আল্লাহ্* সুবহানু তা’আলা তাঁর জমীনে দ্বীনের কাজকে আনজাম দেওয়ার কিছু বান্দাকে খাস করে বাছাই করে নেন। যারা তাঁদের জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত ব্যয় করেন দ্বীনের কল্যাণের জন্য। এরকম এক ভাইয়ের গল্প বলব আজ। এই ভাইয়ের সাথে কিছু সময় অতিবাহিত করার দুর্লভ সুযোগ এসেছিল। সেখান থেকে দুই একটা ঘটনা উল্লেখ করব ইনশাল্লাহ।
ঘটনা-একঃ ঘটনাটা ২০১৫ সালের। ঈদ-উল-আজহার দিন। সকালে ঘুম থেকে উঠে ভাইয়ের সাথে সালাত আদায় করে বাসায় আসলাম। নাস্তা করলাম। তারপর ভাইয়ের সাথে নিম্নোক্ত কথাকথন হলোঃ
ভাইঃ আচ্ছা আমাদের ত আপাতত যাওয়ার কোন জায়গা নাই। কিন্তু সময়টা ত কাটাতে হবে। চলেন আমরা কিছু কাজ করি। এতে আলহামদুলিল্লাহ্* সময়ও কাটবে এবং কিছু কাজও হবে।
আমিঃ জি ভাই ইনশাল্লাহ।
ভাইঃ (একটা পেনড্রাইভ এগিয়ে দিয়ে) দেখেন এখানে গেরিলা যুদ্ধের উপর কিছু বই আছে। এর মধ্যে যেটা বেশি উপযুক্ত মনে হয় সেটা অনুবাদ শুরু করেন ইনশাল্লাহ।
আমিঃ (মনে মনে বলতেছি ভাই আজকে ঈদের দিন। এটা একটু মাথায় রাখা উচিৎ না) জি ঠিক আছে ভাই।
(অতঃপর ঈদের দিনটা কাটল গুগল ট্রান্সলেটর, ডিকশনারির সাথে)
ঘটনা-দুইঃ প্রায় সমসাময়িক সময়ের ঘটন।। ঈদের দুই দিন পরে যেখানে ছিলাম সেখানে আরও দুই জন ভাই আসলেন। তাঁদের মধ্যে একজন আমার দীর্ঘদিনের পরিচিত এবং অনেক দিন পর তাঁর সাথে আমার দেখা। ভাবলাম অনেক দিন পর দেখা হল। কিছু সুখ-দুঃখের কথা বলা যাবে। কিছু আল্লাহ্* তা’আলা সেদিন কপালে অন্য কিছু লিখে রেখেছিলেন। ভাইরা আসার পর কিছুক্ষন তাঁদের হাল-হকিকত সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ চলল। অতঃপর ভাইয়ের প্রস্তাবঃ ভাই আপনারা আসলেন। এখানে ত মোটামুটি আমরা ৪ জন হয়ে গেলাম। চলেন আমরা একটা কাজ করি। আমরা সারা পৃথিবীতে বিভিন্ন জায়গায় জিহাদের কাজ কখন শুরু হয়েছে, সেখানে কিভাবে পরবর্তীতে তাঁদের কাজ এগিয়ে নিয়েছেন এগুলো পর্যালোচনা করে আমাদের ভূমিতে জিহাদের ভবিষ্যৎ কেমন হতে পারে সেগুলো নিয়ে কিছুক্ষন আলোচনা করি। আমি মনে মনে বললাম হয়ে গেল পরিচিত ভাইয়ের সাথে সুখ-দুঃখের আলাপ করা। অতঃপর মোটামুটি ঘুমানোর আগ পর্যন্ত এটা নিয়ে আলোচনা চলল এবং আলোচনার এক পর্যায়ে একটা ভুল করার জন্য ১০ টা পুশ আপ দিতে হল। যাই হোক পর দিন সকালে পরিচিত ভাই চলে যাচ্ছে তখন ঐ ভাইকে এগিয়ে দেওয়ার জন্য আমিও বের হচ্ছি। তখন ভাই বললেন আচ্ছা আপনাদের মধ্যে কোন ব্যক্তিগত আলোচনা থাকলে এর ফাঁকে সেরে নেন। মনে মনে আমি বললাম যাক ভাই ব্যক্তিগত আবেগ-অনুভূতি এই বিষয় অবশেষে মনে পরল তাহলে।
