الاربعون من الاحاديث النبوية
في فضل الجهاد و المجاهدين
জিহাদ ও মুজাহিদের মর্যাদা
চল্লিশ হাদীস
مكانة المجاهد في سبيل الله
১। আল্লাহর রাস্তায় মুজাহিদের মর্যাদাঃ
عن أبي هريرة رضي الله عنه قال : قال رسول الله : إن في الجنة مائة درجة أعدها الله للمجاهدين في سبيل الله ، ما بين الدرجتين كما بين السماء والأرض -أخرجه أحمد (2/339 ، رقم 8455) ، والبخارى (3/1028 ، رقم 2637) وابن حبان (10/471 ، رقم 4611)
হযরত আবু হুরাইরা (রাঃ) বর্ণনা করেন রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এরশাদ করেন- নিশ্চয় জান্নাতে ১০০ টি স্তর রয়েছে যেগুলো আল্লাহ তায়ালার রাস্তায় মুজাহিদদের জন্য তৈরী করেছেন। প্রতি দুইটি স্তরের মাঝে ঐরুপ ব্যবধান যেমন আসমান ও যমিনের মাঝে বিদ্যমান। ।
(বুখারী-৩/১০২৮হাঃ নং-২৬৩৭,মুসনাদে আহমদ-২/৩৩৯হাঃ নং-৪৮৫৫,ইবনে হিব্বান-১০/৪৭১হাঃ নং-৪৬১১)
المجاهد في سبيل الله كالصائم القائم القانت بآيات الله
২। আল্লাহর রাস্তায় জ্বিহাদরত ব্যক্তির উদাহরণ ঐ ব্যেক্তির ন্যায় যিনি রোজাদার ও রাত্রিতে দাড়িয়ে নামাজরত।
عن أبي هريرة رضي الله عنه قال : قال رسول الله صلى الله عليه وسلم : « مَثَلُ الْمُجَاهِدِ فِى سَبِيلِ اللَّهِ كَمَثَلِ الصَّائِمِ الْقَائِمِ الْقَانِتِ بِآيَاتِ اللَّهِ لاَ يَفْتُرُ مِنْ صِيَامٍ وَلاَ صَلاَةٍ حَتَّى يَرْجِعَ الْمُجَاهِدُ فِى سَبِيلِ اللَّهِ تَعَالَى »
أخرجه : البخاري 4/18 (2785) ، ومسلم 6/35 (1878) (110) ابن حبان (10/486 ، رقم 4627) أخرجه أحمد (4/272 ، رقم 18425)
হযরত আবু হুরাইরা (রাঃ) হইতে বর্ণিত তিনি বলেন রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এরশাদ করেনঃ আল্লাহর রাস্তায় জ্বিহাদকারীর উদাহরণ যেমন কোন ব্যক্তি রোজাদার ও রাত্রিতে দাড়িয়ে নামাজে তেলাওয়াতরত যার রোজা ও নামাজে বিরতিহীন যতক্ষণ না মুজাহিদ ফিরে আসে।
(বুখারী-৪/১৮হা;নং-২৭৮৫,মুসলিম-৬/৩৫হাঃনং-১৮৭৮,ইবনে হিব্বান-১০/৪৮৬হা;নং-৪৬২৭,মুসনাদে আহমদ-৪/২৭২হা;নং-১৮৪২৫)
أجر الجهاد في سبيل الله
৩। আল্লাহর রাস্তায় জিহাদের ফজিলত
عن أبي هريرة رضي الله عنه قال : يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ انْتَدَبَ اللَّهُ لِمَنْ خَرَجَ فِي سَبِيلِهِ لَا يُخْرِجُهُ إِلَّا جِهَادٌ فِي سَبِيلِ اللَّهِ وَإِيمَانًا بِي وَتَصْدِيقًا بِرُسُلِي أَنَّهُ عَلَيَّ ضَامِنٌ أَنْ أُدْخِلَهُ الْجَنَّةَ أَوْ أُرْجِعَهُ إِلَى مَسْكَنِهِ الَّذِي خَرَجَ مِنْهُ نَائِلًا مَا نَالَ مِنْ أَجْرٍ أَوْ غَنِيمَةٍ " رواه البخاري (1/22 ، رقم 36) ، ومسلم (3/1495 ، رقم 1876) ، والنسائى (8/119 ، رقم 5029) . البيهقى (9/157 ، رقم 18265) صحيح الجامع حديث رقم : 1491 أخرجه أحمد (2/384 ، رقم 8968) ،
হযরত আবু হুরাইরা (রাঃ) হইতে বর্ণিত তিনি বলেন রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এরশাদ করেন- আল্লাহ তায়ালা দায়িত্ব নেন ঐ ব্যেক্তির যিনি আল্লাহর রাস্তায় বের হন তাহাকে একমাত্র আমার উপর ঈমান ও আল্লাহর রাসুলের প্রতি বিশ্বাস তাকে বের করে আমি তাকে ফিরাইয়া আনিব এমন অবস্থায় যে, সে সওয়াব পাইবে অথবা গণিমত অথবা তাকে জান্নাতে প্রবেশ করাইবো। (বুখারী-১/২২হা;নং-৩৬,মুসলিম-৩/১৪৯৫হা;নং-১৮৭৬,নাসায়ী-৮/১১৯হা;নং-৫০২৯,বায়হাকী-৯/১৫৭হা;নং-১৮২৬৫,সহীহুল জামে’-১৪৯১,মুসনাদে আহমদ-২/৩৮৪হা;নং-৮৯৬৮)
الشوق إلى الموت في سبيل الله
৪। আল্লাহর রাস্তায় শাহাদতের আগ্রহ
عن أبي هريرة رضي الله عنه قال : قال رسول الله صلى الله عليه وسلم : " والذي نفسي بيدهلوددت أن أقتل في سبيل الله ثم
أُحيا ثم أقتل ، ثم أحيا ثم أقتل ، ثم أحيا ثم أقتل " ولمسلم " وَالَّذِى نَفْسُ مُحَمَّدٍ بِيَدِهِ لَوَدِدْتُ أَنِّى أَغْزُو فِى سَبِيلِ اللَّهِ فَأُقْتَلُ ثُمَّ أَغْزُو فَأُقْتَلُ ثُمَّ أَغْزُو فَأُقْتَلُ »رواه البخاري [ 2635 ، 2741 ، 2955 ، 7019 ، 1025 ، وانظر 235 ، 2644 ] أخرجه ابن ماجه (2/920 ، رقم 2753) . وأخرجه أيضا : ابن أبى شيبة (4/202 ، رقم 19316)
হযরত আবু হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন- রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এরশাদ করেন ঐ সত্তার কসম যার হাতে আমার জান আমি ভালবাসি যে, আল্লাহর রাস্তায় শহীদ হয়ে যাই, অতঃপর জীবিত হই, অতঃপর শহীদ হই আবার জীবিত হই, আবার শহীদ হই অতঃপর জীবিত হই, পুনরাই শহীদ হই।। (মুসলিম শরীফে রয়েছে আমি চাই যে আল্লাহর রাস্তায় জ্বিহাদ করি অতঃপর শহীদ হই অতঃপর জ্বিহাদ করি ও শহীদ হই অতঃপর জ্বিহাদ করি ও শহীদ হই। (বুখারী-হা;নং-২৬৩৫,২৭৪১,২৯৫৫,৭০১৯,১০২৫,২৩৫,২৬৪৪,ইবনে মাজাহ-২/৯২০হা;নং-২৭৫৩,ইবনে আবি শায়বা-৪/২০২হা;নং-১৯৩১৬)
رباط يوم في سبيل الله خير من الدنيا وما عليها
৫। আল্লাহর রাস্তায় একদিন পাহারা দেওয়া দুনিয়ায় ও দুনিয়ার মধ্যে যাহা কিছু আছে তার চেয়ে উত্তম-
عن سهل بن سعد رضي الله عنه قال : قال رسول الله صلى الله عليه وآله وسلم : " رباط يوم في سبيل الله خير من الدنيا وما عليها " وعند مسلم : لغدوة في سبيل الله خير من الدنيا وما عليها " رواه البخاري (3/1059 ، رقم 2735)أخرجه أحمد (1/65 ، رقم 470) ، والترمذى (4/189 ، رقم 1667. والنسائى رقم 325) . الدارمى (2/277 ، رقم 2424) ، وعبد بن حميد (ص 47 ، رقم 51) أخرجه الطبرانى (6/252 ، رقم 6134)
হযরত সাহল বিন সা’আদ (রাঃ) হইতে বর্ণিত তিনি বলেন- রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এরশাদ করেন- আল্লাহ তায়ালার রাস্তায় একদিন পাহারা দেওয়া দুনিয়া ও দুনিয়ার মধ্যে যাহা কিছু আছে তাহার চেয়ে উত্তম- (মুসলিম শরীফে রয়েছে আল্লাহর রাস্তায় এক সকাল দুনিয়া ও দুনিয়ার মধ্যে যাহা কিছু আছে তাহার চেয়ে উত্তম। (বুখারী-৩/১০৫৯হা;নং-২৭৩৫,মুসনাদে আহমদ-১/৬৫হা;নং-৪৭০,তিরমিযী-৪/১৮৯হা;নং-১৬৬৭,নাসায়ী-৩২৫,দারেমী-২/২৭৭হা;নং-২৪২৪,)আবদ বিন হুমাইদ-৫১, তাবারানী-৬/২৫২হা;নং-৬১৩৪)
