সমস্ত প্রশংসা শুধু আল্লাহ্*র জন্য।
আজ আপনাদের সাথে অদ্ভুত সুন্দর এক হাদিস শেয়ার করবো ইনশাআল্লাহ ..
হাদিস টি সাহিহ বুখারির
كلمتان خفيفتان على اللسان ، ثقيلتان في الميزان، حبيبتان إلى الرحمن: سبحان الله وبحمده، سبحان الله العظيم
কালিমাতান.. খাফিফাতান আ'লাল লিসান.. থাকী'লাতান ফিল মিঝান... হা'বিবাতান ইলার রাহ'মানঃ সুবহা'নাল্লাহি ওয়াবি হা'মদিহি সুবহা'নাল্লাহিল আ'জিম
রাসুল (সাঃ) বলছেন, "কালিমাতান" .. দুটি কালিমা আছে.. দুটি শব্দ আছে.. "খাফিফাতান - আ'লাল লিসান" .. এমন দুটি শব্দ যা জিহব্বায় (উচ্চারনে) খুব সহজ খাফিফাতান .. খুবই সহজ, একেবারেই হালকা .."থাকী'লাতান ফিল মিঝান" সেই শব্দ দুটি মিঝানে (পাল্লায়) অত্যন্ত ভারী .. দুইটা কালিমা বা শদ আছে এমন যা উচ্চারন করা খুবই সহজ কিন্তু মিঝানে বা পাল্লায় অনেক ভারী। এবং বিভিন্ন শায়েখগণ এই ভারী কে ব্যাখ্যা করেছেন, পাল্লায় ভারী কিন্তু কত ভারী? শায়েখ রা বলেছেন এই ভারী হচ্ছে তার চেয়েও বেশী ভারী যত আপনি কল্পনা করতে পারেন! অর্থাৎ আপনি যতই ভারী মনে করেন না কেন পাল্লায় এটা তার চেয়েও বেশি ভারী হবে! সুবহানাল্লাহ!
কিন্তু এটাই শেষ না, বরং হাদিসের সবচেয়ে সুন্দর অংশ হচ্ছে এখন! "হা'বিবাতান - ইলার রাহ'মান"
আসেন, এইখানে আমরা একটু সময় নেই, কথা টা খেয়াল করি.. "হা বি বা তা ন - ই লা র রাহ' মা ন" রহ'মান এর কাছে যা অত্যন্ত প্রিয়, প্রিয় শব্দ টা হা'বিবাতান এর যথাযথ ভাব প্রকাশ করতে পারেনা, বরং বলি অত্যন্ত মুহাব্বাতের। অর্থাৎ এই কালিমা দুইটা আল্লাহ্*র কাছে অত্যন্ত মুহাব্বাতের!
ভাই, আল্লাহ্* যদি আজ আমাদের কারো কাছে এমন ওহী করেন, "হে ফুলান, আমার কাছে এই জিনিষ টা অত্যন্ত মুহাব্বাতের!" আমি বা আপনি কি করবো? মনে হচ্ছে না, কি করবো মানে? সব কুরবান করে দিবো! ভাই কিচ্ছুনা, মাত্র ৫ সেকেন্ড! তাজ-উইদ সহ পড়লেও মাত্র ৫ সেকেন্ড! যা আল্লাহ্*র কাছে অত্যন্ত মুহাব্বাতের! বুখারী, সাহিহ বুখারী! আল্লাহ্* কি বলেন নি রাসুল (সাঃ) তাই বলেন যা আল্লাহ্* বলতে নির্দেশ করেন ..
কত ছোট অথচ কত বিশাল তাই না!
ভাই আমাদের রব আমাদের প্রতি অতি অল্পেই সন্তুষ্ট হয়ে যান। কত অল্পে সন্তুষ্ট হয়ে যান তার একটা প্রমান তো পেয়েই গেলাম, মাত্র ৫ সেকেন্ড! আমরা আলহামদুলিল্লাহ আজ অনেক বড় বড় কাজ করি, আল্লাহ্* কবুল করুন কিন্তু বড় কাজের ফাঁক ফোঁকরে এই ৫ সেকেন্ড গুলো যেন হারিয়ে না যায়।
আল্লাহ্* বান্দার অসহায়ত্ব, দীনতা পছন্দ করেন...
