আল্লাহর পথে যুদ্ধকারী এবং শয়তানের পথে যুদ্ধকারীর মধ্যকার গুরুত্বপূর্ন পার্থক্য
আল্লাহর প্রশংসা এবং রাসূল সাঃ এর প্রতি সালাত ও সালামা আদায়ের পর।একদিকে মুজাহিদীনে কেরাম যারা ই’লায়ে কালিমাতিল্লাহ এবং ইসলামী বিধান বাস্তবায়নের জন্য যুদ্ধ করছে। আল্লাহর জমীনে আল্লাহর সার্বভৌমত্ব বজায় রাখা বা করা তাদের মিশন। এরাই يقاتلون في سبيل الله (আল্লাহর পথে তারা যুদ্ধ করে।) এর মেসদাক। এরাই মূর্তি চূর্ণ - বিচূর্ণকারী। এরা আওলাদে ইব্রাহীম আঃ।
অপর দিকে নামধারী মুসলিম শাসকশ্রেণী এবং তাদের গোয়েন্দা ও সেনাবাহিনী যারা কুফরের ফ্রণ্ট লাইনে যুদ্ধ করছে। তাদের মিশন হচ্ছে মুসলিমদের পবিত্র ভুখন্ডে আমেরিকার সংবিধান কায়েম করা এবং এর প্রভাব প্রতিপত্তি বজায় রাখা। এরাই يُقاتِلُوْنَ في سبيل الطاغوت (যারা তাগুতের পথে যুদ্ধ করে) এর মেসদাকের অন্তর্ভূক্ত। এরা মূর্তির পূজারী এবং তার রক্ষক। এরা নমরুদের বংশধর।
একদিকে মুজাহিদীনদের বিজয় বা গাজী হওয়া অথবা শহীদ হয়ে যাওয়া। যদিও মুজাহিদীনদের নিজেদের সাথীদের বিচ্ছেদ সহ্য করতে হয়। কিন্তু তারা সাথী ভাইদের শাহাদাত নিয়ে সর্বদা গর্ব অনুভব করে।কারণ সে তো কামিয়াব। যেমনটা মুয়াজ বিন জাবাল রাঃ থেকে বর্ণিত আছে যে, রাসূল সাঃ ইরশাদ করেনঃ
শুনো! ইসলামের চাকা ঘুরতে থাকে। সুতরাং যেদিকে কুরআনের রোখ সেদিকে ঘুরে যাও! মনে রেখ! কুরআন এবং তার অনুসারীরা অচিরেই পৃথক হয়ে যাবে। খবরদার! তোমরা কুরআনের সঙ্গ ছাড়বে না। ভবিষ্যতে এমন শাসক আসবে যারা তোমাদের ব্যাপারে ফয়সালা করবে। যদি তোমরা তাদের অনুসরণ করো তাহলে তোমাদেরকে গোমরাহ করে ছাড়বে। আর যদি তোমরা তার অবাধ্য হও তাহলে তোমাদেরকে মৃত্যু দোয়ারে পৌঁছে দিবে।
মুয়াজ বিন জাবাল রাঃ প্রশ্ন করলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ আমরা তখন কী করবো? রাসূল সাঃ উত্তর দিলেন, তোমরা তাই করবে যা হযরত ঈসা আঃ এর সাথী হাওয়ারিয়্যীনরা করেছিল। তাদেরকে করাত দিয়ে ফাড়া হয়েছিল এবং শুলে চড়ানো হয়েছিল। (তাবরানী)
হে আল্লাহর পথে যুদ্ধকারীরা! তোমরাইতো ঐ সকল মুজাহিদীন যারা নবী আঃ এবং সাহাবা রাঃ এর ইতিহাসকে যিন্দা করেছো। তাদের না’রা সব সময়ই فزتُ و رب الكعبة ( কা’বার রবের শপথ! আমি সফল হয়েছি।) ছিল।
