Announcement

Collapse
No announcement yet.

হুলিয়া জারি ও গোয়েন্দা বাহিনীর ব্যর্থতা এবং আনসার আল ইসলামের প্রাপ্তি

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • হুলিয়া জারি ও গোয়েন্দা বাহিনীর ব্যর্থতা এবং আনসার আল ইসলামের প্রাপ্তি

    বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম,
    আসসালাতু আসসালামু ওলা রাসুলিল্লাহ, ওয়া আসহাবিহি আজমাঈন।
    আম্মাবাদঃ

    প্রায়শই পত্রিকায় আসছে ধরিয়ে দিন জঙ্গি নেতা অমুক, জঙ্গি নেতা তমুক... ধরিয়ে দিলে পুরুস্কার। আর দেখা যাচ্ছে এই হুলিয়া জারির ফলে আমাদের দায়ী ভাইদের মাঝে পড়ছে এক ভয়ংকর নেগেটিভ ইফেক্ট। যার ফলে দেখা যায় নতুন ইখওয়া থেকে একটা লেভেলের মাসউল পর্যায়ের ভাইয়েরা পর্যন্ত ঘাবড়িয়ে যান। আজ আপনাদের সামনে এমন কিছু বিষয় ইংশা আল্লাহ তুলে ধরবো যা আপনার, আমার অশান্ত অন্তরকে শীতল করে দিবে ইংশা আল্লাহ।

    প্রিয় ভাই, আপনি কি জানেন হুলিয়া কার জারি হয়েছিল? হুলিয়া জারি হয়েছিল মুসা(আঃ)এর ঈসা (আঃ), ইবরাহীম (আঃ) এবং আমাদের প্রিয় নবী রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এর... আরও জারি হয়েছিল প্রত্যেক যুগের উল্লেখযোগ্য সালাফগনের। তাহলে আপনি কি খুশি হবেন না এমন এক সুন্নাহর প্রতি আমল করার সুযোগ পেয়ে যেখানে কথিত হক্কানিদের আর সহীহিদের মুরজিয়া পোপরা পর্যন্ত আমল করার সুযোগ পায় না !! অতএব আনন্দিত হন আমার প্রিয় ভাই, আল্লাহ আপনার দ্বারা এমন আমল নিচ্ছেন যদি এই আমল ইখলাসের সাথে করতে পারেন তবে আপনি মিলিত হবেন মুসা (আঃ) এর সাথে... আনন্দিত হন উত্তম ব্যাবসায় শরিক হওয়ার সুযোগ পেয়ে...

    এখন কিছু আলোচনা:

    সাধারনত যেসকল কারনে কোন প্রশাসন কারো হুলিয়া জারি করে, তা হলঃ
    ১। সেই প্রশাসন হুলিয়া জারিকৃত ব্যক্তিকে নিজের শাসন ব্যবস্থার জন্য অনেক ক্ষতিকর মনে করে
    ২। সেই ব্যক্তিকে সে তার তাবৎ ফোরস দিয়ে খুজে বের করতে ব্যর্থ হয়েছে, যার ফলে সে বাধ্য হয়ে সবার কাছে সাহায্য চাচ্ছে।

    এখন আসি এই বাংলার জমিনে হুলিয়া জারিকৃত মুজাহিদিনদের ব্যাপারেঃ

    এই হুলিয়া জারি বেশ কিছু বিষয় নিয়ে আমাদের ভাবার অবকাশ এনে দেয়।

    প্রথমত এটা প্রকাশ করে দেয় যে র*্যাব, ডিজিএফাই, ডিবি, এনেসাই, র, এফ বি আই, সহ দেশি বিদেশি গোয়েন্দা বাহিনীগুলো আল্লাহর ইচ্ছায় এবং শক্তিতে মুজাহিদিনদের সকল ঠিকানা পেয়ে, আত্মীয় স্বজনদের উপর নজরদারি করেও তাদের ধরতে সক্ষম হয় নি। তাই হুলিয়া জারি করেছে। আর আমরা জানি তারা এই পর্যন্ত যাদেরকে মিডিয়ায় শো করেছে সবাই তাদের হাতে ৩/৪ মাস ধরে বন্দি ছিল।