ধরেন, কোন উপলক্ষে আপনার জন্য ভাইরা হাদিয়া নিয়ে আসছেন, সবাই এক এক করে আসছেন আর আপনাকে হাদিয়া দিয়ে মুসাফা করে চলে যাচ্ছেন। বড় বড় সব হাদিয়া! আপনি প্রথম থেকে লক্ষ করেছেন, একদম এক কোনে সাদা মাটা এক ভাই দুই হাত পিছনে লুকিয়ে ঠায় দাঁড়িয়ে আছে, আর একটু পর পর আপনার দিকে তাকাচ্ছে। চোখে চোখ পড়লে অন্য দিকে দৃষ্টি ফিরিয়ে নিচ্ছে, সবাই চলে গেলে আপনি যখন সেই ভাই এর কাছে গেলেন সেই ভাই একেবারে লজ্জায় খুব ছোট হয়ে গেল, আপনি জিজ্ঞেস করলেন,কি ব্যাপার ভাই আপনার এত লজ্জা পাচ্ছেন কেন? ভাই বললো, "ভাই আমি তো আপনার জন্য একটা হাদিয়া নিয়ে আসছিলাম, কিন্তু এখন অন্য ভাই রা এত বড় বড় হাদিয়া নিয়ে আসছে যে এখন আমি আমার হাদিয়া নিয়ে খুব লজ্জায় পড়ে গেছি" আপনি জিজ্ঞেস করলেন," কই ভাই দেখি আপনি কি নিয়ে আসছেন? ভাই খুব লজ্জার সাথে পিছন থেকে হাত টা বের করে আনলো, আপনি দেখলেন ভাই এর হাতে খুব সুন্দর করে মুড়ানো ছোট্ট একটা আতর! আপনি কি বুকে হাত দিয়ে বলতে পারবেন না যে, সেই আতর টাই হবে আপনার কাছে সবচেয়ে প্রিয় হাদিয়া!
কেন? এটা আতর তাই? না...
প্রথম কারনঃ সেই ভাই নিজেকে উনার ছোট হাদিয়ার জন্য এমন ছোট করে রেখেছিলেন যে সেটাই আপনার কাছে সব্বচেয়ে বড় হয়ে গেছে, কারন এখনে হাদিয়া মুখ্য না, মুখ্য হচ্ছে ভাই এর অন্তরের সেই সংকোচ, সেই দীনতা। আর সেই ভাই এর প্রতি আপনার ভালোবাসা এই দীনতা দেখে এক মুহূর্তে সেই হাদিয়ার মুল্য কে বিশাল করে দিয়েছে।
দ্বিতীয় কারনঃ ভাই জানেন যে এটা একটা ছোট্ট আতর ছাড়া কিছুই না, তবুও তিনি এটাকে আপনার কাছে আরো সুন্দর করার জন্য এটাকে খুব যত্ন করে রঙ্গিন একটা কাগজে মুড়িয়ে নিয়ে এসেছেন। ভাই এর আন্তরিকতা এর মুল্য কে আরো বাড়িয়ে দিয়েছে।
এবার বলেন তো ভাই, আল্লাহ্* আপনাকে যেই ভালোবাসা দিয়েছেন সেই ভালোবাসা ব্যাবহার করে একটা আতর যদি আপনার কাছে এত প্রিয় হয়ে যায়, সেখানে সমস্ত ভালোবাসা যে আল্লাহ্* নিজের কাছে রেখেছেন সেই আল্লাহ্*র কাছে এই কালিমা দুটি কত প্রিয় হতে পারে!
তাই নয়, আর যদি খুব লজ্জা আর বিনয়, আর সংকোচ নিয়ে যদি এই কালিমা দুটি বলা হয় তাহলে তা কত প্রিয় হতে পারে!
তাই নয়, আপনি কিন্তু এই ভাই কে বলেন নি যে, এই আতর আমার কাছে "হাবিবাতান" কিন্তু আল্লাহ্* নিজে যেখানে বলে দিয়েছেন, এই কালিমা দুইটা আমার কাছে হাবিবাতান.. তাহলে তা আসলে কত প্রিয় হতে পারে!
তাই নয়, আল্লাহ্*র কি আসলেই এমন কিছু প্রয়োজন আছে, যা আল্লাহ্*র কাছে প্রিয় এবং সেটা আমাদের কাছে থেকে আল্লাহ্* চান, না কক্ষনো না, আল্লাহ্*র তাসবীহ পাঠ করার জন্য তো বিলিওন বিলিওন ফেরেশতা আছেনই! তাহলে কেন?
