আবু হুরায়রা রাঃ এর বর্ণনাকৃত হাদীসে সুলাইমান (আ এর অবস্থাঃ- ((তিনি ( সুলাইমান আঃ) বলেনঃ- আমি আজ রাতে একশত / নিরানব্বই স্ত্রীর নিকট যাবো যাদের প্রত্যেকে একজন করে ঘোরসাওয়ার প্রসব করবে, যে আল্লাহ তাআ'লার রাস্তায় জিহাদ করবে ))
হযরত আবু হুরায়রা রা: এর ছাত্র জামানা দেখুন, তিনি রাসুল সা: এর দরবার ছেড়ে খাবার কালেকশনের জন্যও বের হতেন না এই আশংকায় যে, যদি ওই মুহুর্তে রাসুল সা: কোন হাদিস বর্ণনা করেন আর তিনি সেটা থেকে বঞ্চিত হয়ে যান? রাসুল সা: এর দরবার ছেড়ে খাবার কালেকশনে যাওয়াটা তাঁর নিকট ইলম অর্জনের ক্ষেত্রে খলল সৃষ্টিকারী মনে হত ৷ কিন্তু জিহাদের ডাক এলে ঠিকই বের হয়ে যেতেন ৷ কেননা জিহাদকে তাঁরা ইলম অর্জনের ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি কারী মনে করতেন না ৷ বরং আল্লাহর অধিকতর নৈকট্যের মাধ্যম মনে করতেন ৷
পৃথিবীতে যত তালেবে ইলম আছেন সকলের জন্য মূল কুদওয়াহ হলেন আসহাবে সুফফার তালেবে ইলমগন৷ সেই শ্রেষ্ঠ ব্যক্তিগন কি জিহাদকে নিজেদের পড়া শুনার জন্য বাধা সৃষ্টিকারী মনে করতেন!? দেখা যাক এ ব্যপারে কোরআন হাদিস আমাদেরকে কি বলে?
স্বয়ং আল্লাহ তাআলাই তাঁদের বৈশিষ্ট এভাবে বর্ণনা করছেন যে:
للفقراء اللذين احصروا في سبيل الله لايستطيعون ضربا في الارض...... الخ
জালালাইন শরীফে উল্লেখিত আয়াতের যে তাফসীর করা হয়েছে তা হল :
(للفقراء) اي الصدقات (الذين احصرو في سبيل الله) اي حسبوا انفسهم علي الجهاد. ونزلت في اهل السفة وهم اربعماءة من المهاجرين ارصدوا لتعليم القرآن والخروج مع السرايا (لا يستطيعون ضربا) سفرا (في الارض) للتجارة والمعاشي لشغلهم عنه بالجهاد (يحسبهم الجاهل) بحالهم (اغنياء من التعفف) عن السؤال وتركه. (تعرفهم) يا مخاطبا (بسيمهم) علامتهم من التواضع واثر الجهد. (لايسألون الناس) شيء فيحلفون (إلحافا)
অর্থ: "সদকা অভাব গ্রস্ত লোকদের প্রাপ্য, যারা আল্লাহর রাস্তায় আবদ্ধ রয়েছে ৷ অর্থাৎ তাঁরা নিজেরা নিজেদেরকে জিহাদের পথে আটকিয়ে রেখেছেন ৷ উল্লেখিত আয়াতটি আসহাবে সুফ্ফার ব্যপারে বর্ণিত হয়েছে ৷ তাঁরা ছিলেন চার শত মুহাজির সাহাবী ৷ তাঁরা কোরআনের জ্ঞান অর্জন করার জন্যে এবং জিহাদে বের হওয়ার জন্যে সর্বদা প্রস্তুত থাকেন ৷ তাঁরা জিহাদে ব্যস্ত থাকার কারনে জীবিকা উপার্জন ও ব্যবসার কাজে ভ্রমন করার মতও সুযোগ পাননা ৷ যেহেতু তাঁরা কারো নিকট কোন কিছু চায়না তাই যারা তাঁদের ব্যপারে অনবহীত তারা তাঁদেরকে দেখে মনে করে ধনী ৷ হে স্রোতা! তুমি তাঁদেরকে চিনতে পারবে তাঁদের বিনয়তা ও জুহ্দ - তাকওয়ার নিদর্শন দ্বারা ৷ তাঁরা স্বভাবগত ভাবেই কারো নিকট কোন কিছু যাচনা করেনা ৷"
লক্ষ করুন, আল্লাহ তাআলা এখানে তালেবে ইলমদের শ্রেষ্ঠ মডেল আসহাবে সুফ্ফার যে গুনটি বর্ণনা করেন তাহল তাঁরা নিজেদেরকে জিহাদের ময়দানে আবদ্ধ করে রাখে ৷
কিন্তু হায় আফসুস! আমরা আজ নবি সাহাবিগনের আদর্শ থেকে কত দূরে সরে গেছি!!!
