আর তবে কি তারা আল্লাহ্*র বিরুদ্ধেই পরিকল্পনা করছে? তবে কি তারা আল্লাহ্*র বিরুদ্ধেই যুদ্ধ ঘোষণা করে ফেললো? তবে তারা কি তাদের সিদ্ধান্ত নিয়েই ফেলেছে? নাকি এখনো কেউ ফিরে আসবে?
ঘোষণা হচ্ছেঃ
"তারা কি পৃথিবীতে ভ্রমন করেনা? তাহলে দেখত, তাদের পুর্ববর্তীদের পরিনাম কি হয়েছিলো! তারা তো শক্তিতে ছিলো এদের চেয়েও শক্তিশালী। আসমান এবং জমিনের কোন কিছুই আল্লাহ কে অপরাগ করতে পারেনা।
ফাতির-৪৪
... শুনে রেখো আল্লাহ্*র অভিশাপ সেই সব যালিমদের উপর, যারা আল্লাহ্*র পথ হতে লোকদের কে ফিরিয়ে রাখে আর তাকে বক্র করতে চায়, আর তারা আখিরাত কে অস্বীকার করে। দুনিয়াতে তারা আল্লাহ কে অক্ষম করে দিতে পারবেনা ...
হুদ- ১৮-২০
ফিরাউন বলেছিলো আমার হুকুমই চলবে, আমার সংবিধান চলবে, আমি মনে করিনা আমি ছাড়া হুকুম দাতা আর কেউ আছে। আল্লাহ ফিরাউন কে ধ্বংস করেছেন, তোমাদের জন্য শিক্ষা বানিয়ে রেখে দিয়েছেন, যদি কেউ ভেবে দেখতে! আর ফিরাউন ছিলো তোমাদের জন্য সবচেয়ে বড় উদাহরন!
আদ জাতি বলেছিলো, "আমাদের চেয়ে শক্তিশালী আর কে আছে?" আল্লাহ উত্তর দিয়েছিলেন, ও আল্লাহ দ্রোহীরা ... আবার বলছি কান খুলে শুনে নাও। আল্লাহ উত্তর দিয়েছিলেন, বড় চমৎকার ছিলো সেই উত্তর, আল্লাহ বলেছিলেন,
যেই আল্লাহ তোমাদের কে সৃষ্টি করেছে, সেই আল্লাহই তোমাদের চেয়ে বেশি শক্তিশালী" আল্লাহ আরো বলছেন, "জেনে রেখো আদ জাতি তাদের প্রতিপালক কে অস্বীকার করেছিলো। জেনে রেখো আদ জাতিকে ধ্বংস করা হয়েছিলো। আল্লাহ আরো বলছেন, কিভাবে ধ্বংস করেছেন সেই আদ জাতিকে, "আর আদ কে ধ্বংস করা হয়েছিলো এক প্রচন্ড ঝড়ো হাওয়া দিয়ে, যা তাদের উপর প্রবাহিত হয়েছিলো সাত রাত আট দিন বিরামহীন ভাবে, তুমি যদি দেখতে, তারা পড়ে আছে ইতস্তত বিক্ষিপ্ত যেন তারা পুরাতন শুকনা খেজুর গাছের কান্ড! তুমি তাদের কেউকে রক্ষা পেয়ে বেঁচে থাকতে দেখছো কি? আর সামুদ জাতিকেও আল্লাহ ধ্বংস করেছিলেন, আর করেছিলেন লুত (আঃ) এর জাতিকেও!
কারন তারা তাদের রাসুল কে অস্বীকার করেছিলো আর তাদের রাসুল তাদের কাছে যে বার্তা নিয়ে এসেছিলেন তা অস্বীকার করেছিলো। তাহলে জেনে রেখো তোমাদের কাছে এসেছে, কুরআন। তোমরা কুরআন কে অস্বীকার করছো কি! লুত (আঃ) তার জাত কে বলেছিলো তোমরা সমকামীতা ত্যাগ কর, আর তার জাতি তা মানেনি। আজ তোমরা সমকামীদের সুরক্ষা দিচ্ছ না তো!