لغدوة في سبيل الله أو روحة خير من الدنيا وما عليها
৬। আল্লাহর রাস্তায় এক সকাল অথবা বিকাল দুনিয়া ও দুনিয়ার মধ্যে যাহা কিছু আছে তার চেয়ে উত্তম-
عن أنس رضي الله عنه قال : قال رسول الله صلى الله عليه وآله وسلم : " لغدوة في سبيل الله أو روحةٌ خيرٌ من الدنيا وما فيها " رواه البخاري (3/1028 ، رقم 2639) ، ومسلم (3/1499 ، رقم 1880) ، والترمذى (4/181 ، رقم 1651) ، وقال : صحيح . وابن ماجه (2/921 ، رقم 2757) ، ، وأحمد (1/256 ، رقم 2317) ، والطبرانى (11/388 ، رقم 12081) .حديث عمر : أخرجه البيهقى (3/187 ، رقم 5445) أخرجه أحمد (3/141 ، رقم 12459) ، وأبو عوانة (4/466 ، رقم 7356) ، وابن حبان (10/461 ، رقم 4602)
হযরত আনাস (রাঃ) হইতে বর্ণিত তিনি বলেন- রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এরশাদ করেন আল্লাহর রাস্তায় এক সকাল অথবা বিকাল দুনিয়া ও দুনিয়ার মধ্যে যাহা কিছু আছে তার চেয়ে উত্তম। (বুখারি ও মুসলিম)
الرباط في سبيل الله عمل صالح يجري من بعد الموت
৭। আল্লাহর রাস্তায় পাহারা দেওয়া এমন আমল যাহা মৃত্যুর পরও জারী থাকে –
عن سلمان الفارسي رضي الله عنه قال : سمعت رسول الله صلى الله عليه وآله وسلم يقول
رباط يوم وليلة في سبيل الله خير من صيام شهر وقيامه ، وإن مات جرى عليه عمله الذي كان يعمله ، وأُجري عليه رزقه ، وأمن الفتّان " أخرجه مسلم (3/1520 ، رقم 1913) ، وابن حبان (10/485 ، رقم 4626) . وأخرجه أيضًا : أبو عوانة (4/497 ، رقم 7468) أخرجه أيضًا : المحاملى فى أماليه (ص 380 ، رقم 435) ، والبزار (6/492 ، رقم 2528) ، والبيهقى فى شعب الإيمان (4/40 ، رقم 4285)
হযরত সালমান ফারসা (রাঃ) হইতে বর্ণিত তিনি বলেন- আমি রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলিতে শুনিয়াছি আল্লাহর রাস্তায় একদিন ও রাত্রি এক মাস রোজা ও রাত জেগে ইবাদত হইতে উত্তম- যদি সে পাহারারত অবস্থায় মারা যায় তবে তার জীবনে কৃত সমস্ত নেক আমলের সওয়াব বৃদ্ধি পেতে থাকবে তাকে জান্নাতের রিযিক দেওয়া হবে ও কবর হাশরের ফেতনা (পরীক্ষা) থেকে মুক্তি দেওয়া হবে। (মুসলিম)
لا تمس النار القدمين اللتين اغبرتا في سبيل الله
৮। ঐ দুটি কদমকে জাহান্নামের আগুন স্পর্শ করবে না যা আল্লাহর রাস্তায় ধুলামণ্ডিত হয়।
عن أبي عبس رضي الله عنه قال : قال رسول الله صلى الله عليه وآله وسلم : " ما اغبرت قدما عبد في سبيل الله فتمسه النار "رواه البخاري [ ر 865 ] 3794 - [ 8 ] ( صحيح ) رواه الترمذي وقال حديث حسن صحيح
হযরত আবু আবাস (রাঃ) হইতে বর্ণিত তিনি বলেন রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এরশাদ করেন- যে ব্যেক্তির দুটি পা আল্লাহর রাস্তায় ধুলা মিশ্রিত হয় তাকে জাহান্নামের আগুন স্পর্শ করবে না। (বুখারি)
لايدخل مسلم قتل كافرا في النار
৯। ঐ মুসলিম যিনি কোন কাফেরকে হত্যা করেছেন তিনি জাহান্নামে প্রবেশ করবেন না।
عن أبي هريرة رضي الله عنه قال : قال رسول الله صلى الله عليه وعلى آله وسلم قال لا يجتمع كافر وقاتله في النار أبدا " أخرجه مسلم (3/1505 ، رقم 1891) ، وأبو داود (3/7 ، رقم 2495) ، وابن حبان (10/521 ، رقم 4665) . وأخرجه أيضًا : أحمد (2/397 ، رقم 9152) ، وأبو عوانة (4/476 ، رقم 7392) أخرجه الطبرانى (4/21 ، رقم 3536) ، قال الهيثمى (10/170) : رجاله رجال الصحيح غير ابن لهيعة وهو حسن الحديث . والحاكم (3/390 ، رقم 5478)
হযরত আবু হুরাইরা (রাঃ) হইতে বর্ণিত তিনি বলেন- নিশ্চয় রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এরশাদ করেছেন যে মুসলিম কোন কাফেরকে হত্যা করেছেন সে মুসলিম কখনো জাহান্নামে একত্রিত হবেন না। (মুসলিম)
الجهاد في سبيل الله من أفضل أسباب الرزق
১০। আল্লাহর রাস্তায় জ্বিহাদের মাধ্যমে সর্বোত্তম রিযিকের ব্যবস্থা।
عَنْ أَبِى هُرَيْرَةَ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ -صلى الله عليه وسلم- أَنَّهُ قَالَ « مِنْ خَيْرِ مَعَاشِ النَّاسِ لَهُمْ رَجُلٌ مُمْسِكٌ عِنَانَ فَرَسِهِ فِى سَبِيلِ اللَّهِ يَطِيرُ عَلَى مَتْنِهِ كُلَّمَا سَمِعَ هَيْعَةً أَوْ فَزْعَةً طَارَ عَلَيْهِ يَبْتَغِى الْقَتْلَ وَالْمَوْتَ مَظَانَّهُ أخرجه مسلم (3/1503 ، رقم 1889) ، وابن ماجه (2/1316 ، رقم 3977) . وأخرجه أيضًا : البيهقى فى شعب الإيمان (4/41 ، رقم 4288) ، والبيهقى (9/159 ، رقم 18278)
হযরত আবু হুরাইরা (রাঃ) হইতে বর্ণিত রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এরশাদ করেন মানুষদের মধ্যে সর্বোত্তম জীবিকা ঐ ব্যেক্তির যে জ্বিহাদের জন্য ঘোড়ার লাগাম প্রস্তুত রাখে ও উহার পিঠে আরোহণ করে। যখনই সে জ্বিহাদের এলান শুনে অথবা বিপদের টের পায় তৎক্ষণাৎ ঘোড়ার পিঠে চড়ে জ্বিহাদ করে শাহদাতের আকাঙ্ক্ষা করে এবং মৃত্যুকে নিশ্চিত জানে। (মুসলিম)
من جهز غازياً أو خلفه في أهله فقد غزا
১১। যে ব্যক্তি কোন মুজাহিদকে তৈয়ার করেছেন অথবা মুজাহিদের রেখে যাওয়া পরিবারের তত্ত্বাবধায়ন করেন তিনিও জ্বিহাদ করলেন (অর্থাৎ জ্বিহাদের সওয়াব পাবেন।)
عن زيد بن خالد رضي الله عنه أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال " من جهز غازياً في سبيل الله فقد غزا ، ومن خلف غازيا في سبيل الله بخير فقد غزا أخرجه الطيالسى (ص 129 ، رقم 956) ، وأحمد (4/116 ، رقم 17086) ، وعبد بن حميد (ص 117 ، رقم 277) ، والبخارى (3/1045 ، رقم 2688) ، ومسلم (3/1506 ، رقم 1895) ، وأبو داود (3/12 ، رقم 2509) ، والترمذى
(4/170 ، رقم 1631) وقال : حسن صحيح . والنسائى (6/46 ، رقم 3180) . وأخرجه أيضًا : ابن الجارود (ص 259 ، رقم 1037) ، والطبرانى (5/245 ، رقم 5231) ، والحاكم (2/92 ، رقم 2429) ، والبيهقى (9/28 ، رقم 17619) .