    আর একটি বিষয় এখানে পরিষ্কার হয় যে এই বাংলার জমিনেও এমন জায়গা আছে যেখানে মুজাহিদিনগন নিরাপদ ইংশা আল্লাহ। তো এই হুলিয়া জারির ফলে আলটিমেটলি লাভ কিন্তু মুজাহিদিনরাই নিচ্ছে। কারণ
    ১। প্রতিবার হুলিয়া জারির/ পত্রিকায় ছবির ফলে তারা তাদের নেক্সট কর্মপন্থা ঠিক করে নিচ্ছে।
    ২। নিজেদেরকে পরিবর্তিত পরিস্থিতির সাথে পরিবর্তন করে নিচ্ছে।
    ৩। তাদের অবর্তমানে/ পরিবর্তে এমন নেতৃত্ব আসছে/ নিয়ে আসা হচ্ছে যাদের কোন ছবিই নেই, এক কথায় গ্রীন।

    আর প্রতিবার একই ছবি মিডিয়ায় আসার ফলে গোয়েন্দা বাহিনীর যা হচ্ছেঃ
    ১। তাদের মনোবল কমে যাচ্ছে, কারণ এত দিনে ওরা গুটি কয়েকজনের পিছনেই টাইম দিচ্ছে। আর সেই একজন এই সময়ের মাঝে আরও ১০০ জনকে এমন তৈরি করে ফেলেছে যারা বাতাসে মিশে আছে, যাদের ছবি ও কোন তথ্যই তাদের হাতে নেই। এখন এই কাঙ্খিত মাস্টার মাইন্ডকে যদি তারা ধরেও ফেলে দেখা যাবে লাভের লাভ কিছুই হবে না ইংশা আল্লাহ। কারণ এত দিনে অনেক ব্যাক আপ তৈরি হয়ে গিয়েছে।
    ২। গোয়েন্দা বাহিনীগুলো বারবার প্রশ্নের সম্মুখীন হচ্ছে যে কেন তারা সবাই মিলে গুটি কয়েক ব্যক্তিকে ধরতে পারছে না।
    ৩। সাধারন মানুষের মনে গু-য়েন্দাদের প্রতি যে মনোভাব কাজ করতো তা ম্লান হয়ে যাচ্ছে।
    ৪। অনেকে যারা আগে এই গোয়েন্দাদের ভয় করতো এবং জিহাদের পথে আসতো না, তারাও এখন সাহস পাচ্ছে এটা দেখে যে আইসাইস না হলেও আল্লাহর ইচ্ছায় আনসার আল ইসলামের বেশ হিউজ পরিমান সেফ হাউজের সাপোর্ট আছে, আলহামদুলিল্লাহ। তাই যারা দোটানায় ভুগতো যে তারা কোন দলে যোগ দিবে আনসার না আইসাইস। এখন তারা একটি সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে সক্ষম হচ্ছে। আলহামদুলিল্লাহ...

    উপরোক্ত আলোচনা থেকে আমি আমার দায়ী ভাইদের বলতে চাই যে আপনারা ঘাবড়াবেন না। কারণ যে তাগুতের গু-য়েন্দাদের আতঙ্কে আপনি আতকঙ্কিত এই হুলিয়া জারি তাদের ব্যর্থতাই আপনার সামনে প্রকাশ করে দিচ্ছে। আরও প্রকাশ করে দিচ্ছে আল্লাহর কুদরত। আল্লাহ যাকে ঢেকে রাখেন কেউ তাকে প্রকাশ করতে পারে না, আর আল্লাহ যাকে প্রকাশ করে দেন কেউ তাকে ঢেকে রাখতে পারে না। অতএব প্রিয় ভাই আমাদের দাওয়াহর কাজ চালিয়ে যাতে হবে আরও জোরে শোরে। এখন আমাদের দায়ী ভাইদের সামনে একটি সুযোগ এই যে, যতবার হুলিয়া জারি হবে ততই দাওয়াহর কাজে এই প্রচারণা চালাতে পারবেনঃ আমাদের হিউজ সেফ হাউজ আছে। তাই আসুন আনসার আল ইসলামের সঙ্গী হউন। যাদেরকে ডোনার বানাতে চান তাদেরকেও নির্ভয় দিন এই হুলিয়া দেখিয়ে যা আপনার কিছু হলে ইংশা আল্লাহ আমাদের সেফ হাউজ/প্লেসে আপনাকে রাখা যাবে। , ইংশা আল্লাহ এই ভাবে আমরা যে কোন হুলিয়ার দুর্বলতাকে শক্তিতে পরিণত করতে পারবো ।

