part -04
”গতকাল আমরা আফগান দখল করেছি আজ ইরাক এবং আগামি কাল আমরা মক্কা আক্রমন করব”
আমাকে একটি বড়ো কার্গো প্লেনে কওে নিয়ে যাওয়া হয় লম্বা সফরের জন্য। ওই সফরের কিছু ঘটনা মিডিয়াতে আসে। সেখানে আমাদের কথা বলা বা নড়া চড়া করার কোন সুযোগ ছিলনা । এমন কি আমাদের কিছু দেখা ও শোনা থেকেও বিরত রাখা হয়েছিল। সফর ২৪ ঘন্টার বেশি সময় ছিল। আমদেরকে গোয়েন্তানামোবেতে বরন করে নেয়া হয়েছিল গালাগাল ও পিটানোর মাধ্যমে তার সাথে আমাদেরকে ছেচড়ে সেলে ঢুকানো হয়েছিল। তখন থেকে নাপাক আমেরিকা তাদের মুল অত্যাচার শুরু হয়েছিল। তারা আমদের দ্বীনকে অপমান করত এবং আমরা ছিলাম শারিরিক ও মানসিক অত্যাচারের বস্তু। ঘুমাতে না দেওয়া এবং বিশেষ কক্ষে খুব ঠান্ডা ও খুবই গরমে উলংগ রাখা ছিল খুবই সাধারন। তারা তাদের বিভিন্ন এক্সপেরিমেন্টের জন্য আমাদের গিনিপিগ হিসাবে ব্যবহার করত। যেমন তারা আমাদের ভাইদের উপর এমন এক ওষুধ প্রয়োগ করতো যে তারা কয়েকদিন ঘুমাতে পরতো না আবার অন্য দিকে তার পাশের সেলের ভাই মৃতের মত ঘুমাচ্ছে। আমাদরে একভ্ইা মজা কওে বলত আমেরিকা হয়তো আমাদেও এখানে এনেছে তাদের দয়া দেখানোর জন্য। তারা আমাদেও ক্ষুধার্থ রাখত আবার কখন মেয়েদের দ্বারা আমাদের খারাপ কাজে প্রল্ব্ধু করত। এতা সব অত্যাচার ও প্রলোভন থাকা সত্ত্বেও আল্লাহ আমাদের নিরাপদ রেখে ছিলেন। আমরা কোরআনকে প্রতিষ্ঠা করব এবং আমরা যা চাই তা তাদওে কাছ থেকে বলপ্রয়োগ কওে ছিনিয়ে নেয়া ছাড়া আর কোন পথ নাই। মুসলিমরা তখনই সম্মানীত হবে যখন সে তার পথ হিসাবে জিহাদকে বেছে নিবে।
আমরা মুজাহিদিনদের সংবাদ নিতে সক্ষম ছিলাম যদিও জিহাদের ভুমি আমাদের থেকে হাজার হাজার কিলোমিটার দুরে ছিল। আমরা মাঝেমাঝে বাইরের দুনিয়া সম্মন্ধে জানতে পারতাম কোন ধরনের স্পেসিফিক সংবাদ না শুনেও। যেমন আমরা আমেরিকার পরাজয় জানতে পারতাম জেলের পতাকা অর্ধনির্মিত দেখে। মাঝে মাঝে আমরা আফগানের সংবাদ জানতে পারতাম। ওই সময় গুলিতে আমরা আবু লাইত আল লিব্বি সম্মন্ধে আনেক বেশি শুনতে পারতাম। আমরা আমাদের আরব উপদ্বীপের ভাইদের সম্মন্ধে জানতে পারতাম আমরা তাদের সাথে ছিলাম আমাদের অন্তর ও দোয়ার মাধ্যমে।
একদিন জেলের রক্ষিরা খুবই খুশি ছিল এবং নাচতে নাচতে আমাদের কাছ এলো। আমরা তাকে জিজ্ঞাসা করলাম কি হয়েছে তোমরা এতো খুশি কেন। তারা উত্তর দিল আমেরিকা ইরাক আক্রমন করেছে। তাদের একজন গর্বের সাথে বলেছিল ”গতকাল আমরা আফগান দখল করেছি আজ ইরাক এবং আগামি কাল আমরা মক্কা আক্রমন করব
। এটাই ছিল তাদের পরিকলপনা তাদের একজন আরো বলেছিল ” চার্চে আমাদের এটাই শেখানো হয়
