Announcement

Collapse
No announcement yet.

‘আমর বিল মারুফ ও নাহি আনিল মুনকার’ প্রসঙ্গে মুফতি তাকি উসমানীর দাবীর র্পযালোচনা-২

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • ‘আমর বিল মারুফ ও নাহি আনিল মুনকার’ প্রসঙ্গে মুফতি তাকি উসমানীর দাবীর র্পযালোচনা-২

    হাত দ্বারা বাঁধা দেওয়া কি শুধু শাসকদের দায়িত্ব?

    আল্লামা মুফতি তাকি উসামানী সাহেব “নাহি আনিল মুনকার” প্রসঙ্গে আরেকটি অস্বীকৃত কথা বলেন, যার মাধ্যমে বর্তমান যামানায় হাত দ্বারা ‘নাহি আনিল মুনকার’ করার পথ সম্পূর্ণরূপে বন্ধ হয়ে যায়। তিনি তার কিতাবে হাত দ্বারা নাহি আনিল মুনকার প্রসঙ্গে বলেন:
    “কিন্তু কোন অন্যায়কে হাত দ্বারা বাঁধা দেওয়ার যতটুকু সম্পর্ক, তা হচ্ছে, এতে ক্ষমতাশীলদেরকে সম্ভোধন করা হয়েছে। যেমন ফাতওয়ায়ে আলমগিরিতে উল্লেখ আছে:
    وَيُقَالُ الْأَمْرُ بِالْمَعْرُوفِ بِالْيَدِ عَلَى الْأُمَرَاءِ وَبِاللِّسَانِ عَلَى الْعُلَمَاءِ وَبِالْقَلْبِ لِعَوَامِّ النَّاسِ وَهُوَ اخْتِيَارُ الزندويستي كَذَا فِي الظَّهِيرِيَّةِ ......
    অনুবাদ:“কথিত আছে, ‘আমর বিল মারূফ’ হাত দ্বারা শাসকদের দায়িত্ব, যবান দ্বারা আলেমদের দায়িত্ব এবং অন্তর দ্বারা সাধারণ লোকদের দায়িত্ব। যান্দাওয়িস্তিও এ মতই অবলম্বন করেছেন। যেমনটা যহিরিয়্যায় উল্লেখ রয়েছে।”
    এর দ্বারা উদ্দেশ্য ঐ সমস্ত লোক, যাদের যেকোন স্থানে যেকোন ধরণের কর্তৃত্ব রয়েছে। যেমন যে ব্যক্তি বংশের সরদার, তার নিজ বংশের উপর কর্তৃত্ব রয়েছে। তার দায়িত্ব হল, নিজ বংশের লোকদের মাঝে যেকোন মন্দ দেখলে তা নিজ ক্ষমতা দ্বারা বাঁধা দিবে। যে কোন প্রতিষ্ঠানে কর্তৃত্বশীল, সে তার প্রতিষ্ঠানে সংঘটিত অন্যায়সমূহকে নিজ ক্ষমতা দ্বারা বাঁধা দিবে। আর এক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ভূমিকা পালন করতে পারে সরকার প্রধান, যার রয়েছে সামগ্রিক কর্তৃত্ব। এজন্য তার কাজ ওয়াজ-নসিহত পর্যন্ত সীমাবদ্ধ নয়; বরং তার উপর ফরজ হল, নিজের সকল রাষ্ট্রীয় উপায়-উপকরণ ব্যবহার করে শক্তি ও পৃষ্ঠপোষকতার মাধ্যমে জোরপূর্বক তা বন্ধ করা।
    যেহেতু আমর বিল মারুফের সর্বোচ্চ স্তর, তথা হাত দ্বারা বাঁধা দেওয়ার দায়িত্ব সরকারের, এ কারণে এই আয়াতে এটাকে ইসলামী সরকারের মৌলিক উদ্দেশ্যের মধ্যে আলোচনা করা হয়েছে এবং এ দু’টি পরিভাষার মাধ্যমে সরকারের আইন প্রণয়ন ও প্রশাসনিক পদ্ধতির একটি স্পষ্ট ভিত্তি বর্ণনা করে দেওয়া হয়েছে।”
    উপরোক্ত আলোচনায় হাত দ্বারা বাঁধা দেওয়ার হুকুমটিকে অকাট্যভাবে শাসক ও কর্তৃত্বশীলদের জন্য নির্দিষ্ট করা হল। আর তার পক্ষে ফাতওয়ায়ে আলমগিরির উল্লেখিত উদ্ধৃতিটির মাধ্যমে দলিল দেওয়া হল। অথচ ফাতওয়ায়ে আলমগিরিতে উল্লেখিত উদ্ধৃতিটি কারো কারো অস্বীকৃত মত হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে।
    দেখুন, ফাতওয়ায়ে আলমগিরির আলোচনাটি:
    وَيَنْبَغِي أَنْ يَكُونَ التَّعْرِيفُ أَوَّلًا بِاللُّطْفِ وَالرِّفْقِ لِيَكُونَ أَبْلَغَ فِي الْمَوْعِظَةِ وَالنَّصِيحَةِ ثُمَّ التَّعْنِيفِ بِالْقَوْلِ لَا بِالسَّبِّ وَالْفُحْشِ ثُمَّ بِالْيَدِ كَإِرَاقَةِ الْخَمْرِ وَإِتْلَافِ الْمَعَازِفِ
    ذَكَرَ الْفَقِيهُ فِي كِتَابِ الْبُسْتَانِ أَنَّ الْأَمْرَ بِالْمَعْرُوفِ عَلَى وُجُوهٍ إنْ كَانَ يَعْلَمُ بِأَكْبَرِ رَأْيِهِ أَنَّهُ لَوْ أَمَرَ بِالْمَعْرُوفِ يَقْبَلُونَ ذَلِكَ مِنْهُ وَيُمْنَعُونَ عَنْ الْمُنْكَرِ فَالْأَمْرُ وَاجِبٌ عَلَيْهِ وَلَا يَسَعُهُ تَرْكُهُ
    وَلَوْ عَلِمَ بِأَكْبَرِ رَأْيِهِ أَنَّهُ لَوْ أَمَرَهُمْ بِذَلِكَ قَذَفُوهُ....وَلَوْ عَلِمَ أَنَّهُمْ لَوْ ضَرَبُوهُ صَبَرَ عَلَى ذَلِكَ وَلَا يَشْكُو إلَى أَحَدٍ فَلَا بَأْسَ بِأَنْ يَنْهَى عَنْ ذَلِكَ وَهُوَ مُجَاهِدٌ وَلَوْ عَلِمَ أَنَّهُمْ لَا يَقْبَلُونَ مِنْهُ وَلَا يَخَافُ مِنْهُ ضَرْبًا وَلَا شَتْمًا فَهُوَ بِالْخِيَارِ وَالْأَمْرُ أَفْضَلُ كَذَا فِي الْمُحِيطِ .
    إذَا اسْتَقْبَلَهُ الْآمِرُ بِالْمَعْرُوفِ وَخَشِيَ أَنْ لَوْ أَقْدَمَ عَلَيْهِ قُتِلَ فَإِنْ أَقْدَمَ عَلَيْهِ وَقُتِلَ يَكُونُ شَهِيدًا كَذَا فِي التَّتَارْخَانِيَّة .
    وَيُقَالُ الْأَمْرُ بِالْمَعْرُوفِ بِالْيَدِ عَلَى الْأُمَرَاءِ وَبِاللِّسَانِ عَلَى الْعُلَمَاءِ وَبِالْقَلْبِ لِعَوَامِّ النَّاسِ وَهُوَ اخْتِيَارُ الزندويستي كَذَا فِي الظَّهِيرِيَّةِ
    - আমর বিল মারূফ প্রথমত: ন¤্রতা ও কোমলতার সাথে করা উচিত। যাতে উপদেশ অধিক কার্যকরী হয়। তারপর কঠোরভাষায় বলা। তবে গালিগালাজ বা অশ্লীল কথা নয়। তারপর হাত দ্বারা। যেমন, মদ ঢেলে দেওয়া, বাদ্যযন্ত্র নষ্ট করে ফেলা।
    - ফকীহ আবুল লাইস আল-বুসতান কিতাবে উল্লেখ করেছেন: আমর বিল মারূফের কয়েকটি সূরত: যদি তার প্রবল ধারণা হয় যে, সে আমর বিল মারূফ করলে তারা তা কবুল করবে এবং অন্যায় থেকে বিরত হবে, তাহলে এখানে আমর বিল মারুফ করা ফরজ, তার জন্য তা পরিত্যাগ করার সুযোগ নেই।...
    - ... আর যদি সে মনে করে, তারা মারলে সে ধৈর্য ধারণ করতে পারবে এবং কারো নিকট বিপদের অভিযোগ করবে না, তাহলে বাঁধা দেওয়াতে কোন সমস্যা নেই। এক্ষেত্রে সে মুজাহিদ হবে।
    - আর যদি সে জানে যে, তারা তা কবুল করবে না, কিন্তু তাদের থেকে মার বা গালিগালাজেরও আশঙ্কা না করে, তাহলে তার স্বাধীনতা আছে। তবে আদেশ দেওয়াই উত্তম। যেমনটা আলমুহিতুল বুরহানীতে উল্লেখিত হয়েছে।
    - যখন কেউ কোন অন্যায়ের সম্মুখীন হয়, আর তার আশঙ্কা হয়, সেখানে বাঁধা দিতে গেলে, তাকে হত্যা করা হতে পারে, তথাপি সে তা বাঁধা দিতে গিয়ে নিহত হয়, তাহলে সে শহীদ হবে। যেমনটা তাতারখানিয়ায় উল্লেখিত হয়েছে।
    - কথিত আছে, আমর বিল মারূফ হাত দ্বারা শাসকের উপর, যবান দ্বারা আলেমদের উপর এবং অন্তর দ্বারা সাধারণ মানুষের উপর।” যান্দাওয়াসতির মতও এটাই, যেমনটা যহিরিয়্যায় রয়েছে।