    প্রিয় ভাই আমাদেরকে প্রতিনিয়ত চিন্তা করতে হবে যে কিভাবে নিজেদের প্রতিকূল অবস্থাকে নিজেদের অনুকুলে আনা যায়। প্রকৃত চালাক যোদ্ধা তো সেই যে নিজের ইচ্ছে মত যুদ্ধ সাজিয়ে যুদ্ধ করে, আর শত্রুর যে কোন কঠিন চালকে নিজের করায়ত্তে নিয়ে আসে।
    প্রিয় মানুষের সামনে তুলে ধরতে হবে এই তাগুতি বাহিনীর ব্যর্থতা। আমাদের সকল কিছু বিলিয়ে দিতে হবে রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এর সম্মানের জন্য। আল্লাহ আমাদের দুনিয়া এবং আখিরাতকে প্রশস্থ করে দিন। আমাদের কবুল করে নিন। তাগুতের চোখে আমাদেরকে ঢেকে রাখুন। আমাদের সবাইকে তাগুতদের গলার কাঁটা বানিয়ে দিন।
    আমিন।
    "তুমি রবের বান্দার প্রতি দয়া কর
    বান্দার রবও তোমার প্রতি দয়া করবেন।"

  • #2
    জাযাকাল্লাহ ভাই।। পড়ে খুব ভাল লাগল এবং আশান্বিত হলাম।। আল্লাহ্* আপনার লেখায় বরকত দান করুন।। আপনার নিকাহর বিজ্ঞাপন দেখলাম।। করে ফেলছেন নাকি??

    Comment


    • #3
      জাযাকাল্লাহ!

      Comment


      • #4
        মাশাআল্লাহ।

        তবে দায়ী ভাইরা যে ভীত হয়ে আছেন, এমন মনে হয় না।
        Last edited by Zakaria Abdullah; 10-02-2016, 09:00 PM.

        Comment


        • #5
          জাজাকাল্লাহ

          Comment


          • #6
            দাওয়াত আগের চেয়ে দ্বিগুণ বাড়ছে। এমনকি প্রশাসনের ব্যক্তিদের সনতান্দের এপথে আনা হচ্ছে।

            Comment


            • #7
              প্রকৃত চালাক যোদ্ধা তো সেই যে নিজের ইচ্ছে মত যুদ্ধ সাজিয়ে যুদ্ধ করে, আর শত্রুর যে কোন কঠিন চালকে নিজের করায়ত্তে নিয়ে আসে।
              দারুণ বলেছেন ভাই ...
              হে সম্মানিত শাম, আত্মমর্যাদাশীল খোরাসান আর বরকতময় গাজওয়ায়ে হিন্দ তথা সাড়া বিশ্বের মুজাহিদীন

              আর তোমরা নিরাশ হয়ো না এবং দুঃখ করো না। যদি তোমরা মুমিন হও, তবে তোমরাই জয়ী হবে।
              আলে ইমরান (১৩৯)

              Comment


              • #8
                জাযাকাল্লাহ।ভাই। গুরুত্বপূর্ণ জিনিস লিখছেন।ভাই আপনারা দাওয়াত দিচ্ছেন ভালো কিন্তু ভাইদের সংগে তো যোগাযোগ নাই।তাহলে কিভাবে কি হবে?
                al-aqsa

                Comment


                • #9
                  Originally posted by Zakaria Abdullah View Post
                  মাশাআল্লাহ।

                  তবে দায়ী ভাইরা যে ভীত হয়ে আছেন, এমন মনে হয় না।
                  ভাই আসলে আমি কিন্তু দায়ী ভাইদেরকে ভীতু বা ভীত হয়ে আছেন এটা বুঝাতে চাই নি।
                  আমি দেখেছি যে বিভিন্ন পত্রিকায় ছবি আসার পরে ভাইদের মাঝে এক ধরনের একটা হতাশা বোধ কাজ করে। যেমনঃ
                  উদাস নয়নে তারা চেয়ে থাকে আর বলে হায়রে ছবি পেয়ে গেল? এখন কি হবে?? এই রকমের আরও কথা।
                  আসলে এই কথা গুলো আসে দ্বীনের প্রতি ভালোবাসার কারনেই। আল্লাহু আলাম। তবে এই কথা বা মনোভাবের মাঝে কিছুটা গোয়েন্দা ভীতি/ তাগুতি বাহিনীর গোয়েন্দাদের শক্তিমত্তার প্রতি সমীহ বোধের আভাস থেকেই যায়। আল্লাহু আলাম...
                  "তুমি রবের বান্দার প্রতি দয়া কর
                  বান্দার রবও তোমার প্রতি দয়া করবেন।"

