করাচি পৌছানোর পর আমি ট্যক্সি করে কাছের এক হোটেল এ গিয়েছিলাম রাত কাটানোর জন্য। পরবর্তি দিন আমি ভাইদেও কাছে আমার আসার খবর পাঠিয়েছিলাম। তার কিছুক্ষনের মধ্যেই হোটেলের রিসিপসন এসে আমাকে জানালো যে আমার সাথে একজন দেখা করতে এসেছে। আমি আমার লাগেজ নিয়ে বের হয়ে আসলাম ভায়ের সাথে দেখা করতে যিনি আমাকে ট্যক্সি করে নিতে এসেছিলেন। ভাই ছিলেন আরব তার সাথে কোডের মাধ্যমে কথা বলে নিশ্চিত হওয়ার পর আমি গাড়িতে উঠেছিলাম। আমি অভিভূত হয়ে গিয়েছিলাম ভাইদেও সব ব্যবস্থাপনা, তাদের পরিবহন ও যোগাযোগ ব্যবস্থা দেখে, তারা আমাকে নতুন পাসপোর্ট দিয়েছিল। তারা যেন দেশের মধ্যেই আর একটি দেশ পয়দা করেছে। আমি আরো অভিভূত হয়েছিলাম তাদেও দায়িত্ব সচেতনতা দেখে যদিও তারা বিনা মূল্যে সব করছিল।
গাড়িতে করে আনসার হাউজে যাওয়ার সময় ভায়েরা আমাকে স্বাগতম জানানোর কোন সুযোগই হাতছাড়া করছিলনা। আনসার হাউজে আমি বিভিন্ন দেশের মানুষকে দেখলাম যারা সবাই আমাকে হাসি মুখে বরন করে নিচ্ছিল। তারা সবাই একত্রিত হয়েছিল শুধু মাত্র এই দ্বীনের জন্য। তাদেরও ছিল বিভিন্ন কাজ ও ঠিকানা। আমি লাগেজ রেখে আনসার হাউজের আমিরের সাথে দেখা করলাম তিনি আমাকে বাড়িতে ফোন দিয়ে নিরাপদে পৌছানোর কথা জানাতে বললেন। আমি সেখানে রাত কাটিয়ে আফগান যাওয়ার প্রস্তুতি নিলাম। আমরা একটি প্লেনে করে করাচি হতে কুয়েতা বিমান বন্দরে এসে ছিলাম যা ছিল আপগান সীমান্তবর্তী । সেখান থেকে আমরা ট্যাক্সি নিয়ে ইসলামি ইমারতের রাজধানী কান্দাহার গিয়েছিলাম। আমরা পকিস্থানের সিমান্ত পার করার পর সবাই সিজদায় লুটিয়ে পড়েছিলাম আল্লাহর শুকরিয়া আদায়ের জন্য যিনি আমাদেরকে আফগান পৌছে দিলেন। যখন আমরা কান্দাহার পৌছালাম তখন ভায়েরা আমাদের এই বলে স্বাগতম জানিয়ে ছিল ” তোমরা আরব আমরা তোমাদের আল্লার জন্যই ভালোবাসি”। আমারা নতুন আনসার হাউসের দিকে রওনা হয়েছিলাম। সেখানে পৌছাতে আমাদেও সন্ধা হয়ে গিয়েছিল। সেদিন আমি রাত কাটিয়ে ছিলাম পৃথিবীর সবচেয়ে উত্তম ব্যক্তিদের সাথে। পরের দিন আমাদের ঘুম ভেংগেছিল সসশ্র প্রহারায় আসা একটি গাড়ির শব্দে। যখনই গাড়ি গুলি থামলো তখনই অস্ত্রধারীরা মাঝখানের গাড়ির চারিদিকে জড়ো হলো এবং গাড়ির দরজা খুলে দিলো। আমরা বিস্ময়ের সাথে দেখলাম শাইখ উসামা এসেছেন আমাদের দেখতে এবং আমাদের স্বাগতম জানিয়েছিলেন। তিনি আমাদের সবার সাথে আলাদা আলাদা ভাবে মুসাহাফা করে আমাদের সম্মন্ধে আলাদা আলাদা ভাবে খোজ খবর নিচ্ছিলেন। তিনি আরব উপদ্বীপ সম্মন্ধে জানতে বেশি আগ্রহি ছিলেন। আল ফারুক ক্যাম্পে যাওয়ার আগে তিনি আমাদের এর ব্যাপারে কিছু নসিহা দিয়ে তিনি চলে যান। পরের দিন আমরা আমাদের লাগেজ গুসিয়ে নিয়েছিলাম আল ফারুক ক্যাম্পে যাওয়ার জন্য যেখানে পৃথিবীর সবচেয়ে ভালো মানুষদের সাজানো