হযরত যায়েদ ইবনে খালেদ (রাঃ) হইতে বর্ণিত নিশ্চয় রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এরশাদ করেন যে ব্যক্তি কোন মুজাহিদদকে তৈয়ারি করে দেন তিনিও জ্বিহাদ করলেন, আর যে ব্যক্তি মুজাহিদের পরিবারের দায়িত্ব নিলেন তিনিও জ্বিহাদ করলেন। (বুখারি ও মুসলিম)
حرمة نساء المجاهدين
১২। মুজাহিদগনের স্ত্রীদের সম্মান
عن بريدة رضي الله عنه قال : قال رسول الله صلى الله عليه وسلم " حرمة نساء المجاهدين على القاعدين كحرمة أمهاتهم ، وما من رجل من القاعدين يخلف رجلاً من المجاهدين في أهله ، فيخونه فيهم ، إلا وُقف له يوم القيامة فيأخذ من عمله ماشاء فما ظنكم " رواه مسلم أخرجه أحمد (5/352 ، رقم 23027) ، ومسلم (3/1508 ، رقم 1897) ، وأبو داود (3/8 ، رقم 2496) ، والنسائى (6/50 ، رقم 3189) ، وأبو عوانة (4/483 ، رقم 7420) ، وابن حبان (10/492 ، رقم 4635) ، وأخرجه أيضًا : الحميدى (2/403 ، رقم 907) ، والرويانى (1/64 ، رقم 8)
হযরত বুরাইদা (রাঃ) হইতে বর্ণিত তিনি বলেন- রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এরশাদ করেন মুজাহিদগনের স্ত্রীদের মর্যাদা যারা জ্বিহাদের শরীক হয়নি তাদের মায়ের সমমর্যাদা রাখে। আর যে ব্যক্তি জ্বিহাদে শরীক না হয়ে মুজাহিদীনের কোন পরিবারের দায়িত্ব নিয়ে তার পরিবারের সাথে খেয়ানত করে কেয়ামতের দিন ঐ ব্যক্তিকে মুজাহিদের সামনে দণ্ডায়মান করা হবে এবং মুজাহিদকে বলা হবে এ লোকের আমলনামা হতে যে পরিমাণ ইচ্ছা নিয়ে নাও। অতঃপর রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেন এ সম্পর্কে তোমাদের কি ধারণা? (অর্থাৎ মুজাহিদ কি ঐ ব্যক্তির কোন নেক আমল ছেড়ে দিবে?) (মুসলিম)।
أجر المجاهد بماله
১৩। আল্লাহর রাস্তায় সম্পদ ব্যায়ের ফজিলত
عَنْ أَبِى مَسْعُودٍ الأَنْصَارِىِّ قَالَ جَاءَ رَجُلٌ بِنَاقَةٍ مَخْطُومَةٍ فَقَالَ هَذِهِ فِى سَبِيلِ اللَّهِ. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ -صلى الله عليه وسلم- « لَكَ بِهَا يَوْمَ الْقِيَامَةِ سَبْعُمِائَةِ نَاقِةٍ كُلُّهَا مَخْطُومَةٌ » رواه مسلم5005 أخرجه أحمد (4/121 ، رقم 17135) ، وابن حبان (10/506 ، رقم 4649) ، ومسلم (3/1505 ، رقم 1892) ، والنسائى (6/49 ، رقم 3187) قال الشيخ الألباني : ( صحيح ) انظر حديث رقم : 5155 في صحيح الجامع.
হযরত আবু মাস’উদ (রাঃ) আনসারী হইতে বর্ণিত তিনি বলেন- একদা এক ব্যক্তি লাগাম সহ একটি উটনী নিয়ে রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এর খেদমতে উপস্থিত হয়ে বললেন এতি আল্লাহর রাস্তায় দান করলাম। রাসুলুল্লাহ (সাঃ) তাকে বললেন যাও তুমি কেয়ামতের দিন তার বিনিময়ে লাগামবিশিষ্ট সাতশত উটনী পাবে। (মুসলিম)
أجر الجهادبين المجاهد والذي يخلفه في أهله
১৪। মুজাহিদ ও মুজাহিদের পরিবারের দেখাশুনা করার ফজিলত
عَنْ أَبِيهِ عَنْ أَبِى سَعِيدٍ الْخُدْرِىِّ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ -صلى الله عليه وسلم- بَعَثَ إِلَى بَنِى لَحْيَانَ « لِيَخْرُجْ مِنْ كُلِّ رَجُلَيْنِ رَجُلٌ ». ثُمَّ قَالَ لِلْقَاعِدِ « أَيُّكُمْ خَلَفَ الْخَارِجَ فِى أَهْلِهِ وَمَالِهِ بِخَيْرٍ كَانَ لَهُ مِثْلُ نِصْفِ أَجْرِ الْخَارِجِ » أخرجه مسلم (3/1507 ، رقم 1896) ، وأبو داود (3/12 ، رقم 2510) . وأخرجه أيضًا : سعيد بن منصور فى كتاب السنن (2/161 ، رقم 2326) ، وأحمد (3/15 ، رقم 11125) وأبو عوانة (4/481 ، رقم 7413) ، وابن حبان (10/488 ، رقم 4629) ، والحاكم (2/92 ، رقم 2429) وقال : صحيح الإسناد . والبيهقى (9/40 ، رقم 17674)
হযরত আবু সাঈদ আল খুদরী (রাঃ) হইতে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বনী লিইয়ান গোত্রের নিকট সংবাদ পাঠালেন যে, তোমাদের প্রত্যেক দুজন পুরুষ হতে একজন জ্বিহাদে বের হও। অতঃপর যারা পিছনে থাকবে তোমরা মুজাহিদগণের পরিবার ও বনসম্পদ ভালোভাবে দেখাশুনা করবে, তাতে তোমরা মুজাহিদগণের অর্ধেক সওয়াব লাভ করবে। (মুসলিম)
المجاهدون هم حماة الدين
১৫। মুজাহিদগণ তাহারা হলে দ্বীনের রক্ষক।
عَنْ جَابِرِ بْنِ سَمُرَةَ عَنِ النَّبِىِّ -صلى الله عليه وسلم- أَنَّهُ قَالَ « لَنْ يَبْرَحَ هَذَا الدِّينُ قَائِمًا يُقَاتِلُ عَلَيْهِ عِصَابَةٌ مِنَ الْمُسْلِمِينَ حَتَّى تَقُومَ السَّاعَةُ ». " رواه مسلم 5062 تحقيق الألباني ( صحيح ) انظر حديث رقم : 5220 في صحيح الجامع .
