সত্যকে উপলব্ধি করুন:
الحمد لله والصلاة والسلام علي رسول الله
اما بعد.فأعوذ باالله من الشيطان الرجيم بسم الله الرحمن الرحيم ونريد ان نمن علي اللذين استضعفوا في الأرض ونجعلهم أئمة و نجعلهم الوارثين.صدق الله العلي العظيم
وقال رسول الله صلي الله عليه و سلم.لن يبرح هذا الدين قائما يقاتل عليه عصابة من المسلمين حتي تقوم الساعة او كما قال عليه الصلاة والسلام وصدق رسوله النبي الكريم
হামদ ও সালাতের পর।আল্লাহ রাব্বুল আলামীন তার মনোনীত দ্বীনকে এত সহজ করেন নি যে তা অনুসন্ধান ছাড়াই অর্জন হবে।
আবার এত কঠিনও করেন নি যে তা কোনভাবেই অর্জন করা যাবেনা।বরং তিনি
এই দ্বীন ও উম্মাহকে মধ্যম করে দিয়েছেন।
যা খুব সহজও না খুব কঠিনও না যা অসম্ভব।
সুতরাং আমাদের করনীয় হল সর্বদা নিজের
দ্বীনকে সঠিক করার চেষ্টা অব্যাহত রাখা।
আসুন আমরা সেই চেষ্টাই করি=
১)আল্লাহর দ্বীনের বার্তাবাহক রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন বার্তা নিয়ে আসলেন তখন তিনি খুব দুর্বল অবস্থায়
ছিলেন।তাঁর অনুসারীগণও একই হালতে ছিলেন।
ঠিক আজকের যামানায় তাঁর হক্ব অনুসারী
মুজাহিদীনদের অবস্থাও খুব দূর্বল।এতই দূর্বল
যে জিহাদ শব্দটাও লুকিয়ে বলতে হয়।
২)তাঁর এই দুর্বলতার কারণ ছিল দ্বীনের দাওয়াহ যা কম বেশি করা ছাড়া প্রচার করতেন।অন্যথায় তিনি মক্কার সম্ভ্রান্ত পরিবার ও শক্তিশালী গোত্রের সদস্য ছিলেন।
ঠিক আজকের মুজাহিদীনে কেরামের দূর্বলতার কারনও একই।যদি জিহাদের দাওয়াহ তারা না দিতেন তাহলে তারাও যুগের
সম্ভ্রান্ত পরিবারের লোকই ছিলেন।শক্তিশালী
গোত্রের সদস্যই।
৩)তাঁর বেশিরভাগ অনুসারীরাই ছিলেন দরিদ্র,
সমাজে নীচু শ্রেণীর।
ঠিক মুজাহিদীনদের সহযোগী,সমর্থকরাও।
জ্ঞাতব্য:দরিদ্র,সমাজে নীচু হলেই যে সম্ভ্রান্তের
কাতার থেকে বের হয়ে যায় এমন নয়,যেমনটি
আজকের নব্য জাহিলী যুগে ধারনা করা হয়।
বরং আখলাক চরিত্র ভাল যার তাকে সম্ভ্রান্ত
বলে।
৪)তাঁর ও তাঁর অনুসারীদেরকে দ্বীনের জন্য ঘরবাড়ি ত্যাগ(হিজরত)করতে হয়েছে।অথচ
তাঁরা পরদেশি ছিলেন না।
ঠিক মুজাহিদীনরাও আল্লাহর রহমতে একই
রকম ত্যাগ শুধুমাত্র দ্বীনকে আঁকড়ে ধরার অপরাধে দিতে হচ্ছে।
৫)তিনি ও তাঁর অনুসারীরা এই দূর্বল অবস্থায়
ঘাবড়ে যেতেন না,বরং আল্লাহর উপর ভরসা
করতেন ও নিজ ইমানের কারনে কঠিন পরিক্ষা আসায় এই ভেবে সবর করতেন যে
