ওহে তাগুত, তোমরা বড়ই বোকা ।কারন কি জানো? তোমরা ভাবো ।তোমরা আমাদের ভয় দেখাতে পারবে।
তোমরা আমাদের এমন জিনিসের ভয় দেখাও যা আমাদের কাছে সব থেকে প্রিয় । আচ্ছা তোমাদের যদি কেও বলে তুমি যদি এই কাজটি করো তাহলে তোমাকে শাস্তি স্বরুপ এক লাখ টাকা দেব । তাহলে তুমি কাজটি করবেনা? আমাদের ব্যাপারটাই এমন আমাদের কাছে তো সব থেকে প্রিয় বস্তু আল্লাহর রাস্তায় শাহাদাত বরন। আচ্ছা তোমরা কি ভেবোছো ? তোমাদের কারাগারে আমাদের কত ভাইকে আটকে রেখেছো । আমাদের ভাইয়ের শরীরে ড্রিল মেশিন দিয়ে ফুটো করে ক্রস ফায়ার বলে চালিয়ে দিয়েছ । তবুও কেনো এদের সংখ্যা কমছে না? কখনো কি ভেবেছো তাদের দাওয়াতি কাজে এত বাধার সৃষ্টির করেছি ।এত আলেমকে বন্দি করেছি তবুও ,কোথায় থেকে এরা উঠে আসছে? কখন কি ভেবেছো তোমরা তোমাদের মিডিয়াকে ব্যাবহার করছ আমাদের বিরুদ্ধে তবুও ক্যানো আমাদের সংখ্যা বাড়ছে? আচ্ছা তোমরা যে তোমাদের মিডিয়াকে নোংরামি আর অস্লিলতার পরিপূর্ন করেছ তবুও কেনো রাস্তা ঘাটে এত হুজুর ? কই থেকে আসে এরা? এত এত দরবারী আলেম তৈরি করলাম ।মুভ ফাউন্ডেশনের টেনিং দিলাম ।তবুও কিভাবে এরা জংগি হয়?কিভাবে জিহাদ বুঝে যায়? এই ব্যাপারে ভেবে দেখেছো ? ভাবার কথাও না আর ভাবলেও তোমাদের মোটা মাথায় এগুলা ঢুকবে না। তোমরা তো একটা জংগী হামলার নাটক সাজাতে গিয়ে ভুল করে বসো । তোমরা তো ১ থেকে বারো বছরের শিশুদের ও হত্যা করে জংগি বলে চালিয়ে দিতে চাও ।কাজেই আমি তোমাদের প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছি ।
আল্লাহ সুবহানু তায়লা পবিত্র কোরানে বলেন ,
মহান আল্লাহ বলেছেনঃ
"হে মুমিনগণ! তোমাদের মধ্যে যে স্বীয় ধর্ম থেকে ফিরে যাবে, অচিরে আল্লাহ এমন সম্প্রদায় সৃষ্টি করবেন, যাদেরকে তিনি ভালবাসবেন এবং তারা তাঁকে ভালবাসবে। তারা মুসলমানদের প্রতি বিনয়-নম্র হবে এবং কাফেরদের প্রতি কঠোর হবে। তারা আল্লাহর পথে জেহাদ করবে এবং কোন তিরস্কারকারীর তিরস্কারে ভীত হবে না। এটি আল্লাহর অনুগ্রহ-তিনি যাকে ইচ্ছা দান করেন। আল্লাহ প্রাচুর্য দানকারী, মহাজ্ঞানী।"
***সুরা মায়েদাহঃ ৫:৫৪।
অপর আয়াতে আল্লাহ সুবহানু তায়লা বলেন,
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُواْ مَا لَكُمْ إِذَا قِيلَ لَكُمُ انفِرُواْ فِي سَبِيلِ اللّهِ اثَّاقَلْتُمْ إِلَى الأَرْضِ أَرَضِيتُم بِالْحَيَاةِ الدُّنْيَا مِنَ الآخِرَةِ فَمَا مَتَاعُ الْحَيَاةِ الدُّنْيَا فِي الآخِرَةِ إِلاَّ قَلِيلٌ
হে ঈমানদারগণ, তোমাদের কি হল, যখন আল্লাহর পথে বের হবার জন্যে তোমাদের বলা হয়, তখন মাটি জড়িয়ে ধর, তোমরা কি আখেরাতের পরিবর্তে দুনিয়ার জীবনে পরিতুষ্ট হয়ে গেলে? অথচ আখেরাতের তুলনায় দুনিয়ার জীবনের উপকরণ অতি অল্প। [ সুরা তাওবা ৯:৩৮ ]