। যাইহোক তাদের সপ্ন্ ভেস্তে গেল আবু মুসা আল জারকাভি এর মতো কিছু বীরের দ¦ারা। আমরা তাদরে প্রায়ই হুমকি দিতাম এবং রাগাতাম আবু মুসা আল জারকাভি এর নাম বলে এবং তার সাথে আরো বলতাম তোমাদের ক্ষমা চাইতে হবে তার জন্য যা তোমরা আমাদের সাথে করেছ। আমেরিকার কিছু সৈন্য ইরাকের পাঠানোর আগেই আত্মহত্তা করেছিল আবু মুসা ইল জারকাভি আর মুজাহিদিনদের ভয়ে।
মুজাহিদিনদের আত্মত্যাগ আমাদের গোয়েন্তামামো হতে বের হতে বড় ভ’মিকা পালন করেছিল। প্রকৃতপক্ষে তারাই ছিলেন আল্লার ইচ্ছায় আমর মুক্তির পেছনের প্রধান কারন আমার একজন আইনজীবী বলেছিল যে লিগাল ভাবে মুক্তি পাআমাদের জিজ্ঞাসাবাদ করত আমদেরকে পুনর্বাসন কর্মসুচির আয়তায় রাখা হয় যেখানে সরকারি চাকররা আমাদের বোঝাতো যে বর্তমানে জিহাদ করা হারাম যদি না সরকার বা শাষক অনুমতি না দেয়। কিভাবে ওই শাষক জিহাদ করওয়া আনেক দুরের কথা এবং লিগাল ভাবে তোমার মুক্তি অসম্ভব ছিল কিন্তু আবু মুসা ইল জারকাভি তরোয়ারই সেটা করছে। পাচ বছর গোয়েন্তানামোতে কাটানোর পর আমাকে বলা হল আমার মুক্তি হবে। কিন্তু আমার মুক্তি একমাস দেরি হয়েছিল কারন আমি তাদের বলেছিলাম যে আমি মুক্তি পাওয়ার পরপরই আবার জিহাদে যোগ দিব। এই এক মাসেই তারা আমার সেকশনের আমাদের তিন জন ভাইকে হত্যা করে । আমার মুক্তির সময় যত এগিয়ে আসছিল ততই এই পাচ বছরের বন্দি দশার বিভিন্ন দুঃখ ও আনন্দের কথা আমার মনে পড়ছিল। বিদায়ের সময়টি খুবই কষ্টকর ছিল। সেই ভাইদের বিদায় জানাতে গিয়ে আমার অন্তর ছিড়ে যাচ্ছিল যাদের সাথে আমি এই পাচ বছর একসাথে কাটিয়েছি। আমাদরে বড় একটি আর্মির বাসে করে এয়ারপোর্টে নিয়ে আসা হলো যেখান একটি সৌদি জেট প্লেন দড়িয়ে ছিল। তার সাথে ছিল ৭০ জন মানুষ ক্রু , গোয়েন্দা ও পুলিশ মিলে। আমাদেরকে বিমানে তোলা হলো যখন আমরা গোয়েন্তামামো বের দিকে শেষ নজর দিচ্ছিলাম, সেই জায়গা যেখানে আল্লাহ রহমন করেছিলেন তার নামাজের নামাজের দিকে আহ্ববান ও তার ইবাদতের মাধ্যমে এই মাটিতে। বিমানটি রিয়াদ পৌছালে মরোক্ক হতে তেল ভরে নেবার পর। রিয়াদের পৌছানোর পর আমাদরে বাসে করে আল হায়ের জেলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। এটা সেই কারাগার যেখানে আমাদের বিখ্যাত আলেম, পবিত্র বোন ও মুজাহিদিন ভায়েরা আনেত দিন ধরে বন্দি আছে। পৌছানোর পর তারা আমাদের সবাইকে একই সেলে ভরে দেয় যেখানে আমরা তিন মাস যাবৎ ছিলাম। সরকারি অফিসাররা তে বলবে আমেরিকার বিরুদ্ধে যে নিজেই তাদের চাটুকার ও দালাল ! ওই শাষক আমাদের কে অনুরোধ করেছিল সৌদি আরবের আল মিকরিন ও আল আউফি এরমত মুজাহিদিনদেরকে কাজ কে বাতিল বলার জন্য কিন্তু আমরা তাতে অস্বিকৃতী জানায়। আমাদের একভাই মুহাম্মাদ বিন নায়েফের( নিরাপত্তা বাহিনির সহ অধিনায়ক) সাথে হ্যান্ডসেক করতে ও প্রত্যাখান করে এই বলে যে ”সে তার ওই হাত কে আমাদের মুজাহিদ ভাইদের রক্তে রঞ্জিত করেছে ”। এই লেখাটি লেখা পর্যন্তও ওই ভাই জেলে রয়েছেন আল্লাহ তার মুক্তিকে ত্বরান্তিত করুন।