হযরত জাবির ইবনে সামুরা (রাঃ) হইতে বর্ণিত তিনি বলেন রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এরশাদ করেন এই দ্বীন ততদিন পর্যন্ত বাকী থাকবে যতদিন পর্যন্ত মুসলিমদের একটি দল জ্বিহাদরত থাকবে অতঃপর কেয়ামত সংঘটিত হবে। (মুসলিম)
الجرح في سبيل الله يعبق مسكاً يوم القيامة
১৬। আল্লাহর রাস্তায় আঘাতপ্রাপ্ত শরীর কেয়ামতের দিন মিশকের সুগন্ধি ছড়াবে
عن أبي هريرة رضي الله عنه قال : قال رسول الله صلى الله عليه وآله وسلم " لا يُكلم أحد في سبيل الله ، والله أعلم بمن يكلم في سبيله ، إلا جاء يوم القيامة وجرحه يثعب دما ، اللون لون الدم والريح ريح المسك " أخرجه الترمذى (4/184 ، رقم 1656) وقال : حسن صحيح . والنسائى (6/28 ، رقم 3147) . وأخرجه أيضًا : البخارى (3/1032 ، رقم 2649) ، ومسلم (3/1496 ، رقم 1876) ، وأبو يعلى (11/138 ، رقم 6263) ، وأبو عوانة (4/454 ، رقم 7312)
হযরত আবু হুরাইরা (রাঃ) হইতে বর্ণিত তিনি বলেন- রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এরশাদ করেন এমন কোন ব্যক্তি আল্লাহর রাস্তায় আঘাতপ্রাপ্ত হয়। আর আল্লাহ তায়ালা ভাল জানেন কে তাঁর রাস্তায় আহত হয়- সেই ব্যক্তির ক্ষত হইতে কেয়ামতের দিন রক্ত গড়িয়ে পড়বে রক্তের বর্ণ হবে রক্তের মতই কিন্তু গন্ধ হবে মেশকের সুগন্ধি। (বুখারি ও মুসলিম)
الشهيد وأمنية الموت في سبيل الله
১৭। শহীদ ও আল্লাহর রাস্তায় মৃত্যুর আকাঙ্ক্ষা
وعن أنس - رضي الله عنه - : أنَّ النبيَّ - صلى الله عليه وسلم - ، قَالَ : (( مَا أَحَدٌ يَدْخُلُ الجَنَّةَ يُحِبُّ أنْ يَرْجِعَ إِلَى الدُّنْيَا وَلَهُ مَا عَلَى الأرْضِ مِنْ شَيْءٍ إِلاَّ الشَّهِيدُ ، يَتَمَنَّى أنْ يَرْجِعَ إِلَى الدُّنْيَا ، فَيُقْتَلَ عَشْرَ مَرَّاتٍ ؛ لِمَا يَرَى مِنَ الكَرَامَةِ )) .
وفي رواية : (( لِمَا يَرَى مِنْ فَضْلِ الشَّهَادَةِ )) أخرجه البخارى (3/1029 ، رقم 2642) ، ومسلم (3/1498 ، رقم 1877) ، والترمذى (4/177 ، رقم 1643) وقال : حسن صحيح . أخرجه ابن حبان (10/518 ، رقم 4662) تحقيق الألباني( صحيح ) انظر حديث رقم : 5519 في صحيح الجامع . .
হযরত আনাস ইবনে মালিক (রাঃ) হইতে বর্ণিত তিনি নবি করীম (সাঃ) হইতে বর্ণনা করেন কোন ব্যক্তি জান্নাতে প্রবেশ করার পর সে দুনিয়াতে ফিরে আসতে চাইবে না, যদিও দুনিয়ার সবকিছু তার হয়ে যায়। কিন্তু শহীদ ব্যতীত শহীদ চাইবে দুনিয়াতে আবার ফিরে আসতে। অতঃপর সে দশবার শাহদাত বরণ করবে (একাধিকবার)। যেহেতু সে উহার ফজিলত ও মর্যাদা দেখতে পেয়েছে। (বুখারি ও মুসলিম)
الشهادة في سبيل الله كفارة للذنوب
১৮। আল্লাহর রাস্তায় শাহদাত বরণ করা সকল গুনাহের কাফফারা
عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ أَنَّ النَّبِىَّ -صلى الله عليه وسلم- قَالَ « الْقَتْلُ فِى سَبِيلِ اللَّهِ يُكَفِّرُ كُلَّ شَىْءٍ إِلاَّ الدَّيْنَ ». " رواه مسلم (2) أخرجه : مسلم 6/38 (1886) (119) و(120)
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর ইবনে আস (রাঃ) হইতে বর্ণিত নিশ্চয় নবী করিম (সাঃ) এরশাদ করেন- আল্লাহর রাস্তায় মৃত্যু বরণ করা সকল বিষয়ের কাফফারা, কর্জ ব্যতীত। (মুসলিম)
عمل قليل وأجر عظيم
১৯। অল্প আমল বেশি ফজিলত
عن أبي هريرة رضي الله عنه قال : قال رسول الله صلى الله عليه وآله وسلم " مُقَامُ أَحَدِكُمْ يَعْنِي فِي سَبِيلِ اللَّهِ خَيْرٌ مِنْ عِبَادَةِ أَحَدِكُمْ فِي أَهْلِهِ سِتِّينَ سَنَةً أَمَا تُحِبُّونَ أَنْ يَغْفِرَ اللَّهُ لَكُمْ وَتَدْخُلُونَ الْجَنَّةَ جَاهِدُوا فِي سَبِيلِ اللَّهِ ، مَنْ قَاتَلَ فِي سَبِيلِ اللَّهِ فُوَاقَ نَاقَةٍ وَجَبَتْ لَهُ الْجَنَّةُ " أخرجه الترمذى (4/181 ، رقم 1650) وقال : حسن . والحاكم (2/78 ، رقم 2382) وقال : صحيح على شرط مسلم . والبيهقى (9/160 ، رقم 18284) . وأخرجه أيضًا : أحمد (2/524 ، رقم 10796) ، والبيهقى فى شعب الإيمان (4/15 ، رقم 4230) أخرجه ابن سعد (5/453) ، والحاكم (3/317 ، رقم 5226) أخرجه ابن عساكر (66/264) أخرجه أحمد (2/446 ، رقم 9761) أخرجه الطبرانى (18/168 ، رقم 377) ، قال الهيثمى (5/326) . والحاكم (2/78 ، رقم 2383) وقال : صحيح على شرط البخارى . والبيهقى (9/161 ، رقم 18285) . وأخرجه أيضًا : الدارمى (2/266 ، رقم 2396) ، والبيهقى فى شعب الإيمان (4/15 ، رقم 4231
وفواق الناقة : أي مابين الحلبتين من الراحة
হযরত আবু হুরাইরা (রাঃ) হইতে বর্ণিত তিনি বলেন রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এরশাদ করেন- তোমাদের কাহারো জ্বিহাদের ময়দানে কিছু সময় ঘরে বসে ষাট বছর ইবাদত হইতেও উত্তম, তোমরা কি পছন্দ করো না যে, আল্লাহ তায়ালা তোমাদিগকে ক্ষমা করিয়া দেন ও তোমরা জান্নাতে প্রবেশ করবে। আল্লাহর রাস্তায় জ্বিহাদ করতে থাকো। কেননা যে ব্যক্তি আল্লাহর রাস্তায় উটের দুধ দোহন করার মধ্যবর্তী সময়টুকু জ্বিহাদ করে তার জন্য জান্নাত ওয়াজিব হয়ে যায়। (আহমদ, তিরমিজি, বায়হাকি ইহার সনদ হাসান বলেছেন। ইমাম হাকিম সহিহ বলেছেন)। (উটের দুধ দোহন করার মাঝে সামান্য বিরতী)
الموت قبل أمنية الجهاد
২০। জ্বিহাদের আকাঙ্ক্ষা ব্যতীত মৃত্যু
عَنْ أَبِى هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ -صلى الله عليه وسلم- « مَنْ مَاتَ وَلَمْ يَغْزُ وَلَمْ يُحَدِّثْ بِهِ نَفْسَهُ مَاتَ عَلَى شُعْبَةٍ مِنْ نِفَاقٍ » " رواه مسلم 5040 رواه وأبو داود والنسائي