এটা আল্লাহর ওয়াদা।তিনি আমাদের ইমান
মজবুত বিধায় আমাদের থেকে পরিক্ষা নিচ্ছেন।আর এই পরিক্ষার পরেই আমাদের কাংখিত বিজয় আসবে।এটাও আল্লাহর ওয়াদা।
ঠিক মুজাহিদীনরাও আজ কঠিন বিপদ দেখে
ঘাবড়ে যান না।বরং নিরেট আল্লাহর উপর ভরসা রেখে এই ভেবে খুশি হন যে,এই বিপদ
তো তাই যার ওয়াদা আল্লাহ ও তাঁর রাসুল আমাদের দিয়েছেন।আর আল্লাহ ও তাঁর রাসুল সত্যই বলেছেন।এর পরেই তো সাহায্য
ও বিজয় আসার আসবে।যেভাবে বিপদ আসার ওয়াদা সত্য হয়েছে ঠিক এভাবেই সাহায্য ও বিজয় আসার ওয়াদাও সত্য হবে।ইনশাআল্লাহ।এটাতো খুশি হবার কারন।
৬)তিনি মদিনাতে গিয়ে তাঁর সাহাবিদেরকে যখন ক্বিতালের আদেশ দিলেন তখন কিছু সংখক সাহাবির ক্বিতালের আদেশ সম্পর্কে বুঝে আসছিল না।যেহেতু মক্কায় তাঁদেরকে ক্বিতাল থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছিল।(বিস্তারিত দেখুন,সুরা নিসা:৭৭ নং আয়াত,ইবনে কাসীর)কিন্তু যখন উক্ত আয়াতে
বিষয়টি স্পষ্ট করা হল তখন সবাই জিহাদে ঝাপিয়ে পড়লেন।শুধু মুনাফিকরা ব্যতীত।এমনকি অক্ষম,নাবালেগ,অন্ধ সাহাবিরাও জযবার স্রোতে রাসুল থেকে
জিহাদে যাওয়ার অনুমতি আদায় করেছেন।
পরবর্তীতে কেউ সারা জীবন,কেউ বৃদ্ধাবস্থায়
জিহাদ করতে করতে শহিদ হয়েছেন।
ঠিক আজকের মুজাহিদরাও যখন সকলের
জিহাদ পরিত্যাগের হেকমত,যুক্তি,অপব্যাখ্যা
কুফুরি রাজনীতি বা তাবলীগকে,খানকায় বসে আত্মশুদ্ধি বা ইলম অর্জনকে হাকিকি জিহাদের নামে আখ্যায়িত করার আসল হাকিকত বুঝতে পারলেন,তখন তাঁরাও তাদের
আসল আকাবির,সত্যের ঝান্ডাবাহী সাহাবাগনের ন্যায় জিহাদের জন্য জিবন ওয়কফ করে দিচ্ছেন।শুধু মুনাফিক ও তাদের
সাদৃশ্য কিছু মুসলিমরা ব্যতিত।
৭)জিহাদের বরকতে কিছুদিনের মধ্যেই জিহাদের শান প্রকাশ পেল।ফিৎনা নির্মূল হতে
লাগল।দ্বীন বিজয় হতে লাগল।মুমিনরা খুশিতে সিজদায় লুটিয়ে পরতে লাগল।
ঠিক আজকের যামানায়ও সত্য রবের সত্য ওয়াদা সত্যে পরিনত হচ্ছে।মুজাহিদীনদের
জিহাদের শান দুনিয়ার দিকে দিকে প্রকাশ পাচ্ছে।ফিৎনা নির্মূল হচ্ছে।দ্বীন বিজয় হচ্ছে।
মুজাহিদরা খুশিতে সিজদায় লুটিয়ে পড়ছে।
কিন্তু যাদের কপালের উপরের চোখটাই শুধু
ভাল, অন্তরচক্ষু অন্ধ তারা তা কীভাবে উপলব্ধি করবে?তারাতো ত্বাগূতের ভয়ে কাঁপতে কাঁপতেই লুটিয়ে পড়ছে।মুমিনদের
বিজয়ে সিজদায় লুটাবে কখন?
