(part-03)
মুজাহিদিনরা খুবই আনন্দিত হয়েছিল তাদের আনন্দ আরো বেড়ে গেল উম্মার আনন্দ দেখে, বিশষত ফিলিস্থিনি ভাইদের আনন্দ দেখে। ফিলিস্থিন ইস্যু ছিল আক্রমনের একটি প্রধান কারন।আমরা প্রতিশোধ নিতে চেয়েছিনাম আমাদের ফিলিস্থিনি ভাই-বোনদের রক্তের সেই জাতির উপর যাদের কারনে ইসরাইেল টিকে আছে। এটি পরিস্কার হয়ে গিয়েছিল দুরে ও কাছে সবার কাছেই যে মুজহিদিনরা প্রতিশোধ নিতে সক্ষম যদিও তারা সংখ্যায় কম এবং তাদরে রসদ ও সল্প।
আনন্দ করার পর আমরা নিজেদেরকে প্রস্তুত করতে শুরু করেছিলাম। শাইখ ও কিছু কমান্ডারের সাথে আমরা একটি নিরাপদ স্থানে গিয়েছিলাম যুদ্ধের জন্য এলাকা তৈরী করতে। আমরা ম্যাপ একে ছিলাম. এলাকা উপর সার্ভে করেছিলাম এবং বাংকার খনন করেছিলাম। কিছুদিন পর আমাদের তোরাবোরা পহাড়ে যাওয়ার জন্য নির্দেশ দেয়া হল আমি ্ওই পহাড়ে যাওয়া প্রথম দলের একজন ছিলাম। মুজাহিদিনরা এক এক করে জড়ো হচ্ছিল যতক্ষন না তারা সংখ্যায় ৩০০ তে পৌছালো (আমেরিকা যেখানে ৩০০০ এর মিথ্যা দাবি করে)।আমরা আমেরিকার সাথে যুদ্ধ করার জন্য এলাকা প্রস্তুত করছিলাম এবং সাথে সাথে আমরা পরিখা খনন করে পাহাড়ের মধ্যে ডিফেন্সিভ পজিশন নিয়েছিলাম। ৭ই অক্টোবর ২০০১ এ, আমেরিকা তাদের বোম্বিং অভিযান শুরু করেছিল । তারা শুরু করেছিল কান্দাহার হয়ে কাবুল জালালাবাদ এবং তোরাবোর তে। বোম্বিং করা হচ্ছিল অত্যান্ত ভয়াবহ ভাবে কিন্তু আল্লাহন ইচ্ছায় আমরা সবাই সেই সময় গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন ছিলাম। পরের দিন আমি আরও কিছু ভাইদেরকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করলে তারা ও একই রকম অভিজ্ঞতার কথা বর্ননা করেছিল।
তোরাবোরর উপর বোম্বিং এর মাত্রা বাড়ছিল। এটি ছিল বিরতিহীন। এটি ঘটেছিল কারন সেখানে শাইখ উসামা ও ডাঃ আয়মান এর উপস্থিতির গুজব ছড়িয়েছিল। তারা আমাদেও সাথে ছিল আমরা যা অতিবাহিত করেছিরাম তারাও তা অতিবাহিত করেছিল।
আমরা পাকিস্থানের দিকে যাওয়ার আদেশ পেয়েছিলাম। আমরা তোরাবোরা ছেড়েছিলাম এবং তারসাথে আমাদের সেই ঘটনাবহুল দিনগুলি। আমরা ৫০ জন শহীদকে আল্লাহর উপর রেখে চলে এসিেছলাম যাদের মস্তক দেহ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছিল। আমরা একটানা তিনদিন বরফের উপর দিয়ে হেটেছিলাম যেখানে আমাদের খাবার ও পানীয় হিসাবে বরফ ছাড়া আর কিছুই ছিল না। আমরা একটি পাহাড় হতে অবতরন করছিলাম আবার অন্যটায় উঠার জন্য। একসময় আমরা পাকিস্থানের সিমান্তে উপজাতি এলাকায় পৌছালাম। উপজাতিরা আমাদের স্বাগত জানিয়েছিল এবং আমাদের কে তাদরে বাড়িতে থাকতে দিয়েছিল কিন্তু আমরা জানতাম না যে আমরা