনেনা জানেনা তার লেখা কিভাবে গ্রহনযোগ্য হয়??
আসেম ওমর সহ মুজাহিদ আলেমদের ইলমহীন বলে।
তাদের বীপরিতে তাকী উসমানী সাব কে মুজতাহিদ আলেম হিসেবে উল্লেখ করে বলে যেখানে তাকি উসমানী সাব গনতন্ত্র করে সেখানে এই অর্বাচীন কারা গনতন্ত্রের বিরুদ্ধে বই লেখে।
ইত্যাদি আরো জঘন্য সম্বোধন করেছে মুজাহিদ আলেমদের প্রতি।
,
আমি ফয়জুল করীম সাবকে খুব ভালবাসতাম।
আল্লাহর শপথ আমি উনাকে আল্লাহর জন্যই ভালবাসতাম।
কিন্তু এরপর থেকে আমি উনাকে আল্লাহর জন্যই ঘৃণা করি।
আমার মেজাযটা আলহামদুলিল্লাহ অনেক আগে থেকেই জিহাদের প্রতি ঝোকা ছিল।
তাই জিহাদ এবং মুজাহিদদের নিয়ে যত বড় আলেমই কটুক্তি করুক আমি তা সহ্য করতে পারতাম না।
এমনকি মেশকাতের দরসে আমাদের মেশকাত ছানী হুজুরের সাথে আক্রমণাত্মক জিহাদ নিয়ে অনেক তর্ক করেছি।
,
অইদিনের পর থেকে আমি পুরো চরমোনাইকেই ঘৃণা করি।
,
এখন দিনে দিনে দেখছি চরমোনাইকে তাদের সেই বক্তব্যের উপর আরো অটল হচ্ছে।
,
এখনতো বলে বর্তমানে অস্রের জিহাদ অসম্ভব।
আমেরিকাকে প্রতিহত করার ক্ষমতা আমাদের নেই।
তাই বর্তমানের জিহাদ হলো নির্বাচন।
,
আল্লাহ তাদের হেদায়েত করুক।
,
চরমোনাইকে নিয়ে আরো অনেক কিছু লেখার ছিল।
কিন্তু বিভিন্নদিক চিন্তা করে লেখছিনা।
,
চলবে ইনশাআল্লাহ,,,,,,,,
,
আর না হয় লেখাটা পথেই অনেক বড় হয়ে যাবে।)
,
তো আল্লাহ তায়ালার অশেষ মেহেরবানিতে চরমোনাইর মোনাফিকির আসল রূপ আমার কাছে উম্মোচিত হতে লাগলো।
,
লিখনিতে একবার চরমোনাইর পীরের একটা সাক্ষাতকার ছাপা হয়ে ছিলঃ যেখানে তাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল আপনারা শেষ কোন পদ্ধতিতে ইসলামী হুকুমত কায়েম করতে চান?
তিনি সেখানে পরিস্কার উত্তর দিয়েছে আমরা প্রচলিত গনতন্ত্রের মাধ্যমেই ইসলামী হুকুমতের স্বপ্ন দেখি।
এটা পড়ে আমার মাথায় যেন বায পড়লো অথচ এই উনার মুখ থেকে কত গনতন্ত্র বিরুধীদের বয়ান শুনছি।
আমাদের সংগঠনের কেন্দ্রীয় ভাইরাও অহর্নিশ গনতন্ত্রের বিরুদ্ধে বয়ান করে।
আমি এই বিষয় নিয়ে কেন্দ্রীয় দায়িত্বশীলদের বলেছি ভাই হুজুরের এই কথাতো আমাদের লক্ষ ও পথচলা বইয়ের সম্পূর্ণ বীপরিত!
তারা এই বিষয় নিয়ে আমার সাথে কথা বলতে রাজি হয়নি।
শুধু কয়েকজন বলেছে তুমি এখন আমিরের ভুলও ধরছো??
এই নিয়ে তাদের সাথে অনেক তর্ক বিতর্ক হয়েছে।
শেষে আমাকে তারা মিডিয়ার একটা গোঁজামিল দিয়ে বুঝ দেওয়ার চেষ্টা করেছে।
,
এই বিষয়ের অনেকদিন পর ছাত্র আন্দোলনের এক সমাবেশে তালেবানদের এক হামলাকে সন্ত্রাসী হামলা বলে আখ্যায়িত করে।
সেই কথা নিয়ে ওদের বললে বলে আপনি তালেবান করেন নাকি ছাত্র আন্দোলন করেন?