                  Comment


                  • #10
                    আল্লাহ্* উত্তম নিরাপত্তা দানকারী ...

                    জাসুস দের ইন্টলেলিজেন্স আছে, ধরলাম সারা দুনিয়া ব্যাপী এই জাসুসের ইন্টেলিজেন্স নেটওয়ার্ক

                    আর,

                    মুজাহিদিনদের ও ইন্টেলিজেন্স আছে, "ওয়াসি আ কুরসি উস সামা ওয়াতি ওয়াল আরদ" আল্লাহ্*র কুরসি আসামান ও জমিন কে পরিব্যাপ্ত করে রেখেছে

                    রাসুল (সাঃ) এর এই হাদিস টি অত্যন্ত অন্তর প্রশান্তকারী, "যে আল্লাহ্*র উপর ভরসা করে, আল্লাহ্* ই তার জন্য যথেষ্ট" কিংবা আল্লাহ্*র এই আয়াত, "আল্লাহ্* কখনো তার বান্দাদের পরিত্যাগ করেন না"

                    অবশেষে তারা তো পরাজিত হবেই, কারন আল্লাহ্* ই তা বলে দিয়েছেন!

                    একটা অ্যানালিসিস দেখেছিলাম, যেখানে আইসিস সম্পর্কে বলা হয়েছিলো, "আপনি দেখবেন আইসিস তাদের মিডিয়া ক্যাম্পেইনে অত্যন্ত আধুনিক এবং এগ্রেসিভ। তাদের প্রোডাকশন রীতিমত টপ ক্লাস! কিন্তু তাদের এত হাই ক্লাস মিডিয়ার পিছনে তাদের ভঙ্গুর অবকাঠামো রয়েছে যা তারা মিডিয়ে দিয়ে ঢেকে রাখতে চাচ্ছে!"

                    মাসের পর মাস ধরে বন্দী রেখে হটাত একদিন টঙ্গী স্টেশন রোড থেকে গ্রেফতার এর নাটক তাগুতের দুর্বলতা ছাড়া আর কিছুই না। যখন তারা কিছুই জাহির করতে পারেনা তখন একবার করে টঙ্গী স্টেশন রোড এর নাটক সাজায়! কিন্তু কত দিন! এটা তারাও খুব ভালো ভাবেই জানে!

                    আর মুমিন ভাই যথার্থই বলেছেন, সমস্ত উপকরন, আধুনিক ইকুইপমেন্ট আর তাদের সমস্ত সহযোগী থাকার পরেও যদি তাদের হুলিয়া বের করতে হয়, জনগনের হেল্প লাগে তাহলে এটার একটাই মিনিং দাঁড়ায় আর সেটা হচ্ছে, "তাগুত, তার সমস্ত পরিকল্পনা, উপকরন, তার সমস্ত আউলিয়া, সঙ্গী সাথী আল্লাহর সাহায্যে মুজাহদিন দের মুকাবিলায় মিনিংলেস! আল্লাহ্* কি বলেন নি, "ইন্না কাইদাশ শাইতনা কানা দ'ঈফা"

                    ময়দান টা যখন যুদ্ধের তখন ইকুয়েশন খুব সিম্পলঃ

                    "দিন শেষে জয়ী কারা?" যেখানে আমরা জানি যুদ্ধের জয় পরাজয় নির্ভর করে যুদ্ধের অবজেক্টিভ বা লক্ষ্যের উপরে। আমরা জানি তাগুতের এই স্বঘোষিত যুদ্ধে তাদের একটা অবজেক্টিভ ছিলো ব্লগার দের নিরাপত্তা দেয়া। অপর দিকে মুজাহিদিনদের অবজেক্টিভ ছিলোঃ

                    ১. তোমরা চুপ হয়ে যাও, নোংরা কাজ গুলো বন্ধ কর
                    ২. দেশ ছেড়ে চলে যাও
                    ৩. নিজেদের ঘাড় কে উন্মুক্ত করে রাখো

                    আল্লাহ্*র সাহায্যে শুধু মাত্র এই একটি অবজেক্টিভ এর আলোকে দেখে নেই জয়ী দল কারা?

