বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম,
আসসালাতু আসসালামু ওলা রাসুলিল্লাহ, ওয়া আসহাবিহি আজমাঈন।
আম্মাবাদঃ
প্রায়শই পত্রিকায় আসছে ধরিয়ে দিন জঙ্গি নেতা অমুক, জঙ্গি নেতা তমুক... ধরিয়ে দিলে পুরুস্কার। আর দেখা যাচ্ছে এই হুলিয়া জারির ফলে আমাদের দায়ী ভাইদের মাঝে পড়ছে এক ভয়ংকর নেগেটিভ ইফেক্ট। যার ফলে দেখা যায় নতুন ইখওয়া থেকে একটা লেভেলের মাসউল পর্যায়ের ভাইয়েরা পর্যন্ত ঘাবড়িয়ে যান। আজ আপনাদের সামনে এমন কিছু বিষয় ইংশা আল্লাহ তুলে ধরবো যা আপনার, আমার অশান্ত অন্তরকে শীতল করে দিবে ইংশা আল্লাহ।
প্রিয় ভাই, আপনি কি জানেন হুলিয়া কার জারি হয়েছিল? হুলিয়া জারি হয়েছিল মুসা(আঃ)এর ঈসা (আঃ), ইবরাহীম (আঃ) এবং আমাদের প্রিয় নবী রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এর... আরও জারি হয়েছিল প্রত্যেক যুগের উল্লেখযোগ্য সালাফগনের। তাহলে আপনি কি খুশি হবেন না এমন এক সুন্নাহর প্রতি আমল করার সুযোগ পেয়ে যেখানে কথিত হক্কানিদের আর সহীহিদের মুরজিয়া পোপরা পর্যন্ত আমল করার সুযোগ পায় না !! অতএব আনন্দিত হন আমার প্রিয় ভাই, আল্লাহ আপনার দ্বারা এমন আমল নিচ্ছেন যদি এই আমল ইখলাসের সাথে করতে পারেন তবে আপনি মিলিত হবেন মুসা (আঃ) এর সাথে... আনন্দিত হন উত্তম ব্যাবসায় শরিক হওয়ার সুযোগ পেয়ে...
এখন কিছু আলোচনা:
সাধারনত যেসকল কারনে কোন প্রশাসন কারো হুলিয়া জারি করে, তা হলঃ
১। সেই প্রশাসন হুলিয়া জারিকৃত ব্যক্তিকে নিজের শাসন ব্যবস্থার জন্য অনেক ক্ষতিকর মনে করে
২। সেই ব্যক্তিকে সে তার তাবৎ ফোরস দিয়ে খুজে বের করতে ব্যর্থ হয়েছে, যার ফলে সে বাধ্য হয়ে সবার কাছে সাহায্য চাচ্ছে।
এখন আসি এই বাংলার জমিনে হুলিয়া জারিকৃত মুজাহিদিনদের ব্যাপারেঃ
এই হুলিয়া জারি বেশ কিছু বিষয় নিয়ে আমাদের ভাবার অবকাশ এনে দেয়।
প্রথমত এটা প্রকাশ করে দেয় যে র*্যাব, ডিজিএফাই, ডিবি, এনেসাই, র, এফ বি আই, সহ দেশি বিদেশি গোয়েন্দা বাহিনীগুলো আল্লাহর ইচ্ছায় এবং শক্তিতে মুজাহিদিনদের সকল ঠিকানা পেয়ে, আত্মীয় স্বজনদের উপর নজরদারি করেও তাদের ধরতে সক্ষম হয় নি। তাই হুলিয়া জারি করেছে। আর আমরা জানি তারা এই পর্যন্ত যাদেরকে মিডিয়ায় শো করেছে সবাই তাদের হাতে ৩/৪ মাস ধরে বন্দি ছিল।
আর একটি বিষয় এখানে পরিষ্কার হয় যে এই বাংলার জমিনেও এমন জায়গা আছে যেখানে মুজাহিদিনগন নিরাপদ ইংশা আল্লাহ। তো এই হুলিয়া জারির ফলে আলটিমেটলি লাভ কিন্তু মুজাহিদিনরাই নিচ্ছে। কারণ
১। প্রতিবার হুলিয়া জারির/ পত্রিকায় ছবির ফলে তারা তাদের নেক্সট কর্মপন্থা ঠিক করে নিচ্ছে।
২। নিজেদেরকে পরিবর্তিত পরিস্থিতির সাথে পরিবর্তন করে নিচ্ছে।
৩। তাদের অবর্তমানে/ পরিবর্তে এমন নেতৃত্ব আসছে/ নিয়ে আসা হচ্ছে যাদের কোন ছবিই নেই, এক কথায় গ্রীন।