যুদ্ধ যখন শুরু করেই দিয়েছো, তবে চল কিছু যুদ্ধের ইতিহাস বলি। সঠিক ভাবে যুদ্ধ করতে হলে যুদ্ধের ইতিহাস জানতে হয়, আরো জানতে হয় প্রতিপক্ষের ইতিহাস! ওহে, আল্লাহর দুশমনেরা, কান খুলে শুনে নাও। কিছু যুদ্ধের ইতিহাস বলছি, হয়তো তোমাদের কেউ শিক্ষা নিবে।
বদর ... নামটা মনে গেঁথে নাও.. তোমাদেরই মত একটা দল নেচে গেয়ে ফুর্তি করে বদর প্রান্তে চলে আসলো, আর বললো, আজ মুহাম্মাদ আর আমাদের মধ্যে ফায়সালা হয়ে যাবে! যেচে পড়ে যুদ্ধ বাধিয়ে দিলো। আল্লাহ্*র দুশমনেরা শুনে নাও। তোমাদের প্রতিপক্ষ ছিলো মাত্র ৩১৩ জন, তোমাদের দলে ছিলো ১০০০ এর ও বেশি। সব দিক থেকে বেশি। যুদ্ধের ফলাফল, আমি বলবোনা, নিজের মুখে উচ্চারন করে নাও... হয়ত লজ্জা বোধ জাগবে!
উহুদ, এত দিন জেনে এসেছো মুসলিম বাহিনী কে তোমরা পরাজিত করেছিলে, তবে শুনে নাও রাসুল (সাঃ) তোমাদের বন্ধুদের ধাওয়া করেছিলেন, কারও টিকিটিও খুঁজে পাওয়া যায়নি, তিনদিন রাসুল (সাঃ) ময়দানে ছিলেন, কেউ মৃত দেহ উঠাতেও আসেনি।
খন্দক, খায়বার, তাবুক, ইয়ারমুক, কাদেসিয়া, নাহাওয়ান্দ .... চলে আসো ইরাক!
ইরাক থেকে শিক্ষা কি নিবে? পরাজয়!
আফগানিস্তান, শিক্ষা কি নিবে? পরাজয়!
মালি, শিক্ষা কি নিবে? পরাজয়!
সোমালিয়া, শিক্ষা কি নিবে? পরাজয়!
সিরিয়া, শিক্ষা কি নিবে? পরাজয়!
না শিক্ষা নিবে না ..
সহজ ভাষায় তোমাকে সমীকরণ টা বুঝিয়ে দেই, তোমাদের ভাষাতেই বলি,
তোমরা, অর্থাৎ গুড গাই, ভালো মানুষ, গণতন্ত্রের বিকাশ চাও বনাম আমরা, অর্থাৎ ব্যাড গাই, জঙ্গি .. ইসলামের বিকাশ চাই
বিগত ১৫ বছরের ইতিহাসে এই যুদ্ধে তোমাদের একটা ঘটনা উল্লেখ কর যা প্রমান করে তোমরা জয়ী, মনে করিয়ে দেই, যুদ্ধের জয় পরাজয় নির্ভর করে যুদ্ধের লক্ষ্যের উপরে। ঝুড়িতে ভরার মত একটাই গল্প আছে তোমাদের আর তা হচ্ছে শাইখ উসামা (রহঃ) এর শাহাদাহ। কিন্তু এ ব্যাপারে তোমাদের বুদ্ধিজীবীরাই বলে থাকে, এক উসামা মারা গেছে বটে তবে এর মধ্য দিয়ে আমরা আরো "কাউন্টলেস উসামা" তৈরি করে ফেলেছি। তোমাদের জেনে রাখা উচিত শাইখ উসামা (রহঃ) এর অন্যতম লক্ষ্য ছিলো উনার দল আল কাইদাহ উনার উপরে নির্ভর হবেনা! কি অদ্ভুত, দেখো! আল্লাহ্*র ইচ্ছায় একটা ব্যাক্তিগত লক্ষ্যের ব্যাপারেও তোমরা তাকে পরাজিত করতে পারোনি।
এত গুলো ফ্রন্টে যুদ্ধ করছ, আজ পর্যন্ত কয়টা জঙ্গি ফ্রন্ট বন্ধ করতে পেরেছো? বরং সত্য এটাই পৃথিবীর বহু প্রান্তে আরো ফ্রন্টের জন্ম নিতে দেখেছো! এভাবে চলতেই থাকবে আর লজ্জা বাড়তেই থাকবে। সব শেষে তো যুদ্ধই ছেড়ে দিলে, আর ড্রোন দিয়ে নিরীহ মানুষ হত্যা করা শুরু করলে!