হযরত আবু হুরায়রা রা: এর ছাত্র জামানা দেখুন, তিনি রাসুল সা: এর দরবার ছেড়ে খাবার কালেকশনের জন্যও বের হতেন না এই আশংকায় যে, যদি ওই মুহুর্তে রাসুল সা: কোন হাদিস বর্ণনা করেন আর তিনি সেটা থেকে বঞ্চিত হয়ে যান? রাসুল সা: এর দরবার ছেড়ে খাবার কালেকশনে যাওয়াটা তাঁর নিকট ইলম অর্জনের ক্ষেত্রে খলল সৃষ্টিকারী মনে হত ৷ কিন্তু জিহাদের ডাক এলে ঠিকই বের হয়ে যেতেন ৷ কেননা জিহাদকে তাঁরা ইলম অর্জনের ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি কারী মনে করতেন না ৷ বরং আল্লাহর অধিকতর নৈকট্যের মাধ্যম মনে করতেন ৷
পৃথিবীতে যত তালেবে ইলম আছেন সকলের জন্য মূল কুদওয়াহ হলেন আসহাবে সুফফার তালেবে ইলমগন৷ সেই শ্রেষ্ঠ ব্যক্তিগন কি জিহাদকে নিজেদের পড়া শুনার জন্য বাধা সৃষ্টিকারী মনে করতেন!? দেখা যাক এ ব্যপারে কোরআন হাদিস আমাদেরকে কি বলে?
স্বয়ং আল্লাহ তাআলাই তাঁদের বৈশিষ্ট এভাবে বর্ণনা করছেন যে:
للفقراء اللذين احصروا في سبيل الله لايستطيعون ضربا في الارض...... الخ
জালালাইন শরীফে উল্লেখিত আয়াতের যে তাফসীর করা হয়েছে তা হল :
(للفقراء) اي الصدقات (الذين احصرو في سبيل الله) اي حسبوا انفسهم علي الجهاد. ونزلت في اهل السفة وهم اربعماءة من المهاجرين ارصدوا لتعليم القرآن والخروج مع السرايا (لا يستطيعون ضربا) سفرا (في الارض) للتجارة والمعاشي لشغلهم عنه بالجهاد (يحسبهم الجاهل) بحالهم (اغنياء من التعفف) عن السؤال وتركه. (تعرفهم) يا مخاطبا (بسيمهم) علامتهم من التواضع واثر الجهد. (لايسألون الناس) شيء فيحلفون (إلحافا)
অর্থ: "সদকা অভাব গ্রস্ত লোকদের প্রাপ্য, যারা আল্লাহর রাস্তায় আবদ্ধ রয়েছে ৷ অর্থাৎ তাঁরা নিজেরা নিজেদেরকে জিহাদের পথে আটকিয়ে রেখেছেন ৷ উল্লেখিত আয়াতটি আসহাবে সুফ্ফার ব্যপারে বর্ণিত হয়েছে ৷ তাঁরা ছিলেন চার শত মুহাজির সাহাবী ৷ তাঁরা কোরআনের জ্ঞান অর্জন করার জন্যে এবং জিহাদে বের হওয়ার জন্যে সর্বদা প্রস্তুত থাকেন ৷ তাঁরা জিহাদে ব্যস্ত থাকার কারনে জীবিকা উপার্জন ও ব্যবসার কাজে ভ্রমন করার মতও সুযোগ পাননা ৷ যেহেতু তাঁরা কারো নিকট কোন কিছু চায়না তাই যারা তাঁদের ব্যপারে অনবহীত তারা তাঁদেরকে দেখে মনে করে ধনী ৷ হে স্রোতা! তুমি তাঁদেরকে চিনতে পারবে তাঁদের বিনয়তা ও জুহ্দ - তাকওয়ার নিদর্শন দ্বারা ৷ তাঁরা স্বভাবগত ভাবেই কারো নিকট কোন কিছু যাচনা করেনা ৷"
লক্ষ করুন, আল্লাহ তাআলা এখানে তালেবে ইলমদের শ্রেষ্ঠ মডেল আসহাবে সুফ্ফার যে গুনটি বর্ণনা করেন তাহল তাঁরা নিজেদেরকে জিহাদের ময়দানে আবদ্ধ করে রাখে ৷
কিন্তু হায় আফসুস! আমরা আজ নবি সাহাবিগনের আদর্শ থেকে কত দূরে সরে গেছি!!!
Comment