আল্লাহ সুবঃ ইরশাদ করেন
‘ নিশ্চয় আমি রাসুলগণকে স্পষ্ট প্রমানাদীসহ পাঠিয়েছি এবং তাদের সাথে কিতাব ও ( ন্যায়ের) মানদণ্ড নাযিল করেছি , যাতে মানুষ সুবিচার প্রতিষ্ঠা করে । আমি আরও নাযিল করছি লোহা , তাতে প্রচুর শক্তি ও মানুষের জন্য বহু কল্যাণ রয়েছে । আর যাতে আল্লাহ জেনে নিতে পারেন, কে না দেখেও তাঁকে ও তাঁর রাসুলদেরকে সাহায্য করে । অবশ্যই আল্লাহ মহাশক্তিধর , মহাপরাক্রমশালী ’ । ( সূরা হাদীদ আয়াত ২৫ )
‘‘আমি লোহা নাযিল করেছি’’ !! লোহা তো আল্লাহ সুবঃ যমীন থেকে সৃষ্টি করেছেন , আসমান থেকে নয় । সুতরাং বাস্তবতার দাবী ছিল এমন বলা “ আমি লোহা তৈরি করেছি বা লোহা সৃষ্টি করেছি ” কিন্তু বলেছেন আমি লোহা নাযিল করেছি , এর হেকমত বা দর্শন হলো এই যে , কিতাবুল্লাহর বাস্তবায়ন ও স্থায়ীত্বের ক্ষেত্রে লোহার কার্যকারিতা ও ভূমিকা এমন যেন এটাও কিতাবুল্লাহর মত আসমান থেকে নাযিলকৃত ।
“তাতে প্রচুর শক্তি ও মানুষের জন্য বহু কল্যাণ রয়েছে” লোহা সৃষ্টির উদ্দেশ্য বর্ণনা করতে গিয়ে যুদ্ধকে আগে উল্লেখ করা এবং মানুষের উপকারীতাকে পরে উল্লেখ করা একথার দলিল যে , লোহা সৃষ্টির মূল উদ্দেশ্য হলো যুদ্ধ আর দ্বিতীয় পর্যায়ে একে অন্যান্য উপকারের জন্যেও ব্যবহার করা যাতে পারে । কিন্তু আফসোস ! শত আফসোস !! আজ কুফুরি শক্তিতো এর উপর আমল করেই যাচ্ছে ; কিন্তু মুসলমানরা এ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি থেকে সম্পূর্ণ গাফেল ও বে-খবর । উল্লেখিত তাফসীরটি তখনই প্রযোজ্য হবে যখন “মানুষের জন্য বহু কল্যাণ রয়েছে” দ্বারা লোহার অন্যান্য সরঞ্জামাদি উদ্দেশ্য নেওয়া হবে । যেমন দরজা , আলমারী , পাখা , ট্রেন ইত্যাদি । কিন্তু কাশশাফ গ্রন্থের লেখক বলেন , লোহার মাধ্যমে জিহাদ করা হয় এবং জিহাদের মাধ্যমে ফেতনা নির্মূল হয় ফলে জনগণ শান্তি ও নিরাপত্তার সাথে জীবন যাপন করে । সুতরাং “মানুষের জন্য বহু কল্যাণ রয়েছে” এর উদ্দেশ্য এটাও হতে পারে ।
“আর যাতে আল্লাহ জেনে নিতে পারেন, কে না দেখেও তাঁকে ও তাঁর রাসুলদেরকে সাহায্য করে” । আয়াতের এ অংশে আল্লাহ সুবঃ বলনে , আমি দেখব কে লৌহা নির্মিত যুদ্ধাস্ত্র নিয়ে আল্লাহর দীনের সহযোগিতা করে অর্থাৎ জিহাদের ময়দানে গমন করে এবং এই লোহাকে আল্লাহর দুশমনদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করে । নিঃসন্দেহে আল্লাহ মহাশক্তিধর , মহাপরাক্রমশালী । তিনি নিজেই পারেন দুশমনদের ধ্বংস করতে ; কিন্তু জিহাদের হুকুম এজন্য যেন মুসলমান এর উপর আমল করে দুনিয়া-আখেরাতের ফায়দা হাসিল করে ।
সংগৃহীত ...!
