Tweet
জিহাদের মর্যাদা অতুলনীয়
সাম্প্রতিক কালে অনেক আলেম ও মাশায়েখ জিহাদ নামক মহান নেয়ামত, জিহাদের প্রস্তুতি এবং হিজরতের ফযীলত থেকে বঞ্চিত। অথচ এ কাজের উপকারিতা ব্যাপক, অপরিসীম। এবং এটা অতুলনীয় মর্যাদাপূর্ণ কাজ। পাশাপাশি একাজ সঠিক ধর্মীয় জ্ঞান প্রচার-প্রসার ও বিকাশের প্রতিবন্ধকও নয়। বরং সহায়ক। ফলে একসাথে উভয় মর্যাদা লাভ করা সম্ভব। বস্তুত তাদেরকে বঞ্চিত করা হয়নি। বরং তারা নিজেকে এমন অসীম কল্যাণ ও মর্যাদা থেকে মাহরুম করেছে। প্রিয় পাঠক! জিহাদের ফযীলত ও মর্যাদা সম্পর্কে অসংখ্য অগণীত বিশুদ্ধ হাদীস বর্ণিত হয়েছে। যা এই ক্ষুদ্র কিতাবে উল্লেখ করা সম্ভবপর নয়। শুধুমাত্র আপনাদের খেদমতে বুখারী ও মুসলিম শরীফের একটি হাদীস তুলে ধরতে চেষ্টা করব। আল্লাহর নবী (স
এর বিশিষ্ট সাহাবী হযরত আবু হুরায়রা (রা উক্ত হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন: রাসূল (স.) এর কাছে এক সাহাবী এসে বললেনঃ হে রাসূলুল্লাহ (স.) ! আমাকে জিহাদের সমকক্ষ কোন আমলের সন্ধান দিন। নবী (স.) বললেনঃ এর সমকক্ষ কোন আমল নেই। তবে মুজাহিদ যখন আল্লাহর দ্বীন কায়েম করতে জিহাদে বের হবে, তখন কি তুমি মসজিদে প্রবেশ করে বিনিদ্র অবস্থায় এবাদত করে রাত্র কাটাতে আর দিবসে সদা-সর্বদা সিয়াম পালন করতে সক্ষম হবে? (তাহলে তুমি তাঁর মর্যাদা লাভ করতে পারবে) একথা শুনে সাহাবী বললেনঃ এই কঠিন কাজ কেউ কি করতে পারে? হাদীসের বর্ণনাকারী হযরত আবু হুরায়রা (রা) বলেনঃ- নিশ্চয় মুজাহিদের ঘোড়া (আক্রমনের উদ্দেশ্যে) কোন উঁচু স্থানে উঠার কারণে তাঁর আমল নামায় নেকী লেখা হয়। (বুখারী, মুসলিম) হযরত ইমাম আহমদ বিন হাম্বল (র.) বলেনঃ- জিহাদ ও জিহাদের প্রশিক্ষণের সমক্ষক কোন আমল নেই। আর শায়খুল ইসলাম আমাম ইবনে তাইমীয়া (র.) বলেনঃ- বিশ্বের হকপন্থী সমস্ত ওলামায়ে কেরাম এ ব্যাপারে ঐক্যমত পোষণ করেছেন যে, নফল এবাদত সমূহের মধ্যে সর্বোত্তম এবাদত হচ্ছে জিহাদ। সুতরাং জিহাদ নফল সালাত, সিয়াম, হাজ্জ্ব ইত্যাদি থেকে শ্রেষ্ঠ ও উত্তম আমল। আর আল্লাহর পথে জিহাদের ময়দানে পাহারা রত থাকা মক্কা, মদীনা এবং বাইতুল মোকাদ্দাসে এবাদতে মশগুল হওয়ার চেয়ে শ্রেয়। এমনকি আবু হুরায়রা (রা