হযরত আবু হুরাইরা (রাঃ) হইতে বর্ণিত তিনি বলেন রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এরশাদ করেন- যে ব্যক্তি মৃত্যু বরণ করলো অথচ জ্বিহাদ করলো না বা মনে মনে ইচ্ছাপোষণ করলো না তবে সে নেফাকের কোন এক শাখার উপর মৃত্যু বরণ করলো। (মুসলিম)।
الخروج للجهاد
২১। জ্বিহাদের জন্য বের হওয়া
عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ -صلى الله عليه وسلم- يَوْمَ الْفَتْحِ فَتْحِ مَكَّةَ « لاَ هِجْرَةَ وَلَكِنْ جِهَادٌ وَنِيَّةٌ وَإِذَا اسْتُنْفِرْتُمْ فَانْفِرُوا » حديث عائشة : أخرجه مسلم (3/1488 ، رقم 1864) ، وابن أبى شيبة (7/408 ، رقم 36932) .حديث صفوان : أخرجه أحمد (3/401 ، رقم 15341) ، والنسائى (7/145 ، رقم 4169) .حديث ابن عباس : أخرجه أحمد (1/226 ، رقم 1991) ، وابن أبى شيبة (7/407 ، رقم 36930) ، والترمذى (4/148 ، رقم 1590) وقال : حسن صحيح . والنسائى (7/146 ، رقم 4170) . وأخرجه أيضًا : البخارى (3/1025 ، رقم 2631) ، وأبو داود (3/3 ، رقم 2480)
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাঃ) হইতে বর্ণিত নবী করিম (সাঃ) এরশাদ করেন- মক্কা বিজয়ের দিন, মক্কা বিজয়ের পর হিজরত নেই, কিন্তু জ্বিহাদ ও নিয়ত জ্বিহাদ বাকী থাকবে। যখন তোমাদেরকে বের হতে বলা হয় তখন তোমরা জ্বিহাদের জন্য বের হবে। (বুখারি ও মুসলিম)
كيف الجهاد في سبيل الله
২২। আল্লাহর রাস্তায় কিভাবে জ্বিহাদ করবে
عَنْ أَنَسٍ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ جَاهِدُوا الْمُشْرِكِينَ بِأَمْوَالِكُمْ وَأَنْفُسِكُمْ وَأَلْسِنَتِكُمْ " أخرجه الطبرانى (6/32 ، رقم 5424) ، قال الهيثمى (7/301) : رجاله ثقات . والحاكم (3/127 ، رقم 4605 أخرجه أحمد (3/124 ، رقم 12268) ، والدارمى (2/280 ، رقم 2431) ، وأبو داود (3/10 ، رقم 2504) ، والنسائى (6/7 ، رقم 3096) ، وأبو يعلى (6/468 ، رقم 3875) ، وابن حبان (11/6 ، رقم 4708) ، والحاكم (2/91 ، رقم 2427) وقال : صحيح على شرط مسلم . والبيهقى (9/20 ، رقم 17576) ، والضياء (5/271 ، رقم 1902)
হযরত আনাস (রাঃ) হইতে বর্ণিত নবী করিম (সাঃ) এরশাদ করেন- তোমরা মুশরিকগণের বিরুদ্ধে জ্বিহাদ কর। তোমাদের সম্পদ, জান, ও জবান দ্বারা। (আবু দাউদ নাসাঈ, দারেমী ইহার সনদ শক্তিশালী)।
الأعمال الصالحة للشهيد
২৩। শহিদের নেক আমল সমূহ
عَنْ فَضَالَةَ بْنِ عُبَيْدٍ قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ كُلُّ مَيِّتٍ يُخْتَمُ عَلَى عَمَلِهِ إِلَّا الَّذِي مَاتَ مُرَابِطًا فِي سَبِيلِ اللَّهِ فَإِنَّهُ يَنْمُو عَمَلُهُ إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ وَيَأْمَنُ فِتْنَةَ الْقَبْرِ " أخرجه أبو داود (3/9 ، رقم 2500) ، والترمذى (4/165 ، رقم 1621) ، وابن حبان (10/484 ، رقم 4624) ، والطبرانى (18/311 ، رقم 802) ، والحاكم (2/88 ، رقم 2417) ، وقال : صحيح على شرط مسلم . والبيهقى فى شعب الإيمان (4/40 ، رقم 4287) . وأخرجه أيضًا : أحمد (6/20 ، رقم 23996) ، والبزار (9/207 ، رقم 3753) ، وابن المبارك فى الجهاد (1/142 ، رقم 174) .حديث عقبة : أخرجه أحمد (4/150 ، رقم 17396).
হযরত ফযালা ইবনে উবাইদ (রাঃ) হইতে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এরশাদ করেন- প্রত্যেক ব্যক্তি মারা যাওয়ার পর তার আমলের সমাপ্তি ঘটে, কিন্তু ঐ ব্যক্তি ব্যতীত যে আল্লাহর রাস্তায় পাহারারত অবস্থায় মারা যায়। কেননা তার আমল কেয়ামত পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়, এবং সে কবরের ফেতনা থেকে নিরাপদ থাকবে। (হাদিসের সনদ শক্তিশালী, আহমদ, আবু দাউদ, তিরমিযি-ইমাম তিরমিয বলেন এই হাদিস হাসান সহিহ)
أجر من جرح في سبيل الله
২৪। আল্লাহর রাস্তায় আঘাত পাওয়ার ফজিলত
عن معاذ بن جبل رضي الله عنه أنه سمع رسول الله صلى الله عليه وآله وسلم يقول : من قاتل في سبيل الله فُواق ناقة فقد وجبت له الجنة ، ومن جرح جُرحا في سبيل الله ، أو نكب نكبة فإنها تجيء يوم القيامة كأغزر ما كانت ، لونها الزعفران ، وريحها المسك أخرجه أحمد (5/244 ، رقم 22169) ، وأبو داود (3/21 ، رقم 2541) ، والترمذى (4/185 ، رقم : 1657) ، والنسائى (6/25 ، رقم 3141) ، وابن حبان (10/478 ، رقم 4618) ، والطبرانى (20/106 ، رقم 207) ، والبيهقى (9/170 ، رقم 18337) ، وابن ماجه (2/933 ، رقم 2792) ، والحاكم (2/87) وقال : صحيح على شرط مسلم . وأخرجه أيضًا : عبد الرزاق (5/255 ، رقم 9534) ، وعبد بن حميد (ص 70 ، رقم 119)
হযরত মুয়াজ ইবনে জাবাল (রা হইতে বর্ণিত, তিনি রাসুলুল্লাহ (সাঃ) কে বলিতে শুনিয়াছেন যে- যে ব্যক্তি আল্লাহর রাস্তায় উটের দুধ দোহনে মধ্যবর্তী সময় পরিমাণ জ্বিহাদ করে তার জন্য জান্নাত ওয়াজিব হয়ে যাবে। আর যে আল্লাহর রাস্তায় আহত হয় অথবা কোন মসিবতে পতিত হয় বা শরীরে ক্ষত হয় তাহা কেয়ামতের দিন আরও বড় আকারে দেখা যাবে। যার রঙ হবে জাফরানের এবং উহার সুগন্ধি হবে মিশকের। (আহমদ, তিরমিযি, আবু দাউদ, নাসাঈ, ইহার সনদ সহিহ)
لا يجتمع غبار في سبيل الله ودخان جهنم
২৫। আল্লাহর রাস্তার ধুলাবালি ও জাহান্নামের ধুঁয়া একত্রিত হবে না