অপর দিকে এই শাসক শ্রেণী এবং তাদের বাহিনী নিজেদের উপর নমরুদ ও তার বাহিনীর মহর মেরে রেখেছে। যারা ইসলামের সাথে মহব্বত রাখার কারণে ইব্রাহীম আ: এর বংশধরদের আগুনে নিক্ষেপ করছে। ফেরআউনের মতো আল্লাহর নাম জপে এমন ব্যক্তিদের শুলে চড়াচ্ছে। এরা ঐ সকল নাপাক লোক যারা সামান্য ডলারের বিনিময় মুসলমানদের ইজ্জত আব্রুকে পদদলিত করছে। কিন্তু এরা যেহেতু বাতিল তাই এদের পরাজয় নির্ধারিত এবং লাঞ্ছনা অবধারিত। ইনশাআল্লাহ
কিছুদিন পূর্বে পাকিস্তান সরকার কয়েকজন মুজাহিদের সাথে হাজার হাজার নিরিহ মুসলিমকে হত্যা করেছে। এইতো কয়েকদিন আগেও ২২ জন মুজাহিদকে ফাঁসির রায় শুনিয়েছে। যা সরকারের দূর্বলতার পরিচায়ক। আপনি যদি পাকিস্তানের কয়েকদিন আগের খবরগুলো পড়ে থাকেন তাহলে জানতে পারবেন যে, তালেবানরা হাজারও পাকিস্তানী সৈন্য বন্দী করে এবং পরবর্তীতে ছেড়ে দিয়েছে। যেমন পাকিস্তানের ওয়াজিরিস্তানের কমান্ডার বাইতুল্লাহ মেহসুদ আনুমানিক ৩০০ এবং সোয়াতে ফজলুল্লাহ খুরাসানীসহ অন্যান্য এলাকার মুজাহিদীনরা হাজারো সৈন্যকে গ্রেফতার করে সম্মানের সাথে মুক্তি দিয়েছে।
কিন্তু বাংলাদেশ বা পাকিস্তানের শাসকশ্রেণী মুজাহিদীনদের ক্ষমা করাতো দূরের কথা, এরাতো সাধারণ মানুষকেই ক্ষমা করে না। আর এটা কিভাবেই সম্ভব যখন পাকিস্তানের সেনাবাহিনী নিজেদের বোন আফিয়া সিদ্দিকাকে সামান্য ডলারের বিনিময় কুফ্ফারদের কাছে বিক্রি করে দেয়। তালেবান দূত মোল্লা আব্দুস সালাম যাঈফকে গ্রেফতার করে আমেরিকার হাওলা করে দেয়। শত শত মেহমান এবং মেজবান মুজাহিদকে জেলে ঢুকিয়েছে। আর এদের কতককে কাফেরদের হাওলা করেছে। পাকিস্তান সরকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উপর বোমা হামলা করার মতো ইতিহাস তৈরী করেছে। সর্বপ্রথম বাজোড়ে এক দ্বীনি প্রতিষ্ঠানে হামলা করেছে। তারপর ইসলামাবাদের লাল মসজিদ এবং জামেয়া হাফসা ও জামিয়া ফরিদিয়ার উপর বিষাক্ত বোমা নিক্ষেপ করে। আমাদের সম্মানিত বোনদের শুধু ইসলামের সাথে মহব্বত করার কারণে শহীদ করা হয়, বন্দী করে কুফফারদের কাছে বিক্রি করা হয়।
পাকিস্তানের তালেবানদের মুখপাত্র হাজী মুসলিম খানকে তার সকল সাথীকে সহ গায়েব করা হয়েছিল। কিন্তু এব্যাপারে কেউ একটু টু শব্দও করেনি। তাদের আইন কি দূত হত্যার বৈধতা দেয়? তাদের আকল কি এটা সমর্থন করে?
এই হলো আমাদের মুসলিম দেশের শাসকদের অবস্থা। যারা শুধু শরীয়ত প্রতিষ্ঠার দাবী তোলার কারণে মুসলিমদের হত্যা করছে কিংবা বিক্রি করছে। তারা অস্ত্রের ভাষা ব্যতীত কিছুই বুঝেনা। তারা নিজেদের আকলকে ভারত এবং আমেরিকার কাছে সঁপে দিয়েছে।
আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে তাগুতদের বাস্তবতা বুঝার তাওফীক দিন। আমীন!
( উমার মিডিয়া)
Comment