এরপর, ওহে বাংলাদেশের মুরতাদ তাগুত বাহিনী!
তোমরা কি নিজেদের খুব চ্যাম্পিয়ন মনে করছো? আল্লাহ্*র ইচ্ছায় মোটা দাগে তোমাদের কিছু পরাজয় দেখিয়ে দেই ...
১. তোমাদের অপ্স রুমে যে বড় বোর্ড টা থাকে বা যদি না থাকে কল্পনা করে নাও, আর বোর্ডের সামনে যাও। একটা গ্রাফ আঁক। এক্স অক্ষে সময় প্রতি দাগে ১ বছর ওয়াই অক্ষে নাম্বার অফ মুজাহিদিন কনফ্রন্টেশন এবং টেরিটোরিয়াল এক্সপানশান। বিগত ১৫ বছরের গ্রাফ টা কেমন দেখাচ্ছে? তোমার মোটা মাথা এখান থেকে কিচ্ছু বের করতে পারবেনা একজন অ্যানালিসিস্ট কাছে পাঠিয়ে দাও, আর এর সাথে যোগ করে সেই সব ফ্যাক্টর যা এই গ্রাফে নাই। এটাকে কি বলে জানো? যুদ্ধের ভাষায়, "ক্লিন শট" তোমাদের পরাজয়ের ছবি একটা ক্লিন শটের মতই পরিষ্কার!
২. তোমরা অনেক ট্রেনিং করেছো, কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড রিজিওনাল থ্রেট হ্যান্ডলিং। এটা তো তোমাদের জন্য একটা অবশ্যিক পাঠ। ব্যাক্তিগত ভাবে আমি মনে করিনা সত্যিই সত্যিই তোমরা রিজিওনাল থ্রেট হ্যান্ডলিং এর সামান্য কিছুও জানো! রিজিওনাল থ্রেট তো অনেক দুরের কথা, লোকাল থ্রেটকেই তোমরা কোনভাবেই মুকাবিলা করতে পারোনি।
৩. ব্যাটল অফ হার্টস অ্যান্ড মাইন্ড, ইডিওলজিক্যাল ওয়ারফেয়ার। তোমাদের বুদ্ধিজীবীরা দিন রাত টিভিতে বকবক করে যাচ্ছে, তোমাদের বেশ্যারা দিন রাত নেচে গেয়ে যাচ্ছে, তোমাদের শয়তানেরা দিন রাত মুক্ত চিন্তা ছড়াচ্ছে, তোমাদের টিভি চ্যানেল গুলো দিন রাত প্রচারনা চালাচ্ছে ... কিন্তু এরপরেও তোমরা ইসলামের এই নতুন জাগরন, যুবকদের মাঝে জিহাদের ভালোবাসা, তোমাদের ঐ জঘন্য সেকুলার সমাজ ব্যাবস্থা কে বুড়াআঙ্গুল দেখনো বন্ধ করতে পারোনি। বরং দিন দিন তা আরো বেড়েই চলেছে! বরং তোমাদের হাতের মুঠোয় থাকা পত্রিকায় এসেছে, জঙ্গিরা এমন কথা বলে যে তোমরা তোমাদের ভ্রান্ত অবস্থান ধরে রাখতে পারোনা। আর তোমাদের স্বার্থে সেই কথা প্রকাশ করতে চাওনা। বাক্য টা এখানেই শেষ করেছো কিন্তু বাক্যের অসমাপ্ত অংশটুকু হচ্ছে, .... কারন সেই সব কথা প্রকাশ করলে সাধারন মানুষের উপরেও তার প্রভাব পড়তে বাধ্য! অর্থাৎ তোমাদের বুদ্ধিজীবী, তোমাদের বেশ্যা বাহিনী, মুক্ত চিন্তার নর্দমার কীট গুলও সবই ব্যার্থ হয়ে গেলো! চাইলে আবার একটা গ্রাফ একে ফেলতে পারো। ফলাফল, লজ্জাজনক পরাজয়!