إِلاَّ تَنفِرُواْ يُعَذِّبْكُمْ عَذَابًا أَلِيمًا وَيَسْتَبْدِلْ قَوْمًا غَيْرَكُمْ وَلاَ تَضُرُّوهُ شَيْئًا وَاللّهُ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ
যদি বের না হও, তবে আল্লাহ তোমাদের মর্মন্তুদ আযাব দেবেন এবং অপর জাতিকে তোমাদের স্থলাভিষিক্ত করবেন। তোমরা তাঁর কোন ক্ষতি করতে পারবে না, আর আল্লাহ সর্ববিষয়ে শক্তিমান। [ সুরা তাওবা ৯:৩৯ ]
আল্লাহ আরো বলেন ,
قُلْ إِن كَانَ آبَاؤُكُمْ وَأَبْنَآؤُكُمْ وَإِخْوَانُكُمْ وَأَزْوَاجُكُمْ وَعَشِيرَتُكُمْ وَأَمْوَالٌ اقْتَرَفْتُمُوهَا وَتِجَارَةٌ تَخْشَوْنَ كَسَادَهَا وَمَسَاكِنُ تَرْضَوْنَهَا أَحَبَّ إِلَيْكُم مِّنَ اللّهِ وَرَسُولِهِ وَجِهَادٍ فِي سَبِيلِهِ فَتَرَبَّصُواْ حَتَّى يَأْتِيَ اللّهُ بِأَمْرِهِ وَاللّهُ لاَ يَهْدِي الْقَوْمَ الْفَاسِقِينَ
বল, তোমাদের নিকট যদি তোমাদের পিতা তোমাদের সন্তান, তোমাদের ভাই তোমাদের পত্নী, তোমাদের গোত্র তোমাদের অর্জিত ধন-সম্পদ, তোমাদের ব্যবসা যা বন্ধ হয়ে যাওয়ার ভয় কর এবং তোমাদের বাসস্থান-যা কে তোমরা পছন্দ কর-আল্লাহ, তাঁর রসূল ও তাঁর রাহে জেহাদ করা থেকে অধিক প্রিয় হয়, তবে অপেক্ষা কর, আল্লাহর বিধান আসা পর্যন্ত, আর আল্লাহ ফাসেক সম্প্রদায়কে হেদায়েত করেন না। [ সুরা তাওবা ৯:২৪
আল্লাহ সুবহানু তায়াল বলেনঃ
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُواْ اتَّقُواْ اللّهَ وَابْتَغُواْ إِلَيهِ الْوَسِيلَةَ وَجَاهِدُواْ فِي سَبِيلِهِ لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُونَ
হে মুমিনগণ! আল্লাহকে ভয় কর, তাঁর নৈকট্য অন্বেষন কর এবং তাঁর পথে জেহাদ কর যাতে তোমরা সফলকাম হও। [ সুরা মায়েদা ৫:৩৫ ]
এটাই আসলে আমাদের গোপন রহস্য , আল্লাহ সুবহানু তায়ালা তারা দ্বীনকে বিজয়ি করার জন্য যুগে যুগে আমাদের সৃষ্টি করেছেন । তোমরা ভেবেছো কি আমাদের কয়েকজন হত্যা করে ফেললেই এই কাফেলা শেষ হয়ে যাবে? তাহলে শোন ,
আল্লাহর রাসুল (স) কি বলছেন ,
حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ شُجَاعٍ، وَهَارُونُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، وَحَجَّاجُ بْنُ الشَّاعِرِ، قَالُوا حَدَّثَنَا حَجَّاجٌ، – وَهُوَ ابْنُ مُحَمَّدٍ – عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، قَالَ أَخْبَرَنِي أَبُو الزُّبَيْرِ، أَنَّهُ سَمِعَ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ، يَقُولُ سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ” لاَ تَزَالُ طَائِفَةٌ مِنْ أُمَّتِي يُقَاتِلُونَ عَلَى الْحَقِّ ظَاهِرِينَ إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ – قَالَ – فَيَنْزِلُ عِيسَى ابْنُ مَرْيَمَ صلى الله عليه وسلم فَيَقُولُ أَمِيرُهُمْ تَعَالَ صَلِّ لَنَا . فَيَقُولُ لاَ . إِنَّ بَعْضَكُمْ عَلَى بَعْضٍ أُمَرَاءُ . تَكْرِمَةَ اللَّهِ هَذِهِ الأُمَّةَ ”
