অনেক ভাইয়েরা বলে থাকে যে , আগে ঈমানের উপর মেহনত করে ঈমানকে পরিপূর্ণ করি । ঈমান যখন মজবুত ও পরিপূর্ণ হবে তখন আমরা জিহাদে যাব । আর না হয় যদি ঈমানে দুর্বলতা থাকে বা ঈমান পরিপূর্ণ না থাকে তাহলে জিহাদে যাওয়ার পরে ঈমানের দুর্বলতার কারণে শত্রুর ভয়ে জিহাদ থেকে পলায়ন করার আশঙ্কা রয়েছে । আর জিহাদ থেকে পলায়ন করা কবিরা গুনাহ এবং জিহাদ থেকে পলায়নকারীর উপর আল্লাহ সুবঃ রাগান্বিত হন । ঈমান পরিপূর্ণ করা ছাড়া জিহাদে গেলে লাভের চেয়ে ক্ষতিই বেশি হবে , গুনাহও হবে আবার আল্লাহ সুবঃ-ও রাগ করবেন । কাজেই আগে ঈমান পরিপূর্ণ করি পরে জিহাদে যাব ।
যারা এসব কথা বলে তাদের কাছে কিছু প্রশ্ন !
১. কতদিন ঈমানের মেহনত করলে ঈমান পরিপূর্ণ হবে ? শরীয়ত কি দিন , সপ্তাহ , মাস , বছর নির্ধারণ করে দিয়েছেন ?
২. ঈমান কতটুকু থাকলে পরে ঈমান পূর্ণ হয় ?
৩. কিভাবে বুঝবেন ঈমান পূর্ণ হয়েছে কি না ? জিহাদে বের হয়ে নাকি না হয়ে ? আপনাদের কথামত ঈমান পূর্ণ হয়েছে কি না তা পরীক্ষা করার জন্য হলেও তো জিহাদে যাওয়া প্রয়োজন । ঈমান পরীক্ষার জন্য হলেও কি জিহাদে গিয়েছেন ?
৪. প্রচলিত তাবলীগে যে ভাইয়েরা বছরের পর বছর লেগে আছে তাদের ঈমান কি পরিপূর্ণ হয় নি ?
৫. যে ভাইয়েরা প্রচলিত তাবলীগ করতে করতে মৃত্যু বরণ করেছে জিহাদের যায়নি , তাদের ঈমান কি পূর্ণ হওয়া ছড়াই মৃত্যু বরণ করেছেন ? তাদের ব্যাপারে কি বলবেন ?
৬. সাহাবায়ে কেরাম তকদিন ঈমানের মেহনত করেছিলেন ? যদি বলেন তের বছর মক্কায় ঈমানের মেহনত করে , মদিনায় পরে জিহাদ করেছেন (যদিও একথার কোন ভিত্তি নেই ) তাহলে বলব , যে সাহাবারা মদিনায় ঈমান এনেছে তারা কত বছর ঈমানের মেহনত করেছেন ? এমনও সাহাবা আছেন যারা ঈমান গ্রহণ করে অন্য কোন ইবাদত করার তেমন সুযোগ হয়নি এমনকি এক ওয়াক্ত সালাত ও । তারাও জিহাদে গিয়ে শহীদ হয়ে গেছেন , তাদের ব্যাপারে কি বলবেন ?
৭. কোরআন এবং হাদীসের কোথায় আছে যে , যতটুকু ঈমান নিয়ে অন্য সব ইবাদত করতে পারেন ততটুকু ঈমান নিয়ে জিহাদে যেতে পারবেন না ?