ভুল জায়গাতে এসে গেছি। আমরা তাদরে বিশ^াস করেছিলাম এবং আমাদের অস্ত্রগুলি তাদের কাছে দিয়ে দিয়েছিলাম যাতে আমরা পাকিস্থানের মধ্যে সহজে চলাচল করতে পারি। পরের দিন তারা আমাদরে একটি মসজিদে জড়ো করেছিল সেখানে পৌছেই আমরা দেখলাম তিন ভ্যান দাড়িয়ে আছে যেগুলি পাকিস্তানি আর্মি ও পুলিশে ভর্তি। তখন আমরা বুঝতে পেরেছিরাম যে উপজাতিরা আমাদের ফাদে ফেলে আমাদেরকে পাকিস্তানের তাগুত সরকারের কাছে বেচে দিয়েছে। আমরা প্রায় ১০০ জন ভাই সেখানে ছিলাম। আমাদের মধ্যে কিছু ভাই সেই মসজিদ হতে পালানোর চেষ্টা করেছিল। তাদরে মধ্যে আমিও একজন ছিলাম। প্রথমে আমার সাথে একজন ভাই ছিল পরে আরও একজন ভাই যোগ দেয়। আমরা একজন উপজাতিকে বলেছিলাম আমাদের কে আবর সাগরে পাঠিয়ে দিতে তার বিনিময়ে তাকে আমরা টাকা দিব এতে সে রাজি হয় এবং তার বাড়িতে থাকতে দেয় । চতুর্থ এক ভাই আমাদের সাথে যোগ দেয় তাই আমরা দুই ভাগে ভাগ হয়ে যায় । আমাদের প্রথম গ্রুপ নিরাপদে পৌছে যায় কিন্তু আমাদের গ্রুপটি একটি চেকপয়েন্টে ধরা পড়ে যায় আমাদেরকে খুবই বাজে ভাবে পেটানো হয় কারন আমরা সেখান থেকে পালানোর চেষ্টা করেছিলাম। আমাদেরকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল কাছের একটি জেলে যেখানে আমাদের একদিন রাখার পর আমাদরে কোহাটের মিলিটারি ক্যাম্পে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে আমরা আমাদের অন্য ভাইদরেকে ও দেখলাম তখন জেল আমাদের জন্য আল্লার ইচ্ছায় সহজ হয়ে যায়। এই সময় আমদের পাকিস্তানি সরকার জিজ্ঞাসাবাদ করছিল এরপর একদিন এফ বি আই এর এক লোক আসে আর আমাদের ছবি ও ফিংগার প্রিন্ট নিয়ে যায়। আমরা সেই জেলে দুই থেকে তিন সপ্তাহ ছিলাম। তার পর আমাদেরকে বড় আমেরিকান কার্গো প্লেনে করে নিয়ে যাওয়া হয় । আমাদের যাত্রার সময় ছিল কয়েক ঘন্টা। আমারা কান্দাহারে অবতরন করেছিলাম যেখানে আমেরিকা তাদের অস্থায়ি ক্যাম্প স্থাপন করেছিল । আমাদের বেস ক্যাম্পে আনা হয় অত্যন্ত নিষ্ঠুর পন্থায়। ওই ক্যাম্পে বিভিন্ন বিভতষ্য পদ্ধতিতে আমাদেওর উপর অত্যাচার করা হত। এই অত্যাচারে আমাদেরে কিছু ভায়ের মৃত্যু হয়। আমেরিকা আরো বিভিন্ন ভাবে আমাদের দ্বীনকে কটুক্তি করতো। আমাদের ওই ক্যাম্পে অবস্থানের সময় সবার আলাদা আলাদা ছিল। কেউ ওখানে ছিল কয়েক সপ্তাহ আবার কেউ ছিল কয়েক মাস। তারা আমাকে উচ্চতর ইনভেস্টিগেশনের জন্য বাছায় করেছিল। কারন আমি তাদের বলেছিলাম আমি আমি আফগানে ছিলাম জিহাদেও জন্য এবং আমি আল ফারুক ক্যাম্পে প্রশিক্ষন নিয়েছিলাম । এই কথাটি আমার গোয়েন্তানামোতে যাবার পথ করে দেয়। আমি ওই ক্যাম্পে ছিলাম দুই সপ্তাহের জন্য।