হয়। সেখানে আমাদের পৌছাতে কয়েক ঘন্টা সময় লেগেছিল। আমরা সেখানে পৌছালে কমান্ডার আমাদের হাসিমুখে স্বাগতম জানিয়ে মুসাফা করলেন। সেখানে যেভাবে আমাদের সম্মান দেখানো হয়েছিল তা দেখে আমার নেভির সময়ের কথা মনে পড়ে গিয়েছিল । আমরা মনে আছে একজন অফিসার আমাদের এমন কিছু অপবিত্র ও বিদ্রুপাত্মক কথা বলে ছিল ” ছুড়ে ফেলে দাও তোমার সব ভালো আচরন, সম্মান ও মনুষত্ব ওই গেটের বাইরে এবং যখন বাইরে যাবে তখন ও গুলো আবার তুলে নিও এখানে ওগুলির কোন স্থান নাই।”আমাদের কিছু নসিহা করে আগের কমান্ডার চলে গেলেন বেং তার সাথে সবাই তবে একজন বাদে । তিনি তার পরিচয় দিয়েছিলেন আর বলেছিলেন তিনি হচ্ছেন আমাদের নতুন ট্রেইনিং কমান্ডার। তিনি আমাদের ট্রেইনিং এর নিয়ম কানুন শুনিয়ে আমাদের নিয়ে ক্যাম্প ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে দেখিয়েছিলেন তারপর তিনি আমাদেও কোর্স সম্পর্কে কিছু কথা বলেছিলেন। পরের দিন আমরা ট্রেইনিং এর জন্য নিজেদের প্রস্তুত করতে শুরু করলাম। আমাদের ট্রেইনিং শুরু হল ঘন্টা-দিন চলে যাচ্ছিল আর তার সাথে আমরা সামরিক ও দ্বীনী প্রশিক্ষন সম্পুর্ন করছিলাম। শাইখ উসাম মাঝে মাঝে আসতেন আমাদের সাথে দেখা করা জন্য এবং আমাদের উৎসাহ দিতেন এবং জজবাহ বাড়িয়ে দিতেন। তিনি আমাদের বলতেন আমাদের কিছু ভাই আমেরিকাকে তার মাটিতেই অপমানিত করতে যাচ্ছে এবং আমাদের এর জন্য দোয়া করতে বলতেন। প্রায় মাস খানেক পর কমান্ডার আমাদেরকে দুগ্রুপে ভাগ হতে বললেন । আমি ছিলাম কমানডারের সাথে ৫০ জনের একটি গ্রুপে।আমরা বাসে করে ক্যাম্প ত্যাগ করে এক আনসার হাউসে রাত কাটিয়ে ছিলাম। সেখান থেকে আমাদের কাবুল নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কিছুদিন পর আমরা খবর পেয়েছিলাম আহমদ শাহ মাসউদেও গুপ্ত হত্যার এবং শুনে খুবই খুশি হয়েছিলাম।তারপর আমরা ”তরগা”র দিকে রওনা হয়েছিলাম যেইটা ছিল জালালাবাদ ছাড়িয়ে আফগানের পূর্ব দিকের একটি শহর।এটিই সেই স্থান যেখানে শাইখ উসামা তার বিখ্যাত শপথ করেছিলেন ” আমেরিকা ততদিন শান্তিতে থাকতে পারবে না যতদিন না আমরা ফিলিস্থিনিতে শান্তিতে থাকছি”। আমাদেও পৌছানোর পরের দিন আমরা রেডিওর খবর খুব মনোযোগ সহকাওে শুনছিলাম তখন থেখে যখন আমাদেও কমান্ডার বলেছিলেন ” রেডিও থেকে কান সরিও না অপারেশন দ্রুত সম্পাদন হবে”। কয়েক ঘন্টা পর পুরো পৃথিবী ”থ” হয়ে গেল ৯/১১ এর আক্রমনের খবরে। আমরা প্রথমে আমাদের কানকে বিশ^াস করতে পারছিলাম না। আমরা আমেরিকা কে অপদস্ত করেছিলাম তার নিজ মাটিতে তাদেরকে আঘাত হেনেছিলাম তাদের বিমানকে ই অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার করে। আমরা তাদেরকে অর্থনৈতিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ করেছিলাম তাদেরকে দুর্বল করে দিয়েছিলাম। তাদেরকে আমরা সেই পেয়ালা হতে পান করিয়েছিলাম সেই পেয়ালাতে তারা আমাদের উম্মতের মানুষকে পান করাচ্ছিল। এখন আমরা সমান ,আমরা তাদেরকে পরিস্কার মেসেজ পাঠালাম ঃ ”তোমরা আমাদের যেভাবে হত্যা করেছ আমরা ও তোমাদেরকে সেভাবেই হত্যা করব তোমরা আমাদের মনে যেভাবে ভয় ঢুকিয়ে রেখেছিলে এখন থেকে আমরা ও তোমাদের মনে ভয় ঢুকিয়ে দিব। এটি ছিল বিশেষ একটি দিন উম্মার জন্য।