৪. আসো এবার তোমাদের একটা "অন গ্রাউন্ড" সিনারিও দেখাই। "মাসল পাওয়ার" কিংবা "ফায়ার পাওয়ার" এগুলো তোমাদের খুব সন্তুষ্টি দেয়। তোমাদের আর আমাদের এই যুদ্ধের ছোট একটা ফ্রন্ট ছিলো "নাস্তিক ফ্রন্ট" এই ফ্রন্টে তোমাদের অবজেক্টিভ ছিল যে কোন মুল্যে নাস্তিকদের নিরাপত্তা দেয়া। কি যেন বল তোমরা "নিরাপত্তা বলয়"! আর আমাদের অবজেকটিভ ছিলো ৩ টা।
নাস্তিকদের তাদের নোংরা কাজ বন্ধ করতে হবে
অথবা এই দেশ ছাড়তে হবে
অথবা নিজেদের ঘাড় কে উন্মুক্ত করে দিতে হবে
নাস্তিক দের কে নিয়ে যত সাক্ষাৎকার এবং পত্রিকার প্রতিবেদন হয়েছে দেশী কিংবা বিদেশী সব গুলোর সারমর্ম হচ্ছে, নাস্তিক রা আর আগের মত লেখা লেখির সাহস পায়না, অনেকে লেখা বন্ধ করে দিয়েছে, অনেকে গোপনে বিদেশ চলে গেছে, আর অনেকে তাদের যথাযথ কর্মফল পেয়েছে। আল্লাহ্*র ইচ্ছায়, ঠিক যা আমাদের লক্ষ্য ছিলো। আর দিন শেষে তোমাদের উক্তি ছিলো, "আমাদের পক্ষে তো সবার নিরাপত্তা দেয়া সম্ভব না" মনে করিয়ে দেই কথাটা হবে, "চিহ্নিত কয়েক জন"। নাস্তিক রা চিহ্নিতই ছিলো প্রকাশ্যেই ছিলো। দিন শেষে তাহলে আবার এই একই কথা," লজ্জাজনক পরাজয়"
হয়তো তোমাদের কেউ ভেবে দেখবে!
আর যদি না দেখে, আল্লাহ্*র ইচ্ছায় আমরা প্রস্তুত আছি, অপেক্ষায় আছি তোমাদের জন্য! কথা দিচ্ছি দেখা হবে ইনশাআল্লাহ,
আর যখন দেখা হবে, বিশ্বাস করো, তোমাদের জোড়ায় জোড়ায় আঘাত করবো, তোমাদের দুই টুকরা করে কেটে ফেলবো, ছিন্ন ভিন্ন করে ফেলবো, স্রেফ উড়িয়ে দিবো, হত্যা করবো ইনশাআল্লাহ! কথা দিচ্ছি আমাদের মধ্যে কোন দয়া দেখতে পাবেনা ইনশাআল্লাহ।
আর সবশেষে তোমাদের মহান আল্লাহর একটা অপুর্ব সুন্দর ওয়াদা স্মরন করিয়ে দিচ্ছি, যা আমাদের অন্তর সমূহ কে প্রশান্ত করে। ঘোষণা হচ্ছেঃ
"আমার প্রেরিত বান্দাদের সম্পর্কে আমার এ কথা আগেই বলা আছে যে, তাদেরকে অবশ্যই সাহায্য করা হবে, আর আমার সৈন্যরাই বিজয়ী হবে"
এখন সব শেষে একটাই প্রশ্ন থেকে যায়, তোমরা আল্লাহ্*র সৈন্য নাকি আমরা আল্লাহ্*র সৈন্য? তোমরা যদি আল্লাহ্*র সৈন্য হও তাহলে হাসিনার সৈন্য কারা? আর তোমরা যদি আল্লাহ্*র সৈন্য না হও, তবে আল্লাহ্*র সৈন্যরাই বিজয়ী হবে ইনশাআল্লাহ।
ঘোষণা হচ্ছেঃ
"তারা কি পৃথিবীতে ভ্রমন করেনা? তাহলে দেখত, তাদের পুর্ববর্তীদের পরিনাম কি হয়েছিলো! তারা তো শক্তিতে ছিলো এদের চেয়েও শক্তিশালী। আসমান এবং জমিনের কোন কিছুই আল্লাহ কে অপরাগ করতে পারেনা।
ফাতির-৪৪
... শুনে রেখো আল্লাহ্*র অভিশাপ সেই সব যালিমদের উপর, যারা আল্লাহ্*র পথ হতে লোকদের কে ফিরিয়ে রাখে আর তাকে বক্র করতে চায়, আর তারা আখিরাত কে অস্বীকার করে। দুনিয়াতে তারা আল্লাহ কে অক্ষম করে দিতে পারবেনা ...