মুজাহিদিনরা খুবই আনন্দিত হয়েছিল তাদের আনন্দ আরো বেড়ে গেল উম্মার আনন্দ দেখে, বিশষত ফিলিস্থিনি ভাইদের আনন্দ দেখে। ফিলিস্থিন ইস্যু ছিল আক্রমনের একটি প্রধান কারন।আমরা প্রতিশোধ নিতে চেয়েছিনাম আমাদের ফিলিস্থিনি ভাই-বোনদের রক্তের সেই জাতির উপর যাদের কারনে ইসরাইেল টিকে আছে। এটি পরিস্কার হয়ে গিয়েছিল দুরে ও কাছে সবার কাছেই যে মুজহিদিনরা প্রতিশোধ নিতে সক্ষম যদিও তারা সংখ্যায় কম এবং তাদরে রসদ ও সল্প।
আনন্দ করার পর আমরা নিজেদেরকে প্রস্তুত করতে শুরু করেছিলাম। শাইখ ও কিছু কমান্ডারের সাথে আমরা একটি নিরাপদ স্থানে গিয়েছিলাম যুদ্ধের জন্য এলাকা তৈরী করতে। আমরা ম্যাপ একে ছিলাম. এলাকা উপর সার্ভে করেছিলাম এবং বাংকার খনন করেছিলাম। কিছুদিন পর আমাদের তোরাবোরা পহাড়ে যাওয়ার জন্য নির্দেশ দেয়া হল আমি ্ওই পহাড়ে যাওয়া প্রথম দলের একজন ছিলাম। মুজাহিদিনরা এক এক করে জড়ো হচ্ছিল যতক্ষন না তারা সংখ্যায় ৩০০ তে পৌছালো (আমেরিকা যেখানে ৩০০০ এর মিথ্যা দাবি করে)।আমরা আমেরিকার সাথে যুদ্ধ করার জন্য এলাকা প্রস্তুত করছিলাম এবং সাথে সাথে আমরা পরিখা খনন করে পাহাড়ের মধ্যে ডিফেন্সিভ পজিশন নিয়েছিলাম। ৭ই অক্টোবর ২০০১ এ, আমেরিকা তাদের বোম্বিং অভিযান শুরু করেছিল । তারা শুরু করেছিল কান্দাহার হয়ে কাবুল জালালাবাদ এবং তোরাবোর তে। বোম্বিং করা হচ্ছিল অত্যান্ত ভয়াবহ ভাবে কিন্তু আল্লাহন ইচ্ছায় আমরা সবাই সেই সময় গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন ছিলাম। পরের দিন আমি আরও কিছু ভাইদেরকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করলে তারা ও একই রকম অভিজ্ঞতার কথা বর্ননা করেছিল।
তোরাবোরর উপর বোম্বিং এর মাত্রা বাড়ছিল। এটি ছিল বিরতিহীন। এটি ঘটেছিল কারন সেখানে শাইখ উসামা ও ডাঃ আয়মান এর উপস্থিতির গুজব ছড়িয়েছিল। তারা আমাদেও সাথে ছিল আমরা যা অতিবাহিত করেছিরাম তারাও তা অতিবাহিত করেছিল।
আমরা পাকিস্থানের দিকে যাওয়ার আদেশ পেয়েছিলাম। আমরা তোরাবোরা ছেড়েছিলাম এবং তারসাথে আমাদের সেই ঘটনাবহুল দিনগুলি। আমরা ৫০ জন শহীদকে আল্লাহর উপর রেখে চলে এসিেছলাম যাদের মস্তক দেহ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছিল। আমরা একটানা তিনদিন বরফের উপর দিয়ে হেটেছিলাম যেখানে আমাদের খাবার ও পানীয় হিসাবে বরফ ছাড়া আর কিছুই ছিল না। আমরা একটি পাহাড় হতে অবতরন করছিলাম আবার অন্যটায় উঠার জন্য। একসময় আমরা পাকিস্থানের সিমান্তে উপজাতি এলাকায় পৌছালাম। উপজাতিরা আমাদের স্বাগত জানিয়েছিল এবং আমাদের কে তাদরে বাড়িতে থাকতে দিয়েছিল কিন্তু আমরা জানতাম না যে আমরা ভুল জায়গাতে