এটাই হচ্ছে সবচেয়ে অন্তর প্রশান্ত করা বিষয়, আর তা হচ্ছে, কারন আল্লাহ্* আপনাকে আল্লাহ্*র সাথে ভালোবাসার সম্পর্ক তৈরি করার, আল্লাহ্*র সাথে মুহাব্বাতের সম্পর্ক তৈরি করার সুযোগ দিতে চান! আল্লাহ্* চান আপনি আল্লাহ্* কে মুহাব্বাত করতে পারেন! আল্লাহু আকবর! এরচেয়ে মধুর আর কোন সম্পর্ক কি হতে পারে! বান্দা আর আল্লাহ্*র সম্পর্ক! আল্লাহ্* জানেন তার বান্দা বড়ই গাফেল, এজন্য আল্লাহ্* মাত্র ৫ সেকেন্ড করে দিয়েছেন! মাত্র ৫ সেকেন্ড .. আল্লাহ্* বলছেন এই কালিমা দুইটা আমার অনেক মুহাব্বাতের ... আর আপনি যদি আল্লাহ্*র মুহাব্বাতের সেই জিনিষ কে কুড়িয়ে কুড়িয়ে আল্লাহ্* কে দিয়ে দেন, তবেই না আল্লাহ্*র সাথে আপনার মুহাব্বাতের সম্পর্ক হয়ে গেল!
ও ভাই, এত কিছু মাত্র ৫ সেকেন্ড.. ও ভাই মাত্র ৫ সেকেন্ড... সুবহা'নাল্লাহি ওয়াবি হা'মদিহি সুবহা'নাল্লাহিল আ'জিম! আর এভাবেই ৫ সেকেন্ড ৫ সেকেন্ড করে করেই এক দিন দেখবেন আপনার দিল আল্লাহর সাথে এত মুহাব্বাতের সম্পর্ক হয়ে গেছে যে, আপনি তখন আপন মনে বলে উঠবেন, ইয়া রব্ব আপনি কি আমার প্রতি রাজি! আমি আপনার উপর রাজি.. আপনি বলবেন ইয়া রব্ব, আপনি কি আমার উপর রাগ হয়েছেন, আপনি যদি আমার উপর রাগ হন তাহলে তো আমি ধ্বংস হয়েই গেলাম আর আপনি আমাকে মাফ করে দেন তবে আমি আপনার রহমতের ভিখারী! আল্লাহ্*র সাথে দিলের সম্পর্ক!
আর সবশেষে
"আল্লাহ্*র স্মরনেই আছে অন্তর সমূহের প্রশান্তি"
আজ আপনাদের সাথে অদ্ভুত সুন্দর এক হাদিস শেয়ার করবো ইনশাআল্লাহ ..
হাদিস টি সাহিহ বুখারির
كلمتان خفيفتان على اللسان ، ثقيلتان في الميزان، حبيبتان إلى الرحمن: سبحان الله وبحمده، سبحان الله العظيم
কালিমাতান.. খাফিফাতান আ'লাল লিসান.. থাকী'লাতান ফিল মিঝান... হা'বিবাতান ইলার রাহ'মানঃ সুবহা'নাল্লাহি ওয়াবি হা'মদিহি সুবহা'নাল্লাহিল আ'জিম
রাসুল (সাঃ) বলছেন, "কালিমাতান" .. দুটি কালিমা আছে.. দুটি শব্দ আছে.. "খাফিফাতান - আ'লাল লিসান" .. এমন দুটি শব্দ যা জিহব্বায় (উচ্চারনে) খুব সহজ খাফিফাতান .. খুবই সহজ, একেবারেই হালকা .."থাকী'লাতান ফিল মিঝান" সেই শব্দ দুটি মিঝানে (পাল্লায়) অত্যন্ত ভারী .. দুইটা কালিমা বা শদ আছে এমন যা উচ্চারন করা খুবই সহজ কিন্তু মিঝানে বা পাল্লায় অনেক ভারী। এবং বিভিন্ন শায়েখগণ এই ভারী কে ব্যাখ্যা করেছেন, পাল্লায় ভারী কিন্তু কত ভারী? শায়েখ রা বলেছেন এই ভারী হচ্ছে তার চেয়েও বেশী ভারী যত আপনি কল্পনা করতে পারেন! অর্থাৎ আপনি যতই ভারী মনে করেন না কেন পাল্লায় এটা তার চেয়েও বেশি ভারী হবে! সুবহানাল্লাহ!