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَا يَجْتَمِعُ غُبَارٌ فِي سَبِيلِ اللَّهِ وَدُخَانُ جَهَنَّمَ فِي مُنْخُرَيْ رَجُلٍ مُسْلِمٍ وَلَا يَجْتَمِعُ شُحٌّ وَإِيمَانٌ فِي قَلْبِ رَجُلٍ مُسْلِمٍ " أخرجه النسائى (6/14 ، رقم 3113) ، وابن ماجه (2/927 ، رقم 2774) ، وابن حبان (8/43 ، رقم 3251) حديث أبى أمامة : أخرجه الطبرانى فى الكبير (8/134 ، رقم 7612) . وأخرجه أيضًا : فى الأوسط (2/169 ، رقم 1607) خرجه ابن أبى شيبة (4/208 ، رقم 19364) ، وهناد (1/269 ، رقم 467) ، والبيهقى فى شعب الإيمان (4/27 ، رقم 4257) . وأخرجه أيضًا : سعيد بن منصور فى كتاب السنن (2/189 ، رقم 2401) ، وأحمد (2/256 ، رقم 7474) ، والبيهقى (9/161 ، رقم 18289)
হযরত আবু হুরাইরা (রাঃ) হইতে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এরশাদ করেন- আল্লাহর রাস্তার ধুলাবালি ও জাহান্নামের ধুঁয়া কখনো একত্রিত হবে না। (সহিহ, আহমদ, তিরমিযি, নাসাঈ)
أجر الحارس في سبيل الله
২৬। আল্লাহর রাস্তায় পাহারা দেওয়ার ফজিলত
وعن ابن عباس رضي الله عنهما ، قَالَ : سَمِعْتُ رسولَ اللهِ - صلى الله عليه وسلم - ، يقول : (( عَيْنَانِ لاَ تَمسُّهُمَا النَّارُ : عَيْنٌ بَكَتْ مِنْ خَشْيَةِ اللهِ ، وَعَيْنٌ بَاتَتْ تَحْرُسُ في سَبيلِ اللهِ )) رواه الترمذي ، وقال : (( حديث حسن )) " أخرجه أبو يعلى (7/307 ، رقم 4346) قال المنذرى (2/159) وقال الهيثمى (5/288) : رجاله ثقات . والخطيب (2/360) ، والضياء (6/187 ، رقم 2198) . وأخرجه أيضًا : الطبرانى فى الأوسط (6/56 رقم 5779). قال المنذرى (2/159) : رواه أبو يعلى ورواته ثقات والطبرانى فى الأوسط
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাঃ) হইতে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এরশাদ করেন- দুটি চোখ জাকে জাহান্নাম স্পর্শ করবে না। প্রথমত ঐ চোখ যেটি আল্লাহ তায়ালার ভয়ে কাঁদে। দ্বিতীয়ত ঐ চোখ যেটি আল্লাহর রাস্তায় পাহারা দেয়। (সহিহ আহমদ, তিরমিযি, নাসাঈ, দারেমী)
الجوائز للشهيد
২৭। শহীদের পুরস্কার
عن المقدام بن معد يكرب رضي الله عنه قال : قال رسول الله صلى الله عليه وآله وسلم : " للشهيد عند الله ست خصال : يغفر له في أول دفعة ، ويرى مقعده من الجنة ، ويُجار من عذاب القبر ، ويأمن من الفزع الأكبر ، ويوضع على رأسه تاج الوقار ، الياقوتة منها خير من الدنيا وما فيها " ... إلى آخرهاحديث حسن رواه الترمذي وابن ماجه ( صحيح ) الاحكام ص36 ، المشكاة 3834 ، التعليق الرغيب 194 / 2
হযরত মিকদাম ইবনে মা’আদী কারিব (রাঃ) হইতে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এরশাদ করেন- শহীদের জন্য আল্লাহ তায়ালার নিকট ছয়টি বিশেষ পুরস্কার রয়েছেঃ ১) রক্তের ফোটা জমিনে পড়ার সাথে সাথেই তাকে ক্ষমা করে দেওয়া হয় ও জান্নাতে তার থিকানা দেখিয়ে দেওয়া হবে। ২) কবরের আজাব থেকে মুক্তি দান করা হবে। ৩) কেয়ামতের ভয়ংকর অবস্থা থেকে নিরাপদ থাকবে। ৪) তার মাথায় ইজ্জতের তাজ পরানো হবে, যার একেকটি ইয়াকুতের মূল্য দানায় ও তার মাঝে যা রয়েছে তার চেয়ে উত্তম। (হাদিসটি- হাসান, তিরমিযি, ইবনে মাজাহ)
الموت قبل الجهاد
২৮। জ্বিহাদ না করে মৃত্যু হওয়া
عن أبر هريرة رضي الله عنه قال : قال رسول الله صلى الله عليه وآله وسلم : " من لقي الله بغير أثر من جهاد لقي الله وفيه ثلمة " رواه الترمذي وابن ماجة أخرجه الترمذى (4/189 رقم 1666) وقال : غريب . وابن ماجه (2/923 ، رقم 2763) ، والحاكم (2/89 ، رقم 2420) .ومن غريب الحديث : ((ثلمة)) : النقصان والخلل
হযরত আবু হুরাইহা (রাঃ) হইতে বর্ণিত তিনি বলেন। রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এরশাদ করেন- যে ব্যক্তি কেয়ামতের দিন আল্লাহর সাথে এভাবে সাক্ষাত করলো যে তার গায়ে জ্বিহাদের (আছর) কোন চিহ্ন নাই তবে সে এভাবে সাক্ষাত করবে যে তার শরীরে দোষ থাকবে। (তিরমিযি, ইবনে মাজাহ)
موت المجاهد شهادة في سبيل الله
২৯। মুজাহিদের মৃত্যুই শাহদাত
أَنَّ سَهْلَ بْنَ أَبِى أُمَامَةَ بْنِ سَهْلِ بْنِ حُنَيْفٍ حَدَّثَهُ عَنْ أَبِيهِ عَنْ جَدِّهِ أَنَّ النَّبِىَّ -صلى الله عليه وسلم- قَالَ « مَنْ سَأَلَ اللَّهَ الشَّهَادَةَ بِصِدْقٍ بَلَّغَهُ اللَّهُ مَنَازِلَ الشُّهَدَاءِ وَإِنْ مَاتَ عَلَى فِرَاشِهِ » أخرجه الدارمى (2/270 ، رقم 2407) وأبو داود (2/85 ، رقم 1520) والترمذى (4/183 ، رقم 1653) وقال : حسن غريب . والنسائى (6/36 ، رقم 3162) وابن ماجه (2/935 ، رقم 2797) ، وابن حبان (7/465 ، رقم 3192) . وأخرجه أيضًا : مسلم (3/1517 ، رقم 1909) ، والحاكم (2/87 ، رقم 2412) وقال : صحيح على شرط الشيخين . والبيهقى (9/169 ، رقم 18336)
হযরত সাহল ইবনে হুনাইফ (রাঃ) হইতে বর্ণিত, নিশ্চয় রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এরশাদ করেন- যে ব্যক্তি আল্লাহ তায়ালার নিকট সত্যদিলে শাহদাত প্রার্থনা করে আল্লাহ তায়ালা তাকে শহীদদের মর্তবায় পৌঁছাইয়া দেন। যদিও সে নিজ বিছানায় মৃত্যু বরণ করে। (মুসলিম)
الجهاد الصادق
৩০। প্রকৃত জ্বিহাদ
عَنْ مُعَاذِ بْنِ جَبَلٍ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ قَالَ الْغَزْوُ غَزْوَانِ فَأَمَّا مَنْ ابْتَغَى وَجْهَ اللَّهِ وَأَطَاعَ الْإِمَامَ وَأَنْفَقَ الْكَرِيمَةَ وَيَاسَرَ الشَّرِيكَ وَاجْتَنَبَ الْفَسَادَ فَإِنَّ نَوْمَهُ وَنُبْهَهُ أَجْرٌ كُلُّهُ وَأَمَّا مَنْ غَزَا فَخْرًا وَرِيَاءً وَسُمْعَةً وَعَصَى الْإِمَامَ وَأَفْسَدَ فِي الْأَرْضِ فَإِنَّهُ لَمْ يَرْجِعْ بِالْكَفَافِ
