হে মুজাহিদ ও মুহাজির ভায়েরা!
তোমাদের মাঝে যারা সামর্থবান তারা যেন বিয়ে করে।
মুজাহিদ শায়খঃ আবু ওলিদ আলগাযী আল-আনসারী
আল্লাহ তাআ'লা তাকে মুক্ত করুন।
তোমাদের মাঝে যারা সামর্থবান তারা যেন বিয়ে করে।
মুজাহিদ শায়খঃ আবু ওলিদ আলগাযী আল-আনসারী
আল্লাহ তাআ'লা তাকে মুক্ত করুন।
যে ব্যক্তি আল্লাহ তাআ'লার দ্বীনের সাহায্য এবং তার পথে জিহাদ করার জন্য ঘর থেকে হিজরত করেছে; তার প্রতিদান তার জন্য আল্লাহ তাআ'লার নিকট গচ্ছিত থাকবে। সে যতক্ষণ পর্যন্ত যে নিয়তে ঘর থেকে বের হয়েছে সে নিয়তের উপর অটল থাকবে। যদি সে (জিহাদের সাথে) বিয়ের ইচ্ছা করে তবে কোন সমস্যা নাই। এবং তা প্রথম নিয়তের (জিহাদের নিয়ত) বিরোধী হবে না, বাতিলও করবে না। যতক্ষন পর্যন্ত সে হিজরত এবং জিহাদের নিয়ত পরিত্যাগ না করবে। এবং দুনিয়াবি কাজে ব্যস্ত না হবে। কেননা প্রত্যেকে যে নিয়ত করে সে প্রতিদানই পায়।
সৎ কাজের নিয়ত এবং জিহাদের ওয়াজিব দ্বায়িত্ব আদায় করার চেষ্টার সাথে (বিয়ের নিয়ত কোন সমস্যা নাই।) বরং যদি বিয়ের সাথে উদ্দেশ্য থাকে হিজরতকে অব্যহত রাখা এবং বিয়েকে এ কাজে সহায়ক বানানো তাহলে সে আলাদা একটি প্রতিদান পাবে (ইনশাআল্লাহু তাআলা)।
যখনই নিয়তটা বড় হবে প্রতিদানটাও সমপরিমান বড় হবে। যে ব্যক্তি বিয়ে দ্বারা নিয়ত করবে মুসলিম সন্তানের আধিক্য, যারা আল্লাহ তাআ'লার রাস্তায় জিহাদ করবে তাহলে এটা তার বিরাট প্রতিদানের মাধ্যম হবে। যেমনটা ইমাম বুখারী রহ: এবং ইবনে আবিল আসেম তাদের কিতাবের " যে ব্যক্তি জিহাদের জন্য সন্তান কামনা করে" অধ্যায়ে বর্ণনা করেন:
আবু হুরায়রা রাঃ এর বর্ণনাকৃত হাদীসে সুলাইমান (আ এর অবস্থাঃ- ((তিনি ( সুলাইমান আঃ) বলেনঃ- আমি আজ রাতে একশত / নিরানব্বই স্ত্রীর নিকট যাবো যাদের প্রত্যেকে একজন করে ঘোরসাওয়ার প্রসব করবে, যে আল্লাহ তাআ'লার রাস্তায় জিহাদ করবে ))
এই হাদীস নবী সুলাইমান আঃ এর প্রশংসা করার জন্য আনা হয়েছে। আর ইসলামী শরীয়তও এটাকে সমর্থন করেছে। যার ফলে বুঝা গেলো এ ক্ষেত্রে মুসলিম জাতির উত্তম আদর্শ রয়েছে। ( আল্লার রাস্তায় জিহাদের নিয়তে বিয়ে করা ও অধিক সন্তান জন্ম দেওয়া, সাওয়াবের অন্তরভুক্ত ও একাজেরই অংশ)
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওসাল্লামের সাহাবারা যখন মদিনায় হিজরত করলেন, তাদের হিজরতের নিয়ত বিয়ে ও সন্তান গ্রহণে কোন প্রকার বাধা হয়ে দাড়ায়নি। আর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওসাল্লামও এমনি করেছেন। তা ছাড়া জিহাদের বিধান হিজরতের পরে এসেছে। বরং তারা জিহাদের ময়দানেও সমর্থ থাকলে বিয়েকে পরিত্যগ করতেন না। কেননা বিয়ে নেক নিয়তের সাথে করলে আখেরাতের বিষয় হয়ে যায়, তখন দুনিয়াবী বিষয়ের মধ্যে থাকে না। তাই এটা থেকে বিরত থাকা উচিত নয়।
নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওসাল্লাম ছিলেন সর্বাধিক যাহেদ, তা সত্যেও স্ত্রীদের সাথে থাকা তার নিকট প্রিয় ছিলো। আর এ কাজ তিনি বেশি বেশি করতেন। এমনকি ইবনে আব্বাস রাঃ বলেনঃ- (( তোমরা বিয়ে করো কেননা এ উম্মতের অধিকাংশ কল্যাণ মহিলাদের মাঝে রয়েছে। ))
যদি কোন মুহাজির মুজাহিদ এ জন্য বিয়ে করে যে, সে দেশের কোন সম্প্রদায়ের সাথে আত্বিয়তার বন্ধনে আবদ্ধ হবে, যেন তারা দাওয়াতের ক্ষেত্রে তার সাহায্য -সহযোগিতা কারী হয় এবং আল্লাহর আশ্রয়ের পর তাদের (মুজাহিদ) আশ্রয়দানকারী হয়। তার সহীহ নিয়তের সাথে এটা তার জন্যে অনেক প্রতিদানের মাধ্যম হবে। (ইনশাআল্লাহু তাআ'লা)। কিন্তু তার জন্য আবশ্যক হলো উত্তম পদ্ধতিতে পরিবার বাছাই করা এবং তিনি যেন সাধারণ উম্মাহর সাথে আত্মিয়তার বন্ধনের ক্ষেত্রে পরিনাম সম্পর্কে সতর্ক থাকেন। ( জাসুসের শয়তানি চক্ষু থেকে, আল্লাহ তাআ'লা আমাদের হেফাজত করুন)
Comment