আল ওয়ালীদ ইবন শুজা, হারুন ইবন আবদুল্লাহ ও হাজ্জাজ ইবন শাইর (র)……জাবির ইবন আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত । তিনি বলেন, আমি নবী করীম (সাঃ)-কে বলতে শুনেছি, কিয়ামত পর্যন্ত আমার উম্মাতের একদল হকের উপর প্রতিষ্ঠিত থেকে বাতিলের বিরুদ্ধে কিতাল করতে থাকবে এবং অবশেষে হযরত ঈসা (আঃ) অবতরণ করবেন । মুসলমানদের আমীর বলবেন, আসুন । নামাযে আমাদের ইমামত করুন! উত্তর দিবেনঃ না, আপনাদেরই একজন অন্যদের জন্য ইমাম নিতে হবেন । এ হলো আল্লাহ জন্য প্রদত্ত এ উম্মাতের সমান ।
(সহিহ মুসলিম :: হাদিস ২৯৩/ ২৯২ ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
অপর একটি হাদিসে আল্লাহর রাসুল বলেন ,
وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَمُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ سِمَاكِ بْنِ حَرْبٍ، عَنْ جَابِرِ بْنِ سَمُرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ قَالَ ” لَنْ يَبْرَحَ هَذَا الدِّينُ قَائِمًا يُقَاتِلُ عَلَيْهِ عِصَابَةٌ مِنَ الْمُسْلِمِينَ حَتَّى تَقُومَ السَّاعَةُ ” .
মুহাম্মদ ইবন মুসান্না ও মুহাম্মদ ইবন বাশশার (র)……জাবির ইবন সামুরা (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, নবী (সা) বলেছেনঃ এ দীন (ইসলাম) সর্বদা কায়েম থাকবে । মুসলমানদের একটি দল এর পক্ষে কিতাল করতে থাকবে কিয়ামত পর্যন্ত ।
হ্যা এই কাফেলা কেয়ামত পর্যন্ত জারি থাকবে তোমাদের অত্যাচার এই কাফেলার পথ রোধ করতে পারবে না। তোমাদের যতই প্ল্যান করতে থাকো ।তোমরা তোমাদের দাদাদের পা চাটতে থাকো ।তোমাদের মিডিয়াকে আমাদের বিরুদ্ধে ব্যাবহার করো না কেনো ,আমাদের রুখতে পারবেনা । তোমরা যদি আমাদের সবাইকেও হত্যা করে ফেলো তবুও এই কাফেলা শেষ হবে না । এই কাফেলা জারি থাকবেই।কারন আমরা তো আল্লাহর পথের যোদ্ধা যাদের কোন শেষ নেই।
তোমাদের ব্যাপারে আর কিইবা বলব , তোমরা এতটাই ভিতু যে খাওয়ারেজদের কিছু অপরিপক্ক আক্রমেনেই ভীতু হয়ে ব্যাংকারে আশ্রয় নিয়েছো । তাহলে মুল খেলা শুরু হলে তোমাদের অবস্থা কি হবে ভেবে দেখেছো? তোমরা কি আমাদের তোমাদের মত ভিতু ভাবো? ওহে শুনে রাখো তোমাদের কাছে বেচে থাকা যত প্রিয় আমাদের কাছেতো তার থেকে হাজার গুন বেশী প্রিয় আল্লাহর রাস্তাত নিহত হওয়া।
