অনেক আগের লেখা একটি গল্প ।যখন একটু একটু দ্বীন বোঝা শুরু করছি । আজ হঠাত চোখের সামনে চলে আসল । তাই শেয়ার করা।
বাংলার একটি মুজাহিদ ঘাটি ।গভির রাত ।সবাই গভির ঘুমে আছন্ন ।কাল সকালে একটি জরুরি অপরেশন রয়েছে । তাই তাহাজ্জুত পড়ে সবাই ঘুমিয়ে পরেছে একমাত্র দলের নবীনতম সদস্য আবু বকর ছারা ।মাত্র কিছুদিন আগে ট্রেনিং শেষ করে মুল দলে জয়েন করেছে সে । ভাবতেই তার অবাক লাগছে এইকি সেই আবু বকর যে তার নাম নিয়ে ঝগরা করেছিল বাবা মায়ের সাথে । এরুপ সেকেলে নামের কারনে বন্ধুদের সাথে মিশতে লজ্জা পেত সে ।তাছাড়া এরুপ সেকলে নামটা তার গার্লফ্রেন্ডের ও পছন্দ ছিল না ।তাই সে তার নাম সংক্ষিপ্ত কর বক ডাকতো ।নামটা অবশ্য পশু পাখির নামের সাথে মিল হলেও সেকেলে না ।সারদিন বন্ধুদের আড্ডা গিটার ,ফেসবুক আর বাইক নিয়ে কাটত আবু বকরের জীবন । বড় লোকের ছেল যা চাইতো তাই পাইতো জীবনের সবটুকু সুখ যেন বিদ্যমান ছিল তার ।কখনো ভাবেনি এভাবে বিপর্যয় নেমে আসবে তার জীবনে, হঠাত্* করেই বিপর্যয় নেমে আসল তার জীবনে ।বাবা রোড এ্যাস্কিডেন্টে মারা গেলো । ধীরে ধীরে আর্থিক অবস্থা খারাপ হবার সাথে সাথে বন্ধু বান্ধব এবং ভালবাসার মানুষটিও তাকে ছেরে চলে গেলে । এখন তার কাছে জীবনের মানে কিছুই নেই ।বেচে থাকাটা তার কাছে এক অসহ্য যন্ত্রনা । সিদ্ধান্ত নিল সে অত্বহত্যা করবে ।ট্রে নের নিচে কাটা পরে সে চিরমুক্তি নেমে । তখন প্রায় সন্ধা সে রেল রাস্তার সামনে উপস্থিত একটু পরেই সে মুক্তি পারেই তার চিরমুক্তিই এ সুখের কথা ভেবেই হয়ত সে আকাশের দিকে তাকিয়ে ছিল ।কিন্তু বাধ সাধল একটি কন্ঠস্বর আস্সালামু আলাইকুম , এইযে ভাই আমাকে একটু মসজিদে দিয়ে আসবেন ? পেছনে তাকিয়ে দেখলেন এক পা আর এক হাত বিনিন একটা মানুষ তার পিছনে দাড়িয়ে আছে ।তিব্র বিরক্তি নিয়ে সে তাকে নিয়ে মসজীদের দিকে রওনা দিল মসজিদটা বেশ দুর । মসজিদে যাবার সময় ঐ এক হাত এক পা বিহিন লোকটি বললো প্রতিদিন সে একাই যায় কিন্তু আজ তার ভর দেবার লাঠিটা ভেঙ্গে গেছে ।তাই আপনাকে কষ্ট দেয়া । আবু বকর বললো এত কষ্ট করে নামায পড়ার কি দরকার লোকটি তাকে উত্তর দিল "ভাই যে জন্য দুনিয়ায় এসেছি তা করবো না ?আল্লাহ আমাকে এত সুন্দর জীবন দান করেছেন তার বিনিময়ে এতটুকু কৃতজ্ঞতা আদায় না করলে যে আমি অকৃতজ্ঞ হবো ।কথাটা শেষ হতে না হতেই মসজিদে এসে পৌছাল তারা ।লোকটিকে রেখে ফিরে যাচ্ছিল আবু বকর কিন্তু লোকটি তার হাত ধরে বললো ভাই সলাত টা আদায় করে যান । কেন জানিনা তার কথা ফেলতে পারলোনা সে সলাত আদায় করলো সে ।ছোটবেলায় মক্তবে কয়েকটা সূরা মুখস্ত করছিল সে ।সেগুলো দিয়েই সলাতটা শেষ করলো ।সলাত শেষ করেই কেন জানি তার অন্যরকম লাগতে শুরু করলো কোথায় যেন একটা আনন্দের স্পর্শ ,সেদিন ঘরে ফিরে সেই লোকটার কথা সারা রাত ভাবল আবু বক্কর এত প্রতিবন্ধকতার পরেও তার মনে কোন কষ্ট নেই ,তার পরেও সে সৃষ্টিকর্তার সন্তুষ্ঠি আদায়ে ব্যাস্ত ।এসব ভাবতে ভাবতে সে ঘুমিয়ে পড়লো ।