‘ নিশ্চয় আমি রাসুলগণকে স্পষ্ট প্রমানাদীসহ পাঠিয়েছি এবং তাদের সাথে কিতাব ও ( ন্যায়ের) মানদণ্ড নাযিল করেছি , যাতে মানুষ সুবিচার প্রতিষ্ঠা করে । আমি আরও নাযিল করছি লোহা , তাতে প্রচুর শক্তি ও মানুষের জন্য বহু কল্যাণ রয়েছে । আর যাতে আল্লাহ জেনে নিতে পারেন, কে না দেখেও তাঁকে ও তাঁর রাসুলদেরকে সাহায্য করে । অবশ্যই আল্লাহ মহাশক্তিধর , মহাপরাক্রমশালী ’ । ( সূরা হাদীদ আয়াত ২৫ )
‘‘আমি লোহা নাযিল করেছি’’ !! লোহা তো আল্লাহ সুবঃ যমীন থেকে সৃষ্টি করেছেন , আসমান থেকে নয় । সুতরাং বাস্তবতার দাবী ছিল এমন বলা “ আমি লোহা তৈরি করেছি বা লোহা সৃষ্টি করেছি ” কিন্তু বলেছেন আমি লোহা নাযিল করেছি , এর হেকমত বা দর্শন হলো এই যে , কিতাবুল্লাহর বাস্তবায়ন ও স্থায়ীত্বের ক্ষেত্রে লোহার কার্যকারিতা ও ভূমিকা এমন যেন এটাও কিতাবুল্লাহর মত আসমান থেকে নাযিলকৃত ।
“তাতে প্রচুর শক্তি ও মানুষের জন্য বহু কল্যাণ রয়েছে” লোহা সৃষ্টির উদ্দেশ্য বর্ণনা করতে গিয়ে যুদ্ধকে আগে উল্লেখ করা এবং মানুষের উপকারীতাকে পরে উল্লেখ করা একথার দলিল যে , লোহা সৃষ্টির মূল উদ্দেশ্য হলো যুদ্ধ আর দ্বিতীয় পর্যায়ে একে অন্যান্য উপকারের জন্যেও ব্যবহার করা যাতে পারে । কিন্তু আফসোস ! শত আফসোস !! আজ কুফুরি শক্তিতো এর উপর আমল করেই যাচ্ছে ; কিন্তু মুসলমানরা এ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি থেকে সম্পূর্ণ গাফেল ও বে-খবর । উল্লেখিত তাফসীরটি তখনই প্রযোজ্য হবে যখন “মানুষের জন্য বহু কল্যাণ রয়েছে” দ্বারা লোহার অন্যান্য সরঞ্জামাদি উদ্দেশ্য নেওয়া হবে । যেমন দরজা , আলমারী , পাখা , ট্রেন ইত্যাদি । কিন্তু কাশশাফ গ্রন্থের লেখক বলেন , লোহার মাধ্যমে জিহাদ করা হয় এবং জিহাদের মাধ্যমে ফেতনা নির্মূল হয় ফলে জনগণ শান্তি ও নিরাপত্তার সাথে জীবন যাপন করে । সুতরাং “মানুষের জন্য বহু কল্যাণ রয়েছে” এর উদ্দেশ্য এটাও হতে পারে ।
“আর যাতে আল্লাহ জেনে নিতে পারেন, কে না দেখেও তাঁকে ও তাঁর রাসুলদেরকে সাহায্য করে” । আয়াতের এ অংশে আল্লাহ সুবঃ বলনে , আমি দেখব কে লৌহা নির্মিত যুদ্ধাস্ত্র নিয়ে আল্লাহর দীনের সহযোগিতা করে অর্থাৎ জিহাদের ময়দানে গমন করে এবং এই লোহাকে আল্লাহর দুশমনদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করে । নিঃসন্দেহে আল্লাহ মহাশক্তিধর , মহাপরাক্রমশালী । তিনি নিজেই পারেন দুশমনদের ধ্বংস করতে ; কিন্তু জিহাদের হুকুম এজন্য যেন মুসলমান এর উপর আমল করে দুনিয়া-আখেরাতের ফায়দা হাসিল করে ।
সংগৃহীত ...!
Comment