উসমান আল আমার জিহাদি জীবন
কমান্ডার উসমান আল হামিদি
আমি অন্য সাধারন যুবকদের ন্যায়ই ছিলাম এই সস্তা দুনিয়া নিয়ে ব্যাস্ত। আমি মাধ্যমিক শেষ করে নেভিতে যোগ দিই।আমি নেভিতে ছিলাম ২ বছর কিন্তু আমি সব সময় এই উম্মাহ নিয়ে চিন্তায় থাকতাম দেখতাম তারা কিছুই করতে পারছেনা কিন্তু তিলে তিলে শেষ হয়ে যাচ্ছে। আমি আমার অবস্থা নিয়ে খুশি ছিলাম না । আমি সন্তুষ্ট ছিলাম না আমার নিজের মধ্য সব সময় দ্বন্দ লেগেই থাকত যতক্ষন না আল্লাহ সুবহান ওতালা আমাকে পথ দেখালেন। আমি চাকরি ছেড়ে মসজিদে সময় কাটানো শুরু করেছিলাম। আমি সুযোগ খুচ্ছিলাম ওই বছর গুলোতে মুসলিম উম্মার জন্য কিছু করে নিজের গুনার বোঝা হালকা করতে। কিন্তু আমি এমন কিছু খুজে পাচ্ছিলাম না যা মুসলিম উম্মার জন্য যথেষ্ঠ। এই উম্মার ত্রান , বিধবা ও ইয়াতিমদেরকে সাহায্য এর থেকেও বেশি কিছু প্রয়োজন। এই উম্মাহকে প্রথমে এর চারিদিকের শত্রুর হাত থেকে রক্ষা করতে হবে। উম্মার এই ক্ষত গুলিকে আগে সারানো দরকার আর আমি জানতাম এর সমাধান একটাই কিতাল ফি সাবিলিল্লাহ । আমি তখন থেকেই ইসলামি ইমারাহ আফগান স্থানে আসার সিন্ধান্ত নিয়েছিলাম, মুজাহিদের ভূমি, তালেবানের অধীনে।সেখান থেকে আমি প্রশিক্ষণ গ্রহন করব যা আমার প্রয়োজন। কিন্তু আমি আসতে পারছিলাম না কারন সৌদি সরকার তার কোন সামরিক বাহিনির লোককে বাইরে যাবার অনুমতি দেয় না শুধু মাত্র বিশেষ অনুমতি ছাড়া সেটিও অনেক জটিল প্রসেস ও সময়ের ব্যাপার।তাই সামরিক সুবিধা নেওয়া ছেড়ে দিতে চেয়েছিলাম কিন্ত অর্থনৈতিক সমস্যা আমার পথে বাধা হয়ে দাড়াচ্ছিল। তাই আমি দেশ থেকে বের হওয়ার অন্য উপায় খুজতে শুর” করে ছিলাম । আমি জাল পাসপোর্ট সংগ্রহের চেষ্টা ও করেছিলাম কিন্তু তা সফল হয়নি। আমি আল্লাহর কাছে দোয়া করেছিলাম কাজটি আমার জন্য সহজ করে দেয়ার জন্য। কিছুদিনের মধ্যে আমি একজন ভাইকে পেলাম যিনি শুধু আমার পাসপোর্টের ই ব্যবস্থা করলেন না আমাকে কিছু টাকা দিলেন সফরের জন্যঅ যখন বিদায়ের সময় আসলো তখন আমি আমার পরিবারের সাথে দেখা করেছিলাম কিন্তু গন্তব্যের ব্যপাওে কাউকে কিছু বলিনি। করাচি আসার আগে আমি কিছু লোকাল এয়ারপোর্ট ঘুরে আসলাম । আল্লাাহর নুসরাতে মুজাহিদিন গণ অনেক কঠিন বাধা পার করতে সক্ষম হন। তাই আমাদের আল্লাাহর উপর ভরসা রাখা উচিৎ।আল-ø
(চলবে)
Comment