হে মুমিন!হে মুজাহিদ! হে আল্লাহর ওয়াদায় বিশ্বাসী!তোমরাও সুসংবাদ গ্রহণ করো।দু:খিত
হয়োনা।তোমরাই বিজয়ী হবে।
খুৎবায় উল্লেখিত আয়াতটির অর্থ হলো,মহান আল্লাহ তায়ালা বলেন:আমি অনুগ্রহ করতে চাই তাদের প্রতি,যমিনে (দ্বীনকে আঁকড়ে ধরার কারনে)যাদেরকে দুর্বল করে রাখা হয়েছে।তাদেরকে ইমাম বানাব,উত্তরাধিকারী
বানাব।তাদেরকে দুনিয়ায় ক্ষমতাশীল করব।
হাদিসটির অর্থ,রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন:এই দ্বীন টিকে থাকবে ততক্ষণ,মুসলিমদের একটি দল দ্বীনের জন্য ক্বিতাল করবে যতক্ষণ।এমনকি কেয়ামত পর্যন্ত।
হে হাদী!আমাদেরকে হেদায়াত দাও।আমীন।
الحمد لله والصلاة والسلام علي رسول الله
اما بعد.فأعوذ باالله من الشيطان الرجيم بسم الله الرحمن الرحيم ونريد ان نمن علي اللذين استضعفوا في الأرض ونجعلهم أئمة و نجعلهم الوارثين.صدق الله العلي العظيم
وقال رسول الله صلي الله عليه و سلم.لن يبرح هذا الدين قائما يقاتل عليه عصابة من المسلمين حتي تقوم الساعة او كما قال عليه الصلاة والسلام وصدق رسوله النبي الكريم
হামদ ও সালাতের পর।আল্লাহ রাব্বুল আলামীন তার মনোনীত দ্বীনকে এত সহজ করেন নি যে তা অনুসন্ধান ছাড়াই অর্জন হবে।
আবার এত কঠিনও করেন নি যে তা কোনভাবেই অর্জন করা যাবেনা।বরং তিনি
এই দ্বীন ও উম্মাহকে মধ্যম করে দিয়েছেন।
যা খুব সহজও না খুব কঠিনও না যা অসম্ভব।
সুতরাং আমাদের করনীয় হল সর্বদা নিজের
দ্বীনকে সঠিক করার চেষ্টা অব্যাহত রাখা।
আসুন আমরা সেই চেষ্টাই করি=
১)আল্লাহর দ্বীনের বার্তাবাহক রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন বার্তা নিয়ে আসলেন তখন তিনি খুব দুর্বল অবস্থায়
ছিলেন।তাঁর অনুসারীগণও একই হালতে ছিলেন।
ঠিক আজকের যামানায় তাঁর হক্ব অনুসারী
মুজাহিদীনদের অবস্থাও খুব দূর্বল।এতই দূর্বল
যে জিহাদ শব্দটাও লুকিয়ে বলতে হয়।
২)তাঁর এই দুর্বলতার কারণ ছিল দ্বীনের দাওয়াহ যা কম বেশি করা ছাড়া প্রচার করতেন।অন্যথায় তিনি মক্কার সম্ভ্রান্ত পরিবার ও শক্তিশালী গোত্রের সদস্য ছিলেন।
ঠিক আজকের মুজাহিদীনে কেরামের দূর্বলতার কারনও একই।যদি জিহাদের দাওয়াহ তারা না দিতেন তাহলে তারাও যুগের
সম্ভ্রান্ত পরিবারের লোকই ছিলেন।শক্তিশালী
গোত্রের সদস্যই।
৩)তাঁর বেশিরভাগ অনুসারীরাই ছিলেন দরিদ্র,
সমাজে নীচু শ্রেণীর।
ঠিক মুজাহিদীনদের সহযোগী,সমর্থকরাও।
জ্ঞাতব্য:দরিদ্র,সমাজে নীচু হলেই যে সম্ভ্রান্তের
কাতার থেকে বের হয়ে যায় এমন নয়,যেমনটি
আজকের নব্য জাহিলী যুগে ধারনা করা হয়।
বরং আখলাক চরিত্র ভাল যার তাকে সম্ভ্রান্ত
বলে।
৪)তাঁর ও তাঁর অনুসারীদেরকে দ্বীনের জন্য ঘরবাড়ি ত্যাগ(হিজরত)করতে হয়েছে।অথচ
তাঁরা পরদেশি ছিলেন না।
ঠিক মুজাহিদীনরাও আল্লাহর রহমতে একই
রকম ত্যাগ শুধুমাত্র দ্বীনকে আঁকড়ে ধরার অপরাধে দিতে হচ্ছে।
৫)তিনি ও তাঁর অনুসারীরা এই দূর্বল অবস্থায়
ঘাবড়ে যেতেন না,বরং আল্লাহর উপর ভরসা
করতেন ও নিজ ইমানের কারনে কঠিন পরিক্ষা আসায় এই ভেবে সবর করতেন যে