হুদ- ১৮-২০
ফিরাউন বলেছিলো আমার হুকুমই চলবে, আমার সংবিধান চলবে, আমি মনে করিনা আমি ছাড়া হুকুম দাতা আর কেউ আছে। আল্লাহ ফিরাউন কে ধ্বংস করেছেন, তোমাদের জন্য শিক্ষা বানিয়ে রেখে দিয়েছেন, যদি কেউ ভেবে দেখতে! আর ফিরাউন ছিলো তোমাদের জন্য সবচেয়ে বড় উদাহরন!
আদ জাতি বলেছিলো, "আমাদের চেয়ে শক্তিশালী আর কে আছে?" আল্লাহ উত্তর দিয়েছিলেন, ও আল্লাহ দ্রোহীরা ... আবার বলছি কান খুলে শুনে নাও। আল্লাহ উত্তর দিয়েছিলেন, বড় চমৎকার ছিলো সেই উত্তর, আল্লাহ বলেছিলেন,
যেই আল্লাহ তোমাদের কে সৃষ্টি করেছে, সেই আল্লাহই তোমাদের চেয়ে বেশি শক্তিশালী" আল্লাহ আরো বলছেন, "জেনে রেখো আদ জাতি তাদের প্রতিপালক কে অস্বীকার করেছিলো। জেনে রেখো আদ জাতিকে ধ্বংস করা হয়েছিলো। আল্লাহ আরো বলছেন, কিভাবে ধ্বংস করেছেন সেই আদ জাতিকে, "আর আদ কে ধ্বংস করা হয়েছিলো এক প্রচন্ড ঝড়ো হাওয়া দিয়ে, যা তাদের উপর প্রবাহিত হয়েছিলো সাত রাত আট দিন বিরামহীন ভাবে, তুমি যদি দেখতে, তারা পড়ে আছে ইতস্তত বিক্ষিপ্ত যেন তারা পুরাতন শুকনা খেজুর গাছের কান্ড! তুমি তাদের কেউকে রক্ষা পেয়ে বেঁচে থাকতে দেখছো কি? আর সামুদ জাতিকেও আল্লাহ ধ্বংস করেছিলেন, আর করেছিলেন লুত (আঃ) এর জাতিকেও!
কারন তারা তাদের রাসুল কে অস্বীকার করেছিলো আর তাদের রাসুল তাদের কাছে যে বার্তা নিয়ে এসেছিলেন তা অস্বীকার করেছিলো। তাহলে জেনে রেখো তোমাদের কাছে এসেছে, কুরআন। তোমরা কুরআন কে অস্বীকার করছো কি! লুত (আঃ) তার জাত কে বলেছিলো তোমরা সমকামীতা ত্যাগ কর, আর তার জাতি তা মানেনি। আজ তোমরা সমকামীদের সুরক্ষা দিচ্ছ না তো!