কিন্তু এটাই শেষ না, বরং হাদিসের সবচেয়ে সুন্দর অংশ হচ্ছে এখন! "হা'বিবাতান - ইলার রাহ'মান"
আসেন, এইখানে আমরা একটু সময় নেই, কথা টা খেয়াল করি.. "হা বি বা তা ন - ই লা র রাহ' মা ন" রহ'মান এর কাছে যা অত্যন্ত প্রিয়, প্রিয় শব্দ টা হা'বিবাতান এর যথাযথ ভাব প্রকাশ করতে পারেনা, বরং বলি অত্যন্ত মুহাব্বাতের। অর্থাৎ এই কালিমা দুইটা আল্লাহ্*র কাছে অত্যন্ত মুহাব্বাতের!
ভাই, আল্লাহ্* যদি আজ আমাদের কারো কাছে এমন ওহী করেন, "হে ফুলান, আমার কাছে এই জিনিষ টা অত্যন্ত মুহাব্বাতের!" আমি বা আপনি কি করবো? মনে হচ্ছে না, কি করবো মানে? সব কুরবান করে দিবো! ভাই কিচ্ছুনা, মাত্র ৫ সেকেন্ড! তাজ-উইদ সহ পড়লেও মাত্র ৫ সেকেন্ড! যা আল্লাহ্*র কাছে অত্যন্ত মুহাব্বাতের! বুখারী, সাহিহ বুখারী! আল্লাহ্* কি বলেন নি রাসুল (সাঃ) তাই বলেন যা আল্লাহ্* বলতে নির্দেশ করেন ..
কত ছোট অথচ কত বিশাল তাই না!
ভাই আমাদের রব আমাদের প্রতি অতি অল্পেই সন্তুষ্ট হয়ে যান। কত অল্পে সন্তুষ্ট হয়ে যান তার একটা প্রমান তো পেয়েই গেলাম, মাত্র ৫ সেকেন্ড! আমরা আলহামদুলিল্লাহ আজ অনেক বড় বড় কাজ করি, আল্লাহ্* কবুল করুন কিন্তু বড় কাজের ফাঁক ফোঁকরে এই ৫ সেকেন্ড গুলো যেন হারিয়ে না যায়।
আল্লাহ্* বান্দার অসহায়ত্ব, দীনতা পছন্দ করেন...
ধরেন, কোন উপলক্ষে আপনার জন্য ভাইরা হাদিয়া নিয়ে আসছেন, সবাই এক এক করে আসছেন আর আপনাকে হাদিয়া দিয়ে মুসাফা করে চলে যাচ্ছেন। বড় বড় সব হাদিয়া! আপনি প্রথম থেকে লক্ষ করেছেন, একদম এক কোনে সাদা মাটা এক ভাই দুই হাত পিছনে লুকিয়ে ঠায় দাঁড়িয়ে আছে, আর একটু পর পর আপনার দিকে তাকাচ্ছে। চোখে চোখ পড়লে অন্য দিকে দৃষ্টি ফিরিয়ে নিচ্ছে, সবাই চলে গেলে আপনি যখন সেই ভাই এর কাছে গেলেন সেই ভাই একেবারে লজ্জায় খুব ছোট হয়ে গেল, আপনি জিজ্ঞেস করলেন,কি ব্যাপার ভাই আপনার এত লজ্জা পাচ্ছেন কেন? ভাই বললো, "ভাই আমি তো আপনার জন্য একটা হাদিয়া নিয়ে আসছিলাম, কিন্তু এখন অন্য ভাই রা এত বড় বড় হাদিয়া নিয়ে আসছে যে এখন আমি আমার হাদিয়া নিয়ে খুব লজ্জায় পড়ে গেছি" আপনি জিজ্ঞেস করলেন," কই ভাই দেখি আপনি কি নিয়ে আসছেন? ভাই খুব লজ্জার সাথে পিছন থেকে হাত টা বের করে আনলো, আপনি দেখলেন ভাই এর হাতে খুব সুন্দর করে মুড়ানো ছোট্ট একটা আতর! আপনি কি বুকে হাত দিয়ে বলতে পারবেন না যে, সেই আতর টাই হবে আপনার কাছে সবচেয়ে প্রিয় হাদিয়া!
কেন? এটা আতর তাই? না...