”গতকাল আমরা আফগান দখল করেছি আজ ইরাক এবং আগামি কাল আমরা মক্কা আক্রমন করব”
আমাকে একটি বড়ো কার্গো প্লেনে কওে নিয়ে যাওয়া হয় লম্বা সফরের জন্য। ওই সফরের কিছু ঘটনা মিডিয়াতে আসে। সেখানে আমাদের কথা বলা বা নড়া চড়া করার কোন সুযোগ ছিলনা । এমন কি আমাদের কিছু দেখা ও শোনা থেকেও বিরত রাখা হয়েছিল। সফর ২৪ ঘন্টার বেশি সময় ছিল। আমদেরকে গোয়েন্তানামোবেতে বরন করে নেয়া হয়েছিল গালাগাল ও পিটানোর মাধ্যমে তার সাথে আমাদেরকে ছেচড়ে সেলে ঢুকানো হয়েছিল। তখন থেকে নাপাক আমেরিকা তাদের মুল অত্যাচার শুরু হয়েছিল। তারা আমদের দ্বীনকে অপমান করত এবং আমরা ছিলাম শারিরিক ও মানসিক অত্যাচারের বস্তু। ঘুমাতে না দেওয়া এবং বিশেষ কক্ষে খুব ঠান্ডা ও খুবই গরমে উলংগ রাখা ছিল খুবই সাধারন। তারা তাদের বিভিন্ন এক্সপেরিমেন্টের জন্য আমাদের গিনিপিগ হিসাবে ব্যবহার করত। যেমন তারা আমাদের ভাইদের উপর এমন এক ওষুধ প্রয়োগ করতো যে তারা কয়েকদিন ঘুমাতে পরতো না আবার অন্য দিকে তার পাশের সেলের ভাই মৃতের মত ঘুমাচ্ছে। আমাদরে একভ্ইা মজা কওে বলত আমেরিকা হয়তো আমাদেও এখানে এনেছে তাদের দয়া দেখানোর জন্য। তারা আমাদেও ক্ষুধার্থ রাখত আবার কখন মেয়েদের দ্বারা আমাদের খারাপ কাজে প্রল্ব্ধু করত। এতা সব অত্যাচার ও প্রলোভন থাকা সত্ত্বেও আল্লাহ আমাদের নিরাপদ রেখে ছিলেন। আমরা কোরআনকে প্রতিষ্ঠা করব এবং আমরা যা চাই তা তাদওে কাছ থেকে বলপ্রয়োগ কওে ছিনিয়ে নেয়া ছাড়া আর কোন পথ নাই। মুসলিমরা তখনই সম্মানীত হবে যখন সে তার পথ হিসাবে জিহাদকে বেছে নিবে।
আমরা মুজাহিদিনদের সংবাদ নিতে সক্ষম ছিলাম যদিও জিহাদের ভুমি আমাদের থেকে হাজার হাজার কিলোমিটার দুরে ছিল। আমরা মাঝেমাঝে বাইরের দুনিয়া সম্মন্ধে জানতে পারতাম কোন ধরনের স্পেসিফিক সংবাদ না শুনেও। যেমন আমরা আমেরিকার পরাজয় জানতে পারতাম জেলের পতাকা অর্ধনির্মিত দেখে। মাঝে মাঝে আমরা আফগানের সংবাদ জানতে পারতাম। ওই সময় গুলিতে আমরা আবু লাইত আল লিব্বি সম্মন্ধে আনেক বেশি শুনতে পারতাম। আমরা আমাদের আরব উপদ্বীপের ভাইদের সম্মন্ধে জানতে পারতাম আমরা তাদের সাথে ছিলাম আমাদের অন্তর ও দোয়ার মাধ্যমে।
একদিন জেলের রক্ষিরা খুবই খুশি ছিল এবং নাচতে নাচতে আমাদের কাছ এলো। আমরা তাকে জিজ্ঞাসা করলাম কি হয়েছে তোমরা এতো খুশি কেন। তারা উত্তর দিল আমেরিকা ইরাক আক্রমন করেছে। তাদের একজন গর্বের সাথে বলেছিল ”গতকাল আমরা আফগান দখল করেছি আজ ইরাক এবং আগামি কাল আমরা মক্কা আক্রমন করব