    সম্মানিত পাঠক! উপরে লক্ষ্য করেছেন যে, প্রথমে হুকুমগুলো সাধারণ ও ব্যাপকভাবে বলা হয়েছে। অত:পর আলোচনার শেষে وَيُقَالُ (কথিত আছে...) বলে এই মতটি উল্লেখ করা হয়েছে। যা উক্ত মতটি দুর্বল হওয়ার দিকে ঈঙ্গিত করে।
    আর উল্লেখিত ইবারতে মাসআলার বিভিন্ন রূপ-বিশ্লেষণ থেকে ভালোভাবেই বুঝে আসে যে, যেকোন সাধারণ মুসলিমের জন্যও এটা বলা হয়েছে।

    কিন্তু আল্লামা মুফতি তাকি উসমানী দা:বা: শুধু কারো কারো অস্বীকৃত মতটি নিয়ে নিজের কিতাবে মূল হুকুম হিসাবে বর্ণনা করলেন। অথচ এর দ্বারা অসংখ্য দৃঢ়চিত্ত মুমিনের ত্যাগ ও কুরবানীগুলো বেআইনি ও নাজায়েযে পরিণত হয়।
    ভীতু ও স্বার্থপরগণ তো অন্যায়ে বাঁধা না দিয়ে বিলাসে থাকে; কিন্তু দৃঢ় ঈমানদারদের ত্যাগ ও কুরবানীগুলোকেও কেন উৎসাহিত না করে উল্টো নাজায়েয ফাতওয়া দেওয়া হয়! আর পাপাচারি জালিম শাসকদের ক্ষমতার পথ নিষ্কন্টক করা হয়!
    প্রিয় পাঠক! এবার আসুন, আমরা এ ব্যাপারে রাসূলুল্লাহ সা: এর হাদিস ও ফিকহি কিতাবসমূহের ভাষ্য দেখবো:
    হাদিস:
    রাসূল সা: ইরশাদ করেন:
    ্র من رأى منكم منكراً فليغيره بيده ، فإن لم يستطع فلبسانه ، فإن لم يستطع فبقلبه ، وذلك أضعف الإيمان গ্ধ
    “তোমাদের মধ্য হতে যে কোন অন্যায় দেখতে পায়, সে যেন তা হাত দ্বারা বাঁধা দেয়। যদি তা না পারে, তবে যবান দ্বারা। যদি তাও না পারে, তবে অন্তর দ্বারা। আর এটা সবচেয়ে দুর্বল ঈমান।”
    এখানে من رأى منكم “তোমাদের মধ্য হতে যে দেখতে পায়” থেকে একথা স্পষ্ট যে, এখানে সমস্ত মুসলিমদেরকে সম্ভোধন করা হয়েছে। প্রতিটি মুসলিমের জন্যই ঈমানের তিনটি স্তর এবং তার আলোকে ‘নাহি আনিল মুনকারের’ও তিনটি স্তর বর্ণনা করা হয়েছে।
    এখন যদি হাত দ্বারা বাঁধা দেওয়ার অনুমতি শুধু শাসকেরই থাকে, তাহলে তো শাসকই সব সময় শক্তিশালী ঈমানদার হবে, আর প্রজাদের সব সময় অবধারিতভাবে দুর্বল ঈমানদার হয়েই থাকতে হবে। চাই তারা যতই আমলদার হোক, যত বড়ই আলেম হোক। অথচ রাসূলুল্লাহ সা: শুধু অন্তর দ্বারা বাঁধা দেওয়াকে সর্বাধিক দুর্বল ঈমান সাব্যস্ত করে প্রত্যেককে হাত দ্বারা বাঁধা দেওয়ার প্রতি উৎসাহিত করেছেন।
    আরেক হাদিসে রাসূলূল্লাহ সা: বলেন:
    والذي نفسي بيده لتأمرن بالمعروف ولتنهون عن المنكر ولتأخذن على يد الظالم وليأطرنه على الحق أطرأ أو ليضربن الله قلوب بعضكم على بعض وليلعننكم كما لعنهم
    “সেই সত্তার শপথ! যার হাতে আমার প্রাণ, তোমরা অবশ্যই সৎকাজের আদেশ করবে, অসৎকাজে বাঁধা প্রদান করবে, জালিমের হাত ধরে ফেলবে এবং তাকে জুলুম থেকে হকের দিকে ফিরাবে, অন্যথায় আল্লাহ তোমাদের একদলের অন্তরকে আরেক দলের সাথে মিলিয়ে দিবেন এবং তোমাদেরকে রহমত থেকে সেরূপ দূরে সরিয়ে দিবেন, যেরূপ তাদেরকে দূরে সরিয়েছেন।” (তাবরানী)