                    পেপার পত্রিকায় যত ব্লগার এর সাক্ষাৎকার এসেছে তার সারমর্ম হচ্ছে, ব্লগার রা ভয়ে আছে, আগের মত প্রকাশ্যে লেখা লেখি করার সাহস পায়না, নিজেকে গোপন করে রেখেছে, দেশ ছেড়ে চলে যাচ্ছে, লেখা লেখি বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছে, আর কিছু তাদের যথা যথ কর্মফল পেয়েছে!

                    ভাই আমার আপনি কি বিস্মিত হচ্ছেন না যে এই সব গুলোই ছিলো মুজাহিদিনদের অবজেক্টিভ যা আল্লাহ্* চেয়েছিলেন এবং মুজাহদিন দের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করে দেখিয়েছেন! এমন কি মুজাহদিন গণ যে অবজেক্টিভ কে সামনে রেখেছিলেন আল্লাহ্* তার চেয়েও আরো অনেক বেশি দিয়েছেন! সেটা ইনশাআল্লাহ্* অন্য আলোচনা হতে পারে

                    অপর দিকে তাগুতদের স্বঘোষিত এই যুদ্ধের ব্যাপারে দিন শেষে তাদের একটাই কথা ছিলো, "আমাদের পক্ষে তো আর সবার নিরাপত্তা দেয়া সম্ভব না" আমার কছে এটা খুব কৌতুক মনে হয়, এটা কি যুদ্ধ ঘোষণার আগে মনে ছিলোনা! আর আমি খুব বিস্মিত হই, এর পরেও কি আমাদের সাধারন জনতা এটা লক্ষ্য করে না যে বাহিনী হাতে গোনা কয়েকজন চিহ্নিত কুলাঙ্গার কে নিরাপত্তা দিতে পারেনা সেই বাহিনী কিভাবে একটা দেশের জনগনের নিরাপত্তা দিতে পারে! আল্লাহ্* কি বলেন নি, "যারা আল্লাহ্* ছেড়ে অন্য কাউকে নিজের ইলাহ বানিয়ে নেয়, তার উদাহরন হচ্ছে মাকড়সার মত, মাকড়সা ঘর বানায়, আর ঘরের মধ্যে মাকড়সার ঘর অতি দুর্বল/ভঙ্গুর"

                    তাহলে প্রিয় ভাই, আপনি কি দেখলেন, তাদের নিজেদের স্বঘোষিত যুদ্ধে তাদের নিজেদের ময়দানে, (যেহেতু এই যুদ্ধে তারাই ওপেন এবং মুজাহদিন রা গোপন), তাদের সমস্ত সামর্থ্য, লোকবল, ইন্টেলিজেন্স, সোর্স, প্রশিক্ষন, ইকুইপমেন্ট থাকা স্বত্বেও দিন শেষে সোজা বাংলা ভাষায় এই যুদ্ধের ফলাফল,

                    "তাগুত এবং তাদের পরিকল্পনা ব্যার্থ"

                    আল্লাহ্* কি যথার্থই বলেন নি, "কাফিরদের ষড়যন্ত্র অকার্যকর ছাড়া আর কিছুই না"

                    আর এগুলো হচ্ছে আল্লাহ্*র ওয়াদার বাস্তবায়ন, ইনশাআল্লাহ্* তাহলে আল্লাহ্*র আরো একটি ওয়াদা, "নিশ্চয়ই আমি মুমিনদের কে বিজয় দান করবো" এটিও খুব বেশি দূরে নয়!