أخرجه أحمد (5/234 ، رقم 22095) ، وأبو داود (3/13 ، رقم 2515) ، والنسائى (6/49 ، رقم 3188) ، والطبرانى (20/91 ، رقم 176) ، الحاكم (2/94 ، رقم 2435) وقال : صحيح على شرط مسلم . والبيهقى فى شعب الإيمان (4/30 ، رقم 4265) . وأخرجه أيضًا : مالك (2/466 ، رقم 998) ، وعبد بن حميد (ص 67 ، رقم 109) ، والدارمى (2/274 ، رقم 2417) ، وابن أبى عاصم فى الجهاد (1/373 ، رقم 133) ، والطبرانى فى الشاميين (2/186 ، رقم 1159) ، وأبو نعيم فى الحلية (5/220) ، والبيهقى (9/168 ، رقم 18328) ، والديلمى (3/110 ، رقم 4306)
হযরত মুয়াজ ইবনে জাবাল (রাঃ) হইতে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এরশাদ করেন- যুদ্ধ দুই প্রকার। প্রথমটি যে আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশে জ্বিহাদ করে, ইমামকে মানিয়া চলে, ভাল সম্পদগুলো খরচ করে, সঙ্গীর সাথে নম্র হয়, ফ্যাসাদ থেকে বিরত থাকে, তবে তার ঘুম জাগ্রত থাকা সবই পূর্ণ হবে। আর যে ব্যক্তি যুদ্ধ করে অহংকার বশে লোভ দেখানো ও নামের জন্য, ইমামের অবাদ্ধ হয়, জমিনে ফ্যাসাদ করে তবে সে কিছুই পাবে না কেয়ামতের দিন। (সনদ সহিহ, মুয়াত্তা মালিক, আহমদ, আবু দাউদ, নাসাঈ)
السفر والتدريب للجهاد
৩১। সফর ও জ্বিহাদের প্রশিক্ষণ
عن أبي أمامة رضي الله عنه قال : خرجنا مع رسول الله صلى الله عليه وآله وسلم في سرية ، فقال : وَالَّذِي نَفْسُ مُحَمَّدٍ بِيَدِهِ لَغَدْوَةٌ أَوْ رَوْحَةٌ فِي سَبِيلِ اللَّهِ خَيْرٌ مِنْ الدُّنْيَا وَمَا فِيهَا وَلَمُقَامُ أَحَدِكُمْ فِي الصَّفِّ خَيْرٌ مِنْ صَلَاتِهِ سِتِّينَ سَنَةً خرجه أحمد (5/266 ، رقم 22345) ، والطبرانى (8/216 ، رقم 7868) . قال الهيثمى (5/279) " رواه أحمد 2924 - ( الصحيحة ) تحقيق الألباني :صحيح ، الإرواء ( 1182 ) ( صحيح ) انظر حديث رقم : 5115 في صحيح الجامع
হযরত আবু উমাযা (রাঃ) হইতে বর্ণিত তিনি বলেন, আমরা রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এর সাথে কোন এক সারিয়্যায় বের হলাম, অতঃপর নবী করিম (সাঃ) বললেন- ঐ সত্তার কসম যার হাতে আমার জান আল্লাহর রাস্তায় একটি সকাল একটি বিকাল ব্যয় করা দুনিয়া ও উহাতে যা কিছু আছে তার চেয়েও উত্তম। আর তোমাদের কাহারো জ্বিহাদের কাতারে দাঁড়ানো ষাট বছর নফল নামাজ ইবাদতের চেয়ে উত্তম। (আহমদ)
أجر الجهاد
৩২। জ্বিহাদের ফজিলত
عَنْ أَبِى سَعِيدٍ الْخُدْرِىِّ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ -صلى الله عليه وسلم- قَالَ « يَا أَبَا سَعِيدٍ مَنْ رَضِىَ بِاللَّهِ رَبًّا وَبِالإِسْلاَمِ دِينًا وَبِمُحَمَّدٍ نَبِيًّا وَجَبَتْ لَهُ الْجَنَّةُ ». فَعَجِبَ لَهَا أَبُو سَعِيدٍ فَقَالَ أَعِدْهَا عَلَىَّ يَا رَسُولَ اللَّهِ فَفَعَلَ ثُمَّ قَالَ « وَأُخْرَى يُرْفَعُ بِهَا الْعَبْدُ مِائَةَ دَرَجَةٍ فِى الْجَنَّةِ مَا بَيْنَ كُلِّ دَرَجَتَيْنِ كَمَا بَيْنَ السَّمَاءِ وَالأَرْضِ ». قَالَ وَمَا هِىَ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ « الْجِهَادُ فِى سَبِيلِ اللَّهِ الْجِهَادُ فِى سَبِيلِ اللَّهِ » " أخرجه أحمد (3/14 ، رقم 11117) ، ومسلم (3/1501 ، رقم 1884) ، والنسائى (6/19 ، رقم 3131) ، وابن حبان (10/473 ، رقم 4612) . وأخرجه أيضًا : أبو عوانة (4/466 ، رقم 7358) .
হযরত আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) হইতে বর্ণিত নিশ্চয় রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এরশাদ করেন- যে ব্যক্তি আল্লাহ তায়ালাকে প্রভু, ইসলামকে সত্য ধর্ম ও মুহাম্মাদ (সাঃ) কে সত্য নবী হিসাবে গ্রহন করে নিয়েছে তার জন্য জান্নাত ওয়াজিব। কথাটি আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) নিকট অত্যন্ত আশ্চর্য মনে হল। তাই রাসুল (সাঃ) কে পুনরায় বলার অনুরোধ করলেন। তিনি পুনরায় বললেন। আবু সাঈদ (রাঃ) পুনরায় বলার অনুরোধ করলেন। রাসুল (সাঃ) আবারও বললেন। অতঃপর তিনি এরশাদ করলেন আরেকটি আমল এমন রয়েছে যার মাধ্যমে আল্লাহ তায়ালা বান্দাকে জান্নাতে শত স্তর (মর্তবা) উরধে স্থান দান করেন। যার প্রত্যেক দুই স্তরের মাঝে আসমান-জমিনের দুরত্ব সমান। আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) জিজ্ঞাসা করলেন হে আল্লাহর রাসুল (সাঃ ) ঐটি কোন আমল? রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বললেন, উহা হল আল্লাহ তায়ালার রাস্তায় জ্বিহাদ করা। আল্লাহ তায়ালার রাস্তায় জ্বিহাদ করা। আল্লাহ তায়ালার রাস্তায় জ্বিহাদ করা। (মুসলিম)
الجنة تحت ظلال السيوف
৩৩। তরবারীর ছায়াতলে জান্নাত
عن أبي موسى رضي الله عنه قال : قال رسول الله صلى الله عليه وآله وسلم : « إِنَّ أَبْوَابَ الْجَنَّةِ تَحْتَ ظِلاَلِ السُّيُوفِ » " أخرجه أحمد (4/396 ، رقم 19556) ، ومسلم (3/1511 ، رقم 1902) ، والترمذى (4/186 ، رقم 1659) وقال : صحيح غريب . وابن حبان (10/477 ، رقم 4617) . وأخرجه أيضًا : الرويانى (1/340 ، رقم 518) ، وأبو يعلى (13/308 ، رقم 7324) ، والحاكم (2/80 ، رقم 2388) وقال : صحيح على شرط مسلم
হযরত আবু মুসা (রাঃ) হইতে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এরশাদ করেন- নিশ্চয় তরবারির ছায়ার নিচে জান্নাতের দরজা রয়েছে। (মুসলিম)
التدريب على الرماية
৩৪। নিক্ষেপণ প্রশিক্ষণ নেওয়া