আসল কথা হল যে , তারা জিহাদে যেতেই চাইনা বরং জিহাদ থেকে পলায়ন করাই উদ্দেশ্য । এমন লোকদের ব্যাপারে আল্লাহ সুবঃ সূরা আহযাবের ১৩ নং আয়াতে কত সুন্দর করেই না বলেছেন ,
“তাদের একদল নবীর কাছে অনুমতি প্রার্থনা করে বলেছিল , আমাদের বাড়ী-ঘর খালি , অথচ সেগুলো খালি ছিল না , পালায়ন করাই ছিল তাদের তাদের উদ্দেশ্য” ।
আয়াতে আল্লাহ সুবঃ তাদের কথা কে মিথ্যা সাব্যস্ত করেছেন যারা নবীর কাছে এসে জিহাদে না যাওয়ার জন্য অনুমতি চাইত । এবং মিথ্যা ওজুহাত দেখাত যে , আমদের বাড়ী-ঘর খালি রেখে আমরা কিভাবে জিহাদে যাব । আল্লাহ সুবঃ বলছেন না তাদের ঘর-বাড়ী খালি না বরং জিহাদের না যাওয়ার জন্য এসব তাদের মিথ্যা ওজুহাত । ঠিক তেমনিভাবে এখনও একশ্রেণীর লোক ঈমানের দুর্বলতার ওজুহাত দিয়ে জিহাদে যাওয়া থেকে বিরত থাকতে চাই । তার ভাবে জিহাদে না গিয়ে অন্যান্য ইবাদত করে ঈমানকে পূর্ণ করে নিবে ।
তাদের বুঝা উচিৎ যে , জিহাদে যাওয়ার দ্বারাই ঈমান বৃদ্ধি পায় , ঈমান পূর্ণ হতে থাকে । আল্লাহ সুবঃ এমনই বলেছেন ,
‘‘যাদেরকে লোকেরা বলেছে যে , তোমাদের সাথে মোকাবেলা করার জন্য লোকেরা সরঞ্জাম জমা করেছে ; তাদের ভয় কর । তখন তাদের ঈমান আরও বেড়ে গেল এবং বলে আমাদের জন্য আল্লাহই যথেষ্ট’’ ...
( সূরা আলে ইমরান ,আয়াত ১৭৩) ।
অন্য আয়তে আল্লাহ সুবঃ বলেন ,
‘‘ যখন মুমিনরা শত্রুবাহিনীকে দেখল , তখন বলল , আল্লাহ ও তাঁর রাসুল এরই ওয়াদা আমাদেরকে দিয়েছিলেন এবং আল্লাহ ও তাঁর রাসুল সত্য বলেছেন । এতে তাদের ঈমান ও আত্মসমর্পণ বৃদ্ধি পেল’’ । ( সূরা আহযাব ,আয়াত ২২ ) ।
এই আয়াত দ্বারা বুঝা গেল যে , জিহাদের ময়দানে শত্রুদের দেখে ঈমান বেড়েই যায় , ঈমান বৃদ্ধি পেতে থাকে । কাজেই ঈমানের দুর্বলতার কথা বলে জিহাদ থেকে দূরে থাকার কোন কারণ নেই । বরং ঈমানে দুর্বলতা থাকলে এবং ঈমান পূর্ণ না থাকলে জিহাদে গিয়ে ঈমানের দুর্বলতা দূর করে ঈমানকে পূর্ণ করাই হল ঈমানের দাবী ।
আল্লাহ সুবঃ আমাদের কে সঠিক বোঝ দান করুণ !
যারা এসব কথা বলে তাদের কাছে কিছু প্রশ্ন !
১. কতদিন ঈমানের মেহনত করলে ঈমান পরিপূর্ণ হবে ? শরীয়ত কি দিন , সপ্তাহ , মাস , বছর নির্ধারণ করে দিয়েছেন ?
২. ঈমান কতটুকু থাকলে পরে ঈমান পূর্ণ হয় ?
৩. কিভাবে বুঝবেন ঈমান পূর্ণ হয়েছে কি না ? জিহাদে বের হয়ে নাকি না হয়ে ? আপনাদের কথামত ঈমান পূর্ণ হয়েছে কি না তা পরীক্ষা করার জন্য হলেও তো জিহাদে যাওয়া প্রয়োজন । ঈমান পরীক্ষার জন্য হলেও কি জিহাদে গিয়েছেন ?
৪. প্রচলিত তাবলীগে যে ভাইয়েরা বছরের পর বছর লেগে আছে তাদের ঈমান কি পরিপূর্ণ হয় নি ?
৫. যে ভাইয়েরা প্রচলিত তাবলীগ করতে করতে মৃত্যু বরণ করেছে জিহাদের যায়নি , তাদের ঈমান কি পূর্ণ হওয়া ছড়াই মৃত্যু বরণ করেছেন ? তাদের ব্যাপারে কি বলবেন ?