    এখানে তো স্পষ্টভাবে সকল মুসলমানকে হাত দ্বারা বাঁধা দিতে আদেশ করা হয়েছে। কত কঠিন ভাষায় সকল মুসলমানকে সতর্ক করা হয়েছে যে, জালিমদেরকে বাঁধা না দিলে তাদের অন্তরও জালিমদের অন্তরের মত করে দেওয়া হবে এবং তাদেরকেও রহমত থেকে দূরে সরিয়ে দেওয়া হবে, যেমন জালিমদেরকে দূরে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
    এখন যদি হাত দ্বারা বাঁধা দেওয়ার অনুমতি শুধু শাসকশ্রেণীর থাকে, তাহলে আল্লাহর মুমিন বান্দাগণ কিভাবে জালিম শাসকশ্রেণীর হাত ধরবে?! অথচ বলা হয়েছে, তাদের হাত চেপে না ধরলে তাদের অন্তরও জালিমদের অন্তরের মত করে দেওয়া হবে।
    আরেক হাদিসে রাসূল সা: বলেন:
    ( انصر أخاك ظالما أو مظلوما ) . قالوا يا رسول الله هذا ننصره مظلوما فكيف ننصره ظالما ؟ قال ( تأخذ فوق يديه )
    “তোমার ভাইকে সাহায্য কর, সে জালিম হোক বা মাজলুম হোক। সাহাবাগণ বললেন: মাজলুম অবস্থায় সাহায্য করা আমরা বুঝলাম, কিন্তু জালিম অবস্থায় কিভাবে তার সাহায্য করবো? তিনি সা: বললেন: তার হাত চেপে ধরবে।” (বুখারী)
    এখানে কি শুধু ক্ষমতাবানদেরকে আদেশ করা হয়েছে!? অথচ জালিম হয় ই তো অধিকাংশ সময় ক্ষমতাবানরা!! লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ!
    নবীযুগে শাসকের অনুমতি বিহীন হাত দ্বারা বাঁধা দেওয়ার উদাহরণ:
    عن عكرمة قال حدثنا ابن عباس: ( أن أعمى كانت له أم ولد تشتم النبي صلى الله عليه وسلم وتقع فيه فينهاها فلا تنتهي ويزجرها فلا تنزجر، قال: فلما كانت ذات ليلة جعلت تقع في النبي صلى الله عليه وسلم وتشتمه، فأخذ المغول فوضعه في بطنها، واتكأ عليها فقتلها... فلما أصبح ذُكِر ذلك لرسول الله صلى الله عليه وسلم فجمع الناس فقال: أنشد رجلاً فعل ما فعل لي عليه حق إلا قام، فقام الأعمى يتخطى الناس وهو يتزلزل حتى قعد بين يدي النبي صلى الله عليه وسلم، فقال: يا رسول الله أنا صاحبها كانت تشتمك وتقع فيك فأنهاها فلا تنتهي وأزجرها فلا تنزجر ولي منها ابنان مثل اللؤلؤتين وكانت بي رفيقة فلما كان البارحة جعلت تشتمك وتقع فيك، فأخذت المغول فوضعته في بطنها واتكأت عليها حتى قتلتها، فقال النبي صلى الله عليه وسلم: ألا اشهدوا أن دمها هدر)
    “ইকরিমা রা: থেকে র্বণতি, তিনি বলেন: ইবনে আব্বাস রা: আমাদের নিকট হাদিস র্বণনা করেন:
    জনৈক অন্ধের একজন দাসি ছিল। সে তার সন্তানের মা ছিল। উক্ত দাসি রাসূলুল্লাহ সা:কে গালি দিত এবং তার ব্যাপারে মন্দকথা বলত। সে তাকে নিষেধ করা সত্ত্বেও সে বিরত হয় না এবং সর্তক করা সত্ত্বেও সর্তক হয় না।