গাড়িতে করে আনসার হাউজে যাওয়ার সময় ভায়েরা আমাকে স্বাগতম জানানোর কোন সুযোগই হাতছাড়া করছিলনা। আনসার হাউজে আমি বিভিন্ন দেশের মানুষকে দেখলাম যারা সবাই আমাকে হাসি মুখে বরন করে নিচ্ছিল। তারা সবাই একত্রিত হয়েছিল শুধু মাত্র এই দ্বীনের জন্য। তাদেরও ছিল বিভিন্ন কাজ ও ঠিকানা। আমি লাগেজ রেখে আনসার হাউজের আমিরের সাথে দেখা করলাম তিনি আমাকে বাড়িতে ফোন দিয়ে নিরাপদে পৌছানোর কথা জানাতে বললেন। আমি সেখানে রাত কাটিয়ে আফগান যাওয়ার প্রস্তুতি নিলাম। আমরা একটি প্লেনে করে করাচি হতে কুয়েতা বিমান বন্দরে এসে ছিলাম যা ছিল আপগান সীমান্তবর্তী । সেখান থেকে আমরা ট্যাক্সি নিয়ে ইসলামি ইমারতের রাজধানী কান্দাহার গিয়েছিলাম। আমরা পকিস্থানের সিমান্ত পার করার পর সবাই সিজদায় লুটিয়ে পড়েছিলাম আল্লাহর শুকরিয়া আদায়ের জন্য যিনি আমাদেরকে আফগান পৌছে দিলেন। যখন আমরা কান্দাহার পৌছালাম তখন ভায়েরা আমাদের এই বলে স্বাগতম জানিয়ে ছিল ” তোমরা আরব আমরা তোমাদের আল্লার জন্যই ভালোবাসি”। আমারা নতুন আনসার হাউসের দিকে রওনা হয়েছিলাম। সেখানে পৌছাতে আমাদেও সন্ধা হয়ে গিয়েছিল। সেদিন আমি রাত কাটিয়ে ছিলাম পৃথিবীর সবচেয়ে উত্তম ব্যক্তিদের সাথে। পরের দিন আমাদের ঘুম ভেংগেছিল সসশ্র প্রহারায় আসা একটি গাড়ির শব্দে। যখনই গাড়ি গুলি থামলো তখনই অস্ত্রধারীরা মাঝখানের গাড়ির চারিদিকে জড়ো হলো এবং গাড়ির দরজা খুলে দিলো। আমরা বিস্ময়ের সাথে দেখলাম শাইখ উসামা এসেছেন আমাদের দেখতে এবং আমাদের স্বাগতম জানিয়েছিলেন। তিনি আমাদের সবার সাথে আলাদা আলাদা ভাবে মুসাহাফা করে আমাদের সম্মন্ধে আলাদা আলাদা ভাবে খোজ খবর নিচ্ছিলেন। তিনি আরব উপদ্বীপ সম্মন্ধে জানতে বেশি আগ্রহি ছিলেন। আল ফারুক ক্যাম্পে যাওয়ার আগে তিনি আমাদের এর ব্যাপারে কিছু নসিহা দিয়ে তিনি চলে যান। পরের দিন আমরা আমাদের লাগেজ গুসিয়ে নিয়েছিলাম আল ফারুক ক্যাম্পে যাওয়ার জন্য যেখানে পৃথিবীর সবচেয়ে ভালো মানুষদের সাজানো হয়। সেখানে আমাদের পৌছাতে কয়েক ঘন্টা সময় লেগেছিল। আমরা সেখানে পৌছালে কমান্ডার আমাদের হাসিমুখে স্বাগতম জানিয়ে মুসাফা করলেন। সেখানে যেভাবে আমাদের সম্মান দেখানো হয়েছিল তা দেখে আমার নেভির সময়ের কথা মনে পড়ে গিয়েছিল । আমরা মনে আছে একজন অফিসার আমাদের এমন কিছু অপবিত্র ও বিদ্রুপাত্মক কথা বলে ছিল ” ছুড়ে ফেলে দাও তোমার সব ভালো আচরন, সম্মান ও মনুষত্ব ওই গেটের বাইরে এবং যখন বাইরে যাবে তখন ও গুলো আবার তুলে নিও এখানে ওগুলির কোন স্থান নাই।”