৬. সাহাবায়ে কেরাম তকদিন ঈমানের মেহনত করেছিলেন ? যদি বলেন তের বছর মক্কায় ঈমানের মেহনত করে , মদিনায় পরে জিহাদ করেছেন (যদিও একথার কোন ভিত্তি নেই ) তাহলে বলব , যে সাহাবারা মদিনায় ঈমান এনেছে তারা কত বছর ঈমানের মেহনত করেছেন ? এমনও সাহাবা আছেন যারা ঈমান গ্রহণ করে অন্য কোন ইবাদত করার তেমন সুযোগ হয়নি এমনকি এক ওয়াক্ত সালাত ও । তারাও জিহাদে গিয়ে শহীদ হয়ে গেছেন , তাদের ব্যাপারে কি বলবেন ?
৭. কোরআন এবং হাদীসের কোথায় আছে যে , যতটুকু ঈমান নিয়ে অন্য সব ইবাদত করতে পারেন ততটুকু ঈমান নিয়ে জিহাদে যেতে পারবেন না ?
আসল কথা হল যে , তারা জিহাদে যেতেই চাইনা বরং জিহাদ থেকে পলায়ন করাই উদ্দেশ্য । এমন লোকদের ব্যাপারে আল্লাহ সুবঃ সূরা আহযাবের ১৩ নং আয়াতে কত সুন্দর করেই না বলেছেন ,
“তাদের একদল নবীর কাছে অনুমতি প্রার্থনা করে বলেছিল , আমাদের বাড়ী-ঘর খালি , অথচ সেগুলো খালি ছিল না , পালায়ন করাই ছিল তাদের তাদের উদ্দেশ্য” ।
আয়াতে আল্লাহ সুবঃ তাদের কথা কে মিথ্যা সাব্যস্ত করেছেন যারা নবীর কাছে এসে জিহাদে না যাওয়ার জন্য অনুমতি চাইত । এবং মিথ্যা ওজুহাত দেখাত যে , আমদের বাড়ী-ঘর খালি রেখে আমরা কিভাবে জিহাদে যাব । আল্লাহ সুবঃ বলছেন না তাদের ঘর-বাড়ী খালি না বরং জিহাদের না যাওয়ার জন্য এসব তাদের মিথ্যা ওজুহাত । ঠিক তেমনিভাবে এখনও একশ্রেণীর লোক ঈমানের দুর্বলতার ওজুহাত দিয়ে জিহাদে যাওয়া থেকে বিরত থাকতে চাই । তার ভাবে জিহাদে না গিয়ে অন্যান্য ইবাদত করে ঈমানকে পূর্ণ করে নিবে ।
তাদের বুঝা উচিৎ যে , জিহাদে যাওয়ার দ্বারাই ঈমান বৃদ্ধি পায় , ঈমান পূর্ণ হতে থাকে । আল্লাহ সুবঃ এমনই বলেছেন ,
‘‘যাদেরকে লোকেরা বলেছে যে , তোমাদের সাথে মোকাবেলা করার জন্য লোকেরা সরঞ্জাম জমা করেছে ; তাদের ভয় কর । তখন তাদের ঈমান আরও বেড়ে গেল এবং বলে আমাদের জন্য আল্লাহই যথেষ্ট’’ ...
( সূরা আলে ইমরান ,আয়াত ১৭৩) ।
অন্য আয়তে আল্লাহ সুবঃ বলেন ,
‘‘ যখন মুমিনরা শত্রুবাহিনীকে দেখল , তখন বলল , আল্লাহ ও তাঁর রাসুল এরই ওয়াদা আমাদেরকে দিয়েছিলেন এবং আল্লাহ ও তাঁর রাসুল সত্য বলেছেন । এতে তাদের ঈমান ও আত্মসমর্পণ বৃদ্ধি পেল’’ । ( সূরা আহযাব ,আয়াত ২২ ) ।
এই আয়াত দ্বারা বুঝা গেল যে , জিহাদের ময়দানে শত্রুদের দেখে ঈমান বেড়েই যায় , ঈমান বৃদ্ধি পেতে থাকে । কাজেই ঈমানের দুর্বলতার কথা বলে জিহাদ থেকে দূরে থাকার কোন কারণ নেই । বরং ঈমানে দুর্বলতা থাকলে এবং ঈমান পূর্ণ না থাকলে জিহাদে গিয়ে ঈমানের দুর্বলতা দূর করে ঈমানকে পূর্ণ করাই হল ঈমানের দাবী ।
আল্লাহ সুবঃ আমাদের কে সঠিক বোঝ দান করুণ !
Comment