এটা আল্লাহর ওয়াদা।তিনি আমাদের ইমান
মজবুত বিধায় আমাদের থেকে পরিক্ষা নিচ্ছেন।আর এই পরিক্ষার পরেই আমাদের কাংখিত বিজয় আসবে।এটাও আল্লাহর ওয়াদা।
ঠিক মুজাহিদীনরাও আজ কঠিন বিপদ দেখে
ঘাবড়ে যান না।বরং নিরেট আল্লাহর উপর ভরসা রেখে এই ভেবে খুশি হন যে,এই বিপদ
তো তাই যার ওয়াদা আল্লাহ ও তাঁর রাসুল আমাদের দিয়েছেন।আর আল্লাহ ও তাঁর রাসুল সত্যই বলেছেন।এর পরেই তো সাহায্য
ও বিজয় আসার আসবে।যেভাবে বিপদ আসার ওয়াদা সত্য হয়েছে ঠিক এভাবেই সাহায্য ও বিজয় আসার ওয়াদাও সত্য হবে।ইনশাআল্লাহ।এটাতো খুশি হবার কারন।
৬)তিনি মদিনাতে গিয়ে তাঁর সাহাবিদেরকে যখন ক্বিতালের আদেশ দিলেন তখন কিছু সংখক সাহাবির ক্বিতালের আদেশ সম্পর্কে বুঝে আসছিল না।যেহেতু মক্কায় তাঁদেরকে ক্বিতাল থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছিল।(বিস্তারিত দেখুন,সুরা নিসা:৭৭ নং আয়াত,ইবনে কাসীর)কিন্তু যখন উক্ত আয়াতে
বিষয়টি স্পষ্ট করা হল তখন সবাই জিহাদে ঝাপিয়ে পড়লেন।শুধু মুনাফিকরা ব্যতীত।এমনকি অক্ষম,নাবালেগ,অন্ধ সাহাবিরাও জযবার স্রোতে রাসুল থেকে
জিহাদে যাওয়ার অনুমতি আদায় করেছেন।
পরবর্তীতে কেউ সারা জীবন,কেউ বৃদ্ধাবস্থায়
জিহাদ করতে করতে শহিদ হয়েছেন।
ঠিক আজকের মুজাহিদরাও যখন সকলের
জিহাদ পরিত্যাগের হেকমত,যুক্তি,অপব্যাখ্যা
কুফুরি রাজনীতি বা তাবলীগকে,খানকায় বসে আত্মশুদ্ধি বা ইলম অর্জনকে হাকিকি জিহাদের নামে আখ্যায়িত করার আসল হাকিকত বুঝতে পারলেন,তখন তাঁরাও তাদের
আসল আকাবির,সত্যের ঝান্ডাবাহী সাহাবাগনের ন্যায় জিহাদের জন্য জিবন ওয়কফ করে দিচ্ছেন।শুধু মুনাফিক ও তাদের
সাদৃশ্য কিছু মুসলিমরা ব্যতিত।
৭)জিহাদের বরকতে কিছুদিনের মধ্যেই জিহাদের শান প্রকাশ পেল।ফিৎনা নির্মূল হতে
লাগল।দ্বীন বিজয় হতে লাগল।মুমিনরা খুশিতে সিজদায় লুটিয়ে পরতে লাগল।
ঠিক আজকের যামানায়ও সত্য রবের সত্য ওয়াদা সত্যে পরিনত হচ্ছে।মুজাহিদীনদের
জিহাদের শান দুনিয়ার দিকে দিকে প্রকাশ পাচ্ছে।ফিৎনা নির্মূল হচ্ছে।দ্বীন বিজয় হচ্ছে।
মুজাহিদরা খুশিতে সিজদায় লুটিয়ে পড়ছে।
কিন্তু যাদের কপালের উপরের চোখটাই শুধু
ভাল, অন্তরচক্ষু অন্ধ তারা তা কীভাবে উপলব্ধি করবে?তারাতো ত্বাগূতের ভয়ে কাঁপতে কাঁপতেই লুটিয়ে পড়ছে।মুমিনদের
বিজয়ে সিজদায় লুটাবে কখন?
হে মুমিন!হে মুজাহিদ! হে আল্লাহর ওয়াদায় বিশ্বাসী!তোমরাও সুসংবাদ গ্রহণ করো।দু:খিত
হয়োনা।তোমরাই বিজয়ী হবে।
খুৎবায় উল্লেখিত আয়াতটির অর্থ হলো,মহান আল্লাহ তায়ালা বলেন:আমি অনুগ্রহ করতে চাই তাদের প্রতি,যমিনে (দ্বীনকে আঁকড়ে ধরার কারনে)যাদেরকে দুর্বল করে রাখা হয়েছে।তাদেরকে ইমাম বানাব,উত্তরাধিকারী
বানাব।তাদেরকে দুনিয়ায় ক্ষমতাশীল করব।
হাদিসটির অর্থ,রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন:এই দ্বীন টিকে থাকবে ততক্ষণ,মুসলিমদের একটি দল দ্বীনের জন্য ক্বিতাল করবে যতক্ষণ।এমনকি কেয়ামত পর্যন্ত।
হে হাদী!আমাদেরকে হেদায়াত দাও।আমীন।
Comment