عن عقبة بن عامر رضي الله عنه قال يَقُولُ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ -صلى الله عليه وسلم- وَهُوَ عَلَى الْمِنْبَرِ يَقُولُ « وَأَعِدُّوا لَهُمْ مَا اسْتَطَعْتُمْ مِنْ قُوَّةٍ أَلاَ إِنَّ الْقُوَّةَ الرَّمْىُ أَلاَ إِنَّ الْقُوَّةَ الرَّمْىُ أَلاَ إِنَّ الْقُوَّةَ الرَّمْىُ » " أخرجه أحمد (4/156 ، رقم 17468) ، ومسلم (3/1522 ، رقم 1917) ، وأبو داود (3/13 ، رقم 2514) ، وابن ماجه (2/940 ، رقم 2813) ، والترمذى (5/270 ، رقم 3083)
হযরত উকবা ইবনে আমের (রাঃ) হইতে বর্ণিত তিনি বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ (সাঃ) হইতে বলিতে শুনিয়াছি তিনি মিম্বরে উপবিষ্ট ছিলেন। তিনি বলেন- তোমরা শত্রুর মোকাবেলায় যতদূর সম্ভব প্রস্তুতি গ্রহন করো। জেনে রাখো প্রকৃত শক্তি হল নিক্ষেপণ করা। প্রকৃত শক্তি হল নিক্ষেপণ করা। প্রকৃত শক্তি হল নিক্ষেপণ করা। (মুসলিম)
وجوب مواصلة التدريب على الرماية
৩৫। নিক্ষেপণ চর্চা করে যাওয়া ওয়াজিব
وعنه ( عن عقبة بن عامر رضي الله عنه ) قال : سمعت رسول الله صلى الله عليه وآله وسلم يقول : « مَنْ عَلِمَ الرَّمْىَ ثُمَّ تَرَكَهُ فَلَيْسَ مِنَّا أَوْ قَدْ عَصَى » " أخرجه مسلم (3/1522 ، رقم 1919) . وأخرجه أيضًا : أبو عوانة (4/503 ، رقم 7494)
হযরত উকবা ইবনে আমের (রাঃ) হইতে বর্ণিত তিনি বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ (সাঃ) হইতে বলিতে শুনিয়াছি যে- যে ব্যক্তি তীর নিক্ষেপ করার প্রশিক্ষণ নিয়ে তা আবার ছেড়ে দেয়, সে আমাদের দলভুক্ত নয়। অথবা বলেছেন সে নাফরমানি করলো। (মুসলিম)
البركة في نواصي الخيل
৩৬। ঘোড়ার কপালে বরকত থাকা
عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ -صلى الله عليه وسلم- « الْبَرَكَةُ فِى نَوَاصِى الْخَيْلِ » أخرجه أحمد (3/114 ، رقم 12146) ، والبخارى (3/1048 ، رقم 2696) ، ومسلم (3/1494 ، رقم 1874) ، والنسائى (6/221 ، رقم 3571) ، وأبو عوانة (4/444 ، رقم 7266) ، وابن حبان (10/526 ، رقم 4670) . وأخرجه أيضًا : أبو يعلى (7/187 ، رقم 4173) ، والقضاعى (1/158 ، رقم 222) ، والبيهقى (6/329 ، رقم 12671)
হযরত আনাস (রাঃ) হইতে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এরশাদ করেন- ঘোড়ার কপালে বরকত রয়েছে। (বুখারি ও মুসলিম)
النظر إلى موضع الهدف
৩৭। তীরের লক্ষ্যর দিকে দৃষ্টি দেওয়া
عن أنس بن مالك رضي الله عنه قال : كان أبو طلحة رضي الله عنه يتترّس مع النبي صلى الله عليه وآله وسلم بترس واحد ، وكان أبو طلحة حسن الرمي فكان إذا رمى يُشرف النبي صلى الله عليه وآله وسلم فينظر إلى موضع نبله "
رواه البخاري [ ر 2724 ] مشكوة 3865 - [ 5 ] ( صحيح ) .
হযরত আনাস ইবনে মালেক (রাঃ) হইতে বর্ণিত তিনি বলেন, আবু তালহা (রাঃ) একই ঢালের আড়ালে নবী করিম (সাঃ) এর সাথে ছিলেন। আর আবু তালহা দক্ষ তিরন্দাজ ছিলেন। যখনি তিনি তীর নিক্ষেপ করতেন নবী করিম (সাঃ) এগিয়ে গিয়ে নিক্ষিপ্ত তীর পতিত হওয়ার জায়গা লক্ষ্য করতেন। (বুখারি)
فضل صانعي أسلحة الجهاد
৩৮। যুদ্ধের অস্ত্র নির্মাণকারীর ফজিলত
عن عقبة بن عامر رضي الله عنه قال : سمعت رسول الله صلى الله عليه وآله وسلم يقول
إن الله تعالى يدخل بالسهم الواحد ثلاثة نفر الجنة : صانعه يحتسب في صنعته الخير ، والرامي به ، ومنبِّله " رواه أبوداود والترمذي وابن ماجه والنسائي قال الشيخ الألباني : ( ضعيف ) انظر حديث رقم : 1732 في ضعيف الجامع
হযরত উকবা ইবনে আমের (রাঃ) হইতে বর্ণিত তিনি বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ (সাঃ) কে বলিতে শুনিয়াছি যে- নিশ্চয় আল্লাহ তায়ালা এক তীরের উসীলায় তিন প্রকার লোককে জান্নাত প্রদান করবেন। ১) তীর নির্মাণকারী যে সওয়াব এর নিয়তে তৈরি করে। ২) তীর নিক্ষেপকারী। ৩) তীর প্রদানকারী। (আবু দাউদ, তিরমিযি, ইবনে মাজাহ, নাসাঈ।)
ملاحظة أسلحة الجهاد
৩৯। জ্বিহাদের অস্ত্র সমূহের প্রতি খেয়াল রাখা
عن عروة البارقي رضي الله عنه أن النبي صلى الله عليه وسلم قال : " « الْخَيْلُ مَعْقُودٌ بِنَوَاصِيهَا الْخَيْرُ إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ الأَجْرُ وَالْغَنِيمَةُ » " رواه البخاري ومسلم 4955 قال الشيخ الألباني : ( صحيح ) انظر حديث رقم : 3353 في صحيح الجامع
হযরত উরঅয়া আল বারেকা (রাঃ) হইতে বর্ণিত, নিশ্চয় নবী করিম (সাঃ) এরশাদ করেন- কেয়ামত পর্যন্ত ঘোড়ার কপালে মঙ্গল, অর্থাৎ প্রতিদান ও গণিমত রয়েছে। (বুখারি ও মুসলিম)
أجر العاملين في القوات البحرية للدفاع عن حوزة الإسلام
৪০। সামুদ্রিক বাহিনীতে অংশগ্রহণকারীর ফজিলত। যাহা ইসলামের প্রতিরক্ষা কল্পে হয়
عن أم حرام رضي الله عنها عن النبي صلى الله عليه وسلم قال : " المائد في البحر الذي يصيبه القيء له أجر شهيد ، والغريق له أجر شهيدين " أخرجه أبو داود (3/7 ، رقم 2493) ، والبيهقى (4/335 ، رقم 8451) قال الشيخ الألباني : ( صحيح ) انظر حديث رقم : 6642 في صحيح الجامع
হযরত উম্মে হাফসা (রাঃ) হইতে বর্ণিত, নিশ্চয় রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এরশাদ করেন- সামুদ্রিক জ্বিহাদে গিয়ে যার মাথা ঘুরে ও বমি হয় সেউ শহীদের সমান সওয়াব লাভ করবে। আর যে সমুদ্রে ডুবে গিয়ে মারা যাবে সে দুজন শহীদের ফজিলত লাভ করবে। (হাদিসটি হাসান, আবু দাউদ)
----------*****----------
Comment