চলবে ইনশা’আল্লাহ
তোমরা আমাদের এমন জিনিসের ভয় দেখাও যা আমাদের কাছে সব থেকে প্রিয় । আচ্ছা তোমাদের যদি কেও বলে তুমি যদি এই কাজটি করো তাহলে তোমাকে শাস্তি স্বরুপ এক লাখ টাকা দেব । তাহলে তুমি কাজটি করবেনা? আমাদের ব্যাপারটাই এমন আমাদের কাছে তো সব থেকে প্রিয় বস্তু আল্লাহর রাস্তায় শাহাদাত বরন। আচ্ছা তোমরা কি ভেবোছো ? তোমাদের কারাগারে আমাদের কত ভাইকে আটকে রেখেছো । আমাদের ভাইয়ের শরীরে ড্রিল মেশিন দিয়ে ফুটো করে ক্রস ফায়ার বলে চালিয়ে দিয়েছ । তবুও কেনো এদের সংখ্যা কমছে না? কখনো কি ভেবেছো তাদের দাওয়াতি কাজে এত বাধার সৃষ্টির করেছি ।এত আলেমকে বন্দি করেছি তবুও ,কোথায় থেকে এরা উঠে আসছে? কখন কি ভেবেছো তোমরা তোমাদের মিডিয়াকে ব্যাবহার করছ আমাদের বিরুদ্ধে তবুও ক্যানো আমাদের সংখ্যা বাড়ছে? আচ্ছা তোমরা যে তোমাদের মিডিয়াকে নোংরামি আর অস্লিলতার পরিপূর্ন করেছ তবুও কেনো রাস্তা ঘাটে এত হুজুর ? কই থেকে আসে এরা? এত এত দরবারী আলেম তৈরি করলাম ।মুভ ফাউন্ডেশনের টেনিং দিলাম ।তবুও কিভাবে এরা জংগি হয়?কিভাবে জিহাদ বুঝে যায়? এই ব্যাপারে ভেবে দেখেছো ? ভাবার কথাও না আর ভাবলেও তোমাদের মোটা মাথায় এগুলা ঢুকবে না। তোমরা তো একটা জংগী হামলার নাটক সাজাতে গিয়ে ভুল করে বসো । তোমরা তো ১ থেকে বারো বছরের শিশুদের ও হত্যা করে জংগি বলে চালিয়ে দিতে চাও ।কাজেই আমি তোমাদের প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছি ।
আল্লাহ সুবহানু তায়লা পবিত্র কোরানে বলেন ,
মহান আল্লাহ বলেছেনঃ
"হে মুমিনগণ! তোমাদের মধ্যে যে স্বীয় ধর্ম থেকে ফিরে যাবে, অচিরে আল্লাহ এমন সম্প্রদায় সৃষ্টি করবেন, যাদেরকে তিনি ভালবাসবেন এবং তারা তাঁকে ভালবাসবে। তারা মুসলমানদের প্রতি বিনয়-নম্র হবে এবং কাফেরদের প্রতি কঠোর হবে। তারা আল্লাহর পথে জেহাদ করবে এবং কোন তিরস্কারকারীর তিরস্কারে ভীত হবে না। এটি আল্লাহর অনুগ্রহ-তিনি যাকে ইচ্ছা দান করেন। আল্লাহ প্রাচুর্য দানকারী, মহাজ্ঞানী।"
***সুরা মায়েদাহঃ ৫:৫৪।
অপর আয়াতে আল্লাহ সুবহানু তায়লা বলেন,
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُواْ مَا لَكُمْ إِذَا قِيلَ لَكُمُ انفِرُواْ فِي سَبِيلِ اللّهِ اثَّاقَلْتُمْ إِلَى الأَرْضِ أَرَضِيتُم بِالْحَيَاةِ الدُّنْيَا مِنَ الآخِرَةِ فَمَا مَتَاعُ الْحَيَاةِ الدُّنْيَا فِي الآخِرَةِ إِلاَّ قَلِيلٌ
হে ঈমানদারগণ, তোমাদের কি হল, যখন আল্লাহর পথে বের হবার জন্যে তোমাদের বলা হয়, তখন মাটি জড়িয়ে ধর, তোমরা কি আখেরাতের পরিবর্তে দুনিয়ার জীবনে পরিতুষ্ট হয়ে গেলে? অথচ আখেরাতের তুলনায় দুনিয়ার জীবনের উপকরণ অতি অল্প। [ সুরা তাওবা ৯:৩৮ ]