    ইবনে আব্বাস রা: বলেন: অত:পর যখন এক রাতে দাসি রাসূলুল্লাহ সা: এর বদনাম ও গালিগালাজ করছিল, তখন সে একটি তরবারী নিয়ে তার পেটে ঢুকিয়ে দেয় এব তা চাপ দিতে থাকে। এভাবে সে তাকে হত্যা করে ফেলে।
    সকাল বেলা রাসূলূল্লাহ সা: এর নিকট এই ঘটনা আলোচনা করা হলে সকল মানুষ জমা হয়ে গেল। তখন রাসূলুল্লাহ সা: বললেন: যাদের উপর আমার অধিকার আছে, তাদের মধ্যে যে এ কাজটি করেছে তাকে আমি অনুরোধ করছি, সে যেন দাঁড়িয়ে যায়। তখন উক্ত অন্ধ দাঁড়াল। সে কম্পিত পায়ে মানুষকে অতিক্রম করে রাসূল সা: এর সামনে এসে বসল। তারপর সে বলল: হে আল্লাহর রাসূল! আমি তার মালিক। সে আপনাকে গালি দিচ্ছিল এবং আপনার নামে বদনাম করছিল। আমি তাকে নিষেধ করেছি, কিন্তু সে বিরত হয়নি। সর্তক করেছি, কিন্তু সে ভয় পায়নি। তার থেকে আমার মুতির ন্যায় দু’টি সন্তান আছে। আর সেও আমার নিকট প্রিয় ছিল। কিন্তু গতকাল যখন সে আপনাকে গালি দিচ্ছিল এবং আপনার বদনাম করছিল, তখন আমি একটি তরবারী নিয়ে তার পেটে ঢুকিয়ে চাপ দেই। ফলে সে নিহত হয়। তখন রাসূল সা: বললেন: হে লোকসকল! আপনারা সাক্ষী থাকুন! তার (উক্ত দাসির) রক্ত মূল্যহীন।” (আবু দাউদ ৪৩৬১, নাসায়ী, হাকিম)
    এই হাদিসটি প্রমাণ করে: এই ব্যক্তি একটি অন্যায় কাজ দেখতে পেয়ে তাকে কথা ও উপদেশের মাধ্যমে বন্ধ করার চেষ্টা করেছে। কিন্তু তাতে উক্ত দাঁসি বিরত হল না। ফলে হাত দ্বারা বাঁধা দেওয়া ব্যতিত তার কোন উপায় ছিল না।
    আর এখানে হাত দ্বারা বাঁধা দেওয়াটি ছিল তরবারী ব্যবহারের মাধ্যমে। কারণ এই মহিলার অন্যায়টি এর চেয়ে কম কিছুর দ্বারা বন্ধ হচ্ছিল না। ফলে সে রাসূলুল্লাহ সা: এর অনুমতি ছাড়াই তাকে হত্যা করে ফেলে।


  • #2
    জাজাকাল্লাহ!এটা অনেকদিন ধরে খুজতেচিলাম ভাই,,,,কারন মুফতি ফয়জুল্লাহ রহঃ তার কিতাব হেদায়াতুল ইবাদের মধ্যেও তক্বি সাহেবের মত লিখছেন।,

    Comment


    • #3
      জাঝাকাল্লাহ

      Comment


      • #4
        ভাই এদের টাকা কামানোর জন্য এই মিথ্যাচার মনে হচ্ছে !
        কারন এরা যা সঠিক, তার বিখ্যা গুরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে বা করছে !
        হে প্রিয়!
        ভাই তুমি দেখে যাও* সত্ব্য আর মিথ্যার মিশ্রন কি করে ঘটে
        ভাই তুমিত বল এরাত বড় আলেম* তাই কি করে সত্ব্য মিথ্যার মিশ্রন ঘটবে বটে
        ভাই এভাবেই হয় এর সয়লাব* আর এভাবেই করে তারা তাদের কার*্-য কলাপ!
        ان الدين عندالله الاسلام
        ইসলামই একমাত্র আল্লাহর মনোনিত ধর্ম

        Comment


        • #5
          jazakallah vai khob valo legece

          Comment

          Working...
          X