যুদ্ধ যখন শুরু করেই দিয়েছো, তবে চল কিছু যুদ্ধের ইতিহাস বলি। সঠিক ভাবে যুদ্ধ করতে হলে যুদ্ধের ইতিহাস জানতে হয়, আরো জানতে হয় প্রতিপক্ষের ইতিহাস! ওহে, আল্লাহর দুশমনেরা, কান খুলে শুনে নাও। কিছু যুদ্ধের ইতিহাস বলছি, হয়তো তোমাদের কেউ শিক্ষা নিবে।
বদর ... নামটা মনে গেঁথে নাও.. তোমাদেরই মত একটা দল নেচে গেয়ে ফুর্তি করে বদর প্রান্তে চলে আসলো, আর বললো, আজ মুহাম্মাদ আর আমাদের মধ্যে ফায়সালা হয়ে যাবে! যেচে পড়ে যুদ্ধ বাধিয়ে দিলো। আল্লাহ্*র দুশমনেরা শুনে নাও। তোমাদের প্রতিপক্ষ ছিলো মাত্র ৩১৩ জন, তোমাদের দলে ছিলো ১০০০ এর ও বেশি। সব দিক থেকে বেশি। যুদ্ধের ফলাফল, আমি বলবোনা, নিজের মুখে উচ্চারন করে নাও... হয়ত লজ্জা বোধ জাগবে!
উহুদ, এত দিন জেনে এসেছো মুসলিম বাহিনী কে তোমরা পরাজিত করেছিলে, তবে শুনে নাও রাসুল (সাঃ) তোমাদের বন্ধুদের ধাওয়া করেছিলেন, কারও টিকিটিও খুঁজে পাওয়া যায়নি, তিনদিন রাসুল (সাঃ) ময়দানে ছিলেন, কেউ মৃত দেহ উঠাতেও আসেনি।
খন্দক, খায়বার, তাবুক, ইয়ারমুক, কাদেসিয়া, নাহাওয়ান্দ .... চলে আসো ইরাক!
ইরাক থেকে শিক্ষা কি নিবে? পরাজয়!
আফগানিস্তান, শিক্ষা কি নিবে? পরাজয়!
মালি, শিক্ষা কি নিবে? পরাজয়!
সোমালিয়া, শিক্ষা কি নিবে? পরাজয়!
সিরিয়া, শিক্ষা কি নিবে? পরাজয়!
না শিক্ষা নিবে না ..
সহজ ভাষায় তোমাকে সমীকরণ টা বুঝিয়ে দেই, তোমাদের ভাষাতেই বলি,
তোমরা, অর্থাৎ গুড গাই, ভালো মানুষ, গণতন্ত্রের বিকাশ চাও বনাম আমরা, অর্থাৎ ব্যাড গাই, জঙ্গি .. ইসলামের বিকাশ চাই
বিগত ১৫ বছরের ইতিহাসে এই যুদ্ধে তোমাদের একটা ঘটনা উল্লেখ কর যা প্রমান করে তোমরা জয়ী, মনে করিয়ে দেই, যুদ্ধের জয় পরাজয় নির্ভর করে যুদ্ধের লক্ষ্যের উপরে। ঝুড়িতে ভরার মত একটাই গল্প আছে তোমাদের আর তা হচ্ছে শাইখ উসামা (রহঃ) এর শাহাদাহ। কিন্তু এ ব্যাপারে তোমাদের বুদ্ধিজীবীরাই বলে থাকে, এক উসামা মারা গেছে বটে তবে এর মধ্য দিয়ে আমরা আরো "কাউন্টলেস উসামা" তৈরি করে ফেলেছি। তোমাদের জেনে রাখা উচিত শাইখ উসামা (রহঃ) এর অন্যতম লক্ষ্য ছিলো উনার দল আল কাইদাহ উনার উপরে নির্ভর হবেনা! কি অদ্ভুত, দেখো! আল্লাহ্*র ইচ্ছায় একটা ব্যাক্তিগত লক্ষ্যের ব্যাপারেও তোমরা তাকে পরাজিত করতে পারোনি।
এত গুলো ফ্রন্টে যুদ্ধ করছ, আজ পর্যন্ত কয়টা জঙ্গি ফ্রন্ট বন্ধ করতে পেরেছো? বরং সত্য এটাই পৃথিবীর বহু প্রান্তে আরো ফ্রন্টের জন্ম নিতে দেখেছো! এভাবে চলতেই থাকবে আর লজ্জা বাড়তেই থাকবে। সব শেষে তো যুদ্ধই ছেড়ে দিলে, আর ড্রোন দিয়ে নিরীহ মানুষ হত্যা করা শুরু করলে!