এসে গেছি। আমরা তাদরে বিশ^াস করেছিলাম এবং আমাদের অস্ত্রগুলি তাদের কাছে দিয়ে দিয়েছিলাম যাতে আমরা পাকিস্থানের মধ্যে সহজে চলাচল করতে পারি। পরের দিন তারা আমাদরে একটি মসজিদে জড়ো করেছিল সেখানে পৌছেই আমরা দেখলাম তিন ভ্যান দাড়িয়ে আছে যেগুলি পাকিস্তানি আর্মি ও পুলিশে ভর্তি। তখন আমরা বুঝতে পেরেছিরাম যে উপজাতিরা আমাদের ফাদে ফেলে আমাদেরকে পাকিস্তানের তাগুত সরকারের কাছে বেচে দিয়েছে। আমরা প্রায় ১০০ জন ভাই সেখানে ছিলাম। আমাদের মধ্যে কিছু ভাই সেই মসজিদ হতে পালানোর চেষ্টা করেছিল। তাদরে মধ্যে আমিও একজন ছিলাম। প্রথমে আমার সাথে একজন ভাই ছিল পরে আরও একজন ভাই যোগ দেয়। আমরা একজন উপজাতিকে বলেছিলাম আমাদের কে আবর সাগরে পাঠিয়ে দিতে তার বিনিময়ে তাকে আমরা টাকা দিব এতে সে রাজি হয় এবং তার বাড়িতে থাকতে দেয় । চতুর্থ এক ভাই আমাদের সাথে যোগ দেয় তাই আমরা দুই ভাগে ভাগ হয়ে যায় । আমাদের প্রথম গ্রুপ নিরাপদে পৌছে যায় কিন্তু আমাদের গ্রুপটি একটি চেকপয়েন্টে ধরা পড়ে যায় আমাদেরকে খুবই বাজে ভাবে পেটানো হয় কারন আমরা সেখান থেকে পালানোর চেষ্টা করেছিলাম। আমাদেরকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল কাছের একটি জেলে যেখানে আমাদের একদিন রাখার পর আমাদরে কোহাটের মিলিটারি ক্যাম্পে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে আমরা আমাদের অন্য ভাইদরেকে ও দেখলাম তখন জেল আমাদের জন্য আল্লার ইচ্ছায় সহজ হয়ে যায়। এই সময় আমদের পাকিস্তানি সরকার জিজ্ঞাসাবাদ করছিল এরপর একদিন এফ বি আই এর এক লোক আসে আর আমাদের ছবি ও ফিংগার প্রিন্ট নিয়ে যায়। আমরা সেই জেলে দুই থেকে তিন সপ্তাহ ছিলাম। তার পর আমাদেরকে বড় আমেরিকান কার্গো প্লেনে করে নিয়ে যাওয়া হয় । আমাদের যাত্রার সময় ছিল কয়েক ঘন্টা। আমারা কান্দাহারে অবতরন করেছিলাম যেখানে আমেরিকা তাদের অস্থায়ি ক্যাম্প স্থাপন করেছিল । আমাদের বেস ক্যাম্পে আনা হয় অত্যন্ত নিষ্ঠুর পন্থায়। ওই ক্যাম্পে বিভিন্ন বিভতষ্য পদ্ধতিতে আমাদেওর উপর অত্যাচার করা হত। এই অত্যাচারে আমাদেরে কিছু ভায়ের মৃত্যু হয়। আমেরিকা আরো বিভিন্ন ভাবে আমাদের দ্বীনকে কটুক্তি করতো। আমাদের ওই ক্যাম্পে অবস্থানের সময় সবার আলাদা আলাদা ছিল। কেউ ওখানে ছিল কয়েক সপ্তাহ আবার কেউ ছিল কয়েক মাস। তারা আমাকে উচ্চতর ইনভেস্টিগেশনের জন্য বাছায় করেছিল। কারন আমি তাদের বলেছিলাম আমি আমি আফগানে ছিলাম জিহাদেও জন্য এবং আমি আল ফারুক ক্যাম্পে প্রশিক্ষন নিয়েছিলাম । এই কথাটি আমার গোয়েন্তানামোতে যাবার পথ করে দেয়। আমি ওই ক্যাম্পে ছিলাম দুই সপ্তাহের জন্য।
<চলবে>
Comment