আমাদের কিছু নসিহা করে আগের কমান্ডার চলে গেলেন বেং তার সাথে সবাই তবে একজন বাদে । তিনি তার পরিচয় দিয়েছিলেন আর বলেছিলেন তিনি হচ্ছেন আমাদের নতুন ট্রেইনিং কমান্ডার। তিনি আমাদের ট্রেইনিং এর নিয়ম কানুন শুনিয়ে আমাদের নিয়ে ক্যাম্প ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে দেখিয়েছিলেন তারপর তিনি আমাদেও কোর্স সম্পর্কে কিছু কথা বলেছিলেন। পরের দিন আমরা ট্রেইনিং এর জন্য নিজেদের প্রস্তুত করতে শুরু করলাম। আমাদের ট্রেইনিং শুরু হল ঘন্টা-দিন চলে যাচ্ছিল আর তার সাথে আমরা সামরিক ও দ্বীনী প্রশিক্ষন সম্পুর্ন করছিলাম। শাইখ উসাম মাঝে মাঝে আসতেন আমাদের সাথে দেখা করা জন্য এবং আমাদের উৎসাহ দিতেন এবং জজবাহ বাড়িয়ে দিতেন। তিনি আমাদের বলতেন আমাদের কিছু ভাই আমেরিকাকে তার মাটিতেই অপমানিত করতে যাচ্ছে এবং আমাদের এর জন্য দোয়া করতে বলতেন। প্রায় মাস খানেক পর কমান্ডার আমাদেরকে দুগ্রুপে ভাগ হতে বললেন । আমি ছিলাম কমানডারের সাথে ৫০ জনের একটি গ্রুপে।আমরা বাসে করে ক্যাম্প ত্যাগ করে এক আনসার হাউসে রাত কাটিয়ে ছিলাম। সেখান থেকে আমাদের কাবুল নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কিছুদিন পর আমরা খবর পেয়েছিলাম আহমদ শাহ মাসউদেও গুপ্ত হত্যার এবং শুনে খুবই খুশি হয়েছিলাম।তারপর আমরা ”তরগা”র দিকে রওনা হয়েছিলাম যেইটা ছিল জালালাবাদ ছাড়িয়ে আফগানের পূর্ব দিকের একটি শহর।এটিই সেই স্থান যেখানে শাইখ উসামা তার বিখ্যাত শপথ করেছিলেন ” আমেরিকা ততদিন শান্তিতে থাকতে পারবে না যতদিন না আমরা ফিলিস্থিনিতে শান্তিতে থাকছি”। আমাদেও পৌছানোর পরের দিন আমরা রেডিওর খবর খুব মনোযোগ সহকাওে শুনছিলাম তখন থেখে যখন আমাদেও কমান্ডার বলেছিলেন ” রেডিও থেকে কান সরিও না অপারেশন দ্রুত সম্পাদন হবে”। কয়েক ঘন্টা পর পুরো পৃথিবী ”থ” হয়ে গেল ৯/১১ এর আক্রমনের খবরে। আমরা প্রথমে আমাদের কানকে বিশ^াস করতে পারছিলাম না। আমরা আমেরিকা কে অপদস্ত করেছিলাম তার নিজ মাটিতে তাদেরকে আঘাত হেনেছিলাম তাদের বিমানকে ই অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার করে। আমরা তাদেরকে অর্থনৈতিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ করেছিলাম তাদেরকে দুর্বল করে দিয়েছিলাম। তাদেরকে আমরা সেই পেয়ালা হতে পান করিয়েছিলাম সেই পেয়ালাতে তারা আমাদের উম্মতের মানুষকে পান করাচ্ছিল। এখন আমরা সমান ,আমরা তাদেরকে পরিস্কার মেসেজ পাঠালাম ঃ ”তোমরা আমাদের যেভাবে হত্যা করেছ আমরা ও তোমাদেরকে সেভাবেই হত্যা করব তোমরা আমাদের মনে যেভাবে ভয় ঢুকিয়ে রেখেছিলে এখন থেকে আমরা ও তোমাদের মনে ভয় ঢুকিয়ে দিব। এটি ছিল বিশেষ একটি দিন উম্মার জন্য।
Comment