বলেনঃ আল্লাহর রাস্তায় জিহাদের ময়দানে একরাত্র প্রহরায় নিযুক্ত থাকা আমার নিকট হাজরে আসওয়াদ এর সামনে কদরের রাত্রে নফল এবাদত বন্দেগী করার চেয়ে শ্রেয়। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় আমরা অনেক আলেমকে দেখতে পাই যে, তারা প্রতি বছর অসংখ্যবার হজ্জ্ব কিংবা ওমরা পালন করতে যান। এবং আশুরা, আরাফা ও অন্যান্য দিবসের নফল সিয়াম পরিহার করেন না । অথচ তা মুস্তাহাব। পক্ষান্তরে, যে জিহাদ সর্বোত্তম ও শ্রেষ্ঠ এবাদতের কাজ, তাঁর প্রতি তারা সচেষ্ট হন না। এমনকি বছরের পর বছর, যুগের পর যুগ অতিবাহিত হয়ে যাচ্ছে জীবনে কোন একবার হলেও জিহাদের কামনা পোষণ করেন নাই।
এর বিশিষ্ট সাহাবী হযরত আবু হুরায়রা (রা উক্ত হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন: রাসূল (স.) এর কাছে এক সাহাবী এসে বললেনঃ হে রাসূলুল্লাহ (স.) ! আমাকে জিহাদের সমকক্ষ কোন আমলের সন্ধান দিন। নবী (স.) বললেনঃ এর সমকক্ষ কোন আমল নেই। তবে মুজাহিদ যখন আল্লাহর দ্বীন কায়েম করতে জিহাদে বের হবে, তখন কি তুমি মসজিদে প্রবেশ করে বিনিদ্র অবস্থায় এবাদত করে রাত্র কাটাতে আর দিবসে সদা-সর্বদা সিয়াম পালন করতে সক্ষম হবে? (তাহলে তুমি তাঁর মর্যাদা লাভ করতে পারবে) একথা শুনে সাহাবী বললেনঃ এই কঠিন কাজ কেউ কি করতে পারে? হাদীসের বর্ণনাকারী হযরত আবু হুরায়রা (রা) বলেনঃ- নিশ্চয় মুজাহিদের ঘোড়া (আক্রমনের উদ্দেশ্যে) কোন উঁচু স্থানে উঠার কারণে তাঁর আমল নামায় নেকী লেখা হয়। (বুখারী, মুসলিম) হযরত ইমাম আহমদ বিন হাম্বল (র.) বলেনঃ- জিহাদ ও জিহাদের প্রশিক্ষণের সমক্ষক কোন আমল নেই। আর শায়খুল ইসলাম আমাম ইবনে তাইমীয়া (র.) বলেনঃ- বিশ্বের হকপন্থী সমস্ত ওলামায়ে কেরাম এ ব্যাপারে ঐক্যমত পোষণ করেছেন যে, নফল এবাদত সমূহের মধ্যে সর্বোত্তম এবাদত হচ্ছে জিহাদ। সুতরাং জিহাদ নফল সালাত, সিয়াম, হাজ্জ্ব ইত্যাদি থেকে শ্রেষ্ঠ ও উত্তম আমল। আর আল্লাহর পথে জিহাদের ময়দানে পাহারা রত থাকা মক্কা, মদীনা এবং বাইতুল মোকাদ্দাসে এবাদতে মশগুল হওয়ার চেয়ে শ্রেয়। এমনকি আবু হুরায়রা (রা বলেনঃ আল্লাহর রাস্তায় জিহাদের ময়দানে একরাত্র প্রহরায় নিযুক্ত থাকা আমার নিকট হাজরে আসওয়াদ এর সামনে কদরের রাত্রে নফল এবাদত বন্দেগী করার চেয়ে শ্রেয়। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় আমরা অনেক আলেমকে দেখতে পাই যে, তারা প্রতি বছর অসংখ্যবার হজ্জ্ব কিংবা ওমরা পালন করতে যান। এবং আশুরা, আরাফা ও অন্যান্য দিবসের নফল সিয়াম পরিহার করেন না । অথচ তা মুস্তাহাব। পক্ষান্তরে, যে জিহাদ সর্বোত্তম ও শ্রেষ্ঠ এবাদতের কাজ, তাঁর প্রতি তারা সচেষ্ট হন না। এমনকি বছরের পর বছর, যুগের পর যুগ অতিবাহিত হয়ে যাচ্ছে জীবনে কোন একবার হলেও জিহাদের কামনা পোষণ করেন নাই।
Comment