إِلاَّ تَنفِرُواْ يُعَذِّبْكُمْ عَذَابًا أَلِيمًا وَيَسْتَبْدِلْ قَوْمًا غَيْرَكُمْ وَلاَ تَضُرُّوهُ شَيْئًا وَاللّهُ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ
যদি বের না হও, তবে আল্লাহ তোমাদের মর্মন্তুদ আযাব দেবেন এবং অপর জাতিকে তোমাদের স্থলাভিষিক্ত করবেন। তোমরা তাঁর কোন ক্ষতি করতে পারবে না, আর আল্লাহ সর্ববিষয়ে শক্তিমান। [ সুরা তাওবা ৯:৩৯ ]
আল্লাহ আরো বলেন ,
قُلْ إِن كَانَ آبَاؤُكُمْ وَأَبْنَآؤُكُمْ وَإِخْوَانُكُمْ وَأَزْوَاجُكُمْ وَعَشِيرَتُكُمْ وَأَمْوَالٌ اقْتَرَفْتُمُوهَا وَتِجَارَةٌ تَخْشَوْنَ كَسَادَهَا وَمَسَاكِنُ تَرْضَوْنَهَا أَحَبَّ إِلَيْكُم مِّنَ اللّهِ وَرَسُولِهِ وَجِهَادٍ فِي سَبِيلِهِ فَتَرَبَّصُواْ حَتَّى يَأْتِيَ اللّهُ بِأَمْرِهِ وَاللّهُ لاَ يَهْدِي الْقَوْمَ الْفَاسِقِينَ
বল, তোমাদের নিকট যদি তোমাদের পিতা তোমাদের সন্তান, তোমাদের ভাই তোমাদের পত্নী, তোমাদের গোত্র তোমাদের অর্জিত ধন-সম্পদ, তোমাদের ব্যবসা যা বন্ধ হয়ে যাওয়ার ভয় কর এবং তোমাদের বাসস্থান-যা কে তোমরা পছন্দ কর-আল্লাহ, তাঁর রসূল ও তাঁর রাহে জেহাদ করা থেকে অধিক প্রিয় হয়, তবে অপেক্ষা কর, আল্লাহর বিধান আসা পর্যন্ত, আর আল্লাহ ফাসেক সম্প্রদায়কে হেদায়েত করেন না। [ সুরা তাওবা ৯:২৪
আল্লাহ সুবহানু তায়াল বলেনঃ
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُواْ اتَّقُواْ اللّهَ وَابْتَغُواْ إِلَيهِ الْوَسِيلَةَ وَجَاهِدُواْ فِي سَبِيلِهِ لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُونَ
হে মুমিনগণ! আল্লাহকে ভয় কর, তাঁর নৈকট্য অন্বেষন কর এবং তাঁর পথে জেহাদ কর যাতে তোমরা সফলকাম হও। [ সুরা মায়েদা ৫:৩৫ ]
এটাই আসলে আমাদের গোপন রহস্য , আল্লাহ সুবহানু তায়ালা তারা দ্বীনকে বিজয়ি করার জন্য যুগে যুগে আমাদের সৃষ্টি করেছেন । তোমরা ভেবেছো কি আমাদের কয়েকজন হত্যা করে ফেললেই এই কাফেলা শেষ হয়ে যাবে? তাহলে শোন ,
আল্লাহর রাসুল (স) কি বলছেন ,
حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ شُجَاعٍ، وَهَارُونُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، وَحَجَّاجُ بْنُ الشَّاعِرِ، قَالُوا حَدَّثَنَا حَجَّاجٌ، – وَهُوَ ابْنُ مُحَمَّدٍ – عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، قَالَ أَخْبَرَنِي أَبُو الزُّبَيْرِ، أَنَّهُ سَمِعَ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ، يَقُولُ سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ” لاَ تَزَالُ طَائِفَةٌ مِنْ أُمَّتِي يُقَاتِلُونَ عَلَى الْحَقِّ ظَاهِرِينَ إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ – قَالَ – فَيَنْزِلُ عِيسَى ابْنُ مَرْيَمَ صلى الله عليه وسلم فَيَقُولُ أَمِيرُهُمْ تَعَالَ صَلِّ لَنَا . فَيَقُولُ لاَ . إِنَّ بَعْضَكُمْ عَلَى بَعْضٍ أُمَرَاءُ . تَكْرِمَةَ اللَّهِ هَذِهِ الأُمَّةَ ”