ঘটনা-তিনঃ এটা এক ভাইয়ের কাছ থেকে শোনা। ঐ ভাই এই কাজ পাগল ভাইকে একটা মেসেজ পাঠাইছে যে ভাই আমাকে একটু অনুমতি দিলে আমি অমুক ভাইয়ের সাথে একটু দেখা করব। ভাইয়ের রিপ্লাই-আচ্ছা আপনার ঐ ভাইয়ের সাথে দেখা করার মত যথেষ্ট অবসর আছে। ভাই রিপ্লাই পেয়ে প্রথমে কিছু বুঝতে পারেন নাই। অতঃপর কয়েকদিন পর ভাইয়ের উপর মোটামুটি বিভিন্ন কাজ এসে হাজির হল। তখন ভাইয়ের বুঝে আসল সেই রিপ্লাইয়ের তাৎপর্য।
এরকম ঘটনা বলে শেষ করা যাবে না।
প্রিয় ভাই আমরা যারা কিছুটা অলস তারা হয়ত আপনার সাথে ঠিকমত তাল মিলাতে পারি না। আমাদের যতটুকু কাজ করা উচিৎ তা ঠিকমত করতে পারি না। আমাদের জন্য দুয়া করবেন যাতে আপনার মত দ্বীনের কাজের প্রতি আল্লাহ্* সেই পরিমাণ মহব্বত তৈরি করে দেন যাতে করে আমরাও আপনার মত কাজ পাগল হতে পারি।
দুয়া করি আল্লাহ্* যাতে আপনাকে শহীদ হিসেবে কবুল করার আগ পর্যন্ত এই ভাবেই দ্বীনের কাজ করার তৌফিক দান করেন এবং এই ভূমিতে জিহাদের কাজকে এগিয়ে নিয়ে যান। আমিন।।
ঘটনা-একঃ ঘটনাটা ২০১৫ সালের। ঈদ-উল-আজহার দিন। সকালে ঘুম থেকে উঠে ভাইয়ের সাথে সালাত আদায় করে বাসায় আসলাম। নাস্তা করলাম। তারপর ভাইয়ের সাথে নিম্নোক্ত কথাকথন হলোঃ
ভাইঃ আচ্ছা আমাদের ত আপাতত যাওয়ার কোন জায়গা নাই। কিন্তু সময়টা ত কাটাতে হবে। চলেন আমরা কিছু কাজ করি। এতে আলহামদুলিল্লাহ্* সময়ও কাটবে এবং কিছু কাজও হবে।
আমিঃ জি ভাই ইনশাল্লাহ।
ভাইঃ (একটা পেনড্রাইভ এগিয়ে দিয়ে) দেখেন এখানে গেরিলা যুদ্ধের উপর কিছু বই আছে। এর মধ্যে যেটা বেশি উপযুক্ত মনে হয় সেটা অনুবাদ শুরু করেন ইনশাল্লাহ।
আমিঃ (মনে মনে বলতেছি ভাই আজকে ঈদের দিন। এটা একটু মাথায় রাখা উচিৎ না) জি ঠিক আছে ভাই।
(অতঃপর ঈদের দিনটা কাটল গুগল ট্রান্সলেটর, ডিকশনারির সাথে)