আর প্রতিবার একই ছবি মিডিয়ায় আসার ফলে গোয়েন্দা বাহিনীর যা হচ্ছেঃ
১। তাদের মনোবল কমে যাচ্ছে, কারণ এত দিনে ওরা গুটি কয়েকজনের পিছনেই টাইম দিচ্ছে। আর সেই একজন এই সময়ের মাঝে আরও ১০০ জনকে এমন তৈরি করে ফেলেছে যারা বাতাসে মিশে আছে, যাদের ছবি ও কোন তথ্যই তাদের হাতে নেই। এখন এই কাঙ্খিত মাস্টার মাইন্ডকে যদি তারা ধরেও ফেলে দেখা যাবে লাভের লাভ কিছুই হবে না ইংশা আল্লাহ। কারণ এত দিনে অনেক ব্যাক আপ তৈরি হয়ে গিয়েছে।
২। গোয়েন্দা বাহিনীগুলো বারবার প্রশ্নের সম্মুখীন হচ্ছে যে কেন তারা সবাই মিলে গুটি কয়েক ব্যক্তিকে ধরতে পারছে না।
৩। সাধারন মানুষের মনে গু-য়েন্দাদের প্রতি যে মনোভাব কাজ করতো তা ম্লান হয়ে যাচ্ছে।
৪। অনেকে যারা আগে এই গোয়েন্দাদের ভয় করতো এবং জিহাদের পথে আসতো না, তারাও এখন সাহস পাচ্ছে এটা দেখে যে আইসাইস না হলেও আল্লাহর ইচ্ছায় আনসার আল ইসলামের বেশ হিউজ পরিমান সেফ হাউজের সাপোর্ট আছে, আলহামদুলিল্লাহ। তাই যারা দোটানায় ভুগতো যে তারা কোন দলে যোগ দিবে আনসার না আইসাইস। এখন তারা একটি সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে সক্ষম হচ্ছে। আলহামদুলিল্লাহ...
উপরোক্ত আলোচনা থেকে আমি আমার দায়ী ভাইদের বলতে চাই যে আপনারা ঘাবড়াবেন না। কারণ যে তাগুতের গু-য়েন্দাদের আতঙ্কে আপনি আতকঙ্কিত এই হুলিয়া জারি তাদের ব্যর্থতাই আপনার সামনে প্রকাশ করে দিচ্ছে। আরও প্রকাশ করে দিচ্ছে আল্লাহর কুদরত। আল্লাহ যাকে ঢেকে রাখেন কেউ তাকে প্রকাশ করতে পারে না, আর আল্লাহ যাকে প্রকাশ করে দেন কেউ তাকে ঢেকে রাখতে পারে না। অতএব প্রিয় ভাই আমাদের দাওয়াহর কাজ চালিয়ে যাতে হবে আরও জোরে শোরে। এখন আমাদের দায়ী ভাইদের সামনে একটি সুযোগ এই যে, যতবার হুলিয়া জারি হবে ততই দাওয়াহর কাজে এই প্রচারণা চালাতে পারবেনঃ আমাদের হিউজ সেফ হাউজ আছে। তাই আসুন আনসার আল ইসলামের সঙ্গী হউন। যাদেরকে ডোনার বানাতে চান তাদেরকেও নির্ভয় দিন এই হুলিয়া দেখিয়ে যা আপনার কিছু হলে ইংশা আল্লাহ আমাদের সেফ হাউজ/প্লেসে আপনাকে রাখা যাবে। , ইংশা আল্লাহ এই ভাবে আমরা যে কোন হুলিয়ার দুর্বলতাকে শক্তিতে পরিণত করতে পারবো ।
প্রিয় ভাই আমাদেরকে প্রতিনিয়ত চিন্তা করতে হবে যে কিভাবে নিজেদের প্রতিকূল অবস্থাকে নিজেদের অনুকুলে আনা যায়। প্রকৃত চালাক যোদ্ধা তো সেই যে নিজের ইচ্ছে মত যুদ্ধ সাজিয়ে যুদ্ধ করে, আর শত্রুর যে কোন কঠিন চালকে নিজের করায়ত্তে নিয়ে আসে।
প্রিয় মানুষের সামনে তুলে ধরতে হবে এই তাগুতি বাহিনীর ব্যর্থতা। আমাদের সকল কিছু বিলিয়ে দিতে হবে রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এর সম্মানের জন্য। আল্লাহ আমাদের দুনিয়া এবং আখিরাতকে প্রশস্থ করে দিন। আমাদের কবুল করে নিন। তাগুতের চোখে আমাদেরকে ঢেকে রাখুন। আমাদের সবাইকে তাগুতদের গলার কাঁটা বানিয়ে দিন।