                    আল্লাহু মুসতায়ান
                    Last edited by s_forayeji; 10-03-2016, 09:44 PM.
                    মিডিয়া জিহাদের অর্ধেক কিংবা তারও বেশি

                    Comment


                    • #11
                      ফরায়েজী ভাই, সুবহান আল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ অনেক চমৎকার বলেছেন। আসলে আপনি আমার এই লিখার মূলভাবের বেশ কিছু অংশ আল্লাহর ইচ্ছায় সাবলীল ভাষায় প্রকাশ করে দিয়েছেন। জাযাকাল্লাহ।
                      "তুমি রবের বান্দার প্রতি দয়া কর
                      বান্দার রবও তোমার প্রতি দয়া করবেন।"

                      Comment


                      • #12
                        Originally posted by ibn mumin View Post
                        ফরায়েজী ভাই, সুবহান আল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ অনেক চমৎকার বলেছেন। আসলে আপনি আমার এই লিখার মূলভাবের বেশ কিছু অংশ আল্লাহর ইচ্ছায় সাবলীল ভাষায় প্রকাশ করে দিয়েছেন। জাযাকাল্লাহ।

                        আল্লাহ্* যেমন চেয়েছেন ...

                        বারাকাল্লাহু ফিইক মুমিন ভাই।
                        মিডিয়া জিহাদের অর্ধেক কিংবা তারও বেশি

                        Comment


                        • #13
                          জাযাকাল্লাহ ibn mumin ভাই এবং s-forayeji ভাই।
                          "মদীনাবাসী ও পাশ্ববর্তী পল্লীবাসীদের উচিত নয় রসূলুল্লাহর সঙ্গ ত্যাগ করে পেছনে থেকে যাওয়া এবং রসূলুল্লাহর প্রাণ থেকে নিজেদের প্রাণকে অধিক প্রিয় মনে করা। এটি এজন্য যে, আল্লাহর পথে যে তৃষ্ণা, ক্লান্তি ও ক্ষুধা তাদের স্পর্শ করে এবং তাদের এমন পদক্ষেপ যা কাফেরদের মনে ক্রোধের কারণ হয় আর শত্রুদের পক্ষ থেকে তারা যা কিছু প্রাপ্ত হয়-তার প্রত্যেকটির পরিবর্তে তাদের জন্য লিখিত হয়ে নেক আমল। নিঃসন্দেহে আল্লাহ সৎকর্মশীল লোকদের হক নষ্ট করেন না।"(সূরাঃতাওবা,আয়াতঃ১২০)

                          Comment


                          • #14
                            সুন্দর ব্যাখ্যা।

                            Comment


                            • #15
                              তাহলে প্রিয় ভাই, আপনি কি দেখলেন, তাদের নিজেদের স্বঘোষিত যুদ্ধে তাদের নিজেদের ময়দানে, (যেহেতু এই যুদ্ধে তারাই ওপেন এবং মুজাহদিন রা গোপন), তাদের সমস্ত সামর্থ্য, লোকবল, ইন্টেলিজেন্স, সোর্স, প্রশিক্ষন, ইকুইপমেন্ট থাকা স্বত্বেও দিন শেষে সোজা বাংলা ভাষায় এই যুদ্ধের ফলাফল,

                              "তাগুত এবং তাদের পরিকল্পনা ব্যার্থ
                              "

                              সাথে আরও যোগ করা যায় দুনিয়ার কথিত সরব শ্রেষ্ঠ পরাশক্তি সম্পন্ন ৪২ তি দেশ তাদের সর্ব শক্তি নিয়োগ করে লক্ষ লক্ষ সেনা আর দুনিয়ার ইতিহাসের সর্বাধিক শক্তি সম্পন্ন যুদ্ধাস্ত্র আর অত্যাধুনিক মরনাস্ত্র নিয়েও লেজ গুটিয়ে আর জীবন নিয়ে পালিয়ে আসতে হল আফগান ভূমি থেকে...

                              অহে মুসলিম জাতি এর পরেও কি তোমরা জাগ্রত হবে না !! বল দুনিয়ার বুকে এমন কোন মহা শক্তি আছে যা আমার রব আর আস্মান-জমিনের রবের সামনে দাঁড়তে পারে !!
                              হে সম্মানিত শাম, আত্মমর্যাদাশীল খোরাসান আর বরকতময় গাজওয়ায়ে হিন্দ তথা সাড়া বিশ্বের মুজাহিদীন

                              আর তোমরা নিরাশ হয়ো না এবং দুঃখ করো না। যদি তোমরা মুমিন হও, তবে তোমরাই জয়ী হবে।
                              আলে ইমরান (১৩৯)

                              Comment

                              Working...
                              X