আমি বলেছিলাম আমি ছাত্র আন্দোলন করলেও তালেবানদেরই বেশি ভালবাসি।
এই নিয়েও তাদের সাথে আমার অনেক মনঃক্ষুণ্ণ হয়।
এরকম আরো অনেক বিষয় নিয়ে ছাত্র আন্দোলনের প্রতি আমি অনেকটা আগ্রহ হারিয়ে ফেলি।
মন সব সময় অস্থির থাকতো কখন আমার কাঙ্খিত বস্তুর সন্ধান মিলবে।
আমি ছাত্র আন্দোলনের সব দায়িত্ব ছেড়ে দিলাম।
কারণ স্বরূপ স্পষ্ট উল্লেখ করেছিলাম আমি ছাত্র আন্দোলন কে হক্বের উপর পাইনি।
,
সেই সাথে আমি মাদরাসাও পরিবর্তন করলাম।
,
আমি আগে থেকেই নেট চালাতাম।
ফেসবুকে ছাত্র আন্দোলন নিয়া লেখতাম।
সেই সুবাদে কিভাবে যেন dawahilallah.woardpress এর সন্ধান পাই।
সেখান থেকে আমি বিভিন্ন বই এবং বয়ান নামিয়ে শুনতাম।
গনতন্ত্র, দাজ্জাল, তাওবা, তাকফির, বিশেষত আমাদের আমীর আসেম ওমর হাফিঃ এর সব বই ই বাংলাবাজার থেকে কিনে নিয়ে নিজ থেকেই পড়তাম।
তখনও আমার কিছুটা ছাত্র আন্দোলনের সাথে যোগাযোগ ছিল।
সেই সুবাদে একটি ঘরোয়া প্রোগ্রামের দাওয়াত পাই।
যেখানে প্রধান অতিথি ছিল ফয়জুল করিম সাব।
সেখানে তিনি জিহাদ এবং মুজাহিদদের নিয়ে অনেক
ব্যাঙ্গাত্বক বক্তব্য দেয়।
আহমক নির্বোদ বলে গালি দেয়।
ত্বাগুতের হাতে বন্দী মুজাহিদ আলেমদের নিয়ে উপহাস করে।
এবং গনতন্ত্র বইয়ের প্রতি ইঙ্গিত করে বলে একটা বই লেখে যাকে জাতী চেনেনা জানেনা তার লেখা কিভাবে গ্রহনযোগ্য হয়??
আসেম ওমর সহ মুজাহিদ আলেমদের ইলমহীন বলে।
তাদের বীপরিতে তাকী উসমানী সাব কে মুজতাহিদ আলেম হিসেবে উল্লেখ করে বলে যেখানে তাকি উসমানী সাব গনতন্ত্র করে সেখানে এই অর্বাচীন কারা গনতন্ত্রের বিরুদ্ধে বই লেখে।
ইত্যাদি আরো জঘন্য সম্বোধন করেছে মুজাহিদ আলেমদের প্রতি।
,
আমি ফয়জুল করীম সাবকে খুব ভালবাসতাম।
আল্লাহর শপথ আমি উনাকে আল্লাহর জন্যই ভালবাসতাম।
কিন্তু এরপর থেকে আমি উনাকে আল্লাহর জন্যই ঘৃণা করি।
আমার মেজাযটা আলহামদুলিল্লাহ অনেক আগে থেকেই জিহাদের প্রতি ঝোকা ছিল।
তাই জিহাদ এবং মুজাহিদদের নিয়ে যত বড় আলেমই কটুক্তি করুক আমি তা সহ্য করতে পারতাম না।
এমনকি মেশকাতের দরসে আমাদের মেশকাত ছানী হুজুরের সাথে আক্রমণাত্মক জিহাদ নিয়ে অনেক তর্ক করেছি।
,
অইদিনের পর থেকে আমি পুরো চরমোনাইকেই ঘৃণা করি।
,
এখন দিনে দিনে দেখছি চরমোনাইকে তাদের সেই বক্তব্যের উপর আরো অটল হচ্ছে।
,
এখনতো বলে বর্তমানে অস্রের জিহাদ অসম্ভব।
আমেরিকাকে প্রতিহত করার ক্ষমতা আমাদের নেই।
তাই বর্তমানের জিহাদ হলো নির্বাচন।
,
আল্লাহ তাদের হেদায়েত করুক।
,
চরমোনাইকে নিয়ে আরো অনেক কিছু লেখার ছিল।
কিন্তু বিভিন্নদিক চিন্তা করে লেখছিনা।
,
চলবে ইনশাআল্লাহ,,,,,,,,
Comment