আমিন।
আসসালাতু আসসালামু ওলা রাসুলিল্লাহ, ওয়া আসহাবিহি আজমাঈন।
আম্মাবাদঃ
প্রায়শই পত্রিকায় আসছে ধরিয়ে দিন জঙ্গি নেতা অমুক, জঙ্গি নেতা তমুক... ধরিয়ে দিলে পুরুস্কার। আর দেখা যাচ্ছে এই হুলিয়া জারির ফলে আমাদের দায়ী ভাইদের মাঝে পড়ছে এক ভয়ংকর নেগেটিভ ইফেক্ট। যার ফলে দেখা যায় নতুন ইখওয়া থেকে একটা লেভেলের মাসউল পর্যায়ের ভাইয়েরা পর্যন্ত ঘাবড়িয়ে যান। আজ আপনাদের সামনে এমন কিছু বিষয় ইংশা আল্লাহ তুলে ধরবো যা আপনার, আমার অশান্ত অন্তরকে শীতল করে দিবে ইংশা আল্লাহ।
প্রিয় ভাই, আপনি কি জানেন হুলিয়া কার জারি হয়েছিল? হুলিয়া জারি হয়েছিল মুসা(আঃ)এর ঈসা (আঃ), ইবরাহীম (আঃ) এবং আমাদের প্রিয় নবী রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এর... আরও জারি হয়েছিল প্রত্যেক যুগের উল্লেখযোগ্য সালাফগনের। তাহলে আপনি কি খুশি হবেন না এমন এক সুন্নাহর প্রতি আমল করার সুযোগ পেয়ে যেখানে কথিত হক্কানিদের আর সহীহিদের মুরজিয়া পোপরা পর্যন্ত আমল করার সুযোগ পায় না !! অতএব আনন্দিত হন আমার প্রিয় ভাই, আল্লাহ আপনার দ্বারা এমন আমল নিচ্ছেন যদি এই আমল ইখলাসের সাথে করতে পারেন তবে আপনি মিলিত হবেন মুসা (আঃ) এর সাথে... আনন্দিত হন উত্তম ব্যাবসায় শরিক হওয়ার সুযোগ পেয়ে...
এখন কিছু আলোচনা:
সাধারনত যেসকল কারনে কোন প্রশাসন কারো হুলিয়া জারি করে, তা হলঃ
১। সেই প্রশাসন হুলিয়া জারিকৃত ব্যক্তিকে নিজের শাসন ব্যবস্থার জন্য অনেক ক্ষতিকর মনে করে
২। সেই ব্যক্তিকে সে তার তাবৎ ফোরস দিয়ে খুজে বের করতে ব্যর্থ হয়েছে, যার ফলে সে বাধ্য হয়ে সবার কাছে সাহায্য চাচ্ছে।
এখন আসি এই বাংলার জমিনে হুলিয়া জারিকৃত মুজাহিদিনদের ব্যাপারেঃ
এই হুলিয়া জারি বেশ কিছু বিষয় নিয়ে আমাদের ভাবার অবকাশ এনে দেয়।
প্রথমত এটা প্রকাশ করে দেয় যে র*্যাব, ডিজিএফাই, ডিবি, এনেসাই, র, এফ বি আই, সহ দেশি বিদেশি গোয়েন্দা বাহিনীগুলো আল্লাহর ইচ্ছায় এবং শক্তিতে মুজাহিদিনদের সকল ঠিকানা পেয়ে, আত্মীয় স্বজনদের উপর নজরদারি করেও তাদের ধরতে সক্ষম হয় নি। তাই হুলিয়া জারি করেছে। আর আমরা জানি তারা এই পর্যন্ত যাদেরকে মিডিয়ায় শো করেছে সবাই তাদের হাতে ৩/৪ মাস ধরে বন্দি ছিল।
আর একটি বিষয় এখানে পরিষ্কার হয় যে এই বাংলার জমিনেও এমন জায়গা আছে যেখানে মুজাহিদিনগন নিরাপদ ইংশা আল্লাহ। তো এই হুলিয়া জারির ফলে আলটিমেটলি লাভ কিন্তু মুজাহিদিনরাই নিচ্ছে। কারণ
১। প্রতিবার হুলিয়া জারির/ পত্রিকায় ছবির ফলে তারা তাদের নেক্সট কর্মপন্থা ঠিক করে নিচ্ছে।
২। নিজেদেরকে পরিবর্তিত পরিস্থিতির সাথে পরিবর্তন করে নিচ্ছে।
৩। তাদের অবর্তমানে/ পরিবর্তে এমন নেতৃত্ব আসছে/ নিয়ে আসা হচ্ছে যাদের কোন ছবিই নেই, এক কথায় গ্রীন।
আর প্রতিবার একই ছবি মিডিয়ায় আসার ফলে গোয়েন্দা বাহিনীর যা হচ্ছেঃ