এরপর, ওহে বাংলাদেশের মুরতাদ তাগুত বাহিনী!
তোমরা কি নিজেদের খুব চ্যাম্পিয়ন মনে করছো? আল্লাহ্*র ইচ্ছায় মোটা দাগে তোমাদের কিছু পরাজয় দেখিয়ে দেই ...
১. তোমাদের অপ্স রুমে যে বড় বোর্ড টা থাকে বা যদি না থাকে কল্পনা করে নাও, আর বোর্ডের সামনে যাও। একটা গ্রাফ আঁক। এক্স অক্ষে সময় প্রতি দাগে ১ বছর ওয়াই অক্ষে নাম্বার অফ মুজাহিদিন কনফ্রন্টেশন এবং টেরিটোরিয়াল এক্সপানশান। বিগত ১৫ বছরের গ্রাফ টা কেমন দেখাচ্ছে? তোমার মোটা মাথা এখান থেকে কিচ্ছু বের করতে পারবেনা একজন অ্যানালিসিস্ট কাছে পাঠিয়ে দাও, আর এর সাথে যোগ করে সেই সব ফ্যাক্টর যা এই গ্রাফে নাই। এটাকে কি বলে জানো? যুদ্ধের ভাষায়, "ক্লিন শট" তোমাদের পরাজয়ের ছবি একটা ক্লিন শটের মতই পরিষ্কার!
২. তোমরা অনেক ট্রেনিং করেছো, কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড রিজিওনাল থ্রেট হ্যান্ডলিং। এটা তো তোমাদের জন্য একটা অবশ্যিক পাঠ। ব্যাক্তিগত ভাবে আমি মনে করিনা সত্যিই সত্যিই তোমরা রিজিওনাল থ্রেট হ্যান্ডলিং এর সামান্য কিছুও জানো! রিজিওনাল থ্রেট তো অনেক দুরের কথা, লোকাল থ্রেটকেই তোমরা কোনভাবেই মুকাবিলা করতে পারোনি।
৩. ব্যাটল অফ হার্টস অ্যান্ড মাইন্ড, ইডিওলজিক্যাল ওয়ারফেয়ার। তোমাদের বুদ্ধিজীবীরা দিন রাত টিভিতে বকবক করে যাচ্ছে, তোমাদের বেশ্যারা দিন রাত নেচে গেয়ে যাচ্ছে, তোমাদের শয়তানেরা দিন রাত মুক্ত চিন্তা ছড়াচ্ছে, তোমাদের টিভি চ্যানেল গুলো দিন রাত প্রচারনা চালাচ্ছে ... কিন্তু এরপরেও তোমরা ইসলামের এই নতুন জাগরন, যুবকদের মাঝে জিহাদের ভালোবাসা, তোমাদের ঐ জঘন্য সেকুলার সমাজ ব্যাবস্থা কে বুড়াআঙ্গুল দেখনো বন্ধ করতে পারোনি। বরং দিন দিন তা আরো বেড়েই চলেছে! বরং তোমাদের হাতের মুঠোয় থাকা পত্রিকায় এসেছে, জঙ্গিরা এমন কথা বলে যে তোমরা তোমাদের ভ্রান্ত অবস্থান ধরে রাখতে পারোনা। আর তোমাদের স্বার্থে সেই কথা প্রকাশ করতে চাওনা। বাক্য টা এখানেই শেষ করেছো কিন্তু বাক্যের অসমাপ্ত অংশটুকু হচ্ছে, .... কারন সেই সব কথা প্রকাশ করলে সাধারন মানুষের উপরেও তার প্রভাব পড়তে বাধ্য! অর্থাৎ তোমাদের বুদ্ধিজীবী, তোমাদের বেশ্যা বাহিনী, মুক্ত চিন্তার নর্দমার কীট গুলও সবই ব্যার্থ হয়ে গেলো! চাইলে আবার একটা গ্রাফ একে ফেলতে পারো। ফলাফল, লজ্জাজনক পরাজয়!