ঘটনা-দুইঃ প্রায় সমসাময়িক সময়ের ঘটন।। ঈদের দুই দিন পরে যেখানে ছিলাম সেখানে আরও দুই জন ভাই আসলেন। তাঁদের মধ্যে একজন আমার দীর্ঘদিনের পরিচিত এবং অনেক দিন পর তাঁর সাথে আমার দেখা। ভাবলাম অনেক দিন পর দেখা হল। কিছু সুখ-দুঃখের কথা বলা যাবে। কিছু আল্লাহ্* তা’আলা সেদিন কপালে অন্য কিছু লিখে রেখেছিলেন। ভাইরা আসার পর কিছুক্ষন তাঁদের হাল-হকিকত সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ চলল। অতঃপর ভাইয়ের প্রস্তাবঃ ভাই আপনারা আসলেন। এখানে ত মোটামুটি আমরা ৪ জন হয়ে গেলাম। চলেন আমরা একটা কাজ করি। আমরা সারা পৃথিবীতে বিভিন্ন জায়গায় জিহাদের কাজ কখন শুরু হয়েছে, সেখানে কিভাবে পরবর্তীতে তাঁদের কাজ এগিয়ে নিয়েছেন এগুলো পর্যালোচনা করে আমাদের ভূমিতে জিহাদের ভবিষ্যৎ কেমন হতে পারে সেগুলো নিয়ে কিছুক্ষন আলোচনা করি। আমি মনে মনে বললাম হয়ে গেল পরিচিত ভাইয়ের সাথে সুখ-দুঃখের আলাপ করা। অতঃপর মোটামুটি ঘুমানোর আগ পর্যন্ত এটা নিয়ে আলোচনা চলল এবং আলোচনার এক পর্যায়ে একটা ভুল করার জন্য ১০ টা পুশ আপ দিতে হল। যাই হোক পর দিন সকালে পরিচিত ভাই চলে যাচ্ছে তখন ঐ ভাইকে এগিয়ে দেওয়ার জন্য আমিও বের হচ্ছি। তখন ভাই বললেন আচ্ছা আপনাদের মধ্যে কোন ব্যক্তিগত আলোচনা থাকলে এর ফাঁকে সেরে নেন। মনে মনে আমি বললাম যাক ভাই ব্যক্তিগত আবেগ-অনুভূতি এই বিষয় অবশেষে মনে পরল তাহলে।
ঘটনা-তিনঃ এটা এক ভাইয়ের কাছ থেকে শোনা। ঐ ভাই এই কাজ পাগল ভাইকে একটা মেসেজ পাঠাইছে যে ভাই আমাকে একটু অনুমতি দিলে আমি অমুক ভাইয়ের সাথে একটু দেখা করব। ভাইয়ের রিপ্লাই-আচ্ছা আপনার ঐ ভাইয়ের সাথে দেখা করার মত যথেষ্ট অবসর আছে। ভাই রিপ্লাই পেয়ে প্রথমে কিছু বুঝতে পারেন নাই। অতঃপর কয়েকদিন পর ভাইয়ের উপর মোটামুটি বিভিন্ন কাজ এসে হাজির হল। তখন ভাইয়ের বুঝে আসল সেই রিপ্লাইয়ের তাৎপর্য।
এরকম ঘটনা বলে শেষ করা যাবে না।
প্রিয় ভাই আমরা যারা কিছুটা অলস তারা হয়ত আপনার সাথে ঠিকমত তাল মিলাতে পারি না। আমাদের যতটুকু কাজ করা উচিৎ তা ঠিকমত করতে পারি না। আমাদের জন্য দুয়া করবেন যাতে আপনার মত দ্বীনের কাজের প্রতি আল্লাহ্* সেই পরিমাণ মহব্বত তৈরি করে দেন যাতে করে আমরাও আপনার মত কাজ পাগল হতে পারি।
দুয়া করি আল্লাহ্* যাতে আপনাকে শহীদ হিসেবে কবুল করার আগ পর্যন্ত এই ভাবেই দ্বীনের কাজ করার তৌফিক দান করেন এবং এই ভূমিতে জিহাদের কাজকে এগিয়ে নিয়ে যান। আমিন।।
Comment