দুই দিন পরের ঘটনা আবু বক্কর আর সেই খোরা লোকটি একসাথ জুমার সলাতের খুত্*বা শুনছেন ।খুত্*বা শুনে যেন বিমহিত হয়ে যাচ্ছেন আবূ বকর এতদিন যেটাকে সুখ ভেবেছেন সেটা যেন একটা মোহ সে যেন এক নতুন সুখের সন্ধান পাচ্ছেন ।যে সুখে নেই কোন জরতা ,নেই অবস্তবতার হাত ছানি ।এসব স্বৃতি চারন করতে করতে চোখটা একটু লেগে এসেছিল তার হঠাত্* গুলির শব্দ সংজ্ঞায় ফিরে এলেন কুত্*ফার বাহিনী তাদের ঘাটিতে আক্রমন চালিয়েছে ।আবু বকর তার বিছানার উপর থেকে ak47 টা নিয়ে ছুটে চললো তিব্র গতিতে ।তার চোখে মুখে সংকল্প ,আনন্দের রেখা ভেসে উঠেছে ।সে ছুটে চলেছে মৃত্যুর দিকে আজ তার আকাক্ষা মৃত্যূ আজ থেকে পাচ বছর আগে ও সে এক এক ই মৃত্যুর দিকে ছুটছে সে । পার্থ্যক্য শুধু আজ ছুটছে এক চিরসুখের আহ্বানে
"আল্লাহর মুমিনদের জান ও মাল ক্রয় করেছেন জান্নাতের বিনিময়ে ।তার আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করে অতপরে মারে এবং মরে ।তাদের ব্যাপার ওয়াদ ইন্জিলে ,তাওরাতে করা হয়েছিল আর এখন কোরানে করা হচ্ছে ,এই ওয়াদা পালন করা একান্ত আল্লাহর দায়িত্ব ।তোমার তার সাথে যে কেনাবেচার কাজ সম্পন্ন করলে তাতে সুসংবাদ গ্রহন করো ,এটিই হচ্ছে মহাসাফল্য ।"(সুরা তাওবা)
বাংলার একটি মুজাহিদ ঘাটি ।গভির রাত ।সবাই গভির ঘুমে আছন্ন ।কাল সকালে একটি জরুরি অপরেশন রয়েছে । তাই তাহাজ্জুত পড়ে সবাই ঘুমিয়ে পরেছে একমাত্র দলের নবীনতম সদস্য আবু বকর ছারা ।মাত্র কিছুদিন আগে ট্রেনিং শেষ করে মুল দলে জয়েন করেছে সে । ভাবতেই তার অবাক লাগছে এইকি সেই আবু বকর যে তার নাম নিয়ে ঝগরা করেছিল বাবা মায়ের সাথে । এরুপ সেকেলে নামের কারনে বন্ধুদের সাথে মিশতে লজ্জা পেত সে ।তাছাড়া এরুপ সেকলে নামটা তার গার্লফ্রেন্ডের ও পছন্দ ছিল না ।তাই সে তার নাম সংক্ষিপ্ত কর বক ডাকতো ।নামটা অবশ্য পশু পাখির নামের সাথে মিল হলেও সেকেলে না ।সারদিন বন্ধুদের আড্ডা গিটার ,ফেসবুক আর বাইক নিয়ে কাটত আবু বকরের জীবন । বড় লোকের ছেল যা চাইতো তাই পাইতো জীবনের সবটুকু সুখ যেন বিদ্যমান ছিল তার ।কখনো ভাবেনি এভাবে বিপর্যয় নেমে আসবে তার জীবনে, হঠাত্* করেই বিপর্যয় নেমে আসল তার জীবনে ।বাবা রোড এ্যাস্কিডেন্টে মারা গেলো । ধীরে ধীরে আর্থিক অবস্থা খারাপ হবার সাথে সাথে বন্ধু বান্ধব এবং ভালবাসার মানুষটিও তাকে ছেরে চলে গেলে । এখন তার কাছে জীবনের মানে কিছুই নেই ।বেচে থাকাটা তার কাছে এক অসহ্য যন্ত্রনা । সিদ্ধান্ত নিল সে অত্বহত্যা করবে ।