আল ওয়ালীদ ইবন শুজা, হারুন ইবন আবদুল্লাহ ও হাজ্জাজ ইবন শাইর (র)……জাবির ইবন আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত । তিনি বলেন, আমি নবী করীম (সাঃ)-কে বলতে শুনেছি, কিয়ামত পর্যন্ত আমার উম্মাতের একদল হকের উপর প্রতিষ্ঠিত থেকে বাতিলের বিরুদ্ধে কিতাল করতে থাকবে এবং অবশেষে হযরত ঈসা (আঃ) অবতরণ করবেন । মুসলমানদের আমীর বলবেন, আসুন । নামাযে আমাদের ইমামত করুন! উত্তর দিবেনঃ না, আপনাদেরই একজন অন্যদের জন্য ইমাম নিতে হবেন । এ হলো আল্লাহ জন্য প্রদত্ত এ উম্মাতের সমান ।
(সহিহ মুসলিম :: হাদিস ২৯৩/ ২৯২ ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
অপর একটি হাদিসে আল্লাহর রাসুল বলেন ,
وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَمُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ سِمَاكِ بْنِ حَرْبٍ، عَنْ جَابِرِ بْنِ سَمُرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ قَالَ ” لَنْ يَبْرَحَ هَذَا الدِّينُ قَائِمًا يُقَاتِلُ عَلَيْهِ عِصَابَةٌ مِنَ الْمُسْلِمِينَ حَتَّى تَقُومَ السَّاعَةُ ” .
মুহাম্মদ ইবন মুসান্না ও মুহাম্মদ ইবন বাশশার (র)……জাবির ইবন সামুরা (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, নবী (সা) বলেছেনঃ এ দীন (ইসলাম) সর্বদা কায়েম থাকবে । মুসলমানদের একটি দল এর পক্ষে কিতাল করতে থাকবে কিয়ামত পর্যন্ত ।
হ্যা এই কাফেলা কেয়ামত পর্যন্ত জারি থাকবে তোমাদের অত্যাচার এই কাফেলার পথ রোধ করতে পারবে না। তোমাদের যতই প্ল্যান করতে থাকো ।তোমরা তোমাদের দাদাদের পা চাটতে থাকো ।তোমাদের মিডিয়াকে আমাদের বিরুদ্ধে ব্যাবহার করো না কেনো ,আমাদের রুখতে পারবেনা । তোমরা যদি আমাদের সবাইকেও হত্যা করে ফেলো তবুও এই কাফেলা শেষ হবে না । এই কাফেলা জারি থাকবেই।কারন আমরা তো আল্লাহর পথের যোদ্ধা যাদের কোন শেষ নেই।
তোমাদের ব্যাপারে আর কিইবা বলব , তোমরা এতটাই ভিতু যে খাওয়ারেজদের কিছু অপরিপক্ক আক্রমেনেই ভীতু হয়ে ব্যাংকারে আশ্রয় নিয়েছো । তাহলে মুল খেলা শুরু হলে তোমাদের অবস্থা কি হবে ভেবে দেখেছো? তোমরা কি আমাদের তোমাদের মত ভিতু ভাবো? ওহে শুনে রাখো তোমাদের কাছে বেচে থাকা যত প্রিয় আমাদের কাছেতো তার থেকে হাজার গুন বেশী প্রিয় আল্লাহর রাস্তাত নিহত হওয়া।
চলবে ইনশা’আল্লাহ
Comment