প্রথম কারনঃ সেই ভাই নিজেকে উনার ছোট হাদিয়ার জন্য এমন ছোট করে রেখেছিলেন যে সেটাই আপনার কাছে সব্বচেয়ে বড় হয়ে গেছে, কারন এখনে হাদিয়া মুখ্য না, মুখ্য হচ্ছে ভাই এর অন্তরের সেই সংকোচ, সেই দীনতা। আর সেই ভাই এর প্রতি আপনার ভালোবাসা এই দীনতা দেখে এক মুহূর্তে সেই হাদিয়ার মুল্য কে বিশাল করে দিয়েছে।
দ্বিতীয় কারনঃ ভাই জানেন যে এটা একটা ছোট্ট আতর ছাড়া কিছুই না, তবুও তিনি এটাকে আপনার কাছে আরো সুন্দর করার জন্য এটাকে খুব যত্ন করে রঙ্গিন একটা কাগজে মুড়িয়ে নিয়ে এসেছেন। ভাই এর আন্তরিকতা এর মুল্য কে আরো বাড়িয়ে দিয়েছে।
এবার বলেন তো ভাই, আল্লাহ্* আপনাকে যেই ভালোবাসা দিয়েছেন সেই ভালোবাসা ব্যাবহার করে একটা আতর যদি আপনার কাছে এত প্রিয় হয়ে যায়, সেখানে সমস্ত ভালোবাসা যে আল্লাহ্* নিজের কাছে রেখেছেন সেই আল্লাহ্*র কাছে এই কালিমা দুটি কত প্রিয় হতে পারে!
তাই নয়, আর যদি খুব লজ্জা আর বিনয়, আর সংকোচ নিয়ে যদি এই কালিমা দুটি বলা হয় তাহলে তা কত প্রিয় হতে পারে!
তাই নয়, আপনি কিন্তু এই ভাই কে বলেন নি যে, এই আতর আমার কাছে "হাবিবাতান" কিন্তু আল্লাহ্* নিজে যেখানে বলে দিয়েছেন, এই কালিমা দুইটা আমার কাছে হাবিবাতান.. তাহলে তা আসলে কত প্রিয় হতে পারে!
তাই নয়, আল্লাহ্*র কি আসলেই এমন কিছু প্রয়োজন আছে, যা আল্লাহ্*র কাছে প্রিয় এবং সেটা আমাদের কাছে থেকে আল্লাহ্* চান, না কক্ষনো না, আল্লাহ্*র তাসবীহ পাঠ করার জন্য তো বিলিওন বিলিওন ফেরেশতা আছেনই! তাহলে কেন?
এটাই হচ্ছে সবচেয়ে অন্তর প্রশান্ত করা বিষয়, আর তা হচ্ছে, কারন আল্লাহ্* আপনাকে আল্লাহ্*র সাথে ভালোবাসার সম্পর্ক তৈরি করার, আল্লাহ্*র সাথে মুহাব্বাতের সম্পর্ক তৈরি করার সুযোগ দিতে চান! আল্লাহ্* চান আপনি আল্লাহ্* কে মুহাব্বাত করতে পারেন! আল্লাহু আকবর! এরচেয়ে মধুর আর কোন সম্পর্ক কি হতে পারে! বান্দা আর আল্লাহ্*র সম্পর্ক! আল্লাহ্* জানেন তার বান্দা বড়ই গাফেল, এজন্য আল্লাহ্* মাত্র ৫ সেকেন্ড করে দিয়েছেন! মাত্র ৫ সেকেন্ড .. আল্লাহ্* বলছেন এই কালিমা দুইটা আমার অনেক মুহাব্বাতের ... আর আপনি যদি আল্লাহ্*র মুহাব্বাতের সেই জিনিষ কে কুড়িয়ে কুড়িয়ে আল্লাহ্* কে দিয়ে দেন, তবেই না আল্লাহ্*র সাথে আপনার মুহাব্বাতের সম্পর্ক হয়ে গেল!
ও ভাই, এত কিছু মাত্র ৫ সেকেন্ড.. ও ভাই মাত্র ৫ সেকেন্ড... সুবহা'নাল্লাহি ওয়াবি হা'মদিহি সুবহা'নাল্লাহিল আ'জিম! আর এভাবেই ৫ সেকেন্ড ৫ সেকেন্ড করে করেই এক দিন দেখবেন আপনার দিল আল্লাহর সাথে এত মুহাব্বাতের সম্পর্ক হয়ে গেছে যে, আপনি তখন আপন মনে বলে উঠবেন, ইয়া রব্ব আপনি কি আমার প্রতি রাজি! আমি আপনার উপর রাজি.. আপনি বলবেন ইয়া রব্ব, আপনি কি আমার উপর রাগ হয়েছেন, আপনি যদি আমার উপর রাগ হন তাহলে তো আমি ধ্বংস হয়েই গেলাম আর আপনি আমাকে মাফ করে দেন তবে আমি আপনার রহমতের ভিখারী! আল্লাহ্*র সাথে দিলের সম্পর্ক!
আর সবশেষে
"আল্লাহ্*র স্মরনেই আছে অন্তর সমূহের প্রশান্তি"
Comment