৪. আসো এবার তোমাদের একটা "অন গ্রাউন্ড" সিনারিও দেখাই। "মাসল পাওয়ার" কিংবা "ফায়ার পাওয়ার" এগুলো তোমাদের খুব সন্তুষ্টি দেয়। তোমাদের আর আমাদের এই যুদ্ধের ছোট একটা ফ্রন্ট ছিলো "নাস্তিক ফ্রন্ট" এই ফ্রন্টে তোমাদের অবজেক্টিভ ছিল যে কোন মুল্যে নাস্তিকদের নিরাপত্তা দেয়া। কি যেন বল তোমরা "নিরাপত্তা বলয়"! আর আমাদের অবজেকটিভ ছিলো ৩ টা।
নাস্তিকদের তাদের নোংরা কাজ বন্ধ করতে হবে
অথবা এই দেশ ছাড়তে হবে
অথবা নিজেদের ঘাড় কে উন্মুক্ত করে দিতে হবে
নাস্তিক দের কে নিয়ে যত সাক্ষাৎকার এবং পত্রিকার প্রতিবেদন হয়েছে দেশী কিংবা বিদেশী সব গুলোর সারমর্ম হচ্ছে, নাস্তিক রা আর আগের মত লেখা লেখির সাহস পায়না, অনেকে লেখা বন্ধ করে দিয়েছে, অনেকে গোপনে বিদেশ চলে গেছে, আর অনেকে তাদের যথাযথ কর্মফল পেয়েছে। আল্লাহ্*র ইচ্ছায়, ঠিক যা আমাদের লক্ষ্য ছিলো। আর দিন শেষে তোমাদের উক্তি ছিলো, "আমাদের পক্ষে তো সবার নিরাপত্তা দেয়া সম্ভব না" মনে করিয়ে দেই কথাটা হবে, "চিহ্নিত কয়েক জন"। নাস্তিক রা চিহ্নিতই ছিলো প্রকাশ্যেই ছিলো। দিন শেষে তাহলে আবার এই একই কথা," লজ্জাজনক পরাজয়"
হয়তো তোমাদের কেউ ভেবে দেখবে!
আর যদি না দেখে, আল্লাহ্*র ইচ্ছায় আমরা প্রস্তুত আছি, অপেক্ষায় আছি তোমাদের জন্য! কথা দিচ্ছি দেখা হবে ইনশাআল্লাহ,
আর যখন দেখা হবে, বিশ্বাস করো, তোমাদের জোড়ায় জোড়ায় আঘাত করবো, তোমাদের দুই টুকরা করে কেটে ফেলবো, ছিন্ন ভিন্ন করে ফেলবো, স্রেফ উড়িয়ে দিবো, হত্যা করবো ইনশাআল্লাহ! কথা দিচ্ছি আমাদের মধ্যে কোন দয়া দেখতে পাবেনা ইনশাআল্লাহ।
আর সবশেষে তোমাদের মহান আল্লাহর একটা অপুর্ব সুন্দর ওয়াদা স্মরন করিয়ে দিচ্ছি, যা আমাদের অন্তর সমূহ কে প্রশান্ত করে। ঘোষণা হচ্ছেঃ
"আমার প্রেরিত বান্দাদের সম্পর্কে আমার এ কথা আগেই বলা আছে যে, তাদেরকে অবশ্যই সাহায্য করা হবে, আর আমার সৈন্যরাই বিজয়ী হবে"
এখন সব শেষে একটাই প্রশ্ন থেকে যায়, তোমরা আল্লাহ্*র সৈন্য নাকি আমরা আল্লাহ্*র সৈন্য? তোমরা যদি আল্লাহ্*র সৈন্য হও তাহলে হাসিনার সৈন্য কারা? আর তোমরা যদি আল্লাহ্*র সৈন্য না হও, তবে আল্লাহ্*র সৈন্যরাই বিজয়ী হবে ইনশাআল্লাহ।
Comment