ট্রে নের নিচে কাটা পরে সে চিরমুক্তি নেমে । তখন প্রায় সন্ধা সে রেল রাস্তার সামনে উপস্থিত একটু পরেই সে মুক্তি পারেই তার চিরমুক্তিই এ সুখের কথা ভেবেই হয়ত সে আকাশের দিকে তাকিয়ে ছিল ।কিন্তু বাধ সাধল একটি কন্ঠস্বর আস্সালামু আলাইকুম , এইযে ভাই আমাকে একটু মসজিদে দিয়ে আসবেন ? পেছনে তাকিয়ে দেখলেন এক পা আর এক হাত বিনিন একটা মানুষ তার পিছনে দাড়িয়ে আছে ।তিব্র বিরক্তি নিয়ে সে তাকে নিয়ে মসজীদের দিকে রওনা দিল মসজিদটা বেশ দুর । মসজিদে যাবার সময় ঐ এক হাত এক পা বিহিন লোকটি বললো প্রতিদিন সে একাই যায় কিন্তু আজ তার ভর দেবার লাঠিটা ভেঙ্গে গেছে ।তাই আপনাকে কষ্ট দেয়া । আবু বকর বললো এত কষ্ট করে নামায পড়ার কি দরকার লোকটি তাকে উত্তর দিল "ভাই যে জন্য দুনিয়ায় এসেছি তা করবো না ?আল্লাহ আমাকে এত সুন্দর জীবন দান করেছেন তার বিনিময়ে এতটুকু কৃতজ্ঞতা আদায় না করলে যে আমি অকৃতজ্ঞ হবো ।কথাটা শেষ হতে না হতেই মসজিদে এসে পৌছাল তারা ।লোকটিকে রেখে ফিরে যাচ্ছিল আবু বকর কিন্তু লোকটি তার হাত ধরে বললো ভাই সলাত টা আদায় করে যান । কেন জানিনা তার কথা ফেলতে পারলোনা সে সলাত আদায় করলো সে ।ছোটবেলায় মক্তবে কয়েকটা সূরা মুখস্ত করছিল সে ।সেগুলো দিয়েই সলাতটা শেষ করলো ।সলাত শেষ করেই কেন জানি তার অন্যরকম লাগতে শুরু করলো কোথায় যেন একটা আনন্দের স্পর্শ ,সেদিন ঘরে ফিরে সেই লোকটার কথা সারা রাত ভাবল আবু বক্কর এত প্রতিবন্ধকতার পরেও তার মনে কোন কষ্ট নেই ,তার পরেও সে সৃষ্টিকর্তার সন্তুষ্ঠি আদায়ে ব্যাস্ত ।এসব ভাবতে ভাবতে সে ঘুমিয়ে পড়লো ।
দুই দিন পরের ঘটনা আবু বক্কর আর সেই খোরা লোকটি একসাথ জুমার সলাতের খুত্*বা শুনছেন ।খুত্*বা শুনে যেন বিমহিত হয়ে যাচ্ছেন আবূ বকর এতদিন যেটাকে সুখ ভেবেছেন সেটা যেন একটা মোহ সে যেন এক নতুন সুখের সন্ধান পাচ্ছেন ।যে সুখে নেই কোন জরতা ,নেই অবস্তবতার হাত ছানি ।এসব স্বৃতি চারন করতে করতে চোখটা একটু লেগে এসেছিল তার হঠাত্* গুলির শব্দ সংজ্ঞায় ফিরে এলেন কুত্*ফার বাহিনী তাদের ঘাটিতে আক্রমন চালিয়েছে ।আবু বকর তার বিছানার উপর থেকে ak47 টা নিয়ে ছুটে চললো তিব্র গতিতে ।তার চোখে মুখে সংকল্প ,আনন্দের রেখা ভেসে উঠেছে ।সে ছুটে চলেছে মৃত্যুর দিকে আজ তার আকাক্ষা মৃত্যূ আজ থেকে পাচ বছর আগে ও সে এক এক ই মৃত্যুর দিকে ছুটছে সে । পার্থ্যক্য শুধু আজ ছুটছে এক চিরসুখের আহ্বানে
"আল্লাহর মুমিনদের জান ও মাল ক্রয় করেছেন জান্নাতের বিনিময়ে ।তার আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করে অতপরে মারে এবং মরে ।তাদের ব্যাপার ওয়াদ ইন্জিলে ,তাওরাতে করা হয়েছিল আর এখন কোরানে করা হচ্ছে ,এই ওয়াদা পালন করা একান্ত আল্লাহর দায়িত্ব ।তোমার তার সাথে যে কেনাবেচার কাজ সম্পন্ন করলে তাতে সুসংবাদ গ্রহন করো ,এটিই হচ্ছে মহাসাফল্য ।"(সুরা তাওবা)
Comment