১। তাদের মনোবল কমে যাচ্ছে, কারণ এত দিনে ওরা গুটি কয়েকজনের পিছনেই টাইম দিচ্ছে। আর সেই একজন এই সময়ের মাঝে আরও ১০০ জনকে এমন তৈরি করে ফেলেছে যারা বাতাসে মিশে আছে, যাদের ছবি ও কোন তথ্যই তাদের হাতে নেই। এখন এই কাঙ্খিত মাস্টার মাইন্ডকে যদি তারা ধরেও ফেলে দেখা যাবে লাভের লাভ কিছুই হবে না ইংশা আল্লাহ। কারণ এত দিনে অনেক ব্যাক আপ তৈরি হয়ে গিয়েছে।
২। গোয়েন্দা বাহিনীগুলো বারবার প্রশ্নের সম্মুখীন হচ্ছে যে কেন তারা সবাই মিলে গুটি কয়েক ব্যক্তিকে ধরতে পারছে না।
৩। সাধারন মানুষের মনে গু-য়েন্দাদের প্রতি যে মনোভাব কাজ করতো তা ম্লান হয়ে যাচ্ছে।
৪। অনেকে যারা আগে এই গোয়েন্দাদের ভয় করতো এবং জিহাদের পথে আসতো না, তারাও এখন সাহস পাচ্ছে এটা দেখে যে আইসাইস না হলেও আল্লাহর ইচ্ছায় আনসার আল ইসলামের বেশ হিউজ পরিমান সেফ হাউজের সাপোর্ট আছে, আলহামদুলিল্লাহ। তাই যারা দোটানায় ভুগতো যে তারা কোন দলে যোগ দিবে আনসার না আইসাইস। এখন তারা একটি সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে সক্ষম হচ্ছে। আলহামদুলিল্লাহ...
উপরোক্ত আলোচনা থেকে আমি আমার দায়ী ভাইদের বলতে চাই যে আপনারা ঘাবড়াবেন না। কারণ যে তাগুতের গু-য়েন্দাদের আতঙ্কে আপনি আতকঙ্কিত এই হুলিয়া জারি তাদের ব্যর্থতাই আপনার সামনে প্রকাশ করে দিচ্ছে। আরও প্রকাশ করে দিচ্ছে আল্লাহর কুদরত। আল্লাহ যাকে ঢেকে রাখেন কেউ তাকে প্রকাশ করতে পারে না, আর আল্লাহ যাকে প্রকাশ করে দেন কেউ তাকে ঢেকে রাখতে পারে না। অতএব প্রিয় ভাই আমাদের দাওয়াহর কাজ চালিয়ে যাতে হবে আরও জোরে শোরে। এখন আমাদের দায়ী ভাইদের সামনে একটি সুযোগ এই যে, যতবার হুলিয়া জারি হবে ততই দাওয়াহর কাজে এই প্রচারণা চালাতে পারবেনঃ আমাদের হিউজ সেফ হাউজ আছে। তাই আসুন আনসার আল ইসলামের সঙ্গী হউন। যাদেরকে ডোনার বানাতে চান তাদেরকেও নির্ভয় দিন এই হুলিয়া দেখিয়ে যা আপনার কিছু হলে ইংশা আল্লাহ আমাদের সেফ হাউজ/প্লেসে আপনাকে রাখা যাবে। , ইংশা আল্লাহ এই ভাবে আমরা যে কোন হুলিয়ার দুর্বলতাকে শক্তিতে পরিণত করতে পারবো ।
প্রিয় ভাই আমাদেরকে প্রতিনিয়ত চিন্তা করতে হবে যে কিভাবে নিজেদের প্রতিকূল অবস্থাকে নিজেদের অনুকুলে আনা যায়। প্রকৃত চালাক যোদ্ধা তো সেই যে নিজের ইচ্ছে মত যুদ্ধ সাজিয়ে যুদ্ধ করে, আর শত্রুর যে কোন কঠিন চালকে নিজের করায়ত্তে নিয়ে আসে।
প্রিয় মানুষের সামনে তুলে ধরতে হবে এই তাগুতি বাহিনীর ব্যর্থতা। আমাদের সকল কিছু বিলিয়ে দিতে হবে রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এর সম্মানের জন্য। আল্লাহ আমাদের দুনিয়া এবং আখিরাতকে প্রশস্থ করে দিন। আমাদের কবুল করে নিন। তাগুতের চোখে আমাদেরকে ঢেকে রাখুন। আমাদের সবাইকে তাগুতদের গলার কাঁটা বানিয়ে দিন।
আমিন।
Comment