মুজাহিদিনদের আত্মত্যাগ আমাদের গোয়েন্তামামো হতে বের হতে বড় ভ’মিকা পালন করেছিল। প্রকৃতপক্ষে তারাই ছিলেন আল্লার ইচ্ছায় আমর মুক্তির পেছনের প্রধান কারন আমার একজন আইনজীবী বলেছিল যে লিগাল ভাবে মুক্তি পাআমাদের জিজ্ঞাসাবাদ করত আমদেরকে পুনর্বাসন কর্মসুচির আয়তায় রাখা হয় যেখানে সরকারি চাকররা আমাদের বোঝাতো যে বর্তমানে জিহাদ করা হারাম যদি না সরকার বা শাষক অনুমতি না দেয়। কিভাবে ওই শাষক জিহাদ করওয়া আনেক দুরের কথা এবং লিগাল ভাবে তোমার মুক্তি অসম্ভব ছিল কিন্তু আবু মুসা ইল জারকাভি তরোয়ারই সেটা করছে। পাচ বছর গোয়েন্তানামোতে কাটানোর পর আমাকে বলা হল আমার মুক্তি হবে। কিন্তু আমার মুক্তি একমাস দেরি হয়েছিল কারন আমি তাদের বলেছিলাম যে আমি মুক্তি পাওয়ার পরপরই আবার জিহাদে যোগ দিব। এই এক মাসেই তারা আমার সেকশনের আমাদের তিন জন ভাইকে হত্যা করে । আমার মুক্তির সময় যত এগিয়ে আসছিল ততই এই পাচ বছরের বন্দি দশার বিভিন্ন দুঃখ ও আনন্দের কথা আমার মনে পড়ছিল। বিদায়ের সময়টি খুবই কষ্টকর ছিল। সেই ভাইদের বিদায় জানাতে গিয়ে আমার অন্তর ছিড়ে যাচ্ছিল যাদের সাথে আমি এই পাচ বছর একসাথে কাটিয়েছি। আমাদরে বড় একটি আর্মির বাসে করে এয়ারপোর্টে নিয়ে আসা হলো যেখান একটি সৌদি জেট প্লেন দড়িয়ে ছিল। তার সাথে ছিল ৭০ জন মানুষ ক্রু , গোয়েন্দা ও পুলিশ মিলে। আমাদেরকে বিমানে তোলা হলো যখন আমরা গোয়েন্তামামো বের দিকে শেষ নজর দিচ্ছিলাম, সেই জায়গা যেখানে আল্লাহ রহমন করেছিলেন তার নামাজের নামাজের দিকে আহ্ববান ও তার ইবাদতের মাধ্যমে এই মাটিতে। বিমানটি রিয়াদ পৌছালে মরোক্ক হতে তেল ভরে নেবার পর। রিয়াদের পৌছানোর পর আমাদরে বাসে করে আল হায়ের জেলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। এটা সেই কারাগার যেখানে আমাদের বিখ্যাত আলেম, পবিত্র বোন ও মুজাহিদিন ভায়েরা আনেত দিন ধরে বন্দি আছে। পৌছানোর পর তারা আমাদের সবাইকে একই সেলে ভরে দেয় যেখানে আমরা তিন মাস যাবৎ ছিলাম। সরকারি অফিসাররা তে বলবে আমেরিকার বিরুদ্ধে যে নিজেই তাদের চাটুকার ও দালাল ! ওই শাষক আমাদের কে অনুরোধ করেছিল সৌদি আরবের আল মিকরিন ও আল আউফি এরমত মুজাহিদিনদেরকে কাজ কে বাতিল বলার জন্য কিন্তু আমরা তাতে অস্বিকৃতী জানায়। আমাদের একভাই মুহাম্মাদ বিন নায়েফের( নিরাপত্তা বাহিনির সহ অধিনায়ক) সাথে হ্যান্ডসেক করতে ও প্রত্যাখান করে এই বলে যে ”সে তার ওই হাত কে আমাদের মুজাহিদ ভাইদের রক্তে রঞ্জিত করেছে ”। এই লেখাটি লেখা পর্যন্তও ওই ভাই জেলে রয়েছেন আল্লাহ তার মুক্তিকে ত্বরান্তিত করুন।
<চলবে>
Comment